ক্যান্টনমেন্ট বনাম মহসীন/শামছুন্নাহার হল

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৭/২০০৮ - ৭:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতি বছর সামরিক খাতে বাংলাদেশ বাজেটের সর্বোচ্চ অংশটুকু বরাদ্দ থাকে। কাগজে কলমে শিক্ষা খাতকে প্রাধান্য দেবার কথা বলা হলেও বাস্তবে ক্যান্টনমেন্ট-এর পেছনেই ব্যয় হয় বছরের অধিকাংশ টাকা। এই টাকায় যতোনা গোলাবারুদ কেনা হয় তার চেয়ে বেশি ব্যয় হয় জেনারেলদের আরাম আয়াসে। যার ফলে দেশের ভেতরেই অন্য কোন দেশ এই ক্যান্টনমেন্টগুলো।

বেশিদূরে যেতে হবে না হাতের কাছে ঢাকা শহরেই বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে সুরম্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। ঢাকাকে যারা জ্যাম , লোডশেডিং, গ্যাস-পানির হাহাকার , নোংরা নগরী হিসেবে জানতে অভ্যস্ত ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ায় ঢুকলে তারা কিছুতেই ঢাকায় আছেন বলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। আবার এ ক্যান্টনমেন্টে আপনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক নন বরং ব্লাডি সিভিলিয়ান হিসেবেই বিবেচিত হবেন।

একদিকে যখন এ অবস্থা তখন অন্যদিক, যেমন বাংলাদেশ-এর সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ধরুন। দেশের ভবিষ্যত কর্ণধার ছাত্ররা ছারপোকার কামড় খেয়ে, পচা-বাসি খাবার খেয়ে, বাসে ঝুলতে ঝুলতে, মাটিতে বিছানা পেতে কোনরকমে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এইতো সেদিন ভূমিকম্পে মহসীন হল, শামসুন্নাহার হলে ফাটল ধরেছে। জীবন বাঁচাতে গিয়ে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে তারা থাকতে বাধ্য হচ্ছে। একই ঘটনা যদি ক্যান্টনমেন্টে ঘটতো তবে ভূমিকম্পের পরের দিনই সেখানে নতুন অট্টালিকা উঠতো।

বর্তমান বাস্তবতায় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি টাকা পয়সা খরচ করাটা অপ্রয়োজনীয়। বরঞ্চ এ টাকার একটি অংশ দিয়ে শিক্ষা,স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ঘটানোটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক। মহসীন , শামসুন্নাহার হল ভেঙ্গে পড়ুক আর সেনাকুঞ্জে জমজমাট পার্টি হোক এমন অসমতা কারোরই কাম্য হতে পারে না।

murtala31@gmail.com


মন্তব্য

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

ভাইরে ... অপ্রিয় সত্য বলতে নাই।

আলমগীর এর ছবি

যার ফলে দেশের ভেতরেই অন্য কোন দেশ এই ক্যান্টনমেন্টগুলো।

সারা পৃথিবী জুড়েই তা। আমাদের প্রিয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যেই তারা।
আবার এ ক্যান্টনমেন্টে আপনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক নন বরং ব্লাডি সিভিলিয়ান হিসেবেই বিবেচিত হবেন।

দুনিয়ার কোথাও আর্মি বেইজে পাবলিক প্রবেশ নেই। গালি তারা দেয় সত্য, আমরাও কি দরকারে অদরকারে তাদের গালি দিচ্ছি না?
যেমন বাংলাদেশ-এর সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের

হিসাবটা বোঝান তো আমাকে। হিসাবটা কি ঢাবির কোন ভবনের তলা হিসাবে, নাকি সবচেয়ে উচুঁ ডিগ্রি দেয় সে হিসাবে?
বর্তমান বাস্তবতায় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি টাকা পয়সা খরচ করাটা অপ্রয়োজনীয়।

এটা অগভীর চিন্তার কথা। ভুমিকম্প হলে লাশটা তারাই উদ্ধার করবে। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। প্রতিটি দুর্যোগে তারাই সম্বল।

প্রত্যেকটা বিষয়ের দুদিক থাকে। সরকার মিলিটারির পেছনে খরচ না করে হল বানিয়ে দিলে ঢাবির খুব ভাল হয়। কিন্তু তাতে বাকী সবার কী আসে যায়? ঢাবির বাজেটের কত অংশ সরাসরি ছাত্রদের পেছনে খরচ হয়? সেটা ২০ভাগের বেশী না।

একটা হলের সাথে একটা ক্যান্টনমেন্টের কী তুলনা হয়?

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমিও আপনার মত করে ভাবছিলাম।

মূর্তালা,
তোর বক্তব্যটা আলাদা আলাদা ভাবে হয়তো ঠিক আছে, কিন্তু দুটা ব্যাপার পাশাপাশি বা তুলনা হিসেবে আসে না বোধহয়।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সবজান্তা এর ছবি

গালি তারা দেয় সত্য, আমরাও কি দরকারে অদরকারে তাদের গালি দিচ্ছি না?

আমরা তাদের অদরকারে কখন গালি দিচ্ছি সেটা আমার কাছে পরিষ্কার না। আমার ধারণায় আমরা তাদের গালি দেওয়ার মত যথেষ্ট কাজ তারা করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে পনেরো বছর তাদের স্বৈরশাসন আমরা সহ্য করেছি - তবু তাদের গালি কি অদরকারে দিচ্ছি আমরা কেউ ?

দেখুন, সামরিক বাহিনী নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। এতে দেশের বাজেটের একটা উল্লেখ্য অংশ বরাদ্দ থাকবে সেটাও মানি, কিন্তু আপনি কি স্বীকার করবেন না যে তাদের আমরা বাস্তবতার নিরিখে অনেক বেশি দেই ? শেভ করার খরচ থেকে শুরু করে স্বল্প মূল্যের জমি কি পায় না তারা ? স্বীকার করছি, তারা দেশ-মাতৃকার সেবায় নিয়োজিত, কিন্তু আমরা আবুল-মফিজ-বক্করেরা দেশের সেবা করছি না , আমরা কি কর দিচ্ছি না, আমরা কি যার যার অংশ পালন করে যাচ্ছি না ? বিভিন্ন বন্ধুবান্ধব , যাদের বাবা কিংবা আত্মীয় স্বজন সামরিক বাহিনীতে আছেন তাদের মুখেই শোনা যে, সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন পার্টিতে কি বিশাল অপব্যয় করা হয়। চিন্তা করে দেখুন তো, তাদের বিলাস ব্যসনে সরকারী যে ব্যয়, তার কিয়দংশও যদি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের বেতনে দেওয়া হত, তাহলে কি দেশের শিক্ষাস্তরের উন্নতি হত না ? আমার মনে হয়, সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার যদি আসতো, তাহলে নিশ্চয়ই তারা বাজেটে সঠিকভাবে প্রায়োরিটি দিতো, এবং প্রতিরক্ষা বাজেটও কমে অন্যান্য রুগ্ন খাতে যোগ হত।

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র নই ( অবশ্য একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ), এবং আমি যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্যই বলেই এ কথা বললাম, তাও নয়। আমি সামগ্রিকভাবেই মনে করি, প্রতিরক্ষা বাজেটের পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন আছে।


অলমিতি বিস্তারেণ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সবজান্তা ভাই,

সেনাবাহিনীর সেবার ব্যাপারটা আমিও চিন্তা করছি। তারা ঠিক কোন কোন খাতে দেশের উন্নতিতে সাহায্য করে? অন্তত, অন পেপার, সেনাবাহিনী একটি অনুৎপাদনশীল খাত। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য করার বাইরে তারা কিভাবে সেবা দেয় বা সেবা দেয়ার দায়িত্ব তাদের আছে কিনা, এটা ক্লিয়ার না।

তারা দেশপ্রেমিক, সেইটা বুঝি দেশের প্রেমে তাদের ক্ষমতা দখল দেখে। তারা সেবক, সেইটা বুঝি সাইক্লোনে তাদের হেলিকপ্টার দেখে। প্রশ্ন হলো, এই দেশপ্রেম, এই সেবা কি তাদের মৌলিক দায়িত্ব?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বস, দুর্যোগে কাজ করার জন্য আর্মির দরকার নেই। তাদের কাজ প্রতিরক্ষা। বাংলাদেশের মত শুয়েবসেথাকা দেশে প্রতিরক্ষার টেনশনটা কম বলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাজ করতে তারা সময় পায়। এটা বোনাস, তাদের ডিউটির মধ্যে বোধহয় পড়ে না। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমের নমুনা দেখানোর ক্ষেত্র যুদ্ধের ময়দান, কারণে অকারণে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানোতে জনগণ বিব্রত ও শঙ্কিত হয়। একই কথা খাটে অতি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে 'ধবংসের' হাত থেকে উদ্ধারের জন্য দেশের ক্ষমতায় তারা আসলে, সরকারের কাজকর্মের ওপরে খবরদারি করতে এলে। তাদের এক্তিয়ারের বাইরে নাকগলানোটা পাবলিকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মনজুরাউল এর ছবি

ঠিক । বিলকুল ঠিক ।
শান্তিমিশন মানে এক ধরণের 'ভাড়াখাটা'। তো ভাড়াখাটার উত্কর্ষতা বৃদ্ধির জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় কোন যুক্তি তে ?

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

মূর্তালা ভাই @ হল ও ক্যান্টনমেন্টের কার্যপরিধি আলাদা। তাই তুলনাটা ঠিক গ্রহনযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান, যুক্তি ও মুক্ত বুদ্ধি চর্চার জায়গা, যেখানে শিক্ষক - শিক্ষার্থীরা স্বতপ্রণদিত হয়ে জ্ঞান আহরন করে আবার দেশের প্রয়োজনে ৬২,৬৬,৬৯,৭১ কিংবা ৯০ এর জন্ম দেয় । অন্যদিকে ক্যান্টনমেন্ট সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্য একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তবে ঁহ্যা কল্যানকামী রাষ্ট্রে শিক্ষাই হওয়া উচিত সর্বাধিক গরুত্বপূর্ণ।

আলমগীর ভাই @ "প্রতিটি দুর্যোগে তারাই সম্বল"--- এটা মনে হয় হওয়া উচিত = "প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারাই সম্বল এবং এটা চাকুরীর অংশ "

এ লাইনটি নিয়ে আরো কিছু বলা সম্ভব ছিলো.... কিন্তু ওই যে সচল নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যা হলো তাতে করে এখানে সব অপ্রিয় সত্য আপাতত বলবো না বলে ঠিক করেছি।

তবে একটা কথা আমরা যে যে পেশায় আছি সবাই যার যার কাজের বিনিময়ে অর্থ নেই বেতন হিসেবে। কিন্তু রাষ্ট্র কাউকে কাউকে যৌক্তিকের চেয়ে অনেক বেশি দেয় সে অনুযায়ী দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে অনেক কম....

১০ লক্ষ নারী শ্রমিক পোশাক শিল্পে বিপ্লব এনেছে ..টিকিয়ে রেখেছে অর্থনীতিকে ... অথচ তারা রেশন তো নয়ই নূনতম মজুরী পায় ২০০০ টাকারও কম- সঙ্গে নির্যাতন তো আছেই.....

মুক্তিযুদ্ধের সময় নাকি সবাই নিজের সহায় সম্বল দিয়েছে দেশের জন্য .......... আবার কেউ কেউ নাকি (আমার জন্ম হয়নি তখনো...তাই না কি শব্দটি উল্লেখ করলাম)প্রতিমাসে প্রবাসী সরকারের কাছ থেকে বেতনও নিয়েছে।

আর হ্যা ...ঢাবি কেন সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ.. সেটা বুঝার আগে জানতে হবে কেন রাষ্ট্রযন্ত্রের সবগুলো শাখায় কেন ঢাবির শিক্ষার্থীদের একতরফা আধিপত্য। (খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন সরকারী-বেসরকারী চাকুরী -ব্যবসা-বাণিজ্য-রাজনীতি-গবেষনা-বিচার বিভাগ-সহ যে কোন শাখায় কত শতাংশ মেধা ঢাবি সরবরাহ করে থাকে....... অবশ্য ছাত্রজীবনে ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ থেকে অনেকেই বঞ্চিত হয়।

তবে হ্যা আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি দেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী থাকা উচিত। কারন এতে বিশাল কর্মসংস্থান ছাড়াও শান্তি মিশনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি ও রেমিটেন্স আসে বিপুল পরিমানে।

যদিও প্রতিটি সার্ভিসের (সরকারী ও বেসরকারি) কর্মপরিধি কঠোর ভাবে নিশ্চিত করা উচিত। কেউ যেনো অন্যের কাজে নাক গলিয়ে বিশৃংখলা সৃষিট করতে না পারে।

আমার মন্তব্য কাউকে কষ্ট দিলে আমি দু:খিত।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রাকিব ভাই,
আপনার মন্তব্যের সাথে প্রায় প্রতিটা বিষয়ে একমত। শান্তি মিশনের ব্যাপারটা ছাড়া। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী একটি অনুৎপাদনশীল খাত। তারা কোনো কিছু প্রডিউস করে না, সেনাবাহিনীর কর্ম সংস্থানের টাকাটা আসে পাবলিকের পকেট থেকেই। সুতরাং সেনাবাহিনীতে ঝাঁকে ঝাঁকে লোক ঢুকিয়ে কর্মসংস্থানটা প্রকৃতঅর্থে দেশের কোনো কাজে আসে না।

শান্তিমিশনে অংশ নেয়ার জন্য শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকার প্রয়োজনীয়তা খুবই গৌণ। শান্তিবাহিনীতে কাজ করার জন্য যে ট্রেনিং দরকার, তা পৃথিবীর শক্তিশালী-দুর্বল নির্বিশেষে প্রায় সব দেশের সেনাবাহিনীরই থাকে। রেমিট্যান্সের হিসেবটা আমি ঠিক জানি না। তবে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মত দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসি যে পরিমাণ অর্থ পাঠায়, শান্তিমিশন থেকে সেনাবাহিনীর খুবই সীমিত সংখ্যকের অর্জিত মোট অর্থ তার তুলনায় খুবই নগণ্য হওয়ার কথা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

দাদা @ আপনার যুক্তি ও চেতনার সঙ্গে আমিও একমত। কিন্তু আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখ্ই বলছি যে শান্তি মিশন থেকে আসার টাকার পরিমান একেবারেই কম না। আর সামরিক বাহিনীর কর্মসংস্থান একেবারেই কাজে আসেনা তা না..অন্তত সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর চাল-ডাল-তেল-চিনি সহ আরো অনেক কিছুর চিন্তা করতে হয়না।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রাকিব ভাই,

আমি কর্মসংস্থানের ওই ব্যাপারটা বুঝেছি। হাসি
আমার চিন্তাটা অন্যদিক থেকে। ধরেন, আগে ১০ টা ছেলে সেনাবাহিনীতে যেত, এখন ২০ টা যায়। তাহলে খোলা চোখে আগের ১০ টার স্থলে এখন ২০ টা ছেলের কর্মসংস্থান হচ্ছে। চোখ আরেকটু খুললে প্রশ্ন আসবে, কর্মসংস্থানের এই টাকার যোগান দিচ্ছে কে? যোগানটা আসতে হবে কোনো উৎপাদনশীল খাত থেকে। কৃষি থেকে আসতে পারে, শিল্প থেকে আসতে পারে। এবং সেই উৎপাদন করছি আমি কৃষক, আমি শ্রমিক। আমি ওই ২০ টা ছেলেকে টাকা দিবো আমার প্রতিরক্ষার জন্য। এখন আমি যদি দেখি, প্রতিরক্ষার জন্য আমার ২০টা ছেলে দরকার নেই, ৫টা হলেই যথেষ্ট, তাহলে আমি কেন ২০ জনের খরচ দিতে বাধ্য হবো? আমার প্রতিরক্ষা যদি থ্রি-নট-থ্রিতেই চলে আমি কেন মিগ-২৯ কিনতে টাকা দেবো? তাদের কর্মসংস্থানের জন্য আমি অবশ্যই বাড়তি পরিশ্রম করতে রাজি না।

শান্তিমিশনের টাকার অঙ্ক আমি ঠিক জানি না। তবে অন্য প্রবাসী শ্রমিকদের সংখ্যার তুলনায় শান্তিমিশনে যোগ দেয়া সৈনিকের সংখ্যা নগণ্য হবে বলে মনে হয়। (সঠিক তথ্য জানি না) সুতরাং মোট রেমিট্যান্সের তুলনামূলক বিচারে তাদের কন্ট্রিবিউশন খুব কম হওয়ার কথা।

বর্তমানে শান্তিরক্ষা কমিটিতে আর্মি, নেভী, এয়ার মিলিয়ে ৯ হাজারের কিছু কম লোক আছে। বিভিন্ন দেশে কর্মরত লাখ লাখা বাংলাদেশীর তুলনায় এই সংখ্যা খুবই কম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

লাইঠেল... এর ছবি

থ্রি নট থ্রির কথা যখন উঠলোই, আমি বেলাইনে দুইখান কথা বলতে চাই। আমি যেখনে থাকি, সেইখানে দুইখান জাদুঘর আছে। দুইখান জাদুঘরেই থ্রি নট থ্রি সাজায়া রাখা আছে। অনেকে এইখানে থ্রি নট থ্রি কেনে বহু পয়সা খরচ কইরা, সংগ্রহে রাখবো তাই। বাংলাদেশ পুলিশ বিরাট বড়লোক হয়া যাইতে পারে, যদি থ্রি নট থ্রি গুলা বেইচা দেয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাজেটের একটা তুলনামূলক বিশ্লেষণ পেলে ভালো হতো।

বাজেট হওয়া উচিত দরকারের দিকে খেয়াল রেখে। যেমন, মিগ-২৯ কেনার জন্য বাজেট বরাদ্দ করা অর্থের অপচয়। আমেরিকার কত ভাগ বাজেট সামরিক খাতে ব্যয় হয়, সেই জাতীয় তুলনাও একেবারেই খাটে না। আবার শিক্ষাখাতে ইউনিভার্সিটির টীচার্স কোয়ার্টারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষার বই জানুআরিতেই নিশ্চিত করা, প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের ট্রেনিং।

আসলে দুর্ণীতি রোধই সবচেয়ে বেশি দরকার। বাজেটের বেশিরভাগই তো যায় চোরের পকেটে।

আর্মি বিষয়ে, তাদের বাজেটের ব্যাপারটা জানি না। সো, নো কমেন্টস। তবে তাদের জন্য আলাদা একটা আবাসস্থল দেয়াতে সমস্যা দেখি না, সেখানে আমার মত আমজনতার অবাধ প্রবেশাধিকারের জন্যও আন্দোলনে নাই। তবে একইভাবে এটাও নিশ্চিত করা দরকার যে, তারাও যেন ব্যারাকেই থাকে, ঢাকা ইউনির ক্যাম্পাসে এসে ঢাকা ইউনির ছাত্রকে চড় মারার মত অসভ্যতা না করে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রায়হান আবীর এর ছবি

কনফুসিয়াস কিংবা আলগমীর ভাই কি বলতে চাইলেন ঠিক বুঝলাম না, আমি আপনার সাথে একমত। সেটা গোয়ার্তুমি হোক আর যাই হোক...পোস্টের জন্য পাঁচ তারা।

হলের সাথে ক্যান্টনমেন্টের স্থূল একটা মিলকরণ আমার নিজের মাথাতেই আসছে। ধরি দুইজন ছেলে যাদের বয়স তেইশ থেকে চব্বিশ বছর। একজন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন, আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাটি কম মূল্যে রেশন পাবেন, দুইটাকা দিয়ে দশটা আন্ডারওয়ার পাবেন, ১ টাকা দিয়ে একটা কেডস পাবেন আর ঢাকা ভার্সিটির পড়ুয়া ছেলেটিকে ক্যান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হবে? কেন তাকে নিন্মমানের খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে হবে?

এইটাই যদি অঘোষিত নিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেই নিয়মকে আমি ঘৃণা করি।

আলমগীর ভাই বললেন, সারা পৃথিবী জুড়েই তা...অর্থাৎ দেশের ভেতরে আরেকদেশ ক্যান্টমেন্ট। মানলাম...কিন্তু আমি তাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো, যে বাংলাদেশ ছাড়া আর কয়টা দেশে রাস্তা-ঘাট শুধু সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য থাকে? উদাহরণ হিসেবে দেখেন, জাহাঙ্গীর রোড থেকে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের দিকে যে রাস্তাটা চলে গেছে তার কথা। আমি যদি সেই রাস্তাটা ব্যবহার করতে পারতাম তাহলে মহাখালি কিংবা উত্তরা থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য আমার বিজয় স্মরণী দিয়ে সাত দুনিয়া ঘুরে মিরপুর যাওয়া লাগতো না...কিন্তু আমি আর্মি অফিসার নই, আমার বাবাও নন, আমার গাড়িতেও নেই সেনানিবাসের রাস্তায় চলাচলের অনুমতির সীল। আমি সাধারণ মানুষ। আমাকে ঘুরে যেতে হবে...
কনফুসিয়াসের কাছ থেকেও এই প্রশ্নের জবাব আশা করছি। কারণ আমি যতদূর জানি অস্ট্রেলিয়াতেও ক্যান্টমেন্ট আছে। কিন্তু শুধুমাত্র সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু জনগন পারবেনা এমন রাস্তা নেই। ভূল জেনে থাকলে দুঃখিত।

আলমগীর ভাই আরও বললেন,

হিসাবটা বোঝান তো আমাকে। হিসাবটা কি ঢাবির কোন ভবনের তলা হিসাবে, নাকি সবচেয়ে উচুঁ ডিগ্রি দেয় সে হিসাবে?

এই বাক্যটার অন্তর্নিহিত কোন বক্তব্য থাকলে আমি সেটা ধরতে পারি নাই। কিন্তু সাধারণভাবে মনে হলো কথাটির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করা হয়েছে। দু:খ পেলাম।

আসুন আমরা নিদেনপক্ষে অছ্যুৎ বলাই এর মতো করে ভাবি।

(ডিসক্লেইমারঃ এই মন্তব্যের জন্য দায়ী রায়হান আবীর নিজেই। কোন ঝামেলা মনে করলে সচলের আইপি বন্ধ না করে তার আইপি খানা আজীবনের জন্য বন্ধ করে দেবার অনুরোধ রইলো)

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍বাস্তবসম্মত বক্তব্যে (বিপ্লব)
আমার অনেক কথাই আপনি বলে দিয়েছেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সবজান্তা এর ছবি

ভাইরে বলতে তো চাই অনেক কথাই, কিন্তু শেষে আমি কি কই, আর সচলের আই পি বাংলাদেশে ব্যান হোক - এই আশংকায় সবই 'অবাংমানসগোচর' হয়ে থাকে।

আলমগীর ভাই এর মন্তব্যে খুব সম্ভবত ঢাবির প্রতি একটা শ্লেষ অনুভব করলাম। কথাটা কিছুটা সত্যি। ঢাবিকে এখন বোধহয় আর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলার সুযোগ নেই। ঢাবির অনেক ফ্যাকাল্টিই যুগপোযোগী ভাবে পরিবর্তিত হয় নি। বিশেষত বেশ কিছু অনাবশ্যক বিষয় খুলে, অনেক বিভাগেই সনাতন পাঠদান পদ্ধতির কারণে ঢাবি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরানো ফর্মে নেই। কিন্তু বাস্তবতাটা একটু দেখি। এখনো দেশের অধিকাংশ ছাত্র অন্যত্র ভর্তি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে পেরেই ( মেডিক্যাল কিংবা প্রকৌশল ভর্তিচ্ছুদের কথা অবশ্য বাদ দেওয়া যেতে পারে )। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকাল আগের চেয়ে ভালো ছাত্র কিছুটা বেশি পড়ে সত্যি - কিন্তু তারপরও তাদের শতকরা ৫০ ভাগ ছাত্রের যা অবস্থা, তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছায়াতে আসতেও লজ্জা পাওয়ার কথা ( কথাটা কাউকে আঘাত করে থাকলে দুঃখিত, কিন্তু এমনটাই শুনেছি বিভিন্ন বড় ভাইদের কাছে কিংবা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে - যারা বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেন )।

শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এখনো অধিকাংশ ছাত্রের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় এটি। এখনো বিশাল সংখ্যক ছাত্র জান লড়িয়ে এখানে ভর্তি হয়। তাই ঢাবির যতটা অবনমনই হোক, দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপীঠ হওয়ার জন্য মনে হয় এখনো তাদের বিল্ডিং এর উচ্চতার উপর নির্ভর করতে হয় না।


অলমিতি বিস্তারেণ

হিমু এর ছবি

সময়ের বিপরীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, পারফরম্যান্স, ইত্যাদিকে কোয়ান্টিফাই করে একটি কার্ভ করা হোক। ১৯২১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সেটিকে ইন্টিগ্রেট করা হোক।

বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগিয়ে থাকবে সে।

আমার বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটু কম্পিটিশন হবে বৈকি, কিন্তু তারপরও এগিয়ে থাকবে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

তানবীরা এর ছবি

বানংলাদেশের সব বাবাদের প্রচেষ্টা থাকা উচিত আরমীর কাছে মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য। আমার বাবার কেনো হইলো না সেই কষটেই আছি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

মূর্তালা রামাতের পোস্টের মূল ফোকাস হচ্ছে প্রতিরক্ষা খাত বনাম শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এখানে উদাহরণ হিসেবেই ধরা ভালো।

মন্তব্যকারীরা আলোচনার মূলসুরকে অন্যদিকে নিয়ে গেছেন। তবে সব দিকে আলো ফেলায় কোনো অসুবিধা নেই। মূল বিষয়টা আরেকটু মনোযোগ দাবী করে, এই যা।

অন্যদের মন্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, অচ্ছ্যুত বলাইয়ের মন্তব্য ও চিন্তাধারাটাই আলোচ্য বিষয়ে সবচে সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত লাইন।

প্রতিরক্ষা খাত বাংলাদেশের মত দরিদ্র দেশের জন্য বাহুল্য এক খরচের খাত এবং এটি অবশ্যই অনুৎপাদনশীল। দেশ ও জনগণের উন্নয়নের ধারায় এর অবদান প্রায় শূন্যের খাতায়।

প্রতিরক্ষাকে কর্মসংস্থান পরিকল্পনা হিসেবে দেখাটাও অযৌক্তিক। এর চেয়ে কম পয়সায় ছয় মাসের ট্রেনিং দিয়ে এমন অনেক রকম টেকনিশিয়ান তৈরি করা সম্ভব (ধরা যাক মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান) যারা বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অনেক বেশি অর্থ দেশে পাঠাতে পারবেন -বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবেন না।

প্রতিরক্ষায় আমাদের কতটা অর্থব্যয় করতে হবে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে মনে রাখতে হবে আমরা জাতি হিসেবে একেবারে খালি হাতে এই দেশটি স্বাধীন করেছি। এটা একটা জনবহুল দেশ। বহির্শত্রুর আক্রমণ থেকে এ দেশকে বাঁচানোর দরকার হলে দুয়েকটা মিগ বিমানে কিচ্ছু হবে না - দেশের জনগণকেই লাঠি-বাঁশ-তীর-ধনুক নিয়ে লড়াই করতে হবে।

৩৭ বছর পরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সেনাবাহিনী হয়ে উঠতে পারেনি - সে ব্যর্থতা সেনানায়কদের- সোজা কথায় ক্যান্টনমেন্টের।

কিন্তু ক্যান্টনমেন্টে থেকে সবচে' বড় হুমকি দেশের বাজেটে আসে যখন তারা প্রতিরক্ষায় বরাদ্দকৃত বাজেটের বাইরেও অন্যান্য খাত থেকে অর্থ জোর করে নিয়ে যান নিজেদের গোষ্ঠীগত কল্যাণের উদ্দেশ্যে। যেমন শিক্ষাখাত থেকে তারা অর্থ নিয়ে যান ক্যাডেট কলেজ গুলোর জন্য। স্বাস্থ্যখাত থেকে তারা অর্থ নিয়ে যান ক্যান্টনমেন্টের হাসপাতালগুলোর জন্য যেখানে পাব্লিকের প্রবেশ নিষেধ। ধর্মখাত থেকে তারা অর্থ নিয়ে যান ক্যান্টনমেন্টের মসজিদের জন্য।

এসব কথা ও যুক্তি বাংলাদেশের নেতাদের কাছে অজানা নয়। সমস্যা হচ্ছে বন্দুকের শক্তিকে সমীহ করে জান বাঁচানোর তরিকা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা।

উপায় কী? ক্যান্টনমেন্টের আশীর্বাদ নির্ভরশীল নয় এমন রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের পক্ষেই সম্ভব প্রতিরক্ষা খাতের সর্বগ্রাসিতাকে থামানোর। তার পরের ধাপে আমরা আশা করতে পারি প্রতিরক্ষা খাতে আমাদের ব্যয় কত হবে তার সীমা ঠিক করা। বিকল্প কী উপায়ে দেশের প্রতিরক্ষা করা সম্ভব তার রূপরেখা ও কৌশল নির্ধারণ করে অস্ত্র কেনার অশেষ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে আরো প্রয়োজনীয় খাতগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

মনজুরাউল এর ছবি

একমত।
এ বিষয়ে মুনতাসীর মামুনের বেশ ক'টি লেখা আছে ।
ইচ্ছা আছে কম্পাইল করে একটা পোস্ট দেওয়ার ।

আপনি যে জায়গায় ছিলেন সেখান থেকে যত ভাল দেখা যায় অন্য কোন খান থেকে তেমনটি যায় না ।

সাহসী মন্তব্যের জন্য অভিনন্দন ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সেনাবাহিনীর পেছনে ব্যায়ের (সেটা উৎপাদনশীল না অনুৎপাদনশীল বা দরকারি/অদরকারি সেটা নিয়ে নানা মত রয়েছে) চেয়েও সবচেয়ে বড় খাদ হলো দূর্নীতি। এবং এই দূর্নীতির সাথে সরাসরি জড়িত হলো আমাদের রাজনীতিবিদরা। সবার আগে দূর্নীতি না থামাতে পারলে এ সমস্যার কোন সমাধান নাই।

তুলনা হিসেবে নেয়া হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সাথে ক্যন্টনমেন্টের সুযোগ সুবিধার তুলনা করা কমলা আর আপেলের তুলনার মত মনে হচ্ছে। বরং রাজনীতিবিদ ও আমলাদের পেছনে ব্যায়ের সাথে সেনাবাহিনীর ব্যায়ের তুলনা করা যুক্তিসঙ্গত হতো। সেনাবাহিনী দেশকে চুষে খাচ্ছে এমন কথা কখোনই বলতে শুনিনি। কিন্তু রাজনীতিবিদরা ও প্রশাসনের হোমরাচোমরা রা যে চুষে খেয়ে ফুলে ফেঁপে উঠছে তা দিনের আলোর মতই পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি। যারা দেশৈর উন্নয়নের সাথে সরাসরি জড়িত তাদের পেছনে জনগনের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য (দূর্নীতি) ব্যয় উৎপাদনশীল না অনুপাদনশীল সে নিয়ে কেউ আলো ফেললে বোধহয় ভালো হতো। ফলে তুলনা হিসেবে ঢাবি'র হল আর ক্যন্টনমেন্ট আমার কাছে সেন্টিমেন্টাল মনে হচ্ছে।

বরঞ্চ এ টাকার একটি অংশ দিয়ে শিক্ষা,স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ঘটানোটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক। মহসীন , শামসুন্নাহার হল ভেঙ্গে পড়ুক আর সেনাকুঞ্জে জমজমাট পার্টি হোক এমন অসমতা কারোরই কাম্য হতে পারে না।

উদ্ধৃত অংশে সেনাকুঞ্জের স্থলে অন্য কিছুও বসানো যায়। যেমন ধরুণ পার্টি চালানোর নামে গ্রহণ করা টাকার সুটকেসগুলো ভেঙে সেগুলো প্রাইমারি স্কুলের উন্নয়নে দেয়া যায়। তারপরে ধরুন খুনের মামলা থেকে রেহাই পেতে যত কোটি টাকার দফারফা হয় সেগুলোর কিয়দংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা যায়। তারপরে ধরুন স্টক এক্সচেঞ্জে দুই নম্বরি করে যারা বিদেশে টাকার পাহাড় গড়ে সেই পাহাড়ের কিছু মাটি এনে শিক্ষাখাতকে সমৃদ্ধ করা যায়। এরকম আরো অনেক কিছুই করা যায়। এগুলোকে বাদ দিয়ে শুধু সেনাবাহিনীর পেছনে ব্যয়টাকেই তুলনায় আনাটা একটু অন্যরকম শোনায়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই, আপনাকে ছোট্ট একটা হিন্টস দেই। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলের সাথে ক্যান্টনমেন্টের লিংক আছে কিনা একটু পিছন ফিরে তাকান, তাহলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে। এরশাদের আমল, জিয়া-খালেদার আমল পুরাটারই উৎস কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট। হাসি সাথে সেনা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়ারা সংবিধান কাটাছেড়া না করলে জামাতও আসে না।

তবে আপনার কথা ঠিক। রাজনীতিবিদরা খারাপ, তারা সামরিক পোশাক ছেড়ে দিয়ে হঠাৎ করে পেশাদার রাজনীতিবিদ বনুক আর ৩০ বছর মিটিং মিছিল করে নেতা হোক, তাদের দুর্ণীতি দেশের একটি বড় সমস্যা।

এই পোস্টে লেখক কিন্তু দুর্ণীতি বা পর্দার অন্তরালের লেনদেন নিয়ে কথা বলছেন না, বলছেন বৈধভাবে কাগজে কলমেই শিক্ষা ও সামরিক খাতে বাজেট বৈষম্যের কথা। বাংলাদেশের মত দেশে সামরিক খাতটা প্রায়োরিটি হিসেবে অনেক অনেক অনেক পরে আসে। ১ লাখ সেনার জন্য যে বাজেট, ১৪ কোটি মানুষের শিক্ষার জন্য সেই বাজেট। (শিক্ষা ও টেকনোলজিকে একত্রে এক খাত ধরে অঙ্কটা একটু বেশি দেখানো হয়।) এর সাথে শোহেইল ভাইয়ের গাছেরটা খাওয়া, তলারটাও কুড়ানো উদাহরণটাও যোগ করেন।

ঢাবির উদাহরণের মধ্যে সেন্টিমেন্টও যেমন আছে, তেমন আছে বিশুদ্ধ বাস্তবতা।

(সামরিক খাতটার প্রায়োরিটি কেমন হওয়া উচিত, এ নিয়ে এক্সপার্টদের কাছ থেকে পোস্ট আশা করছি। আমার কাছে বাংলাদেশের মত 'যুদ্ধ বাধার চান্স নাই' দেশে পুলিশবাহিনীকে স্ট্রং করা দরকার, সামরিক খাত অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ,)

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মূর্তালা রামাত এর ছবি

একবারে একমত।

মূর্তালা রামাত

মূর্তালা রামাত এর ছবি

রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি সম্বন্ধে পেপার পত্রিকায় আসে বলে আপনি এমন বলতে পারছেন। কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিইটা হয় সামরিক খাতে। এ খাতের খবরতো পত্রিকায় আসে না! তাই আমরা শুধু রাজনীতিবিদদের উপর দোষ চাপিয়েই খালাস। ১/১১ পর সব দুর্নীতিবাজদের ধরা হলো, সামরিকখাতে বুঝি কোন দুর্নীতিবাজ নেই!

মূর্তালা রামাত

masud এর ছবি

ব্যাপারটা খুবই পীড়াদায়ক।
বাংলাদেশের মতো গরীব দেশে সামরিক বাজেট ৮৩৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_and_federations_by_military_expenditures
অর্থাৎ ৫৮৫৯ কোটি টাকারও বেশী।

ভার্সিটি শিক্ষা খাতের বাজেট শুনুন
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ১১০ কোটি টাকা
বুয়েট ৪০ কোটি টাকা।
ভাই ৫৮৫৯ কোটি টাকা দিয়ে বুয়েটের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫৮৫৯/৪০=১৪৬.৫ বছর চলতে পারে।
কেন এই পার্থক্য?

অবশ্য চোখ বন্ধ করে থাকলে পার্থক্য খুব একতা বেশিনা।

আলমগীর এর ছবি

রাকিব হাসনাত সুমন লিখেছেন:

আলমগীর ভাই @ "প্রতিটি দুর্যোগে তারাই সম্বল"--- এটা মনে হয় হওয়া উচিত = "প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারাই সম্বল এবং এটা চাকুরীর অংশ "

তাই তো লিখেছি। আগের বাক্যের চলমান বক্তব্য। তবে চাকুরীর অংশ নয়। তাদের প্রাথমিক কাজ বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা।
masud লিখেছেন:

ভার্সিটি শিক্ষা খাতের বাজেট শুনুন
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ১১০ কোটি টাকা
বুয়েট ৪০ কোটি টাকা।
ভাই ৫৮৫৯ কোটি টাকা দিয়ে বুয়েটের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫৮৫৯/৪০=১৪৬.৫ বছর চলতে পারে।
কেন এই পার্থক্য?

কোনটাতে কী সংখ্যক লোক আছে তা না ধরলে হিসাবের কোন মানে থাকে না।

@রায়হান ভাই
এখানেও আছে, এবং ব্লাডিদেরকে ঘুরপথেই যেতে হয়।

@সবজান্তা
শ্লেষ তো থাকতেই পারে। আরো অনেক কিছুর প্রতিই আছে, তার মধ্যে মিলিটারিও আছে। সেটাই তো স্বাভাবিক, না কী?

@হিমু ভাই
ইন্ট্রিগেশনের লিমিট কোথা থেকে ধরবেন তার উপর নির্ভর করে।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী লিখেছেন:

অন্যদের মন্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, অচ্ছ্যুত বলাইয়ের মন্তব্য ও চিন্তাধারাটাই আলোচ্য বিষয়ে সবচে সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত লাইন।

শ্রদ্ধাসহ দ্বিমত হচ্ছি। চিন্তার ধারা সঠিক/ভুল এতটা নির্মোহ করে বলাটা সম্ভবত সহজ না। গণতন্ত্রের ছবকটা আমরা যেখান থেকে পেয়েছি তাদের কথাই ধরুন।
শোহেইল মতাহির চৌধুরী লিখেছেন:

আমরা জাতি হিসেবে একেবারে খালি হাতে এই দেশটি স্বাধীন করেছি। এটা একটা জনবহুল দেশ। বহির্শত্রুর আক্রমণ থেকে এ দেশকে বাঁচানোর দরকার হলে দুয়েকটা মিগ বিমানে কিচ্ছু হবে না - দেশের জনগণকেই লাঠি-বাঁশ-তীর-ধনুক নিয়ে লড়াই করতে হবে।

এটা আবেগের কথা। জাতি হিসাবে আমারা খালি হাতে জিতিনি। আকাশ থেকে আবাবিল পাথর ফেলেনি। ভারতীয় সেনাদের বিপুল অবদান আছে। আছে তৎতালীন পাকিন্তান আর্মির বাঙালী সেনাদের কথা। আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের কয়জন কে?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী লিখেছেন:

৩৭ বছর পরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সেনাবাহিনী হয়ে উঠতে পারেনি - সে ব্যর্থতা সেনানায়কদের- সোজা কথায় ক্যান্টনমেন্টের।

সেটা বিস্ময়কর কিছু না। ৩৭বছরে আমরা আমাদের জাতি- পরিচয় নির্ধারণ করতে পারিনি। রাষ্ট্রের অন্য কোন প্রতিষ্ঠানই যে রকম হওয়ার কথা হয়নি। রাজনৈতিক ব্যর্থতার জন্যই তাদের দেশ শাসনে আসতে হয়েছে।
অছ্যুৎ বলাই লিখেছেন:

আমার কাছে বাংলাদেশের মত 'যুদ্ধ বাধার চান্স নাই' দেশে

ঘর বানানোর আগে বাউন্ডারি দিই, ঘরের খাটের চেয়ে দরজায় বেশী খরচ করি। এত কিছু করেও জানি দশজন ডাকাতের ধাক্কায় লোহার কপটও ভেঙে যায়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

৩৭বছরে আমরা আমাদের জাতি- পরিচয় নির্ধারণ করতে পারিনি। রাষ্ট্রের অন্য কোন প্রতিষ্ঠানই যে রকম হওয়ার কথা হয়নি। রাজনৈতিক ব্যর্থতার জন্যই তাদের দেশ শাসনে আসতে হয়েছে।

আলমগীর ভাই, রাজনৈতিক ব্যর্থতার জন্যই সেনাবাহিনীকে দেশ শাসনে আসতে হয়েছে এটা শুনে এক মুহূর্তের জন্য হলেও একটু থমকে গেলাম। আপনি কি প্রকান্তরে মুজিব-জিয়া হত্যার পক্ষেই কথা বলছেন না? যদি না বলেন, তাহলে মুজিবকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকে আপনি কিভাবে জাস্টিফাই করবেন?

মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে, সামরিক শাসক জিয়া ক্ষমতায় এসেছে। জিয়াকে হত্যা করা হয়েছে, সামরিক শাসক এরশাদ ক্ষমতায় এসেছে। মাঝে মাত্র ১৫ বছর 'গণতন্ত্র' ছিলো, যা আবার সামরিকশক্তি দ্বারা বায়াসড। এরপরে এখন চলছে জোর করে তত্ত্ব ফর্মূলায় দেশ শাসন।

৩৭ বছরের 'ব্যর্থতার' দায় জনগণের দিকে ছুড়ে দেয়ার আগে এভাবে বারবার গণতন্ত্রকে ব্যাহত করা সামরিক বাহিনীর কথা একবারও বলবেন না, তাইলে কেমনে হয়? তারাই যে গণতন্ত্র ধবংসের মূল হোতা।

ঘর বানানোর আগে বাউন্ডারি দিই, ঘরের খাটের চেয়ে দরজায় বেশী খরচ করি। এত কিছু করেও জানি দশজন ডাকাতের ধাক্কায় লোহার কপটও ভেঙে যায়।

আমি দশজন ডাকাত সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। বাংলাদেশ তাদের প্রতিরক্ষার জন্য বাইরের কোন কোন আক্রমণ হতে পারে বলে আপনার মনে হয়? ভারত বা মায়ানমান আমাদেরকে দখল করে নিয়ে যাবে? চীন বা অন্যকেউ? এদের দখল ঠেকাতে আমাদের বর্তমান শক্তি কি যথেষ্ট? ডাকাত না থাকলে আমি খালি গায়ে মাটিতে শুয়ে ঘরের দরজা শক্ত করে লাভ কি? আর এভাবে শক্ত করার পরেও ডাকাত যদি এক ধাক্কায় দরজা ভেঙ্গে ফেলার ক্ষমতা রাখে, তাহলে আমার মাটিতে শুয়ে কষ্ট করার তো মানে নেই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

আলমগীর ভাই, রাজনৈতিক ব্যর্থতার জন্যই সেনাবাহিনীকে দেশ শাসনে আসতে হয়েছে এটা শুনে এক মুহূর্তের জন্য হলেও একটু থমকে গেলাম। আপনি কি প্রকান্তরে মুজিব-জিয়া হত্যার পক্ষেই কথা বলছেন না?

ঠিক তা না। আমি কেবল সাম্প্রতিক ক্ষমতা বদলের কথা বলছিলাম। জিয়া বা মুজিবের হত্যা বিদায় নিয়ে অন্য সময় বলব।

(একটু দৌড়ের উপর আছি।)

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আমার মন্তব্যের জবাবে আলমগীর প্রতি-মন্তব্য করেছেন। তার একটা জবাব দেয়া দরকার বলেই এই মন্তব্য। নতুবা ভুল বুঝাবুঝি থেকে যায়।

চিন্তার ধারা সঠিক/ভুল এতটা নির্মোহ করে বলাটা সম্ভবত সহজ না।

সহজ না বিষয়টিকেই যতদূর সহজ করে বলা যায় তার চেষ্টাই করেছি। কারণ সব বিতর্ক শেষে আমাদেরকে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবেই - রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য। আবারও বলছি অচ্ছ্যুত বলাইয়ের লাইনটাই অধিক যুক্তিসঙ্গত। বন্দুকধারীদের পাহারায় দেয়া যায়, ব্যবস্থাপনায় নয়। যাদেরকে মার্চ-পাস্ট আর গুলি করতে শিখিয়েছেন তাদেরকে দায়িত্ব দিলে ক্রিকেট টিমকেও কম্যান্ডো ট্রেনিং দেয় - এতো সচক্ষে দেখেছেন। ফলাফলও জানা।

এটা আবেগের কথা। জাতি হিসাবে আমারা খালি হাতে জিতিনি।
ভারত, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বহুবার যুদ্ধ করেছে তার কোনোটাতে জিতেছে কি? অস্ত্রের মজুদ যুদ্ধের জয় নিশ্চিত করে না। শেষ পর্যন্ত মাটি ও মানুষই আসল। সৈন্য - ভাড়াটে হোক আর কর্মচারি হোক - যুদ্ধ জয় করে দিতে পারে না। মাটিকে শত্রু মুক্ত করতে পারে দেশের জনগণ। যারা বেতন বা চুক্তির টাকার জন্য নয়, দেশপ্রেমের আবেগে রক্ত ঢেলে দেয়। তো শেষ পর্যন্ত ঐ আবেগের কথাটাই বড় কথা।

আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের কয়জন কে?

এই প্রশ্নটা করবার আগে বীরশ্রেষ্ঠর তালিকায় আর কাদের কাদের নাম ছিল, সরকার প্রধানের কাছে সে তালিকা চূড়ান্তভাবে পেশ করার আগে সদ্য স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী ছিল, এর পেছনে রাজনীতিটা কোথায়, এই তালিকা দেখে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা কী পরিমাণ ক্ষুব্ধ হয়েছিল এসব তথ্য জানা দরকার। সেনাসদস্য ছিলেন না এমন মুক্তিযোদ্ধাদের রচিত বইতে এসব কষ্টকর চাপা গোঙানির কথা আছে।

ও হ্যা, আবেগের সূত্র ধরে আরেকটা কথা। আপনার যদি ধারণা হয়ে থাকে যে, বাংলাদেশ বহির্শত্রুর হাতে আক্রান্ত হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীই তাকে রুখতে যথেষ্ট তবে সেটা অচিরেই সংশোধন দরকার। আমাদের তিনদিক ঘিরে আছে ভারত। ভারতের সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো তার হিসাব আপনি যেকোনো সেনা কর্মকর্তার কাছে পাবেন। এবং সেরকম পরিস্থিতিতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কেন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা সম্ভব হবে না তাও একই সাথে তিনি বলবেন।
এটা কোনো আবেগের কথা নয় আলমগীর। শেষ পর্যন্ত খালি হাতের জনগণই ভরসা। 'যার যা হাতে আছে তাই নিয়েই' দেশ রক্ষা করতে হবে। দেশের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় এর চেয়ে বড় সমাধান নাই।

......
অন্য খাতের বাজেট বরাদ্দের টাকা নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে খরচ করার প্রবণতার তথ্যটির বিরুদ্ধাচারণ আপনি করেননি। তার মানে আপনি এটি সম্পর্কে অবগত এবং এ বিষয়টিতে আপনি একমত।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আমি আপনার সাথে একমত নই । সেনাবাহিনী যতোই কাজের হোক বাংলাদেশের মতো গরিব ছোট দেশের জন্য এতো বড় সেনাবাহিনীর কোন প্রয়োজন নেই । আর তাদের যে বিলাসবহুল জীবনযাপন সেটার চন্য আমরা কেনো ভূক্তভোগী হবো। সেনাবাহিনীকে সামাজিক উৎপাদনশীল খাতে নিয়োজিত করা উচিত। যেমনটা কর্নেল তাহের শুরু করেছিলেন। বিশ্বের কোন দেশের ক্যান্টনমেন্টে সিভিলিয়ানরা ঢুকতে পারে না ঠিক কিন্তু আমাদের দেশের মতো তারা জবাবদিহিতার বাইরে নয়। অন্য দেশে রদিকে তাকান । বেশি পেছনে যেতে হবে না রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতায় থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করলো, তারপর? দেশের মঙ্গলের জন্যই তারা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে স্বেচ্ছায় সরে গেলো। আর আমাদের দেশের দিকে তাকান- সেনাবাহিনী যতোবারই ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে ততোবারই দেশের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে। তাই বলে দেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু দেশের স্বর্থেই তাদের রাজকীয় জীবনযাপন অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। একইভাবে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর অবদানকে অস্বীকার করাটাও বিশ্বাসঘাতকতার পর্যায়ে পড়ে যায়। স্বধীন বাংলাদেশের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অবদান তাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ না বলে উপায় নেই। এবং মান যতোই নিচে নামুক এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বলয়েই দেশের সর্বোচ্চ জ্ঞান চর্চা হয়ে থাকে।

আমার লেখার মূল ছিলো সামরিক খাতের জৌলুস আর শিক্ষা খাতের দৈন্যদশা। এদুটোর দূরত্ব বোঝাতেই চলক হিসেবে ক্যান্টনমেন্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এসেছে। ইতিহাস ঘেটে অবদান খুঁজলে দেখা যাবে এ দেশের জন্য ক্যান্টনমেন্ট নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই বারবার ত্রাতা হয়ে এসেছে। তাই আমাদের দেশে সামরিক নয় শিক্ষা খাতকেই সবসময় অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। একটা ক্যান্টমেন্টের খরচ দিয়ে যদি হাজারটা স্কুল চালানো যায় তবে সেটাই আমরা চাই। কারণ পরাক্রমশালী স্পার্টা বিলীন হয়ে যায় কিন্তু জ্ঞানের এথেন্স টিকে থাকে সবসময়।

মূর্তালা রামাত

কনফুসিয়াস এর ছবি

অনেক আলোচনা, সবগুলোতে অংশগ্রহণের মত জ্ঞান বা ইচ্ছা আমার নেই। যেহেতু আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তাই আমি শুধু রায়হানের কথার উত্তর দিই।

রায়হান,
আমার দু"লাইনের মন্তব্যের অর্থ সোজাসাপ্টা ছিলো। মূর্তালার পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে, মানে, শিক্ষাখাত আর সেনাবাহিনীর খাত- এই ব্যাপারটা নিয়ে একমত। আমাদের গরীব দেশের এত বড় সেনাবাহিনীর দরকার কি না, সেটা পুনর্বিবেচনার দাবীটা ভীষণ যৌক্তিক। তারপরেও পোস্টটা পড়ে আমার মনে হয়েছে, ঢাবির ছাত্র হলের সাথে সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টের তুলনাটা চলে না।
*
ক্যান্টনমেন্টের রাস্তা ব্যবহার নিয়ে যেটা বললে, আসলে, পৃথিবীর এমন কোন দেশই নেই যেখানে ক্যান্টনমেন্টে বেসামরিক লোকজনদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত হয় না, সব দেশেই হয়। আমাদের দেশে ব্যাপারটা এত বেশি চোখে পড়ার কারণ, ক্যান্টনমেন্টের অবস্থান। এরকম করে রাজধানীর এরকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় (ঠিক মাঝখানে!) ক্যান্টনমেন্ট বসানোটা নগর পরিকল্পনার হিসেবে একটা বিরাট ত্রুটি। এটা যতটা না সামরিকবাহিনীর দোষ, তারচেয়ে বেশি নগর পরিকল্পকদের দোষ। অন্য শহরের ক্যান্টনমেন্টগুলো বেশিরভাগই শহরের বাইরে, এবং ওগুলো নিয়ে ঢাকা ক্যান্ট-এর মত এত বেশি অভিযোগও পাবেনা।

আর দ্বিতীয়ত, ঢাবি-র ছাত্র আর সেনাবাহিনীর অফিসারের তুলনা, এটাও পার্ফেক্ট না।
উদাহরণ দিই। ইশকুল/কলেজ পাশ করে আমি ভর্তি হলাম ঢাবিতে, আমার অন্য কোন সহপাঠী হয়ত গেছে সামরিক বাহিনীতে। এবং এই জায়গা থেকেই আমাদের ক্ষেত্র আলাদা হয়ে গেছে। আমার পরিবেশ এবং দেশের প্রতি আমাদের ও আমাদের প্রতি দেশের দেনা-পাওনা বিষয়ক হিসাব নিকাশও আলাদা হয়ে গেছে। আমার ইচ্ছে ছিলো উচ্চ শিক্ষা, আমি তাই সরকারের বিধান অনুযায়ী পরীক্ষায় বসে ঢাবিতে ভর্তি হয়েছি, অন্যদিকে আমার অন্য সহপাঠীও ঐ সরকার প্রবর্তিত পদ্ধতি অনুসারেই সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। সুতরাং সরকার আমাদের এই দুই ক্ষেত্রের নাগরিকদের ঠিক একই সুবিধা কেন দেবে? যেখানে নিজেদের ক্ষেত্র বাছাইয়ের প্রতিযোগীতার সুযোগ আমরা নিজেরাই বেছে নিচ্ছি!
আর্মি অফিসাররা কতটুকু সুবিধাদি পায়, তার আগে আসো একটু আত্মসমালোচনা করি। ঢাবি-র ছাত্র হিসেবে আমি কি কি সুবিধা পেয়েছি।
অনার্সের সময়টুকুতে এডুকেশন কস্ট- আমার ধারণা সব মিলিয়ে পনের হাজার টাকার মত। কিন্তু সরকারের কত খরচ হয়? খানিকটা ধারণা পাবে যদি প্রাইভেট ইউনিগুলোয় তাকাও। ওখানে একজনের জন্যে সব মিলিয়ে খরচ লাগে, ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। তার তুলনায় পনেরহাজারকে কিরকম মনে হয়? সরকার আমাকে সুবিধা দেয়নি বললে তো বেঈমানি করা হবে।
ঢাকায় একমোডেশান খরচ কত, এই নিয়ে বেশি না বললেও চলে। একুশে হলে আমি বাৎসরিক বোধহয় আট/ন়য়শ টাকা দিয়ে থাকতাম। মানে মাসে ষাট থেকে পঁচাত্তর টাকা। এই টাকায় ঢাকায় একটা ফুটপাথ ভাড়া করে থাকা যাবে কি না সন্দেহ।
আমার নিজের ধারনা, ভাঙ্গা হলে থাকতাম বা ক্যান্টিনে খারাপ খাবার খেতাম, এর জন্যে সরকারের চেয়ে বেশি দায়ী ছিলো আমাদের দূর্নীতিগ্রস্থ সিস্টেম। টাকার বরাদ্দ কম নেই, কিন্তু তার সঠিক ব্যবহার কোথাও হয় না।

সামরিক বাহিনীদের সবগুলা সুযোগ সুবিধা আমার জানা নেই, তাই পয়েন্ট বাই পয়েন্ট বলতে পারছি না। তবে, ঢাবির ছাত্রাবস্থায় ওরা আমাদের থেকে খুব ভাল ছিলো, এটা আমার কখনও মনে হয়নি। আমারতো বরং করুণাই হয়েছে। পরিবারের সাথে থাকা, পারিবারিক সব অনুষঠানে উপস্থিত থাকা, বা নিজের স্বাধীনতা, শিল্প সাহিত্যের সংস্পর্শে থাকা- এর প্রতিটাতেই ঢাবির ছাত্র হিসেবে আমি ওদের চেয়ে বেশি সুবিধাভোগী। সরকার ওদের পেছনেও খরচ করছে, আমার পেছনেও করছে, কিন্তু বিনিময়ে আমার ব্যক্তি জীবনকে পুরোপুরি উৎসর্গ করে দিতে হয়নি, এটুকু কম কিসে?
ওদের পার্টিতে অনেক অপচয় হয়, খুবই সত্য কথা। কিন্তু আমরা কি অপচয় করিনি? প্রতিটা পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনের আর্থিক ও সামাজিক অপচয় কতটুকু, সে সম্পর্কে তোমার কোন ধারণা আছে?

মহাখালীর রাস্তা বা যানজটের কারণে তুমি ভীষণ বিরক্ত ক্যান্টনমেন্টের উপরে, কমবেশি আমিও। কিন্তু, ঢাবিতে পড়ার সময়ই কোথাকার কে যেন একটা প্রতিবেদন করেছিলো, ঢাকায় যানজটের মুল কারণ বা এরকম কিছু। তখন নিউমার্কেট, গুলিস্তান, গাবতলী- এই জায়গাগুলোর সাথে যানজটের অন্যতম প্রধান কারন হিসেবে আর কি কি ছিলো তালিকায় জানো? ছিলো ক্যান্টনমেন্ট, এবং ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবি-র ছাত্র হিসেবে আমিও তখন খুব চটে গেছিলাম, আত্মসমালোচনার অভ্যেস নেই যে!
এইটুকু লিখতে লিখতে মনে পড়লো- আমরা যখন ছিলাম, ঢাবির ভেতর দিয়ে "জনসাধারণের পরিবহনের জন্যে ব্যবহৃত" যানবাহনগুলোর চলাচলও কিন্তু নিষিদ্ধ ছিলো। ক্যান্টনমেন্টের চেয়ে আমরা কম কিসে? তুমি গাল দিচ্ছো ওদের, এদিকে দেখ, মিরপুর ১০ থেকে গুলিস্তানগামী বাসের ড্রাইভার শাহবাগের জ্যামে বসে রোদে ঘামে পুড়তে পুড়তে তারচেয়েও খারাপ গাল দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়অলাদের! কিন্তু কার দোষ দিবা তুমি? ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার চলাচলের জন্যে আমাদের রাস্তা দরকার, আর সামরিক লোকেদের নিরবচ্ছিন্ন চলাচলের জন্যে ওদেরও রাস্তা দরকার।
দেশের খেটে খাওয়া গরীব কৃষক, বা শ্রমজীবি মানুষটার ট্যাক্সের টাকায় দেশ আমাদের দুজনকেই পুষছে, নিমক হারামী যদি করি তো দুজনেই করছি, তাহলে গাল দেবার সময় কেন নিজেরটা ভুলে যাবো?

যদি, তুলনা করতে চাও, তাহলে এই কথাগুলো আসে, এই অপ্রিয় কথাগুলো আসে, যে কথাগুলোর উচ্চারণ বেশ বিপজ্জনক। নিজেকে ব্রাত্য করে দিতে পারে এরকম সব কথা, একঘরে করে দিতে পারে।
সেজন্যেই বলি, তুলনা আসে না। আসে না কারণ, বাছাই প্রক্রিয়ার সাথে সাথেই এই তুলনার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, দুইটা ক্ষেত্র আলাদা হয়ে গেছে, দুই ক্ষেত্রের মানুষদের গন্তব্য, দায়িত্বএর ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে।

*
উপরের দুই লাইন মন্তব্যে আমি এটাই বুঝিয়েছিলাম। তুলনায় না গিয়ে আমরা পুরো সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন করতে পারি, পরিসংখ্যানের শক্ত মেঝেতে দাঁড়িয়ে এই সিস্টেমের থাকা না থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে কথা বলতে পারি, করা উচিৎও। মুর্তালা তাই করেছে, পরবর্তীতে মন্তব্যেও সে কথাই বলেছে, এবং আমি তার সাথে একমত।
আশা করি বোঝাতে পারলাম।

--------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রায়হান আবীর এর ছবি

কনফু ভাই,
আপন বিশাল মন্তব্য মন দিয়ে পড়লাম। আপনার কথা ফেলে দেবার উপায় নেই।
কলেজের যেসব পোলাইপাইন আরমি তে গেছে তাদের কথা মনে পড়এ গেলো। আহা বেচারারা বড় কষ্টে আছে। তার বিনিময় বেশী সুযোগ সুনিধা তারা পেতেই পারে।
শেষ কথা হলো আসলেই কি আমাদের এই বিশাল সেনাবাহিনীর দরকার আছে? সেটা নিয়েই এখন ভাবতে হবে। সিস্টেমটা নিয়ে ভাবতে হবে।
ভালো থাকবেন।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

বর্তমান বাস্তবতায় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি টাকা পয়সা খরচ করাটা অপ্রয়োজনীয়।

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍পোস্ট, মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য সবই সুখপাঠ্য লাগলো।

মূর্তালা রামাত-এর বক্তব্যের সাথে একাত্মতা বোধ করছি। ছাত্রাবস্থায় এককালীন সহপাঠী ক্যাপ্টেনদের সুযোগ-সুবিধার বহর, পোজপাজ, দাপট আর ক্ষমতার অপপ্রয়োগ নিজের চোখে দেখে তখনই আমার মনে হয়েছিল: আমরা এতোদিন ভুল জেনে এসেছি - শিক্ষা নয়, সামরিক বাহিনীই জাতির মেরুদণ্ড।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।