কবি আর কবিতার ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৪/১০/২০১১ - ২:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবি জসিম উদ্দিনের কবিতার মধ্যে পাই গল্প। তার আসমানী কবিতার মধ্যে অসমানীদের গল্পরে মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এক আসাধারন চিত্রকল্প। নজরুলের লিচুচোর কবিতায় ছেলে বেলার দুস্যতায় ভরা ফল চুরির গল্প খুঁজে পাই, যেন এক থ্রিলার কাহিনী। সুকান্ত মোরগ খাবার টেবিলে কবিতায় মানুষের বঞ্চনার গল্প তুলে ধরেছেন এক জটিল সাইকো এনালাইসিস মাধ্যমে যেখানে খাবার জন্য রান্না করা একটি মোরগ কথা বলে ওঠে গরিবের পক্ষে। রবি ঠাকুরের নির্ঝরের বাঁশি পড়লে নিজের ছাপোষা জীবনের সাথে মিল খুঁজি এক গভীরতর স্থানে লুকানো কান্না চেপে রেখে। আমার রক্ত শিহরিত হয়। আমার মনের মধ্যে ছবি এঁকে দিয়ে যায় কবিতা। আমি যখন রুদ্রের কবিতা পড়ি সে ছবি রক্তে ধরায় নাচন। যখন সুনীলের করিতা পড়ি চলে যাই ছেলেবেলার না পাবার বঞ্চনা ভরা অতীতে। হেলাল হাফিজ আমার চোখে এঁকে দেয় বিপ্লবের চিত্রনাট্য। শামসুর রহমানের কবিতা ছবি হয়ে ধরা দেয় মনে আর আলোড়িত হই বারবার। জীবননান্দের কবিতাতো বাংলার মাঠ-ঘাট-নদী এমনকি বাতাসের গন্ধের ছবিও একে দেয় মনে। বলে যায় বাংলার গল্প।

আধুনিক বাংলা কবিতা আমার মানসপটে ছবি আর গল্প তুলে ধরেছে বারবার সেই ছোটবেলা থেকে, যখন স্কুলে পড়ি। সেই ছোট্টবেলার কবিতাগুলোতো কোন দিন ভুলতে পারিনি। তাই তো আমি আনমনে আউড়ে যাই আমার প্রিয় কবিদের লেখা বানী। এগুলো আমাকে দিয়েছে গল্প, কাহিনী, দৃশ্যকল্প আর সমাজ চলমানতার প্রামান্য। যে কবিতার মধ্যে গল্প থাকে না, যে কবিতা মনে কোন দৃশ্য বা ছবি তৈরী করে না তা আবার কবিতা নাকি? প্রশ্নটা আজকাল মনে ঘুরপাক খায় বারবার। হয়ত আমি কবিতাই বুঝি না। হতে পারে। তবে কাবিতা পড়ি। সেই ছোটবেলা থেকেই পড়ি। এখনও পড়ি। কিন্তু এখনকার কাবিদের কবিতা যে আমি বুঝি না। তবে আমি বুঝতে পারি রবি ঠাকুরকে, জীবনানন্দ দাশকে, নজরুলকে, জসিম উদ্দিনকে কিংবা তারও অনেক পরে শামসুর রহমান, হেলাল হাফিজ আর রুদ্রকে। হুমায়ুন আজাদকেও বুঝি বেশ। হয়ত এখনকার কবিরা এদের চেয়ে বড় কবি তাই আমি এদের কবিতা বুঝি না। তবে আমার স্পষ্ট মনে আছে স্কুলে পড়া সব কবিতা। সেসব কাবতার গল্পগুলো আজো আমার মনে ছবি হয়ে ভাসে। একটা প্রশ্ন জাগে মনে কেন আমি সেই শিশুবেলায় এত বড় বড় কবিদের কবিতা পড়ে শিহরিত হতাম? কেন এগুলো আমাকে এখনও শিহরিত করে? কেন এখন আর এসময়ের কোন কবির কবিতা আমি বুঝি না? বুঝলেও কেন খুব সাদামাটা মনে হয়?

এখনও কবিতা পড়ি প্রায়ই। পেপারে পড়ি, ব্লগে পড়ি। মনে হয় এগুলো বিচ্ছিন্ন কোন লাইন। একটির সাথে অন্যটির কোন সঙ্গতি নেই। এখানে পাইনা আমি কোন দৃশ্য, কোন বার্তা। কত শত কবি লিখে যাচ্ছেন নামে আর ছদ্য নামে শিরনামে আর শিরনামহীনে। কিন্তু বুঝিনা যে এখনকার বেশীরভাগ কবিতা! কেউ নিজেকে পরিচয় দেয় অথবা কবিতার আলোচনায় উপাধি পায় আধুনিক কবি, কেইবা উত্তর আধুনিক কবি, কেউবা উত্তর কাঠামোবাদী কবি, আর কেউ কেউ নারীবাদী কবি ইত্যাদি। কিন্তু প্রশ্ন জাগে আধুনিকতা, উত্তরাধুনিকতা, নারীবাদ, উত্তর কাঠামোবাদ বা অন্যকোন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে দূর্বোধ্যতার কোন সম্পর্ক আছে কিনা? আমি যতদুর জানি, এ ধরনের কোন সম্পর্ক নাই। বিশ শতকের আধুনিক কবিদের কবিতা পাঠ করলে মনের পর্দায় যদি ছবি ভেসে ওঠে তাহলে এখনকার কবিদের কবিতায় কেন মনে দৃশ্যকল্প তৈরী করে না? রোমান্টিসিজমের ভেতরে দিয়ে মানুষের বোধে যে নাড়া দিয়েছিলেন বিশ শতকের কবিরা তা আজ আর পারছেন না কেন একুশ শতকের আধুনিক কবিরা? উত্তরাধুনিকতা বলতে তো বুঝেছি আধুনিকতার গন্ডিকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় এমন ভাবনাগুলোকে। আধুনিকতার নকল মড়কের স্বরুপ উম্মেচন করে দেয় উত্তরাধুনিকতা। দেখায় সত্যের নতুন সমীকরন। তাহলে এর ভাষা তো হতে হবে মানুষের কাছে বোধগম্য নাহলে মানুষ সত্য জানবে কি করে? কবিরাই যে সত্য বলে যা সে সত্য বলে বিশ্বাস করে। হোক সে আধুনিক আথবা উত্তর আধুনিক। উত্তরাধুনিকতাও তো বোধগম্য হতে হবে পাঠকের কাছে। কবি যদি বিমূর্তকে পাঠকের মনের আয়নায় মূর্ত না করতে পারেন তাহলে সেটা কি কবিতা? অর্থহীন, অসঙ্গতিপূর্ন কোন বয়ান বা বিচ্ছিন্ন কতগুলো দৃশ্যের অবতারনা আর বিমূর্ততা এক নয়। এরকম কোন বয়ান যদি কেউ দেয় আর পাঠক যদি মেনে নিয়ে বলে উত্তরাধুনিক কবিতো তাই একটু দূবোধ্য, সেটা মেনে নেয়া যে বড় দায়। একই ভাবে বলা যায় যে মতাদর্শের বা চিন্তার ঘরানার কবিই হন না কেন তার কবিতার অন্তত বোধগম্যতা থাকতে হবে। সাধারন পাঠককে ছুঁতে হবে। কবিতা যে বানী, সত্য ভাষন। কবি মানে জ্ঞানী সেই প্রচীন কাল থেকে মানুষ এমনটাই জানে। তার জ্ঞানীর সত্য ভাষন তো মানুষেরই জন্য। মানুষই যদি কবিতা না বোঝে তাহলে মানুষ সত্যকে ধারন করবে কি করে? মানুষের বোধ আলোড়িত হবে কি করে? কবিতা তো শুধু কবি একা নিজে বুঝলে চলবে না। তাহলে তো কবিতার উদ্দেশ্য পূর্ন হবে না। চারদিকে এত কবি তাহলে সমাজ আর মানূষ কেন এত অসুখে এখন? তাহলে কি আসলে এখন আর কোন কবি নেই? অথবা কবিরা ছাইচাপা আগুন হয়ে দমে আছে। চলছে নামধারী কবিদের উৎপাত নষ্ট সময়ের স্রোতে। একটু খেয়াল ভালভাবে করলেই দেখি এরা নাম চায়। শুধু প্রসংসা চায়। বাহবা চায়। এরা বিখ্যাত হতে চায়। কিন্তু এগুলো তো চেয়ে পাওয়া যায় না। এগুলো হয়ে যায়। মানুষই নিজ থেকে প্রতিভাবানের স্বীকৃতি প্রদান করে। জোট করে, নেটওয়ার্ক করে একটা ভন্ড শ্রেনীর প্রতিনিধি হওয়া যায়, কবি হওয়া যায় না।

আমি কবিতা বলতে বুঝি সাহিত্যের প্রাচীন এবং সর্বোচ্চ এক ধরন যা মানুষ ধারন করে নিজের চেতনায়। সাহিত্য বুঝি আমি নান্দনিকতা আর বিষয়বস্তুর বিচারে। বিষয়বন্তুর মধ্যে থাকে বার্তা। কথার গাঁথুনির মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে কাহিনী আর দৃশ্যকল্প। কথা দিয়ে তৈরী মালা। আর নান্দনিকতা দেয় কল্পনা, ছবি। বিষয়বস্তু আর নান্দনিকতার গুনেই সাহিত্য হয়ে ওঠে সার্থক। কবিতাও একই রীতি মেনে সার্থকতা পায়। মানুষকে জাগায়। ছবি একে দেয় মনে। সে ছবি মানুষের বোধকে নাড়া দেয়। কবিতা বলতে বুঝি এর এক একটা শব্দ এক একটা হিরক খন্ড আর এই খন্ডগুলো তৈরী করে এক অনবদ্য চিত্রনাট্য। এমনই হয়ে এসেছে বাংলা কবিতা সেই চর্যাপদের প্রাচীন কাল থেকে। তাইতো চর্যাপদের আধুনিক বাংলার অনুবাদ পড়লে মনে ভেসে আসে হাজার বছর আগের সমাজের চিত্র। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পড়লেও বুঝি কিছু কিছু মধ্যযুগের বাংলা। আর আধুনিক রুপ পড়লে তো ভেসে ওঠে সে যুগের চলমান ছবি মনের চোখে। উনিশ শতকের বাংলা কবিতায় মাইকেল কি দারুন চিত্রনাট্য তৈরী করেছিলেন! আর বিশ শতকের কবিদের কথা তো আগেই বলেছি। তাহলে এখন কেন কবিতা তৈরী করে না কোন অর্থপূর্ন দৃশ্য? হয়ত বলা যেতে পারে আমি কবিতাই বুঝি না। যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ। কিন্তু আমি বলব যদি আমি আমার স্কুলের পাঠ্য বইয়ের কবিতা বুঝতে পারি কৈশোরে তাহলে এই ত্রিশোর্ধ বয়সে কেন বুঝব না। আমার বন্ধুদের কেউ কেউ মাঝে মাঝে বলে কবিতা বোঝে না বলে পড়ে না। অনেকেই বলে। কথাটা সত্য না কি সত্য হলো কবিতা মানুষের বোধগম্যতা আর তৈরী করেনা? কবিতা মানুষকে আর কাছে টানে না কারন মানুষ আর এখন কবিতা বোঝে না। মানুষ কবিতার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নতুন প্রজন্মের বেশীরভাগ তরুনের কাছে এখন কবি মানে হলো হাস্যকর এক পরিচয়। কবি যে এক মহান উপাধি এটা নতুন প্রজন্ম জানেই না। সাহিত্যের, শিল্পের সব শাখার মত কবিতাও আজ ভোগবাদের স্রোতে কবির সাথে ভেসে গেছে আর পোকামাকড়ের খাদ্য হয়েছে। তাই এখানে কবিতা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে, ক্ষেত্র বিশেষে হাস্যকর। নতুন একটা চমকপ্রদ লাইন অথবা একটা সঙ্গতিহীন উপমা জুড়ে দিতে পারলেই কবিদের দল বলে ওঠে বহবা। কবি হতে হলে বাহবা দিতে হয়। কবিতা না হলেও দিতে হয়। বাহবা না দিলে যে কবি হওয়া যায় না। বাহবা দিলেই না অন্য একজন বাহবা দিবে। ভদ্রতার খাতিরে হলেও দিবে। কিছু না বুঝলেও বলতে হবে কি সুন্দর সৃষ্টি! এমন দুষ্ট চক্র তৈরী করতে পারলে কবিতা হোক আর না হোক সাথী বন্ধুদের সমর্থনে বড় কবি বনে যাওযা যায় বেশ সহজে। আজকাল মনে হয় আবার বাংলা সাহিত্যের আরেক অন্ধকার যুগ শুরু হয়ে গেছে। নষ্ট সমাজ এখন নষ্ট সাহিত্যের পিছে ঘুরছে। এখন বুদ্ধিজীবি সমাজে কবিতা আটকা পড়ে গেছে মাত্রা আর ব্যকরনের জ্ঞান জালে এসব ঠিক থাকলে উত্তরাধুনিক বা এমন চটকার একটা উপাধি নিয়ে বলে দেয়া যায় সাধারন পাঠকের পক্ষে এ কবিতা বোঝা সম্ভব না। কি প্রহসন! কিন্তু অন্ধকারের পরেই আলো আসে। শুধু অন্ধকার সময়টা ইতিহাসে অন্ধকার যুগ হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকে। আর সে যুগের মানুষেরা হয়ে যায় অন্ধকার যুগের মানুষ। জানি না, হয়ত একদিন আমরাও ইতিহাসে পরিচিতি পাব অন্ধকার যুগের মানুষ হিসেবে। একবিংশ শতাব্দীর এ অন্ধকার কাটাতে আমাদের যে এখন প্রয়োজন কবিতা। কবিতায় মানুষকে বিপ্লবের অনুপ্রেরনা জুগিয়েছে কালে কালে।

আমার এ লেখায় কোন কবি ব্যথিত হবেন না যদি তিনি সত্যের সাথে তার নিজের মত করে থাকেন আপোষহীন। এ লেখা বর্তমান অধিকাংশ কবি আর কবিতা সম্পর্কে আমার একান্ত নিজস্ব বোধজাত। কিন্তু অবশ্যই এটা একটা জেনারেলাইজড ভাবনা। সার্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটের বিচারে সৃষ্ট বোধ। ভিন্নমত পোষকারী ব্যথিত হবেন না। আমি তেমন বড় কোন কবিতা সমালোচক নই। কেবল একজন সাধারন পাঠকের বিচারে এটা আমার বিশ্লেষন। হয়ত কবিতা কি তাই এখনও বুঝতে পারিনি। মাঝে মঝে লিখতে চেষ্টা করি কবিতা। হয়ে ওঠে না। সচলেই দিয়েছিলাম বেশ কয়েকটা। কিন্তু সেগুলো সচলের মান অতিক্রম করতে না পারায় প্রকাশিত হয়নি। তবে পড়ি, না বুঝলেও পড়ি। সচলের উপর রাগ করে সচলের অন্য লেখা না পড়লেও কবিতা পড়ি। যেখানেই কবিতা পাই পড়ি। কিন্তু আমার রক্তের অনেকদিন উষ্ণ বা হীম স্রোত কোনটাই বইয়ে দিতে পারে নাই নতুন কোন কবিতা বহুদিন।

সাইফ জুয়েল


মন্তব্য

পাঠক Abdur Rob এর ছবি

খুবই অবাক হলাম । কবিতা বিষয়ে আমার মনের ভাবনাটিও কিভাবে আরেকজন হুবহু লিখতে পারেন । কবিতা ভালবাসি বা বাসতাম, পড়তাম এখনও পড়তে চেষ্টা করি । কিন্তু, এখনকার কবিতা পড়লে মজা পাইনা, মনে কোন রকম ছবি আকেনা । লেখককে অনেক সাধুবাদ জানাই ।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ভাল লাগল একই ভাবনার একজনের মন্তব্য পড়ে :)। ভাল থাকবেন রব ভাই। আলো আসবেই।

পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাবনাগুলোকে প্রকাশের জন্য। বর্তমান সময়ের কবিতাগুলো আমার কাছে আর ছবি হয়ে ধরা দেয়না। আপনার লেখার হাত দারুন। লিখে চলেন। চলুক

সাইফ জুয়েল এর ছবি

প্রসংশা আর সমর্থনের জন্য ধন‌্যবাদ পাঠক। কিছু টাইপো ঠিকই থেকে গেছে. তাড়াহুড়ো করে লেখার জন্য। এডিট করার সুযোগ নাই।

আশালতা এর ছবি

ভয়ে ভয়ে কবিতার আলোচনা পড়া শুরু করলেও শেষ করে ভালো লাগলো। আমিতো ভাবতাম কবিতা বুঝিনা সেটা আমারি বুদ্ধির দোষ।
তবে এখনকার কবিতা সবই ঢালাও ভাবে অখাদ্য এরকম মনে হয়না আমার। বেশ কিছু ভালো সৃষ্টি তো হচ্ছেই। সবাইকে না হোক, অনেককেই তা স্পর্শও করছে, নইলে তো এই কবিরা বিলুপ্ত হয়ে যেতেন। শুধুই বাহবা দিয়ে খুব বেশিদিন তো টেকা যায়না। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ঠিক আশালতাদি এখনও সৃষ্টি হয় কবিতা। কিন্তু ওই যে বললাম সত্যিকারের কবিরা ছাইচাপা আগুন হয়ে পড়ে আছে। সবকিছুই চলে যাচ্ছে নষ্টদের আধিকারে।

guest_writer এর ছবি

শিরনামে কবিতা শব্দটি দেখে আর পড়ার আগ্রহ ছিলনা। কারন, সত্যিই আমি এখনকার অধিকাংশ কবিতাই ঠিক বুঝিনা। তারপরও কি মনে করে ব্রাউজ করলাম। পড়ে ভালই লেগেছে। চলুক

প্রৌঢ়ভাবনা

সাইফ জুয়েল এর ছবি

প্রৌঢ়ভাবনা কেমন আছেন? আপনার প্রথম লেখাটার পর তো আর কোন লেখা দেখলাম না। হতাশ হবেন না লিখে যান যা মন চায়। কোনটা হীরা হয়ে যায় কে বলবে? আমার লেখা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।

পাঠক এর ছবি

এর মাঝে অনেকগুলো লেখাইতো এসেছে। সম্ভবত খেয়াল করেন নাই। দুটোর উল্লেখ করলাম।

http://www.sachalayatan.com/node/41580
http://www.sachalayatan.com/node/40930

প্রৌঢ়ভাবনা

উচ্ছলা এর ছবি

কবিতা নিয়ে নিজের ভাবনা, পছন্দ/আপত্তিগুলো কি সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন; সবাই এটা পারে না।

আপনার লেখা খুব ভাল লাগল।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ উচ্ছলা। আপনার নামটা অনেক সুন্দর। উচ্চারন করলেই নিজের কানে দুর থেকে একটা ঝনঝনানি ভেসে আসে। ভাল থাকবেন।

অঅসাধারন এর ছবি

কবিতা বুঝি না বলে পড়ি না এই অভিযোগ ভাবতাম আমার একার। লেখা ভালো হয়েছে, আপনি লিখতে থাকুন

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ধন্যবাদ লেখা ভাল লাগার জন্য। উৎসাহ দেবার জন্য আবার ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।