রাতের শেষ গাড়ি

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৬/২০০৮ - ৯:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাতের শেষ টেম্পু এটা। যাত্রী বেশি হবে না জানা কথা। তবু হেলপার শহীদ উচ্চ কন্ঠে ডাকছে - ঐ কুসুম পুর! ঐ কুসুম পুর! আকাশে গোলগাল চাঁদ উঠেছে। মফস্বলের রাস্তা চলে গেছে একেবারে কুসুম পুর অবধি। নতুন পিচ ঢালাই হয়েছে বলে বেশ মসৃন। রাস্তার দুপাশে ঝোপঝাড়, গাছপালা। বাঁধভাঙা জোছনায় অপূর্ব পরিবেশ। শহীদ অধৈর্য হয়ে ডেকে চলেছে - ঐ কুসুম পুর! শেষ গাড়ি গেল গা। ঐ কুসুম পুর!

শহীদের অধৈর্য হবার কারন আছে। তার মা আজ তাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলেছেন। তার বড় বোন আজ বেড়াতে এসেছে। সাথে ফুটফুটে দেড় বছরের ছেলে। খালি হাসে আর শহীদকে মামা মামা বলে ডাকে। সে ডাক শুনলে শহীদের মনটা ভরে যায়। তাছাড়া বাড়িতে আজ ভালো রান্না হবে। হাঁসের গোস্ত, চালের রুটি। ভাবতেই শহীদের জিভে পানি এসে যাচ্ছে। অভাবের সংসারে বছরে খুব বেশি দিন তারা এসব খাবার খেতে পারে না। শহীদের গলা আরো চড়লো - ঐ কুসুম পুর! শেষ গাড়ি গেল গা। ঐ কুসুম পুর!

রাত এখন নটা বাজে। মফস্বল শহরে এটাই গভীর রাত। টেম্পুর সামনের সিটে বিরস মুখে কালাম বসে আছে। সে টেম্পুর ড্রাইভার। আজ তার মনটা খুব খারাপ। এক মাস হলো সে বিয়ে করেছে। হাতে এখনো মেহেদীর দাগ রয়েছে। বিয়ের পর কি যে সুখে কেটেছে তার দিনগুলো। বউ যেন তার সোনার পুতুল। তবে সে পুতুলের মুখের কথায় ধার আছে। পান থেকে চুন খসলেই সে কালামকে কথা শোনায়। কালাম হাসি মুখে সব সহ্য করে। কিন্তু আজ সকালে আর সহ্য করতে পারেনি। সোনার পুতুলের গালে বসিয়ে দিয়েছে এক থাপড়। তারপর বেড়িয়ে পড়েছে টেম্পু নিয়ে। এখন তার মনটা ভারী হয়ে আছে। মনে হচ্ছে কাজটা ঠিক হয়নি। আহা তার আদরের বউকে সে কিভাবে অত বড় চড়টা মারলো ! বউটা তার কিছুই বলেনি। শুধু চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছিল। কালাম এখন মনে মনে ভীষন অনুতপ্ত হচ্ছে। সে আজ বাড়ি গিয়ে বউ'র কাছে মাফ চাইবে। যদি পা ধরতে হয়, তবে তাও সই। সে অধৈর্য হয়ে উঠলো। শহীদকে ডেকে বলল - ঐ শহীদ জেড়ে জোড়ে ডাক। তিন চারজন হইলেই ছাইড়া দিমু। শহীদ আবারও জোড় গলায় ডাকতে লাগলো - ঐ কুসুম পুর! শেষ গাড়ি গেল গা। কুসুম পুর!

টেম্পুর প্রথম যাত্রী আহমেদ আলী। হাতে তার প্রকান্ড এক রুই মাছ। সে এখানে এসেছিল কাজে। বাজারের মধ্যদিয়ে যাবার সময় দেখল এক জেলে এ রুই মাছটা নিয়ে বসে আছে। অমনি তার মনে হলো কতো দিন সে বড় কোন মাছ খায় না। আসলে কেনার সামর্থ নেই। তার ছেলে-মেয়েরা নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে না পেয়ে টিং টিংয়ে হয়ে বেড়ে উঠছে। আজ তার মাছটা দেথে লোভ হলো। সে যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে তার ছেলে-মেয়ে দুটো কি আনন্দে বড় মাছের টুকরা দিয়ে ভাত খাচ্ছে। মাসের সবে শুরু বলে তার পকেটে টাকা ছিল। তা দিয়ে সে আর কিছু না ভেবেই মাছটা কিনে ফেলল। তারপর হুশ হতে হিসেব করে দেখলো মাসের শেষ দশদিন সন্তানদের নিয়ে তাকে প্রায় না খেয়েই থাকতে হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা হলেও তার মনে আনন্দও কম হচ্ছিল না। বহুদিন পর সে তার বউ ছেলে-মেয়ের মুখে খুশি দেখতে পাবে। তারা আনন্দ করে আজ ভাত খাবে। সে অধির আগ্রহে টেম্পুতে এসে উঠলো তাড়াতাড়ি বাড়ি যাবার তাড়ায়।

এরপর টেম্পুতে একসাথে দুজন এসে উঠলো। একটি মেয়ে, একটি ছেলে। কারও বয়সই বিশের অধিক নয়। তারা দুজন পালিয়ে এসেছে বাড়ি থেকে। কলির বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল পাশের গ্রামের এক তরুনের সাথে। কিন্তু কলির চাই সেলিমকে। আর সেলিমেরও চাই কলিকে। তাই রাতের আঁধারে তারা ঘর ছেড়েছে। চোখে তাদের নতুন দিনের স্বপ্ন। সুখের স্বপ্ন। আজ রাতটা তারা কোনমতে কুসুম পুর কাটিয়ে কাল সকালে শহরের বাস ধরবে। শহরে দুজনেই তারা কাজ করবে। একটা ছোট বাসা নেবে। ছোট্ট সংসার নিজেদের ইচ্ছা মত সাজাবে। বাধা দেবার কেউ থাকবে না। কলি সেলিমের হাত ধরে আছে শক্ত করে। মনে তার গভীর উত্কন্ঠা - কখন তারা স্বপ্নের শহরে পৌঁছুবে ?

টেম্পুর চতুর্থ যাত্রী হলো যে, সে এক বাউন্ডুলে গাঁজা খোড়। খালি গা। শাদা একটা লুঙ্গি পড়ে আছে কোমরের নিচে। লম্বা উস্কখুস্ক চুল। মোচ রেখেছে বেশ চওড়া। মুখে ফিচলে হাসি। সে টেম্পুতে উঠতে উঠতে হেলপার শহীদকে বলল - টেম্পুতো এহন খালিই যাইবো। আমারে এট্টু লইয়া যাও কুসুম পুর। শহীদ বাধা দিল না। আসলেই তো টেম্পু খালি যাবে। বাউন্ডুলের নাম মজনু। তার কুসুম পুর যাবার বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নেই। আসলে চাঁদনি রাতে তার মনটা কেমন উদাস হয়ে যায়। ঘরে থাকতে ইচ্ছা করে না। তাই এমন রাত এলে সে বেড়িয়ে পড়ে। কোথায় কোথায় যায়। আর চাঁদের আলোয় প্রকৃতি কেমন স্বপ্নীল হয়ে যায় তাই দেখে চেয়ে চেয়ে। সে ঠিক করলো কুসুম পুর গিয়ে নদীর পাড়ে চলে যাবে। সেখানে শুয়ে বসে সে চাঁদের আলোয় প্রান জুড়াবে আর কোঁচড়ে তো গাঁজা আছেই। অমন খোলা হাওয়ায় সুখটান ভালোই জমবে।

ড্রাইভার কালাম আর অপেক্ষা করলো না। সে টেম্পু ছেড়ে দিল। রাতের শেষ ট্রিপে তিন-চারজন পাওয়া গেছে এটাই বেশি। মাঝে মাঝে খালিও যেতে হয়। টেম্পু ছোটা শুরু করলো। সাথে সাথে ছুটলো গোল চাঁদ। গাছপালা পেছনে সরে যাচ্ছে। শহীদ টেম্পুর পেছনে দাঁড়িয়ে গান ধরলো - গুরু উপায় বলো না.......

কালাম টেম্পুর গতি প্রায় সর্বোচ্চ সীমায় তুলল। রাতের খালি রাস্তা তাই গতি বাড়াতে কোন সমস্যা নেই। শুধু কিছুদূর গিয়ে বাঁয়ে একটা মোড় আছে। সেখানে গতি কমাতে হবে। টেম্পু ছুটে চলেছে প্রচন্ড বেগে। একটু পরে দূরে সেই বাঁক দেখা গেল। কালাম খুব ভালো করেই জানে ঠিক কোন পয়েন্টে গিয়ে তাকে ব্রেকে পা রাখতে হবে। তাই তখনো সে গতি কমালো না। আরেকটু সময় গেল। তারপর কালাম ব্রেকে পা দাবালো। ক্লাচ চেপে ধরলো বাঁ হাতে। কিন্তু গতি কমলো না। সে এবার গিয়ার নিউট্রাল করে আবার ব্রেকে পা দাবালো। কিন্তু কিছুই হলো না। টেম্পু যেমন ছুটছিল তেমনি ছুটতে লাগলো প্রচন্ড গতিতে। কালামের বুক ধরাস করে উঠলো। সে আবার প্রানপনে ব্রেক চাপলো। কিন্তু কোন ফল হলো না। বাঁকটা ঝড়ের বেগে কাছে চলে আসছে।

রাস্তার ঐ বাঁকের মুখেই শামিমের দোকান। সে আজ দোকানেই রাত কাটাবে ঠিক করেছে। নতুন করে দোকান গোছাতে হবে তাই। ইতিমধ্যে সে অনেকখানি গুছিয়ে ফেলেছে। বাকিটা আগামীকাল গোছাবে ভেবে সে ঘুমানোর আয়োজন করতে লাগলো। তার বাবা মারা গিয়েছেন প্রায় এক বছর হলো। যে অল্প কটা টাকা তিনি রেখে গেছেন, তা দিয়ে শামিম দোকান দিয়েছে। তার মনে অনেক স্বপ্ন। তার দোকান সে ধিরে ধিরে আরো বড় করবে। অনেক টাকা জমাবে সে। মাকে আর কাজ করতে দেবে না। একটা বিয়ে করবে। তার বউ খুব সুন্দরী না হলেও চলবে। কিন্তু মন ভালো হতে হবে। তবে সবার আগে শামিম তার দোকানটা ভালো করে চালাবে। তার অনেক টাকা চাই। আর সে গরীব থাকতে চায় না। আগামী কালই সে দোকানে যারা বাকি ফেলেছে তাদের টাকা শোধ দেবার তাগাদা দেবে। শোবার আগে শামিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার জন্য রাস্তায় নামলো। দূর থেকে একটা টেম্পুর শব্দ ভেসে আসছে। তার হেড লাইটের আলোও দেখা যাচ্ছে। খুব দ্রুত টেম্পুটা এগিয়ে আসছে। শামিম রাস্তার ডান ধারে মোটা কদম গাছটার নিচে বসলো প্রস্রাব করতে।

কালাম কিছুতেই টেম্পুর গতি কমাতে পারছে না। সে পাগলের মত পা দিয়ে ব্রেক চাপছে। কিন্তু টেম্পুর গতি অপরিবর্তনীয়। বাঁকটা ক্রমেই কাছে চলে আসছে। তাকে বাঁয়ে ঘুরতে হবে। কিন্তু সে জানে এ গতিতে তা সম্ভব নয়। টেম্পু যেন উড়ে চলেছে। বাঁকের কাছে এসে কালাম বাঁদিকে হ্যান্ডেল ঘুরালো। কিন্তু টেম্পু তার কথা শুনলো না। প্রথমে সেটা উল্টে গেল। তারপর তিন চারটা পল্টি খেয়ে প্রচন্ড গতিতে গিয়ে আঘাত করলো সেই কদম গাছের গোড়ায়। তারপর সেখানে উল্টে পড়ে রইলো। টেম্পুর সাথে সাথে চাঁদের চলাও থামলো। তবে তার ঔজ্বল্য একটুও মলিন হলোনা। সে তেমনি উজ্জ্বল হয়ে জোছনা বিলোতে লাগলো চরাচরে। টেম্পুর পেছনের দুটি চাকা তখনো ঘুরছে বন বন করে ছুটে চলার স্পৃহায়।


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাল লাগলো পড়ে। কাছাকাছি দুটো লেখা আছে আগের। একটা শ্যাজাদি'র, একটা অধমের। পড়ে দেখতে পারেন।

ছোট্ট একটা গল্প যে উপন্যাসের মত বিশাল হতে পারে, সেটা মনে হয়েছিল শ্যাজাদি'র লেখাটা পড়ে।

কীর্তিনাশা এর ছবি

রউফ ভাই, পড়লাম দুটোই এবং অনন্য লাগলো।
---------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

জি.এম.তানিম এর ছবি

ভালো লাগলো!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

জেনে খুশি হলাম।

------------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

এতদিন চাপাবাজি করলেন ক্যালা? এমন চমৎকার একটা গল্প বানইয়াও কইবেন পারতাছি না? আপনেগরে লইয়া কুনহানে যাই, বুজবার পারতাছি না! মুখ দিয়া চাপাবাজি চলে মগর কলম চাপাবাজি করে না। ধন্যবাদ দিয়া ভ্যাজাল বাজামু না। খালি কই- সুন্দর একটা গল্প!

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই। সুন্দর মন্তব্যের জন্য। তয় বেশি কইলাম ফুলাইয়েন না। ফাইটা যামু।

----------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ইসসস মন খারাপ খুব মন খারাপ হয়ে গেল মন খারাপ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার মন খারাপ করে দেবার জন্য দুঃখিত। কিন্তু কি করবো বলুন? জীবনটা তো এমনই তাই না?

-----------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আপনি দুঃখিত হচ্ছেন কেন? জীবনটা যে এমন তাই ভেবে কষ্ট লাগল, আপনি অনেক অনেক ভাল লিখেছেন চলুক
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ, আপনার প্রশংসার জন্য।
--------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধুগো ভাই, আপনে যখন কইলেন তাইলে তো মনে হয় দারুনই হইছে!

---------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো।

রাফি

কীর্তিনাশা এর ছবি

কেমন ভালো?
----------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রায়হান আবীর এর ছবি

অতিব ভাল্লাগছে ওস্তাদ। জাঝা

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

কীর্তিনাশা এর ছবি

এতই যদি ভালো লাগলো তাইলে ফাঁছ খান তারা দিয়া দিতেন না হয় ওস্তাদ!

-----------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাহ্... দারুণ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।

-------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍সবই ভালো, তবে
গল্পের ক্যাটেগরী কি আসলেই অণুগল্প?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কীর্তিনাশা এর ছবি

সন্ন্যাসী ভাই ধরছেন ঠিকই। এইটা আসলে অনুগল্প না, ছোট গল্প।

------------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

দ্রোহী এর ছবি

গল্পের ইয়ে ভাল !


কি মাঝি? ডরাইলা?

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহী ভাই।

-------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার অনুগল্প বিশাল ভালো হয়েছে।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ শিমুল আপু।

-------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রেনেট এর ছবি

গল্পটা খুবই জীবন্ত। সব যেন চোখের সামনে ভাসলো। সার্থক আপনার গল্প লেখা!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

কীর্তিনাশা এর ছবি

পড়া ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ রেনেট।

--------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।