সাংবাদিকতার দায়, সাংবাদিকের মূল্যবোধ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৬/২০১২ - ২:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অ.
গতকালের [১৮ জুন ২০১২] কালের কণ্ঠ পত্রিকাটির কথাই ধরা যাক, মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রাজাকার আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীকে। এই খবরটি যখন কালের কণ্ঠ পাঠকের কাছে পরিবেশন করে, তখন শিরোনাম হয় "জামায়াত নেতা মীর কাসেম গ্রেপ্তারের পর কারাগারে"
যে অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো সেই অপরাধের কথা শিরোনামে না বলে জামায়াত নেতা পরিচয় দেওয়াটা আপাতদৃষ্টিতে ভুল মনে না হলেও এই শিরোনাম যে উদ্দেশ্যমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যে বার্তা বহনকারী, তা স্পষ্ট হয়ে যায় একটু খেয়াল করলেই। এই শিরোনাম ইঙ্গিত করে- যুদ্ধাপরাধী নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধী নয়, রাজাকার নয়, আলবদর কমান্ডার নয়... গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজন 'জামায়াত' নেতাকে!

পলিটিক্যাল হ্যারেসমেন্টের যে বার্তাটি জামায়াত নেতৃত্বাধীন যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী সারাবিশ্বে প্রচার করতে চায়, সেই বার্তাটিরই প্রতিফলন ঘটে শিরোনামে।
বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদে।

এটি শুধু একটি উদাহরণ মাত্র। অনেক ক্ষেত্রেই মূল ঘটনা এবং সত্যকে আড়াল করে পত্রিকাগুলো পাঠকের সামনে এমন একটি মিথ্যাকে সত্যের মুখোশ পরিয়ে উপস্থাপন করে যা তাদের কোনো না কোনো উদ্দেশ্য হাছিল করে। এবং দুঃখজনকভাবে এই উদ্দেশ্যগুলো মহৎ হয় না, অধিকাংশই অসৎ হয়।

যদিও দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রতিদিনই কাঁধে বহন করে চলে গালভারী কোনো শ্লোগান। কালের কণ্ঠ যেমন বলে 'আংশিক নয় পুরো সত্য'! ঠাকুরঘরে কে তা জিজ্ঞেস করার আগেই পত্রিকাগুলো উঁচু কণ্ঠে বলে রাখে যে 'তারা কলা খায়নি'।

আ.
এরকমটা অহরহ হচ্ছে। সম্প্রতি আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ-এর বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সংসদসহ গোটা দেশ তোলপাড় করে দিয়েছিলো দৈনিক ইনকিলাব। তাতে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ এবং দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধংদেহী অবস্থা তৈরি করে পত্রিকাটি বহাল তবিয়তে মিটিমিটি হেসেছে। এখনো হাসছে।

কারণ 'প্রেস' ট্যাগের আড়ালে তাদের আছে বাকস্বাধীনতার নামে 'যা খুশি তাই বলার স্বাধীনতা', সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে বোকা বানিয়ে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর ক্ষমতা, সরকার এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নাজেহাল করার সর্বময় শক্তি, জনস্বার্থবিরোধী কর্পোরেট গোষ্ঠীর হাতিয়ার হওয়ার সুযোগ, আপোষ করার সুযোগ... প্রভৃতি।

অধিকারের এসব অপব্যবহার তারা বরাবরই করে আসছে কিছু পত্রিকা। এখনো করছে। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বেনিয়াগোষ্ঠীর স্বার্থ। পত্রিকাগুলো তাদের সাতখুন মাফ করে দিয়েছে, কারণ তারা বিজ্ঞাপনের নামে 'টাকা' দেয়। সাতখুন মাফ করেই ক্ষান্ত হয়নি, প্রয়োজনে তাদের পক্ষে কলম নামের লাঠি ধরতেও পিছপা হয়না কিছু পত্রিকা।

ই.
নানারকম ফায়দা লোটার এই স্বার্থের জন্যই পত্রিকাগুলোর প্রয়োজন 'কথা বলার একচ্ছত্র অধিকার'টি একান্তই নিজের করে রাখা। জনগন কিছু বোঝে না, তাই তাদের কথা বলার দরকার নাই। জনগনের হয়ে কথা বলবার 'মহান' অধিকার একমাত্র পত্রিকাগুলো, এবং পত্রিকাগুলোর পোষ্যদের অধিকারে রাখতে হবে। নইলে বিপদ, ঘোর বিপদ।

ঈ.
কিন্তু এই ঘোর কলিকালে দুনিয়াভর্তি সব 'বেয়াদব পোলাপান'। তারা কথা বলে, তারা কথা বলতে চায়... তাদের হাত বাঁধা নাই, চোখ বাঁধা নাই, মাথা বিক্রি হয় নাই, বোধ শূন্য হয় নাই, চেতনা বিলুপ্ত হয় নাই, মূল্যবোধ এখনো অটুট আছে, দেশপ্রেম বিকিয়ে যায়নি... সর্বোপরি তারা সত্য কথা বলে।
চাল ডাল কেনার টাকা জোগাতে নয়, তারা কথা বলে প্রাণের তাগিদে, দেশকে ভালোবেসে! এবং তারচেয়েও ভয়ঙ্কর হলো, পত্রিকার মিথ্যেগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তারা।
তারা ব্লগ লেখে।
বিপদ বিপদ, ঘোর বিপদ!

উ.
এই ‘বেয়াদব পোলাপান’দের ঠেকাতে হবে। এদের না ঠেকালে ‘একচেটিয়া বাণিজ্য’ হুমকীর সম্মুখিন। অতএব তাদের পোষ মানাতে হবে। যে সাপের চোখ নেই, শিং নেই, নোখ নেই, ছোটে না কি হাঁটে না, কাউকে যে কাটে না, করে নাকো ফোঁস ফাঁস, মারে নাকো ঢুঁশঢাঁশ, নেই কোনো উৎপাত, খায় শুধু দুধভাত... সেরকম ব্লগার দরকার। যারা সুশীলতা বজায় রাখবে, পিঠ চাপড়ে চলবে সুশীলতার, সম্মানিতজনরা নিজেদের সম্মান ধুলোয় লুটিয়ে তাবেদারী করলেও ব্লগাররা তাদের সম্মানের পতাকা সমুন্নত রাখতে সাহায্য করবে।
‘সিস্টেম’এর হয়ে কথা বলার মতো ব্লগার চাই তাদের, ‘সিস্টেমের অচলায়তন’ যারা ভেঙ্গে দিতে চায়, তাদেরকে থামাতে হবে।
অতএব ব্লগারদের কাঁধে তুলে দিতে হবে নীতিমালার বোঝা। বন্ধ করতে হবে কণ্ঠ।
সেই লক্ষ্যে বাঘে মহিষে জল খেতে এক ঘাটে হয়েছে সবাই।
সর্বশেষ আদাজল খেয়ে নেমেছে কালের কণ্ঠ।

ঊ.
গত ১৫ জুন শুক্রবার কালের কণ্ঠ প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে দাখিল করে বিপ্লব রহমান বিরচিত "যাচ্ছেতাই ভাষা বাংলা ব্লগে" শিরোনামের একিট প্রতিবেদন। যেখানে অনেক অনেক কথা বলে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে- ব্লগে সব অশ্লীল ভাষার চর্চা হয়, ঠেকানোর জন্য নীতিমালা প্রয়োজন। শুধু নীতিমালার প্রয়োজন অনুভব করেই তারা ক্ষান্ত থাকেনি, দাবী তুলেছে 'নিয়ন্ত্রণ' এর!

তাতেও যেন পোষালো না, ঠিক পরদিন কালের কণ্ঠে সম্পাদকীয় কলাম লেখা হলো ব্লগের বিরুদ্ধে। "ব্লগের শব্দ ব্লগের কথা অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকুক" শিরোনামের সেই কলামে ব্লগের বিরুদ্ধে এমনকি 'রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ অভিযোগও তোলা হলো প্রকারান্তরে!

কালের কণ্ঠের শুক্রবারের প্রতিবেদনটির যাচ্ছেতাই মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতো, প্রতিবেদনের পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য নিয়ে কথা বলা যেতো, বলা যেতো আরো অনেক কথাই, কিন্তু তার প্রয়োজন দেখছি না। প্রশ্ন তুলছি এর সততা নিয়ে। 'আংশিক নয় পুরো সত্য' শ্লোগানধারী পত্রিকা কালের কণ্ঠর এই প্রতিবেদন যেন মিথ্যের দোকান খুলে বসেছে। সেখানে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে [জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের, আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার] এক কাতারে আমার নাম নিয়ে দুলাইনে একটি বক্তব্য ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সবার বক্তব্যর সারমর্ম হিসেবে।
অন্যদের কথা জানি না, কিন্তু দুলাইনের সেই বক্তব্যর সঙ্গে আমার বক্তব্য এবং বিশ্বাসের কোনো মিল নেই। তাই শুধু না, বক্তব্যটি সম্পূর্ণ উল্টো অর্থ ধারণ করে!
তারচেয়ে বড় কথা প্রতিবেদক বিপ্লব রহমান কিংবা কালের কণ্ঠের কোনো প্রতিনিধি আমার বক্তব্য নিতে আসেননি। তৃতীয় পক্ষ থেকে বক্তব্য সংগ্রহ করে বিকৃত করে ভুলভাবে ছেপে দেওয়া হয়েছে আমার নামে। [আমার বক্তব্যের লিখিত কপি আমার নিকট সংরক্ষিত আছে]

এছাড়া প্রতিবেদনে বক্তব্য প্রদানকারী সুশান্ত দাশগুপ্ত, অমি রহমান পিয়াল, আবু মুস্তাফিজ এবং রণদীপম বসু ব্লগে, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন প্রতিবেদনে তাঁদের বক্তব্য টুইস্ট করা প্রসঙ্গে [প্রতিবেদনে বক্তব্য প্রদানকারী অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বলে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি]।

এগুলোই যথেষ্ট ছিলো প্রতিবেদনটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য, কিন্তু প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদক নিজে যখন ব্লগ লিখে কৈফিয়ত দিয়ে জানান

দৈনিক কালের কণ্ঠে "যাচ্ছেতাই ভাষা বাংলা ব্লগে" [লিংক] শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, পাঠক মাত্রই জানেন এর মূল কথা হচ্ছে: ব্লগীয় আইন/নীতিমালা/সাইবার আইন চাই-- যা পুরোপুরি ব্লগ চেতনার পরিপন্থী এবং এটি কোনো মতেই আমার নিজস্ব মত/দর্শন নয়, সংবাদটি আমার নামে প্রকাশিত হলেও হুবহু তা আমার লেখাও নয়।

এবং অভিযোগের দায় স্বীকার করে ব্লগারদের কাছে বার বার করে করজোরে ক্ষমা প্রার্থণা করেন। 'অনৈতিকতাটুকু' ক্ষমা ঘেন্না করে নিতে বলেন! তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনটি কী পরিমান মিথ্যা, বানোয়াট এবং অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকাশিত।

বিপ্লব রহমান যখন লিখেন

"এখনো কালের কণ্ঠে কলম পিষে ভাত খাই, তাই সব সত্যি কথা বলতে পারছি না।"

তখন এই প্রতিবেদনের অসততা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। স্পষ্ট হয়ে ওঠে এর পেছনে কোনো একটি অজানা 'সত্য', যে সত্যটা তিনি বেতনভুক্ত বলে প্রকাশ করতে পারছেন না।

তখন প্রশ্ন জাগে, কোন্ স্বার্থ রক্ষায় একটি প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা মূল প্রতিবেদনের মতো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান একটি অসৎ প্রতিবেদন দিয়ে পূর্ণ করে তোলে? সম্পাদকীয় ছাপে?

এই প্রশ্নের জবাব একদিন ব্লগাররাই খুঁজে বের করবে। সুশীল পত্রিকাগুলোর মুখোশ খুলে সত্যটা বের করে আনবে। অচিরেই।

ঋ.
'নীতিবান' পত্রিকা এবং তার পোষা সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ, ব্লগারদের ভাষা নিয়ে কথা বলার আগে নিজেরা সৎ হোন, দায়িত্ববান হোন। পাঠককে বোকা ভেবে ধোকা দিয়ে যাচ্ছেতাই করার দিন শেষ... এটা অনুধাবন করতে শিখুন।
মানুষ নিজেরাই এখন কথা বলছে... প্রতিটি ব্লগ হয়ে উঠছে একেকজন মানুষের সত্য ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।
চোরের মার বড় গলা করে সত্যকে ধমকাতে আসবেন না।
মানুষের হয়ে কথা বলার ইজারা নিজের কাঁধ থেকে নামান।
যে কোনোরকম অপশক্তি এবং কর্পোরেটের হয়ে তোষণবৃত্তি বন্ধ করুন।
সত্য কথা বলুন। মিথ্যে মুখোশ বেশিদিন ধরে রাখতে পারবেন না, মানুষ তা খুলে ফেলবেই।


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

আহা বুঝিলেন না, মীর কাসেম রাজাকার তাহা এখনো যেহেতু প্রমাণ হয়নাই (প্রমাণের সংজ্ঞাও তাহারা জানেন) সেহেতু তিনি রাজাকার ইহা পুরোপুরি সত্য নহে। অতএব তাহারা কি করিয়া ইহা ছাপিবে?? চোখ টিপি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

"যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মীর কাসেম আলী গ্রেপ্তার"

নিন, একটা শিরোনাম লিখে দিলাম... চাইলে এই রিপোর্টের আরো গোটা দশেক শিরোনাম লিখে দিতে পারবো, যা দিয়ে পাঠককে চট করে বুঝিয়ে বলা সম্ভব ঠিক কোন অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জামায়াত নেতা হওয়ার অপরাধে যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, অন্তত এটুকু বোঝানোর ক্ষমতা না থাকলে রিপোর্টার হওয়ার দরকার কী?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

ঠিক। গুল্লি রাজনীতি চলছে সবখানেই।

সাফি এর ছবি

আলুতেও একি কাজ করেছে রাজাকার মীর কাশেম হয়ে গেছে জামাত নেতা মীর কাশেম।

উজানগাঁ এর ছবি

পোস্টটা স্টিকি করার আবেদন জানিয়ে গেলাম।

পাঠকের মন্তব্যে এটি আরো তথ্যসমৃদ্ধ হবে এই আশা ব্যক্ত করছি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হু... ব্লগের কণ্ঠ রোধ করতে চাওয়া সকল বানী এখানে সংরক্ষণ করতে ভালো হতো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

কালের কণ্ঠের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে,

বিটিআরসি শুধু অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবে বলে সংবাদে প্রকাশ হয়েছে। এটা যৌক্তিক নয়। মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকেই।

একই কথা তো প্রেস কাউন্সিলের ক্ষেত্রেও বলা যায়। মাননীয় প্রেস কাউন্সিল যেচে কিছু বলতে পারেন না, কাউকে তার কাছে গিয়ে অভিযোগ করতে হয়। যেমন কালের কণ্ঠের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলো প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। মনিটরিং যদি করতে হয়, কয়েক মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছায় যে সংবাদপত্র, সেটা আগে মনিটরিঙের ব্যবস্থা করা হোক। প্রতিদিন পুনম পাণ্ডে আর সানি লিয়নের সচিত্র কিচ্ছা ছাপায় যারা, জনরুচিতে আঘাত হানার জন্য আগে তাদের কানে ধরা হোক।

বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক এর ছবি

বিপ্লব রহমান নাকি এই সচলেই কোন এক আপুকে জ্বালাইত? তারপর নাকি আপনারা তারে ঝাড়ি দেওনের পর সে সচল ছাইড়া গেছেগা? ইভ টিজার বিপ্লব এখন অশ্লীলতা নিয়া লম্বা লম্বা কথা কয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

'নাকি'র ওপরে বেইজ কইরা ব্যক্তি-আক্রমণ করা এই কমেন্ট ছাড়া পাইলো ক্যামনে?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

সচলের এক সদস্যাকে নিয়ে আপত্তিকর ও অশালীন ভাষায় একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট লেখার কারণে সচল সদস্যরা বিপ্লব রহমানকে তিরস্কার করেছিলো একবার, তবে কেন সে সচল ছেড়ে গেছে সেটা সে-ই জানে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত।

কালের কণ্ঠ বলেছে :

তাঁরা বলছেন, ব্লগিংয়ের মাধ্যমে তারা সাংবাদিকতার ক্ষমতা ভোগ করবে অথচ কোনো দায়দায়িত্ব নেবে না- এটা হতে পারে না।

কিনতু কেমনে "সাংবাদিকতার ক্ষমতা ভোগ" করল হেইডা তো কৈলোনা!!

হিমু এর ছবি

"সাংবাদিকতার ক্ষমতা" কথাটা খুউপ খিয়াল কৈরা। তাদের আসল দুশ্চিন্তা ঐ ক্ষমতার জায়গাটাতেই। সাংবাদিকদের "ক্ষমতা" হচ্ছে পাবলিকের মুখের ক্ষমতা। পাবলিক যদি নিজেই সেই ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেয় আর প্র্যাকটিস করে, সাংবাদিক আর "ক্ষমতা" দেখানোর সুযোগ পাবে? যেসব ইস্যুতে সাংবাদিক চুপ থাকে, পাবলিক সেসব ইস্যুতে ব্লগে সরব হয়। খবর ছেপে যাওয়ার ক্ষমতা আর খবর চেপে যাওয়ার ক্ষমতা, দুইটাই এতোদিন সাংবাদিকরা যথেচ্ছ ব্যবহার করে আসছে, ব্লগের কারণে তাদের এই দুই কাজেই ব্যাঘাত ঘটছে। কাজেই এখন কাপাই পরাও। কিছুদিন আগে বিডিনিউজের খালিদী এই ভ্যানভ্যান করতেছিলো, এখন তার সাথে যোগ দিছে মিলন। আর হোয়াট অ্যান আয়রনি, ইমদাদুল হক মিলন এখন হইছে শ্লীলতার চৌকিদার!

মরুদ্যান এর ছবি

হোয়াট অ্যান আয়রনি, ইমদাদুল হক মিলন এখন হইছে শ্লীলতার চৌকিদার!

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

স্বপ্নহারা এর ছবি

বাংলাভাষায় প্রথম গে-চটি পড়ছিলাম মেলনের "কালোঘোড়া"। মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

স্বপ্নহীন এর ছবি

হ, ইমদাদুল হক সেক্স ( ফ্রম আবীর ভাই) আইসা এখন শ্লীলতার জ্ঞান বেশ উপভোগ্যই!!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ১২ আনাই অসৎ। বাকি ৪ আনা এদের নষ্টামীতে বিপদাপন্ন।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সাবেকা  এর ছবি

মিলনের হাতে পরে এই পত্রিকার উন্নতি দেখি খালি বেড়েই চলেছে চিন্তিত
লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আসলে সাংবাদিকতা বলেন আর যে কোন পেশাই বলেন সব কিছুই এখন পচে গলে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে । যদিও কিছু কিছু পেশার দায় অন্যদের চেয়ে হাজারগুণ বেশী ।

মুস্তাফিজ এর ছবি

নজরুল ভাই
"ঋ" প্যারায় "চৌর্যবৃত্তি বন্ধ করুন" যোগ করে দেন। আলু, কালু সবার বিরুদ্ধেই চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ আছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

masum এর ছবি

বিপ্লব রহমান কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় ফালতু কথা ভরা এই খবর ছাপিয়ে ব্লগের চিপায় বসে মাফ চায় কেন? সে যদি মনে করে, তার লেখা বিকৃত করে ছাপান হয়েছে, তাকে তার কৈফিয়ত কালের কণ্ঠে ছাপায়েই মাফ চায়তে হবে। গুদামে আগুন লাগায়ে গোয়ালে পানি ঢাললে হবে না।

কালের কণ্ঠ যদি সাংবাদিকতার আদর্শে বিশ্বাস করে, তাইলে তারা বিপ্লব রহমানের কৈফিয়ত নিজেদের পেপারে ছাপায় না কেন?

আর বিপ্লব যতই কৈফিয়ত দেক না কেন, সে এই প্রতিবেদনের পিছনে ষোল আনাই আছে। এই লোকটা সব কয়টা ব্লগে আউল ফাউল কথা বলতে গিয়ে পাবলিকের ঠুয়া খেয়ে এখন শোধ তুলতে গেছে কালের কণ্ঠে।

akash এর ছবি

এভাবে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে একটা জাতীয় দৈনিকে হেডলাইন নিউজ হয় তা ভাবতেই পারছিনা। প্রতিটা ক্ষেত্রে-ই নৈতিক অবক্ষয়। আমাদের এদেশটার ভাগ্যে কি আছে? কোথাও কোন সততার বালাই নেই। যার যার স্বার্থ-সিদ্ধি নিয়ে-ই সবাই ব্যস্ত। আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটা-ই মনে হয় কেমন জানি হয়ে গেছে, কোথাও কোন দায়বদ্ধতা নাই, জবাবদিহিতা নাই, সবাই চায় অফুরান ক্ষমতা আর প্রতিপত্তি।

অতিথি লেখক এর ছবি

http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=Bank&pub_no=918&cat_id=2&menu_id=20&news_type_id=1&index=4

এইখানে যে খবর ছাপা হইছে সেইটাতেই রহস্য লুকান আছে।

এই ইউলেব ইউনিভার্সিটি নিয়ে ব্লগে তুমুল তোলপাড় হয়ছিল। সেইটা বন্ধ করতে ইউলেবের মালিকের পেপার আজকের কাগজের কতিপয় সাংবাদিক উঠেপড়ে লাগে। ইউলেবের ছাত্রদের নেক্কারজনক কার্যকলাপ নিয়ে কোন পেপারে কিছু লেখা হয় নাই, শুধু ব্লগাররাই এটা নিয়ে প্রতিবাদ করে।

কালের কন্ঠে আজকের কাগজের প্রাক্তন সাংবাদিকদের বড় গ্রুপ আছে। সম্পাদক মিলন সাহেবের এক চামচা আছে যে সব কিছু দেখাশুনা করে, সেও আজকের কাগজ থেকে আসছে। বিপ্লব রহমানের মত আবুলরে সামনে রেখে এরাই ব্লগের উপর মামদাবাজি করতেছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।

ালের কন্ঠ আমাদের কন্ঠরোধ করতে চায়লেই হবে না। আমরা প্রতিবাদ করবই। বিপ্লব রহমানের শুকনা পুটুতে গদাম।

(এডমিন স্পাম ফিল্টার নিয়া কিছু একটা করেন। অসহ্য যন্ত্রনা করে)

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হেহে ালের কণ্ঠ তো পুরাটাই স্প্যাম মনে হইতেছে। নানান রকম চক্রান্ত হইতেছে এই স্প্যাম সাম্মাদিক পরিবারে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হিমু এর ছবি

নতুন একটা টার্ম কয়েন করলাম, স্প্যামবাদিকতা।

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অরফিয়াস এর ছবি

বাংলাদেশে প্রচলিত প্রায় সব কয়টি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার বিরুদ্ধেই "হলুদ-সাংবাদিকতার" অভিযোগ আনা যায়। সংবাদপত্র এর প্রত্যেকটি অংশ দেশের ও দেশের বাইরের চলমান ঘটনাগুলোতে নিরপেক্ষভাবে দৃষ্টিনিক্ষেপ এবং বিশ্লেষণ করবে, এটাই তাদের দায়িত্ব ও সাধারণ মানুষের কাছে এদের দায়বদ্ধতা। কিন্তু দেশের অধিকাংশ সংবাদপত্র তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই খবরগুলোকে ব্যাখ্যা করে থাকে, আর যেহেতু সাধারণ মানুষ অনেকেই কোনো একটি নির্দিষ্ট দৈনিক-এ চোখ রাখেন (একের অধিক সংবাদপত্র কম সংখ্যক লোকই রাখেন বলে মনে করি), স্বাভাবিকভাবেই সেই মানুষটি কখনই সামগ্রিকভাবে নিরপেক্ষ কোনো খবর/চিত্র পাননা। বরং তিনিও সেই একপাক্ষিক সংবাদের উপর ভিত্তি করে নিজের মত তৈরী করেন। এখানে সংবাদপত্রগুলো তাদের মতামতের অসংখ্য ডামি কিংবা রেপ্লিকা তৈরী করে একটি নির্দিষ্ট জনমত তৈরী করতে সক্ষম।

এই অবস্থায় অনলাইন পাঠক হিসেবে তরুনদের সংখ্যা বেশি। আর এই তরুনদের সব সময়ই রাষ্ট্রযন্ত্র হতে শুরু করে সবাই ভয় পেয়ে এসেছে। কারণ তরুনরা অপেক্ষাকৃতভাবে অন্যদের থেকে কম দুর্নীতিগ্রস্থ হন, তাই প্রতিবাদের সারিতে তাদের আধিপত্যই বেশি থাকে। সংবাদপত্র এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের নানা অপকর্মে এই প্রতিবাদী কন্ঠস্বরগুলো রোধ করতেই ব্লগের বিরুদ্ধে এই ব্যাপক আয়োজন। আর দিনে দিনে যখন ব্লগের পাঠকসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে তখন বিভিন্ন চাপা সত্য জনসম্মুখে উঠে আসাতেই হর্তাকর্তাদের সমস্যা।

শুধু বাংলাদেশেই নয় ভারতেও অনলাইন মতামত নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলে প্রচন্ড সমালোচনায় পড়েছেন " মন্ত্রী কপিল সিব্বাল"। বর্তমানে অনেক গণতান্ত্রিক দেশেই অনলাইন মতামত ও যোগাযোগ বিশেষ করে ব্লগ নিয়ন্ত্রনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে একটি চক্র, যাদের স্বার্থ হানি হয়েছে বেশি কিংবা যাদের মুখোশ উন্মোচন হতে আর বেশি বাকি নেই অথবা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। এদের প্রতিরোধ করা প্রয়োজন সাধারণ জনগনের স্বার্থেই।

"বাক-স্বাধীনতা"- একে আমি গণতন্ত্রের মুলা বলতে পছন্দ করি। কারণ অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশেই এই বাক-স্বাধীনতা একটি নির্দিষ্ট শ্রেনীর মানুষের কাছে সীমাবদ্ধ। বাকি সবার জন্য এই স্বাধীনতার একটি সীমা রয়েছে। যদি গণতন্ত্র ব্যবস্থার একটি মূলভিত্তি হয় "বাক-স্বাধীনতা", তাহলে পৃথিবীতে আদৌ কোনো দেশে সঠিকভাবে গণতন্ত্র চালিত কিনা তাতে আমার সন্দেহ আছে।

আবার এই বাক-স্বাধীনতার ধুয়ো তুলে অনেকেই নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে।বাক-স্বাধীনতা একটি মানুষকে তার নিজস্ব মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয় বৈকি কিন্তু কখনই অযৌক্তিক/ভুল ব্যাখ্যা করে অন্য মানুষকে ম্যানিপুলেট করার ক্ষমতা দেয়না। যেমন সন্ত্রাসী যদি সন্ত্রাসবাদ প্রকাশের বাক-স্বাধীনতা চায় তা যেমন গ্রহনযোগ্য আবদার নয় তেমনি সংবাদপত্র যদি তাদের নিজস্ব ব্যাখ্যা প্রকাশ করে সাধারণ মানুষকে দিকভ্রান্ত করার অধিকার চায়, তাও গ্রহনযোগ্য নয়। সংবাদপত্র তাদের এই স্বাধীন অধিকারের অপব্যবহার করে শুধুমাত্র ভুল বোঝাবোঝিরই সৃষ্টি করছেনা বরং তাদের মূল দায়িত্ব এবং জবাবদিহিতাও লঙ্ঘন করে চলেছে।

ব্লগের ভাষা প্রয়োগের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করার আগে সংবাদপত্রের এহেন নীতিবিরোধী এবং দায়িত্বহীন কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা প্রয়োজন এবং যথাযোগ্য শাস্তি নিরুপন প্রয়োজন বলে মনে করি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মাত্র তো শুরু হইল। কয়েকদিন অপেক্ষা করেন না। নতুন নীতিমালা দেবে- বাংলা লিখতে হলে পত্রিকা থেকে সাট্টিফিকেট নিতে হবে (শ্লীলতার সার্টিফিকেট নিতে হলে কিন্তু মিলনের উপন্যাস মুখস্থ করা লাগবে)

খেকশিয়াল এর ছবি

কতদিন পরে পায়ের ধুলা দিলেন
প্রিয় মাহবুব লীলেন
এতদিন কোথায় ছিলেন? দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুজন চৌধুরী এর ছবি

শ্লীলতার সার্টিফিকেট নিতে হলে কিন্তু মিলনের উপন্যাস মুখস্থ করা লাগবে!!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

খেকশিয়াল এর ছবি

চলুক চলুক

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পত্রিকাগুলো আর তাদের সম্পাদকদের মনে হয় নিয়ন্ত্রণ করার সময় এসেছে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হিমু এর ছবি

পত্রিকা কীভাবে অন্যের বক্তব্য টুইস্ট করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে এই প্রতিবাদটি। আলুপেপার খোদ ইউনূসের মুখে নিজের কথা গুঁজে দিয়ে তাকে বেকায়দায় ফেলতে চায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

যাচ্ছেতাই ভাষা বাংলা ব্লগে

হোলদে বিপ্লব (কপিরাইট: হিম্ভাই) ইজ ব্যাক দেঁতো হাসি

----------------------
বাপ্পীহায়াত

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

এ রকম একটা লেখাই আশা করছিলাম। শুধু কালের কণ্ঠ নয়, বিডিনিউজ২৪-ও একই সুরে কথা বলছে। তাদের বক্তব্যগুলো যদি একটু খেয়াল করে শোনা হয়, তাহলেই বোঝা যায় তারা কেন এমন লাফাচ্ছে। ব্লগাররা তাদের আগে এবং সত্য বক্তব্যটা প্রকাশ করে দিচ্ছে। সত্যের একটা বিশেষত্ব হচ্ছে সত্য এবং মিথ্যা যখন একই সাথে উঠে আসতে শুরু করে তখন পাঠক বুঝে নিতে পারে কোনটা কী। পত্রিকাগুলো একতরফা সংবাদ দিয়ে পাঠককে বিভ্রান্ত করে। কিন্তু ব্লগে দুই দিকেই সংবাদ আসে এবং পাঠক বুঝে নিতে পারে কোনটা সত্য। আর ব্লগের এই বিশেষত্বটাই পত্রিকাওয়ালাদের মাথা ব্যাথার মূল কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

ফারহানা এর ছবি

পত্রিকায় প্রকাশিত নানা প্রতিবেদনের ব্যাপারে প্রতিবাদ আসে যাদের নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে। এই প্রথম দেখতে পেলাম, যিনি প্রতিবেদন করেছেন, তিনিই প্রতিবেদনের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন! তাও আবার যে মাধ্যম নিয়ে প্রতিবেদনে তিনি একগাদা বানোয়াট মিথ্যা কথা লিখেছেন, সে মাধ্যমেই!!!

সাবাশ বিপ্লব রহমান। ধন্য তোমার মদ্যপ সাংবাদিক জীবন। দুই চুমুক মদ খেয়ে টালমাটাল হয়ে তুমি এরকম আরও কত বানোয়াট প্রতিবেদন লিখেছ, তার কোন হিসাব আছে? তোমার বই রিপোর্টারের ডায়রী পাহাড়ের পথে পথের ছত্রে ছত্রে আবোল তাবোল মিথ্যা কথা লেখা। ঘরে বসেই তুমি পাহাড়ের রাজনিতি নিয়ে বই লিখে ফেলেছ। তোমার মত ছেচড়া লোক সাংবাদিকতা করে খায় দেখেই আজ দেশটার এই অবস্থা।

স্বপ্নহারা এর ছবি

সাম্বদিগরা এখন দেশের সবচেয়ে পাওয়ারফুল লোক। চলুক

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পুরাটাই পত্রিকাওয়ালাদের বিজনেস।

বিপ্লব রহমান এক্ষেত্রে বলির পাঁঠা। টু হিজ ক্রেডিট, উনি নিজের বক্তব্যকে যে বিকৃত করে ছাপানো হয়েছে, কম পরিসরে হলেও সেটা নিয়ে কথা বলেছেন। রেসিডেন্ট ক্যাটেগরীর 'ব্লগার'রা হলে এটাও করে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

বিপ্লব রহমান পাঁঠা? হোলেও হোতে পারে। তবে বলির পাঁঠা নয়। সে নিজেও জানে এই ফালতু রিপোর্টের জন্য তাকে ব্লগে তোপের মুখে পড়তে হবে। সে এখন নিজের দুই দশকের সাংবাদিকতার দোহাই দিচ্ছে ফেসবুকে। দুই দশকের পুরানা ঝানু সাংবাদিকের রিপোর্টের গনেশ যদি পত্রিকা উল্টায় দেয়, বিপ্লবের উচিত নিজের দুই দশকের সাংবাদিকতার সম্মান রক্ষার জন্য সেই পত্রিকাকে চ্যালেঞ্জ করা। কারন হয়তো আগামীকাল অন্য কোনো মিথ্যা রিপোর্ট তার নামে পত্রিকা চালায়ে দিবে। বিপ্লব কি তার পত্রিকাকে চ্যালেঞ্জ করেছে? করেনি। সে ব্লগে এসে কিছু ব্লগারের বগলতলায় আশ্রয় খুঁজছে। সেটার চেষ্টা হিসেবে সে সচলের কয়েকজন ব্লগারকে গালি দিয়ে একটা পক্ষ তৈরি করতে চাইতেছে, যারা তাকে এখন শেল্টার দিতে পারে। বিপ্লব একটা সলিড বাটপার আর পরীক্ষিত মিথ্যুক।

হিমু এর ছবি

টু হিজ ক্রেডিট, বিপ্লুল রেহমান হাগু করে কানের লতিতে টয়লেট পেপার ঘষেছে। রেসিডেন্ট ব্লগাররা হয়তো সেটাও করে না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যেখানে সে গান্ধা করে আসছে, তাকে সেখানে পানি ঢালতে হবে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

টু হিজ ক্রেডিট, উনি নিজের বক্তব্যকে যে বিকৃত করে ছাপানো হয়েছে, কম পরিসরে হলেও সেটা নিয়ে কথা বলেছেন।

বিপ্লব রহমানের করা যে রিপোর্টটা ছিলো সেটার টার্গেট অডিয়েন্স কি এই 'কম পরিসর'ই ছিলো? গোটা ব্লগোস্ফিয়ার সম্পর্কে নেতিবাচক রিপোর্ট সারা বাংলাদেশে ছড়ানোর পরে কেবল বিপ্লব রহমানের ভাষায় 'লিজেন্ট' ব্লগারদের কাছে তার 'ব্যক্তিগত' বার্তা পাঠিয়ে ক্ষমা চাওয়াটা কি একশ জনের ইয়ে মেরে দুই জনকে টিস্যু দানের মতো শোনায় না? 'ডিভাইড এন্ড রুল' টার্মটা তো অজানা থাকার কথা না আপনার।

বিপ্লব রহমানের রিপোর্টের পরপরই তার সম্পাদকের ব্লগোস্ফিয়ার সম্পর্কে বিষোদগার করা রিপোর্টই তো পরিষ্কার বলে দেয় ব্লগ সম্পর্কে কালের কণ্ঠের অবস্থান। তাদের এই অবস্থান কি 'ইন ওয়ান ফাইন মর্নিং' তৈরী হয়েছে? বিপ্লব রহমান এতো অভিজ্ঞ, সিনিয়র সাংবাদিক হয়েও জানতো না মনে করছেন কালের কণ্ঠের এই অবস্থান! না জেনেই সে রিপোর্ট করেছে, ব্লগোস্ফিয়ারের কল্যান সাধনে? দুয়ে দুয়ে চার মেলান বলাই'দা। সে জেনে শুনেই রিপোর্ট করেছে। এবং ঠাপানি অবশ্যম্ভাবী বলে কিছু ব্লগারকে হাতে রাখতে চেয়েছে নুনচুনআমেরকষ মেশানো নাঁকি কান্নায়। এবং দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, এই মিশনে সে মোটামুটি সফল। সাপ ও মরলো, লাঠিও অক্ষত থাকলো।

রেসিডেন্ট ক্যাটাগরির ব্লগার আর রেসিডেন্ট ক্যাটাগরির রিপোর্টার- দুইটাই একই বিষ্ঠার এপিঠ আর ওপিঠ। কোনটারে ভালো বলেন আপনি!

বলির পাঁঠা আর কুরবানীর ছাগল বলে বেনিফিট অফ ডাউট দেয়ার কোনো অবকাশ নাই। ব্লগোস্ফিয়ারের স্বাধীনতা রোধ করতে চাইলে, সেইমতে বিবৃতি দিলে, রিপোর্ট প্রসব করলে যে কেউই রামঠাপানি খাবে। সেটা এমদাদুল হক মিলন হোক, খালিদী হোক, গোলাপ, লাড্ডু কিংবা বিপ্লব রহমান- যেই হোক। কারো ভাত সংস্থানের দায় ব্লগোস্ফিয়ারের পড়েনি।

দ্রোহী এর ছবি

চোরের মার বড় গলা!

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

কালের কণ্ঠের জন্য একদলা থুথু!!!


_____________________
Give Her Freedom!

পুতুল এর ছবি

এই সব খবর জেনে-শুনে যারা কালের কণ্ঠে লেখে, কালের কণ্ঠ পড়ে বা বিজ্ঞাপন দেয়; তারা ফেরেস্তা।এখানে আছে শুদ্ধ বাংলা চর্চার নমুনা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নকশাল এর ছবি

গুগল প্লাসে নিজের অর্ধেক বয়সের মেয়েদের সাথে লুল ফেলা ছাড়া বিপ্লব আর কোন কাজেই সত না। তার বই রিপোর্টারের ডায়রি হাজারটা মিথ্যা কথা দিয়ে ভরা। আদিবাসীদের নানা সংগঠনের সাথে সে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করে আদিবাসী মেয়েদের পিছনে ছোক ছোক করার জন্য। এত পত্রিকা ফালায়ে সে কালের কণ্ঠে চাকরি করে কারন সে একজন হলুদ সাংবাদিক। সাকুরাতে নিয়ে গিয়ে তারে দুই শট মদ খাওয়ায় দিলে সে নিজের বাবার নামেও মিথ্যা রিপোর্ট লিখবে।

ব্লগের টুটি টিপে ধরার জন্য কালের কণ্ঠের দরকার ছিল একজন ব্লগার সাংবাদিক। বিপ্লব সেই রোলটা খুব ভাল মত পালন করছে। তার মধ্যে সততা বলে কিছু থাকলে সে এই এসাইনমেন্টই নিত না।

অশোক চাকমা এর ছবি

খুব মন দিয়ে পুরো লেখাটি ও মন্তব্যগুলো পড়লাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি।

০১। প্রথমেই লেখক নজরুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি লেখা
উপহার দেওয়ার জন্য। তার লেখাটি খুবই যুক্তিযুক্ত ও সরাসরি। কালের কণ্ঠের ওই রিপোর্টের সূত্রে গত কয়েকদিন ধরে ব্লগ ও ফেসবুকে যে অস্থিরতা এবং সীমাহীন গালাগাল চলছে, তারই প্রতিক্রিয়ায় ব্লগ লিখে গণমাধ্যমের ভন্ডামীটুকু প্রকাশ করে দেওয়ায় বিপ্লব রহমানকেও ধন্যবাদ দেই।

তিনি নির্ভিক সাংবাদিক ও লেখকের ভূমিকাই পালন করেছেন; চাকরীর ভয় করেননি। এই সৎ সাহসটুকু তাকেই মানায়।

০২।

বিপ্লব রহমানের সাথে যখন আমার টেলিফোনে আলাপ হয়, তাঁর তখনকার বক্তব্যের মোটিভের সাথে পরবর্তীতে প্রকাশিত পত্রিকার রিপোর্টের মোটিভ সম্পূর্ণ বিপরীত দেখেই সাথে সাথে আমি ফেবুতে আমার ওয়ালে লিংকসহ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টা স্পষ্ট করার চেষ্টা করি। তখনই মনে হয়েছিলো, এখানে একজন বিপ্লব রহমান মনে হয় শুধুই উপলক্ষ হয়েছেন মাত্র। যাকে বলে বলীর পাঁঠা। আসলে মূল বিষয়টা দাঁড়িয়েছে ব্লগের স্বাধীনতা বনাম পত্রিকা বা প্রিন্টমিডিয়ার ধারাবাহিক ধান্ধাবাজি চক্রান্ত । পত্রিকার এই বিতর্কিত অবস্থানের কাছে একজন বিপ্লব খড়কুটোর মতোই মনে হচ্ছে। এখানে বিপ্লব রহমানের চাকরিটা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই নয়। কেননা মনে হয় না যে বিপ্লব রহমান তার চাকরির বিনিময়েও পত্রিকার অবস্থান বিরোধী কোন প্রতি-বক্তব্য প্রকাশ করতে পারবেন। তাই ব্লগের স্বাধীনতার বিপরীতে যেহেতু একজন বিপ্লবের চাকরি কোন অনুঘটকই নয়, বা একজন বিপ্লবের চাকরির বিনিময়ে যেহেতু ব্লগের স্বাধীনতাও সুরক্ষা হবে না, সেখানে শুধু শুধু কাউকে চাকরির খোটা দিয়ে লাভ নেই। এখানে চাকরি থাকা বা না-থাকাটা সমান মাপেরই সমান মাপেরই অর্থহীন । তাই বরং বিপ্লবকে নিয়েই আসুন আমরা ব্লগের স্বাধীনতা সুরক্ষার জন্য পত্রিকাঅলাদের দুরভিসন্ধিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি। বিপ্লব দা'র কাছে শুধু আমার দাবি থাকবে আগামীতে যেন তিনি আর কারো গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে ব্লগের স্বাধীনতা বিরোধী যেকোন কর্মকাণ্ডে আগের মতোই সরব থাকেন। নিশ্চয়ই আমরা আমাদের স্বাধীনতাতে কারো হাতে তুলে দিতে চাই না ! আশা করি বিপ্লব দা'র উপর আমার আস্থা বহাল রাখাটা ব্লগের স্বাধীনতার জন্য হানিকর হবে না। বরং মঙ্গলকরই হবে।

উপরের বক্তব্য টুকু সচলায়তনের লেখক রণোদীপম বসুর। কালের কণ্ঠের ওই রিপোর্টে তার বক্তব্যটিও যথাযথভাবে আসেনি। ফেসবুকে কয়েকবার নিজের স্যাটাসে এবং বিপ্লব রহমানের নোটে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন। এগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ যখন-তখন এটি পড়ে নিতে পারেন।

০৩। বহু বছর ধরে বিপ্লব রহমানের লেখা পড়ি। পাহাড়ে, বনে-বাদাড়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অতি পরিশ্রম করে তিনি বছরের পর বছর ধরে নির্যাতীত আদিবাসী জুম্ম জনগণের যে অব্যক্ত কথাগুলো সংবাদপত্রে এবং ব্লগের পাতায় তুলে ধরছেন, এটি খুব কম সাহসের কাজ নয়। যারা ঢাকায় বসে এই চরম সত্যটুকু উপলব্দী করা সত্যিই খুব মুশকিল।

তার ইবুক 'রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে' এর একটি ক্ষুদ্র নজিরমাত্র।
http://www.news.chtbd.net/?p=1894

ইবুকটির বেশ কিছু লেখা আবার এরআগে সচলায়তনেই প্রকাশিত।
http://www.sachalayatan.com/blog/269

০৪। একটি ভুল রিপোর্টের জন্য সাংবাদিক ও লেখক বিপ্লব রহমানের যুক্তিযুক্ত সমালোচনাই কাম্য। লেখক নজরুল ইসলাম এই লেখাই তাই করেছেন। কিন্তু অন্ধ আক্রোশে নামে-বেনামে যা ইচ্ছে তাই গালমন্দে লাভ কী? এতে তো নিজেকেই ছোট করা হয়। "উপরের দিকে থুতু দিলে নিজের মুখেই থুতু পড়ে" - এই প্রবচনটি তো সকলেরই জানা।

এছাড়া সংবাদপত্রের একটি রিপোর্ট দিয়ে একজন আত্নত্যাগী, আদর্শবান সাংবাদিক-লেখককের বহু বছরের পরিশ্রম সাধ্য লেখালেখিকে মূল্যায়ন করা একেবারেই উচিত নয়। কিন্তু যুক্তি হারিয়ে কেউ কেউ এখন যা করছেন, তাকেই বোধহয় 'দশচক্রে ভগবান ভূত' বলা হয়।

০৫। সত্য হচ্ছে জ্বলন্ত সূর্যের মতো। তাকে কখনো চাপা দিয়ে রাখা যায় না। প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে ব্লগ লিখে এর ব্যাখ্যা দিয়ে বিপ্লব রহমান, নজরুল ইসলাম, রণোদীপম বসু অজানা সত্য প্রকাশের মতো গুরুদায়ীত্বটুকু পালন করেছেন। এ জন্য তাদেরকে আবারো ধন্যবাদ জানাই। অমি রহমান পিয়াল ও সুশান্ত দাসগুপ্ত-ও (কালের কণ্ঠের রিপোর্টে তাদের বক্তব্য হুবহু আসেনি) প্রথমে ক্ষোভ প্রকাশ করলেই পরে তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। সত্য প্রকাশের জন্য বিপ্লব রহমানকে সহমর্মিতা জানিয়েছেন, এটিও কম উদারতার পরিচয় নয়। এ জন্য তাদেরকেও সাধুবাদ দেই।

সবাইকে ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

চাকমা সেজে নিজের পীঠ নিজে চুলকাচ্ছে বিপ্লব রহমান।

- প্রীতি চাকমা

মরুদ্যান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নিজের পিঠ নিজেই বাজাইতাসে, তাও আবার চাকমা নাম নিয়া!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কিন্তু অন্ধ আক্রোশে নামে-বেনামে যা ইচ্ছে তাই গালমন্দে লাভ কী?

এই সবক বরং আপনি আপনার বান্ধব বিপ্লব রহমানকে গিয়ে দেন জনাব বিবেকানন্দ। তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, তার রিপোর্টের সমালোচনা করার কারণে কেনো সে এখানে ওখানে নোট নামক বালছাল লিখে মানুষের নামে বিষোদগার করছে! সে এতো বড় কাবিল সাংবাদিক, অতো বছর ধরে অমুক জায়গায় বাল ছিঁড়ে আঁটি বেঁধে ফেলছে বুঝলাম। কিন্তু সেই আঁটি কালের কণ্ঠে না দেখায়ে ফেসবুকে ক্যান মাতম তুলে চলেছে, সেইটাও জিগায়েন।

tarique এর ছবি

বিপ্লবদা নিজেকে যেসব এডজেকটিভ দিয়ে মাষ্টারবেট করলেন সেগুনো হতেছে:

১) নির্ভিক
২) সতসাহসি
৩) বেশি সাহসি
৪) আত্মত্যাগি
৫) আদর্শবান

কিন্তু শুধু চাকমা নিক নিয়ে মাষ্টারবেট করলে হবে না। মারমা, ত্রিপুরা, গারো, সাউতাল সব নিক দিয়েই বিপ্লবদার নামে ভাল ভাল কথা বলতে হবে।

কিছু এডজেকটিভ পস্তাব করছি।

৬) সুদর্শন
৭) স্বাস্থবান
৮) সেক্সী
৯) হাসি খুশি
১০) চরিত্রবান

হিমু এর ছবি

বিপ্লবের মতো আবালের এত্তো লম্বা প্রশংসা করার মতো অশোক চাকমা এখন পর্যন্ত পয়দা হয় নাই। নিক নিয়ে স্বমেহন করা বাদ দে হলুদ। নিজের নামে কথা বল।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই নামে ব্লগ লেখে বা মন্তব্য করে এমন কাউকে তো খুঁজে পেলাম না! কিন্তু কিভাবে অন্যেরা নিশ্চিত হলেন যে এইটা বিপ্লব রহমানের করা মন্তব্য? নিছক কৌতূহল হল তাই জানাতে চাইছি।

ডিসক্লেইমার: বিপ্লব রহমানের বা তার লেখার সাথে আমার কোনরকম সম্পর্ক নাই।

সাফি এর ছবি

বিপ্লুল রহমানের ফেসবুকে করা একটা মন্তব্য -

"এখনো আমি বিশ্বাস করি, লেখা/প্রতিবেদন দিয়ে কাউকে সাময়িকভাবে ভুল ব্যাখ্যা করার সুযোগ থাকে, কিন্তু একটি/দুটি লেখায় বা অপলেখায় কাউকে মূল্যায়ন করা উচিৎ নয়; এতে তার অন্যান্য সব অর্জন নিমিষেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়, তা-ও নয়। "

আশোক চাকমার মন্তব্য - "এছাড়া সংবাদপত্রের একটি রিপোর্ট দিয়ে একজন আত্নত্যাগী, আদর্শবান সাংবাদিক-লেখককের বহু বছরের পরিশ্রম সাধ্য লেখালেখিকে মূল্যায়ন করা একেবারেই উচিত নয়।"

বিশেষন বাদ দিলে বক্তব্য কিন্তু এক।

রণদীপম বসু এর ছবি

মন্তব্যদাতা অশোক চাকমা ফেসবুকে বিপ্লব রহমানের কৈফিয়তে করা আমার মন্তব্যটি উদ্ধৃত করে কি আবারো কোন ধরনের টুইস্ট তৈরি করতে চেয়েছেন কিনা সেটা ভেবে দ্বিধায় পড়ে গেলাম। যেভাবে বললেন চাইলেই পড়ে নেয়া যাবে, ভাবছি মন্তব্যটা কি আবার এমন কোন কিছুর ঢাল হয়ে ওঠে কিনা যা বস্তুত আমি চাই না। যেকোন মন্তব্য কিন্তু আরেকটা বিষয় বা মন্তব্যের প্রাসঙ্গিক ধারাবাহিকতা। তাই পিতৃসত্য অস্বীকার বা গোপন করে কিন্তু সন্তানের অস্তিত্ব উজ্জ্বল হয় না কখনোই, এটাও ভুলে গেলে চলবে না।

আমার মন্তব্য সহব্লগার বিপ্লবকে সহানুভূতি জানানোর যথেষ্ট উপাদান বহন করছে, এবং কেন রয়েছে তাও নিশ্চয়ই মন্তব্যটিতেই উদ্ভাসিত। তবে ওখানে আমি যে কালের কণ্ঠের মতো পত্রিকাগুলোর ব্লগের স্বাধীনতা হরণ করার ঘৃণ্য অপকৌশলী প্রধান দৃষ্টিভঙ্গিটাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি, এবং বিপ্লব রহমান যে বুঝে বা না-বুঝে তারই সহযোগী বা সহকারীর ভূমিকা নিয়েছেন সেটাও নিশ্চয়ই বিবৃত করেছি। তাঁর প্রতি এই সহানুভূতির অর্থ নিশ্চয়ই এই নয় যে ব্লগের জন্য কোন হানিকর উদ্যোগকে আমি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখাবো।
ওই মন্তব্যটি করার প্রেক্ষিত ছিলো পূর্ববর্তী মন্তব্যকারী কয়েকজন ফেসবুকার কর্তৃক বিপ্লবকে চাকুরির খোটা দেয়া হয়েছিলো বলে একজন ব্লগারের মানবিক অবস্থানকে স্পষ্ট করা দেয়া যে, আদর্শগতভাবে বিপক্ষের হলেও কারো পেটে লাথি দেয়ার মানসিকতা একজন ব্লগার হিসেবে অন্তত আমি ধারণ করি না। তবে এটাও ঠিক যে, দুই মুঠো ভাতের জন্যই একজন সাংবাদিকের আদর্শ নতজানু হয়ে যেতে পারে অন্যান্য অনেক পেশার মতোই। যার প্রমাণও কিন্তু বিপ্লব রহমানই। তবে বিপ্লব রহমানের এতোকালের সাংবাদিকতার সম্মানজনক অবস্থানটা যে এই ঘটনার মাধ্যমে এক নিমিষে ফুটো হয়ে গেছে তা বোধ করি আমার উদ্ধৃত মন্তব্যের বক্তব্যেই স্পষ্ট। কেননা আমি সেটাও বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, যদি বিপ্লবের কৈফিয়ৎ সত্যি হয়, তাহলে মানুষ যেখানে ভুল করে সংশোধনও সেখানেই করে। পত্রিকার রিপোর্ট সংশোধনের যথাযথ স্থানটাও হতে পারতো সংশ্লিষ্ট পত্রিকাই। সেটা যেহেতু পারেন নি, তাই বিপ্লব রহমান যে স্রেফ পত্রিকার টিস্যু পেপার হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছেন সেটাও কি মন্তব্যে স্পষ্ট করে দেয়ার দরকার ছিলো !!! হা হা হা !

পরবর্তী আরেকটা খবরে বিস্মিত হয়েছিলাম, পত্রিকাটির সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন নাকি খবরটির ব্যাপারে কিছুই জানেন না ! একটি পত্রিকার প্রকাশিতব্য প্রধান নিউজ, যা কিনা একটি মারাত্মক সংবেদনশীল ইস্যু, সেটির খবর তিনি জানেন না !! ভাষা খারাপ করার রুচি থাকলে অনেক কিছুই বলা যেতো, তবে প্রকৃতই যদি এটি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে মিলন যে সম্পাদকীয় অযোগ্যতার আরেক সমকালীন নজির হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন তা আর অস্বীকার করি কী করে ? তবে আমার মনে হয় না যে তিনি এতো অযোগ্য বা এটা জানেন না। নইলে পরের দিন আবার একই বিষয়ের লেজ টেনে সম্পাদকীয় প্রকাশ হয় কী করে ! অযোগ্য হলে জনাব মিলনকে এই প্রকাশিতব্য সম্পাদকীয়ের কথাও জানেন না বলে স্বীকার করতে হবে। তিনি কি সেটি করেছেন ?

অতএব বিষয়টা খুবই স্পষ্ট যে প্রিন্টিং মিডিয়াগুলো স্বাধীন মত প্রকাশের মাধ্যম ব্লগের শ্বাসরোধ কল্পে একটি ঘৃণ্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে তাদের নষ্টামিকে আড়াল করার জন্য এবং এর ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার এবারের ভূমিকাটা নিয়েছে কালের কণ্ঠ। বিপ্লব রহমান সেখানে কেবলি এক টিস্যু পেপার। নিশ্চয়ই এটা তার আত্ম-শ্লাঘার মতো সম্মানজনক ভূমিকা নয়। একজন সহব্লগারের এই আত্মহত্যার মতো নির্মম পরিণতিতে এতটুকু সহানুভূতি তো আরেকজন সহব্লগারের থাকতেই পারে ! আমি তো আর হলুদ-পত্রিকাঅলাদের মতো বিবেকহীন হতে পারি নি !!

আর এটা অফটপিক কিনা জানি না, তবে বলাটা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, মানুষের নামটা তাঁর প্রকাশিত অস্তিত্বের মতোই সত্য। আর এই সত্যটা হলো আমার নামটা আমি লিখি 'রণদীপম বসু' হিসাবে, রণোদীপম বসু বা রনোদীপম বসু নয়। পত্রিকার রিপোর্টে কিংবা অন্যত্র এই নামের বিকৃতিটা সহজেই এড়ানো যেতো।

আর মন্তব্যকারী অশোক চাকমা হয়তো নিজের অবস্থান থেকে মন্তব্যটি করেছেন, বিপ্লব রহমানের প্রতি তাঁর যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে। একজন মানুষ হিসেবে অবশ্যই আরেকজন মানুষের কাছে আমরা তা আশা করি। কিন্তু এটাও মনে হয় অস্বীকার যাবে না যে, বাস্তবসৃষ্ট একটা অবিশ্বাস কিন্তু আগের অনেক বিশ্বাসকেই মেরে ফেলে বা অর্থহীন করে দেয়। তারই প্রমাণ হচ্ছে রিপোর্টারের ডায়েরি নিয়ে অনেক পাঠকের মধ্যে তথ্যের শুদ্ধতা নিয়ে জন্ম নেয়া অবিশ্বাস। এজন্যেই নিজেকে অন্যের কাছে আস্থাবান বা বিশ্বাসযোগ্য রাখার প্রক্রিয়াটা একটা প্রবহমান প্রচেষ্টার অংশ। এ প্রসঙ্গে একটা প্রকাশিত উৎবচন উদ্ধৃত করি-
'লেখক চরিত্র বড়ই ঠুনকো, কলমের এক খোঁচাতেই যা গুড়িয়ে যায়।'

একজন সাংবাদিক, একজন ব্লগার বা মন্তব্যকারী যে-কেউ অর্থাৎ লিখিত মাধ্যম যিনি ব্যবহার করেন সবাইকেই কিন্তু এই লেখকের সংজ্ঞায় ধরা হয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

রিপোর্ট করলো কালুতে, সেই রিপোর্ট নিয়ে রিপোর্টার নিজেই আবার প্রশ্ন তুলে মায়াকান্না কানলো ব্লগে- যে ব্লগের পেছনে গু লাগাতে গিয়েই নিজের হাত'ই এখন গুয়ে গুয়ে গণশৌচাগার । এরা আবার শিখাবে সুস্থ ব্লগিং- সুস্থ সাংবাদিকতা । নিজেদের অসুস্থতাই যাদের কাছে সুস্থতা তিনারা ব্লগকে অসুস্থদাবী করে আসতে চান কবিরাজি করতে!!!

'নীতিবান' পত্রিকা এবং তার পোষা সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ, ব্লগারদের ভাষা নিয়ে কথা বলার আগে নিজেরা সৎ হোন, দায়িত্ববান হোন। পাঠককে বোকা ভেবে ধোকা দিয়ে যাচ্ছেতাই করার দিন শেষ... এটা অনুধাবন করতে শিখুন।
মানুষ নিজেরাই এখন কথা বলছে... প্রতিটি ব্লগ হয়ে উঠছে একেকজন মানুষের সত্য ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।
চোরের মার বড় গলা করে সত্যকে ধমকাতে আসবেন না।
মানুষের হয়ে কথা বলার ইজারা নিজের কাঁধ থেকে নামান।
যে কোনোরকম অপশক্তি এবং কর্পোরেটের হয়ে তোষণবৃত্তি বন্ধ করুন।
সত্য কথা বলুন। মিথ্যে মুখোশ বেশিদিন ধরে রাখতে পারবেন না, মানুষ তা খুলে ফেলবেই

ধন্যবাদ নজরুল ভাই ইসলাম ।

কড়িকাঠুরে

নিঃসঙ্গ পৃথিবী এর ছবি

চলুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বিপ্লব রহমানের দাবী যদি সত্য হয় তার মানে দাঁড়ায় নিজের পত্রিকাতেও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই!!!!
এটা নিয়ে কেউ কখনো কথা তোলেনি কেন? অবাক হবো নাকি অবিশ্বাস করবো?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমি একটা কথা আগেও বলেছি, আবারও বলছি, আগের দিনে সাংবাদিকদের বলা হতো 'জাতির বিবেক'। তাঁরাই এই পেশায় যেতেন যাঁরা এই পেশাটার গুরুত্ব বুঝেন, যাঁরা অনেক কিছুই জানেন, বুঝেন। যাঁরা অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেন না, করতে পারেন না। যাঁরা নৈতিক দিক দিয়ে অনেক উপরে অবস্থান করেন। আমাদের দেশের ঘুণেধরা রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরাই ছিলেন সাধারণের কাছের মানুষ। কিন্তু সেইসব মানসিকতার 'সাংবাদিকতা'র দিন গত হয়েছে অনেক আগেই। সত্যিকারের সাংবাদিকেরা চলে গেছেন নির্বাসনে। রেখে গেছেন কিছু দু'পেয়ে চতুষ্পদী-ইতর-প্রাণী-বিশেষ।

এখন কথা হইলো, সাংবাদিক নামের এই দু'পেয়ে চতুষ্পদী-ইতর-প্রাণী-বিশেষদের কাছ থেকে আপনি এর চেয়ে বেশি কী আশা করতে পারেন নজু ভাই? কালের কণ্ঠ শিরোনামে মীর কাশেমকে 'জামাত নেতা' পরিচয় দিয়াই ক্ষান্ত হইছে, শোকর করেন তারে যে 'সাবেক সরকার দলীয় এমপি' হিসেবে পরিচয় দিয়ে হেডলাইন করে নাই! কী করতেন তখন?

যেই অবস্থা, চোরের মা'র এখন আর বড় গলা লাগে না। স্বয়ং চোর নিজেই হাতে বিরাট সাইজের মেগাফোন নিয়ে চিল্লাইতে নেমে যায় ময়দানে। আসিফ মহিউদ্দীন [সিরিয়াসলি, এই রামছাগলটা কে?] নামের এক ছিঁচকা লেখা চোর শুনলাম লেখা চুরি নিয়ে ময়দান কাঁপায়া ফেলতেছে! ভাবেসাবে মনেহয়, এফডিসির সামনে অশ্লীলতাবিরোধী মঞ্চে নাইকা ময়ূরীর ভাষণ শুনতেছি অশ্লীলতার বিরুদ্ধে!

আর, কুড়ি বছরের অভিজ্ঞ, আকাশ-পাতাল চষে বোরো ধানের ক্ষেত বানিয়ে ফেলা সাংবাদিক বিপ্লব রহমানকেই দেখেন না! বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার এবং ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো বিষোদগার করে আবার ব্লগ-ব্লগারদেরকে গালিও দিয়ে যাচ্ছে নিশ্চিন্তে, সিম্প্যাথির ধূমা তুলে!

ময়ূরীর ভাষণের পর অনেকেই হাততালি দিয়ে ফাটায়ে ফেলেছে, 'ইনার চেয়ে ভালো নাইকা আর আছেনি বলে!'
আসিফ মহিউদ্দীন নামক স্ট্যান্ডার্ড সাইজের বলদটার পক্ষেও আশাকরি হাততালি দেয়ার পাবলিকের অভাব হবে না।
যেমন অভাব হচ্ছে না, গোটা ব্লগোস্ফিয়ারকে (উইদ ব্লগার্স) ইচ্ছেমতো পোন্দানোর পথ খুলে দেওয়া ঝুনা নারকেল বিপ্লব রহমানের 'নাদানিটি'র পক্ষে কথা বলার লোকের!

ময়ূরী টাইপের নাইকার কাছ থেকে আপনি কী সিনেমা আশা করেন? কিংবা, আসিফ মহিউদ্দীনের কাছ থেকে কী ব্লগিং আশা করেন? আর বিপ্লব রহমান-এর মতো সাংবাদিকেরা যেখানে করে টরে খাচ্ছে, সেখানে আপনি সংবাদপত্রে কী রকম রিপোর্ট আশা করেন, আমাকে বলেন দেখি নজু ভাই!

বাপ্পীহা‌য়াত এর ছবি

চলুক

শিশিরকণা এর ছবি

ময়ূরীকে অপমান করেন ক্যান?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

খুবই যৌক্তিক এই লেখাটির জন্যে নজরুল তোমাকে ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নিঝুম মজুমদার এর ছবি

বিপ্লব রহমানের মতিগতি বোঝা বড় সোজা। উনি কখন কি বলেন আর বলবেন তা খুব সহজেই অনুমেয়, আই মিন প্রেডিক্টেবল। উনি যখনই দেখেন যে উনাকে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না তখনই উনি চট করে বাম হাত ঢুকিয়ে দেয় কোনো একটা গরম টপিকে কিংবা নিজেই গরম টপিক হয়ে উঠবার চেষ্টা চালান। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে যে, উনি যখন বলবেন তখন হাওয়া কোনদিকে বেশী গতিময় কিংবা কোন দিকে বললে উনার লাভ। আমার বদ্ধমূল ধারনা উনি সম্প্রতি আসিফ মহিউদ্দিনের সাথে চা খেয়েছেন।

কালের কন্ঠের এই লেখা উনিই লিখেছেন এবং টাকলু মিলনের লেখাটাও উনি লিখে দিয়েছেন বলে আমার ব্যাক্তিগত ধারনা। দৌড়ানি খেয়ে এখন ঠিক আসিফের মতই এটা সেটা বুঝাবার চেষ্টা করছেন নোট ফোট লিখে। আপনারা যদি কেউ "আমার ব্লগ" একটু কষ্ট করে ঘাটেন দেখবেন উনি কতটা পুতু পুতু ভাষায় ব্লগ করেছেন। সেসব লেখার স্যাম্পল আসলে সবার সামনে হাজির করা উচিৎ, তখন যদি উনার আসল চরিত্র উদ্ঘাটিত হয়।

যেই ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস হচ্ছে-

" মজনু ঘুম থেকে উঠে হাই দিলো। তারপর বাথরুমে গেলো। কিন্তু তার আজ কষা। গত রাতে সে তার প্রিয়তমা নাসিমাকে স্বপনে অবলোকন করেনি। তাই মনটা একটু খারাপ হয়ে আছে। মজনু এমন ভঙ্গুর মনেই তার লাল শার্ট গায়ে চাপিয়ে, হলুদ জিন্সটা পরে ও জাম্প কেডস পায়ে ঢুকিয়ে হাওয়ামে উড়তা যায়ে গানটি ভাঁজতে ভাঁজতে নাসিমার সাথে দেখা করতে বের হোলো। মজনুর জীবনে কুহু প্রেম এসেছে। ঠিক যেন অনেক আগের ফেলে আসা বিক্রম পুরের বিলের ধারের পেয়ারা গাছের উপরে বাসা বাঁধা ময়না পাখির মত। মজনুর বুকের দুটি বোতাম খোলা। লাল শার্টের ফাঁক দিয়ে মজনুর বুকের লোম দেখা যাচ্ছে। খানিকটা পাক ধরেছে তাতে, ইশ নাসিমা দেখলে হয়ত বিষন্ন হয়ে যাবে। আজ মজনু নাসিমাকে আই লাভ ইউ বলার জন্য যাচ্ছে। আজ সে বলবেই বলবে"

সেই লোক আবার ব্লগ নিয়ে কথা বলে!!!

আসলে নিয়তি বড় নির্মম। তা না হলে টাকলু মিলন আর বিপ্লবের মত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী একসাথে হতেই পারে না।

শিশিরকণা এর ছবি

ইমদাদুল হক মিলন আগে পড়ি নাই, বইয়ের নামগুলো দেখেই রুচি হয়নি। কোট করা প্যারা টুকু পড়ে গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করতে দৌড়লাম, এর চে তো দলছুটের লালা-চা অনেক রুচিকর ছিল। ওঁয়া ওঁয়া

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

রানা মেহের এর ছবি

অনেক ভালো লেখা হয়েছে ন‌জু ভাই

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

খুব ভাল আর প্রয়োজনীয় লেখা। ভাল থাকবেন।

দুঃখবিলাসী এর ছবি

একটা বিষয় বুঝিনা, ওই ফালতু লোকটাকে নিয়ে এতো আলোচনা করার কী দরকার? এতো প্রায়োরিটি কেন দেয়া হচ্ছে তাকে....
পথভ্রষ্ট, নষ্ট, বিকৃত মানসিকতার লোক বিপ্লব রহমান.... জেনেশুনে বুঝে বলছি। জানি না, এখানে যারা কমেন্ট করছেন তারা সবাই তাকে চেনেন কিনা, নাকি শুধু ফেসবুক বা ব্লগেই চেনেন? যাই হোক, আমি তাকে চিনি খুব ভালোমতো। এই নষ্ট মানসিকতার লোকটার জন্যেই প্রথম আমি বুঝেছিলাম মিডিয়াতে থাকতে হলে কতটা সতর্ক থাকতে হবে, প্রতি পদে নিজেকে রক্ষা করতে হবে........ভাগ্যিস খুব ভালো ছিলো আমার অন্যান্য কলিগরা....... ফলে তার প্রকৃত চেহারা জানতে পারি তাদের কাছে। মদ খেয়ে যে নিজেকে প্রগতিশীল দাবি করে!!!!! একটা অসাধারণ সুন্দর কাজের পরিবেশ শুধু তার জন্যে নষ্ট হতে হতেও বেঁচে গেল...শুধু সিনিয়র অন্য অনেকগুলো ভালো এবং স্পষ্টবাদী সাংবাদিকের কারনে। তাই সাংবাদিকরা পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট তা কিন্তু না; জেনেশুনে বুঝে বলছি। বিপ্লব রহমানের ভন্ডামিটা তখনই স্পষ্ট হয়, যখন বলে কালের কন্ঠে কলম পিষে খাই, তাই সত্য বলতে পারিনা.... হোয়াট এ ফানি সেনটেন্স। সত্য বলার মেরুদন্ডটাই তার নেই.....অবাক হই এই ভেবে কি সুন্দর করে সে রিপোর্টার সাজতে চায়.... আলোচিত হওয়ার সুন্দর মাধ্যম বিতর্কিত একটা ভাষণ দেয়া............

রংধনুর কথা এর ছবি

চলুক

হিমু এর ছবি

সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা অনলাইন সংবাদপত্র উন্মোচন ডট কমের এই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বিপ্লব রহমানের প্রকাশিত প্রতিবেদনের ডক্টরিং সম্পর্কে কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন কিছুই জানেন না বলে দাবি করছেন। বিপ্লবের দাবিকে তিনি হাস্যকর বলেও উল্লেখ করেছেন।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

এটা একটা কাজ করলো উন্মোচন? ইমদাদুল হক যদি বিপ্লব রহমানকে এখন মুখ বন্ধ রাখা থেকে দায়মুক্তি দিয়ে দেয়?

হিমু এর ছবি

বিপ্লুল কয় সে লিড নিউজের কিছু জানে না। সম্পাদক কয় সেও লিড নিউজের কিছু জানে না। প্রতিবেদক আর সম্পাদক, কেউই যদি কিছু না জানে, তাহলে ঐ খবর ছাপা হৈল ক্যাম্নে?

বিপ্লুল পত্রিকায় গিয়ে করে ব্লগের বদনাম আর ব্লগে এসে করে পত্রিকার বদনাম। ছাগলটারে পোঁদে লাথি মেরে দুই জায়গা থেকেই খেদায় দেয়া দরকার। ফাজিলের হদ্দ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার ধারনা হইতেছে কালের কণ্ঠর যারেই জিগাইবেন, সেই কইবো আমি কিছু জানি না...
এইটা মনে হয় জ্বীন ভূতের কান্ড...
ভূতের নাম রমাকান্ত কামার হাসি

এমন আজব কাণ্ড দেখি নাই। একটা জাতীয় দৈনিকের প্রধান প্রতিবেদনের দায় কেউ নিচ্ছে না!

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

যদি কালের কণ্ঠ বিপ্লুলের লেখায় বাম হাত ঢুকিয়ে থাকে, বিপ্লুলের মতো "আদর্শবান" "আত্মত্যাগী" "নির্ভীক" স্প্যামবাদিকের তো উচিত চাকরি ছেড়ে দেয়া। আর বিপ্লুল যদি এটা নিজে লিখে থাকে, কালের কণ্ঠের উচিত পত্রিকার নামে ব্লগে ব্লগে বদনাম করার অপরাধে বিপ্লুলকে কানে ধরে পঞ্চাশ বার ওঠবোস করিয়ে তারপর কানে ধরে বের করে দেয়া।

মন মাঝি এর ছবি

কালের ভণ্ড পত্রিকাটা তাইলে চালায় কারা? সম্পাদক, প্রতিবেদক এরা কি তাহলে নিজেদের কাজটা তাদের শুক্‌না-সাপ্লায়ারের কাছে আউটসোর্স করে দিয়ে নিজেরা ভ্যোম্‌ হয়ে থাকে সারাক্ষণ?

****************************************

চরম উদাস এর ছবি

আমার মনে হয় উনারা কেউই কিছু জানেন না। এর পেছনে আসলে আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী কালো হাত জড়িত দেঁতো হাসি

মন মাঝি এর ছবি

হ্যাঁ, আর ঐ কালো হাতই উনাদের শুকনা আর ভিজার পয়সা যোগায়ে আউট করে রাখে যাতে আউট অবস্থায় উনাদের অজ্ঞাতে উনাদেরই পত্রিকায় সম্পাদকীয় বা লিড নিউজ ছেপে ফেলতে পারে। দেঁতো হাসি

****************************************

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমার ধারনা - মিলন বিপ্লব দুজনই মিথ্যা বলছে।।।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। এই বিষয়ে আরও ঢালাও প্রচারণা ও সচেতনতা দরকার।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।