বেদাতি বাউলের কান্দন, এবং মাসুম বাচ্চাদের 'শিক্ষা' দেওয়ার কড়চা

অন্যকেউ এর ছবি
লিখেছেন অন্যকেউ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/১১/২০১২ - ২:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

হাজার হাজার মুসলিম ছাত্র এবং ছাত্রী কাফেরদের দেশে লেখাপড়া, ব্যবসা এবং বিবিধ উদ্দেশ্যে যায়, সেখানে বসবাস করে, খাওয়াদাওয়া করে, এবং তাদেরকে কুফরি থেকে ফেরানোর কথা মনে মনে চিন্তা করে। এদের মধ্যে যেকোনও একজন নিরীহ মাসুম বাচ্চাকে এফবিআই টার্গেট করে, তার কাছে জানতে চায় সে কী চায়। সে জানায়, সে আলকায়েদার সাথে সম্পৃক্ত স্থানীয় কোনও নেতার সাথে যোগাযোগ করতে চায়। এফবিআই মাসুম বাচ্চাটির খায়েশ পূরণ করে। নিজেদেরই একজনকে আলকায়েদার এজেন্ট পরিচয়ে তার সাথে ভিড়িয়ে দেয়। তার ইচ্ছে অনুযায়ী তাকে বোমা হামলার কাল্পনিক রসদ যোগায়। এবং সে 'বোমা'-টা ফাটিয়ে দেবার শেষ পর্যায়ে যাবার পর তাকে মদন বানিয়ে দেয়!

এনিওয়ে, মাসুম বাচ্চার সাথে এমন বর্বর রসিকতার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মুখর হয়ে ওঠে। সত্যিই তো! এই ছেলেটাকে কাল্পনিক বোমা না দিলে কি সে বোমা ফাটাতে যেতো! সত্যিই যদি এফবিআইয়ের নজর এড়িয়ে আলকায়েদার সাথে তার যোগাযোগ ঘটেই যেতো, আলকায়েদা যদি তাকে আসল একটা বোমা সাপ্লাইও দিতো, সে কি পারতো বোমাটা ফাটাতে? নিশ্চয়ই না! নেহায়েত নকল বোমা বলেই না সে বোমা ফাটানোর চাবিটা টিপেছে! আসল বোমা হলে নিশ্চয়ই মাসুম বাচ্চাটা এমন করতো না! নিশ্চয়ই তার হাতে শখানেক 'মানুষ', থুড়ি, কাফের মারা যেতো না! এবং ভুল করে মারা গেলেও আমরা এদেশে চুকচুক করে ফয়সালা জানিয়ে দিতাম, "উহা সহীহ ইসলাম নহে!" মাসুম বাচ্চার সাথে এমন আচরণ! শেইম এফবিআই!

যাহোক, সৌদি আরবের রাস্তার মোড়ে মেলা বসিয়ে আট বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ (শব্দটা বেশ শ্রুতিমধুর। পড়ার সময় দৃশ্যকল্পটাও ভুলে যাবেন না। ঘ্যাঁচ করে এক কোপে একটা জ্যান্ত মানুষের কল্লাটা কেটে ফেলা হোল, আর আশেপাশে জমায়েত কয়েকশ' মানুষ হুল্লোড় করে উঠলো সেটা দেখে!) নিয়ে কথা বলতে চাইছি না। যেই দেশের যেই আইন, সেটাকে আমাদের সম্মান দেখানো উচিত!

২।

আমরা কলোনিতে থাকি। কলোনির কাচ্চাবাচ্চারা সকাল সাড়ে নটায় চ্যাঁ ভ্যাঁ করতে করতে ইশকুলে যায়। মনে হয় এই সাড়ে ন'টায় আবার ভোর হয়েছে, আর গাছপালা থেকে চ্যাঁভ্যাঁ ভেসে আসছে!

সে ভালো কথা। তা বলে ভোরবেলায়, উপযুক্ত চ্যাঁভ্যাঁর পাশাপাশি এই কাচ্চাবাচ্চাগুলোর কলকল মেশে কেন? ভোরবেলায় কাচ্চাবাচ্চাগুলো কোথায় যায়?

এটা জানার জন্য পাশের বাসার এঞ্জিনিয়ার সাহেব, তদীয় ইস্ত্রি ডাক্তার সাহেবা এবং তাদের একমাত্র সন্তান বাবুসোনার দিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।

এঞ্জিনিয়ার সাহেব একটা এঞ্জিনিয়ারিঙ শিক্ষায়তন থেকে পাশ করে এখন সরকারী চাকরি করেন। তবে এই অল্প বয়েসে কলোনিতে কোয়ার্টার পেয়েছেন বলে ভাববেন না যেন! সেটা ঠিক সম্ভব না। ভাড়া বাসা।

শিক্ষাজীবনেই ডাক্তার সাহেবার সাথে তাঁর পরিচয় এবং পরে পরিণয়। দুজনই যথেষ্ট উদার মনের মানুষ। ধর্ম মেনে চলেন, তবে গোঁড়ামি করেন না কখনও। পহেলা বৈশাখে লালশাদা শাড়ি-পাঞ্জাবি, এবং সময় অসময়ে নাটকপাড়ায় নাটক দেখতে বা শাহবাগে কোনও একক সঙ্গীতসন্ধ্যায় উনাদের দেখা পাওয়া যায়।

এঞ্জিনিয়ার সাহেব হরওয়াক্ত নামাজটা ম্যানেজ করে উঠতে পারেন না। যতটা পারেন করেন। তবে জুম্মাটা কখনোই অবহেলা করেন না। ডাক্তার সাহেবার অবস্থাও তুলনীয়। এবং স্বভাবতই, দুজনেই চান তাঁদের একমাত্র সন্তান বাবুসোনাও যাতে ধর্মের আলোয় আলোকিত হয়ে তাঁদের মতোই শান্তিময় জীবন যাপন করতে পারেন।

বাবুসোনা এই কাঁচা বয়েসে তো আর ধর্মের ভারিক্কি বিষয়গুলো বুঝতে পারবে না। তবে তাই বলে একেবারে হেলাফেলাও করা যায় না। সেই ভেবে উনারা বাবুসোনাকে নিয়মিত ভোরবেলায় কলোনির মসজিদে গিয়ে মোল্লার তরফে আরবি শেখার বন্দোবস্ত করে দেন। বাবুসোনা নেহাতই শিশু। ভোরবেলায় বিছানা থেকে উঠতেই চায় না। তার মা আদর করে তাকে টেনে তুলে ছোট্ট পাঞ্জাবি-পাজামায় দুরস্ত করে পাঠিয়ে দেন। কলোনির বাকি বাচ্চাকাচ্চাদেরও একই কাহিনি। সবাই এই ভোরে সুর করে পবিত্র ভাষাটা শেখে। তমিজের সাথেই শেখে। বাপ-মার মুখে শান্তি খেলা করে। তাঁরা ভাবেন, বাবুসোনারাও বড়ো হয়ে তাঁদের মতোই হবে।

ঝামেলা হয় অন্য জায়গায়। এঞ্জিনিয়ার সাহেব, ডাক্তার সাহেবা, এবং ইত্যাকার বাকি সবাই শিক্ষিত মানুষ। মোটামুটি একটা ধারণা রাখেন যে একজন শিক্ষিত মানুষ আইনের শাসন বোঝেন, মানবিকতা বোঝেন, সংস্কৃতি বোঝেন। বোঝেন বই, গান, নাটক আর রাজনীতি কাকে বলে। তবে ধর্ম নিয়ে একটু বেশি রোমান্টিসিজমের কারণে হয়তো ভুলে যান, একজন অশিক্ষিত মানুষও এই জিনিসগুলো জানবেন, এমন কোনও কথা নাই। কাজেই কওমি মাদ্রাসা পাশ করা হুযুর, যিনি বাস্তব দুনিয়ার বিচারে অশিক্ষিত, তার হাতেই নিজেদের সন্তানদের সঁপে দিয়ে তাঁরা নিশ্চিন্ত হয়ে থাকেন।

এবং একদিন আরবি ক্লাস শেষ করে এসে বাবুসোনা তার মাকে জিজ্ঞাসা করে,
"মা, হুযুর বলসে, হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভাঙসে। আমাদেরকে হিন্দু মারতে হবে। বলসে, 'হিন্দু মারতে পারবা না?' মা, পাশের বাসার অদিতিরা তো হিন্দু। ওদেরকে মেরে ফেলতে হবে, মা?"

মা বলেন, এসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে নাই। গুণাহ হয়।

কাজেই বাবুসোনা প্রশ্ন করে না। হুযুর তাকে 'জ্ঞান' দিতে থাকেন। এবং সে প্রশ্ন না করেই সকল স্টেটমেন্ট মেনে নিতে থাকে।

এবং একদিন, শৈশবে সুপ্ত হয়ে থাকা বিধর্মী মেরে ফেলার পক্ষে মানসিক সমর্থন নিয়ে কাফেরদের দেশে গিয়ে সে হাজির হয়!

৩।

আজকে খবরে দেখলাম, 'সিলেটে বাউল আসর পণ্ড, হামলায় একজন নিহত'। মনে পড়ল পুরনো আরেকটা খবর। মাদ্রাসা ছাত্রেরা ভেঙে দিয়েছিলো এয়ারপোর্ট মোড়ে তৈরি হতে থাকা লালনের ভাস্কর্য।

এরা মাদ্রাসা 'শিক্ষা'-য় 'শিক্ষিত'। এরা আমাদের গান শুনতে দেবে না। এরা আমাদের সংস্কৃতিকে ধর্ষণ করবে। এবং আমরা যদি কিছু বলতে যাই, তাহলে এরা লুকোবে ইসলামের পেছনে। রিপিট, ইসলামের পেছনে গিয়ে লুকোবে। মাদ্রাসা 'শিক্ষা' নামের এই বস্তুটা এখন ইসলামের প্রতিশব্দ। বলি, এঞ্জিনিয়ার সাহেব, আপনি মাদ্রাসা থেকে এঞ্জিনিয়ারিঙ পাশ করেছেন নাকি? ডাক্তার সাহেবা, আপনি কি মাদ্রাসা থেকে ডাক্তারি পাশ করেছেন? মাদ্রাসা কি বিবিএ ডিগ্রি দেয়? বা কৃষিপ্রযুক্তি, যন্ত্রকৌশল, গণিত, পদার্থবিদ্যা?

না?

তাহলে মাদ্রাসা কি শেখায়? কেন বাউল গানের আসরে এঞ্জিনিয়ারিঙ, ডাক্তারি, বিবিএ, গণিত, পদার্থবিদ্যা বা যন্ত্রকৌশলে পড়া কোনও মুসলমান শিক্ষার্থী হামলা না চালিয়ে শুধু মাদ্রাসার মুসলমান 'শিক্ষার্থী'-রাই হামলা করে?

হুঁহুঁ! বুঝতে হবে। উও বাকি সব সহীহ ইসলাম নেহি হ্যায়। সহীহ ইসলাম শেখানো হচ্ছে মাদ্রাসায়। আপনারা বাকি সব বেদাতি কুফুরি শিক্ষায় কুশিক্ষিত মানুষজন। আপনারা হয়তো গবেষণা করতে পারেন, উৎপাদন করতে পারেন, চাকরি করতে পারেন, ব্যবসা করতে পারেন, শিক্ষকতা করতে পারেন, পারেন হয়তো ডাক্তারি, এঞ্জিনিয়ারিঙ বা ওকালতি করতে এবং এই সব কিছু করে বিদেশি মুদ্রা আনতে। তবে যাই করেন, সহীহ মুসলিম আপনারা হতে পারেন নাই কিন্তু!

যাই হোক, এখনও সময় আছে, সুপথে ফিরে আসেন। আপনার সন্তানটাকে মাদ্রাসায় পাঠান। যদি না পারেন, অন্তত মাদ্রাসা থেকে পাশ করে আসা পাড়াতো হুযুরের তত্ত্বাবধানে তাকে কিছুদিন আরবি শিখতে দিন। দয়া করে খোঁজ নেবেন না যে হুযুর আপনার শিশুটির সাথে ঠিক কী সব আইডিয়া নিয়ে কথা বলছে। হুজুর আরবি জানে। আপনার শিশুটিকে তার একমাত্র শৈশবে যেসব জিনিস শেখানোর কথা; সেই 'মানবিক বোধ', 'উদারতা', 'সহিষ্ণুতা' ইত্যাদি ভালোমতো শিখিয়ে দেবার জন্য, কুফুরি শিক্ষায় শিক্ষিত আপনি, বা আপনার জীবনসঙ্গীর চেয়েও বেশি উপযুক্ত মানুষ- মাত্র একজন মাদ্রাসাপাশ হুযুর।

৪।

বেদাতি বাউল শালারা কী কয়! "ধর্ম বুঝে মানরে সখা...."? শালার পোলাগুলারে মাইরা হোতায়ালা! কোতল কর!

পাশের বাসার অদিতি, একজন হিন্দু, অথবা বৌদ্ধ, অথবা খ্রিশ্চান, বা নাস্তিক। তাকে এখনও মেরে ফেলা হয়নি। তবে একদিন মেরে ফেলা হবে, এই আশাবাদ আমরা ব্যক্ত করতেই পারি।

মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যই সংক্রামক, ব্যাধি নয়! হে হে!

"ধর্ম বুঝে মানরে সখা" মুর্দাবাদ। মাদ্রাসা জিন্দাবাদ! চিয়াও!


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

এসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে নাই। গুণাহ হয়।

এটা খুব ভাল একটা অজুহাত।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অন্যকেউ এর ছবি

সত্যিই! এভাবে এড়িয়ে গিয়েই তো বিকৃতির সুযোগ বাড়িয়ে তোলা হয়।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অরফিয়াস এর ছবি

এইদেশ ধর্মান্ধ দিয়ে ছেয়ে যাবে যত না ধর্মান্ধদের তেলাপোকার মতো বংশবৃদ্ধি করার ক্ষমতার জন্য তার থেকেও বেশি যারা ধর্মান্ধ মানুষের কুকর্ম দেখেও দেখেনা নিজের ধর্মেরই বলে তাদের জন্য !!

অনেকে বলে উগ্র মৌলবাদী, হাস্যকর যুক্তি !! যদি কোন ধর্মের মৌলিক বিষয়বস্তু মেনে চলে এরকম অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে দোষ সেই ব্যক্তিদের না দোষ ধর্মের !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অন্যকেউ এর ছবি

যারা ধর্মান্ধ মানুষের কুকর্ম দেখেও দেখেনা নিজের ধর্মেরই বলে

কি ভয়ানক হিপোক্রিসি! আর হতাশ লাগে, সব ধর্মের মাঝেই এমন লোকজন অগুণতি।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অরফিয়াস এর ছবি

শুধুমাত্র ধর্মই এরকম অন্ধত্ব তৈরী করতে সক্ষম।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

সহমত।

অতিথি লেখক এর ছবি

০১
আপনার লেখার প্রথম অংশের সাথে সর্বাংশে সহমত। চলুক

০২
দ্বিতীয় অংশে আপনার সাথে একটু দ্বিমত পোষন করছি ভাই। ধর্ম আরো অনেকগুলো জিনিশের মতই মানুষের আবিষ্কার। তাই ধর্মকে দায়ী না করে এর ব্যাবহারকারীদেরকেই দায়ী করাটা অনেক যুক্তিযুক্ত। ঠিক যে কারণে আমরা আগুনকে দায়ী না করে এতে ইন্ধন দানকারীকেই দায়ী করি।

"মূর্খরা সব শোনো, মানুষ এনেছে গ্রন্থ;-গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো" - কাজী নজরুল।

ফারাসাত

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধর্ম যে মানুষের আবিষ্কার এটা মেনে নিলে কি আর এত কথা থাকে?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

ধর্মের ব্যবহারকারীদের দায়ী করা যাবেনা তা তো বলা হয় নাই !! মৌলবাদী বলাটা আমার কাছে অযৌক্তিক লাগে, কারণ মৌলিকতা মেনে যদি উগ্রতা আসে তাহলে দোষ তো সেই মৌলিক ধারণারই তাই না !!

আর ধর্ম যে মানুষের আবিষ্কার এটা আপনি এখানে বললেন, কোন একদিন হাজার ধর্মান্ধ মানুষের সামনেও এভাবে বলার সাহস থাকলে আমি আপনাকে সাধুবাদ জানাবো সেদিন।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখিত, আমারই বোঝার ভুল ছিল। আমি ধরতে পারিনি যে আপনার কথাটা "মৌলবাদী" শব্দ বা ট্যাগিং প্রসঙ্গে এসেছে।

ফারাসাত

সত্যপীর এর ছবি

চমৎকার চলুক

..................................................................
#Banshibir.

অন্যকেউ এর ছবি

অনেক ধইন্যা, সত্যপীর ভাই।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- , চউদা।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

গরীব মানুষ এর ছবি

আমার লালন ও অন্যান্য বাউলদের গানের কালেকশান করার জন্য ফেসবুকে একটা গ্রুপ আছে, ইউটিউবে একটা চ্যানেল খুলে সেখানে প্রায় ১২৫টার মতো গান আপলোড করেছি, আমার কাছে বাংলার বাউল গান বাংলা কালচারের একটা গুরুত্বপূর্ন অংশ বলে মনে হয় আর তাই এই প্রচেষ্টা। নাটোরে বাউলদের মাথার চুল কেটে দেওয়া, আজকে আবার সিলেটের ঘটনা জানতে পারলাম ফেসবুক গ্রুপে। মনটা বিষন্নতায় ভরে আছে, কোন কিছুতেই মন ঠিক হচ্ছে না, মনে হয় সিলেটের ঐ মাদ্রাসা বোমা মেরে উড়ায় দেই। শুয়োরের পাল না ধর্ম জানে না কালচার, মাদ্রাসা গুলো থেকে এক একটা শুয়োর তৈরীর কারখানা হয়ে গেছে, ঢোকে মানুষ বের হয় শুয়োর!

আউটসাইডার  এর ছবি

চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

আপনাদের সংগ্রহের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। সম্ভব হলে ইউটিউব ঠিকানাটা জানিয়ে দিন। সবাই নিশ্চয়ই অনুসরণতালিকায় থাকতে চাইবে।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- , স্যাম ভাই।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

লালকমল এর ছবি

চলুক একটানে পড়ে ফেললাম।

অন্যকেউ এর ছবি

ধন্যবাদ জানবেন, লালকমল।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

ধুসর জলছবি এর ছবি

চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

ধন্যবাদ, ধুসর জলছবি।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশের পাবলিক ভার্সিটিতে ইদানিং যে হারে তাবলীগ বাড়তাছে তাতে ভয়ই হয় কোনদিন বুয়েট,কুয়েট,চুয়েট,রুয়েটের পোলাপাইনও ধরা না খায় এইভাবে। জরুরী ব্যাবস্থা দরকার।

অরফিয়াস এর ছবি

ধরা খাবে মানে ???? দেরি আছে কিছু?

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

কি সুন্দর সুন্দর সব স্বপ্ন নিয়া পোলাপাইন গুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে অথচ কয়দিন পরেই সব স্বপ্ন ভুইলা সহিহ ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুকে দাউদাউ জ্বালায় নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ে।

অরফিয়াস এর ছবি

ভাইরে ইহকালে হুর সবাই পায়না, পরকাল কেন ছাড়বে !!!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাইদ এর ছবি

বুয়েটে তাবলীগ কি আজকাল ?? আমি তো ৯৮ সালেই এদের অনেক উপস্থিতি (নাকি উৎপাত) দেখেছি

অন্যকেউ এর ছবি

ওদের 'রেলগাড়ি' এখনও সগৌরবে চলছে!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

পুতুল এর ছবি

আজকে খবরে দেখলাম, 'সিলেটে বাউল আসর পণ্ড, হামলায় একজন নিহত'। মনে পড়ল পুরনো আরেকটা খবর। মাদ্রাসা ছাত্রেরা ভেঙে দিয়েছিলো এয়ারপোর্ট মোড়ে তৈরি হতে থাকা লালনের ভাস্কর্য।

মজার ব্যপার হচ্ছে বাউলের ভাস্কর্যটি কিন্তু আর হয়নি। টুপি ওয়ালা পাঁচজন মানুষও যদি বলে; ভাস্কর্য হবে না, তো হবে না। আমাদের সরকারের বড় ভয় বা ভয়ানক আশক্তি এই মোল্লাদের ভোটের প্রতি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অন্যকেউ এর ছবি

আমরা এখনও যে ক'টা ভাস্কর্য দেখতে পাই, সেগুলো তো তারা দয়া করে আক্রমণ করে নাই বলেই টিকে আছে। হিসাবে দাঁড়ায়, ওদের করুণার ওপর নির্ভর করে চলতে হবে আমাদের সংস্কৃতিকে!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই সময়োপযোগী ও দরকারী একটা লেখা। চলুক

ফারাসাত

অন্যকেউ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দরকারী লেখা। কিন্তু কাজ কি হচ্ছে কিছু মন খারাপ আমি আমার আশেপাশের মানুষের সাথে কথাবার্তা বলে খুবই মর্মাহত। শেষ পর্যন্ত কি ইউ আর বিয়িং ক্লোজার অ্যান্ড ক্লোজার টু পাকিস্তান! মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অন্যকেউ এর ছবি

আশপাশটা দেখতেই ভয় লাগছে, এবং দিনদিন ভয়টা বেড়েই চলেছে। সংক্রমণ হচ্ছে খুব দ্রুত।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমাদের মধ্যে অনেকেই যাঁরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, সংস্কৃতিমনা তাঁদের অনেকেই আবার বাচ্চাদের আরবী শিক্ষার জন্য বাসায় হুজুর রাখছেন। আর এটাও ঠিক, ঐ হুজুর বাচ্চাদের কি শেখাচ্ছেন, তার খবর কিন্তু রাখছেন না। আর এভাবেই......
লেখাটার জন্য লেখক ধন্যবাদার্হ। চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

শিক্ষিত মানুষেরা যদি সচেতন না হয়, বাকিদের কথা তো বলাই বাহুল্য। ভবিষ্যতে কি আছে কে জানে!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

আলোকিতা এর ছবি

মাঝে মাঝে ফেসবুকে নিজের হোমপেজ দেখে নিজেকে এতো অসহায় লাগে।আমার যে বন্ধুটা আমার সাথেই ক্লাস করছে,রেস্টুরেন্টে খেয়ে আসছে কিংবা খেলা দেখতে যাচ্ছে হই হই করে সেই দেখি বাসায় ফিরে ফেসবুকে নবীজির পায়ের চিহ্নওয়ালা পাথর,ব্যবহৃত তরবারি কিংবা গরুর মাংসের টুকরায় আল্লাহ্‌ লেখা ভেসে উঠেছে বলে দাবি করা ছবি শেয়ার করছে।এদেরকে আপনি মৌলবাদীও বলতে পারবেন না,ধর্মান্ধও বলতে পারবেন না।যে গোড়ালি বের করা প্যান্ট পরছে কিংবা জোব্বা-আচকান-দাড়ি আছে,ধর্ম পালন করে,সে বিষয়ে পড়াশুনা করে তার কিন্তু একটা পরিচয় আছে,সেটা ধর্মান্ধ হোক কিংবা মৌলবাদী।কিন্তু আমার নিজের কাছে বেশি বিরক্তিকর লাগে আশেপাশের এই বহুরূপী মানুষগুলোকে।

অন্যকেউ এর ছবি

এদেরকে আমি বলি মডারেট। এরা নিজেরা ধর্মের নিয়ম মানে না, নামাজ পড়ে না, এবং চৌদিআজব আর অশিক্ষিত মোল্লাদের যেকোনও কাজের সমর্থনে সবসময় একপায়ে খাড়া হয়ে থাকে। মডারেট শব্দের এখনকার বাজারচলতি প্রতিশব্দ ধরা যায়, বেহায়া হিপোক্রিট।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

শিশিরকণা এর ছবি

চৌদিয়াজব নামটা পছন্দ হইল।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

কৌস্তুভ এর ছবি

মেলায় হারিয়ে যাওয়া পোলাটাকে আবার খুঁজে পাওয়া গেছে দেখে ভালো লাগিল দেঁতো হাসি

অন্যকেউ এর ছবি

শীতনিদ্রার কাল এখনও শেষ হয়নি রে গুডবয়! মন খারাপ

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

aslam এর ছবি

আমি বিষয়টির সমাধান জানতে চাইছি। বাচচা দের ধর্মিয় শি্খখার জন্য কার কাছে পাঠানো উচিৎ?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সবচেয়ে ভাল হত যদি ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়াই বড় করা যেত :)। আর তা যদি না পারা যায় তাহলেই বাসাতেই কেন নয়? বাচ্চাকাচ্চাকে বাপ-মার চেয়েও ধার্মিক বানানোর প্ল্যান থাকলে নাফিস কেস হবার সম্ভাবনা থেকেই যাবে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অরফিয়াস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

ফারাসাত

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

হিমু এর ছবি

আমাদের দেশে পাঠ্যক্রমে ধর্মশিক্ষা একেবারে এসএসসি পর্যন্ত পড়ানো হয়। আপনি সম্ভবত ধরে নিচ্ছেন যে পাঠ্যসূচিতে ধর্মশিক্ষা যতটুকু পড়ানো হয় তা ধর্মীয় শিক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়, যে কারণে সাপ্লিমেন্টারি ধর্মীয় শিক্ষার জন্য অন্যত্র বাচ্চাদের পাঠানো প্রয়োজন।

১. এমন ধরে নেয়ার কারণ কী?
২. আপনার নিজের ধর্মীয় শিক্ষার অভিজ্ঞতা কী বলে?

শিশিরকণা এর ছবি

ধর্মীয় শিক্ষার চে' নৈতিকতা শিক্ষা কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়? আগে সন্তানকে একজন ভালো মানুষ হবার শিক্ষা দিন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

"শিক্ষিত মানুষ" নামের আড়ালে ধর্মকাতর গবাদি পশুদের সংখ্যাই বেশি আজকাল চারপাশে।
দেশটা বোধ হয় পাকিস্তানই হয়ে যাবে মন খারাপ

অন্যকেউ এর ছবি

সেটা ঠেকানোর জন্য আশপাশে নজর খোলা রাখতে হবে। আমার-আপনার অজানিতে যাতে ছোট চাচার ছেলেটা পাঁকে না পড়ে যায়, সেজন্য সবসময় সতর্ক নজর খোলা রাখতে হবে আমাদেরই।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

শিক্ষিত ছোট চাচারাই নিজেদের ছেলেদের সহীহ পাঁকে ঠেলে দিয়ে পরকালের কথা ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রতিদিন,নজর খুলে রেখে তাই শুধু হতাশাই বাড়ছে মন খারাপ

আউটসাইডার  এর ছবি

একমত! এসলাম কায়েম করতেই হবে। ইহকাল তো নষ্ট হইছে, পরকালের হুর ও কি মিস করুম নাকি? দেশে থাকতে কি যে মিস করছি, এবার ভাবতেছি দেশে গিয়ে ঢাবি'র সবগুলো মুর্তি ভেঙ্গে আসবো। এসব বে'দাতি কাজ দেশে চলতে দেয়া যেতে পারে না!

মনে আছে আপনার, কয়েকবছর আগে মতিঝিলে বকচত্বরে ভাঙচুর করা হয়েছিল? সরকার তখন কিছুই করতে পারে নাই। তারা ঘোষণা দিয়েছিল তারা অপরাজেয় বাংলা ও রাতের বেলায় ভেঙ্গে দিবে। আমরা তখন প্রায় রাত জেগে পাহারা দিয়েছিলাম। চিন্তুা করতে পারেন, খানকির বাচ্চারা কতখানি সাহস পায় এমন ঘোষনা দিতে।এই স্বাধীন বাংলাদেশে।

মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা অবিলম্বে বিলুপ্ত করা না হলে সামনে আরো ভয়ঙ্কর কিছু অপেক্ষা করে আছে আমাদের জন্য।

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

মন মাঝি এর ছবি

যাত্রা, বাউলের আসর এসব থেকে শুরু করে আমাদের আরও বহু সাংস্কৃতিক সম্পদ হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম বা মফস্বলের কথা বাদ দিন, বছর দশপনেরো আগেও মনে হয় আমি ঢাকায় যেখানে থাকি তার আশেপাশে সহ এই শহরের অনেক জায়গাতেই শীতকালে বাউল গানের আসর বসত। কোন কোনটা সারারাত বা অনেক রাত পর্যন্ত চলত। মোটামুটি খোলা জায়গা থাকলেই হত - ক্লাবের মাঠ, বাজার বা নানা রকম কমিউনিটি স্পেসে। একটু ঘুরাঘুরি করলেই একটা না একটা আসর পাওয়া যেত। অথচ এখন সেসব আর চোখেই পড়ে না প্রায়, কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেছে সব। খুব সম্ভবত মোল্লাদের চাপে বা প্রভাবে।
আমার এমন একটা প্রিয় আসর হত আমার এলাকার কাছেই একটা বাজারের সামনে খোলা জায়গাতে দোকান-মালিক/শ্রমিক সমিতির আয়োজনে প্রতি বছর শীতে। এই আসরে আমি অনেক শীতের সন্ধ্যা পার করেছি। কিন্তু অনেক দিন হল এটা আর হয়না। এখন সেখানে স্থানীয় একটা মাদ্রাসার আয়োজনে মাইক লাগিয়ে পিলে চমকিয়ে কান ফাটিয়ে পাড়া দাপিয়ে ওয়াজ-মাহফিল হয়।

****************************************

অন্যকেউ এর ছবি

এই সবকিছু কোনও দিন মৃত স্মৃতি হয়ে না গেলেই বাঁচি। মন খারাপ

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

দরকারী লেখা। বাচ্চার পরকাল রক্ষা করার জন্য বাবা মায়েরা শর্টকাট যত পদ্ধতি আছে সব খুঁজে বের করে পালন করতে থাকেন, কেবল যুক্তি দিয়ে ভালোমন্দ বিচার করা শেখানো ছাড়া। বেশিরভাগ বাবা মায়ের নিজের ব্যাপারটা জানা আছে কিনা, তা নিয়ে আমি অবশ্য বেশ সন্দিহান

অন্যকেউ এর ছবি

অবস্থা দেখে তো মনে হয় প্রায় কেউই ঘটনার পারম্পর্যটা ধরতে পারেন না, বা বুঝলেও কেন কে জানে চোখ বুজে রয়ে যান! নাফিসের গোড়াটা কোথায়, সেটা খুঁজে না দেখতে গেলে ডালপালা শুধুই বাড়বে, শুধুই বাড়বে।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

মুখর এর ছবি

এক কথায় অসাধারণ, বর্তমান সময়ের জন্য খুব দরকার ছিল, আরো লিখুন।

অন্যকেউ এর ছবি

ধন্যবাদ, মুখর।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

তারেক অণু এর ছবি

জরুরী লেখা।

একটা একটা জিনিস- মাদ্রাসা শিক্ষা দিয়ে বাংলাদেশের কি লাভ হচ্ছে? বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী সংখ্যক প্রবাসী থাকে মিডল ইস্টে, সৌদি আরবসহ নানা আরবি ভাষার দেশে। আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষে সেই দেশগুলোতে থাকলেও তাদের অধিকাংশই আরবি বলতে, বুঝতে পারে না বলেই তারা সবচেয়ে কম বেতনের এবং সবচেয়ে বেশী পরিশ্রমের কাজগুলো তাদের করতে হয়। আরবি ভাষাটা তাদের ভালভাবে জানা অতিদরকার।

এত হাজার হাজার মাদ্রাসা আজ পর্যন্ত কয়জন মানুষকে ঠিকমত আরবি শিখাতে পেরেছে? তারা কোন উপকারে এসেছে বাংলাদেশের?

অন্যকেউ এর ছবি

উল্টো দিকটাও দেখুন, যারা মাদ্রাসার শিক্ষাটা মাত্র সম্বল করে অদক্ষ শ্রমিক হিসাবে না গিয়ে বরং দক্ষ শ্রমিক হিসাবে যাচ্ছে, বিভিন্ন কারিগরি ধারায় কাজ করছে, সাধারণ অদক্ষ শ্রমিকদের তুলনায় তারা অনেক ভালো আছে। এক হাজারটা মাদ্রাসা থেকে দশটা কারিগরি ইশকুল অনেক বেশি অবদান রাখতে পারে। আর ধর্মশিক্ষা দেবার বদলে মাদ্রাসাগুলোকে যদি মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠাবার উদ্দেশ্য রেখে ভাষা আর কারিগরি শিক্ষার জায়গা করে তোলা হয়, তাহলেও কিন্তু পরিবর্তন আসতে পারে।

এত হাজার হাজার মাদ্রাসা আজ পর্যন্ত কয়জন মানুষকে ঠিকমত আরবি শিখাতে পেরেছে? তারা কোন উপকারে এসেছে বাংলাদেশের?

চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

আউটসাইডার  এর ছবি

চলুক
শুধু বাংলাদেশ নয় অণুদা, গোটা ভারতবর্ষে গত দুইশো-আড়াইশো বছরেও হাজার হাজার মাদ্রাসা থেকে কিছুই জন্মায় নাই। বের হইছে হাজারে হাজারে জঙ্গী আর আবুল আলা মওদুদী'র মতো কিছু শুওরের বাচ্চা (শুওরকে গালি দেয়ার জন্য দুঃখিত)। ইংরেজরা আসলেই খাসা মাল, আলিয়া মাদ্রাসা কিন্তু তাদের ই মহান কীর্তি।

রংতুলি এর ছবি

এত হাজার হাজার মাদ্রাসা আজ পর্যন্ত কয়জন মানুষকে ঠিকমত আরবি শিখাতে পেরেছে

চলুক ভাষা হিসেবে আরবি শিখতে না পারলেও, 'কানাহাফেজ' নিতান্তই কম পয়দা হয়নি এ মাদ্রাসাগুলো থেকে! চিন্তিত

দুর্দান্ত এর ছবি

মনে করেন সারা দেশে সুন্নি-ইসলামি মাদ্রাসা নাই, মন্দির নাই, প্য়াগোডা-গির্জা নাই।

দেশে খালি লালনের আখড়া আছে, সারা দেশে জেলা-থানা-গ্রামে একটা করে বাউলদের আস্তানা আছে।

আস্তানার সাইজ অনুযায়ী প্রতিটা আস্তানায় আছে একজন বাউল-সুলতান বা বাউল-রাজা বা বাউল-সম্রাট।
এনারা ইসলামি বা হিন্দু নীতিবিরুদ্ধ, কিন্তু তাদের বাতেনি নলেজ বেশ বুলন্দ।

তারা গান গান, আবার তাবিজ দেন, তাদের পুরাতন ওস্তাদের জীবিত দরগাহ আছে, সেখানে সিন্নি মানত করলে পুত্রভাগ্য় হয়।

বছরে একবার কোন এক পুর্নিমায় নিখিল-বংগ বাউল সম্মেলন হয়। সেখানে ইসলামহিন্দুখ্রিষ্ঠানের মত সাম্প্রদায়িকতার অনেক অনেক উপরে মানবধর্ম নিয়া বাউলে বাউলে বাহাস হয়। যারা লালনের মন্দ বলে তাদের ধোপা-নাপিত বন্ধ। লালন যদিবা গ্রহ নক্ষত্র বা দিন-রাতে সৃষ্টিকথা নিয়ে ভেবেছিলেন, কিন্তু একালে সেগুলোর সুযোগ নাই। এখন লালন হলেন সাঁই-জি, তার বাক্য়ই পুজনীয়।

আপনার কলোনির সেই এন্জেনিয়ার জুমার নমাজ বাদ দিয়া সন্ধ্য়ায় ধুপধুনি জালাইয়া জিকির-জপ করে, আর সকাল সন্ধ্য়া লালন ফকিরের গান শুনে.......

ভেবে দেখুন খুব বেশী কি তফাত হবে কি তাতে? জলপাই-ঠোলার নিয়ন্ত্রণ বাউলদের হাতে দিয়ে দেখলে বোঝা যেত ক্ষমতাবান হলে তারা 'অপর' কে কিভাবে পুছে।

অন্যকেউ এর ছবি

কাল্পনিক সিচুয়েশন বললেন, যেটা কিনা পুরোপুরিভাবে অযৌক্তিক। ইসলামের নাম দিয়ে পেছনভাগে রাজনৈতিক ক্ষমতার চাষ করা হয়। মৌলবাদ আর ধর্মান্ধতাকে সেটার কারণেই বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। বাউলরা রাজনৈতিক ক্ষমতা কবে চেয়েছে বলতে পারেন?

দুঃখিত। সবাইকে এক পাল্লায় মাপতে পারি না। শেয়াল আর হরিণে পার্থক্য আছে। শেয়ালের সাথে হরিণকে এক কাতারে দাঁড়া করিয়ে দিলে তাতে শেয়ালের দিকে পক্ষপাতিত্বই শুধু দেখা যায়।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

দুর্দান্ত এর ছবি

হরিন-শিয়ালের উদাহরনটাই যুতসই হয়েছে। প্রাকৃতিক ইতিহাসেই প্রমান আছে যে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে হরিনের মত নিরীহ তৃ্ণভোজী মাংশাসি হয়ে ওঠেছিল। বাংলাদেশে বাউল/বৈষণব সুফিরা রাজনৈতিক ক্ষমতা চায়নি সুযোগের অভাবে।

তুরস্কের ওসমানি আমলে দেখুন কিভাবে তথাকথিত নিরামিষ সুফি-মওলানাদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা গিয়েছিল।

ঠিক আছে তারা (আপাতত) নিরীহ! ঠিক আছে বাউল সম্প্রদায় অত্য়াচারিত, তাই তাদের রক্ষা করা সমাজের সবলের কর্তব্য়। কিন্তু আমার প্রশ্নটা আদর্শের। সমাজে বাউল সম্প্রদায়ের ইহজাগতিক উতপাদনশীলতা কি ইসলাম বা অন্য় ধর্মের চাইতে বেশী। বাউল দর্শন (আমি লালন বা রবীন্দ্রনাথের মত ব্য়াতিক্রমের কথা বলছিনা) কিভাবে অন্য়ান্য় দর্শনের চাইতে বেশী প্রগতিশীল, সেটা জানতে চাইছি। যদি আমার নীতি ইহজাগতিক হয়, তাহলে তো সবধরনের আধ্য়াত্মিকতা আমার কাছে সমানভাবে অপ্রয়োজনীয়।

নাকি আপনি বলতে চাইছেন 'বাউল' ইসলাম/হিন্দু ধর্মের চাইতে কম আধ্য়াত্মিক?

অন্যকেউ এর ছবি

বিলুপ্ত প্রজাতি? কেমন হতে পারে? ধরা যাক, ১৮৭৩ সালে জনৈক বাউল মত্ত অবস্থায় কাউকে খুব করেছিলো। কাজেই, বর্তমান সময়ে, যেখানে যে বাউলকেই পাওয়া যাক না কেন, "শালার পোলাগুলারে মাইরা হোতায়ালা! কোতল কর!"

সংখ্যাগরিষ্ঠরা সবসময় মাংসাশী হয়ে ওঠে। সেটার নাম হরিণই হোক, কিংবা শেয়াল। হয়তো আপনার কাছে নাম গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে দাঁত এবং নখের মালিকানা।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অন্যকেউ এর ছবি

নাকি আপনি বলতে চাইছেন 'বাউল' ইসলাম/হিন্দু ধর্মের চাইতে কম আধ্য়াত্মিক?

বর্তমান সময়ে কম আধ্যাত্মিক তো বটেই। ভবিষ্যতে যদি বাউলরা বাউল মাদ্রাসা তৈরি করে, তাহলে সেটাকেও গালিগালাজ করতে দেখতে পাবেন আমাকে। সেসময়ে আপনার মতামত কী হয় দেখা যাক!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

মন মাঝি এর ছবি

প্রাকৃতিক ইতিহাসেই প্রমান আছে যে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে হরিনের মত নিরীহ তৃ্ণভোজী মাংশাসি হয়ে ওঠেছিল। বাংলাদেশে বাউল/বৈষণব সুফিরা রাজনৈতিক ক্ষমতা চায়নি সুযোগের অভাবে।

এই কথাটা আদর্শ-অনাদর্শ নিরপেক্ষ ভাবে মানুষ মাত্রেই প্রযোজ্য। এই যুক্তি অনুসারে আপনার ভাষায় 'ইহজাগতিক'-রাও 'মাংশাসি' হয়ে উঠতে পারে। বিশ্ব-ব্রম্মাণ্ডের যে কেউ তা হতে পারে। কোন কোন দেশের 'ইতিহাসে' 'ইহজাগতিক'-রা তা হয়েওছে। "সুযোগ পেলে" অনেক পীর-পয়গম্বরই অনেক কিছু করে, যা আমরা ইতিহাসে অসংখ্যবারই দেখেছি। এটাই মানবচরিত্র, দাবিকৃত মহৎ আদর্শের 'লেবেল' বা মুখের কথা দিয়ে এর অন্যথা প্রমান হয় না। কে হবে আর কে হবে না, তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয় - তাদের নিজেদের মৌখিক দাবি ছাড়া - যার আসলে খুব একটা দাম নেই। এটা পুরোপুরি প্রমানসাপেক্ষ বিষয়। সুযোগ পেলে আপনি বা আমরা যে কেউ এমনটা হতে পারি। এই যুক্তি থেকে আস্তিক-নাস্তিক-ইহজাগতিকতাবাদী কারও রক্ষা নাই। সুতরাং, বাউল সম্পর্কে, বা যে কারো সম্পর্কেই আলাদা করে এ জাতীয় কোন আশংকার কথা বলতে হলে, ঐ মতাদর্শের মধ্যে 'মাংশাসি' হয়ে উঠার উপাদান সুনিশ্চিত ভাবে আলাদা করে দেখাতে হবে।

আমি লালন বা রবীন্দ্রনাথের মত ব্য়াতিক্রমের কথা বলছিনা

কেন, তারা বাদ যাবেন কেন? লালন বা রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্নিকতায় আকণ্ঠ জারিত গান/কবিতার "ইহজাগতিক উতপাদনশীলতা" কতটুকু? বিন্দুমাত্রও? আপনার যুক্তিতে তো তাহলে এদের 'প্রগতিশীলের' বিপরীতে চরম প্রতিক্রিয়াশীল ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না মনে হচ্ছে।

যদি আমার নীতি ইহজাগতিক হয়, তাহলে তো সবধরনের আধ্য়াত্মিকতা আমার কাছে সমানভাবে অপ্রয়োজনীয়।

তাহলে লালন, রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রায় বেশির ভাগ শ্রেষ্ঠ সব কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীকেই ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। আপনি রাজি?

****************************************

অরফিয়াস এর ছবি

ইহজাগতিক নীতিতে পারলৌকিক কোন কিছুর আলাপ অযৌক্তিক হবে সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু কথা যখন হচ্ছে ধর্মান্ধতা নিয়ে তখন প্রতিষ্ঠিত ধর্মগুলোর তুলনায় সুফি/বাউল সাধনা অবশ্যই ব্যতিক্রম। প্রতিষ্ঠিত ধর্মগুলোর সবকটাই একটি সুনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের মতো। যাদের একটি করে রুলস বুক আছে এবং তা থেকে ইন্টারপ্রিট করার জন্য একজন ব্যক্তি নির্বাচিত হন যার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা অনুসারীদের নিকট কর্তব্য হয়ে উঠে। আমার কাছে বর্তমানের প্রচলিত ধর্মগুলো কিছুটা কর্পোরেট কালচারের মতো। মাল্টি-লেভেল ম্যানেজমেন্ট এর মতো বিভিন্ন স্তরযুক্ত করে যা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এতে উপরের দিকের অবস্থানকারীরা সুযোগ ভোগ করে যথেচ্ছ কিন্তু নিচের দিকের অনুসারীরা কিন্তু তাদের কলাটা-মুলোটা নিয়েই সন্তুষ্ট। এখানে অবস্থানগত পার্থক্য যেমন বিদ্যমান তেমনি ক্ষমতার পার্থক্যও আছে। ধর্মকে রাজনৈতিক ক্ষমতা হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব সহজেই।

সুফি/বাউল সাধনা কি এই নিয়ম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোন ধরণ অনুসরণ করে? আমার মনে হয় না। যেখানে সুফি/বাউল সাধনার মূলই হচ্ছে সুনির্দিষ্ট ধর্মের বাইরে এসে আত্মা-পরমাত্মার সাধনা সেখানে সাধনার নিয়ম ব্যক্তিভেদে আলাদা হয়ে যায়। এখানে যেমন প্রাতিষ্ঠানিকতার কোন বাধ্যবাধকতা থাকেনা তেমনি থাকেনা ক্ষমতার রদবদল। এখানে যখন সমাজে ধর্মের প্রাতিষ্ঠানিক ধারনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শুধুমাত্র পরমাত্মার/জীবনের সাধনাই মুখ্য হয়ে উঠে তখন আমার কাছে মনে হয় সুফি/বাউল সংস্কৃতি আদতে ব্যক্তি এবং পরমাত্মার চিন্তার মাঝে ধর্মের প্রয়োজনীয়তাকে মুছে দেয়। আর ব্যক্তি অবস্থান থেকে যদি কেউ এধরনের আধ্যাত্মিকতার চর্চা করে তাহলে সামগ্রিক অর্থে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের থেকে তার প্রভাব ভিন্নতর বলেই মনে করি। এখানে দলবদ্ধভাবে ধর্মের নামে যেমন অত্যাচার জায়েজ করার সুযোগ লোপ পায় তেমনি লোপ পায় প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি।

হ্যাঁ, মানুষ হিসেবে এতেও হয়তো ক্ষমতার রাজনীতি ঢুকে পড়ে, দলবদ্ধভাবে হয়তো বাউল/সুফিরাও বিবাদে জড়িয়ে পড়ে কিন্তু ধর্মের সাথে একই মানদন্ডে সেটাকে দেখা অযৌক্তিক। আমাদের উপমহাদেশের ইতিহাসে ক্ষমতার লোভে নিজেদের সুফি/বাউল সাধনা অন্যের উপরে এরকম সাধকরা দলবদ্ধভাবে চাপাতে গিয়েছেন কিংবা এই কারণে অত্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন বলে কোন প্রমান আমার চোখে পড়েনি। তাই এধরনের আশংকা অমূলক। যা আমাদের ভূখন্ডে এতো বছর ধরে হয়নি, সেরকম একটি হাইপথেটিক্যাল সিনারিও কল্পনা করে তারপরে তাদেরকে যাচাই করার পদ্ধতি মনে হয় এখন পর্যন্ত বাস্তবসম্মত নয়।

একতারা হাতে কোন বাউলকে আমি মারামারি করতে দেখিনি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অন্যকেউ এর ছবি

গুরু গুরু

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

মন মাঝি এর ছবি

চলুক

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

- বিক্ষিপ্ত মাত্রা

কৌস্তুভ এর ছবি

ইসলাম, ক্রিশ্চান, হিন্দু ধর্মের হোলিবুকে নানা কারণে অন্যদের প্রাণগ্রহণ জায়েজ। বাউলদের নির্দিষ্ট টেক্সটবই কিছু নেই বটে, কিন্তু তাদের যে সাধারণ ডকট্রিন তাতে সব মারামারি কাটাকাটির আদেশ নেই। সেই অর্থে বাউল ধর্ম ইসলাম-হিন্দু ধর্মের চেয়ে কম উদ্বেগজনক।

তার সাথে এটাও অবশ্যই সত্যি যে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে সব সংখ্যাগুরুই হিংস্র হয়ে উঠতে পারে। তাদের ডকট্রিন কত নিরীহ সেটা তখন আর বিচারে আসে না। এই যেমন বৌদ্ধরা। তখন হয়ত তাদের মধ্যে 'মডারেট' ধর্মবক্তাদের উদ্ভব হবে, সেসব আচরণ কেন 'সহিহ বাউলিয়ানা' নয় তা বোঝাতে। চোখ টিপি

কাজি মামুন এর ছবি

কেন বাউল গানের আসরে এঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, বিবিএ, গণিত, পদার্থবিদ্যা বা যন্ত্রকৌশলে পড়া কোন মুসলমান শিক্ষার্থী হামলা না চালিয়ে শুধু মাদ্রাসার মুসলিম শিক্ষার্থীরাই হামলা করে?

আজ আর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী লাগে না, খাঁটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও কাতারে কাতারে শামিল হয়ে যায়! নর্থ সাউথের নাফিস তো মাদ্রাসার পোলাপাইনের চেয়েও এক কাঠি বাড়া! আজ নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নাফিসগো জন্য আছে ধর্মীয় ইঞ্জিয়ারিং, ধর্মিয় ফিজিক্স, ধর্মিয় মার্কেটিং, ধর্মিয় একাউন্টিং, ধর্মিয় ইকোনোমিক্স, ধর্মিয় ডাক্তারি এবং আরও কত কি! তাইতো নাফিসরা এলেম আর হিম্মতে মাদ্রাসার পোলাপাইনগুলোরেও ছাড়াইয়া যাইতেছে ক্রমশ! মাদ্রাসার পোলাপাইনগুলোর অ্যাকশান যেখানে দেশের ভিতরই সীমাবদ্ধ থাকে, সেখানে সম্ভাবনাময় নাফিসদের পদচারণা আন্তর্জাতিক স্তরে!

খুব প্রাসঙ্গিক এবং আচ্ছা একটা পোস্ট, অন্যকেউ ভাই!

অন্যকেউ এর ছবি

ধন্যবাদ, কাজি মামুন।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অরিত্র এর ছবি

পছন্দ হয়েছে । হাসি

অন্যকেউ এর ছবি

ধন্যবাদ, অরিত্র।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

কুমার এর ছবি

কেন বাউল গানের আসরে এঞ্জিনিয়ারিঙ, ডাক্তারি, বিবিএ, গণিত, পদার্থবিদ্যা বা যন্ত্রকৌশলে পড়া কোনও মুসলমান শিক্ষার্থী হামলা না চালিয়ে শুধু মাদ্রাসার মুসলমান 'শিক্ষার্থী'-রাই হামলা করে?

অন্যকেউ ভাই, অনেক ভালো লিখছেন। আমার এক-দুই পয়সা যোগ করি।
১৯৯৩-২০০৫ এর মধ্যে পাঁচটি বড় জিহাদি হামলার (আমাগো দেশের না) জন্য দায়ী ৭৯ শীর্ষ জিহাদির রেকর্ড থেকে দেখা যায় বেশীর ভাগই যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাট পেরিয়েছে ডিগ্রি নিয়েছে এঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারির।
নাইন-ইলেভেনের জিহাদিদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ছিল। দুই জনের তো পিএইচডি ছিল, আরও দুই জন পিএইচডির ছাত্র ছিল।
লন্ডনের নৈশক্লাবে হামলা বা গ্লাসগো বিমানবন্দরে হামলার (ভন্ডুল) মাস্টারমাইন্ডদের আট জনের মধ্যে ছয় জন ডাক্তার বা ডাক্তারীর ছাত্র ছিল। বাকী এক জন টেকনিশিয়ান, এক জন পিএইচডি।
এই রকম আরও আছে, এখানে, এখানে। রিপোর্ট বলে আগামী প্রজন্মের বেশীর ভাগ জিহাদির (পড়ুন উন্নয়নশীল দেশের) ব্যাকগ্রাউন্ড হবে প্রকৌশল বা ডাক্তারী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক কঠিন বিষয়, যার জন্য প্রয়োজন বাড়তি মেধা।

অন্যকেউ এর ছবি

দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার মাধ্যমে করা একক জঙ্গি হামলা একটা বিষয়; এখানে মেধার দরকার হয়। তাৎক্ষণিক উত্তেজনাকে ব্যবহার করে স্থানীয় মৌলবাদি আক্রমণ চালানো ভিন্ন আরেক বিষয়, যেখানে মেধাশূন্যতা আর সংখ্যাগরিষ্ঠতাই আসল জিনিস হয়ে ওঠে।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

আয়নামতি এর ছবি

এফবিআই কে 'শেইম' বলে হ্যাপায় পড়বো নাকি! যদি তারা সচলে আঁড়ি পেতে থাকে ইয়ে, মানে...
লেখাটা ভালো লেগেছে।

অন্যকেউ এর ছবি

ধন্যবাদ, আয়নামতি।
এফবিআই অত্যেন্ত শেইমের কাজ করেছে। মাসুম বাচ্চাদের সাধ-আহ্লাদে এভাবে ব্যাগড়া দেওয়াটা ঠিক্না!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

সুবীর  এর ছবি

অনেক ভাল হৈসে, অভি। এরকম লেখা আরো চাই। বাংলায় লেখো বাপু!

অন্যকেউ এর ছবি

চেষ্টা জারি থাকবে, গুরু!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

guest writer এর ছবি

কি আর বলব ভাই,আমার বলবার ক্ষমতাও সীমিত।তবুও চারপাশে তাকালে আর কোন আশা খুঁজে পাই না।মানুষ যেন দিন কে দিন ক্রমাগত হিংস্র হয়ে উঠছে।আপনারা যারা বিদেশে গিয়েছেন তারা এক অর্থে মনে হয় বেঁচে গিয়েছেন।(যদিও জানি নগর পুড়িলে দেবালয় এড়ায় না)।দেশে যে কি ভয়ংকর হয়ে উঠছে পরিস্থিতি তা আপনারা দূর থেকেই বুঝতে পারছেন।আর আমরা যারা দেশে আছি তারা যেন ঠিক অগ্নিকুণ্ডের উপর বসে আছি।মানুষ কে নিয়ে এখন আর কোন স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে না।আজ কাল সবাই এত ধর্ম জ্ঞান(!) সম্পন্ন হয়ে উঠছে তা রীতিমতো আতংকদায়ক।
আপনি মাদ্রাসার শিক্ষা কে সামনে নিয়ে এসছেন,সেটার প্রেক্ষিত বুঝতে পারি।তবে ভাই আমার অ্ভিজ্ঞতা যেটা বলে তা হল আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং/মেডিক্যাল/সাধারণ শিক্ষার অন্য সব প্রতিষ্ঠানে কিন্তু এরা কম কিছু নেই।

অন্যকেউ এর ছবি

মাদ্রাসা একটা ইস্যু, একমাত্র নয়। মাদ্রাসা থেকে দূরে থাকা মানুষও পাড়াতো মোল্লা দিয়ে মাদ্রাসায় শেখানো জঙ্গিপনার বীজ বহন করতে শুরু করেছে, এটা আরও আতঙ্কের বিষয়।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

চলুক চলুক
খুব চমৎকার লেখা।

অন্যকেউ এর ছবি

ধন্যবাদ, সাফিনাজ আরজু।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

এভাবে চলতে থাকলে মাদ্রাসার উল্টোপিঠে থাকা ইংলিশ মিডিয়াম থেকেও যে দলে দলে জিহাদি বান্দা বেরুবে না, কে বলতে পারে।

অন্যকেউ এর ছবি

ইংলিশ মিডিয়ামে হিজবুত তাহরীরের বিস্তার নিয়ে কিছু খোঁজখবর করছি। এটা নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

রংতুলি এর ছবি

চলুক এর পর যে আর কি দেখতে হবে, আতংকিত! মন খারাপ

অন্যকেউ এর ছবি

সহমত। মন খারাপ

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে আপনার লেখা। উত্তম জাঝা!

অমি_বন্যা

অন্যকেউ এর ছবি

ধন্যবাদ, অমি_বন্যা।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কাফের খুন হালাল আবার কাফেরদের দেশে গিয়ে শিক্ষাদীক্ষা টাকাকড়ি কামাই করা হালাল। এই সমীকরণ সম্পর্কে তাকওয়া প্রাপ্ত হুজুরগণ কি বলে?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অন্যকেউ এর ছবি

হুযুরগণ এই প্রশ্ন সামনে এলে পরে, প্রশ্নকারীর ক্ষেত্রে ঈমান, এবং প্রশ্নকারিনির ক্ষেত্রে অনৈসলামিক পোশাকের দোহাই তুলে ইসলাম নিয়ে মড়াকান্না জুড়ে দেয়। এদেরকে দেখলে মনে হয়, কাফেরি মিডিয়ামের সাথে ইসলামের কোনও সংঘর্ষ নাই; আছে কেবল মুখের ওপর প্রশ্ন করার সাহস, এবং ইশপিশালি মেয়েদের পোশাক নিয়ে! আর টাকাকড়ি সব অবস্থাতেই হালাল, এসব নিয়ে কুশ্চেন করা মানেই বে-ঈমানি। জিহাদের ফান্ডিঙ বড়ই জরুরি বিষয়রে ভাই!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

যুমার এর ছবি

এভাবে চলতে থাকলে মাদ্রাসার উল্টোপিঠে থাকা ইংলিশ মিডিয়াম থেকেও যে দলে দলে জিহাদি বান্দা বেরুবে না, কে বলতে পারে।

চলুক

রায়হান আবীর এর ছবি

চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

পৃথ্বী  এর ছবি

মাদ্রাসা শিক্ষা উঠায়া দিলে আমরা ইট-পাটকেল হাতে মূর্তি-ভাস্কর্য ডিকন্সট্রাক্ট করার মত স্কলার পাব কোথা!

মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহাসিক গুরুত্ব যাই হোক, বর্তমানে ইসলামিস্ট আন্দোলনের নিমিত্তে ইনফ্যান্ট্রি প্রস্তুত করা ছাড়া এর আর কোন কাজ নাই। জামায়াতের উচ্চ-মধ্যবিত্ত সমর্থকদের মধ্যে কাউকে দেখলাম না যে নিজের সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়িয়েছে, এমনকি জামায়াতের নেতৃবৃন্দের পোলাপানদের মধ্যেও খুব সম্ভবত মাদ্রাসাশিক্ষিত নেই। আরবি পড়তে শেখার জন্য হয়ত হপ্তায় এক-দুইবার ঢু মারে, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য কোনভাবেই তারা মাদ্রাসামুখী হয় না।

অনেকেই এতিম ও গরীব শিক্ষার্থীদের দোহাই দিয়ে মাদ্রাসার পক্ষে সাফাই গায়, কিন্তু আমার প্রশ্ন হল- বোর্ডের কারিকুলাম কি মাদ্রাসার কারিকুলামের চেয়ে বেশি ব্যায়বহুল? মাদ্রাসাগুলাকে স্কুলে রুপান্তর করার ক্ষেত্রে কি কোন আর্থিক বাধা আছে?

অন্যকেউ এর ছবি

অনেকেই এতিম ও গরীব শিক্ষার্থীদের দোহাই দিয়ে মাদ্রাসার পক্ষে সাফাই গায়

এই অজুহাতটাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে দেখি! আপনার সাথে একমত; বোর্ডের কারিকুলাম কি মাদ্রাসার কারিকুলামের চেয়ে বেশি ব্যায়বহুল?

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

এবং আমরা যদি কিছু বলতে যাই, তাহলে এরা লুকোবে ইসলামের পেছনে। রিপিট, ইসলামের পেছনে গিয়ে লুকোবে।

অসাধারণ! চলুক

- বিক্ষিপ্ত মাত্রা

অন্যকেউ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- , বিক্ষিপ্ত মাত্রা।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

দময়ন্তী এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অন্যকেউ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

লালন ভাস্কর্য ভেঙেই তো ক্ষান্ত হয়নি ধর্মান্ধ গোষ্ঠী, বলাকাও তো ভাঙতে গিয়েছিলো। আমি খুব আশা করেছিলাম, এগুলারে ধরে পাছার কাপড় তুলে সেখানে চিকন পেয়ারা গাছের ডাল দিয়ে শপাং শপাং কয়েকটা বাড়ি মারলেই এদের ধর্মের ভূত বাপ বাপ করে পালাতো।

অন্যকেউ এর ছবি

বাড়ি মারার সোল এজেন্সি যেই দলটা নিয়ে রেখেছে বলে দাবি করে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদেরকেই দেখি এদেরকে সামলে রেখে সাধারণ অরাজনৈতিক মানুষজনকে পেটাচ্ছে। বাইরের অবস্থাও তথৈবচ। দু-পাঁচজন মোল্লার কথার ওপর নির্ভর করে পুরো জনগোষ্ঠীর মালিকানায় থাকা একটা ভাস্কর্যের নিরাপত্তা!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সমস্যা মডারেট ধার্মিকদের নিয়া। এরা উগ্রবাদীদের কিছু বলবেওনা, আর ঘটনা ঘটার পরে ইহা সহীহ ইসলাম নহে বইলা নিজেরে সান্তনা দেয় এবং আশেপাশের সবাইরে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের আবার এইটা বলা যায় না, বললেই মডারেট কেমোফ্লেজ মুছে গিয়ে আসল সহীহ রুপটা বের হয়ে আসে।

সচল-পলাশ

অন্যকেউ এর ছবি

পুরোই সহমত।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।