একটি অনুগল্প : মোবাইল প্রেম

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: সোম, ২২/১২/২০০৮ - ১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চারটা বাজতে পনের মিনিট বাকি। রমনা পার্কের ভেতরে দাঁড়িয়ে রুহুল এই শীতেও দর দর করে ঘামছে। তার সামনে হিমেল দাঁড়িয়ে আছে। সে রুহুলকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বলল - 'দোস্ত সব ঠিক আছে। দেখতে তোকে পুরা শাহরুখের মতো লাগছে। এখন যা সব কিছু নিয়ে বটমূলে গিয়ে দাঁড়া।’ রুহুল পকেট থেকে একটা টিস্যু বের করে মুখ মুছলো। তারপর বলল - 'দাঁড়া আর পাঁচ মিনিট পরে যাই। এখনও তো পনের মিনিট বাকি আছে।’ একটু থেমে সে আবারো বলল - ’হিমেল, দোস্ত, আমার তো খুব টেনশন হচ্ছে। সব ঠিক মতো হবে তো? নাকি গুবলেট পাকাবে?’ হিমেল রুহুলকে সাহস দেয় - 'কোন ডরান্তিস নাই এইখানে। তুই মরদ পোলা, মরদের মতো সিচুয়েশন ট্যাকল্ দিবি। আর মাইয়ারে ফোনে যে ভাজ দিছিস! দেখবি ঘটনা একেবারে জলবৎতরলং ভাবে ঘটে যাবে।’ তার কথায় রুহুল একটু সাহস পায়। সে ফুলের তোড়া, বই আর শাড়ির প্যাকেট নিয়ে বটমূলের দিকে রওনা হয়।

এবারে পেছনের ঘটনা সংক্ষেপে বলে নেয়া ভালো। রুহুলের এক মেয়ের সাথে প্রেম হয়েছে। মোবাইল প্রেম। মানে যে প্রেম মোবাইলে আলাপ করতে গিয়ে হয়েছে আর কি। কেউ কাউকে না দেখেই। কিছুদিন আগে এক রাতে রুহুলের মোবাইলে একটা মিসকল আসে। রুহুল কল ব্যাক করতেই ওপাশে এক মেয়ে কন্ঠ। তারপর যা হবার তাই। ফোনে ফোনে আলাপ জমে ওঠে। রাতের পর রাত কথা হয়। কথায় কথায় ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। নিঃশ্বাস ঘন হয়। আর প্রেমের আগমন ঘটে। সে কি প্রেম! দিনে এক ঘন্টা অন্তর একে অপরকে একবার অন্তত মিসকল না দিলে প্রান আইঢাঁই করে। রাতের চার ভাগের তিন ভাগ যার মধ্যে অবশ্যই শেষ যাম থাকতে হবে, কথা না বললে মরে যেতে ইচ্ছা হয়।

কথায় কথায় একটা সময় ঠিক হয় তারা এবার দেখা করবে। তবে মেয়েটা ভয় পায়। বলে - ’জান্টু, আমার মা ভিষণ দজ্জাল। টের পেলে আমাকে মেরে টুকরো টুকরো করে কুকুরকে খাওয়াবে। তোমাকেও ছাড়বে না। ছাদে টাঙিয়ে রেখে কাঁক-চিলকে খাওয়াবে।’ এ কথায় রুহুল একটু ভয় খায়। দমে যায়। তবে প্রেমের জোশও কম নয়। সেই জোশে সে ভয়কে জয় করে । বলে - ’ভয় পেয়োনা সোনা! জানোই তো প্রেমের মরা জলে ডোবে না। আমরাও ডুববো না। প্রেমের সাগর পাড়ি দিয়ে ঠিকই সুখে ঘর সংসার করবো।’ কিন্তু তবু মেয়েটা ভয় পায়। দেখা করবো করবো করেও দেখা করে না। রুহুলের মন খারাপ হয়। রুহুলের জিগরি দোস্ত হিমেল সব ঘটনাই জানে। সে রুহুলকে আশ্বাস দেয়। ধৈর্য ধরতে বলে। বলে - সবুরে অতি সুস্বাদু মেওয়া ফলে।

সেই মেওয়া ফলার সময় অবশেষে এসেছে। আজ সকালে মেয়ে হঠাৎ ফোন করেছে। রুহুল তখন সারা রাত কথা বলার ধকলে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল। সে ঘুম কাতুরে কন্ঠেই বলে - 'সোনা আমার, জান আমার! এত সকালে ফোন করেছ? ঘুমাওনি বুঝি?’ মেয়ে উত্তর দেয় - 'না। শোন গতকাল রাতে লেপ গায়ে দিয়ে শুইনি বলে ঠান্ডা লেগেছে। গলা কেমন ভারি আর মোটা শোনাচ্ছে,তাই না?’ রুহুল সায় দেয়। মেয়ে আবার বলে - 'শোন, শরীরটা খুবই খারাপ লাগছে আমার। জ্বরও আছে। তারপরও আজই দেখা করতে চাই তোমার সাথে। তুমি এক কাজ করো বিকেল চারটায় রমনা বটমূলে চলে আসো। লাল রং-এর জামা পড়ে আসবে যাতে আমি তোমাকে চিনতে পারি।’ রুহুলের ঘুম মুহুর্তে উবে যায়। সে তড়াক করে লাফ দিয়ে ওঠে - 'সত্যি বলছো? আজই দেখা করবো আমরা? ওহ্ জান্টু আমার, মান্টু আমার! সোনা আমার! পক্ষি আমার!’ মেয়েটা বলে - 'হয়েছে হয়েছে বাবা! এখন এত কিছু বলতে হবে না। আগে দেখা তো হোক!’ বলে সে ফোন কেটে দেয়।

রুহুল কালমাত্র দেরী না করে ছোটে হিমেলের বাসায়। তাকে নিয়ে সোজা নীলক্ষেতে। সেখান থেকে খুঁজে খুঁজে পূর্নেন্দু পত্রীর ’কথপোকথন’ বইটা কেনে। তারপর তার প্রথম পাতায় গোটা গোটা অক্ষরে আনিসুল হকের একটা কবিতার কিছু লাইন লেখে -

যে কথা পুরাতন তবুও অক্ষয় চিরন্তন যার উপমা
ব্যার্থ প্রেমিকের গোপন কষ্টের একাকি দহনের যাতনা
যে কথা বিফলেরা নিরবে ধরে রাখে নিভৃত কৌটায় বক্ষে
ধূপের মতো জ্বলে যে মাখে ধুসরতা সাঁঝের সমাধিতে একলা
মাতাল যদি হই চাঁদিমা পান করে তাহলে বলা যায় যে কথা
সে কথা বলতেই আজকে পার্কে যাবো করবো তোমার সাথে দেখা!!
(শেষ লাইনটা রুহুল নিজের মতো পাল্টে নিয়েছে)

তারপর নিউমার্কেট গিয়ে অনেক ঘুরে ঘুরে একটা লাল টকটকে শাড়ি কিনলো সে। এগুলো সবই রুহুলের আগে থেকেই প্লান করা। আর হিমেল আছে তার সাথে সাথেই। সারাটা দিন রুহুলের কেমন ঘোরের মাঝে কাটে। আহা এতদিন পরে তার প্রেম পরিনতি পাচ্ছে। হিমেল যদিও একটা সন্দেহ প্রকাশ করে - মেয়েটা হয়তো দেখতে সুন্দর হবে না। কিন্তু রুহুল সে কথা উড়িয়ে দেয়। যে মেয়ের কন্ঠ এত মাদকতাময় আর সেক্সি সে সুন্দর না হয়েই যায় না। তাছাড়া তার আত্মবিশ্বাসী কন্ঠস্বরেই বোঝা যায় সে সুন্দরী হবে।

সে যাই হোক। রুহুল তার প্রস্তুতিতে কোন কমতি রাখে না। জেন্টস্ পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করায়। চুলে বিশেষ স্টাইলের ছাঁট দেয। তারপর নতুন কেনা লাল রঙ-এর শার্ট পড়ে, শাহবাগ থেকে সুন্দর দেখে একটা ফুলের তোড়া কিনে, হিমেলকে নিয়ে পৌনে চারটায় রমনা পার্কে হাজির হয়। সেখানে প্রথম দেখায় মেয়েকে কি বলবে তার প্রাকটিস করে বেশ কয়েকবার। তারপর হিমেল কে পার্কের একটা বেঞ্চিতে বসিয়ে রেখে সে রওনা হয় বটমূলের উদ্দেশ্যে।

এরপর পাঁচ মিনিট যায়। দশ মিনিট যায়। বিশ মিনিট যায়। হিমেল উদাস হয়ে বসে থাকে আর রুহুলের মতো তার গলায় যে কবে প্রেমের ফাঁস লাগবে তাই ভাবে। হঠাৎ দূরে তাকিয়ে দেখে রুহুল আসছে। কিন্তু তাকে এমন বিদ্ধস্ত দেখাচ্ছে কেন? তার অত সাধের হেয়ার কাট অমন বিস্রস্ত হয়ে গেল কেন? রুহুল আরো কাছে আসলে হিমেলে চোখ চড়ক গাছে ওঠে। একি রুহুলের শার্টের বোতাম ছেঁড়া কেন? তার চোখে এমন বিদিশা দৃষ্টি কেন?

রুহুল এসে হিমেলের পাশে বসে পড়ে। হিমেল একেবারে তাব্দা খেয়ে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। তার মুখে কথা ফোটে না। একটু পরে নিজেকে ফিরে পেয়ে সে প্রশ্ন করে - কি রে তোর এই অবস্থা কেন? কি হয়েছে? ছিনতাইকারী ধরছিল? রুহুল দুদিকে মাথা নাড়ে - না তাকে ছিনতাইকারী ধরে নি? হিমেল আবারো প্রশ্ন করে - তবে তোর এই অবস্থা কেন? কেউ আসেনি তোর সাথে দেখা করতে? রুহুল ওপর নিচে মাথা নাড়ে - এসেছিল। হিমেল আবারো প্রশ্ন করে - এসে থাকলে তোর এই অবস্থা কেন? চুপ করে না থেকে কি হয়েছে খুলে বল।

রুহুল ফুঁপিয়ে উঠে বলে - এসেছিল, তবে মেয়ে না মেয়ের মা। আজ সকালে ঐ দজ্জালই ফোন করেছিল। আমি বুঝতে পারি নাই। বটমূলে গিয়া দেখি এক হাতির মতো মোটা মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে খালি আমাকে জিজ্ঞাস করলো, তুমি রুহুল? আমি হ্যা বলতেই শুরু হইলো চড় আর কিল। কিল আর চড়। কয়েক ডজন কিল চড় খাওয়ার পর শুনি সে বলতেছে, আর একবার যদি টের পাই তুই আমার মেয়েকে ফোন করছিস, তাইলে তোরে ছাদে লটকিয়ে কাঁক-চিলকে দিয়ে খাওয়াবো, কথাটা যেন মনে থাকে!!

হিমেল কি বলবে ভেবে পায় না। চুক চুক করে বলে - এতো দেখি স্যাবোটাজ! রুহুল হ্যা সূচক মাথা নাড়ে। তা গিফট্ গুলো কই? - হিমেল প্রশ্ন করে। ওগুলো বটমূলেই পড়ে আছে - রুহুল উত্তর দেয় - ওগুলো দিয়ে আর কি হবে? হিমেল বলে - 'মেয়েটাকে ফোন কর তাড়াতাড়ি। ওরও নিশ্চই খারাপ অবস্থা।’ তোর কি মাথা খারাপ হয়েছে? - রুহুল ধমকে ওঠে - এরপর ধরা পড়লে ঐ মহিলা আমাকে জানে মেরে ফেলবে।’

তাই বলে এত সহজে তুই হাল ছেড়ে দিবি? - হিমেল বলে - 'তোর না প্রেমের সাগর পাড়ি দেয়ার কথা?’

রুহুল : রাখ তোর প্রেমের সাগর। যে সাগরে ঐ মহিলার মত হাঙ্গর আছে সেই সাগর থেকে আমি একশ মাইল দূরে থাকতে চাই।
হিমেল : তবে কি তোর এত দিনের মোবাইল প্রেম এভাবে শেষ হয়ে যাবে?
রুহুল (বিরক্ত হয়ে) : দোস্ত বাদ দে তোর মোবাইল প্রেম। আসে পাশে কোন ফার্মেসিতে চল। ব্যাথার ঔষধ কিনতে হবে। যেভাবে চড় আর কিল হাঁকড়েছে। এক মাসে ব্যাথা যাবে না মনে হয়।
হিমেল আবারো বলতে চায় : কিন্তু এভাবে এই প্রেমের যবনিকা........
তার কথা শেষ হবার আগেই রুহুল খেঁকিয়ে ওঠে : চুপ করতো! আমার সামনে আর প্রেমের কথা বলবি না। প্রেমের খ্যাতা পুড়ি!!


মন্তব্য

আবির আনোয়ার এর ছবি


যে সাগরে ঐ মহিলার মত হাঙ্গর আছে। সেই সাগর থেকে আমি একশ মাইল দূরে থাকতে চাই। হো হো হো হো হো হো

কীর্তিনাশা এর ছবি

হো হো হো

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কল্পনা আক্তার এর ছবি

রুহুল : রাখ তোর প্রেমের সাগর। যে সাগরে ঐ মহিলার মত হাঙ্গর আছে। সেই সাগর থেকে আমি একশ মাইল দূরে থাকতে চাই।

হাসতেই আছি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অনেক মজারু হয়েছে!

.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ কল্পনা।
হাসতে থাকুন। হাসতেই থাকুন। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

গল্পটা সুন্দর। কিন্তু ফিনিশিং টা তেমন ভালো হয় নাই।

কীর্তিনাশা এর ছবি

যতটুকু ভালো বলেছেন তাই বা কম কি! হাসি

ধন্যবাদ অসংখ্য।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নির্বাক এর ছবি

কীর্তিজি অতি মজাদার হইছে! ।

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

কীর্তিনাশা এর ছবি

থ্যাঙ্কু হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বেশ মজা পেলাম নাশুদা'।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ পান্হ হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনিন্দিতা এর ছবি

বাহ্ মোবাইল প্রেম তো বেশ মজার।

কীর্তিনাশা এর ছবি

জি খুবই মজার। দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নিবিড় এর ছবি

যে সাগরে ঐ মহিলার মত হাঙ্গর আছে সেই সাগর থেকে আমি একশ মাইল দূরে থাকতে চাই। হো হো হো

কীর্তিনাশা এর ছবি

লাইনটা তো দেখি পুরা হিট হয়া গেল। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

রুহুল যে বাকরা হবে বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু কিভাবে হবে সেটাই ছিল দেখার (মানে, পড়ার) বিষয়। অনেক মজা পেলাম কীর্তিনাশা ভাই। বিশেষ করে উপরের মন্তব্যগুলোয় উদ্ধৃত লাইনটা তো ভীষণ মজার। তবে আমার কাছে মনে হল, এই লাইনটা দিয়েই গল্পটা শেষ হতে পারত। আর কয়েকটা বানান যদি ঠিক করে নিতেন, তাহলে তো আরো অনেক ভাল হবে হাসি

মনে হচ্ছে ফ্যাক্টরীর এখন পীক টাইম যাচ্ছে চোখ টিপি


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ প্রহরী আপনার মন্তব্যের জন্য।

আর বাংলা বানান.......... মন খারাপ

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ব্যাপার না রে ভাই, "ম্যান ইজ মরটাল" - "মানুষ মাত্রেই ভুল হয়" দেঁতো হাসি


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ রে ভাই এইটাই হইলো সান্তনা হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শেষের দিককার লাইনগুলা জব্বর হয়েছে।

কীর্তিনাশা এর ছবি

মন্তব্যের জন্য নেচারাল ধন্যবাদ, নেচার ভাই হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আহারে ! হো হো হো

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

এইটা কি সুখের আহারে না কি দুঃখের আহারে, বুঝতারলাম না।
কি কইতে চান খোলাশা কইরা কন, শিমুল জি। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হো হো হো আহারে বেচারা রুহুল মিয়া! নাকি ভাইয়ার নিজের গল্প চোখ টিপি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কীর্তিনাশা এর ছবি

এই যে ! শেষ পর্যন্ত আমিও মুমুয়িত প্রশ্নে জর্জরিত হইলাম।

এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ধরা খাই আর কি!! চোখ টিপি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

সাদামাটা গল্প কিন্তু অসাধারণ লেখার গুণে অনন্য সাধারণ হয়েছে সাথে তীব্র হাসির। হা হা হা হা.....................
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

কীর্তিনাশা এর ছবি

লজ্জা দেন কেন আপু!! লইজ্জা লাগে

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

হা হা হা হা .........
টপ টু বটম গুরুতর বেসুমার ভালো হইছে। রুহুলের চরিত্রটা আমার কাছে রুহুলই রয়ে গেল। হিমেলটাকে তুই বা আমি মনেহয়েছে। আর হাঙরটাকে মেলাতে পারি নাই। মিতার মা দেখতে দেখতে ক্যমন জানিস?

হা হা হা হা .........হাসতেই আছি..... আহা বেচারা রুহুল!

কীর্তিনাশা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তবে এখানে বলে রাখি, রুহুল কিন্তু ঠিক এরকম ভাবে নাস্তানাবুদ হয়নি কখনো। তবে প্রেম বিষয়ক ওর সকল নাকানিচোবানি খাওয়াই আমার এ গল্প লেখার প্রেরনা।

আহা বেচারা রুহুল হো হো হো

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

কীর্তি এমন নাশ না করলে আর আপনি ক্যান্?‍ দেঁতো হাসি
মজা হয়েছে। দুঃখের কথা শুনেও মজা পাওয়া যায় এমন গল্পে।

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এক পরীক্ষাতে ফেল করেই এই অবস্থা?

কীর্তিনাশা এর ছবি

এটাতো পরীক্ষায় ফেল করে যে সাময়িক মন খারাপ অনুভুতি হয় সেটা। পরবর্তিতে রুহুল ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং বিপুল বিক্রমে প্রেমের সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

খেকশিয়াল এর ছবি

পরবর্তিতে রুহুল ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং বিপুল বিক্রমে প্রেমের সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

যা ভাবসিলাম! এইটা দেখি আপ্নের নিজের কাহিনী দেঁতো হাসি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কীর্তিনাশা এর ছবি

হাটে হাঁড়ি ভাঙনের চেষ্টার তেব্র নিন্দা জানাই। রেগে টং

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনু কেনো ভাই!
এটা তো পূর্ণ গল্প...
নিয়মিত চাই...।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ শিমুল ভাই। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ ধুগো ভাই। হাসি

তয় প্রেমের খ্যাতা কিন্তু অতিশয় জট্টিল বস্তু, এত সহজে পুড়া যায় না চোখ টিপি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কেরোসিন, পেট্রিল, মবিল, অকটেন আর যা যা আছে সব দিয়া টেরাই করেন, পড়বো না মানে- প্রেমের বাপ শুদ্ধা পুড়বো! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কীর্তিনাশা এর ছবি

হো হো হো

কুনো লাভ নাই ধুগো ভাই। একখানা পুড়ানোর সাথে সাথে দেখবেন আরেকখানা জন্মলাভ করছে ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কীর্তিনাশা এর ছবি

আরে মর জ্বালা! আমি পুড়তে যামু কোন দুঃখে। আপনার পুড়া লাগলে আপনে পোড়েন।

আমি তো বউ সংসার নিয়া ভালোই আছি দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।