একটি প্রেমের কবিতা

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৫/০৭/২০১২ - ৩:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘মহুয়া-মিলন’ স্টেশনে পৌঁছুবো বলে
ঝোলাভর্তি চারুময় রোদের স্বপ্ন নিয়ে
আমরা আচ্ছন্ন সেতারের মতো
ট্রেনের কামরায় উঠে বসেছিলাম...

আমাদের চারদিকে সোনালি চিলের মতো
অমলকান্তি দিনের উড়াল...
বাতাসে ছড়ানো নির্মল আগুনের ফুলকি...
আমাদের বুকপকেটে আকাশভর্তি নক্ষত্রের মতো
জোনাকির ঝিকিমিকি আলো...
তাজা কৃষ্ণচূড়ার মতো
রক্তের বুদবুদে প্রেম মাখামাখি হয়ে আছে।

দিন আসে...দিন চলে যায়...

‘মহুয়া-মিলন’ স্টেশনে পৌঁছুবো বলে আমরা আজও
বুকের গভীরে গলিত শবের মতো আশা
আর দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস নিয়ে
প্রতীক্ষায় প্রাচীন বৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে থাকি...

আমরা বুড়ো হই...বুড়ো হই...আমরা মরি না।

পাদটীকা

  • ১. ক্রেসিডার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে

মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

বাহ বাহ, বেশ কিছু প্রিয় কবিতার উপমা এক জায়গাতেই, দারুণ হয়েছে।

ঝোলাভর্তি চারুময় রোদের স্বপ্ন নিয়ে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মেঘা এর ছবি

বাহ! কবিতা খুব সুন্দর হয়েছে। কবিতার উপমা দিয়ে কবিতা ভালো লেগেছে।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধার-দেনা করে হলেও বাড়িটা বানিয়েছেন বেশ সুন্দর। এখন নিজের উপার্জন দিয়ে বুড়ার ঋণ শোধ করতে হবে। নয়তো শয়তান বুড়াটা এসে কিন্তু সুদ হিসেবে বাড়ির চালের টিন খুলে নিয়ে যাবে।

বই না হলে এমন কবিতাগুলো খুঁজতে আগ্রহী পাঠকের তো কালঘাম ছুটে যাবে!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অরফিয়াস এর ছবি

আমরা বুড়ো হই...বুড়ো হই...আমরা মরি না।

জোম্বি নাকি ? চিন্তিত

মজা করলাম, কবিতা ভালো হয়েছে। আপনার কবিতার নিয়মিত পাঠক আমি। দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তাপস শর্মা এর ছবি

প্রতিটি লাইন ছুঁয়ে দেখা যায়.........

অসাধারণ। জাস্ট অসাধারণ।

সাবেকা এর ছবি

কবিতাটা মন ছুঁয়ে গেল । আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

যুমার এর ছবি

মেঘমেদুর বিষণ্ন দিনে

অমলকান্তি দিনের উড়াল

অসাধারণ চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দারন লেগেছে দাদা. উত্তম জাঝা!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অমি_বন্যা এর ছবি

অসাধারণ লাগলো । চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লেগেছে। চলুক

সৌরভ কবীর

ক্রেসিডা এর ছবি

রোমেল ভাই; দারুন লাগলো। তবে "বুকপকেট আকাশভর্তি নক্ষত্র" এই শব্দগুলো বা উপমা অনেক ব্যবহৃত; তাই ওখানে অন্যকিছু দেখলে ভালো লাগতো হয়তো। একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত। আপনি লেখক, সো লেখার সময়টায় এই কম্বিনেশনই হয়তো দাবি ছিল সময়ের।

আর একটা চিন্তা-ভাবনা, শেষ লাইনটা "আমরা বুড়ো হই...বুড়ো হই...আমরা মরি না" আমি আলাদা একটা বিচ্ছিন্ন লাইন হিসেবে দেখলে ভালো লাগতো। মনে হচ্ছে আগের প্যারা শেষে একটা গ্যাপ দিয়ে শেষ লাইনটা আলাদা একটা লাইন হিসেবে দাড় করালে আরো সুন্দর লাগতো।

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

কৌস্তুভ এর ছবি

অনেকদিন পর রোমেলভাইয়ের কবিতা পড়ছি হাসি (আপনি অনেকদিন পর লিখছেন তা বলছি না, আমিই ডুবে ছিলাম অনেকদিন খাইছে )

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কবিতার নিয়মিত পাঠক হিসাবে বলছি, আপনার অন্য কবিতাগুলো বেশী ভাল লেগেছে! অণু ভাইয়ের সাথে একমত, আপনার এই কবিতা যেন অনেক স্মরণীয় পঙক্তির সমাবেশ!

কাজি মামুন

জুন এর ছবি

আমি কোবতে বুঝিনা। আমি ছড়ার ভক্ত। সেই যে আবোল-তাবোল বা শব্দকল্পদ্রুম। দেঁতো হাসি তারপরেও পড়েই ফেললাম কোথাও না আটকে। এইখানেই কবির সার্থকতা। শয়তানী হাসি

চলুক

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ভাল লাগলো। চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

সেই যে চীনে গেলেন, তারপর তো আর দেখা নেই আপনার। আপনার কবিতার মুগ্ধ পাঠক।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তিথীডোর এর ছবি

আমাদের চারদিকে সোনালি চিলের মতো
অমলকান্তি দিনের উড়াল...

চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ঝরাপাতা এর ছবি

ভালো লাগলো । ক্লা্ন্তিহীন প্রতীক্ষায়ও কারো কারো চলে যায় সমস্ত জীবন।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ভালো লেগেছে প্রিয় কাব্যবিশারদ। হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমরা বুড়ো হই...বুড়ো হই...

মন খারাপ চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পরিচিত অনেক শব্দ এসে কবিতাটা আরো সুন্দর করে দিলো
দারুণ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর!

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

লেখকের কাজ লিখে যাওয়া। মান বিচারের দায়িত্ব পাঠকের। পাঠকের বিচারই চূড়ান্ত। কবি যদি কবিতার মধ্যদিয়ে পাঠকের ভেতরে নিজের অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞানের অনুরণন ঘটাতে না পারেন তবে সেটি তাঁরই ব্যর্থতা। কিন্তু কবি যা কবিতার মধ্য দিয়ে বোঝাতে পারেন নি, তা যদি কবিতার বাইরে এসে বোঝাবার চেষ্টা নেন, তবে সেটি তার প্রতিভার দীনতা ও অন্তঃসারশূন্যতারই পরিচায়ক। ব্যর্থতা তবু সহনীয় কিন্তু প্রতিভার রিক্ততা প্রকাশ হয়ে পড়লে তা আত্মহত্যারই সামিল।

কবি ক্ষেত্রবিশেষে সংবেদনশীল পাঠকও বটে। তাই তার ভালোলাগার ভুবনে অন্যের বাগান থেকে ভেসে আসা শব্দফুলের সুরভির বিচরণ অনভিপ্রেত ও অস্বস্তিকর নয়। কারণ তিনি তো বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপবাসী নন। বাগানের ফুল তুলে ফুলদানি সাজাবারও একটা শিল্প আছে, 'ইকেবানা' বুঝি তেমনই একটি শিল্প। তবে দেখবার বিষয় হলো, ফুল সাজাবার কেরদানিতে তিনি কতটুকু নতুনত্ব যোগ করতে পারলেন।

যে পরিমাণ দায়িত্ব ও নিষ্ঠা নিয়ে পাঠকেরা আমার পরিণত-অপরিণত সব লেখাই পড়েন এবং দিলখোলা মন্তব্য করতে কসুর করেন না, তা আমাকে যুগপৎ মোহিত ও আপ্লুত করে। আমিও কান পেতে রই, শুনতে চাই স্বতঃস্ফূর্ততায় লীন হয়ে পাঠকেরা আমায় বলছেন, "এভাবে ঠিক বাজাতে পারলে না তুমি, বেসুরো বাজিয়ো না, আমাদের সমঝদার মন যে কম্পাঙ্কে দোলা দেয়, সেটি অনুধাবনে চেষ্টা নাও আবার, আমরা তোমার গান আবার শুনবার জন্য প্রতীক্ষায় থাকবো, আমরা সুখী হব তোমার সাধনায়।"

সব মন্তব্যের আলাদা আলাদা জবাব দিতে পারলে আমার কতই না ভালো লাগতো। ক্লান্তি আমার ক্ষমা কোরো।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

গুরু গুরু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।