বারোয়ারি গল্প : ভূটান-৩

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: বুধ, ২৬/০৫/২০১০ - ১২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব

জীবনটা তো এই কফির মতোই বিটকেলে। ভালো লাগলে ভালো, না লাগলেও অনাগত স্বাদের আশায় চুমুক দিয়ে দেখি, ভালো তো লাগতেও পারে!

পনেরো বছর আগে মীরা, আমি কেউ-ই কফি খেতাম না। চা খেতাম। ঘোরলাগা বৃষ্টির বিকেলগুলোতে চায়ের বাহানাতেও দেখা হতো কত। কে জানে? হয়ত মীরা এখন আর চা খায় না, ইশকুলপড়ুয়া ছানাটির পড়া দেখতে দেখতে পুরোনো বইয়ের আড়ে লুকোনো ধুলো ছোঁয়ার সময় হয়ত আর পায় না। এতগুলো বছর হেঁটে এসে এক পাহাড়ি বর্ষায় অচিন স্বাদের কফি হাতে নিজেকে এমন নস্টালজিক হতে দেখে মনে মনে অবাক হই।

“অউর কুচ লায়েগা শাব?” প্রেমের প্রশ্নে সম্বিৎ ফিরে পাই। হাতের কফি জুড়িয়ে এসেছে। মগটা ফিরিয়ে দিতে গিয়ে চোখ পড়ে সাদা চীনামাটির ওপর নীল ড্রাগনের নকশায়। নয়না থাকলে এ জিনিস দেখে ঝলমলিয়ে উঠত নিশ্চিত। সংসারের জিনিস জোগাড় করা ওর নেশা। বেড়াতে গেলেও আকাশ-পাহাড়ের চেয়ে এগুলোই ওকে টানে বেশি। বাসার একটা দেয়াল জুড়ে নয়নার কাপ-পিরিচ-বাসন-কোসনের দেরাজ। আমি নাম দিয়েছি ‘জাদুঘর’। কস্মিনকালে আমাদের খাবার টেবিলে পদার্পণ হয় তাদের। তা-ও বিশেষ কোনো অতিথির পদধুলি ঘরে পড়লেই। বাকিটা সময় তারা নাক উঁচিয়ে কাচের পাল্লার ওপারে বসে থাকে চুপচাপ। এবার ফেরার বেলায় এমন একটা কিছু নিয়ে নেওয়া যায় নয়নার জন্য।

“শাব, অউর কুচ?” প্রেম জানতে চায় আবারো। বৃষ্টি বৃষ্টি ঠাণ্ডায় আমার ধূম্রপানের ইচ্ছে জাগে। ভূটানে খোলা জায়গায় ও জিনিস চলে না জানি। এখানে সোমরস চলে, সিগারেট নয়। প্রেম নিশ্চয়ই সেকথা জানতে চায় নি। আমি ব্রেকফাস্ট করব কি না জানতে চাইছে। আমি নিজের খিদের মাত্রা আঁচ করতে চেষ্টা করি। এই মুহূর্তে খিদেটা অবেলার চায়ের মতো। না হলেও চলে, হলেও মন্দ না। আমি ইশারায় জানাই আপাতত কিছু লাগবে না।

ভেবেছিলাম ইমিগ্রেশান ব্যুরোর কাগুজে কারবারগুলো আজই সেরে নেবো। আশপাশের এলাকাগুলোতে ট্রেকিঙের খোঁজখবর নিতে হলে কিছু আনুষ্ঠানিকতা মিটিয়ে নিতে হবে। এখানকার সংস্কৃতিদপ্তরে গিয়ে কোনো সহৃদয় অফিসারকে দিয়ে খাস ভূটানি ভাষায় ফরম পূরণ করাতে হবে। বাজার অব্দি হেঁটে গিয়ে তার ফটোকপি করিয়ে আবারো হেঁটে ফিরে এসে অফিসে জমা দিতে হবে। গাড়িতে পুরোটা কুলোবে না। বেশ খানিকটা হাঁটতে হবে নিজেকে। বৃষ্টির অজুহাতে এতখানি হ্যাপা পোহাতে হবে না ভেবে একটু যেন আরাম পাচ্ছি। আবার কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে বিরক্তও লাগছে। ভেবেছিলাম অফিশিয়াল কাজগুলো হতে হতে এদিক ওদিক ঘুরেফিরে নেবো নিজের মতো করে। সব পণ্ড হয়ে গেলো এই হতচ্ছারা মৌসুমের মেজাজে।

ধোঁয়া টানার অদম্য ইচ্ছেটা বেশ অনেকক্ষণ ধরেই ঘাই দিচ্ছিলো ভেতরে ভেতরে। পকেট হাতড়ে দেখি শুধু লাইটার আছে। সিগারেটের প্যাকেটটা ঘরেই রয়ে গেছে। এবার উঠতেই হলো।

দোতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠে হাতের ডানে প্রথম ঘরখানি আমার। এরা বেশ কেজো দেখা যাচ্ছে। সকালের বাসি বিছানা এরমধ্যেই ঠিকঠাক করে দিয়ে গেছে। আমার সবেধন নীলমণি সিগারেটের প্যাকেটখানা সাইড টেবিলের ওপর পড়ে আছে।

সিগারেট ধরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াই। সামনে পাথরে বাঁধানো বাগানে সাদা, হলদে, গোলাপি ফুলগুলো ঝমঝমে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তাজা হচ্ছে। হোটেলের নিচতলা থেকে ছুটে বেরুলো নীল স্কার্ট পরা দশ-এগারো বছরের একটা মেয়ে।

“এখন যেও না বলছি …” একটা গম্ভীর পুরুষকণ্ঠ শোনা যায়। মেয়েটির বাবা হবেন হয়ত।

“এই একটু ভিজবো! প্লী-ই-ই-ই-জ …” বলতে বলতে বাগানে ছুটে আসে মেয়েটি।

আরো বাঙালি আছে তাহলে এই হোটেলে! নিচে এতক্ষণ বসে থেকে চোখে পড়ে নি এদের। এই অসময়ে সপরিবারে ভূটানদর্শনে কেন এসেছে কে জানে?

মেয়েটি মহানন্দে ভিজছে। দৃশ্যটা স্বপ্নের মতো। পাথুরে পথে, ঘোলাটে ঝুমবৃষ্টিতে ভিজছে পাহাড়ি ফুলের ঝোপ আর ছোট্ট একটা মেয়ে। ছবি তুলে রাখতে ইচ্ছে হয়। ক্যামেরার পেটরা খোলা হয় নি এখনো। আনতে আনতে হয়ত দৃশ্যটা ভেঙে যাবে। আপাতত মনের ক্যামেরাতেই ছবি তুলে রাখি।

“জুঁই, এসো বলছি। বেড়াতে এসে জ্বর বাঁধাবে নাকি? তোমার আম্মুকে ডাকব?”

জুঁই ততক্ষণে কাকভেজা। একটু বিরক্তমুখে তাকায়। বৃষ্টিভেজার আনন্দ আর মায়ের বকুনির স্বাদের তুলনামূলক বিচার করে দেখে হয়ত মনে মনে। তারপর আবারো ভিজতে থাকে।

জুঁই নামটা শুনে মীরার কথা মনে পড়ে আবারো। ওর প্রিয় ফুল ছিলো।
নাহ! আসলেই বুড়ো হয়ে গেছি। তা না হলে পদে পদে পেছন দিকে হাঁটছি কেন?

বৃষ্টির ছাঁট একটু কমে এসেছে। রোদও উঠেছে। জুঁইয়ের উৎসাহেও তাই বুঝি ভাটা পড়ে। সে ছুটে ছুটে হোটেলের ভেতরে চলে আসে।

হাতের সিগারেট খাটো হয়ে এসেছে। বাকিটুকু ছাইদানিতে ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম আবার। একদফা বেরুনোর চেষ্টা করা যায় কি না দেখা যাক। সিঁড়ি দিয়ে নামার পথে জুঁই নামের মেয়েটিকে দেখা গেলো ভিজে চুপচুপে জামা গায়ে উঠে আসতে। সাথের ভদ্রলোকটি, যাকে জুঁইয়ের বাবা বলে আন্দাজ করেছিলাম, দেখা যাচ্ছে বয়সে বেশ তরুণ। ত্রিশের কাছেপিঠে হবে বয়স।

নিচে নেমে দেখি মৃদুলয়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে তখনো। বাগানের খানাখন্দে জল জমে গেছে। এর মধ্যে অতটা পথ মাড়িয়ে যাওয়াটা বুদ্ধিতে সায় দিলো না। হোটেলরুমে ফিরতেও আর ইচ্ছে হচ্ছে না। প্রেমের হাতে চাবি তুলে দিয়ে বেরিয়ে এলাম। সাথে গাইড নেবো কি না জানতে চাইলো প্রেম। আমি কাছেপিঠেই হাওয়া খেয়ে চলে আসব বলে বারান্দা পেরিয়ে পাথরের রাস্তায় পা বাড়ালাম।

রাস্তাঘাট চকচকে পিচ্ছিল। অনভ্যস্ত হাড়গোড়গুলো অক্ষত রাখতে পা টিপে হাঁটছি। সকালের বিরক্তিটুকু বেশ থিতিয়ে এসেছে। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে অল্প অল্প ভিজতে ভালোই লাগছে। সাদা সাদা ছিমছাম ভূটানি বাড়িগুলো বৃষ্টিতে নেয়ে ঝকঝক করছে। মোবাইলটা ভিজছে কি না দেখতে পকেটে হাত দিয়ে খেয়াল হলো মোবাইল ফেলে এসেছি। তাতে অবশ্য বেশি অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। আমার পৌঁছুনোর খবর গতরাতেই কোম্পানিকে জানিয়ে দিয়েছি। নয়নাকেও মেইল করেছি। এ বেলায় আমাকে কারুর খোঁজার সম্ভাবনা কম। সবরকম যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেশ নির্ভার মনে হয় এবার নিজেকে।
.
.
.
[পর্যাপ্ত ভূটানদর্শন করাতে পারলাম কি না জানি না। ভূটান সম্পর্কিত রসদ যতটুকু পেয়েছি তার পুরোটা কাজে লাগাতে পারি নি। লেখার অপাচ্যতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।]


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালৈছে

...........................
Every Picture Tells a Story

নাশতারান এর ছবি

যাক! বাঁচলাম! Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বাহ! সেরাম লিখেছো! একেবারেই তোমার লেখা মনে হয়নাই আপু*...সত্যি! আগ্রহ বাড়ছে...কোনও এক পর্ব নিজেরও লেখার ইচ্ছা থাকলো! হাসি

[* লেখিকার লেখা মনে হয়নাই। লেখকের লেখা মনে হয়েছে! খাইছে ]
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নাশতারান এর ছবি

ভূটানে স্বাগতম ... দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

চিরকুট [অতিথি] এর ছবি

বারোয়ারি গল্প : ভূটান- এর পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম‍ ......

ভাল লাগছে.........।

নাশতারান এর ছবি

এবার রেনেটদার পালা ...

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মূলত পাঠক এর ছবি

খাসা, এই পর্বে একটু ধীর লয় হলো, তবে সেইটা ভাল্লেগেছে। দৌড়ের উপর আছি, পরে বিশদ হবে'খন।

দুষ্ট বালিকা, লিখতে চাইলে স্বাগতম!

নাশতারান এর ছবি

পাশ নাম্বার পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

খুব ভালো...

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

দারুণ হয়েছে, বুনো হাসি চলুক

নাশতারান এর ছবি

তোমার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম ... Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

এক কথায় - অসাধারণ! সিম্পলি অসাধারণ! আমার কাছে এ্টি লে্টার মার্কস নিয়েই পাশ করেছে! আর সবচে' বড় কথা, লেখা্টিতে একবারের জন্যও মনে হয়নি, একজন লেখিকা লিখেছে এটি! ভার্চুয়াল পাঁচ তারা! হাততালি

আচ্ছা, ধূম্রপান কথাটা তো কখনো শুনি নাই! টাইপো?
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

নাশতারান এর ছবি

না, টাইপো না। ধূম্রপানই Smiley

পাঁচ তারা আর লেটার মার্কসের জন্য ধন্যবাদ। Smiley
লেখার মধ্য দিয়ে লৈঙ্গিক পরিচয় কীভাবে প্রকাশিত হয় জানি না। এ লেখায় অমন মনে হওয়ার কারণ সম্ভবত কেন্দ্রীয় চরিত্রটি একজন পুরুষ যার ভাবনাগুলো তার কাজ, স্ত্রী-সন্তান আর প্রাক্তন প্রেমিকাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বর্ণনা ভালোই লাগলো। যদি-ও গল্পের আগামাথা বুঝি নি যেহেতু আগের দুই পর্ব পড়ি নি! এটা কি ধারাবাহিক এবং একেকজন একেক পর্ব লিখছেন? অদ্ভুত তো।

==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
আলোকবাজি

নাশতারান এর ছবি

একেকজন একেক পর্ব লিখবেন বলেই না বারোয়ারি গল্প! গল্প এখনো বেশিদূর এগোয় নি। গত দুটি পর্ব পড়ে এলেই রেশ ধরতে পারবেন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বাউলিয়ানা এর ছবি

বারোয়ারি গল্প তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে।

ভাল লাগছে।

নাশতারান এর ছবি

এবার আমিও গ্যালারিতে আসন পেতে বসলাম Smiley
দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায় ...

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ে মুগ্ধ হওয়া গেল। চমৎকার লিখেছেন বলতেই হবে। অভিনন্দন বুনো আপনাকে। আচ্ছা এই বারোয়রি গল্প আপনারা সচল অর্ধসচলরাই শুধু লিখবেন না আমাদের মতো অচলরাও লিখতে পারবে?

জহিরুল ইসলাম নাদিম

নাশতারান এর ছবি

অভিনন্দন সাদরে গৃহীত হলো।

এবার তাহলে আপনিও লাইনে দাঁড়ান। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

গ্যালারীতে আছি! এ-প্লাস হয়েছে বর্ণনা।

তবে ভূটানের রাস্তা চকচকে পিচ্ছিল হবার সম্ভাবনা এবং ভূটানের সাদা সাদা বাড়ী এই দুটো ভাবাচ্ছে। যতদুর দেখছি(পরের মুখে ঝাল খেয়ে) ভূটানের বাড়িঘর রঙিলা।

গ্যালারিতে বসে ভুল খুঁজে বের করার সহজ অপচেষ্টা মাত্র চোখ টিপি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নাশতারান এর ছবি

পাখির চোখে ভূটান ↓
thimpu_bird's view

ভূটানের রাস্তাঘাট ছিমছাম, পরিষ্কার। ভারী বর্ষণে চকচকে পিচ্ছিল হতেই পারে। চোখ টিপি
thimpu_main street

এ প্লাস-এর জন্য ধন্যবাদ। দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো হইছে।
রেন্টুর আগেই আমি একটা উড়াধুরা পর্ব লেইখা পুরা ক্যাচাল লাগায়া দিমু কী না ভাবতেছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

লেখেন, লেখেন। কিন্তু, রেন্টুদা কই? উনার কোনো সাড়াশব্দ নাই ক্যান?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রেনেট এর ছবি

নজরুল ভাই লিখেন তাইলে এখন। আমি আপনার পরে লিখি।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

নজরুল ভাই, লেখেন তাড়াতাড়ি। ক্যাচাল ভালুবাসি দেঁতো হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ভালৈছে

--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

দুর্দান্ত বুনো!! ভূটান ভাবনা সার্থক মনে হচ্ছে আমার কাছে!
পুরানো পর্ব পড়ে আসলাম। আমিও লেখককূলে নাম লেখাব নাকি ভাবছি...স্কুলের বারোয়ারি গল্প বলার দিন মনে পড়ে গেছে...
আর ইয়ে, ইরানী চায়ের কাপ একটা যো্গাড় করতেই হবে মনে হচ্ছে! হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

আসো, আসো। তুমিও নাম লেখাও। Smiley

আর, ইরানি চায়ের কাপ তো হবেই। ভূটানি মগও জোগাড় করতে হবে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আহাহা! ভূটানেরটা ভুলেই যাচ্ছিলাম...! হাসি
লেখাটা জোস হইসে কিন্তু আসলেই।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রেনেট এর ছবি

আমি তাহলে নজরুল ভাইয়ের পর গেলাম। আশা করি ততদিনে গল্প ভূটান থেকে অন্য কোথাও চলে যাবে হাসি

এই পর্যন্ত গল্প ভালৈসে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নাশতারান এর ছবি

থেঙ্কু, রেনেটদা।

নজু ভাই, ইশটাট!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মর্ম এর ছবি

যাক গল্প আবার ভূটানে ফিরেছে।

প্রথম পর্বের স্বাদ আবার এ পর্বে পেলাম। কেন জানিনা হঠাত্‍ করে কোথ্থেকে ফেলুদার কথাও মনে পড়লো।

এ গল্প কোথা থেকে যে কোথায় দৌড়ায় বলা বা আন্দাজ করা মুশকিল আর মজাটা বোধ হয় ওখানেই। পরের পর্বের অপেক্ষায়...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

ভূটানের স্বাদ কদ্দূর থাকবে বলা মুশকিল। সবরকম স্বাদের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা ভালো। খাইছে

ফেলুদার কথা যখন মাথায় এসেই গেলো, কোনো এক পর্বে আপনিই লিখে ফেলুন কিছু।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মূলত পাঠক এর ছবি

পরের পর্ব কি বেরোবে? কে লিখছেন?

নাশতারান এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের লেখার কথা। বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে একবার লিখতে বসবেন বলছিলেন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মূলত পাঠক এর ছবি

তিনি তো অগাস্ট মাসে বেড়াতে যাবেন শুনেছিলাম। অন্য কেউ লিখতে আগ্রহী হলে লিখে ফেলুন না এক আধ পর্ব, নজরুল সাহেব না হয় পরের পর্ব লিখবেন।

নাশতারান এর ছবি

তিনি ফিরেও এসেছেন। যাওয়ার আগেও লেখার কথা বলেছিলেন। দাঁড়ান, আবার গুঁতাই গিয়ে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আচ্ছা, তাই বলি, আমি শুনেছিলাম নজরুল ভাই ভূটান গিয়েছেন। হাসি

...........................
Every Picture Tells a Story

নাশতারান এর ছবি

হো হো হো

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।