সবকিছু বোঝানো যাবেনা!!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৬/০৮/২০১১ - ১:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুটাতো ভুল রয়েই গেছে, রয়ে গেছে কিছু কিছু দায়!
যেমন হয়নি খোঁজা কোনদিন কিছু কিছু নাগরিক উপায় -
যা-দিয়ে সবাইকে যার যার মতো করে তৃপ্ত করা গেলে
এ-জীবন থেকে যেত পুরোপুরি নাগরিক নাগালে।

তাই কি হয় নাকি, সবকিছুতে কি আপোষ করা চলে,
সবকিছু কি করা যায়, যাওয়া যায় সবকিছু ফেলে? -
দিবাগত রাত মানে কি শুধুমাত্র দিবাগত রাত,
দরোজায় করাঘাত মানে-কি কেবলই দরোজায় করাঘাত!

বোঝার চাইতেও বহুদূর বোঝার দিব্যি যদি দেই,
তাতে কি পুরোটা বুঝে নেবে আমি কিভাবে এই
সরল উপসংহারে পৌঁছে তোমাকে বলতে পেরেছি -
কিছু ভুল থেকে যায়, থেকে যায় কিছু দায়, আর সব নিজের করেছি!!

------- তানিম এহসান, বরিশাল, ১৭. ০৮. ২০১১


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

তানিম আপনার পোস্টগুলোর একটা তালিকা contact বরাবর পাঠাবেন প্লিজ?

ফাহিম হাসান এর ছবি

আশা রাখি এরপর মুর্শেদ ভাইয়া ইমেইল চেক করার কথা বলবেন। দেঁতো হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

কবিতায় মন্তব্য চাই ফাহিম ভাই, ক্যামেরার পেছন থেকে বের হয়ে মন্তব্য করেন হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

একটা কবিতা নিয়ে মন্তব্য করা একটু কঠিন।

আপনি যে কবিতা নিয়ে পরিশ্রম করছেন, ভাল লাগছে। কিন্তু আপনার এর চেয়ে ভাল লেখা সচলেই পড়েছি। ছন্দ বিষয়ে কথা হয়ে গিয়েছে, এই লেখাটার প্রধান দুর্বলতা ছন্দ (বিশেষ করে শেষ প্যারায় ও মাঝে চলে-ফেলে অন্ত্যমিলে)। দরজায় করাঘাত - এর অংশটুকুর হাহাকার মন ছুঁয়ে গেল।

শুভেচ্ছা হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

পাঠালাম! আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছেনা কেন যেন!

আশালতা এর ছবি

অভিমানী মেঘে পড়ুক আলোর ছটা... হয়ে উঠুক গোলাপি, সবুজ বা নিতান্তই মেঘরঙা। আগাম অভিনন্দন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ভালো কবিতা। সাথে আরও কিছু ভালোর আলামত পাচ্ছি মাহবুবের কমেন্ট থেকে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

হে রাতঃ§রণীয় রাতের আলো, মন্তব্যের জন্য আব্বাসের খাশীসহ গরমাগরম ভাত - নেক্সট টাইম খুলনা গেলে কিন্তু আপনাকে খুঁজে বের করবো, ফাজলামো করিনি, আমার খুঁজে বের করার অভ্যেস আছে। সচল সহযোগীদের সাথে আড্ডা মারতে খারাপ লাগেনাতো হাসি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আসেন, মোস্ট ওয়েলকাম। আব্বাজের খাসীর গোশত দিয়ে ভালোই খাওয়া হবে। আর আব্বাজের একসময়ের পলাতক চ্যালা তো সোনাডাঙ্গায় বিশাল হোটেল খুলে বসেছে।

আড্ডা দিতে ভালোই লাগে। সীমিত একটা সার্কেলে আড্ডা দেই খুলনায় গেলে। আড্ডা ভরে চলে গালি আর নানারকম কথাবার্তা। বন্ধু মেম্বার বলে, "আরে খালি মুখে কি কথা কবো, বিড়ি-বাড়া বাইর করে।" সিগারেটের প্যাকেট বের করে পরে জবাবে হয়তো আমি বলি, "টানতি চাইস কোনডা, বিড়ি না বাড়া? এই ধর, বিড়ি নে, বাড়া বাইর করতি পারবোনা।"

সচলের বন্ধুদের মধ্যে ইন পারসন দেখা হয়েছে মাত্র তিনজনের সাথে, রোমেল চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, এবং আহমেদুর রশীদ চৌধুরী। আর ফোনে কথা হয়েছে ষষ্ঠ পাণ্ডবের সাথে। এরা দারুন পাবলিক, আড্ডা দিলে একটা সমৃদ্ধ সময় কাটে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

সোনডাঙার ”আল আরাফাহ” থেকেও জাতিসংঘ পার্কের কাছে ”চুকনগর” হোটেল বলে যে হোটেল আছে সেটাতে খেতে আরো মজা! প্রায় একইরকম মনে হয়। খেয়ে দেখতে পারেন, একটা হলুদ পর্দার উপর লেখা ”চুকনগর হোটেল”! আবার একবার গেলে পরে আামাকে কয়েকজন মিলে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো ’জিরো পয়েন্টে’, সেখানে আবার গরুও মেলে সেই একইরকম ভাবে! বানিজ্যের রমরমা যুগে সবকিছু নামের উপর চালিয়ে দেয় চালকেরা চোখ টিপি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আব্বাস একবার ভেজালবিরোধী মোবাইল কোর্ট ওর দোকানে আসলে দোকান রেখে পালিয়ে গিয়েছিলো। আমার খুলনায় হোটেলে খাওয়া হয় খুবই কম। সোনাডাঙ্গারটায় দু'একবার খেয়েছি। চুকনগর হোটেল বা জিরো পয়েন্টে খাইনি। খুলনার দিকে আসলে জানান দিয়েন। আমি অবশ্য ইদানিং খুলনায় খুবই কম থাকছি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কিছু কিছু লাইনে অক্ষরবৃত্ত উঁকিঝুঁকি দিল। কোথাও কোথাও ছন্দ কেটেও গেল। কেটেছেটে যা পাওয়া যায়, লাভ। কবিতা তা-ই, অনুশীলনের অতিরিক্ত যা হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

আয়নামতি এর ছবি

আমি আপনাকে সবার আগে 'অভিনন্দন' বলে গেলাম হাসি লেখাটা ভালো লাগলো।

তানিম এহসান এর ছবি

সবকিছু হয়ে গেলে আপনাকে সবার আগে ধন্যবাদ বলবো হাসি

শাহীন হাসান এর ছবি

তানিম, আপনার কবিতা পড়লাম- ভাল হেয়েছে। কেমন আছেন?

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

তানিম এহসান এর ছবি

শাহীন ভাই, ভালো আছি চেষ্টা অতিক্রমে!

সুমন তুরহান এর ছবি

অন্ত্যমিলগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভালো হয়েছে; তবে মাত্রার প্রয়োগ থাকলে আরো ভালো লাগতো। পড়ার আগে কবিতায় একবার চোখ বুলিয়ে আমিও কেনো যেনো অক্ষরবৃত্ত আশা করেছিলাম, অন্তত এ কবিতায় সম্ভব ছিলো অক্ষরবৃত্ত ব্যবহার করা। মাত্রায় হেরফের হলে শুধুমাত্র অন্ত্যমিলে কবিতা সাধারণত সুপাঠ্য হয় না, কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম ঘটেছে। তানিম ভাইয়ের সহজাত সাবলীলতার কারণে কবিতাটি পড়তে বেশ ভালো লেগেছে, মনে হয়নি খুব বেশি জায়গায় আটকেছে - বরং একটানে পড়া গেছে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। চলুক (এই ব্যাপারে আরো ভালো করে বলতে পারবেন একজনই - তিনি রোমেল ভাই। হাসি )

তানিম ভাই, আরো নিয়মিত লিখুন - আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকি। আর, মুর্শেদ ভাইয়ের কমেন্টে মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি আমরা একটা সুখবর পাবো। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

তানিম এহসান এর ছবি

সুমন ভাই, কেমন আছেন!

স্নান শব্দটা আমি এতো বেশী ব্যবহার করি যে মনে হয় যে এটা আমার!! চোখ আটকে গেলো আপনার সিগনেচারে - লাইন দুটো অদ্ভুত!

সুমন তুরহান এর ছবি

তানিম ভাই, এটা হুমায়ুন আজাদ স্যারের লেখা 'স্নানের জন্যে' কবিতার শেষাংশবিশেষ। কবিতাটির তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'অলৌকিক ইস্টিমার'-এর প্রথম কবিতা এবং আমার খুবই প্রিয়। বইটি বেরিয়েছিলো ১৯৭৩ সালে। নেটে অনেক খুঁজেও কবিতাটি পেলাম না, তাই পুরোটা এখানে তুলে দিলাম আপনার জন্যে:

স্নানের জন্যে

মরুভূমির মতো নদী বয়ে যায় দিকচিহ্নহীন
আমি কি ক'রে ভাসাই নৌকো জলে নামি
স্নান করি
স্নানের যোগ্য জল নেই কোনো নদী সরোবরে

পেছনে স্বভাব কবির কন্ঠনিসৃত পদ্যের মতোন ধুঁয়ো ওঠে
কারখানার চিমনি চিরে
তার স্তবে মগ্ন হ'লে বুঝতে পারি ড্রেনে ড্রেনে পদ্ম ফোটে
ডাস্টবিনে জন্ম নেয় সূর্যমুখি

অবশ্য কারো বন্দনা দিতে
পারে না তৃপ্তি
কোনো বিশ্বাস অনির্বচন
দেয় না দীপ্তি
আমি শুধু বমনার্ত সংকলিত মলভান্ড সামনে রেখে

বলি: জননী তো প্রজননী পিতৃদেব অস্তিত্বঘাতক
জ্ঞান শুধু ধ্যানে আছে কীটদষ্ট বটবৃক্ষতলে
আমার চৌদিকে আজ লাখ লাখ সার্চলাইট জ্বলে
অথচ কী অন্ধকারে আমি
পৃথিবীটা সংবাদপত্র বড়োজোর সিনেমামাসিক
স্থূলদেহী তারকার ভুরুউরুবাঁকভরা বেদিত শরীর
আমার শরীরখানি তুলে ধরো হে মরমা হৃদয়মন্দির

নাম জপে কি যে সুখ কতো কাল আগে
বুঝেছিলো রাধা
কেননা নামের শব্দ প্রিয়তম নাম
অস্তিত্বের আধা
আমি যাকে অস্তিত্বের অংশ ভাবি সে শুধু ধ্বংস করে পুষ্পচন্দ্র

বড্ডো ময়লা যেনো জমে গেছে এ-শরীরে
স্নান তাই অতি আবশ্যক
অথচ স্নানের যোগ্য জল কই নদীতে বা গৃহে

স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

নিস্ফলা সময়ের কি নিদারুণ বর্ণনা, গায়ে কাঁটা দেয়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তানিম এহসান এর ছবি

গায়ে কাটা দেয়ার পর রোমেল ভাইয়ের মন্তব্য পড়লাম হাসি বহুদিন ধরে আকন্ঠ স্নান হয়না, গতকাল কীত্তনখোলা নদীতে ঘুরেছি দেশী নৌকায়, একসময় মনে হলো ঝাপ দেই, স্নানের জ্বালা জুড়াই -- আমাদের ঝাপ দেয়া হয়না, ঝাপ দিতে ভুলে যাইনি, কোন কোন সময় আসে যখন কোনকিছুতেই কোনকিছু অর্থবহ হয়না! আমরা এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচিছ, এমন একটা সময় যখন হুমায়ুন আজাদের কথা বেজন্মা জামাতি আর মৌলবাদিরা মনে রাখলেও ভুলে গেছে আর সবাই, নাকি আমরা খুব সহজে নিজের সাথে আপোষ করে ফেলতে পারি!!

সুমন তুরহান এর ছবি

হুমায়ুন আজাদকে আমরা ভুলে গেছি। অথচ তাঁর লেখাগুলো কী প্রাসঙ্গিক!

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

সুমন তুরহান এর ছবি

ঠিক বলেছেন রোমেল ভাই। এই ক্লেদের মাঝেও কবি হুমায়ুন আজাদ কুসুম রচনার চেষ্টা করেছেন।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

সুমন তুরহান এর ছবি

কিছুটা অফটপিকে চলে যাচ্ছি, কিন্তু তানিম ভাইকে জানি - তিনি কিছু মনে করবেন না। রোমেল ভাইকে প্রশ্ন করতে চাই - হুমায়ুন আজাদের কবিতার মান সম্পর্কে আপনার মতামত কি? আমার কাছে বারবার মনে হয়েছে কবি হিসেবে আজাদকে যথেষ্ট উপেক্ষা করা হয়েছে; তাঁর কবিতার মান অন্য অনেক সমসাময়িক পদ্যকার/কবিযশোপ্রার্থীদের চেয়ে উন্নত ছিলো বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এই ব্যাপারে আপনার মতটি জানতে আগ্রহী রোমেল ভাই।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

এটা ঠিক কবি হিসেবে শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদকে উপেক্ষা করা হয়। অথচ উনার বেশ কিছু কবিতা এত পরিমিত আর মানসম্পন্ন যা নিঃসন্দেহে তাকে অনেক প্রতিষ্ঠিত কবি থেকেও উপরে স্থান দেয়। উপেক্ষা করার বিষয়ে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় উনি আসলে বাংলা-ভাষাতত্ত্ব-ব্যাকরণের এত অসামান্য-অনন্য পণ্ডিত ছিলেন যে অন্য গুণগুলোর সাথে অনেকেরই কম পরিচয়ই হয়েছে!!! রোমেল ভাইয়ের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...........


_____________________
Give Her Freedom!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সহমত।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কবি হিসেবে হুমায়ুন আজাদের মান বিচারের উপযুক্ত সময় কি এসেছে? হয়তো হ্যাঁ, হয়তো না। হ্যাঁ, কারন জীবনানন্দের কবিতার সামগ্রিক বিচারের ক্ষেত্রে আমরা ঢল নামতে দেখি তাঁর মৃত্যুর অব্যবহিত পর পরই। কিন্তু শামসুর রাহমানের কাব্যের সামগ্রিক বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের এখনো অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কেন?

হুমায়ুন আজাদ কবি ছিলেন, তবে তাঁর কবিত্বকে ছাপিয়ে গিয়েছে তাঁর পাণ্ডিত্য ও আপোষহীন ঋজু ব্যক্তিত্ব। তাই বোধকরি আগামীর দিনগুলোতে কবি হিসেবে তাঁকে নিয়ে যতটুকু না আলোচনা হবে, তাঁর চেয়ে বেশী আলোচনা হবে তাঁর পাণ্ডিত্য ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে। আলোচনায় উঠে আসবে তাঁর লেখা 'বাক্যতত্ত্ব' কিম্বা 'ভাষাবিজ্ঞান' ; 'নারী' কিম্বা 'দ্বিতীয় লিঙ্গ'। আলোচনার দ্বিতীয় প্রবাহে স্থান পাবে তাঁর 'ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল' ও অন্যান্য উপন্যাসসমূহ, তাঁর কবিতা সম্পাদনার গতিপ্রকৃতি, শামসুর রাহমানের উপর লেখা সুপরিসর 'নিঃসঙ্গ শেরপা' ও পরবর্তীতে সেই অভিমতের অবস্থান থেকে সরে এসে করা গ্রন্থিত বিরূপ মন্তব্যসমূহ, 'আধার ও আধেয়'। সবশেষে আলোচনায় আসবে তাঁর কবিতা। যদিও সেখানেও তিনি কম দড় ছিলেন না।

এবার একটু ইতিহাস থেকে বিবেচনা নিয়ে তাঁর কাব্যসিদ্ধির বিষয়টিকে ভিন্ন আলোয় দেখতে চাই। আমাদের এ বিবেচনায় মুখোমুখি দাঁড় করাবো জীবনানন্দ ও সুধীন্দ্রনাথকে। মহৎ পাঁচ বলে আমরা আজ যাঁদের স্বীকার করে নিয়েছি, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল এ দু'জন। নিঃসন্দেহে পাণ্ডিত্যে, এষনায় ও মননে সুধীন্দ্রনাথ অনেক অনেক এগিয়ে। কিন্তু আজ, আমাদের এই সময়ে, কে বেশী আদৃত, পঠিত ও উদ্ধৃত? স্নেহাস্পদ, বোধকরি তোমার প্রশ্নের উত্তরটা লুকিয়ে আছে এখানেই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সুমন তুরহান এর ছবি

রোমেল ভাই, আর কাউকে এই প্রশ্নটি করলে এতো চমৎকার ভাবে উত্তর দিতে পারতেন কি না জানি না, কিন্তু আপনার ব্যাখ্যাটি অসাধারণ।

নিঃসন্দেহে পাণ্ডিত্যে, এষনায় ও মননে সুধীন্দ্রনাথ অনেক অনেক এগিয়ে। কিন্তু আজ, আমাদের এই সময়ে, কে বেশী আদৃত, পঠিত ও উদ্ধৃত?

আমি সুখী আপনাকে প্রশ্নটি করার সুযোগ পেয়ে এবং চমৎকৃত আপনার উত্তরে। আপনার এই একটি উক্তিই সব বলে দিয়েছে।

অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা - সময় করে আমার প্রশ্নের উত্তরটি দিয়ে যাওয়ার জন্যে। সুন্দর থাকুন। শুভ কামনা।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

উত্তম বিশ্লেষণ!! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

এরকম কষ্টসাধ্য কাজের জন্য অনেক ধন্যবাদ সুমনদা। অসাধারণ কবিতা।


_____________________
Give Her Freedom!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বরাবরের মতই ... চমৎকার চলুক
অভিনন্দন হাচলত্বের

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি, আমার পড়া আপনার সর্বশেষ কবিতার মুগ্ধতা এখনো জড়িয়ে আছে হাসি

চরম উদাস এর ছবি

মারহাবা ... মারহাবা হাততালি

তানিম এহসান এর ছবি

কি মিয়া, ইচ্ছামত ’উদাস’ হও - কখনো শুধুই ’উদাস’ কখনো ’চরম’ উদাস -- বলি উদাসীনতা কি কেনতে পাওয়া যায় চোখ টিপি তোমার পূর্ণাঙ্গিনীকে আমার শুভেচ্ছা দিছো নাকি সেখানেও ’উদাস’ ছিলা? ধুনফুন চলবোনা কিন্তু, দেশে আসলে পরে ধরমু! ভালো থাকো ভাইয়া!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মার্হাবা। দুনিয়ার হাবাগোরে ধইরা ধইরা মার।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

চরম উদাস এর ছবি

শুভেচ্ছা দিয়েছি তানিম ভাই। দেশে আসলে নিশ্চয়ই দেখা হবে।

মৌনকুহর এর ছবি

চলুক

এবং হাচলাভিনন্দন!! হাততালি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ মৌনকুহর, আচ্ছা বলুনতো, সচলের কারনে আমাদের মাথায় কতটা ’ছিট’ জুটেছে!!

মৌনকুহর এর ছবি

চোখ টিপি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তানিম এহসান এর ছবি

চোখ টিপি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কবিকে নির্ভুল ভাবে চেনার উপায় হলো তাঁর বাকভঙ্গি। সে শুধু আঙ্গিক বা কলাকৌশল নয়, ছন্দ ও মিলই নয়, উপমা, চিত্রকল্প, শব্দব্যবহার সবকিছুকে ঘিরে। কাব্যরসতত্ত্ব (rhetoric) ছাপিয়েও কবিকে তাঁর নিজের স্বর চেনাতে হবে পাঠকদের। সময়ের নোনা বাঁকে অনেক ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় স্পষ্ট করতে হবে আপন উচ্চারণ। তাহলেই তিনি পাবেন কাঙ্ক্ষিত নিজস্বতা, অন্য কবিদের থেকে ভিন্নতা। এই কবিতাটির শিরোনাম ও প্রথম দু’লাইন পড়েই অন্ততঃ অনুমান করতে পারছি যে এটি তানিম এহসানের কবিতা। তানিমের সবচেয়ে বড় সার্থকতা এখানেই।

অক্ষরবৃত্তে তানিম হয়তো উৎরে যান নি, কিছু ভুল-চুক রয়ে গেছে। মুক্তক অক্ষরবৃত্তের বিচারে সে ত্রুটি হয়তো আরেকটু ফিকে হয়ে আসে। পর্ববিন্যাসে তিনি আরো কুশলী হতে পারতেন। তাহলেই কিছু সম্পন্ন পর্বের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা অসম্পন্ন ভাঙা পর্বগুলো অনিন্দ্যসন্ধানী সুতীক্ষ্ণচোখ সমালোচকদের দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসতে পারত না হয়তো। কিন্তু কেউ কি করে অস্বীকার করবেন যে, একজন কবির জন্য যা সবচেয়ে জরুরী, নিজস্ব পোয়েটিক ডিকশন, তানিম এহসান ইতিমধ্যেই তা অর্জন করে নিয়েছেন। তাঁকে চিনে নিতে অসুবিধে হবে না তাঁর পাঠকদের।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তানিম এহসান এর ছবি

রোমেল ভাই!!!!

একটানে ঘোরের ভেতরে লিখি, যা লেখা হয়ে যায় তার উপর আর ছুরি চালাতে পারিনা এখন পর্যন্ত- কিন্তু সমালোচনাগুলো খুব আপন করে পাই, সমালোচক যারা তাদেরকে সবচাইতে বেশী ধন্যবাদ জানাই।

(রোমেল ভাই, আপনার সাথে কথা বলতে চাই, আমার ফেসবুক ehsan Ul Islam Tanim. আপনার নাম্বারটা কি দেয়া যাবে সেখানে? অথবা ইমেইল -

। ডিসেম্বর পর্যন্তু ঢাকার বাইরেই কাজ নিয়ে দৌড়াবো কিন্তু ঢাকায় আসলে আমি সময় বের করে নেব)

সুমন তুরহান এর ছবি

এই কবিতাটির শিরোনাম ও প্রথম দু’লাইন পড়েই অন্ততঃ অনুমান করতে পারছি যে এটি তানিম এহসানের কবিতা। তানিমের সবচেয়ে বড় সার্থকতা এখানেই।

একজন কবির জন্য যা সবচেয়ে জরুরী, নিজস্ব পোয়েটিক ডিকশন, তানিম এহসান ইতিমধ্যেই তা অর্জন করে নিয়েছেন। তাঁকে চিনে নিতে অসুবিধে হবে না তাঁর পাঠকদের।

চলুক চলুক

রোমেল ভাই যথার্থ বলেছেন। আমিও শিরোনাম আর প্রথম দুই লাইন পড়েই বুঝতে পেরেছিলাম এটা তানিম এহসান-এর কবিতা। কবি হিসেবে তিনি স্বতন্ত্র কাব্যভঙ্গী নির্মান করতে পেরেছেন, এটা সবচেয়ে বড় অর্জন।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

নীরব পাঠক এর ছবি

চলুক দেঁতো হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

হাসিটা চেনা চেনা লাগছে, নিরবে থাকা মানুষদেরই সবসময় কাছে টেনেছি, চেনা চেনা লাগে!!

নীরব পাঠক এর ছবি

আআআমি কিন্তু ভয় পাইছি লইজ্জা লাগে
কিন্তু আবারও বলি খুব সুন্দর হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

ভিন্ন ভিন্নসময়ে ভিন্ন ভিন্ন নামধারী একজন কবিকে ’পূর্ণভাবে’ খোঁজা হচ্ছে এখানে!! কোলাকুলি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

কবিতাটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। চমৎকার। মাত্রার বিষয়টাও মাথায় রাখলে ভালো হয়। তবে না হলেও ক্ষতি দেখি না। কবির স্বাচ্ছন্দ্যই শেষ কথা।

মাঝে বেশ কিছুদিন যে পেলাম না প্রিয় তানিম ভাইকে? ব্যস্ত ছিলেন বুঝি?

হাচলত্ব প্রাপ্তির অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো। আমরা আশায় ছিলাম। হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

খুবই সস্তা প‌্যানপ‌্যানানি মনে হলো। ভালো লাগে নাই। দু:খিত।

তানিম এহসান এর ছবি

পড়ার পর আপনি আপনার ভাবনা যেভাবে বললেন, আমার ভালো লাগলো। অনেক শুভেচ্ছা,

সাইফ জুয়েল এর ছবি

বেশ তানিম ভাই বেশ ভালই আগাচ্ছেন মেইনস্ট্রিমিংয়ের দিকে। বেশ। ভালো থাকবেন।

আশালতা এর ছবি

এইতো হাফ সেঞ্চুরি হয়েই গেল। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তানিম এহসান এর ছবি

ক্রিকেটের মাঠে নেই, চষাক্ষেত দাড়িয়ে আছি আপু!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।