বর্ণবাদ: কিশোর পাঠ……

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১০/০৯/২০১১ - ৯:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিশুকালের বর্ণবিভেদ নিরেট মাথায় তেমন একটা ছাপ না ফেললেও ধীরে ধীরে ব্যাপারগুলো বুঝতে শুরু করি
বয়স বাড়ার সাথে সাথে। তবে আরো একটি ব্যাপার এর সাথে শুরু হয় নিজের আজান্তে। তা হলো নিজেই
অন্যদেরকে নানা শ্রেণীতে ফেলে দেয়ার প্রবনতা। আমার মনে আছে ছোট বেলায়, মানে ফোর ফাইভ ক্লাশেও পড়ার সময় আমার সবচাইতে বড় খেলার সাথি ছিল আমাদের বাসায় যে মেয়েটা আমার মাকে ঘরের কাজে সহায়তা করতো ওই মেয়েটা।

আমরা একজন আরেকজনের চুল বেধেঁ দিতাম, রান্নাঘরের মেঝেতে বসে একসাথে খেতাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আবিস্কার করি আমরা দুজন কিছু কিছু জায়গায় একরকমনা। প্রথম তা উপলদ্ধি করি যেদিন ‘শিরিনের’ বাবা এসে শিরিনকে নিয়ে গেল বিয়ে দেবার জন্য। আমি খুবি অবাক হয়েছিলাম। আমরা দু’জন একি বয়সী। আমার আম্মার নিয়ম অনুসারে ‘বিয়ে’ একটি বড়দের কথা…তাই বাসার ছোটরা বিয়ে খেতে যেতে পারবে; কিন্তু বিয়ে নিয়ে কথা বলতে পারবেনা। কিছুদিন আগেও আমি আর শিরিন একসাথে আমার মামাত ভাইয়ের বিয়ে খেলাম।এখন শিরিনের বিয়ে? তা হলে কি আমারও কয়েকদিন পর বিয়ে হবে??

সেই বয়সটা এমন যে অনেক প্রশ্নের উত্তর নিজেই বের করার চেষ্টা করতাম। আর ভেবে ভেবে বের করলাম আসলে শিরিন আর আমি আলাদা। আমি আমার বাবা-মা এর কাছেই থাকি। কিন্তু শিরিনের বাড়ি ময়মনসিংহ হলেও ও আমাদের বাসায় থাকে। বছরে দুইবার বাড়ি যায় ওর খালার ননদের সাথে। আর আমি কয়েকদিন আগে আমার মামত বোনের সাথে বেড়াতে যেতে চেয়েছিলাম বলে আমার আম্মার কি রাগ! একা একা (???!!!) দুইটা মেয়ে কিভাবে বেড়াতে যায়? এইসব ঘটনা বুঝতে শেখাল আমি আর শিরিন আলাদা। তাই কিছুদিন পর যখন শিরিনের ছোটবোন নাসিমা এল কাজ করতে, আমি আর ওর বন্ধু হলামনা। আমি বুঝে গেলাম নাসিমা আমাদের বাসায় টাকার বিনিময়ে কাজ করে।

আমি জানি বাংলাদেশে এইসব ছোট ছোট মেয়েরা কাজ না করলে অনেক পরিবার না খেয়ে থাকবে। কিন্তু আমি আজো শিরিনকে ভুলতে পারিনা যার অসম্ভব ভাল একটা গানের গলা ছিল। যার মাত্র তের বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় আর বাইশ বছর বয়সে তৃতীয় সন্তান মারা যাওয়ায় তার স্বামী তাকে ছেড়ে যায়!!!

দেখুন, কি চমৎকার সামাজিকভাবে একজন শিশু জেনে গেল তার সামাজিক ও অর্থনীতির অসমতা। কেউ কিন্তু কিছু বলেনি। নিজেও কাউকে জিজ্ঞেস করিনি। সমাজ আর চার পাশের নানা ঘটনা প্রবাহই এই নির্মম সত্যটা জানিয়ে দিল একজন কিশোরীকে। ধীরে ধীরে আমিও এই মানসিকতা হয়ত কোথাও কোথাও দেখিয়েছি।

আরেকটি ব্যাপার আবিস্কার করলাম এই সময়। পিচ্চিকালে যেসব পিচ্চিদের সাথে খেলাধূলা করতাম, তাদের মধ্যে ছেলেরা আজকাল আমাদেরকে দেখলে কেমন জানি লজ্জা পাওয়ার মত করে। ওদের ক্রিকেট বা ফুটবল খেলায় আমরা অংশ নিতে পারবনা তাওও কেমন করে জানি বুঝে যাই।

অথচ জেলা ভিত্তিক ব্যাটমিন্টন বা হ্যান্ডবল খেলায় স্কুল টীমে আমি ছিলাম টানা তিন বছর। মানে ক্লাস সিক্স থেকে এইট অবধি। ক্লাস নাইনে উঠে আব্বার বিশাল ঝাড়ি খেলাম “মেয়ে” হয়ে এইসব গেছোপনা করার জন্য। অথচ একজন শিশুর (১৮ বছর বয়স অব্দি)প্রতিদিন অন্তত ৬০মিনিট vigorous exercise করা উচিত। আজকে যখন বাচ্চাদের লেশন প্লান এ দিনে দুবার আউটডোর এক্টিভিটি প্লান করি তখন বার বার মনে হয় আমাদের দেশের সামাজিক এবং ভৌগলিক অবস্থা্য় শুধু মেয়েরা কেন, ছেলেরাও বঞ্ছিত হচ্ছে যথাযথ শরীর চর্চা থেকে যা ব্যহত করছে বাচ্চাদের সুষ্ট শারীরিক আর মানসিক গঠন।

আমার জীবনের সবচাইতে নির্মম আঘাতটা পেলাম ক্লাস নাইনে। খেলাধূলা করা বন্ধ। কিন্তু আমার ত পড়ালেখা ছাড়া আর সব কিছুতে ব্যাপক আগ্রহ! কি করি? কি করি? স্কুলের বিতর্ক টিম হচ্ছে। ক্লাশ বাদ দিয়ে ওরা প্র্যাকটিস করবে। আবার পুরো স্কুল আর টিচাররা পর্যন্ত ওদেরকে খাতির করবে। সুতরাং বিতর্ক করাটাই তা হলে জীবনের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান হোক।

যেমন ভাবা তেমন কাজ। নাম দিলাম সিলেকশনের জন্য। কিন্তু আমি টিম থেকে বাদ পড়ে গেলাম। বিচারকদের মধ্যে একজন টিচার আমাকে হয়ত একটু বেশী পছন্দ করতেন। সেই টিচার সম্মানিত প্রধান বিচারক টিচারকে আমার হয়ে সুপারিশ করলেন। সেই প্রধান বিচারক টিচার যা বললেন তা মনে পড়লে একটা বয়স পর্যন্ত আমার মাথায় রক্ত চড়ে যেত। তিনি বললেন, “বাইরের স্কুলের কাছে আমাদের স্কুলের নাম আছে যে আমাদের স্কুলে সব সুন্দরী মেয়েরা পড়ে। অতএব সুন্দরী মেয়েরা ছাড়া অন্য কেউ বিতর্ক টিমে থাকলে স্কুলের নাম খারাপ হবে”। আমি কান পেতে ছিলাম। এখন মনে হয় না শুনলেই ভাল হত।

উনি যদি বলতেন আমি যুক্তি দিতে পারিনা, বা অন্য কোন অযোগ্যতা তা হলে হয়ত মেনে নিতে পারতাম। কিন্তু একটা ক্লাশ নাইনে পড়া মেয়ের কাছে যে এটা অসম্ভব শকিং একটা ব্যাপার। একটা ছাত্রীর সেলফ এস্টিম (self esteem) তার জীবনের সবচাইতে বড় সম্পদ। অথচ তা ধংস করার জন্য এই একটা ঘটনাই যথেষ্ট।

আমার মনে হয় কম বেশী অনেকের জীবনেই এই ধরনের ঘটনা আছে। পশ্চিমা দেশে যেখানে রেস্পেটকফুল আচরনের ব্যাপারে বাবা-মা বা টিচারকে সচেতন থাকতে হয় সবসময়, আমাদের দেশে সেই জায়গায় এখনো অনেককিছু শুরুই করতে পারেনি।

আমি বর্ণবাদের কথা বলতে গিয়ে কোথাও কোথাও casteism এর সংজ্ঞা নিয়ে আসেছি। আসলে আমি racism এর এইhttp://dictionary.reference.com/browse/racism সংজ্ঞার তিনটি মানেকেই ব্যবহার করতে চেয়েছি।

বর্ণবাদঃ শিশুপাঠ...http://www.sachalayatan.com/node/40656

---------রুমঝুম-----------


মন্তব্য

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্‌ম......

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

রুমঝুম ১ এর ছবি

মন খারাপ

অপছন্দনীয় এর ছবি

এভাবেই হয়... এবং অধিকাংশের ক্ষেত্রে দেখবেন তাদের কোন মাথাব্যথাই নেই। অনেক তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত খুব স্বাভাবিক ভঙ্গীতে দাবী করবেন অমুক জেলার মানুষ ঠকবাজ তো তমুক জেলার মানুষ সরল... আর পাত্রী খুঁজতে গিয়ে সুন্দরী, ফর্সা, লম্বা খোঁজার মত রেসিস্ট আচরণ তো মোটামুটি সামাজিক রীতিতে পরিণত হয়ে গেছে।

রুমঝুম ১ এর ছবি

একদম ঠিক।

রুমঝুম ১ এর ছবি

এবং এই ধরনের আচরনের জন্য বিন্দুমাত্র লজ্জিত বা অনুতপ্ত হতে দেখা যায়না কাউকে।

তারেক অণু এর ছবি

খুব কাছ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের গভীরের বিষয়গুলো লেখেছেন। কদিন আগেই এক বন্ধু বলছিল, বিদেশীদের যতই বর্ণবাদী বলি না কেন আমরা অনেক অনেক বেশী বর্ণবাদী, মুখে বড় বড় সমতার কথা বলি, কিন্তু বাড়ীর কাজের মানুষটির সাথে এক টেবিলে বসে খাবার কথা কল্পনাতেও আসে না।
আর শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ সমস্যা বাদ দিলাম, শুধু কৃষ্ণাঙ্গরা যে কি পরিমাণ বর্ণবাদী হতে পারে আর উপমহাদেশের লোকজন ( বাংলাদেশবাসী সহ) যে সুযোগ পেলে কি নিষ্ঠুর ধরনের বর্ণবাদ প্রথা চালায় তা একবার আফ্রিকায় মাস খানেক থেকেই টের পেয়ে গেছি।
আপনের সেই মহা মূর্খ শিক্ষক যে কাজ করেছিল তার জন্য ফিনল্যান্ডের যে কোন স্কুলে তাকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হত। এই ভাবে কত ঘটনা যে কতজনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

রুমঝুম ১ এর ছবি

ওরে বাবা কৃষ্ণাঙ্গদের আর বাংলাদেশীদের বর্ণবাদীতা দেখতে হলে আপনাকে আসতে হবে টরেণ্টোতে।

আমার সেই সন্মানিত শিক্ষককে একবার এহাত নিয়েছিলাম। বিচারক হয়ে গেছিলাম একটা বিতর্ক প্রতিযোগিতায়। কপাল খারাপ, যে দুটি স্কুলের মধ্যে বির্তক হচ্ছিল তার একটা ছিল আমাদের স্কুল। আয়োজকদেরকে অনেক অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। তাদের জুরাজুরিতে বাধ্য হয়ে সভাপতি হতে হয়েছিল ওই বিতর্কের। বিচারক ছিলামনা। কিন্তু স্কুল টিম গো হারা হারার পর গিয়ে ভালমত উপদেশ দিয়েছিলাম যাতে বিতার্কিক পাঠায় পরবর্তিতে। এখন লজ্জা পাই নিজের আচরনের জন্য।

আর এই ঘটনাই জীবনের টার্নিং পয়েন্ট কিনা জানিনা। তবে ভার্সিটিতে গিয়ে ভালমত বিতর্ক সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পরি। আমার বরের সাথে আমার পরিচয়ও এর মাধ্যমে। হাসি

নিটোল. এর ছবি

এভাবেই শুরু...

রুমঝুম ১ এর ছবি

..................এবং চক্রাকারে বাড়তে থাকে এভাবেই।

পাঠক এর ছবি

চলুক

রুমঝুম ১ এর ছবি

হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক, পড়ছি।

আফ্রো-আমেরিকানদের বর্ণবাদিতা নিয়ে কিছু আলোচনা চাই পরের পর্বে, কারণ বর্ণবাদিতা মূলত সাদাদেরই (অথবা চৈনিকদের প্রতি উপমহাদেশীয়দের খাইছে ) আলোচিত হতে দেখি। ওই বিষয়ে আমার অল্প কিছু ধারণা আছে, আপনাদের মাধ্যমে আরো বিস্তারিত জানতে চাই।

আপনার আলোচনায় তো sexism-ও আসছে। তা বেশ, ওটাও তো অন্যায্য আচরণের একটা বড় কারণ, প্রায়ই। তবে পুঁথিগত ফেমিনিজম শিখে (আসলে কিছু অগঠিত বা ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে) সচলে ইদানিং যাঁরা বিতর্কে নামছেন, তাঁদের গোঁসা হবার সম্ভাবনা আছে কিন্তু... চোখ টিপি

রুমঝুম ১ এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তুভ।

আমি আসলে সম্পূর্ন নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কথা গুলো বলছি। তবে ইচ্ছা আছে পশ্চিমা দেশে আমার দেখা বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা লেখার। দেখা যাক কতটুকু পারি। আফ্রো-আমেরিকানদের, চীনাদের আর আমাদের উপমহাদেশীয়দের বর্ণবাদী আচরণ গুলো অনেক স্থুল...অন্তত আমার কাছে মনে হয়।

আর আমি নারীবাদের একদমই সমর্থন করিনা। ফেমিনিজম মানেই ত হচ্ছে আলাদা জাতি হিসাবে নিজেদেরকে এক্সেপ্ট করে নেওয়া। হাসি

আপনাদের সমর্থন আর উতসাহ দুঃসাহস জোগাচ্ছে আরো লেখার। কিন্তু যে এসাইনমেন্ট এর পাহাড় দেখাল মাষ্টার মশাইরা... চিন্তিত

রু (অতিথি) এর ছবি

আরও লিখুন।

রুমঝুম ১ এর ছবি

ধন্যবাদ রু। ইচ্ছা ত করে আরো লিখতে। কিন্তু লেখার যা ছিরি!!!

দময়ন্তী এর ছবি

এভাবেই বিষ ছড়িয়ে যায় সমাজের সর্বস্তরে৷

ক বছর আগের একটা অভিজতা বলি৷ একটা ছোট পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলাম সেইসময়৷ আরো কজন উত্সাহী ছেলেমেয়ের সাথে এক সিনেমা নিয়ে বড় বড় বুলি কপচান পাবলিকও ছিল সেই দলে৷ দূরদর্শনের হাজার একটা কেবল চ্যানেলের কোনও একটায় কি সব খুচখাচ কাজ করত আর 'মুভি' বিষয়ে বড়বড় বোলচাল মেরে বেড়াত৷ তো, পত্রিকার শুভানুধ্যায়ীরা কেউ একবার কোনও এক চ্যানেলে পত্রিকা নিয়ে কিছু বক্তব্য রাখা যাবে এরকম ২-৩ মিনিট টাইম বের করলেন৷ সেইসময় আমরা যারা হাতেকলমে এডিটিং ইত্যাদি করতাম, তারা সব কলকাতার বাইরে৷ তো টিভির মুখ দেখানি ও বক্তব্য রাখার জন্য কলকাতায় যারা আছে এরকম ২-১ জনের নাম জানানো গেল৷ এই সিনেমাওয়ালা দেখি একজনকে এককথায় নাকচ করে দিল৷ অথচ সেই ব্যক্তি অসাধারণ লেখে৷ কারণ জিজ্ঞাসা করে জানা গেল ও নাকি খুব রোগা আর দেখতেও তেমন ভাল নয়, টিভিতে ভাল দেখাবে না ----- শুনে এত শকড হয়েছিলাম বলার নয়৷ ওদিকে ঐ বুকনিবাজ সিনেমাওয়ালা কখনও সখনও লেখারও চেষ্টা করে, প্রচুর উষ্টুম ধুষ্টুমের মাঝে তাতে বেশ দরদী টাইপ 'সমাজসচেতনতা'ও জুড়ে দেয়৷ ভন্ডামির হাতবাক্স একখান৷

আপনি লিখুন আরও৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

রুমঝুম ১ এর ছবি

সেটাই দয়মন্তী। আমরা যা বলি আর যা করি তার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। চেষ্টা করছি আরো লেখার।

গৌতম এর ছবি

আপনার লেখাটা শেয়ার দিলাম ফেসবুকে। মন্তব্য করার কিছু নাই, কারণ এগুলো আমাদের সমাজে স্বাভাবিক। এখন আস্তে আস্তে আমরা সবাই এগুলো নিয়ে মুখ খুললে বা কথা বললে একদিন হয়তো এগুলো অস্বাভাবিক হবে। সেই দিনের কাছেই যাচ্ছি আমরা সবাই। এই লেখা তারই একটি পদক্ষেপ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রুমঝুম ১ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ গৌতম!

আমি যেসব ঘটনার কথা বলেছি আমাদের দেশে খুবই পরিচিত ঘটনা। কিন্তু এই ঘটনা গুলো আজকাল খুব চোখে লাগছে কারণ বিদেশে দেখলাম বাচ্চাদের ব্যাপারে মানুষ সবচাইতে বেশী স্পর্শকাতর। এইদেশীদের অনেক খারাপ দিক আছে সত্যি। কিন্তু বাচ্চারা অনেক বেশী সন্মানিত এইখানে। অথচ আমাদের দেশে বাচ্চারা সবচাইতে কম সন্মান পায়।

রুমঝুম ১ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ গৌতম।

আমি উত্তমপুরুষে লিখলেও ঘটনাগুলো অনেকের সাথেই মিলে যাবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।