তীর্থের কাক ১১

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: সোম, ২৪/১০/২০১১ - ৪:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তীর্থের কাক ১ তীর্থের কাক ২ তীর্থের কাক ৩
তীর্থের কাক ৪
তীর্থের কাক ৫
তীর্থেথের কাক৬+৭
তীর্থের কাক ৮
তীর্থের কাক ৯
তীর্থের কাক ১০

একটা পিনবোর্ডে প্রতিদিন চোখ রাখে সবাই। ঐ অস্থায়ী ঘাটি থেকে কে কবে কোথায় স্থায়ী হয়ে যাবে তার নাম লেখা থাকে সেটাতে। সবাই ভয় করে ডিডিআর (পূর্ব জার্মানী), ভাবারিয়াকে। কোথায় যেতে হবে তা ঠিকানা দেখে আমার পক্ষে অনুমান করা সম্ভব ছিল না। জোসেফের কল্যানে জানলাম দুই নরকের একটায় আমার স্থায়ী ঘাটি। বাভারিয়ার লোকজন ভীষণ রক্ষণশীল। শামিম তখনো স্টুটর্গটে। তাকে খবরটা দিলাম। স্যার আসস্ত করলেন এমন কোন খারাপ জায়গা নয়। অর্থনৈতিক ভাবে জার্মানের সব চেয়ে ধনী প্রদেশ। কাজের সম্ভব না ভাল। আর জার্মান শরনার্থী সংস্থা কাকে কোথায় পাঠায় তার উপর তো কারো হাত নেই। অনেকটা লটারীরর মতো। সব শরনার্থীদের বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করে দেয়। কিন্তু পরিচিত আত্মীয় বা বন্ধু-বাদ্ধব থাকলে এক এলাকায় দেওয়ার চেষ্টা চলে। শামীমকে স্টুটগার্টে চাচার কাছে পাঠানোর সম্ভবনাই বেশী। টাকাটা দেয়ার আপাতত কোন সমর্থ না থাকলেও এক সময় পাঠাব এই অঙ্গিকার করলাম শামীমের কাছে। কিন্তু শামীম বলল ভুলে যান ভাই। এই বন্ধনটা আমাদের থাক।

খুব সকালে বাসে উঠে বসলাম। দুপুরের দিকে মধান্ন্য বিরতির মতো থামলাম একজায়গায়। এখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। আউগসবুর্গ থানা অফিসের সামনে নামলাম বাস থেকে। কোট-টাই পড়া দু’জন ভদ্রলোক ইংরেজী জানেন না বলে আমাদের পাঠানো হলো অন্য ঘরে এক মহিলার কাছে। নিজের বিদ্যা জাহির করতে সবাই এক সাথে খলবল করে ইয়েস-নো-ভেরি-গুড বলে উঠল। বার-তের জন এক সাথে কথা বললে করোটাই ঠিকমত বোঝা যায় না। নিজের মূর্খতা লুকিয়ে রাখতে চুপ করে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি আমি।

প্লীজ টক ওয়ান আফ্টার্ এনাদার।
কিছুটা ধমকের সুরেই কথাটা বলে মহিলা থামালেন আমাদের ইংরেজী চর্চা। অন্যঘর থেকে প্রয়োজনী কাগজ-পত্র আমাদের সাথেই মহিলার হাতে পৌঁছে দিয়েছেন ইংরেজী না জানা ভদ্রলোক। কপালের লিখনের মতো আমাদের কে কোথায় থাকবে তা ঠিক করাই আছে। নামগুলো পড়তে মহিলার অসুবিধাই হচ্ছিল। বর্ণমালার ক্রম অনুযায়ী আমার ডাক পড়ল সবার আগে। কাগজে এঁকে এখান থেকে ট্রেনস্টেশনের ম্যাপটা আমাকে বুঝিয়ে দিলেন। তারপর টিকেট। ট্রেন থেকে যেখানে নামতে হবে তার নাম লিখে লালকালি দিয়ে মার্ক করে দিলেন। ফিসাখ গ্রামের ম্যাপটাও দেখে আমাদের অনুসরণীয় রাস্তাটাও মার্ক করে দিলেন। বাড়ীতে পৌঁছে কার কাছে চাবি চাইতে হবে ঠিকানার সাথে তাঁর নামও লিখে দিলেন ম্যাপটার নীচে। খুব পরিচ্ছন্ন উচ্চারণের কারণে মহিলার ইংরেজী বুঝতে একটুও কষ্ট হল না। এবার আমাকে একপাশে সরে যেতে বললেন। দুটো পাকীস্তানীর সাথে খান সাহেবকেও নাম ধরে ডেকে আমার সাথে ভিড়িয়ে দিলেন। আর বললেন; আমাদের একই গন্তব্য। আমাকে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমাকে ফলো করলেই চলবে।

খান সাহেব কী যেন বলতে চাইলেন মহিলাকে।
মহিলা আবার বললেন;
ওয়েট এ বিট।
বলাই বাহুল্য তাঁর কথায় কিছুটা বিরক্তি ছিল। আন্দাজ করছি অফিস আওয়ার অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই জানতেন যে আমরা আসব। তাই অপেক্ষা করেছেন হয়তো। আর আমরাও সবাই কথা বলি মিছিলের শ্লোগানের মতো। বিরক্তি তাতে বাড়ারই কথা।

বাসে অনেক দেশের বিভিন্ন ভাষার মানুষ ছিল। তাদের সবাই ইংরেজী জানে না। হয়তো তাদের জন্য দোভাষীর ব্যাবস্থা হয়েছে। শুধু আমাদের দায় পড়েছে এই মহিলার ঘাড়ে। ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশী যারা ভিন্ন ঠিকানায় যাবে তাদের নিয়ে বাধল বিপত্তি। ইংরেজীটা না পাকিস্তারা বুঝতে পারছে, না পারছে ভারতের সরদারজীরা। নিজেদের মধ্যে যে যার ভাষায় বিড়বিড় করছে। শুনে মনে হল সরদারজী আর পাকিস্তানীদের ভাষাটা কমন। মহিলাকে একটু অসহায় লাগছে। ক্ষিধায় আমার হাত-পা কাঁপছে। চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি। মহিলা আবার আমাকেই ডাকলেন।

আমি আগে দেখেছি খান সাহেব পাকিস্তানীর সাথে প্রণ খুলে গল্পগুজব করে। উর্দুটা ভালই জানে। মহিলার কথাটা আমি খান সাহেবকে অনুবাদ করে দেব বাংলায়। তিনি উর্দুতে বা হিন্দীতে তর্জমা করে দেবেন পাকিস্তানী এবং সরদারজীদের। কিছুটা হাফ চেড়ে বাঁচলেন মহিলা আমার প্রস্তাব শুনে।

সময় একটু বেশী লাগলেও কাজতো হল। এবার খানকে জিজ্ঞেস করলেন মহিলা;
-কী যেন বলতে চাইছিলে তুমি?
খান একটু ঘাবরে গেল মনে হয় মহিলার প্রশ্নে। ঐ পাকিস্তানীকে দিয়ে শ্বাষানের পরে আমার সাথে তেমন কোন কথা হয় না খান সাহেবের। আমিও কিছু বলি না। কিন্তু পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে দু’জনে মিলে অনুবাদ জজ্ঞের কল্যানে অসস্তি কিছুটা কমেছে। হয়তো তার ভেতর কিছু অনুশোচনাও হয়ে থাকবে। একটু দাপট দেখানো, প্রভাব খাটানো আর নিজের বিদ্যা জাহিরের জন্য তখন হয়তো কোন মুখস্ত বাক্য বলতে চাইছিল। কিন্তু এই সাধারণ প্রশ্নটা না বুঝতে পেরেই হোক বা কী বলার ছিল সেটা ভুলে গিয়েই হোক আসহায় ভাবে তাকালো আমার দিকে।

আমি স্যারের উপহার দেয়া পয়সাগুলো গুনে দেখেছি মোটে এগার মার্ক। ঘটনাক্রমে দিনটা শুক্রবার। শনি রবি সব বন্ধ। স্থায়ী ঘাটিতে খাওয়া-দাওয়ার কী ব্যাবস্থা জানি না। আগের আস্তানায় দুপুরের খাবারের সাথে রুটি-বাটার-জেলির একটা প্যাকেট দিয়ে দিতো। এখানেও সে ব্যাবস্থা থাকলে রাতটা কাটাব কী খেয়ে! এগার মার্কে রাতের খাবার হবে কীনা তাও জানি না। মহিলা দোভাষী হিসাবে আমার সাথে কথা বলে অভস্ত হয়ে গিয়েছিলেন বলেই খান সাহেবের অসহায় দৃষ্টি অনুসরণ করে প্রশানবোধক দৃষ্টি স্থির করলেন আমার চোখে।

দেশের বিরাট পরিবর্তনের রাজনৈতিক সংঘাতে শ্বাসক গোষ্ঠীর কোপানল থেকে জান-প্রাণ বাঁচাতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রর্থনা করেছি এই দেশের সরকারের কাছে। এমন একজন নেতা কপর্দক শূন্য। কথাটা ঠাট্টার মতো শোনাবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এগার মার্ক। তাই মহিলাকে বললাম;
তাড়াহুড়ো করে দেশছেড়ে পালাতে গিয়ে ডলার আনতে পারিনি সাথে। আমার কাছে আপাতত আট-দশ মার্ক আছে। দেশ থেকে টাকা এসে পৌঁছাতেও কিছু সময় লাগবে। মনে হচ্ছে আজ রাতের খাবারটা বাইরেই খেঁতে হবে। আমি এখনো জার্মানে বাইরে খাই নি। তোমার কী মনে হয়, এই টাকায় একবেলার খাবার হয়ে যাবে?

আমার কথা শুনে বড় ফাপরে পড়লেন মহিলা! দৃষ্টি নীচু করে কপালে হাট ঠেকিয়ে কী যেন বললেন নিজেই নিজেকে। তারপর তাঁকে আমি বিরাট একটা ভুলের হাত থেকে রক্ষা করেছি এমনই ভাব করে বললেন;

ভারী অন্যায় হয়ে গেছে! এই প্রয়োজনীয় কথাটা ভুলেই গিয়েছিলাম। মনে করিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ ধন্যবাদ তোমাকে প্রিটি বয়। সোমবার থেকে সপ্তাহের খাবার প্যাকেট তোমাদের বাড়ি পৌঁছে যাবে। লোটা-বাটি-কম্বল আজই ঐ বাড়িতে রেডি থাকবে। হাত খরচের জন্য পাবে মাসিক ৮৪ মার্ক। কিন্তু আজ?

প্রশ্নটা যেন নিজেকেই করলেন তিনি।
আশা করি অপর প্রান্তে কেউ আছে।
বলে তিনি ডায়াল ঘুড়ালেন। একটু অসস্তি হল। বেচারীকে বেকায়দায় ফেলেদিলাম।
উজ্জল মুখে তিনি জানালেন;
মাথাপিছু একশ মার্কের ব্যাবস্থা হয়েছে। তুমি কথাটা সবাইকে বলে দাও।
খুব খুসি হয়ে খান সাহেবকেই আগে বললাম সুখবরটা। বেজার মুখে তিনি জানালেন;
-ইয়োরোপের খবরতো জানেন না, একশ মার্কে বড়জোর দু’বেলা খেতে পারবেন। আমার কিছু যায় আসে না। বাকীরা মানবে আপনার কথা?
কথাটা আমার হয়ে গেল! আকাশ থেকে পড়লাম! তাও আমি কায়দা করে কথাটা তুলেছি বলে এই একশ মার্ক পাওয়া গেল! আর এখন দোষ হয়ে গেল আমারই! আমাকে জিজ্ঞেস করে তো মহিলা সিদ্ধান্ত নেন নি। তাঁদের বিবেচনায় যা হয়েছে তাই তাঁরা দিচ্ছেন। এখানে মানা না মানার কী আছে? এর মধ্যে বাকীরাও এই দুঃসংবাদ (?) পেয়ে আক্ষেপের সুরে ঘ্যাণ ঘ্যাণ প্যাণ প্যাণ জুড়ে দিয়েছেন।

টাকাতো দিচ্ছে জাতিসংঘের রিফিউজী কমিশন। এটাতো জার্মান জনগন বা সরকারের টাকা না।
আমাকে বলা কথাগুলো খান সাহেব আবার অন্য সবাইকে অনুবাদ করে দিলেন।
কী আর করা! নিজের লোক, ভূল করে ফেলেছে। কিসমতের উপরতো কারো হাত নেই।
সবাইকে শান্তনা দিয়ে আমাকে আপাতত বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে খান সাহেব এমন ভাবে আমার দিকে চাইলেন যেন; ওর কাছে আমি কৃত্জ্ঞ হওয়া উচিত।

আমার বিব্রতকর মুখের দিকে তাকিয়ে মহিলা জানতে চাইলেন;
এভ্রি থিংক্স ওকে গাইস?
মুখে দ্রুত হাসি-খুসি ভাব ফুটানোর চেষ্টা করতে করতে বললম;
ইয়েস ম্যাম।

বাড়িটা চিনে, সন্ধ্যার লাইট পোষ্টের আলো দেখে দেখে আমারা ট্রেন থেকে যেখানে নেমেছি সে দিকেই যাচ্ছি আমি। আসার সময় ওখানে একটা টেলিফোন বুথ দেখেছি। স্যারকে একটা খবর দেব। নাম্বারটা মুখস্তই আছে। ম্যাকডোনালসে বার্গারের সাথে কোক খেয়েছি। ঢেকুর আসছে। একটু হেচকীও ওঠেছে। মনটা ভাল না। আমাদের বাড়িটা টিলার উপড়ে। আশ-পাশটা ঢেকে আছে নাম না জানা গাছে। নীচের দিকে বাঁয়ে একটু সমতলে, লাল মোম জ্বলছে সারি সারি। খান সাহেবের ব্যাবহারটা বিরক্তির বদলে ব্যাথিত করলো খুব। যতদিন জার্মান সরকার থাকতে দেয় এক সাথেই থাকতে হবে। এমন একটা ভুল বোঝা-বুঝি জিইয়ে রাখতে দেওয়া ঠিক হবে না। এব্যাপারে আমাকেই নিতে হবে উদ্যোগটা। মনে মনে শক্তি সঞ্চয় করার চেষ্টা করছি। খুব বেশী নীরব আশ-আপশটা। একটু ভয় ভয় করছে। কাল সকালে ফোন করলেই চলবে। আজ বরং বাড়িই ফিরে যাই। খান সাহেবের সাথে ভুল বোঝা-বুঝির শুরুটা হয়েছিল শামীমের বিছানা রক্ষা করতে গিয়ে। এতক্ষণে বেচারা নিশ্চই পছন্দ মতো বিছানা পেয়েছে। যেটা খালি থাকে, সেটাই নেব আমি।

দরজাটা খুলতেই পরিচিত গানের সুরে ভরে গেল মনটা। এক তরফা প্রেমে পড়েছি অনেক বার। কিন্তু সাফল্যের সম্ভবনা না থাকায় কখনো প্রস্তাব পর্যন্ত এগুই নি। সে জন্য ঠিক সেক খাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। অনেক বন্ধুদের দেখেছি প্রত্যাক্ষ্যত হয়ে গোলাম আলীর গজল শোনে। আমাদের সময় বেশ ক’জন ব্যার্থ প্রেমিক বন্ধু “নিকা” ছবির “চুপকে চুপকে রাত দিন, আসু বাহানা ইয়াদ হে” গানটা মুখস্ত গাইত। ঘরে ঢুকে এই গানটা শুনে ভালই লাগল। এর আগে বন্ধুদের কণ্ঠেই শুনেছি কেবল। এবার আসল শিল্পীর কণ্ঠে শুনে ভীষণ ভাল লাগল। ঘরে পাকিস্তান-বাংলাদেশ এক করে দিয়েছেন জার্মান কর্তৃপক্ষ।

এখানে দ্বিতল খাটের ব্যাবস্থা নেই। বাড়ির বৈঠক খানার মতো ঘরখানায় চারটে খাটপাতা চার কোনায়। এখন সব গুলোই খালি। পড়ের ঘরটায় উঠতে একটা ধাপ পার হতে হয়। গানের উৎস সেখানেই। কী যেন করছে সবাই মিলে। ওদের সঙ্গে যোগ দিতে ওখানে গেলাম। কেউ আলু কাটছে কুঁচি কুঁচি করে। রুটি স্যাকার তাওয়ায় তেল ঢালছে খান। দুই বাঙ্গালী আর দুই পাকিন্তানী। আমি কাজের কিছু না পেয়ে আলুর খোসাগুলো হাতে নিয়ে ময়লা ফেলার বালতিটা খুঁজছি।

ইউরুপে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলেতে হয় না। আর আপনার কিছু করতেও হবে না।
এমন ধমক দিয়ে কথাগুলো বললো খান সাহেব যে, জবাব দিতে ইচ্ছে করল না। কাঁথা বালিশ চাদর কিছু নেই মাত্র একটাই বিছানাতে। আর তিনটে বেশ পরিপাটি করে গোছানো। খালিটাই আমার হবে ভেবে সেটাতেই বসলাম। ভেবে ছিলাম হয়ত এবার তাঁর অযথা ধমকের জন্য রান্নাটা করে খাওয়ার সময় অন্তত ডাকবে। ক্ষিধেটা মরে গেছে। খাবার অন্তত আজকে আর খেতে পারব না। কিন্তু না গেলে ভাববে ওর উপর চটে আছি এখনো। তাই যাব অনুরোধ রক্ষার জন্য। কিন্তু এর মধ্যে ওরা খেতে শুরু করেছে। রাগ হলো নিজের উপরেই। প্রত্যাশা কেন করি মানুষের কাছে!
চলবে...


মন্তব্য

guest_writer এর ছবি

চলুক

পুতুল এর ছবি

সম্মানিত অতিথি আপনার নামটা জানালে আরো খুসী হতাম।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আশালতা এর ছবি

এই খান সায়েবদের মত মানুষরাই সব সময় ভালো থাকে দেখেছি। তাদের ভালো থাকায় কোন সমস্যা হয়না।

সিরিজটা ভালো লাগছে। অদ্ভুত একটা জীবনের গল্প শুনছি। আপনার পুরো লেখায় খুব চমৎকার একটা ব্যালান্স থাকে, কোথাও ঝুল খেয়ে যায়না; পড়তে আরাম লাগে। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

পুতুল এর ছবি

সত্যিই খান সায়েবেরা ভাল থাকে। জলের মতো যে পাত্রে রাখেন সে পাত্রের আকার ধারণ করতে পারে। তার জন্য সময়ও লাগে না।

পড়তে আরাম লাগে জেনে খুসী হলাম। তবে এই সব স্মৃতি মনে হলে মাঝে মাঝে আমার মেজাজ খারাপ হয়। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভাল লাগছে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

এক অচেনা আলোয় চেনালেন আপনি প্রবাসের জীবনকে। ধন্যবাদ। তীর্থের কাকার মতই প্রতীক্ষারত রইলাম আগামী পর্বগুলোর জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। তালগাছটা আপনাকে দিলাম

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ ব্যাঙের ছাতা,
সেটাই, কেউ উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ যাত্রা করে। কেউ দুই বছরের ভিসা নিয়ে সৌদী আরব যায় কাজের জন্য।
আমরা এসেছিলাম কোন কিছু না জেনে না চিনে। আমি তো এসেছি একেবারে কপর্দক শূণ্য হয়ে এই ইউরুপে।

চেষ্টা করব যাতে আপনার অপেক্ষা দীর্ঘ না হয়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

কল্যাণF এর ছবি

পুতুল ভাই, আমারে মিস করছেন কিনা বুঝতেছি না, তবে আমি কিন্তু অনেক মিস করতেছিলাম আপনার লেখা। আজ পড়ে শেষ করলাম, পড়ে ভাল লাগছে বলাই বাহুল্য। চলুক চলুক চলুক

কর্ণজয় এর ছবি

মনে হলো...
আপনার লেখা পড়বার সময় হয়েছে...
অপেক্ষায় রইলাম।

পুতুল এর ছবি

দিলাম।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।