ভালোবাসার সচলায়তন : আমার সবুজ সতেজ বন্ধুরা

মৃদুল আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃদুল আহমেদ (তারিখ: সোম, ২৮/০৪/২০০৮ - ৬:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্ষমা চেয়ে নিই প্রথমেই। একটি ছড়া পোস্ট করেছি আজকেই, তারপরও আবার নীড়পাতায় জায়গা অধিকার করার জন্য। সচলায়তন নিয়ে, এর নিয়মকানুন নিয়ে, তার নীতিগত অবস্থান নিয়ে একটি আলোচনা, সমালোচনা, মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যের একটি ঝড় উঠেছে এস্কিমোর একটি লেখাকে কেন্দ্র করে। আমি নীতিগতভাবে তাড়না অনুভব করছি এই নিয়ে আমার নিজের অনুভূতি সবার সামনে তুলে ধরার। কারণ আমি সঙ্কোচ করলে সেটা হবে একটি নীরব অকৃতজ্ঞতা!
এবারে বলি নিজের কথাটা... সচলায়তন আমার কাছে নমস্য জায়গা। আর কার কাছে কী, আমার হিসেব নেবার দরকার নেই।
আমি জানি, আমি বাংলায় লিখতে ভালোবাসি। আমার অস্থি-মজ্জা-রক্তে মিশে আছে বাংলা লেখার নেশা। আমার ডানা মেলার আকাশ এটা। ব্লগিঙ আমি বুঝি না, নিজেকে ব্লগার বলেও ভাবি না। আমার চোখে আমি বাংলা ভাষার একজন অহঙ্কারী লেখক, সচলায়তন আমাকে দিয়েছে সেই ভালোবাসার বাংলায় অফুরান লেখার সুযোগ, দিয়েছে এক দঙ্গল আশ্চর্য মেধাবি বুদ্ধিমান কিছু মানুষের সংস্পর্শে ঘেরা সুন্দর একটা পৃথিবী! আমার এই অসামান্য মেধাবি নতুন বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি এবং জানছি আমি, যেটা দেশবিদেশের পত্রিকা বা বই ঘেঁটেও আমার পক্ষে জানা সম্ভব হত না।
সচলায়তন আমাকে আবার সচল করেছে, দীর্ঘদিন পর আবার আমি ফিরে এসেছি পুরোদমে লেখালেখির জগতে। আমার এই চাকরিজীবি মধ্যবিত্ত হাতে আবার ফুটছে বাংলা শব্দের ফুল! ভালোমন্দ যাই লিখছি, বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য পাচ্ছি তাকে ঘিরে! অকৃত্রিম উৎসাহ আর শুভেচ্ছা দিয়ে, সাজেশন দিয়ে, প্রয়োজনীয় লিঙ্ক দিয়ে বন্ধুরা বুকের ভেতর দুরন্ত ঘোড়ার মতো টগবগে এক লেখকসত্তাকে জাগিয়ে তুলছে!
রবীন্দ্রনাথ আমার ভেতরে প্রেরণা জাগায়, জীবনানন্দ আমাকে ভাবায়, সুকান্ত আমার ভেতরে আগুন জ্বেলে দেয়... আর যে সচলায়তন আমাকে লিখতে দেয়, আমার কলমের শক্তিকে একটু একটু পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বিশাল একটি স্বপ্নের কাছে যাবার পথ করে দেয়... আমি তার কাছে আমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব না?
এই দায় স্বীকার করতে কেন এত কুণ্ঠা আমার?
সচলায়তন সাইটের চেহারা আর মডারেটরদের ভাষাভঙ্গিই বলে দেয়, তারা কারা, কোন দরের মানুষ। একটা পরিচ্ছন্ন বুদ্ধিদীপ্ত ওয়েবসাইট অনেক কষ্টে তৈরি করেছেন তারা, এই বেচারাদের খামাখা হামতাম কথা বলে ঘাঁটাবার পেছনে আমি কোনো যুক্তি খুঁজে পাই না! তাও আবার সবার মেনে নেয়া একটা সত্ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে!
একটা কথা খুব বিশ্বাস করি আমি, ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি এবং এখানে শোনাতে চাই :
"আইন যেখানে কঠিন, জীবন সেখানে সহজ!"
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে উন্নত দেশগুলোর আইনকানুন পরিস্থিতি মিলিয়ে দেখলেই পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে!
কাজেই সচলায়তন ডুয়েল ব্লগিং-এর ক্ষেত্রে যে আইনটি করেছে, সেটি কারো কাছে কঠিন ঠেকলেও সেটি গ্রহণ করা উচিত, কারণ তাতে অন্তত আমাদের এই মুক্তমনে কথা বলার সবুজ সতেজ মাঠটা চিরকাল সতেজই থাকবে! ক্যাকটাসে ভরা মরুভূমি হয়ে যাবে না!


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এইটা নিয়া একটা ভোটাভুটি হওয়া উচিত। অধিকাংশ সচলের মত যদি ডুয়াল পোস্টিং সাপোর্ট করে, তাহলে ডুয়াল পোস্টিং অ্যালাউ করা উচিত। যদি অধিকাংশ সচলই মনে করে যে ডুয়াল পোস্টিং-এ সচলের মান ক্ষুণ্ণ হয়, তাহলে ডুয়াল পোস্টিং অ্যাভয়েড করা উচিত। ব্যক্তিগতভাবে, আমি মনে করি, এটা যেহেতু ক্লোজড রাইটার্স কমিউনিটি, সেহেতু একই পোস্ট একই সময়ে অন্যত্র প্রকাশ না করলেই সচলের সৌন্দর্য রক্ষা হয়। তবে কিছু কিছু বিশেষ 'জনগুরুত্বপূর্ণ' পোস্ট একই সময়ে একাধিক মিডিয়ায় গেলে ক্ষতি নেই। 'জনগুরুত্বপূর্ণ' জিনিসটা কি, তার সংজ্ঞা নিয়ে ক্যাচাল হতে পারে। এক্ষেত্রে মডুদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া যেতে পারে। কারণ, তারাই সাধারণত সকল গালির টার্গেট। ডুয়াল পোস্টিংয়ের আগে মডুদেরকে একটা থ্রেটযুক্ত মেসেজ দেয়া যেতে পারে যে, এই পোস্টটা এই কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ। অতএব, অন্য মিডিয়ার পাশাপাশি আমি এটা সচলেও প্রকাশ করতে চাই। প্রকাশের অনুমতি না দিলে গালির বন্যা সামলাতে প্রস্তুত হউন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বিপ্লব রহমান এর ছবি

এইটা নিয়া একটা ভোটাভুটি হওয়া উচিত।

ডুয়েল পোস্টিং এর বিষয়ে ভোটাভুটির আইডিয়াটা খারাপ না।

আমি মনে করি, এটা যেহেতু ক্লোজড রাইটার্স কমিউনিটি, সেহেতু একই পোস্ট একই সময়ে অন্যত্র প্রকাশ না করলেই সচলের সৌন্দর্য রক্ষা হয়।

আমারও তাই মত। কিন্তু--

'জনগুরুত্বপূর্ণ' জিনিসটা কি, তার সংজ্ঞা নিয়ে ক্যাচাল হতে পারে। এক্ষেত্রে মডুদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া যেতে পারে।

আমার মনে হয় না, এতে ক্যাচালের অবসান হবে।

মডারেটররা হয়তো মনে করলেন, না, এই লেখাটি মোটেই 'জনগুরুত্বপূর্ণ' নয়, অথবা তখন হয়তো মতামত দেওয়ার জন্য অনলাইনে কোনো মডারেটরই নেই, তখন কী হবে?

আর শেষ পর্যন্ত গালাগালি কোনো সমাধান নয়।

ধন্যবাদ।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বিপ্লব ভাই, এই গালি সেই গালি নয়। হাসি

মডারেটরদের বিচারবুদ্ধির ওপর অতটুকু ভরসা রাখার বিকল্প দেখি না। একটা পোস্ট দিয়ে সেটা সরানো হলে অসন্তোষ বাড়ে। অতএব, আগেভাগে বলে নিলে সেই ঝামেলাটা হয় না। মডারেটররা সাধারণত কেউ না কেউ অনলাইনে থাকে। না থাকলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করারও ভালো কোনো বিকল্প দেখি না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সচলায়তনে প্রায়ই দেখি ভোটাভুটি হয় যেমন প্রথম পাতায় কি কি ফিচার থাকবে না থাকবে এইসব । সম্মানিত সচলরা এই সুযোগে নানা বিষয়ে মতামত প্রদান করেন এবং কর্তৃপক্ষ সে অনুযায়ী আপডেটগুলো ও করেন । সে হিসেবে ভোটাভু্টি বেশ একটি গনতান্ত্রিক ও প্রীতিপদ বিষয় ।
তবে কিছু মৌলিক বিষয় বোধ হয় আছে যেগুলো প্রি-ডিসাইডেড । এগুলো নিয়ে নতুন করে ভোটাভুটি কি আদৌ দরকারী?

সচলায়তনের শুরু থেকে আমরা যারা ছিলাম তারা সবাই নানাভাবে কথাবার্তা বলে( কর্তৃপক্ষ বলে আলাদা কিছু নয়,শুরুর সকলে মিলে) একটা সিদ্ধান্তে এসেছিলাম যে, এখানে লিখিত কোন আইন-কানুন থাকবেনা, সচলদের মুল্যবোধই সচলায়তনের নীতিমালা ।
এটা নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে মহাজ্ঞানীরা ঠাট্টা তামাশা ও করেছিলেন ।
যা হোক, নানা বিষয়ে মতদ্বৈততা থাকবে, প্রায় সময়ে এটা জরুরী ও বটে কিন্তু বেসিক কিছু বিষয় আমরা সকলে দায়িত্ব নিয়ে মেনে চলবো । আমার কথা বলার ও লিখার স্বাধীনতা আছে কিন্তু সেই স্বাধীনতার সুযোগে ' গোলাম আজম মহান নেতা' এই বানী ছাড়লে অন্য কেউ আপত্তি না করতে পারে কিন্তু সচলায়তন সেটা মেনে নেবেনা ।

যা হোক, ডুয়েল পোষ্টিং এর ব্যাপারে সচলায়তন যে নর্ম এখন ফলো করছে(নর্মটা কি সেটা আর নতুন করে ব্যখ্যা করার দরকার দেখছিনা), সেটা শুরু থেকেই করা হচ্ছে । কেউ কেউ প্রথমে আপত্তি করেছিলেন-যৌক্তিক ভাবে বুঝানোর পর তাদের প্রায় সকলেই এটা মেনে নিয়েছেন । দুয়েকজন এটা মানতে পারেননি । না মানার পুর্ন স্বাধীনতা অবশ্যই তাদের ছিলো এবং স্বাধীনভাবেই তারা এখন আর সচলায়তনে লিখছেন না । এটা ও একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । নানা কারনেই একটা প্লাটফর্ম কারো ভালো লাগবে, কারো লাগবেনা । ভালো লাগার জায়গাটা ও সবসময় ভালো লাগার না ও থাকতে পারে ।

নতুন যারা সচল হচ্ছেন,যতটুকু জানি তাদেরকে ও সচলীকরনের আগে কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করছেন ডুয়েল পোষ্টিং এর বিষয়ে নর্মটা মেনে চলতে । নতুন সচলরা ও চমৎকার দায়িত্ব নিয়ে এটা মেনে চলছেন ।

তাই সবকিছু মিলিয়ে নতুন করে এই প্রসঙ্গটি নিয়ে এতো আলোচনা, এতো প্রস্তাবনা আমার কাছে খুব দরকারী কিছু মনে হচ্ছেনা ।

এইসময়ে সম্মানিত সচলেরা ভালো ভালো লেখা উপহার দিতে পারতেন ।

এই আলোচনা এখানে থেমে যাওয়াটাই যথেষ্ট মনে হচ্ছে ।

ভালো থাকুন সব্বাই । শুভ ব্লগিং ।

----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বিডিনিউজ একবার ভোটাভুটি করেছিলো যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে। অনেকেই সেটা পছন্দ করেন নি। যুক্তি ছিলো, "একটা দারুণ ভাবে এস্টাব্লিশড সত্যকে শুধু শুধু প্রশ্নের সম্মুখীন করা"।

একেবারে শুরুর দিকের আপনার স্মৃতিচারণটা অনেক কিছুই মনে করিয়ে দিলো। "সচলদের মুল্যবোধই সচলায়তনের নীতিমালা" - এটাই ছিলো শুরুতে সচলদের মূলমন্ত্র। অবস্থদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এটা আর থাকছে না কোনো মতেই।
অরূপ প্রায়ই আশংকা প্রকাশ করতো একটা বিষয়ে। তার আশংকাটা যে মোটেও অমূলক নয়, সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে এখন। এই ব্যাপারটাই 'স্যাড'।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একটু বোধহয় ভুল বুঝেছেন @ হাসান মোরশেদ @ ধূ. গো.

ভোটভুটির বিষয়টি আমি কিন্তু খুব জোর দিয়ে বলিনি।

বরং আমি মনে করি, এটা যেহেতু ক্লোজড রাইটার্স কমিউনিটি, সেহেতু একই পোস্ট একই সময়ে অন্যত্র প্রকাশ না করলেই সচলের সৌন্দর্য রক্ষা হয়। ... এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করেছি।

"সচলদের মুল্যবোধই সচলায়তনের নীতিমালা" এটি ঠিকই আছে। তবে এরপরেও কিছু বিষয় সুনির্দিষ্ট হলে অনেক কিছু আরো স্পষ্টতা পায়। ধন্যবাদ।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হাসান মোরশেদ ভাই,

ডুয়াল পোস্টিং -এর মত প্রিডিসাইডেড, শুরু থেকেই ফলো করা নর্ম এবং মৌলিক বিষয়ের ওপর সচলদের মতামত প্রকাশের সুযোগ সম্বলিত ভোটাভুটির অমূলক প্রস্তাব করায় দুঃখপ্রকাশ করছি।

সচলদের মূল্যবোধই হোক সচলায়তনের নীতিমালা। সচল হিসেবে 'মূল্যবোধ'-এর সংজ্ঞাটা আমাকে আরেকবার নিজের কাছে রিভিউ করতে হবে। তাহলে অবশ্যই বুঝে যাবো, সচলের মূল্যবোধ কি এবং এরকম ভুল আর হবে না আশারাখি।

ধন্যবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলায়তন আমাকে আবার সচল করেছে, দীর্ঘদিন পর আবার আমি ফিরে এসেছি পুরোদমে লেখালেখির জগতে। আমার এই চাকরিজীবি মধ্যবিত্ত হাতে আবার ফুটছে বাংলা শব্দের ফুল!

কথাটার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। মাসখানেক হল সচলে এসেছি , মানে সচলে পড়ছি আর লিখছি অতিথি লেখক হিসেবে । লেখালেখি বছরতিনেক আগে ভালোই করতাম কিন্তু এই কয় বছরে কিছুই বলতে গেলে লিখিনি । নানাবিধ কারনে । এখন এখানে লিখছি। ভালমন্দ মন্তব্য পাচ্ছি ,লেখালেখিও এগুচ্ছে দ্রুতগতিতে । ইতোমধ্যে লিখেও ফেলেছি ১৬-১৭ টা লেখা । এই যে অনুপ্রেরনাটা পাচ্ছি তার জন্য না হয় ডুয়েল পোষ্টিং নাই করলাম। এটুকু কৃতজ্ঞতাবোধ আমার আছে। আমার মনে হয় অন্যদেরও থাকা উচিত।
eru

-------------------------------------------------
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মৃদুল ভাই, মাঝে মাঝে বিতর্ক উঠা খারাপ না। এ ধরনের বিতর্ক উঠলে আমরা যারা নতুন কিংবা অচল কিংবা প্রতিদিনের ৯-৫টা কেরানি চাকরির মাঝেও লেখার জন্য হাত নিসপিশ করে এবং লিখতে চেষ্টা করি, তারা অনেক কিছু জানতে পারে। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ অবশ্য আমি নিজেই। গতকাল আমি একটি পোস্ট দেই, ‌‌‍‌কতটা পোস্ট দিলে তবে সচল হওয়া যায়'শিরোনামে। কিন্তু লেখাটা আসেনি। আমি আসলে মনে মনে না আসার কারণ খুঁজছিলাম। পাচ্ছিলাম না। বিতর্কটা আমার মনের ভেতরে জমে থাকা প্রশ্নের উত্তর অনেকটা দিয়ে দিয়েছে। তাই ভয় শূন্য চিত্ত নিয়ে প্রশ্ন করাই যায়। ডানা মেলা যায় সচলায়তনের নির্ভেজাল আকাশে।
আর হ্যাঁ, আমার বিশ্বাস,একজন প্রকৃত লেখক কখনোই একই লেখা দু জায়গায় দেবে বলে মনে হয় না।

পান্থ রহমান রেজা
panthareza@gmail.com

শামীম এর ছবি

আমার মনে হয়, যতটা কঠিন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহব্লগারদেরকে বেছে নেয়া হয়েছে/হচ্ছে তাতে এটা বস্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

কাজেই লিখিত নিয়ম যা আছে, সেটা থাকুক ... ... কীভাবে সেটা পালন করবেন সেটার জন্য নির্বাচিত সহব্লগারদের বিবেচনাবোধটুকুর উপর নির্ভর করি। তাঁদের বিবেচনাবোধটাকে খাটো করে দেখা আর নিজেদের সহব্লগার নির্বাচন প্রক্রিয়ার ভুল ধরা প্রায় সমার্থক।

এখানে যাঁরা লেখেন, সচলায়তনের প্রতি দায়িত্ব ও ভালবাসা নিয়েই লেখেন - এ বিষয়ে আমার মনে সন্দেহ দানা বাঁধেনি কখনোই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

একমত। আগের পোস্টের মন্তব্যটা একটু রূঢ় হয়ে গেল কি না ভাবছি। সেই ভাবে মীন করিনি যদিও। সামহোয়্যারের করুন দশা দেখেছি। সেই অবস্থায় সচল কোনদিনও যাবে না - এই ব্যাপারে মডুদের উপরে আমার এবং সব সচলদেরই পূর্ণ আস্থা আছে।

এখনো মনে আছে যে 'অচলয়াতন' নামে সচলকে ব্যঙ্গ করে পোস্ট দিতো সামহোয়্যারের পাবলিক। এই পরিহাস আসলে কাদের ঘাড়ে শোভা পায়, তা আজকে আর বোঝানোর দরকার নাই। শেষ হাসি সচল নির্মাতাদেরই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পোস্টে (বিপ্লব)

সচল থাকুন। সচল রাখুন।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

রায়হান আবীর এর ছবি

পড়ে গেলাম...ছোট মানুষ, তাই মন্তব্য করার সাহস নাই। হাসি

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

আকতার আহমেদ এর ছবি

কোন প্রকার তর্ক বিতর্কে না গিয়ে আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত যদি বলি তবে তা হবে - ডুয়েল পোষ্টিং সচরাচর না করা এবং যদি আদৌ করতেই হয় তাহলে একটা নির্দ্দিষ্ট সময় (হতে পারে সেটা ৭২ ঘন্টা) পরে করা । আর 'জনগুরুত্বপূর্ণ' বিষয় বলে যে ইস্যুটা সামনে এসেছে তার জন্য আমরা মডারেটরদের ভাবনা জানতে চাইতে পারি । তারা এই বিষয়ে একটা ব্যাখ্যা দিতে পারেন যাতে কারো কাছে বিষয়টা নিয়ে অস্পষ্টতা না থাকে । তবে সবচে বড় কথা হলো কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর আস্থা রাখা কারণ আমার মনে হয় সচলায়তনের এই পর্যায়ে এসে তারা এইটুকু দাবী করতেই পারেন !
ধন্যবাদ মৃদুল ভাই আপনার চমত্কার লেখার জন্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শুরুতেই মৃদুল ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকারভাবে তার মনের কথাটা প্রকাশ করার জন্য। আমারও একই অভিমত। সচলায়তন আসলেই আমাদের অনেকের ভেতরেই একটা লেখক সত্ত্বা জাগিয়ে তুলেছে। আর এর জন্য আমি নিজেও সচলায়তনের প্রতি কৃতজ্ঞ। মনে হলো আমার (নিশ্চিত, আরো অনেকেরই) মনের কথাটাই আপনি সুন্দরভাবে লিখে দিয়েছেন। ভাল লাগল খুব। আর কথা যদি হয় ডুয়াল পোস্টিং-য়ের, সকালেই একটা মন্তব্যে আমার ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করেছি। দ্বিতীয়বার আর বলতে চাই না।

তারেক এর ছবি

আমার মনে হয়, যতটা কঠিন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহব্লগারদেরকে বেছে নেয়া হয়েছে/হচ্ছে তাতে এটা বস্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

কাজেই লিখিত নিয়ম যা আছে, সেটা থাকুক ... ... কীভাবে সেটা পালন করবেন সেটার জন্য নির্বাচিত সহব্লগারদের বিবেচনাবোধটুকুর উপর নির্ভর করি। তাঁদের বিবেচনাবোধটাকে খাটো করে দেখা আর নিজেদের সহব্লগার নির্বাচন প্রক্রিয়ার ভুল ধরা প্রায় সমার্থক।

এখানে যাঁরা লেখেন, সচলায়তনের প্রতি দায়িত্ব ও ভালবাসা নিয়েই লেখেন - এ বিষয়ে আমার মনে সন্দেহ দানা বাঁধেনি কখনোই।

-- শামীম ভাইয়ের মন্তব্যে সম্পূর্ণ সহমত।
ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব বেড়ে না উঠুক আর।
চমৎকার লেখার জন্য মৃদুল ভাইকে ধন্যবাদ।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এতকিছু জানি না।
সচলায়তন বাদে অন্য কোন ব্লগে ঢোকার কোন ইচ্ছা আমার নাই।

পোস্টের জন্য মৃদুল ভাইকে (বিপ্লব)

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

দ্রোহী এর ছবি

আমি ব্যক্তিগতভাবে ডুয়াল পোষ্টিং এর বিপক্ষে।


কি মাঝি? ডরাইলা?

নিঘাত তিথি এর ছবি

ডুয়েল পোস্টিং-এর প্রসংগ ছাপিয়ে সচলায়তন নিয়ে আপনার অনুভূতির অসম্ভব সুন্দর প্রকাশ এই লেখাটি। আপনাকে অভিনন্দন। লিখতে থাকুন। শুভ ব্লগিং।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ডুয়াল পোস্টিং যদি করতেই হয় তো সচলায়তনেই আগে করা হোক। তার ৭২ ঘন্টা পরে অন্যখানে দেয়া যেতে পারে-- এই হল আমার মত। আমি হলে এটাই হয়তো করতাম। সুবিনয় মুস্তফি যা বলার বলেছে, তাই আর রিপিট করছিনা। আমার ভাবনাও অনেকটা তেমনই।

সচল নিয়ে আমি নিজেও একটা লেখা লিখছি। সেটা সচলে আমার একবছর পূর্তিতে প্রকাশ করব। সেই লেখা অনেক আগেই শুরু হয়েছে।

অরূপ-এর সেই মন্তব্য আমি সবসময়ই মনে রাখি যেটা আমার মত কম-লেখিয়েদের জন্য চমতকার একটা গাইডলাইন:

লেখালেখির জন্যই লিখুন
ভালবেসে লিখুন
সময় নিয়ে লিখুন

হিমু এর ছবি

মৃদুল, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

সচলায়তনে দিনে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাই আমরা। একজন আরেকজনের লেখা পড়ি, তর্ক করি, হল্লা করি, এক একটা লেখা পড়ে হাসতে গিয়ে বিষম খাই, এক একটা লেখায় খুঁজে পাই চোখে জল আনা আশ্চর্য বিষাদ, এক একটা লেখার আয়নায় দেখতে পাই ফেলে আসা দেশকে, হারিয়ে যাওয়া শৈশবকে, ফুরিয়ে যাওয়া প্রেমকে, ফেলে রেখে আসা মা-কে, ভাই-বোনকে, গীটারটাকে, সন্ধ্যের আড্ডাগুলিকে। দেশ থেকে এই এতো দূরে নিঃসঙ্গ বসে থেকে সচলায়তনকেই মনে হয় সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, এই থেকে যাওয়া অন্ধকারে মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন। কোন ব্যক্তিগত লাভের আশায়, নাম কেনার লোভে, কিংবা ফুটানগি দেখানোর গোপন ইচ্ছা নিয়ে সচলায়তনের গঠনকাজে যোগ দিইনি আমরা কেউই। শুধু চেয়েছি, একটা লেখার আর পড়ার জায়গা গড়ে তুলতে, যেখানে নতুন আইডিয়ার বারুদে সলতে যোগানোর মতো মানুষ পাওয়া যাবে অঢেল, এক একটা অন্ধকার সন্ধ্যায় যেখানে অনেকের হাতের প্রদীপ জ্বলে উঠবে পথ দেখানোর জন্যে। এই একটা জায়গায় এসে সচলের সবাই এক। আপনাকে সেই মিছিলে স্বাগতম জানিয়েছি অনেক আগেই।

সদস্যদের কাছ থেকে লেখা ছাড়া আমাদের প্রাপ্তির আর কিছু নেই। কিছু সাধারণ নিয়ম আমরা তৈরি করে নিয়েছি সচলায়তনের মূলকে শক্ত করার জন্যেই। দুঃখ পাই যখন দেখি, কোন বন্ধু সেই উদ্দেশ্যকে মূল্য দেন না। একজন এস এম মাহবুব মুর্শেদ প্রবাসে বদমায়েশ প্রফেসরের হাতে নাস্তানাবুদ হতে হতে দাঁতে দাঁত চেপে তৈরি করেন সচলায়তনের এক একটা মডিউল, একজন অরূপ কামাল রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়ে তৈরি করেন নতুন কোন টুল কিংবা ব্যানার, একজন হিমু-সুমন চৌধুরী-কনফুসিয়াস অভুক্ত বসে বসে যোগাযোগ করেন অতিথি লেখকদের সাথে, হাজার কাজের ভিড়ে একজন অমিত-শিমুল শত শত মেইল চালাচালি করে দাঁড় করান একটা ই-বুক, একজন সচল তাঁর আনন্দ-কষ্ট-হতাশা-ভয়গুলোকে এক একটা পোস্টে অকপটে ভাগ করে নেন সারাজীবনে একবারও চোখে দেখেননি এমন আরেক সচলের সাথে ... এই প্রয়াসগুলো কোন ব্যক্তিগত প্রাপ্তির লোভে নয়, এই প্রয়াস নির্মাণের জন্যে। আমরা সবাই মিলে একটা কিছু গড়ে তুলছি। এই নির্মাণের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তর্ক করা সোজা, নির্মাণের সঙ্গী হওয়া কঠিন। অতিথি লেখকরা জানতে চান, ক'টা পোস্ট দিলে সচল হওয়া যাবে, উত্তরে এই সুযোগে বলি, সচল হতে হলে এই নির্মাণের সঙ্গী হতে হবে।

বাংলা কমিউনিটি ব্লগের সবক'টিতেই আমার লেখার সুযোগ আছে। আমি শুধু সচলে লিখি। কারণ আমি জানি, কেউ যদি আমার লেখা পড়তে চান, বা পড়ে মন্তব্য করতে চান, তাহলে তিনি কষ্ট করে সচলায়তনে এসেই তা করবেন। আমাকে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ঘুরতে হবে না লেখার ঝুলি নিয়ে। আমি ভালো লিখি, না মন্দ, তা পাঠক বিচার করবেন, কিন্তু বিচার করবেন সচলায়তনে বসেই, অন্য কোথাও নয়। তার প্রয়োজন নেই একেবারে। আমার লেখা লক্ষ লক্ষ লোক পড়ে বাহ্বা জানাবে, সেই লোভও আমার নেই। আমি তাই সচলায়তনের ছিমছাম নিরিবিলি ছায়াটুকুতে বসেই লিখে যাই আমার হাবিজাবি। এই আত্মবিশ্বাস আমার একার নয়, সচলায়তনের প্রায় সব সদস্যেরই।

সচলায়তন নতুন আর সজীব সব লেখায় ভরে উঠুক। সবাই ভালো থাকুন। মৃদুল, আপনার কাছ থেকে সুন্দর সব পোস্টের প্রত্যাশী হয়ে রইলাম।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নিঘাত তিথি এর ছবি

চলুক
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাইয়ের প্রতি অভিযোগ...আমি একই মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম...উনি কিভাবে কিভাবে যেন টের পেয়ে আগেই বলে দিয়েছেন...
সচলায়তন আমাকে যে আনন্দটুকু দিচ্ছে, কোন কিছু লেখার আনন্দ, তা অন্যদের সাথে সহভাগিতা করার আনন্দ, অন্যদের লেখা পড়ার আনন্দ, এত আনন্দের বিনিময়ে নাম মাত্র কিছু নিয়ম মালা মানাটা খুব কঠিন কিছু না।
কোন কিছু নিয়ে আমাদের দ্বিমত থাকতেই পারে, কিন্তু তা ব্যক্তিগত মন কষাকষির দিকে যেতে দেখতে ভালো লাগে না।
সচলায়তন বাধ্য করছে না কাউকে কোন কিছু করতে বা না করতে। তাহলে কেন গালি গালাজ করতে হবে?
আরো কি কি যেন বলতে চেয়েছিলাম, মনে পড়ছে না।
সচলায়তন পরিবার থাকুক সবসময় হাসিতে আর আনন্দে।
~রেনেট

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হিমু দার কথাগুলো মন ছুঁয়ে গেলো।

আবারো বলি:

জয়তু সচল!


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

বিপ্লব রহমান এর ছবি


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নজমুল আলবাব এর ছবি

আপনার চমৎকার অনুভূতিকে শ্রদ্ধা। মনে হচ্ছে আমার নিজের কথাই আপনি লিখে দিলেন। ধন্যবাদ।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতির কথা বলি এই প্রসংগে।

আমি প্রথম লেখালেখি শুরু করি "সামহোয়্যার ইন" এ। সেখানে একটি সিরিজ লিখছিলাম বেনামে। তারপর খোঁজ পেলাম "সচলায়তন" এর। প্রথমেই বেশ কিছু অমিল চোখে পড়লো।

যেমন, এখানে লোকজন অনেক কম। একটি লেখা পোস্ট হবার চার-পাঁচ ঘন্টা পরেও মাত্র একটা বা দুটো কমেন্টের বেশী আসেনা। দ্বিতীয়তঃ এখানে লেখার ধরণ সম্পূর্ণ আলাদা। সেগুলো মন দিয়ে লেখা হয়েছে, চিন্তা করে লেখা হয়েছে, বুদ্ধি দিয়ে লেখা হয়েছে।

ভাবলাম, দেখি সিরিজের লেখাগুলোকে এখানেও পোস্ট করে দেই। পয়লা ধাক্কা খেলাম সেখানেই। সচলে সদস্য হতে বেশ সময় লাগে। যাই হোক, অতিথী হিসেবেই লিখিনা কেন। পোস্টের পর পোস্ট করে যাই, কিন্তু "অতিথী" লেবেল গা থেকে নামে না। একসময় জানতে পারলাম যে ডাবল-পোস্টিংটাই হচ্ছে আমার সমস্যা। সচলায়তন নতুন লেখা প্রেফার করে। সেই নীতি মেনেই লিখছি এখন এখানে।

আমার তো মনে হয় সচলের এই নীতিটি ভাল। যদি কেউ একটি লেখা পরে অন্য জায়গায় পোস্ট করতে চান, তাহলে বাহাত্তর ঘন্টা দেরী করলেই হোল। আমি আমার বেশ কয়েকটি অণুগল্প পরে সামহোয়্যারইনে পোস্ট করেছি, তা নিয়ে মডারেটররা তো কোন আপত্তি তোলেননি। (জানিনা এখন জানবার পর তুলবেন কিনা।)

এখন আমি সামহোয়্যারইনে একটি নতুন সিরিজ লিখছি, যেটি আমি সচলে পোস্ট করবোনা পরে। আবার গল্প, অণুগল্প বা অন্য লেখা প্রথমে আমি সচলেই পোস্ট করবো, পরে ইচ্ছা হলে সামহোয়্যারইনে (তবে দেখছি ওখানকার পাঠকেরা অণুগল্পগুলো খুব একটা পছন্দ করছে না, তাই হয়তো এমন একটা সময় আসবে যখন সেগুলো শুধু সচলেই পোস্ট করবো।)

আমার তো মনে হয় যে এই দুটো ব্লগসাইটের মেজাজ সম্পূর্ণ আলাদা। আস্তে আস্তে এই জিনিসটি পরিষ্কার হয়ে উঠছে। এবং সে কারণেই লেখাগুলোও ভিন্ন ধরণের হয়ে উঠবে। পাঠকেরাও তাই প্রত্যাশা করবে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সাধারণ ক্ষেত্রে ডুয়েল পোস্টিং না
তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এবং ইমার্জেন্সি নোটিসের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে

এই জনগুরুত্বপূর্ণ এবং ইমার্জেন্সি নোটিসের বিষয়টা মডুদের উপর ঠিক করার দায়িত্ব না দিয়ে নিজেরা নিজের কাণ্ডজ্ঞান এর উপর ভরসা করলেই সবচে ভালো

তবে সেক্ষেত্রে আমার মায়ের বলা একটা শ্লোক মনে রাখা যেতে পারে
এমন জায়গায় বসব না কেউ বলবে উঠ

এমন পোস্ট দেবো না কেউ বলবে....

থার্ড আই এর ছবি

জনস্বার্থে দুইটা কথা বলার তাগিদ অনুভব করছি।
ডুয়েল পোস্ট হতে পারে সমসমায়িক ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে। ধরা যাক একজন সচল এমন একটি তথ্য জানলেন যেটি তিনিই সবার আগে জেনেছেন, অথবা অন্য কেউ জেনে থাকলেও সেটি ব্লগে আসেনি। সেক্ষেত্রে তিনি চাইলে একই বিষয়ের উপর দুইটি পোস্ট একধীক ব্লগে পোস্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে তাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন বিষয়টি কাট কপি পেষ্ট না হয় এবং শিরোনাম এক না হয়। এতটুকু পর্যন্ত আমি মানতে রাজি আছি।

আসলে সমসাময়িক বা গুরুত্বর্পূণ ইস্যুগুলোর দুয়েকটা উদাহরণ দেই

বোমা হামলায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেত্রী বেনজীর নিহত।
মধ্যরাতে শেখ হাসিনা গ্রেফতার।
সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে প্রসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণার ইঙ্গিত দিলেন সেনা প্রধাণ

তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই শুধু মাত্র তথ্য শেয়ারের জন্য ভাষার পরিবর্তন করে সাময়িক পোস্ট দিলে আমার বাঁধা নেই। তবে নিয়মিত ভাবে একই লেখা একধীক ব্লগে একই সময়ে গ্রহনযোগ্য নয়।

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

আরিফ জেবতিক এর ছবি

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

হিমু এর ছবি

আরিফ ভাই, এই প্রসঙ্গে আর কিছু বলবো না ভেবেছিলাম, আপনার মন্তব্য দেখে আবার অস্বস্তিভরে বলছি।

মডারেটররা "ডুয়াল পোস্ট" সরিয়ে দ্যান। "অমুকের ডুয়াল পোস্ট" বা "তমুকের ডুয়াল পোস্ট" হিসেবে বিবেচনা করে সরান না। এটি খুবই সম্ভব যে কোন একটি ডুয়াল পোস্ট মডারেটরের অসাবধানতাবশত সচলের প্রথম পাতায় রয়ে গেছে কোন এক কালে, কিন্তু তার মানে এ-ই নয়, যে সেই সংশ্লিষ্ট সচলের জন্যে ডুয়াল পোস্টের নীতিমালা প্রযোজ্য নয়। মডারেটররা ২৪ ঘন্টা সচলে না-ও থাকতে পারেন, তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে এমন ব্যতিক্রম যদি ঘটেই থাকে, সে জন্যে মডারেটর এ দায়িত্ব নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করবেন, তাতে সন্দেহ নেই। তবে সচল সদস্যরাও কোন ডুয়াল পোস্ট চোখে পড়লে ফিডব্যাক দিতে পারেন, কোন বাধা তো নেই।

আপনার চোখে যদি আবারও কখনো এমনটি পড়ে, যে

অনেকের পোস্ট ডুয়েল পোস্টিংয়ের জন্য সরিয়ে দেয়া হয়েছে, কিন্তু অনেকের পোস্ট সরানো হয়নি ।

তাহলে অনুগ্রহ করে মডারেটরদের জানাবেন তৎক্ষণাৎ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এ বিষয়ে আসলেই বলার কিছু নেই । নিজেরা নিজেরা এখানে তর্কেরও কিছু নেই , আলোচনারও তেমন কিছু দেখি না । এস্কিমোর পোস্টটাও আমি দেখেছি , তখন কিছু বলিনি কিন্তু একই ধারায় দ্বিতীয় পোস্ট আসায় ( এই পোস্ট ) বলব না বলব না বলেও বলে ফেললাম । হাসান মোরশেদের মতো আমিও মনে করি এটা একটা মীমাংসিত ইস্যু , এবং এটি একেবারে গোড়াতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে ।

পরিষ্কার করে বলি ,ডুয়েল পোস্ট সরিয়ে দেয়া না দেয়ার ব্যাপারে মডারেটরদের কোন পক্ষপাত আছে বলে আমি মনে করি না । যদি মনে করতাম তাহলে নিজেই পোস্ট দিয়ে একটা হইচই বাঁধাতাম এবং প্রশ্ন তুলতাম ।

আমি যেটা বলতে চাইছি , সেটা হচ্ছে "মডারেটররা যদি এ বিষয়ে আরো তৎপর হওয়ার সুযোগ পান , তাহলে বেশি ভালো হয় ।"

মডারেটররা যেহেতু এখানে চাকুরি করেন না এবং তাদেরকে নিজেদের আরো দশটা কাজ করার পরে এবং নিজের লেখালেখির পরেও বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখতে হয় , সুতরাং তাদেরকে কিছুটা ছাড় দেয়া বাকীদের কর্তব্য । তবু প্রশ্নগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই ডুয়েল পোস্টের বিষয়টিতে নজরদারি বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছি মাত্র ।

শুধু ডুয়েল পোস্টের বিষয় না , সকল সচলের উচিত মডারেটরদের সকল বিষয়েই সম্ভাব্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া ।এখানে মডারেটররা বাকী সদস্যদের প্রতিপক্ষ নন , সকলেই আসলে একই নৌকার যাত্রী , একই কাতারের ব্লগার ।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍সচলায়তন নিয়ে আমার সমস্ত অনুভূতির কথা আপনিই লিখে ফিলেছেন।

অতীব চমত্কার!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।