স্মৃতির কলম

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৩:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কলম দিয়ে লিখিনা বহুদিন। না লিখতে লিখতে আঙুলের গিঁটে গিঁটে মরিচা ধরে গেছে। বাংলা ইংরেজী দুই প্রকার হাতের লেখাই জঘন্য হয়ে গেছে। কখনো একটা পৃষ্টা লিখতে হলেও ঘাম ধরে যায়, আমার লাইন হয়া যায় আঁকাবাকা আর লেখার চাপে ব্যাথাতুর থাকে কনিষ্ঠ আঙুল। স্বাক্ষর করা ছাড়া কলমের কোন কাজ নাই আজকাল। আঙুলগুলো কীবোর্ডের প্রতি এত বেশী নির্ভরশীল হয়ে গেছে যে, দুই আঙুল দিয়ে একটা কলম ধরে লেখার ধৈর্য একেবারে নেই।

ছোটবেলা থেকেই কলমের খুব শখ ছিল। বইয়ের শখ শুরুর অনেক আগে থেকেই কলম জমাতে শুরু করি। কেউ দামী কলম উপহার দিলে রেখে দিতাম বড় হয়ে লিখবো বলে। জমে গেছে অনেক কলম। অনেকগুলো শখের, উপহারের কলমের কালি শুকিয়ে রাবার হয়ে গেছে।

স্কুল পেরিয়ে কলেজে গেলাম, কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে কর্মজীবনের মধ্যাহ্ন, তবু কলমের উপহার থামেনি এখনো। কিন্তু স্কুলের কলমগুলির মতো করে আর সংগ্রহ বাড়েনি। সাম্প্রতিক পাওয়া কলমগুলির অনেকাংশই এদিক সেদিক হারিয়ে গেছে। বড় হয়ে লিখবো বলে যে কলমগুলো রেখে দিয়েছিলাম সেগুলোর মধ্যে নিবের কলমগুলো যাদুঘরেই যাচ্ছে কারণ দোয়াত কালির যুগ পেরিয়ে গেছে বহু আগে। আর কখনো লেখা হবেনা ওগুলো দিয়ে।

আগাগোড়া সোনায় মোড়ানো একটা সোনালী কলম এখনো রয়ে গেছে। Win Chung নামের চীনা কলমটি একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল। ওই কলম অনেকগুলো ছিল আমার। বাবা এনেছিল বিদেশ থেকে। যা দিয়ে পুরো স্কুল জীবনের সবগুলো বার্ষিক পরীক্ষা পার করেছি। নিয়মিত লেখার কাজে ব্যবহৃত সেই কলমের একটি রেখে দিয়েছিলাম। সেদিন পুরোনো বাক্স খুলে দেখি এখনো অবিকল আছে ২৭ বছর আগের কলমটি।

তারো আগের আরেকটি কলম ফ্রান্সের তৈরী Waterman। ক্লাস এইটে পড়ার সময় বাবা দিয়েছিল। একদম রূপার তৈরী কলম যেন, আগাগোড়া রূপোলী বর্ণের বলপয়েন্ট কলম। এত নরোম স্পীং এর কলম আগে পরে কখনোই পাইনি। ওই কলমের রিফিলটাও ছিল রুপালী, স্টীলের তৈরী। ওই রিফিল দেশে কোথাও পাওয়া যাবে না বলে অর্ধেক লিখে রেখে দিয়েছিলাম। অনিবার্যভাবে কালি শুকিয়ে যায়। আজো আছে সংগ্রহের সবচেয়ে পুরোনো ৩০ বছর বয়সী সেই কলমটা।

এছাড়াও কাছাকাছি সময়ের দামী কলমের মধ্যে কয়েক প্রকার পার্কার, কয়েক প্রকার শেফার সহ খ্যাত অখ্যাত কোম্পানীর প্রায় দুডজন কলম একটা ছোট বাক্সের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম। ওই কলমগুলোতে আর কখনো লেখা হবে না বুঝতে পারলাম কলম যুগ শেষ হবার অনেক বছর পর। সেদিন পুরোনো জিনিসপত্র ঘাটতে গিয়ে বাক্সটা হাতে নিলাম এবং আপ্লুত হলাম।

তিন টাকার ইকোনো কলম বাজারে আসার পর থেকে কালির কলমের যুগে ভাটা পড়ে। বাজারে তখন জেম ইউথ দুরকম কালির খুব চল ছিল। আমার পছন্দ ছিল ইউথ। কালচে নীল রঙের কালি। জেম কালি ছিল নীলের নীল। আরেকটা কালি ছিল স্ট্যান্ডার্ড কালি। ওই কালি কুচকুচে কালো। কিন্তু কিছুদিন পর সেই কালোটা রং বদলে হয়ে যেতো খয়েরী। খাতার উল্টো পৃষ্ঠায়ও লেখা উঠে যেত বলে ওটা আমার অপছন্দ ছিল।

এত কলম থাকলেও একটা কলমের জন্য আমার এখনো মন পোড়ে। এক মামা এসএসসি পরীক্ষার আগে বিদেশ থেকে আমার জন্য একটা কলম পাঠায় তার বন্ধুকে দিয়ে। চিঠিতে জানিয়েছিল, "তোর জন্য খুব সুন্দর ঝকঝকে একটা দামী কলাম পাঠালাম, যত্ন করে রাখিস, ভালোমতোন পরীক্ষা দিস, প্রথম বিভাগ পাওয়ার আগাম পুরষ্কার"

কিন্তু পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও কলমটা এসে পৌঁছাতে পারে না। একে একে সবগুলো পরীক্ষা শেষ হলো, রেজাল্টও হলো, প্রথম বিভাগও জুটলো, কিন্তু কলমটা আর কখনোই আসেনি আমার কাছে। মামার বন্ধু পথে কোথাও হারিয়ে ফেলেছিল। সেই অদেখা হারিয়ে যাওয়া কলমটির জন্য অনেকদিন মন কেমন করতো। এখন ভাবি, না এসেই তার উপকার হয়েছে, আমার কাছে এলে সংগ্রহের আরেকটা সংখ্যা বাড়তো বৈ কোন লাভ হতো না। এখন যার হাতে পড়েছে তার হাতেই যত্নে থাকুক।

সেদিন পুরোনো কলমগুলো বের করে একটা একটা করে দেখছিলাম, আর স্মৃতির রেকর্ড বাজছিল মাথায়। সবুজ কালির একটা জার্মান কলম হাতে পড়তেই মনটা উদাস হলো। এই কলম আমার প্রথম তারুণ্যের স্মৃতি। খুব উদাস লাগলে এই কলম দিয়ে ডায়েরি লিখতে বসতাম। ডায়েরির সেই পাতাগুলো ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছি একটা সময়, কিন্তু কলমটা রয়ে গেছে সময়ের অজান্তেই।


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

হাসি

আমি এখানে পড়তে আসার সময় এক বোন একটা সুন্দর স্লিম সোনালি কলম উপহার দিয়েছিল। সেটা দিয়েই সবসময় লিখতাম। এবার ভুল করে সেটা দেশে ফেলে এসেছি। আবার যখন যাব, নিয়ে আসব।

আমি ভাবি কেবল, এখনও আমাকে (মানে বাবা-মাকে) নিজের জন্য একটাও ঘড়ি কিনতে হয় নি। ছোটবেলা থেকেই আমার প্রত্যেকটা ঘড়িই ছিল উপহার। দেঁতো হাসি

আর ইয়ে, আবারও চাইছি - আপনার পিঁপড়ে নিয়ে লেখাটার লিঙ্ক পাওয়া যায়?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার ঘড়ি ভাগ্যকে রীতিমতো ঈর্ষা করতে হচ্ছে। হাসি

পিপড়ে নিয়ে লেখাটা দিতে পারলে খুশী হতাম। কিন্তু ওটা ছাপা হয়েছিল বহুকাল আগে একটা দৈনিকে। এইসব লিংকটিংকের জন্মেরও অনেক আগে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

The Reader এর ছবি

আমি কলম এর ব্যাপারে একসময় খুব ই নাক উঁচু ছিলাম । এখন অবশ্য সেই স্বভাব আর নেই । তবুও সুন্দর এবং ভাল কলম দেখলে মন আনচান করে । স্মৃতিচারন ভাল লাগল । ভাল থাকবেন ।।।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কলম দিয়ে খুব কম লেখা হলেও ভালো কলমের দিকে এখনো নজরটা ঘোরাফেরা করে আমার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পাঠক হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেক পুরনো স্মৃতিতে নিয়ে গেলেন...
কালি কলম তো উঠেই গেছে। আমরা কাগজে বিন্দু বিন্দু কালি ঢেলে কাগজ ভাঁজ করতাম... চিত্রকর্ম হতো। সেখানে আমরা খুঁজে নিতাম কল্পনার হাতি ঘোড়া...
ইকোনো এসে সব ভেস্তে দিলো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনি তো কলমের আরেকটা ব্যবহারের কথা মনে করায়ে দিলেন। স্কুলে কারো সাথে দ্বন্দ্ব হলে মারামারির বদলে কলমের ব্যবহার হতো। আমাদের স্কুলের ড্রেস ছিল ধবধবে সাদা। যার সাথে ঝামেলা হয়েছে তার পিঠের উপর ফাউন্টেন পেনটা একবার ঝেড়ে দিলেই হতো। ওই সাদার উপর কলম ঝাড়লে যে বিন্দুবিন্দু নকশা তৈরী হতো, রীতিমতো ফুটফুটি চিত্র। মাঝে মাঝে ভয়াবহ আকার ধারণ করতো সেই কলম যুদ্ধ। বাসায় গিয়ে সেই নকশা দেখে মায়ের কি মুর্তি হতো সেটা বলাই বাহুল্য। কিছু কালি ছিল কোন রকম সাবান পাউডার ধোলাইকর্মে মুছতো না, সেরকম কলম যার দখলে আছে তার সাথে ঝামেলায় যাওয়া কেউ বুদ্ধিমানের কাজ মনে করতো না। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আরো ছিলো... সামনের বেঞ্চে বসা কাউরে শায়েস্তা করতে হলে... ছেলে কিংবা মেয়ে যেই হোক... ঝর্ণা কলমের ক্যাপটা খুলে শার্টের ফোলানো অংশের যে কোনো জায়গায় আলতো করে নিবটা ছোঁয়াতে পারলেই কাফি... মানচিত্র আঁকা হয়ে যেতো...
আহারে... ঝর্ণা কলমের এইসব অমানবিক মজা কি বলপেন দিয়া হবে? অবশ্য ইকোনো দিয়াও কম জাউরামি করি নাই... তবে ঝর্ণা কলমের তুলনা নাই

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শিশিরকণা এর ছবি

আমিও কলম জমাতাম। কিন্তু বলপয়েন্ট। লিখে কালি শেষ হয়ে যাওয়ার পর খালি কলম। জ্ঞানার্জনের চিহ্ণ হিসেবে। চাল্লু

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

guest_writer এর ছবি

শিশিরকণাপু,

আমিও কলম জমাতাম

আমি না চাইলেও এখন বলপয়েন্ট কলম জমে যায়। ক্লাসে বন্ধুদের কাছ থেকে নেয়া হলে সেটা ভুলেও আর ফেরত দেয়া হয়না ইয়ে, মানে...
নিজেরে মাঝে মাঝে মার্ক টোয়েন ভাবতে মন চায় খাইছে

নির্ঝরা শ্রাবণ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভুলে ফেরত না দেয়া, আর ভুলেও ফেরত না দেয়ার মধ্যে পার্থক্যটা কত গুরুতর দেখেছেন? খাইছে
আপনাকে 'কলম টোয়েন' বলা যায়, কি বলেন? হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

guest_writer এর ছবি

খাইছে লইজ্জা লাগে

তিথীডোর এর ছবি

'যে গোলাপের জন্যে কোথাও কিছুটা মায়া রহিয়া যায়...'

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার মন্তব্যের একাংশ কি কোথাও ঘ্যাচাং গেছে নাকি?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তিথীডোর এর ছবি

নাহ...
কী ছাড়িয়া কী লিখিবো, মাউসে সব আঁটিতেছিলো না আর কী! ইয়ে, মানে...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

জীবনে তিনটা জিনিসের ক্ষেত্রে ভালো মানের জিনিস ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করবো না বলে ঠিক করেছিলাম। তার একটা হচ্ছে কলম। ক্লাস ফোরে পড়ার সময়ই বাবা একটা দামী শেফার কলম দেন। সেটা চলে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত। টুয়েলভে পড়ার সময় একদিন বাসে কলমটা হারিয়ে গেলো বা চুরি হয়ে গেলো। সেই ঘটনায় এতো কষ্ট পেয়েছি যে আজো তিন টাকা দামের ইকোনো কলম ছাড়া অন্য কোনো কলম দিয়ে লিখি না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমিও কলমে খুঁতখুঁতে ছিলাম। তবে দামী কলম দিয়ে পরীক্ষা দেবার কথা ভাবতাম না কখনো। দামী কলমগুলি কেবল কোট করা দামী কথাগুলো ডায়েরীতে লেখার জন্যই রেখে দিতাম। ফলাফল, কয় বছর যেতে কলমের কালি শুকিয়ে রাবার!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মৌনকুহর. এর ছবি

ছেলে বেলায় এমন কিছু পাগলামো বোধ হয় সবারই থাকে, তাই না?

অনেক অনেক দিন পর, খুব মন খারাপের মাঝে হঠাৎ সেই মধুর স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে, চোখ ভিজে আসে অজান্তেই.........

আশালতা এর ছবি

আমার ভাইয়ার নানান রকম কলম জমানোর নেশা ছিল। পয়সা জমিয়ে কিনত। আমি দু তিনদিন চুপচাপ থাকতাম, তারপর ভালোমানুষের মত তুলে নিয়ে আমার টেবিলে সাজিয়ে রাখতাম। নিতে এলেই চিলের চিল্লানি। বেচারা বোনকে এত ভালবাসত, কিছুতে কাঁদাতে পারতো না বলে স্বত্বত্যাগ করত। এখন মনে হলে খারাপ লাগে। বদলে অবশ্য আমি ওর ছায়াসঙ্গি হয়ে থাকতাম আর যাবতীয় ফাই ফরমাশ খেটে দিতাম। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বাহ, দারুণ। আমি-ও একসময় কলম, সুন্দর ডায়েরি এইসব টুকটাক জমাতাম, একসময় অর্থহীন মনে হলে ফেলে দিয়েছি। বাবা-দাদা আমলের দোয়াত-কালির কলম-ও ব্যবহার করেছি, ছোটবেলায়। হাসি

আসলে, হাতে লেখা ভুলে যেতে পারি। বরাবরই কলম দিয়ে লিখি। সেদিন অনেকদিন পরে কলম দিয়ে বাঙলা লিখতে গিয়ে টের পেলাম আমার হাত কাঁপছে! এমনিতেই প্রবাসে বাঙলা লেখালেখির চল নেই, তারপর কম্পুর কারণে তা-ও ক্রমশ কমছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।