কাক [সপ্তম কিস্তি]

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি
লিখেছেন মানিক চন্দ্র দাস [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৯/২০১০ - ৮:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[প্রথম কিস্তি]
[দ্বিতীয় কিস্তি]
[তৃতীয় কিস্তি]
[চতুর্থ কিস্তি]
[পঞ্চম কিস্তি]
[ষষ্ঠ কিস্তি]

২০


বিকেলের দিকে রহমান সাহেবের কেবিনে ডাক্তার এলেন।

“আসসালামুয়ালাইকুম। ভালো আছেন? ”
“জ্বী ভালো আছি। ওয়ালাইকুময়াসসালাম।” রহমান সাহেব খুব বিরক্ত হলেন প্রশ্ন শুনে। ভালো থাকলে কেউ ক্লিনিকে পড়ে থাকে নাকি? যত্তোসব আদিখ্যেতা। ডাক্তার সম্প্রদায়টাকে রহমান সাহেব একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। ঠিক কি কারনে তাদের এতো অসহ্য লাগে সেই বিষয়টা অবশ্য রহমান সাহেবের জানা নেই।

ডাক্তার সাহেবের নাম ফজলুল করিম। পড়নে নীল ফতুয়া টাইপের জামা। নীচেও নীল রঙের পাজামা। বুকের উপর তার নাম লেখা। মানুষটা ছোটখাট ধরনের। চোখের চারপাশে পুরু প্যাড জমেছে। কুতকতে দৃষ্টি নিয়ে তিনি এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। তার হাত কিছুক্ষন পর পর বুকে নিজের নাম লেখা অংশের কাছে চলে যাচ্ছে। তার পেছনে তিনজন দাঁড়িয়ে। তাদের পড়নেও একই পোষাক। তবে তাদের বয়স কম। কিন্তু তিনজনই মুখ গম্ভীর করে দাঁড়িয়ে আছে। সামনের ফজলুল করিম সাহেব হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছেন।

“কি হয়েছিলো আপনার?”
“গাল কেটেছে।”
“কিভাবে কাটলো?”
“শেইভ করতে গিয়ে কেটেছে।”
“শেইভ করতে তো এতোটা কাটেনা।”
রহমান সাহেব গম্ভীর গলায় বললেন,”আমি ক্ষুর দিয়ে শেভ করি।”

ডাক্তার সাহেব খুবই অবাক হলেন। এই ওয়ান টাইম রেজরের যুগে কেউ যে ক্ষুর দিয়ে শেভ করে তা তিনি ভাবতে পারছেন না। তার চেহারায় অবশ্য অবাক হবার কোন লক্ষন দেখা গেলোনা। অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতো তার মুখ এখন নির্বিকার। মুখের হাসি উধাও। রোগীর ব্যাপারটা তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন।

“রহমান সাহেব, এখন বাজারে কত চমৎকার সব রেজর পাওয়া যায়। আপনি কেন ক্ষুর ব্যবহার করেন?”
“ আমার দাড়ির গোড়া খুবই শক্ত। ক্ষুর ছাড়া কাটা যায়না। এই হচ্ছে কারন।”
“ আচ্ছা। যাই হোক, বেশ খানিকটা রক্ত শরীর থেকে বেরিয়ে গেছে আপনার। এইজন্যে আপনার শরীর বেশ দূর্বল। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আপনাকে রক্ত দেবার ব্যবস্থা করা হবে। আপনার ঘুম কেমন হয়? ”
“ গত কয়েকদিন ঠিকমতো ঘুম হচ্ছেনা। এমনিতে ঘুম ভালোই হতো।”
“ হুমম, চোখের নিচে কালি দেখা যাচ্ছে। অবশ্য ঘুম না হলেই যে চোখের নিচে কালি পড়বে তেমন কোন কথা নেই। আপনাকে হালকা মাত্রার একটা সিডেটিভ দেয়া হয়েছে। আশা করি তাতে আপনার ঘুমটা ভালো হবে। বাকী যেসব ঔষধপত্র দেয়া হয়েছে সেগুলো নিয়মিত খাবেন। আরেকদিন এখানে থাকুন। আপনার দূর্বলতাটা একটু কাটুক। আপনার অবস্থাটা একটু দেখতে চাচ্ছি।”
রহমান সাহেব চুপ করে রইলেন।
ডাক্তার সাহেব চলে গেলেন। পেছনে গম্ভীরমুখো তিনজন। কেবিনে ঢুকলো কুমকুম।
“ এখন কেমন আছো?”
“ ভালো।”
“ তোমার কি হয়েছে বলতো?”
“ কি আবার হবে? কিছু হয়নি।”
“ গত কয়েকদিন তুমি খুব অস্থির হয়ে আছো। কি হয়েছে?”
“ কি হবে? আরে ঐ যে অফিসের সমস্যা। রকিব-আনিকা কেমন আছে?”
“ ভালো। ওদের হাসপাতালে আসতে বারন করেছি। হাসপাতাল জায়গাটা আমার পছন্দ না। আনিকা তোমার জন্য ছবি এঁকে পাঠিয়েছে। ”
“কোথায়? দেখি তো।”

কুমকুম ব্যাগ থেকে ছবি বের করে দিলো। দুটো ছবি। একটাতে বাবা-মা আর দুই ভাই বোন। সবাই হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে আছে। ছবির নীচে লেখা , আমার আব্বু-আম্মু আর ভাইয়া। ছবিটা হাতে নিয়ে রহমান সাহেবের মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। বাচ্চাগুলোকে ঠিকমতো সময় দেয়া হচ্ছেনা। নাহ এখন থেকে সময় দিতে হবে। বাচ্চাদের জীবনে বাবার একটা বিশাল ভূমিকা আছে।

দ্বিতীয় ছবিটা নিয়ে রহমান সাহেব চমকে উঠলেন। কুচকুচে কালো একটা কাকের ছবি। কাকের ঠোঁট লাল। বোধহয় কাকটাকে লিপষ্টিক পড়ানোর চেষ্টা করেছে আনিকা। কাকের গলায় সাদা পুঁতির মালা দেখা যাচ্ছে। ছবির নিচে লেখা, “আমার নাম কাক। আমার অনেক বুদ্ধি।”

রহমান সাহেবের হাত-পায়ে কেমন যেন কাঁপুনি শুরু হলো।

“কাকের ছবি কেন কুমকুম?”
“বাচ্চাদের খেয়ালের কি ঠিক আছে? যখন যা ইচ্ছে তাই আঁকে। একি? তোমার শরীর তো কাঁপছে। ঘামাচ্ছো কেন? শরীর খারাপ লাগছে?”

কুমকুম উত্তরের অপেক্ষা না করেই ডাক্তার ডাকতে বেরিয়ে গেলো। রহমান সাহেব কাঁপতে কাঁপতে শুয়ে পড়লেন। তার দম বন্ধ লাগছে। চারপাশে মনে হচ্ছে বাতাসের প্রচন্ড অভাব। এতো আলো আসছে কোথা থেকে? রহমান সাহেব ঘাড় ঘুরিয়ে জানালার দিকে তাকালেন।

জানালায় একটা কাক বসে আছে। স্থির। গলায় সাদা ফুটকি।
“কি স্যার? কেমন আছেন?”
রহমান সাহেব অজ্ঞান হয়ে গেলেন।

২১


সে রাতে রহমান সাহেবের খুব জ্বর এলো। জ্বরের জন্য ডাক্তার এলো কয়েক বার। ঔষধ দেয়া হলো। জ্বর নামতেই চাইছেনা। জ্বরের ভেতর রহমান সাহেব মোটামুটি ঘোরের মাঝে চলে গেলেন। একসময় প্রলাপ বকা শুরু হলো। প্রলাপের প্রতিটি শব্দ পরিস্কার বোঝা যায়। কুমকুম সারারাত জেগে রইলো। প্রলাপের কথাবার্তা শুনে কুমকুম রীতিমতো ধাক্কা খেলো। বেশীর ভাগ কথাই কাউকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে। মাঝে বেশ কিছু গালিগালাজ ও আছে। গালি গুলো কোন এক কাককে উদ্দেশ্য করে। একি অবস্থা ? কাককে রহমান কেন গালি দেবে?

ভোরের দিকে রহমান সাহেবের জ্বর পড়ে গেলো। কুমকুমের সারা শরীর ভেঙ্গে পড়তে চাইছে। আবার প্রচন্ড দুঃশ্চিন্তায় তার চিন্তা ভাবনা হয়ে যাচ্ছে এলোমেলো। তার মনে হচ্ছে কোথাও একটা ভয়াবহ সমস্যা হয়েছে। সমস্যাটা কোথায়? ভাবতে ভাবতে একসময় বিছানায় মাথা ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো কুমকুম।

সকালে স্বাভাবিক হলেন রহমান সাহেব। আটটার দিকে ঘুম ভাঙ্গলো কুমকুমের। ধড়মড় করে উঠে বসলো সে। রহমান সাহেব বিছানায় বসে আছেন। তার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলো কুমকুম। চোখ লাল। চোখ এতো লাল হবে কেন? চোখের তারা কেমন যেন ঝকঝক করছে। ভাবলেশহীন মুখে তিনি বসে আছেন। শরীর স্থির। কুমকুমের নড়াচড়া তার চোখে পড়ছেনা। এক দৃষ্টিতে তিনি তাকিয়ে আছেন জানালার দিকে। জানালার গ্রীলে একটা কাক বসে আছে। কুমকুম উঠে গিয়ে কাক তাড়ালো। তারপর সে আটকে দিলো জানালা।

“এখন কেমন আছো?”
রহমান সাহেব কেমন এক ঘোরে ছিলেন। ঘোর কেটে গেলো কুমকুমের কথায়।

“ভালো আছি। আমি বাসায় যাবো।”
“ডাক্তার না বলা পর্যন্ত বাসায় যাওয়া যাবেনা। তোমাকে সম্ভবত আরো দুয়েক দিন এখানে থাকতে হবে।”
“আমি এখানে থাকবোনা।”
“তোমার ইচ্ছের উপর কিছু নির্ভর করছেনা। ডাক্তার যেদিন বলবে, সেদিন যাবে। ব্যাস কথা শেষ। ”
“আমি যাবো।”

বলেই রহমান সাহেব বিছানা থেকে নামলেন। হাঁটা শুরু করলেন অনেকটা অপ্রকৃতিস্থের মতো। টলতে টলতে এগুচ্ছেন। হাঁটতে তার একটু কষ্টই হচ্ছে।
কুমকুম বুঝলো এই লোককে কিছুতেই আটকানো যাবেনা। এখানে রাখাও যাবেনা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে চলে এলো রহমান সাহেবের পাশে। মানুষটা যেকোন সময় হুড়মুড়িয়ে পড়ে যেতে পারে। পড়তে দেয়া যাবেনা।

২২


বাসায় গিয়ে রহমান সাহেব মড়ার মতো ঘুমালেন। সেই ঘুম ভাঙ্গলো রাত আটটায়। তখন তার কুমকুমের সাথে কথাবার্তা হলো।

“কুমকুম, কাক তোমার কেমন লাগে?”
“কেমন আবার লাগবে? কখনো ভেবে দেখিনি তো। সারাদিন ময়লা ঘাঁটার একটা পাখি। এইতো।”
“কাক খুবই বুদ্ধিমান একটা পাখী। এরা ময়লা খায় আমাদের বাঁচানোর জন্য। ওরা কিন্তু ফল-পাকুড় ও খায়। তবে বেশী খায় ময়লা। কারনটা হচ্ছে মানুষ জতো বাড়ছে ময়লাও ততো বাড়ছে। এই ময়লা দিয়া মানুষ কি করবে? এই যন্ত্রনার হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতেই অরা ময়লা খায়।”
“আগে মানুষ কম ছিলো, গাছপালা বেশী ছিলো। কাকেরা তখন ফলপাকুড় পেতো। এখন মানুষ বেড়েছে, গাছ কমেছে, ফলপাকুড় পায়না। তাই ওরা ময়লা খায়। ওদের কাজই এখন ময়লা খাওয়া। তাই খেয়ে ওরা বেঁচে আছে। এখানে মানুষকে বাঁচানোর প্রশ্ন আসছে কেন? ”
“ওদের কাজ ময়লা খাওয়া না। ওরা মানুষকে বাঁচানোর জন্য কাজটা করে। ওদের সবার প্রতি ভালোবাসা আছে।”
“এসব কথা তোমাকে কে বলেছে? তুমি নিজে চিন্তা করে বের করেছো?”
“কে আবার? কাক বলেছে।”
একটা ধাক্কা খেলো কুমকুম। কাক বলেছে? এই কথার কী অর্থ ? কাক কথা বলবে কেমন করে?

“তোমাকে কাক বলেছে এই কথা?”
“হ্যাঁ। কেন? কাক কি কথা বলতে পারেনা? পারে, পারে। তবে ওরা সবার সাথে কথা বলেনা।”
“তোমার সাথে কথা বলে?”
“হ্যাঁ, বলে।”
“আর কি বলেছে তোমাকে?”
“ওদের জ্ঞান মানুষের জ্ঞানের চাইতে অনেক বেশী। মানুষের চেতনা হচ্ছে আলাদা আলাদা। একজনের চেতনা আরেকজনের চেতনার সাথে যুক্ত করা যায়না। কিন্তু ওদের তা না। ওদের চেতনা আলাদা হলেও সেই চেতনা একজনেরটা আরেকজনের সাথে জুড়ে দেয়া যায়। চাইলেই ওরা কাজটা করতে পারে। সেই যুক্ত চেতনার ক্ষমতা অনেক। তা দিয়ে ওরা সহজেই মানুষের চেতনার উপর দখল নিতে পারে। মানুষের চেতনা খুবই দূর্বল। হিংসা, ঈর্ষা, ক্রোধ এসব থাকার কারনে মানুষের চেতনা দূর্বল। দূর্বল চেতনা ছিন্নভিন্ন করে দেয়া ওদের জন্য কোন ব্যাপারই না। নেহায়েৎ করুণা করে ওরা কাজটা করেনা। তবে মানুষের বোকামী দেখে ওরা কিন্তু ঠিকই হাসাহাসি করে।”

“তোমাকে এইসব কথা কাক বলেছে ?”
“হ্যাঁ। আরে আমার অফিসের ফাইলের ঝামেলাটা তো ওরাই সমাধান করেছে।”
“তোমার সমস্যার সমাধানও কাক করে দিয়েছে?”
“হ্যাঁ। আর আমি কি করেছি জানো? ওদের একজনকে মেরে ফেলেছি। আমার জন্য আএই কাকটার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন আমার শাস্তি হবে। ভয়ঙ্কর শাস্তি। যে কাকটাকে মেরেছি তার শরীরটা খেয়েছে রন্টি-মন্টি। দেখলে তো ওদের অবস্থা। হঠাৎ করেই কুকুর দুটো মরে গেল। স্বাস্থ্যবান দুটো কুকুর। ওদের কি এভাবে মরার কথা? কথানা। শাস্তি দিচ্ছে ওরা। যদি চায় তাহলে ওরা তোমাকেও মেরে ফেলতে পারে। ”
“তোমাকে ওরা কি শাস্তি দেবে?”
“সেটাতো আমাকে ওরা বলেনি। সত্যি বলেনি।”
“তুমি যে অবাস্তব ধরনের সব কথাবার্তা বলছো, তা কি তুমি বুঝতে পারছো?”
“অবাস্তব কথা না। ওরা প্রায়ই আমার চেতনা দখল করে ফেলে। নানা রকম কথা বলে। স্বপ্নে দেখি। ওদের এক প্রতিনিধি এখন আমার অফিসেও আছে। উনি আবার আমার বস। নাম জিমি ক্রো। তারপরেও তোমার বিশ্বাস হচ্ছেনা? ”
“তোমাকে কি শাস্তি দেয়া হবে তা তুমি জানোনা? ওরা বলেনি?”
“না বলেনি। শুধু বলেছে কঠিন শাস্তি।”
“তুমি এমন করছো কেন? আমার খুব ভয় লাগছে।”
“কুমকুম, আমি কি করছি? সত্যি কথা বলেছি। সত্য কথা বলা কি কেমন করা হলো? সত্য কথা বলা কি অন্যায়?"
“নাহ, অন্যায় না। ”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে কুমকুম উঠে গেলো। কি যন্ত্রনায় পড়া গেলো! সুস্থ্ , স্বাভাবিক একজন মানুষ এগুলো কি বলছে? কথাগুলো কি সুস্থ্য মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব? সম্ভব না। এই সমস্যা সামাল দিতে হবে। সামলে নিতে হবে ঠান্ডা মাথায়। কুমকুম ঠান্ডা মাথায় ভাবার চেষ্টা করছে। যদিও কাজটা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। রহমান সাহেব কে কি কোন সাইকিয়াট্রিষ্ট এর কাছে নেয়া যায়? সমস্যাটা মনে হচ্ছে শরীরের না। মাথার।

রাত এগারোটার দিকে একজন সাইকিয়াট্রিষ্টের ফোন নাম্বার পাওয়া গেলো। ঠিকানাও পাওয়া গেলো। ডাক্তারের নাম প্রফেসর নিশিত কান্তি দে।

[চলবে............]


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পর্বটা অতটা সুবিধার হলো না।

অনন্ত আত্মা

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য। দোয়া করবেন যেন পরের পর্ব সুবিধার হয়। ভালো থাকবেন। দেঁতো হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আগের পর্বগুলো পড়েছি। এটাও পড়লাম। চালাতে থাকেন।

-------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

শুভাশীষ দা, পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

পলাশ পলু এর ছবি

চালিয়ে যান ভাই , ভাল গতি তেই এগুচ্ছে।

বইখাতা এর ছবি

এই পর্বটা অতটা পছন্দ করতে পারলাম না। আগের কয়েকটা পর্ব এর চেয়ে ভাল ছিল। যাইহোক, লেখা চলতে থাকুক।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।