সবুজ ছাদ বা Green Roof

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১২/২০১১ - ৭:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছাদের উপরে বাগান করা নতুন কোন বিষয় নয়। তবে সবুজ ছাদ বা গ্রীন রুফ বলতে এই বাগান করার বিষয়টাকে দুই একটা টবের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটা বিশেষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বুঝানো হয়ে থাকে। উইকিপিডিয়া অনুসারে একটা ভবনের ছাদ পুরোপুরি বা বা কিছু অংশ পানি নিরোধী আবরণের উপরে বৃদ্ধি উপযোগী কোন মাধ্যমে জন্মানো গাছপালা দিয়ে আচ্ছাদিত থাকলে একে green roof বা সবুজ ছাদ বলা হয়। এটার মধ্যে শিকড় প্রতিরোধী স্তর, পানিনিষ্কাশন স্তর ও সেঁচ দেয়ার জন্য স্তরও থাকতে পারে। 'সবুজ' কথাটা দিয়ে ছাদের মেঝের টাইল বা আস্তরে কখনো কখনো ব্যবহৃত সবুজ রংকে বোঝানো হয় না বরং এ দ্বারা প্রকৃতি বা পরিবেশ বান্ধবতাকে বুঝানো হয় - তাই, ছাদের উপরে কৃত্রিম পুকুরে বাসার পয়ঃপ্রণালীর পানি পরিশোধন করাটাও সবুজ ছাদের একটা প্রকারভেদ হতে পারে।


সিঙ্গাপুরের Nanyang Technological University ক্যাম্পাসে সবুজ ছাদ (source: http://www.vitodibari.com)

সবুজ ছাদ বলতেই ছাদের উপরে পাতলা স্তরে মাটি ফেলে কিংবা অন্য উপায়ে মাটি দিয়ে বাগান করা বুঝালেও আমার মনে প্রথমেই যেই ভাবনা আসে সেটা হল মরিচ, করল্লা, লাউ ইত্যাদি সব্জীর কথা। ছাদে এরকম অর্থনৈতিক ভাবে সরাসরি লাভজনক কাজ করা যায় বেশ ভালভাবেই। ইচ্ছা করলে এর ওর বাসায় পাঠানো যায়, বিক্রয়ও করা যেতে পারে। মরিচের বাজারে আগুন লাগলে ছাদে লাগানো মরিচ গাছ থেকে হাত বাড়িয়ে মরিচ নিয়ে রান্না করবেন - খুবই আনন্দের কথা। কিংবা কারো কারো মত ড্রামে আমগাছও লাগানো যেতে পারে।

আরে থামেন থামেন। তরিতরকারী চাষের আর আলু পটলের গল্প ফাঁদার জন্য গ্রীন রুফ বা সবুজ ছাদ নিয়ে পোস্ট দিতে আসিনি। বর্তমানে পরিবেশ প্রকৌশল এবং ভবন নির্মান ও স্থাপত্য বিদ্যায় সবুজ ছাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমনকি কোথাও কোথাও (যেমন টরন্টো, কানাডা) সবুজ ছাদ করা নিয়ে আইনও তৈরী হয়েছে, সবুজ ছাদ করলে বিভিন্ন ভর্তূকী এবং পরিবেশবান্ধব ভবনের সার্টিফিকেটও পাওয়া যায় আমেরিকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। আলু-পটল ছাড়াও এইটা নিয়ে মাতামাতির অন্য কারণগুলো একটু একটু করে এখানে বলার চেষ্টা করি। তবে কারণ বলার আগে এটার ফলে ভবনে কী পরিবর্তন করতে হবে সেটা বলে নেই -- না বললে কারণসমূহ পড়ার সময়েই ওগুলোর দুশ্চিন্তা মাথায় কুটকুট করতে থাকবে হয়তো।


জাপানের ফুকুওকার একটা ভবনে সবুজ ছাদ

ছাদের উপরে মাটি তুলে তাতে চাষবাস বা বাগান করলে তা ভবনে অতিরিক্ত ভার দেবে। হ্যাঁ এই ওজনটা হেলাফেলা করে অবহেলা করার মত না। আমরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংএ পুরাতন নিয়মে বাসাবাড়ি বা ভবন নকশা করার সময়ে কাঠামোর নিজের ওজন ছাড়াও প্রতি বর্গফুটে ৪০ পাউন্ড নড়নচড়নশীল ওজন (লাইভ লোড) ধরে হিসাব কিতাব করি। এই ওজনটা হল আদমের ওজন + আদমদের ব্যবহৃত আসবাবপত্রের ওজনের জন্য। তবে স্কুল, কমিউনিটি হল, লাইব্রেরী, মসজিদ, বাসার সিড়ি এসবে এই লাইভ লোড ধরি ১০০ পাউন্ড/বর্গফুট (psf) --- বুঝতেই পারছেন এসব জায়গায় অনেক বেশি আদম জড়ো হবে + নড়াচড়া করবে - তাই অতিরিক্ত সতর্কতা। মাটির ওজন হল প্রতি ঘনফুটে ১১০ পাউন্ড -- এটা অবশ্য ভাল ভাবে দুরমুজ করে জমাট বাধানো (কম্প্যাক্ট করা) মাটির জন্য। গাছ লাগানোর মাটি হালকা ঝুরঝুরা থাকবে, পিটিয়ে শক্ত করা ঘন মাটি হবে না, তাই ছাদে ১ ফুট গভীরতার মাটি ফেললে অতিরিক্ত ওজন আসবে ১১০ পাউন্ড/বর্গফুটের চেয়ে কিছুটা কম। এর সাথে সেচের পানির ওজন, পানিরোধী আবরণ স্তরের ওজন, শিকড় বিকর্ষণকারী স্তর, এবং ড্রেনেজ স্তরের জন্য সামান্য অতিরিক্ত কিছুটা ওজন যুক্ত হতে পারে। কাজেই বেশি পরিমান মাটি ফেলে সারা ছাদকে বাগান বানাতে চাইলে ভবন নকশার সময়েই ছাদে অতিরিক্ত ওজন বহনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। অবশ্য যদি ৩ ইঞ্চি মাটি দেই তাহলে প্রায় ২৮ পাউন্ড/বর্গফুট ওজন আসবে, যা আগের তৈরী ভবনের ছাদেও সমস্যা করবে না বলে আশা করা যায় (৩ ইঞ্চি মাটিতে মরিচ করল্লা ছাড়াও আরও অনেক রকম গাছ হতে পারে হাসি )। কাজেই ছাদের উপরে পলিথিন কিংবা পীচ/আলকাতরা ঢেলে পানিরোধী ক্ষমতা বাড়িয়ে তারপর মাটি দিয়ে বাগান প্রজেক্ট শুরু করা যেতে পারে। মাটি ফেলেই যে করতে হবে এমন কথা নাই। গায়ে গায়ে লাগানো টব কিংবা চ্যাপ্টা ট্রে টাইপের আধারে মাটি নিয়েও এই কাজ করা যাবে। তবে ছাদের উপর টবে বাগান করলে সেটাকে সত্যিকার সবুজ ছাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না, যদিও এটা একটা বিতর্কের বিষয়।

দুই প্রকারের সবুজ ছাদ আছে: নিবিড় ছাদ (intensive roofs) এবং বিস্তৃত ছাদ (extensive roof); নিবিড় ছাদে উদ্ভিদের পরিমান বেশি হয় এবং এটা এটাতে বহু প্রকার উদ্ভিদ জন্মাতে পরে, তবে এরকম ছাদের অধিক পরিমান পরিচর্যার দরকার হয়, অপরপক্ষে বিস্তৃত ছাদে হালকা ঘনত্বের গাছপালা থাকে এবং এটার মাটি নিবিড় ছাদের চেয়ে কম গভীরতা সম্পন্ন।


পূর্বে প্রস্তুত করা ট্রে পদ্ধতিতে খুব সহজে সবুজ ছাদ তৈরী করা যায়


আরো পাতলা স্তরের মাটিতে ম্যাটের মধ্যে সামান্য মাটিতে টিকতে পারে এমন উদ্ভিদও লাগানো যেতে পারে

যারা এখনও আমার চাপাবাজিতে আশ্বস্থ হতে পারেননি বিশেষত তাদেরকে চিপা দিয়ে একটা কথা বলি: পৃথিবীতে বেশ অনেক ভবনে, বিশেষত বড় হোটেলের ছাদে সুইমিং পুল আছে। সেইরকম একটা পুল তৈরী করতে চাইলে প্রতি ফুট গভীর পানির জন্য ৬২.৪ পাউন্ড/বর্গফুট করে ওজন যুক্ত হবে (পানির ঘনত্ব = ৬২.৪ পাউন্ড/ঘনফুট)। বেশি না মাত্র গলা সমান বা ৫ ফুট গভীর পুল করলেই সেক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটে ৩১২ পাউন্ড লাইভ লোড ধরে নকশা করতে হয় হাসি

এবার আসি সবুজ ছাদের সুবিধার কথায়।
সবুজ ছাদ ব্যবহার করলে ছাদের আয়ু নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। কারণ, এর উপরে পানিরোধী স্তর সহ বিভিন্নরকম কেরামতি করা হয়। তাই আবহাওয়ার প্রবল দুষ্টু থাবা থেকে এটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে। ফলে ছাদ মেইনটেনেন্সের খরচ কমে যায়। এছাড়া এরকম সৌন্দর্য বর্ধনের ফলে স্থাপনার সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি পায়।

সবুজ ছাদ ব্যবহার করা হলে তা একেবারে উপরের তলার ঘর ছাদের কারণে অতিরিক্ত গরম হওয়া রোধ করে। কারণ নাঙ্গা ছাদের কংক্রিটে যখন সূর্যের তাপ এসে পড়ে, সেই তাপ কংক্রিট শোষণ করে এবং প্রায় পুরাটাই আবার নিচের দিকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু গাছপালা সূর্যের তাপ পুরা শোষণ করে, সেই তাপ ব্যবহার করে নিজের সালোকসংশ্লেষন করে পাতার পানি বাষ্প আকারে বাতাসে ছেড়ে দেয়, তাই এক ফোটা তাপও গাছ ভেদ করে নিচের দিকে আসতে পারে না। যদি আসেও সেটা আবার মাটিতে থাকা পানিকে বাষ্পীভবনে ব্যয় হয়। ফলে উপরের ছাদ অন্য তলার ছাদের মতই ঠান্ডা থাকে।

উন্মুক্ত ছাদের এই গরমের অসুবিধার কারণেই টপ ফ্লোরগুলো অন্য ফ্লোরের মত কেউ কিনতে বা ভাড়া নিতে চায় না। এমনকি জলছাদ দেয়ার পরেও গরমের আশংকায় টপ ফ্লোর কেউ ভাড়া নিতে বা কিনতে চায় না। ফলে বাধ্য হয়ে ডেভেলপারকে ঐ ফ্লোর কম দামে বিক্রয় করতে হয়। কিন্তু সবুজ ছাদ করলে সৌন্দর্যের কারণে সামগ্রীক ভবনের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি টপ ফ্লোরের গরমও থাকে না - মূলত এই কারণেই এখনকার ডেভেলপারগণ ভবনের নকশা করার সময়ই ছাদে বাগান করার ব্যবস্থা করে।

কম পরিমানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ দরকার হয়, এর ফলে শতকরা ৫০ থেকে ৯০ ভাগ কম শক্তি খরচ করতে হয়। সবুজ ছাদ করলে এই অতিরিক্ত ক্ষমতার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের স্থাপনা খরচ লাগে না - তাই ছাদ ও বাগান করার অতিরিক্ত খরচটা এখানেই পুষিয়ে যায়। সবুজ ছাদ করতে প্রতি বর্গমিটারে ২০ - ৪০ ডলার খরচ হয় বলে বিভিন্ন জায়গায় লিখেছে। আমাদের দেশের ডেভলপারদের করা সবুজ ছাদে এই খরচ আসে আরো অনেক কম (প্রায় ৭৫০ টাকা /বর্গমিটার)। তাহলে ব্যক্তিগত লেভেলে হিসাবটা এমন হতে পারে -- আমার বেডরুমের আকার প্রায় ১২ বর্গমিটার (১ বর্গমিটার = ১০.৭৬ বর্গফুট)। এটার উপরে সবুজ ছাদ দিতে খরচ হবে প্রায় ৯০০০ টাকা। ১.৫ টনের এসির বদলে ১ টনের এসি কিনতে আমার কমপক্ষে ৯০০০ টাকা সাশ্রয় হলে সবুজ ছাদ করা সৌন্দর্যের মূল্য বাদেই সরাসরি লাভজনক। আর কম ক্ষমতার তাপানুকুল যন্ত্রের কারণে মাসে অন্তত ২০০টাকার বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে।

অন্য সুবিধা বলার আগে তাপজনিত আরেকটা সুবিধা জানানো দরকার। শহরের কংক্রিটের জঙ্গলে তাপ শোষণকারী গাছের অভাবে এবং গাড়ি এবং ঘরের এয়ার কন্ডিশনার ও অন্য যন্ত্রপাতির কারণে আশেপাশের গাছপালাওয়ালা এলাকার চেয়ে তাপমাত্রা বেশি হয়। ঢাকার রাস্তায় শাহবাগ থেকে ফার্মগেট এলাকা পার হয়ে রোকেয়া সরনী কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকলেই এই কথার সত্যতা চামড়ার অনুভূতিতেই টের পাওয়া যায়। শহরের কেন্দ্রে এভাবে আশেপাশের অঞ্চল থেকে ৩ থেকে ৯ ডিগ্রী পর্যন্ত তাপমাত্রা বেশি হতে পারে - যাকে তাপদ্বীপ প্রতিক্রিয়া বা Heat Island Effect বলা হয়। সবুজ ছাদ এই তাপদ্বীপ হওয়া থেকে অনেকটাই সুরক্ষা দিতে পারে। বিশেষত যদি ছাদের বাগানটিকে কাঁচে দিয়ে আবৃত করা যায় তবে এটা একটা পরোক্ষ সৌরশক্তি সংরক্ষণাগার হিসেবে কাজ করে। শহরের কোন এলাকায় এমন সবুজ ছাদের সংখ্যা ও ঘনত্ব বৃদ্ধি পেলে তা গ্রীষ্মকালে শহরের গড় তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

ব্রাড ব্যাস (Brad Brass) ২০০৫ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা গবেষণায় দেখান যে সবুজ ছাদ ব্যবহারের ফলে শীতকালেও ঘর থেকে তাপ হারানোর হার কমে যায় ফলে শীতে ঘর গরম রাখতেও কম শক্তি খরচ করতে হয়। এছাড়া সবুজ ছাদ ও গাছপালা ভবনকে শব্দনিরোধী করতে সাহায্য করে; মাটি নিম্ন কম্পাঙ্কের শব্দতরঙ্গ আটকায়, উদ্ভিদ উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দতরঙ্গ আটকায়।

এরকম ছাদ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পরিমান কমিয়ে দেয়। পানির অনেক অংশই মাটিতে ও গাছে রয়ে যায়। আর মাটির মধ্য দিয়ে পরিশ্রুত হয়ে ড্রেনেজে আসলেও তাতে উন্মুক্ত ছাদে পতিত হয়েই গড়িয়ে আসার চেয়ে সময় লাগে অনেক বেশি। ফলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের নালায় কম চাপ পড়ে। ফলে হঠাৎ ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট শহুরে জলাবদ্ধতা কম হয়। এছাড়া এই উদ্ভিদ ও মাটির বাধা বৃষ্টির পানি থেকে ভারী ধাতু এবং দূষনকারী পদার্থসমূহকে পরিশ্রুত করে। গাছপালা বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষন করে অক্সিজেন দেয়। এছাড়া ঘন সন্নিবেশিত গাছের পাতাগুলোতে ধূলাবালি থিতানোর জায়গা পায়, ফলে তা দূষনকারী পদার্থসমূহকে পরিশ্রুত করে, যা হাঁপানীর মত রোগ হওয়ার হার কমাতে সাহায্য করে।

ঠিকভাবে স্থাপন করা হলে জীবিত ছাদ ভবনকে LEED পয়েন্ট পাইয়ে দিতে পারে। (LEED এর সম্পুর্ন নাম Leadership in Energy and Environmental Design - এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সবুজ ভবন সার্টিফিকেশন পদ্ধতি। যুক্তরাস্ট্রের সবুজ ভবন কাউন্সিল - U.S. Green Building Council বা USGBC, ২০০০ সালের মার্চ মাসে এই পদ্ধতিটি উন্নয়ন করেন। LEED ভবন মালিক এবং পরিচালনাকারীদেরকে ভবনকে পরিবেশবান্ধব করার জন্য পরিমাপযোগ্য এবং বাস্তবসম্মত উপায়গুলো চিহ্নিত এবং সংশোধনের জন্য নকশা, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার একটা সুনির্দিষ্ট ও সুবিন্যস্ত নির্দেশনা দেয়।)।

"সবুজ ছাদ' দ্বারা সবুজ বা পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এমন ছাদকেও বুঝানো হয়ে থাকতে পারে; যেমন ঠান্ডা ছাদ, যেই ছাদে সৌরশক্তি সংগ্রহের জন্য সৌরকোষ বা সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়। সবুজ ছাদকে আরও কয়েকটা নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে যেমন: eco-roofs, oikosteges, vegetated roofs, living roofs, greenroofs and VCWH[1] (Horizontal Vegetated Complex Walls)। সবুজ ছাদ একটা স্বনির্ভর ভবনের অন্যতম প্রধান অংশ।

সবুজ ছাদ তৈরী করলে কৃষিভূমি বৃদ্ধি পায়। ছাদে ফুল, ঘাস লাগানো ছাড়াও বিভিন্ন তরি তরকারীও এবং ফসল ফলানো যায়। যা উপরে উল্লেখিত সুবিধাগুলোতে আরো নতুন মাত্রা যোগ করে।


বিশ্বাস করা মুশকিল যে এটা কিছুর ছাদ

সবুজ ছাদের আরেকটা বিরাট উপকার হল এটা কীটপতঙ্গ ও অন্য প্রাণীদের প্রাকৃতিক বিচরণক্ষেত্র বা আবাসভূমি তৈরী করে। ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, সবুজ ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর প্রাণী টিকে থাকতে পারে। ফলে জীববৈচিত্র বৃদ্ধি পায়। বিশেষত নগরায়ণের ফলে বিভিন্ন পশু, পাখি, কীট পতঙ্গের আবাসস্থল যেভাবে হারিয়ে যাচ্ছে তার অনেকটাই সবুজ ছাদের সাহায্যে পুনস্থাপন করা সম্ভব। প্রাণী ও কীটপতঙ্গের উপস্থিতি আমাদের পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরী বিষয়। তাই সবুজ ছাদ হারিয়ে যাওয়া প্রকৃতিকে ফিরিয়ে দিতেও ভাল ভূমিকা রাখতে পারে। কাকের পাশাপাশি কোকিলের ডাক, ঘুণের শব্দের পাশাপাশি ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ফেরত পেতে সবুজ ছাদ হতে পারে একটা ভাল উপায়।

তথ্য ও ছবির সূত্রসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট কিছু লিংক:
উইকিপিডিয়া: http://en.wikipedia.org/wiki/Green_roof
http://www.greenroofs.com/Greenroofs101/
http://www.greenroofs.org/
http://www.toronto.ca/greenroofs/
http://www.greenroof.se/


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চমৎকার পোস্ট।
সবুজ দেয়াল বলেও একটা জিনিস আছে মনে হয়।

কিন্তু আমার মাথায় কিছু সমস্যার কথা এলো:
১। পোকামাকড় যেগুলো ছাদে জন্মাবে সেখান থেকে ঘরে চলে আসে না?
২। এরকম ছাদ শুধুমাত্র কনক্রিটের তৈরী বাড়িতেই সম্ভব, বাসা বাড়িতে তো সম্ভব নয়
৩। শীতের দেশে, যেমন কানাডায়, শীত কালে তো বরফ পড়ে। সেখানে শীতের সময় এসব ছাদের কী অবস্থা হবে? বরফ জমে আরো বেশী ভারী হয়ে যাবে না?

শামীম এর ছবি

সবুজ দেয়াল নিয়ে লেখার মত যথেষ্ট মাল মশলা নাই সাথে। অবশ্য জাপানে সবুজ দেয়াল নিয়ে দেয়া কিছু ডেমোর ছবি তুলে এনেছিলাম। সামনে গাছপালা নিয়ে আরেকটা পোস্ট দেয়ার আশা রাখি, যেখানে সবুজ বেষ্টনী টাইপের জিনিষ নিয়ে লিখবো।

১। জাপানে একবার মাত্র ঘরে একটা কেইন্না টাইপের পোকা আসতে দেখেছিলাম। বাগানের ঢাউস ঢাউস তেলাপোকাগুলো ঘরে আসতো না --- কারণ ওদের স্বাভাবিক আবাস (habitat) গাছপালাতেই। বাইরে জন্মায় (spawning ground) আর ঘরে থাকে (habitat) এমন পোকামাকড় থাকলে (মশা, মাছি) সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবেই। যেই পোকামাকড় ঘরে থাকতে চায় ওগুলো ঘরেই থাকে বলে মনে হয়, আর যেগুলোর আবাস প্রকৃতিতে ওগুলো মানুষের ঘরে আসতে চাইবে না। আর সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা বা ইন্টিগ্রেটেড পেস্ট ম্যানেজমেন্ট টেকনিকে বরং উল্টা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করা হয় - যেমন ব্যাঙ মশা খাবে, পাখি অন্য পোকা, তেলাপোকা খাবে (এজন্য ক্ষেতের মাঝে পাখি বসার জন্য জায়গা করে দেয়া হয়)। এছাড়া পোকামাকড়ের জন্য আরো আকর্ষনীয় বিকল্প ফুলের গাছও ব্যবহার করা হয়, ফলে ফসলে না বসে সেটা ফুল গাছে চলে যায়।

২।

৩। চিন্তার বিষয়। তবে আইনকানুনগুলোর রেফারেন্স কিন্তু কানাডারই। ব্যাপারগুলো জানতে আরেকটু ডিটেইলস পড়ালেখা করতে হবে। আমি অবশ্য ঢাকার সেটাপ নিয়েই চিন্তাভাবনা সীমাবদ্ধ রেখেছি। আমার মনে হয় সবুজ ছাদ নাই এমন ছাদে যা বরফ জমে, গাছপালা থাকলেও একই পরিমান জমার কথা। বরফের লোড চিন্তা করেই ওসব এলাকায় ছাদ নকশা করা হয় - সবুজ ছাদেও এর ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ফাহিম হাসান এর ছবি

কী অসাধারণ একটা পোস্ট, ভাইয়া হাততালি

শহরে ছোট পাখিদের ভাল বিশ্রামের জায়গা নেই বললেই চলে। তার উপরে খাওয়া খুঁজতেও কষ্ট হয়। ছাদের সবুজ কিছুটা পাখিবান্ধব হবে - তবে সবচেয়ে বড় কথা শহরের দূষণটুকু সহনীয় হবে।

বেশ কিছু ছোট টাইপো (পুনর্স্থাপন, অর্থনৈতিক, বিদ্যুৎ, ঘুণ...) রয়ে গিয়েছে।

শামীম এর ছবি

ধন্যবাদ ... হুমম, টাইপোগুলো ঠিক করতে হবে। সারারাত লিখে সকালে কোনরকমে পোস্ট করে ঘুমাতে গিয়েছিলাম।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হিমু এর ছবি

এডিস মশা নিয়ে কিছু বলা দরকার ছিলো।

বাংলাদেশে এখন ভবন নির্মাতা গোষ্ঠীর মূল চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত শক্তি-মিতব্যয়ী নকশা প্রণয়ন ও প্রয়োগ। আমাদের বর্তমান ভবন নির্মাণ সংস্কৃতিতে শক্তিব্যয়ের ব্যাপারটি একেবারেই উপেক্ষিত বলে মনে হয় আমার কাছে। ক্রান্তীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মূল সমস্যাই হচ্ছে ভবনের ভেতরের তাপমাত্রা কম রাখা, নকশা এই ব্যাপারে কোনো সক্রিয় সহযোগিতা আদৌ করে বলে মনে হয় না। প্রচুর নতুন ভবন দেখেছি, যেগুলোকে নির্বিচারে কাচঘেরা করে বানিয়ে গ্রীন হাউস বানিয়ে রাখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাতানুকূল ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়ে। এতে করে খামোকাই গ্রিডের ওপর চাপ পড়ছে বেশি। আমাদের স্থপতি আর প্রকৌশলীরা যদি শক্তি-মিতব্যয়িতাকে তাদের নকশার একটি অবশ্য পালনীয় শর্তে পরিণত না করেন, অনাগত দিনে আমাদের শক্তি পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে।

শামীম এর ছবি

ঠিক চলুক

এডিস মশা নিয়ে তেমন কিছু জানা ছিল না। তবে এই ধরণের ছাদে যদি খালি ঘাসের গালিচা হয় তবে মশা উৎপাদন হওয়ার কথা না। আর পানি জমে থাকার মত কিছু এই বাগানে থাকার কথা নয় যেখানে মশা ডিম ফুটিয়ে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া মশা নিয়ন্ত্রনে প্রাকৃতিক শিকারী (ব্যাঙ) এই পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবে বলে মনে হয়।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

পথিক পরাণ এর ছবি

কন কি? ব্যাঙ চাচাজি যদি ছাদ(নাকি দল) বদলের খায়েশে ফাল দিয়া নিচে পইড়া যায়?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হ্যা! কিছু রেসিডেন্ট ব্যাঙ আর পাখি থাকার বন্দোবস্ত করা যায়। সব ব্যাঙ থাকবে না। কুনো ব্যাঙ (বৈজ্ঞানিক নাম বাতান ফাহিম ভাই) থাকবে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমিই দেই:
Bufo melanostictus

তানভীর এর ছবি

চলুক

বর্তমানে পরিবেশ প্রকৌশল এবং ভবন নির্মান ও স্থাপত্য বিদ্যায় সবুজ ছাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে

এটা নিয়ে এক সময় লিখবো ভেবেছিলাম বিশেষ করে আরবান হিট আইল্যান্ড/নগর পরিকল্পনা ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে। তবে এত ডিটেইলে বোধহয় লিখতে পারতাম না। নিচের এনিমেশন ভিডিওটা বেশ ইন্টারেস্টিং-

শামীম এর ছবি

ভিডিওর মডেল দেখেই মন ভাল হয়ে যায় হাততালি

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

গ্রেট

কৌস্তুভ এর ছবি

সবুজ ছাদ ধারণাটা খুব ভালো লেগেছিল, তাই একসময় উইকি-টুইকি পড়েছিলাম। আপনি দারুণ লিখেছেন।

আমি শিপলু এর ছবি

অনেকদিন পর একটা চম‌ৎকার লেখা পড়লাম। গুরু গুরু

শামীম এর ছবি

আমি বাংলা উইকিপিডিয়ার জন্য ইংরেজি উইকির আর্টিকেলটা অনুবাদ করতে গিয়ে কিছুদুর করার পর বোরড হয়ে গিয়ে এভাবে ব্লগের জন্য লিখে ফেললাম। উইকিগ্রুপ মেইলে মেইল দিব ... ... কারণ এখানকার অনেকগুলো প্যারাগ্রাফ বাংলা উইকিতে লাগানো যাবে।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

দারুন লেখা। অনুমতির অপেক্ষা না করেই শেয়ার করে ফেললাম।

শামীম এর ছবি

হাসি

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তারেক অণু এর ছবি

দারুণ লাগল। আশা রাখি ব্যবিলনের শূন্য উদ্যানের মত বিশাল বিশাল ছাদ বাগান ক্রমশ দখল করে নেবে কুৎসিত কংক্রিটের নগরগুলো।

পথিক পরাণ এর ছবি

খুবই বস্তুনিষ্ঠ একটা লেখা। লেখার ভেতরে সিভিল এঞ্জিনিয়ারিং-এর কিছু খুঁটিনাটি এতো সহজবোধ্য ভাষা পেয়েছে যে আমার মতো 'বিজ্ঞান শুনিলে অজ্ঞান' পর্যন্ত পুরো লেখা হজম করে ফেলল।

আহা, আমাদের সব আর্কিটেক্ট ভাইয়েরা যদি একটু একটু করে সবুজের কথা এভাবে ভাবতেন!!!

----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

উচ্ছলা এর ছবি

সবুজময় হয়ে যাক ন্যাড়া পৃথিবী।

অন্যরকম এই লেখাটি খুব ভাল লেগেছে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দারুণ লেখা। পড়ে সুখ। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দারুণ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

গৌতম এর ছবি

ঢাকা কিংবা বড় বড় শহরের বিশেষত বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে এটা করা খুবই সম্ভব। কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন ফ্ল্যাটগুলোতে এটা আদৌ করা সম্ভব কিনা সন্দেহ আছে। কারণ এসব ভবনের ছাদ বহুমুখী কাজে ব্যবহৃত হয়- বিয়েশাদীর অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিকেল বেলায় বেরুনো পর্যন্ত!

শহর বাদ দিয়ে যদি হিসেব করি, আমাদের দেশের অধিকাংশ বাড়ির ছাদই টিনের। সেক্ষেত্রে লতাগুল্ম জাতীয় উদ্ভিদকে মাটি থেকে টিনের ছাদে তুলে দেওয়া ছাড়া আর কি কোনো উপায় আছে? ইনফ্যাক্ট আমার বাড়িতে আমি এভাবেই ছাদটাকে ঢাকার চেষ্টা করছি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

দারুন সবুজ একটা লেখা। আর এতো সহজ করে বলা যে কোথাও না আটকেও পুরোটাই পরে ফেলা যায়।

তবে আমিও ভাবছিলাম মশার কথাই। ট্রে বা টব, সরাসরি মাটি যেটাই দেই না কেন কিছুটা বোধহয় মশা হবেই। ব্যাঙ দিয়ে নিধন এর চেষ্টা করলে আমার বাড়ির সদস্যরা আর কোনদিনও ছাদে যাবে না। তখন যত্ন আত্তিটাই একটা হ্যাপা হয়ে দাঁড়াবে। হাসি

শামীম এর ছবি

আমি যতদুর জানতাম মশা পানিতে ডিম পারে। এখন পানি জমার জায়গা না থাকলে মশা হবে কিভাবে সেটা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। ছাদের গাছপালাগুলো বেশিরভাগই ঘাস বা গুল্ম প্রকৃতির, ঝোপ বা বৃক্ষ প্রকৃতির হওয়ার সম্ভাবিলিটি নাই (অনেক মাটি লাগবে)। পানি জমে থাকার মত কোন কিছুই ওখানে নাই। আর এই মাটির নিচে ড্রেনেজের ব্যবস্থাটা খুবই ভাল, তাই কৈশিক বলে আটকে থাকা পানি ছাড়া অতিরিক্ত কোন পানি মাটিতে থাকবে না, জমে থাকার প্রশ্ন তো বহু দুরে।

এছাড়া ছাদে প্রখর রৌদ্র হবে বলেই তাপ থেকে বাঁচতে এবং এনার্জি সেভিং (কম এয়ার কন্ডিশনার লাগবে) করার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সবুজ ছাদ করা হয়। তাই মশা থাকার মত অন্ধকার কোনা ওখানে তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা দেখি না। তাই প্রজনন ক্ষেত্র (spawning ground) এবং সুবিধাজনক আবাসস্থল (habitat) কোন দিক দিয়েই মশার সুবিধা হওয়ার কথা নয়।

তারপরেও সকলে মশা নিয়ে চিন্তিত কেন?
কেনু কেনু কেনু?
জান্তে চাই ... ...

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

ধন্যবাদ জবাবের জন্য। ভাইরে, এখন আপনি কই থাকেন জানিনা। ঢাকা কেন শুধু, মোটামুটি পুরো দেশের মানুষই জানে মশা কত প্রকার ও কী কী। ডরে জিগাইরে ভাই। এট্টু ওভার শিউর হওয়ার জন্য। মন খারাপ কইরেন না ভাই। দেখি আমাগো বাসার ছাদে কিছু করা যায় কিনা। সবাইরে রাজি করাইতে হইব আগে।

চরম উদাস এর ছবি

চমতকার।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আজকেই ভ্যাঙ্কুভারের একটা পত্রিকায় ছবি দেখলাম এইরকম একটা তরকারী বাগানের। এইটা আরেক ডিগ্রি উপরে। মানে একটা দন্ডের উপর পাখার ব্লেডের মতন অনেকগুলা ব্লেড পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে উপরে উঠে গেছে। প্রত্যেকটা ব্লেডই একটা বাগান।

...........................
Every Picture Tells a Story

নিটোল এর ছবি

আইডিয়া দারুণ। আশা করি ভবিষ্যতে এমন বিল্ডিং বানামু। দেঁতো হাসি

_________________
[খোমাখাতা]

সাফি এর ছবি

পানি মাটি ধুয়ে ড্রেনেজ সিস্টেমে কিছু করবেনা?

শামীম এর ছবি

যাতে ধুয়ে না যেতে পারে ওভাবেই ড্রেনেজের ব্যাপারটা ডিজাইন করা হয়। এইটা নিয়ে এই মাসেই আরেকটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।