দৃশ্যমূল্য

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: শুক্র, ১৯/১১/২০১০ - ৮:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আঘাত, বিষাক্ত পদার্থ বা জীবানু যেভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে তেমনি দৃশ্যও মানুষের সুস্থতা এবং মননশীলতার উপরে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। বিষাক্ত পদার্থ, জীবানু বা আঘাত দ্বারা আক্রান্ত হলে মানুষ যেরকম অসুস্থ হতে পারে তেমনি দৃশ্য দ্বারাও একই ভাবে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। অন্য দৃষ্টিকোন থেকে (গ্লাসের অর্ধেক ভর্তি) চিন্তা করলে বলা যায় দৃশ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য উন্নয়ন করা সম্ভব। আর ইতিমধ্যেই এদেশেও দৃশ্য বেশ দামী বিষয়। এই লেখার পরবর্তী অংশে এই বিষয়ে সহজবোধ্য উদাহরণ সহ দৃশ্য উন্নয়নকল্পে কে কী কীভাবে কেন কোথায় .. ইত্যাদি বিষয়ে গুতাগুতি করার ইচ্ছা করি।

মূল্য
প্রথমে আসি মূল্যের ব্যাপারে। পার্কভিউ, রিভারভিউ ইত্যাদি বিস্তর ভিউয়ের কারণে একটা অ্যাপার্টমেন্টের দাম প্রতি বর্গফুটে কয়েকশ থেকে হাজার টাকা বেশি হতে পারে। কাজেই শুধুমাত্র দৃশ্যের কারণে একটা এপার্টমেন্টের দাম কয়েক লাখ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। এই অতিরিক্ত মূল্যটা তাহলে দৃশ্যের মূল্য। মজার ব্যাপার হল যে এই দৃশ্য কিন্তু ঐ এপার্টমেন্টের মালিক তৈরী করেনি। একই ভাবে সমূদ্র তীরের হোটেলগুলোতে যেই কক্ষগুলো থেকে সমূদ্র দেখা যায় সেগুলোর ভাড়া ও চাহিদা বেশি।

কিংবা ধরুন, বিশেষ কিছু রেস্টুরেন্টে শুধুমাত্র অনেকদুর পর্যন্ত বাইরের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় বলে একই খাবার অনেক বেশি দাম দিয়ে সানন্দে(!) খাই; যেমন সিটিভিউ, স্কাইভিউ টাইপের উঁচুতলায় অবস্থিত রেস্টুরেন্ট। অথবা শুধুমাত্র দেখতে সুন্দর করার জন্য কত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে স্থপতি দিয়ে ভবনের আকার আকৃতি পরিবর্তন করানো হয়। এতে অনেকক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য মেঝের ক্ষেত্রফলও কমে যায় কিন্তু দেখা যায়, তা সত্বেও ঐ ভবন থেকে মালিক বেশি ভাড়া আয় করে। কাজেই শুধুমাত্র দৃশ্যের কারণেই এই খরচ এবং বর্ধিত মূল্য পাওয়া যায়। আগের পার্কভিউ বা রিভারভিউএর মত নয়, বরঞ্চ এখানে বর্ধিত মূল্যের জন্য দৃশ্যগুলো নিজেরাই খরচ করে তৈরী করানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য
এবারে আসি স্বাস্থ্যের ব্যাপারে। DOOM2 নামে একটা কম্পিউটার গেম খেলতাম একসময়ে, ওটার গ্রাফিক্স কোয়ালিটির কারণে খেলার সময় এবং পরে অদ্ভুদ গা-গুলানো, বমি বমি অসস্তি লাগতো। খুব সম্ভবত এ ধরণের অসুস্থতাকে বর্ণনা করার জন্য Motion sickness নামক একটা অসুস্থতা আছে। যখন টিভির রিমোট হাতে একজন যখন কোন চ্যানেল না দেখে শুধু চ্যানেল পাল্টাতে থাকে তখনও আমার (এবং হয়তো অন্যদের) মনে এরকম একটা গা-গুলানো ভাব আসে। এরশাদের আমলে বাসার কাছে একটা ট্রাক অ্যাকসিডেন্টে রাস্তার উপরে পড়া কানসহ চামড়া, হলুদ ঘিলুর দৃশ্য দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। ভৌতিক দৃশ্য দেখে কারো কারো হার্টফেল করার খবরও অনেকের জানা আছে। কয়েকদিন আগে একটা খবর শুনে বেশ মজা পেলাম। আমার আত্মীয়ের আত্মীয়, তাদের বাসায় হঠাৎ হঠাৎ করে লোকজন অজ্ঞান হয়ে যায়। এহেন ঘন ঘন কোনো অসুস্থতা ছাড়াই অজ্ঞান হওয়া দেখে পারিবারিক ডাক্তার বেশ অবাক হয়েছিলেন। ওনার তদন্তে থলের বেড়াল বের হয়ে আসে। বার্জার কালার ব্যাংক ব্যবহার করে অনেক মাথা খাটিয়ে (!) মনের মাধুরী মিশিয়ে ঘরের একেক দেয়ালে একেক রং দেয়া ছিল। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সব দেয়াল নতুন করে একরঙা করা হয়েছে, অজ্ঞান হওয়ার সমস্যাও দুর হয়ে গেছে। চিন্তা করুন, সামান্য রঙের ভুল ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কেমন ক্ষতিকারক হতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে, স্থাপত্যবিদ্যায় ঘরের দেয়ালে রং-এর ব্যবহারের উপরে আলাদা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

এবার আপনাদের চিন্তাভাবনার জন্য কিছু দৃশ্যের নাম দেই: মিডিয়াতে খুনের দৃশ্য, মৃতদেহের দৃশ্য ... কোরবানীর রক্তের ফোয়ারার দৃশ্য ... নিরীহ পশুর গলায় ছুরি চালানোর দৃশ্য ... এসব আমাদের প্রজন্মকে কিভাবে প্রভাবিত করছে? শিশুদের মনে দীর্ঘমেয়াদে কিসের বীজ বপন করছে?

বিভিন্ন স্থাপনার দৃশ্য
একটা বিদ্যূত উৎপাদন কেন্দ্রের মত বড় স্থাপনা যদি হাইওয়ের পাশে হয়, তবে তা হবে উৎকটরূপে দৃষ্টি আকর্ষক। বিরাট আকারের কারণে এটা মানুষের দৃষ্টিকে অন্য শ্যামলিমা থেকে সরিয়ে এখানেই আটকে ফেলবে। আবার আদিগন্ত বিস্তৃত ফসলের ক্ষেত বা বন বা নদীর উপর দিয়ে যখন বিদ্যূতের টাওয়ার আর তার দেখা যায় তখন সেটা প্রকৃতির মধ্যে বিসদৃশ লাগে। আবার অনেক জায়গায়, বিশেষত বনের মধ্য দিয়ে ট্রান্সমিশন লাইনের নিচে গাছপালা ছেঁটে দেয়া হয়, এটাও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ধারাবাহিকতাকে নষ্ট করে। একটা উড়াল রাস্তা (flyover) কিংবা উঁচু ভবনও একই ভাবে মানুষের দৃষ্টির বিস্তারকে বাধাগ্রস্থ করে। মানুষ দিগন্ত দেখতে চায়, আকাশ দেখতে চায়; আর এই দৃশ্যগুলো বৃহদাকৃতির স্থাপনা বাধাগ্রস্থ করে; চারদিক থেকে মাথার উপর চেপে আসছে - এমন একটা অনুভুতির সৃষ্টি করে।

প্রকৃতি মানেই সবুজ আর জলাশয়। ছোট জলাশয়ের চেয়ে বড় জলাশয় বেশি আকর্ষনীয়। জলাশয় থাকলে ঐ এলাকার আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়, আর এজন্যই লেকভিউ-এর দাম বেশি। কিন্তু জলাশয়ের তীর যদি একঘেয়ে রকম সরল হয় তবে সেটাও দেখতে ততটা ভাল লাগে না, কিন্তু তা যদি হয় বৈচিত্রময় ও আঁকাবাঁকা তবে তা মনকে চাঙ্গা করে তোলে। একইভাবে বৈচিত্রহীন সমতলের চেয়ে সামান্য উঁচু নিচু বা ঢালু জায়গা দেখতে ভাল লাগে।

দৃশ্য বিচার করা
কয়েকটি কারণে এইটা বিরাট একটা কঠিন কাজ। কারণ, প্রথমত: নান্দনিকতা বা সৌন্দর্যবোধ বা aesthetics বিষয়টার কোন স্ট্যান্ডার্ড নাই। একেক জনের কাছে রূচিবোধ অনুযায়ী একেকটা দৃশ্য সুন্দর লাগে, এর কোনো নিয়মনীতি নাই। এছাড়া লিখিত কোনো স্ট্যান্ডার্ড বা নির্দিষ্ট টার্ম না থাকায়, একজনের মনের ভাব অন্যজনকে লিখিতভাবে বা বলে পুরাপুরি বুঝানো যায় না। এই বিষয়ে ক্লায়েন্টের চাহিদা স্থপতিকে বুঝাতে পারেনা, স্থপতির নির্দেশ বা আইডিয়া উন্নয়নকর্মী ঠিকমত নিতে পারে না ... দেখা যায় পুরা উল্টা বিষয় করে রেখেছে। এছাড়া এই বিষয়ে প্রশিক্ষিত পেশাদার লোক পাওয়াটাও কঠিন।

এত সীমাবদ্ধতা সত্বেও উন্নত ও সভ্য দেশে সরকারী পর্যায়েও বিভিন্ন এলাকার দৃশ্যমূল্যকে গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ দৃশ্য খারাপ হয়ে গেলে সেই এলাকার স্থাপনগুলোর অর্থনৈতিক আয় কমে যাবে, অর্থাৎ আয়কর/ট্যাক্স প্রদানও কমে যাবে, এছাড়া সেখানে পর্যটনের মত শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবে। পর্যটন এমন একটা শিল্প যেখানে স্থানীয় সৌন্দর্য্য ও দর্শনযোগ্য স্থান অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই কোন এলাকায় সৌন্দর্য কেমন তা জানতে দৃশ্য অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক রেটিং বা ইনডেক্স তৈরী করা হয়। এতে একদিকে যেমন কোন কোন এলাকায় পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া যায় সেটা নির্ধারণ করার সুবিধা হয়, অপরদিকে তেমনি যেসব এলাকায় উন্নয়ন প্রয়োজন সেটা নির্বাচন করায় সুবিধা হয় এবং সেই এলাকাগুলোতে সৌন্দর্যবর্ধণ প্রকল্প গ্রহণ করা যায়।

একটা এলাকার দৃশ্যমানের ইনডেক্স নির্নয় করার দুইটা পদ্ধতি আছে। প্রথমটি হল দৃশ্যকে নম্বর প্রদান পদ্ধতি (simple view scoring technique), আর অপরটি হল পূর্বনির্ধারিত তালিকা পদ্ধতি (checklist method)। পদ্ধতি বর্ণনা করার আগে জানিয়ে রাখি যে, পদ্ধতিগুলোতে ছবি, স্কেচ এবং মডেল ব্যবহার করা হয়। যেমন ধরুন একটা ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে চারিদিকে যেমন দেখা যাবে সেই ফটো বা দৃশ্যগুলো কিংবা ধরুন একটা রাস্তার বিভিন্ন অংশে পথচারী বা গাড়ির যাত্রীগণ যা যা দেখতে পাবে সেই দৃশ্যসমূহকে ফটো তুলে বা এঁকে নেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন ঋতূতে কেমন দেখাবে সেটাও বিবেচনার জন্য ঋতূভিত্তিক ছবি/স্কেচ/ফটো নেয়া হয়। ছবির উপরে আনুপাতিক আকারে আঁকা নতুন স্থাপনার ছবি টেপ দিয়ে আটকিয়ে কেমন দেখাবে সেটা অনুমান করা হয় (photomontage)। এছাড়া দৃশ্য বিচারের সময়ে দৃশ্যের সাপেক্ষে দর্শকের অবস্থানটাও বিবেচনা করা হয়।

দৃশ্যকে নম্বর প্রদান পদ্ধতিতে বিবেচ্য দৃশ্যগুলোর মধ্য থেকে প্রথমে দৈবচয়নে যে কোনো একটি ছবি নেয়া হয়। সেই ছবিটাকে ১০ নম্বর বা পয়েন্ট বা মার্ক দেয়া হয়। পরবর্তী ছবির দৃশ্যটাকে এই ছবির দৃশ্যের সাথে তুলনা করে আরেকটা নম্বর দেয়া হয়। যদি এটা আগের থেকে অনেক ভালো হয়, তবে এর নম্বর ৪০/ ৫০/১০০ ইত্যাদি হতে পারে কিংবা সামান্য খারাপ হলে ৮ / ৯ হতে পারে। একজন বা একাধিক নির্বাচক নিয়ে এই কাজটা চালানো যেতে পারে। এভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ছবিগুলোকে নম্বর দেয়া মাধ্যমে খুব ভালো, ভালো, মোটামুটি, খারাপ, খুব খারাপ ... এই ধরণের ক্যাটাগরিতে দৃশ্যগুলোকে ভাগ করে ফেলা যায়। খুব ভালো দৃশ্যগুলোকে অবশ্যই আড়াল হতে দেয়া যাবে না, এবং এটা ব্যবহারকারী বা সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে প্রজেক্টের মূল্য ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেবে। বিল্ডিং হলে সেইদিকে বারান্দা বা বড় জানালা দেয়া হবে ইত্যাদি ... ...। আবার খুব খারাপ দৃশ্যকে অবশ্যই আড়াল করতে হবে, কারণ এটা ব্যবহারকারীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সহজ ভাষায় বললে, বস্তি ভিউ বা নর্দমা ভিউ যেদিকে সেদিকে জানালা/ড্রইং রূম ইত্যাদি না দেয়াই ভাল; কিংবা বলা যেতে পারে রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে কিচেন হবে ঐদিকে আর সুন্দর দৃশ্য যেদিকে সেদিকে কাস্টমার বসবে। বস্তি/নর্দমা ইত্যাদি খারাপ দৃশ্যগুলোকে আড়াল করার জন্য অনেক সময় দৃষ্টিপথে চমৎকার গাছ/লতাপাতা দিয়ে ঝোপ তৈরী করে প্রাকৃতিক সবুজ পর্দার মত তৈরী করা হয়। এতে দুষ্টু দৃশ্য আড়াল হওয়ার পাশাপাশি চমৎকার একটা দৃশ্যও তৈরী হয় -- কে না জানে যে মানুষ প্রকৃতি তথা সবুজ গাছপালা দেখতে পছন্দ করে।

তালিকা পদ্ধতিতে পূর্বনির্ধারিত ছক অনুযায়ী কিছু প্রশ্নের নির্ধারিত উত্তরে টিক দেয়া হয়। উত্তর অনুযায়ী নম্বর নির্ধারিত থাকে, যা যোগ করে সেই এলাকার মোট স্কোর নির্ণয় করা হয়। স্কোর অনুযায়ী এলাকাটার দৃশ্যমান ভাল, মোটামুটি বা অনুল্লেখ্য এমন শ্রেণীবিভাগ করা যায়।

দৃশ্যের উন্নয়ন
এ বিষয়ে সাধারণ আইডিয়াগুলো ইতিমধ্যেই লেখায় চলে এসেছে। এক্ষেত্রে ঢাকা শহরের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা একটা বড় ইস্যূ, যদিও ১০ বছর আগের চেয়ে এখনকার ঢাকার প্রধান সড়কগুলো আমার কাছে বেশি দৃষ্টিনন্দন লাগে (রোড আইল্যান্ডের গাছপালা/বাগানের জন্য)। দৃশ্যের উন্নয়ন করতে হলে প্রথমেই কোন জিনিষগুলো দেখতে সুন্দর তা চিহ্নিত করতে হবে। আর যেই ধরণের ঘটনা বা দৃশ্য একটা দৃষ্টিকটু বৈসাদৃশ্য তৈরী করে সেগুলো যাতে তৈরী না হয় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনে আইন করে ব্যবস্থা নিতে হবে। দর্শনযোগ্য স্থানের তালিকায় পার্ক, বন, জলাশয়, প্রত্নতাত্ত্বিক বা ঐতিহাসিক স্থাপনা ও স্থান, ল্যান্ডস্কেপ বা স্থাপত্যগুলো স্থান পায়। এছাড়া উন্নয়নকল্পে মানুষের মতামত যাচাই করে কোন জিনিষগুলো তাঁদের সবচেয়ে ভালো লাগে আর কোনগুলো খারাপ লাগে তার তালিকাও করা হয়ে থাকে। এর মধ্য থেকে যেগুলো খুব বেশি প্রভাব বিস্তারকারী (ঋণাত্বক অর্থে) সেগুলোকে আগে বিবেচনা করা হয়।

মানুষ প্রাইভেসী পছন্দ করে। তাই আবাসিক এলাকাগুলোকে পাবলিক এলাকা থেকে আড়াল করতে হবে, এসব ক্ষেত্রে দেয়ালের চেয়ে সবুজ দেয়াল (একটা তারের বেড়ার উপর লতাগুল্ম দিয়েও তৈরী করা যায়) পথচারী/যাত্রী এবং ওখানে বসবাসকারী উভয়পক্ষের জন্যই বেশি আকর্ষনীয় হবে। এছাড়া এলাকার সুন্দর দৃশ্যগুলোতে যেন সহজে যাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। খেয়াল করতে হবে যে একটা প্রাকৃতিক পরিবেশকে সব দিক থেকে একই রকম সুন্দর লাগে না। যেদিকে থেকে বা যেই স্থানগুলো থেকে এটা সবচেয়ে সুন্দর দেখায় সেই জায়গাগুলো থেকে বাধামুক্ত দেখার ব্যবস্থা করতে হবে। একটা সুন্দর জলাশয় যেন ঝোপজঙ্গল বা টংঘর দোকান দিয়ে আড়াল না হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর জায়গাগুলোতে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন বা বিলবোর্ড স্থাপন করা ঠিক হবে না। পরিত্যক্ত কোন স্থাপনা থাকলে সেগুলোকে সংস্কার করতে হবে। উঁচু-নিচু জায়গার ক্ষেত্রে মৃদু ঢাল দৃশ্য হিসেবে খাড়া ঢালের চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক। ... ... ইত্যাদি ইত্যাদি উচিত, করতে হবে মার্কা বিস্তর কথাবার্তা লেখা যায় ... ...।

দৃশ্য মোটেই অবহেলা বা হেলাফেলার বিষয় নয়। এ জন্যই 'পয়লা দর্শনধারী আর পরে গুণবিচারী' - এ ধরণের কি জানি একটা কথা প্রচলিত আছে।


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

খুবই যুক্তিযুক্ত লেখা। প্রচুর লাইন কোট করে সহমত জানানো যায়, তাই এমনিই ক্ষান্ত দিলাম...

শামীম এর ছবি

ধন্যবাদ। খুবই ভালো সিদ্ধান্ত ...

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

বিষাক্ত পদার> বিষাক্ত পদার্থ (দ্বিতীয় লাইনে)
মৃদূ> মৃদু
অর্থনৈতীক>অর্থনৈতিক
...........আরো আছে, একটু দেখে নেবেন।

লেখা ও বিষয়বস্তু ভালো লাগলো। সাধুবাদ।

শামীম এর ছবি

বিশেষভাবে ধন্যবাদ। (বানান সংক্রান্ত সাহায্যের জন্য)

নতুন সিস্টেম ইনস্টলের পর অংকুরের স্পেলচেকারটা দেয়া হয়নি ... ... আর স্পেলচেকারেও বাংলা সব বানান ঠিকমত নাই ... ... মন খারাপ
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ লেখা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শামীম এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হাসিব এর ছবি

প্রথমত: নান্দনিকতা বা সৌন্দর্যবোধ বা aesthetics বিষয়টার কোন স্ট্যান্ডার্ড নাই।

কথাটার সাথে একমত না। নান্দনিকতার বিচার আছে এবং সেই পাল্লা দিয়ে মেপে মানুষ চেতন/অবচেতন মনে সৌন্দর্য বিচার করে। বিষয়টা হয়তো সবসময় কোয়ান্টিফাই করা নাও যেতে পারে। তবে একধরণের গড় ধরে বিভিন্ন কোম্পানি প্রোডাক্ট ডিজাইন করে, গায়ক তার গান তৈরী করে, কবি তার কবিতা লেখে।

পুনশ্চঃ কাকতালীয়ভাবে ব্লগে ল্যাটেক্স ইমপ্লিমেন্টেশন নিয়ে পড়ালেখা করছিলাম। ল্যাটেক্স একটা জটিল ধরনের ওয়ার্ডপ্রসেসর হলেও এর নান্দনিকতা একে কয়েকদশক ধরে বিকল্পবিহীন করে রেখেছে। ল্যাটেক্স টাইপসেটের নান্দনিকতার পরিমাপ নিয়ে একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম। Understanding the æsthetics of math typesetting শিরোনামে। গুগল করে পড়ে দেখতে পারেন। আরো একটু গুগল করে পড়ে দেখতে পারেন কেন কমিক সানস সবচেয়ে বাজে ফন্ট ও হেলভেটিকা সবচেয়ে ভালো ফন্ট। বহু লোক কমিক সানস ব্যবহার করলেও নান্দনিক নয় সেটা কোনভাবেই। এই সিদ্ধান্তটা নিশ্চয়ই কোন মাপকাঠি ধরে করা, তাই না? অতএব, নান্দনিকতার স্টান্ডার্ড সেট করা যায় না কথাটা পুরোপুরি ঠিক না।

আর হ্যাঁ, লেখা ভালো হয়েছে

________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

শামীম এর ছবি

সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। একমত।

সরকার বা এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড আছে কিন্তু সবাই তাতে একমত হবে না, এবং সেটাই শেষ কথা নয়। একটা ভবন নকশার সময় হয়তো স্থাপত্য বিচারে সেরা নকশা বাদ দিয়ে এর ক্রেতা অন্য একটা অতি সাধারণ নকশা বেছে নিবেন। আমি যতটুকু বুঝি সেটা হল, সৌন্দর্যবোধ বা দৃশ্য ভাললাগার বিষয়টা অনেকগুলো প্যারামিটারের উপর নির্ভরশীল। কোণ/কার্ভেচারের পাশাপাশি আকারের আনুপাতিক অবস্থান, রং-লাইন-প্যাটার্নে-টেক্সচারের আনুপাতিক মিশ্রন ... ... এর সাথে যুক্ত হবে ঋতূ, আলোর অবস্থা, মনের অবস্থা. দর্শকের বয়স, দর্শকের কালচারাল ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি।

পানির স্বাদ এবং গন্ধ নির্ণয়ের পদ্ধতি পড়ে এই বিষয়ে প্রথম অবাক হয়েছিলাম। আবার দেখুন আপনি আমি একমত হই বা না হই tea-tester কিংবা ওয়াইনটেস্টারের দেয়া পয়েন্ট দিয়েই সেই পানীয়র বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ হচ্ছে। কেন জানি পানির স্বাদ বা ফন্টের আকৃতির চেয়ে দৃশ্যের নান্দনিকতার বিষয়টা অপেক্ষাকৃত বেশি জটিল মনে হচ্ছে।

আবার, মেগাস্ট্রাকচার সিরিজে বুর্জ-আল-আরব বা দুবাইয়ের আইকন সেভেনস্টার হোটেলের ইন্টেরিয়র ডেকরেশনের কাহিনীটাও বেশ ভাবায়। চাইনিজ আর্কিটেক্ট প্রথমে ভেতরের সবকিছু তুষার (অথবা মরুভূমির মত) শুভ্র করে দিয়েছিলো। কিন্তু আমীর এসে সব নাকচ করে দিয়ে বললেন তার কালারফুল জিনিষ চাই। এরপর যেমন রঙচঙে ডিজাইন করলেন সেটা আগেরটার চেয়ে ভাল কি না আমি তা জানিনা, তবে দুবাইয়ের আমীরের কিন্তু সেটাই পছন্দ হয়েছিলো। আর্কিটেক্ট অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন মেনেই সেগুলোকে নান্দনিক করেছিলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অনেকদিন পর একটি সারগর্ভ রচনা পড়লাম। বিশ্ব-সংসার থেকে 'সার' হারিয়ে গেছে, 'সং' পড়ে আছে যত্রতত্র!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

শামীম এর ছবি

পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধইন্যাপাতা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

'পয়লা দর্শনধারী আর পরে গুণবিচারী'

লেখা ভালো লাগসে।

---আশফাক আহমেদ

শামীম এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

সুন্দর তথ্যবহুল লেখা...ভালো লাগলো। হাসি

শামীম এর ছবি

আরিগাতো গোজাইমাস্ ... ... (ধন্যবাদ) হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

ভীষন রকম ভালো লেখা । চিন্তার উদ্রেককারী লেখা ।

এবার আপনাদের চিন্তাভাবনার জন্য কিছু দৃশ্যের নাম দেই: মিডিয়াতে খুনের দৃশ্য, মৃতদেহের দৃশ্য ... কোরবানীর রক্তের ফোয়ারার দৃশ্য ... নিরীহ পশুর গলায় ছুরি চালানোর দৃশ্য ... এসব আমাদের প্রজন্মকে কিভাবে প্রভাবিত করছে? শিশুদের মনে দীর্ঘমেয়াদে কিসের বীজ বপন করছে?

বিশেষভাবে আপনার এই কথাগুলোর সঙে একমত । দৃশ্য আমাদের মনণের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে । যত আমরা সভ্যতার নামে প্রকৃতিবিচ্ছিন্ন হব, ততই কৃত্রিম, অমানবিক এক সমাজবাসী হব । আমাদের এই প্রজন্মের শিশুরা বেড়ে উঠছে ভিডিও গেম, আর ইউটিউব, ফেসবুকের হাত ধরে...প্রকৃতি, মানুষের সংগে যোগাযোগহীন এই জীবনাচার কোথায় নিয়ে যাবে কে জানে...গতবারে দেশে গিয়ে সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল । ঢাকার বাইরে বের হতেই দিগন্ত জোড়া সবুজ দেখার জন্য মন যখন আকুপাকু করছে ...কোথায় সেই সবুজ ? চারিদিকে কালো ধোঁয়া, আর ইটের ভাটি...

……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

শামীম এর ছবি

আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যটি ভালো লাগলো।

এই ডিসেম্বরের পর পুরাতন ইটভাটার লাইসেন্স বাতিল হচ্ছে। নতুন কম দূষনকারী ইটভাটাগুলোই শুধু লাইসেন্স পাবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শামীম এর ছবি

শিশুমনে যে এই ধরণের খবর খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সেটা অনেক আগে থেকে অনেকেরই জানা আছে। তারপরও হঠাৎ করে আবার আজ এই খবরটায় চোখ পড়ে গেল:
গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদে শিশুমনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ফরিদ এর ছবি

এইটা দেখতে পারেন

auto

শামীম এর ছবি

অসাধারণ একটা বিষয় জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা।

ইদ্রিয়গ্রাহ্য সবগুলো বিষয়গুলোই খুব জটিল এবং ইন্টেরেস্টিং মনে হয়; (চক্ষু< কর্ণ< নাসিকা <জিহ্বা <ত্বক ......স্পর্শ/তাপমাত্র>স্বাদ>গন্ধ>শব্দ>দৃশ্য)। নিজের এবং সামগ্রীকভাবে আমাদের স্বার্থেই এই বিষয়গুলোতে সচেতনতা দরকার।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই ভাল লেখা। এই রকম লেখা খুব একটা পড়া হয় না এখন।

অনন্ত

শামীম এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার!

-------------------
কুটুমবাড়ি

শামীম এর ছবি

@দুষ্ট বালিকা এবং কুটুমবাড়ির অতিথি লেখক:

ধন্যবাদ। হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রোজারিও এর ছবি

চিন্তাভাবনা সুন্দর। আমাদের পাড়ায় লোকালয় ছাড়ালেই বড় রাস্তার পাশে একটা মাঠ ছিল, আছে; কিন্তু সম্প্রতি নগর কতৃপক্ষ মাঠটি উঁচু দেওয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। দৃষ্টি ব্যাহত হয়। খারাপ লাগে, মনোকষ্ট ঘটে। দুঃখ। না জানি কতটাকা খরচ হয়েছে অপ্রয়োজনীয় এই কাজে।

শামীম এর ছবি

অপরিকল্পিত নগরের জীবন থেকে মাঠ হারাতে বসেছে। এমনকি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়েও মাঠ নাই .. ...। ম্যাচবাক্সের মত ভবনে বসছে স্কুল।

মাঠের বিশালত্বের অভাবে বাচ্চাগুলোর মনেও বিশালত্বের প্রকট অভাব দেখা দিচ্ছে। ছোট ছোট ভবনে ছোট মানসিকতা ছাড়া আর কি-ই বা হবে ... ... ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমতকার চিন্তাশীল রচনা... ভাল লেগেছে ।

ভোট কি করে দিতে হয় প্লিজ শিখিয়ে দেবেন?

- মোহনা

শামীম এর ছবি

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।

যতদুর জানি শুধু সচল সদস্যগণ ভোট দিতে পারেন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।