১০০ টাকার নোটটা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৪/২০১৪ - ৩:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিয়তির উপর আগ্রাসন চালালাম। খোদাতালা মাওলা কপালে যা রেখেছে রাখুক। আমার পেটে খিদে, পকেটে পয়সা নেই, উপোস থাকাই নিয়তি। দুম করে পড়ে গেলাম ফুটপাতে।

লোকটাকে দেখে মনে হয়েছে এরকম রাস্তায় পড়ে যাওয়া লোক দেখে অভ্যস্ত না সে। নিঃশ্বাস বন্ধ করে চোখ বুজে শুয়ে আছি চুপচাপ। পা দুটো টান টান। জুতোর শব্দ পেরিয়ে যাচ্ছে, থামার লক্ষণ নেই। না......জুতোর শব্দ ফিরে আসছে.......আবারো সরে যাচ্ছে........আবারো কাছে আসছে। আমি দম প্রায়বন্ধ রেখে একসুতোর মতো চোখ খুললাম। লোকটার জুতো জোড়াই চোখে পড়লো। শুধু এদিক সেদিক হাঁটছে সে। লোকটা মনে হলো অস্থির, কাউকে ডাকার চিন্তা করছে নাকি। ডাকলে ডাকুক। ভালো লক্ষণ। চোখের কোন বেয়ে দেখলাম, একটা রিকশা এসে দাঁড়ালো। লোকটা কথা বলে উঠলো-

-এই রিকশা, একটু দাঁড়াও। একটু দেখো তো এই লোকটাকে, হঠাৎ কি হলো জানি
-কি হইছে তার, কি হইছে?
-কেমন করে পড়ে গেল দুম করে
-এমনে এমনেই পড়ে গেল?
-আপনা আপনি, বোধহয় অসুস্থ।
-মাওলার ইচ্ছা, আমি আপনি কি করুম, আমার টাইম নাই, ভাড়া মারতে হবে, যাই
-আরে লোকটা তো মরে যাবে, তুমি একটু দেখো তো, কি হইছে, হাসপাতালে নেয়া দরকার, একটু ধরো
-কাম নাই, বেহুদা ঝামেলা!
-কি বলো পারবা না, শোনো, এই টাকাটা রাখো, কোন একটা হাসপাতালে নিয়ে যাও তুমিই। পারবা না?
-আরে সাহেব আমি কি এম্বুলেন্স নাকি, আমার এসব ঝামেলার কাম নাই, আমি যাই
-তবু একটু দেখো না রে ভাই, মরে টরে যাবে লোকটা নয়তো, মানুষই তো মানুষের জন্য

রিকশাওয়ালার প্রতি মেজাজটা চড়ে যাচ্ছে। উঠে হারামজাদাকে একটা চড় দিতে ইচ্ছে করছে। ভদ্রলোক তারে ভাই ডাকছে তবু দিল নরম হয় না। তোর বাবা টাকা দিচ্ছে আগে নিয়ে নে, তারপর কথা। তবু সে কুতর্ক করে। আমি তো চোখ খুলতে পারবো না জুতোর শব্দটা চলে না যাওয়া পর্যন্ত।

হঠাৎ একটা তীব্র বাজে গন্ধ নাকে এল। সুতোর মতো একটু চোখ ফাঁক করে দেখি। মুখের উপর অন্ধকার। শালার শালা আমাকে মৃগী রোগী মনে করছে, স্যান্ডেল ধরছে নাকের গোড়ায়। স্যাণ্ডেলে পুরান গুয়ের গন্ধ। মানুষের গু না। কুত্তার গু হবে। আরে শুয়োরের বাচ্চা, দম বন্ধ হয়ে মরে যাবো তো!! বাধ্য হয়ে নড়ে উঠলাম একটু।

-এই তো নড়ছে
-হ আমি ঠিকই ধরছিলাম, মিরকি ব্যারাইম্মা।
-ঠিকাছে তুমি ওকে দেখো, হাসপাতালে নাও আমি গেলাম।

চোখটা হালকা ফাঁক করে দেখলাম জুতার মালিক চলে যাচ্ছে। জুতোর মালিক চোখের আড়ালে যেতেই তড়াক করে লাফ দিয়ে উঠলাম। রিকশওয়ালাকে দেখলাম। বয়স বেশী না। কিন্তু ধুর্ত চেহারা। আমাকে উঠতে দেখেই হাত মুঠ করে ফেলছে। টাকাটা লুকানোর চেষ্টা।
-ওই তোর জুতার গুষ্টি মারি, শালার গন্ধে মরে যাই, টেকা দে?
-কিসের টেকা?
-সাহেব টেকা দিছে না আমারে হাসপাতালে নেবার জন্য?
-কে কইছে?
-আমি নিজ কানে শুনলাম
-ওই মিয়া, তুমি তো অজ্ঞান ছিলা, শুনলা কেমনে?
-অজ্ঞান বলে কান বন্ধ নাকি, দে টেকা দে কইলাম
-মিয়া তুমি দেখি ধান্ধাবাজ, অসুস্থ হও নাই!
-সেটা দিয়ে তোর কাজ কি? ওই টাকা আমার চিকিৎসার, আমি হাসপাতালে যামু
-টেকার কথা মুখে বলছে, আসলে কিন্তুক দেয় নাই।
-তোর হাত দেখি?
-হাতে কিছু নাই
-ওই হাতের মুঠের ভিত্রে কি?
-ওটা আমার টেকা না। একজনে পাইবে তারে দিতে যাই
-মুঠ খোল কইতেছি
-কসম, সাহেবের টেকা না ওটা

আমি খপ করে ওর হাতটা ধরে মুঠ থেকে একশো টাকার নোটটা কেড়ে নিলাম। রিকশাওয়ালা চিৎকার শুরু করছে-

-তুই ব্যাটা চিটিং, বাটপার, ফাজিল, শয়তান, সাহেবের সাথে চিটিংবাজি করে টাকা নিছস।
-আমি সাহেবের সাথে চিটিং করছি, তোরে ডাকি নাই
-সাহেব আমাকে ডাকছে
-ডাকলে তার কাছ থেকে ভিজিট নিয়া আয়
-আমার স্যান্ডেলের গন্ধে তুই উঠছিস
-স্যান্ডেল না, উঠছি তোর গুয়ের গন্ধে, শালা বিষ্ঠা একটা
-ওই গালি দিবি না
-চোপ!
-তুই চোপ!!

টাকাটা পকেটে পুরে আমি হাসপাতালের বদলে হোটেলের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। পেছনে রিকশাওয়ালার গালিগালাজের মচ্ছব। মোড় পেরিয়ে একটু ডানে যেতেই গোল্ডেন হোটেল। হোটেলে ঢুকে একটা টেবিলে বসে অর্ডার দিয়ে হাতমুখ ধুতে গেলাম। বেসিনে সাবান দিয়ে হাত ঘষছি এমন সময় পাশের বেসিন থেকে একজন সাবানটা চাইল। সাবান দিতে গিয়ে দেখি লোকটা আমার দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে আছে। আমি টেবিলে খেতে বসলাম, লোকটা পাশের টেবিলে। গোগ্রাসে খাচ্ছি লোকটা তখনো পাশের টেবিল থেকে তাকিয়ে আছে। ব্যাপারটা কি। অস্বস্তি লাগছে। আমি খাওয়া শেষ করে একশো টাকার নোটটা বের করে বিল দিলাম। লোকটার দৃষ্টি সেই টাকাটার দিকে। তার সামনে রাখা ধোঁয়া ওঠা কাপটার চা জুড়িয়ে জল, তবু তার তাকানো শেষ হয় না।

তাকালে তাকাক। আমি এখন ফূর্তিতে আছি। আজকে নিয়তিকে মার দিয়ে পেটপুরে খেয়ে নিলাম। নিয়তি ভাবছিল আজ আমারে উপোস রাখবে। এই খাওয়াটাই আজকের সবচেয়ে বড় পাওয়া। আর কিছু ভাবতে চাই না এখন।

লোকটা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে এক চুমুকে প্রায় ঠাণ্ডা চা গিলে উঠে গেল। কাউন্টারে বিল দেবার সময় আমি লোকটার পায়ের দিকে তাকালাম এবং জুতো জোড়া দেখে চমকে উঠলাম। এ তো সেই জুতোই!! মানে এই জুতোর মালিকই একশো টাকার নোটের ভূতপূর্ব মালিক!

তাতে কি? তারও আগে নিশ্চয়ই একজন মালিক ছিল এই নোটের। টাকা যতবার হাত বদল করে ততবার নতুন মালিক। তাই বলে পুরোনো মালিক ওরকম করে তাকিয়ে থাকবে? দুনিয়ায় কত মাথা খারাপ লোক যে আছে!

পাশের দোকান থেকে চমন বাহার দিয়ে এক খিলি পান মুখে দিয়ে ভাবতে ভাবতে হেঁটে চললাম মেসের দিকে।


মন্তব্য

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে। খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

ইয়ে, একটা টাইপো ছিল মনে হয় - উপাষ -> উপোষ।

____________________________

হিমু এর ছবি

উপবাস > উপোস।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ঠিক।

____________________________

নীড় সন্ধানী এর ছবি

উপোষ ভুল নাকি? ঠিকাছে উপোস করে দিলাম।
কিন্তু এই বানান নিয়ে আমার কেমন একটু দ্বিধা আছে। উপোষণ মানে যদি অনাহার/উপবাস হলে উপোষ কেন শুদ্ধ হয় না?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর সাহেব হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ভাল্লাগছে ... হাততালি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এক কেজি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনার এই প্রোপিক কই পাইলেন হো হো হো

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুবোধ অবোধ এর ছবি

হে হে হে। ভালৈছে না? খাইছে

দেব প্রসাদ দেবু এর ছবি

হো হো হো ভালো লেগেছে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হো হো হো

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আয়নামতি এর ছবি

চলুক
কোনভাবেই মিল নেই এর সাথে সুবোধ ঘোষের 'অলীক'
তবুও অসাধারণ সে গল্পটি মনে পড়ে গেলো, এটা পড়ে।
বেশ ভালো লেগেছে গল্প। আরো লিখুন।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কী আশ্চর্য গল্পটা লেখা শেষ করে আমারো মনে পড়ছিল সুবোধ ঘোষের ওই গল্পটার কথা। কিন্তু নকল করি নাই বিলিভ ইট অর নট। লেখা শেষ হবার পরেই মনে পড়ছে কিন্তু দেঁতো হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আয়নামতি এর ছবি

নকলের কথা আসলো কেন বুঝলাম না!
গল্পের নামটা ভুল লিখেছিলাম প্রথমে, পরে এসে ঠিক করতে গিয়ে 'এর' খেয়ে গেছি দেখি খাইছে

ঝিঝি পোঁকা এর ছবি

শুধু ভাল না চমৎকার লিখেছেন আপনি একটু ছন্দপতন নেই ৷ নিপাট মেদহীন গল্প ৷

-----------------ঝিঝি পোঁকা

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বাহ কী চমৎকার উৎসাহ জাগানিয়া মন্তব্য। এরকম আরো আসুক খাইছে

**নাম বা নিকে কোন ভুল হলে দোষ নেই তেমন। তবু বলি 'ঝিঝি পোঁকা' না হয়ে 'ঝিঁঝি পোকা' হলে শুদ্ধ হতো। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ঝিঝি পোঁকা এর ছবি

প্রিয় নিকটি অন্য কারও তাই ঈষৎ পরিবর্তিত ৷ ভুল বানাই সচলে ৷
----------------ঝিঝি পোঁকা

তাহসিন রেজা এর ছবি

গল্পটা বেশ লাগল। আরো গল্পের অপেক্ষায় পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তাহসিন! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার গল্প পড়তে নিলেই মাথার মধ্যে টিক টিক করে ওঠে - কোন্‌ কোন থেকে ধাক্কাটা আসবে। গল্প চলুক।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার মাথার টিকটিক আমার গল্পের জন্য বাড়তি উপহার দেঁতো হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

এক লহমা এর ছবি

গল্প এগিয়েছে দুরন্ত গতিতে। কিন্তু গল্পের সমাপ্তি ধরতে পারা যাচ্ছিল। আবার, প্রায় শেষ সম্বল টাকাটা যে দিয়ে দিচ্ছে তার চরিত্র আরো কিছুটা বর্ণনা সহ না আসায়, অর্থাৎ অমন একটা অত্যন্ত মহৎ কাজ করার জন্য যে মানসিকতা লাগে সেটার উপস্থাপনা কম থাকায় গল্পটার রসাস্বাদনে ঘাটতি পড়ে গেছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সমাপ্তিতো শিরোনামেই দেয়া হয়ে গেছে। এখন মনে হচ্ছে একটু কঠিন শিরোনাম দেবার দরকার ছিল। হো হো হো

গল্পের মূল চরিত্র ঠগীকে হাইলাইটেড রাখার জন্য মহৎ লোকদের হাইলাইট করা থেকে বিরত থেকেছি।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

মজার গল্প, ভাল লেগেছে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ঠগবাজি মজার হলো আবদুল্লাহ ভাই? অ্যাঁ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- এককেজি ধন্যা

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।