আবর্জনা থেকে মুক্ত হওয়ার সময় এখনই

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: বুধ, ২১/০৪/২০১০ - ৪:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পেশায় পরিবেশ প্রকৌশলী বলে আবর্জনার প্রতি আমার একটা আত্মার টান দেখা যায়। না ... ইয়ে .. মানে .... আবর্জনা দেখলেই পরিষ্কার করার বিষয়ে বলতে চেয়েছিলাম। আম্মার কাছে শুনেছি যে যখন একরত্তি বাচ্চা ছিলাম, তখনও হাতের কাছে ঝাড়ু পাইলেই ঝাড়ু দেয়া শুরু হয়ে যেত। এখনও হাতের কাছে ন্যাকড়া পেলেই জব্বর (জব্বার কাগু নয়) মোছামুছি শুরু করে দেই। ক্লাসরূম, সিড়ি ইত্যাদিতে কাগজ পড়ে থাকতে দেখলেও কুড়িয়ে পাশের "আমাকে ব্যবহার করুন" এ স্থাপন করি। অবশ্য শেষোক্ত এই অভ্যাসটা শুরু হয়েছে জাপান থেকে ... দেখতাম বুড়াগুলো ইভনিং ওয়াক করার সময়ে হাতে একটা পলিথিন ব্যাগ আর আরেক হাতে বিরাট চিমটা নিয়ে হাটে। হাঁটতে হাঁটতে কোনো ময়লা যেমন কাগজের টুকরা, বাচ্চাদের ফেলে যাওয়া চকোলেটের খোসা ইত্যাদি পেলেই চিমটা দিয়ে টুক করে ধরে পলিথিনে ঢুকিয়ে ফেলে, তারপর ফেরার পথে সেই পলিথিন ব্যাগটা ডাস্টবিনে ফেলে দেন ... ... পরিবেশের স্বাস্থ্য ঠিক রাখাতে সাহায্য করে আসলে নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার আরেকটি দিকও (হাটার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ) ঠিক রাখলো। যাক ধান ভানতে শীবের গীত হয়ে গেল অনেক ... ... আসল কথায় আসি ... ...

স্কুলের পাঠ্য বইয়ে আমাদের সময়ে কম্পিউটার শিক্ষা বলে কোনো কিছু ছিলো বলে মনে পড়ে না (আমার SSC =১৯৯০)। ইদানিং বিভিন্ন জায়গায় পড়ছি যে আমাদের নীরবতার সুযোগে এই জায়গায় কিছু আবর্জনা পুশ-ইন করা হয়েছে। কিন্তু এই আবর্জনা পঁচে বায়োগ্যাস বা সার কিছুই হওয়ার উপায় নাই, তাই উদ্দিষ্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এটা সহায়তার বদলে পেছনে টেনে লক্ষ্য থেকে দুরে সরিয়ে রাখবে বলে প্রতীয়মান হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নামক একটা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষেও ইদানিংকার পঁচা দূর্গন্ধ দেখে আবর্জনা দিয়ে ভর্তি বলে প্রতীয়মান হল। তাই এই উৎস থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রেরণা নিলে 'ডিজি' বাদ চলে গিয়ে শুধুই 'টাল' অবশিষ্ট থাকবে বলে আমার দৃঢ় ধারণা।

এদিকে ২০১৩ সালেরও বেশি দেরী নাই। কিন্তু পাঠ্যক্রমের ঐ বইগুলোতে প্রোপাইটারী দামী সফটওয়্যার চালানো শেখানোর চেষ্টা করা হযেছে বলে জানতে পারলাম। যদি পুরা তরুন সমাজকে ঐ পথে এগিয়ে নেয়া হয় তাহলে প্রজন্মশুদ্ধ শিক্ষিত লোকজন গুটিকয়েক সফটওয়্যার কম্পানির কাছে জিম্মি হয়ে থাকবে ... ... আর একপেশে দক্ষতার সেই প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হলে দেশের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মূদ্রার বেশিরভাগ অংশই ঐ বিদেশী কোম্পানিগুলোর পকেটে চলে যাবে কারণ TRIPS চুক্তির অধীনে সরকার পাইরেসী ঠেকাতে বাধ্য।

কাজেই প্রস্তুতি নেয়ার জন্য এখনই সময়। শিক্ষাসূচীকে যুগোপযোগী করতে হলে মুক্ত সফটওয়্যার বিষয়ক বিষয়গুলোকে বেশি বেশি করে শিক্ষাক্রমে নিয়ে আসতে হবে। এতে বিকশমান প্রজন্ম নির্ভরশীলতার শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে এবং সত্যিকাল লক্ষ্য তথা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। তাই আসুন শিক্ষাক্রম থেকে নির্ভরশীলতার আবর্জনা সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে জনমত গড়ে তুলি। যাদের মনে মুক্ত সফটওয়্যারের সামর্থ নিয়ে সন্দেহ দোলা দেয়, তাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি মোজিলা ফায়ারফক্স, উইকিপিডিয়া, অভ্র-কীবোর্ড, ওপেনঅফিস, গিম্প, লিনাক্স ইত্যাদি মুক্ত সফটওয়্যার ও মুক্ত সংস্কৃতির সাফল্যের উদাহরণ। এছাড়া এই লেখা যেই ব্লগ বা ফোরাম থেকে এই লেখাটি পড়ছেন সেটাও মুক্ত সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

ভবিষ্যত প্রজন্মকে সফটওয়্যার-গোলামী থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া জরুরী। সফটওয়্যারের বিষয়টা পাত্তা পাওয়ার যোগ্য কারণ পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিগণই সফটওয়্যার ব্যবসা করে অর্থ কামাচ্ছেন। আমাদের বয়স বেড়ে চলেছে। এই আধবুড়াদের পক্ষে নতুন বিষয়গুলো আয়ত্ব করা সম্ভব না হলেও নতুন প্রজন্মের পক্ষে মুক্তির পথ আয়ত্ব করা সহজ হবে। তাই শিক্ষাক্রম থেকে আবর্জনাপ্রসুত আবর্জনাগুলো সরিয়ে ফেলা অতি জরুরী।

তাই সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যে যার অবস্থান থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের কানে কার্যকরভাবে এই কথাগুলো পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের অনেকেরই ভাই, দুলাভাই, চাচা, মামা, বন্ধু, বন্ধুর বাবা, আঙ্কেল, শিক্ষক ইত্যাদি পরিচিত ব্যক্তির মধ্যেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি/শিক্ষক/সাংবাদিক/কর্মকর্তা খুঁজে পাওয়া যাবে। প্রথমে তাদেরকে TRIPS, পাইরেসি, ওপেনসোর্সের শক্তি-সফলতার কথাগুলো সহজ ভাবে বলতে হবে। এছাড়া এ-ও জানাতে হবে যে বিভিন্ন দেশেই সরকারী পর্যায়ে ওপেনসোর্সকে প্রমোট করে অযথা খরচ বাঁচিয়েছে; অনেক বড় বড় কোম্পানিই ওপেনসোর্স ভিত্তিক সমাধান বেছে নিচ্ছে। এনারা জানলে এবং দেশপ্রেমিক হলে সামনে পুশ করতে থাকবেন বলেই আশা করি। এটা হবে অনেকটা জমিতে বীজ লাগানোর আগে জমি প্রস্তুত করার মত একটা পদক্ষেপ।

শুধু সচেতনতা বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়। যদি নতুন শিক্ষাক্রমকে সমর্থন দেয়ার মত যথেষ্ট বিকল্প শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত না থাকে তবে সরকারের সদিচ্ছা হলেও আগের আবর্জনা ফেলতে পারবেনা। তাই ওপেনসোর্স ভিত্তিক শিক্ষাক্রম এবং এর উপযোগী শিক্ষা উপকরণ তৈরী করা জরুরী। সরকার শুরু করুক বা না করুক আমরা কিন্তু এই কাজটা এগিয়ে রাখতে পারি। এজন্য বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এবং ইন্টারনেটে অ্যাকটিভ দেশপ্রেমিক তথ্য-প্রযুক্তিবিদ ও শিক্ষাবিদদেরকে একটা ফোরামের মাধ্যমে একত্রে করে তাঁদের দিয়ে একটা উন্মুক্ত সুপারিশমালা তৈরী করাতে পারি। এতে শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের সুক্ষ্ণ বিষয়াদি উঠে আসবে এবং সরকারের কাছে পেশযোগ্য একটা সুন্দর প্রস্তাব তৈরী হয়ে থাকবে বলে আশা করা যায়। এই প্রস্তাব হয়তো সরকার আবার দেশের শিক্ষা-সংক্রান্ত কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠাবে (আশা করি এই প্রক্রিয়া আবর্জনামুক্ত থাকবে)।

পাশাপাশি সেই সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণের তৈরীর কাজ এগিয়ে নিতে পারি, যেন সরকারকে সেই সব স্যাম্পল উপকরণও সরবরাহ করা যায়। উইকি এবং বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ইবুকের সফলতা দেখে এই স্বপ্নটাকে অবাস্তব মনে হয় না।

এই আবর্জনা দূরীকরণের পাশাপাশি আরেকটা বিষয়ে লক্ষ্য দেয়া দরকার। সেটা হল বর্তমান সরকারী কর্মীবাহিনীকে ২০১৩ পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুত করা। ইতিমধ্যেই কিছু জায়গায় অভ্র ব্যবহার করতে না জানাকে অযোগ্যতা বলে ধরা হবে - এরকম ঘোষনার কথা শুনেছিলাম। একই ভাবে যদি ওপেন-অফিস এবং লিনাক্সকে প্রমোট করার উপায় বের করা যায় তাহলে কিন্তু আমরা শক্তভাবে প্রস্ততি নিতে পারি।

আসুন আমরা একটা ইবুক খুলি যেটাতে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ে যুগোপযোগী কম্পিউটার শিক্ষাক্রম বিষয়ক পোস্ট এবং আলোচনাগুলো ধরে রাখি -- এবং ডেডলাইন ফিক্স করে একটা প্রাথমিক খসড়া দাঁড় করিয়ে ফেলি। পাশাপাশি চেনাজানা প্রাসঙ্গিক ফোরামগুলোতে প্রয়োজনে ইংরেজিতে এই প্রক্রিয়াতে যুক্ত হওয়া আহ্বান ছড়িয়ে দেই। শুরুর দিকের বিষয়গুলো এমন হতে পারে:
-- আমাদের দেশে বনাম অন্য দেশে কেমন সিলেবাস
-- যেমন কোন শ্রেণীতে কী সিলেবাস হওয়া উচিত

====ডিসক্লেইমার====
তাওয়া গরম থাকতে থাকতেই পরটা ভাজার নিয়ম, তাই তাড়াহুড়া করে এই পোস্ট করলাম... তাই নিঃসন্দেহে লেখা সুগঠিত হয়নি, এবং অনেক জরুরী বিষয়ও বাদ পড়ে গেছে - এটা ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ থাকলো।

তাওয়া গরম থাকার ব্যাপারটা কারো মাথার উপর দিয়ে গেলে জেনে রাখুন যে পাঠ্যক্রমের বইগুলো স্বঘোষিত আই.টি. বিশেষজ্ঞ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা মোস্তফা জব্বার সাহেবের লেখা।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এদিকে ১৯১৩ সালেরও বেশি দেরী নাই।
খাইছে

শামীম এর ছবি

ইয়াল্লা .... বাঁচাও।

কাছেই কোনো একজায়গায় মাইকে সারারাত লাইভ গানাবাজনা (আসলে চিল্লাচিল্লি) হচ্ছে ... মাথা পুরা হট হয়ে আছে (এখন রাত/ভোর ৪.৪৫) - ক্ষমতাশালী দলের লোকজন সংশ্লিষ্ট (কোনো এক এম.পি.ও এসেছিলো রাত ১টার দিকে!!)। সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু ঘুমাবো তারও উপায় নাই। ফজরের আজান পড়লো ... তাও গানবাজনা থামে না। বন্দুক থাকলে সিওর ওখানে গিয়ে একটা ম্যাসাকার করতাম।

তার উপর পোস্ট করার জন্য এক ক্লিক দিয়ে ঘন্টাখানেকের বেশি অপেক্ষা করা লেগেছে!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কোনো এক এম.পি.ও এসেছিলো রাত ১টার দিকে!!
এসেছেন রাত ১টায়! বুঝতেই পারছেন কত জনসেবা আর কত কাজ করছেন!! আর আপনি আছেন আপনার ওপেন সোর্স নিয়ে..

শামীম এর ছবি

আহারে ...

শেষ পর্যন্ত ভোর ৫:১০এ শব্দ দূষন বন্ধ হয়েছে।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অভ্রনীল এর ছবি

পাঠ্যপুস্তকের এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার নিজের লেখার খুব ইচ্ছা, সেজন্য মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা (বইটিকে মাধ্যমিক উইন্ডোজ ও ভিজ্যুয়াল বেসিক শিক্ষা বললেই বেশি মানানসই হয়) বইটা নামিয়েছিলাম, কিন্তু সময়াভাবে পুরোটা পড়তে পারিনি বা পারছিনা। তবে যতটুকু দেখলাম তাতে অবাক হলাম যে, কম্পিউটার না শিখিয়ে আসলে উইন্ডোজ কিভাবে চালাতে হয় সেটাই শেখানো হচ্ছে এই বইয়ে। কোন ফ্রি অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে যদি শুরু হত আমার কোন আপত্তি ছিলনা, কিন্তু জাতীয় শিক্ষাবোর্ডের একটা বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমেরিকান এক কোম্পানীর তৈরি জিনিসের বিজ্ঞাপণ দিয়ে যাবে সেটা সহ্য করা কঠিন। কম্পিউটার মানেই কি কেবল ইন্টেল আর উইন্ডোজ? কম্পিউটার মানেই কি কেবল ডেস্কটপ আর ল্যাপটপ? বইয়ের লেখক, স্বঘোষিত বাংলা কিবোর্ডের কম্পুকানা জনকের বিদ্যার দৌড় এতটুকুই!

তার উপর বইটির প্র্যাক্টিকাল অংশে প্রোগ্রামিং শেখাতে ব্যবহার করা হয়েছে ভিজ্যুয়াল বেসিক, অথচ মাইক্রসফট নিজেরাই তাদের এ পণ্যটির মৃত্যু ঘোষণা করেছে ১১ই জানুয়ারী, ২০০২ তারিখে। আট বছর ধরে যে ল্যাংগুয়েজ মৃত সেটাকে শেখানোর মানে কি?

আগের একটা পোস্টে বলে ছিলাম যে, অবাক লাগে যখন দেখি একজন সামান্য ব্যবসায়ী মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা বইটির মত মাধ্যমিক স্তরের গুরুত্বপূর্ণ একটা বইয়ের লেখক কিভাবে হন! এনসিটিবিতে কি সব মূর্খ লোকদের আনাগোনা?
_______________

::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::

শামীম এর ছবি

ঐ বই পাইলেন কীভাবে ... চোখ টিপি দেঁতো হাসি

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অনুপ [অতিথি] এর ছবি

NCTB এর ওয়েবে পাওয়া যায়

অভ্রনীল এর ছবি

এনসিটিবি'র ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়... হাসি

_______________

::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::

সারিম খান এর ছবি

@অভ্রনীল ভাই
আপনি পুরাটা পড়তে না পেরেই এই কথা বলছেন। আর আমি ৯ , ১০ দুই বছর পড়ে SSC পরীক্ষা দিয়ে আসলাম। :'(
কি আর বলব। পরীক্ষা পাশ করার জন্য ঔ ছাই পাশ এ আমার মত করে লিখে এসেছি। ভিজুয়াল বেসিক টাও যদি ঠিকমত শিখাতে পারত তাইলে হয় , syntax এ বানান ভুল। আর প্রগ্রামিং কিভাবে বুঝাতে হয় সেটা কাগু জানেই না।

HSC এর কম্পিউটার বইটা দেখুন। ওখানে কিউবেসিক ।
HSC প্রাকটিকাল পরীক্ষায় কিউবেসিক দিয়ে প্রগ্রাম লিখতে হয়।

তবে জাফর ইকবার স্যারের কাছে অনেক আশা নিয়ে মেইল করলাম গত রাতে। দেখি উনি কিছু করেন কিনা।

শামীম এর ছবি

Look at the positive side ... চোখ টিপি

১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে মাসিক কম্পিউটার জগতের সফটওয়্যারের কারুকাজ বিভাগে কিউবেসিকে লেখা প্রোগ্রাম থাকতো। ওগুলো আর হেল্প ফাইল পড়েই এই ল্যাংগুয়েজ শিখেছিলাম -- কারণ আমার আন্ডারগ্র্যাডের থিসিস ছিল কিউবেসিকে করা একটা স্ট্রাকচারাল এনালাইসিস সফটওয়্যার (মাত্র দেড় হাজার লাইনের কোড হাসি )। বুয়েটের লাইব্রেরী ঘেটে এটার উপর কোনো বই পাইনি সেইসময়! হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অনুপ [অতিথি] এর ছবি

সারিম ভাগ্য ভালো আমি পড়ি নাই।

পড়লে সার দের সাথে যুদ্ধ বাধাতাম। এমনি তেই কম্পিউটার এর সারের সাথে আমার যুদ্ধ ছিল।
আমি SSC করছি কারিগরি থেকে তাই বেচে গেছি।

নিলুদা, শামিম ভাই একটা গবেষণা চালালে কেমন হয়। পরে নয় আমরা NCTB কে জানাবো, তাদের সিলেবাসের অন্তভূত করা জন্য।

চলেন শুরু করি।

বই নাম:
লেখক: আমার
বিষয়: ইতিহাস থেকে সকল অবদার কারীর নাম, তার পর .............

নাসিম [অতিথি] এর ছবি

শামীম ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময়পযোগী এই লেখার জন্য। দেশকে আবর্জনামুক্ত করতে যেকোন প্রয়োজনে আমি আছি আপনার পাশে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কোনো এক সকালে ঘুম থেকে উঠে কাগিমা'র দেয়া চা'য়ে চিনির আধিক্য দেখে রাগে গজগজ করতে করতে হয়তো কাগু ঠিক করে বসলেন, একটা বই লিখেই ফেলবেন এবার। তাতে করে যে পরিমান টাকা সরকারী কোষাগার থেকে খসাতে পারবেন মন্ত্রী-আমলাদের কম্পু জ্ঞান আমলে না এনে, তা দিয়ে ভবিষ্যতে যখন বিজয় প্রকল্প ডুবে যাবে তখন গ্রামের বাড়িতে একটা চিনির কল লাগিয়ে সেখান থেকে কাগিমা'কে চিনি সাপ্লাই দিতে পারবেন!

সেই সকালেই তিনি পাঠ্যপুস্তকবোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে ফোনে কথা বললেন। অপিসে গিয়ে এখান সেখান থেকে জোড়াতালি মেরে, অধীনস্থ একে তাকে দিয়ে এটা সেটা লিখিয়ে, চা বেয়ারা ফরিদকে দিয়ে কোডিং লিখিয়ে, খসড়া বানিয়ে সেটা জমা দিলেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে।

আগেই বলেছি, আমাদের আমলাদের কম্পুজ্ঞান কতোটা আমলে নেয়ার মতো! সুতরাং, "এইটা একটা জব্বর বই হইছে, জব্বার সাব"— জাতীয় বাণীর সাথে সাথেই মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক বিভীষিকা নেমে এলো। বইয়ের ভেতরে কি আছে না আছে, সেটার চেয়ে মুখ্য হয়ে দাঁড়ালো বইয়ের মলাটে কী আছে। সেখানে মুখ বাংলা "ঙ" এর মতো করে চোখ গোল গোল করে তাকিয়ে আছে এক মুশকো বুড়া ব্যাটা। এটা দেখে মাধ্যমিকের পোলাপান আর বই খুলে দেখতেই সাহস পায় না। ক্লাসে শিক্ষকের থেকে যা শোনে, পরীক্ষার খাতায় তাই চোথা মেরে চলে আসে।

ফলাফল, জিরোর চেয়েও নিচে। কম্পুটার সাইন্স শেখার বদলে পোলাপান শিখে চোথাবাজী আর বড় হয়ে কী ভাবে ক অক্ষর গো মাংস হয়েও একটা পাঠ্যপুস্তকে নিজের খোমা সাঁটানো যায়, সেই রাজনীতি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নৃ [অতিথি] এর ছবি

এই পোস্টটা কি শেয়ার করা যাবে?
পাঠ্যপুস্তকে কাগুর উপস্থিতি সংক্রান্ত তেমন আর কোন পোস্ট দেখিনি।
তাই এই পোস্টটা আরেকটু ছড়াতে চাইছি।
ধন্যবাদ।

শামীম এর ছবি

আমি সাধারণত: cc-by-nd-sa লাইসেন্সে লিখি। এটাকেও তাই ধরে নিন।

অর্থাৎ ... শেয়ার করুন সমস্যা নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

পলাশ দত্ত এর ছবি

ডিস্টার্বিং রবার (disturbing robber)। কে? হাসি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

গৌতম এর ছবি

১. মাধ্যমিক স্তরের কম্পিউটার শিক্ষা বই দেখার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। মানলাম, কম্পিউটারের বেসিক জানতে হবে; কিন্তু তাই বলে বাইনারি বা হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিগুলোকে এতো কঠিনভাবে শেখানর দরকার কী?

২. একটা কাজ করা যায়। আপনি যা যা লিখেছেন সেগুলো আরও গুছিয়ে একটা নতুন লেখা তৈরি করতে পারেন। সেখানে এই ধরনের কম্পিউটার বইতে কী কী থাকা উচিত (প্রযোজ্যক্ষেত্রে অন্য দেশের বইয়ের উদাহরণও দেয়া যেতে পারে), এবং কেন বইগুলো উইন্ডোজভিত্তিক হওয়া উচিত না, সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত থাকতে পারে।

৩. পরবর্তী ধাপে এই ধরনের বইতে কী কী কনটেন্ট থাকা উচিত, তার একটা তালিকা করে সূচী তৈরি করা যেতে পারে। তবে এই সূচীর একটি ভিত্তি (ভ্যালিডিটি ও রিলায়াবিলিটি) থাকতে হবে।

৪. দুই ও তিন নম্বর পয়েন্টের কাজটা আপনি শুরু করতে পারেন কিংবা সচলরা যৌথভাবেও করতে পারেন। যদি করা যায়, তাহলে সেটা এনসিটিবি ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব আমার। হয়তো কিছুই হবে না, তবে আমি নিশ্চিত এটা দিয়ে অনেককে নাড়া দেয়া যাবে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।