শাহ আব্দুল হান্নানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া ২

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ৩১/১০/২০০৭ - ৭:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিতর্কের সূচনা থেকে অনেকটা পথ পার হয়ে এসেছি আসলে, সাধারন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলো যারা ১৯৭১এর ২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বও পর্যন্ত বাংলাতেশে কর্মরত ছিলো এবং যারা পাকিস্তানে পালিয়ে যায় নি তাদের সবাইকেই নবগঠিত নাংলাদেশ সিভিল প্রশাসনে আত্তীকরণ করা হবে।
সম্ভবত একটা প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছিলো- সেখানে সবাইকেই স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে যোগদানের অনুরোধ জানানো হয়।

পুর্বতন কর্মচারীদেও কাউকে বিশেষ কারণ দর্শিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছিলো কি না এটা চানা যায় নি তবে মুক্তিযুদ্ধ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে স্বায়তœ শাসিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনেককে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। তাই আমার অনুমান অন্তত বেশ কয়েকজন অত্যুৎসাহী পাকিস্তানের অপরিহার্যতায় বিশ্বাসী এবং পাকিস্তানী বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করা কর্মকর্তাকে কারান্তরীণ করা হয়- তবে আসন্ন পরাজয়ের চিহ্ণ দেখে কেউ কেউ তখন পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনীর ঘোরতর বিরোধিতা করেছে। সূর্যের চেয়ে বালি গরম এসব কর্মকর্তা পার পেয়ে গিছেন অনায়াসে।

বিতর্কেও সূচনা হয়েছিলো বিশিষ্ট রাজাকার মুজাহিদেও দেওয়া বক্তব্যেও রেশ ধরে। বাংলাদেশে কখনই কোনো যুদ্ধাপরাধী ছিলো না। পাকিস্তানের ১৯৫ জন সৈন্যতে নানাবিধ যুদ্ধাপরাধের দায়ে ভারতীয় সেনাদেও হাতে তুলে দেওয়ার পরে দেশ যুদ্ধাপরাধীমুক্ত হয়ে যায়।

তবে ড. ডেভিসের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হচ্ছে তখন দলে দলে মানুষ কারাগাওে আশ্রয় গ্রহন করছে এবং দেশের জেলখানাগুলোতে আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এমন কি পুনর্গঠনের কাজ চলাকালীন সময়ে তারা কি রকম বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং কি রকম অসাস্থ্যকর ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় তাদেও কাজ করতে হচ্ছে এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেও ুে কেউ তাদের সাহায্যের বদলে বিরোধিতা করছে এমন তথ্যও আছে।

ধারনক্ষমতার ক্ষমতার অনেক বেশী লোক নিরাপত্তার লোভে জেলে থাকা বেছে নিয়েছিলো তাদেও সংখ্যা আনুমানিক লক্ষাধিক। তবে দালাল আইন কার্যকরী হৗয়ার পরে জামিন অযোগ্য এই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে আপরাধের দায়ে ৩৭ হাজারের অধিক লোককে অভিযুক্ত করা হয়েছিলো। সাধারণ ক্ষমা ঘোষিত হওয়ার পওে কারান্তরীণ ছিলো প্রায় ১১ হাজার মানুষ। অসমাপ্ত বিচাওে অন্তত ৫০০ জনের মতো যুদ্ধাপরাধীর অস্তিতের কথা জানা গিয়েছে এদের অধিকাংশই ছোটো ড়র্যায়ের যুদ্ধাপরাধী যাদেও অনেকেরই ৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদে শাস্তি হয়েছিলো।

শাহ মোহাম্মদ হান্নানের বক্তব্যের ভারতবিরোধী উপাদানের ব্যবহার ছিলো করুণতর। তার বক্তব্য অনুসারে ভারতের সহায়তায় পাকিস্তান ভাগের বিরুদ্ধে ছিলো অনেকেই। ২৬শে মার্চ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এবং শেখ মুজিবকে দেশদ্রোহী ঘোষনা করে দেওয়া ইয়াহিয়ার বক্তব্য এবং ক্রাকডাউনের যৌক্তিকতা প্রমাণের চেষ্টায় অধিকাংশ বাঙ্গালীর বিশ্বাস ছিলো না। বরং তারা প্রতিরোধ করেছে, সারা দেশের অসংখ্য জেলা শহরে গণহত্যা শুরু করবার কয়েক ঘন্টা পরে এই ভাষন প্রচারিত হয়। এবং একই সাথে ব্যপক লুটপাটের ঘটনাও ঘটে- অগ্নি সংযোগ ও নৃশংস হত্যার অপরাধে শুধু সেনাবাহিনীই জড়িত ছিলো এমনটা আমার বিশ্বাস হয় না।

মোটামুটি ভারতে এবং দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে চলা মানুষ এবং পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে আবার শহরে ফিরে কর্মজীবন শুরু করতে চাওয়া মানুষের ঢল থাকলেও এসব নিরস্ত্র মানুষের উপরে হামলা বন্ধ ছিলো না। মে মাস নাগাদ অন্তত ৭০ লক্ষ শরণার্থী আশ্রয় নেয় ভারতে।

এ সময়ে মানে মে মাসের শেষ থেকে বাংলাদেশের অধিকাংশ শহর ছিলো পাকিস্তানী সেনাদের দখলে। এই সময়েই স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী, ধনাঢ্য হিন্দু পরিবারের সদস্যদের এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থে তালিকাভুক্ত করে পাঠানো হচ্ছে মিলিটারি গোয়েন্দা দপ্তরে এবং সেনাবাহিনীতে পথ দেখিয়ে ইপ্সিত গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবং নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মরিয়া মানুষ একে একে সীমান্ত পেরুচ্ছে।

ভারত বাংলাদেশের শরনার্থীদেও বিষয়ে সহৃদয় এবং সহানুভুতিশীল হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানের সাথে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে লিপ্ত হয় নি। এমন কি বিভিন্ন সময়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের আলোচনায় ইতিকর্তব্য নির্ধারণী সভায় শরনার্থী বিষয়টা আলোচিত হলেও মূল লক্ষ্য ছিলো আপাতত শরনার্থীদেও আবাস এবং গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা করা। এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের কিংবা বিভিন্ন রাজ্যেও অনেকেই শরনার্থীদেও সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছিলেন।

যদিও সে সময় পাকিস্তানের বিভিন্ন পত্রিকাতে স্পষ্ট অভিযোগ ছিলো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এসে অভিযান পরিচালনা করছে তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা দপ্তর সতর্কাবস্থায় থাকলেও কোনো রকম আগ্রাসনের সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী ছিলো। ভারত পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করলেও নিজেরা আগ্রাসি ভুমিকায় ছিলো না। পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে নি।

ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করলেও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ভেতরে মৃদু গোলাগুলি হলেও সেটা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ গ্রহন করে নি। তবে স্পষ্ট যুদ্ধের ঘোষনা এসেছে ডিসেম্বরের প্রথমে। সর্বাতবক প্রস্তুতি থাকলেও এবং সতর্কতা থাকলেও ভারতীয় সহায়তা শরনার্থীদের সহায়তার নানা তৎপরতা এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদেও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষন দেওয়ার ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিলো।

ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনের জন্য ইউরোপে ভ্রমন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রেও পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে দাবী জানিয়েছেন। এবং তার বক্তর্ব অনুসারে বর্হিবিশ্বে পাকিস্তান যদিও এটাই প্রচারের চেষ্টা করছে যে এটা পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি একটি গৃহযুদ্ধ এবং পাকিস্তান আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্পষ্ট জানাতে চাইছে যে এখানে তারা যেনো কোনো রকম হস্তক্ষেপ না কওে তবে পুর্ব পাকিস্তানে যা হচ্ছে তা হলো নির্বিচার গণহত্যা এবং সেখানে নিরস্ত্র মানুষের উপওে ঝাপিয়ে পড়েছে প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী। এবং শরনার্থী শিবির প্রতিদিন ভরে উঠছে উদ্বাস্তু মানুষের ভীড়ে। ভারতের একার পক্ষে বেশীদিন তাদেও সহায়তা করা সম্ভব না।

আদতে পুর্ব পাকিস্তানের মানুষেরা স্বাধীনতার লড়াই করছে। এটা পুর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার আন্দোলন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রেও ভিত রচিত হয়েছে ২৬ শে মার্চ এবং একদিন না একদিন সেখানে স্বাধীনতার পতাকা উড়বেই। ১৯৭১এর ১০ই এপ্রিল প্রবাসী সরকারের শপথ গ্রহন শেষ হওয়ার পরপরই তারা কোলকাতায় বাংলাদেশের দুতাবাস স্থাপন কওে এবং ভারত সে রাষ্ট্রতে স্বীকৃতি দেয়।

এবং এর পরপরই বাংলাদেশ দুতাবাসের কর্মীরা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সহাযতা চেয়ে দুত প্রেরণ করে। এবং ১৯৭১এর জুন মাসের ভেতরেই অন্তত বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জেনে যায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বরতার ইতিহাস। এবং সেই সাথে তারা এটাও জানতে পারে বাংলাদেশ নামের নতুন এক দেশের জন্য প্রত্যক্ষ সংগ্রামে লিপ্ত বাংলাদেশের জনগণ।
ভারত প্রত্যক্ষ যুদ্ধে জড়ায় যখন ভারতের অভ্যন্তরে সরাসরি হামলা চালায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং মাত্র ১০ থেকে ১২ দিনের ভেতরে পাকিস্তান বাহিনীর পতন ঘটে বাংলাদেশে এবং পাকিস্তান পশ্চিম রণাঙ্গনে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। সিমলা চুক্তি অনুসারে যে ১৯৫ জন যুদ্ধবন্দীতে ভারতের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয় তারা ক্ষণস্থায়ী এই যুদ্ধের যুদ্ধাপরাধী। এবং আটককৃত ৯৩ হাজার সেনাবাহিনী যারা অরোরার কাছে আত্মসমর্পন দলিলে সই করে ।

তবে এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে ১৯৭১এর জুন থেকেই সারা বিশ্ব জানতো যে পুর্বপাকিস্তানের জনগণ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে লড়ই করছে একটি স্বাধীন মাতৃভুমির জন্য।

প্রশ্ন হলো এই বাস্তবতা এবং এই ঐতিহাসিক সত্য শাহ মোহাম্মদ হান্নান এবং জামাতে ইসলামী অবগত কি না এবং তারা এটাকে বিশ্বাস করে কি না। তারা এটা মেনে নিতে না চাইলেও এটা বাস্তবতা যে ১৯৭১এর ২৬শে মার্চই স্বাধীন বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করেছে। জিযাউর রহমান পরবর্তীতে বিতর্কিত ভুমিকা নিলেও মুজিবের বরাতে এই স্বাধীনতার ঘোষণাই পাঠ করেছেন।

যদি জামাত কিংবা তার নেতৃবৃন্দেরা এটা মেনে না নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকে এবং যদি তারা বাংলাদেশের ভুমিতে থেকে এর জন্ম এবং অস্তিত্বের মূল সুর কে অস্বীকার কর তবে তাদের সকল নেতৃস্থানীয় মানুষকে এবং যারা এই দলের রাজনৈতিক পরামর্শ দাতা তাদেও সবাইকেই রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষনা করে জামিন অযোগ্য এই মামলায় অভিযুক্ত করে রাষ্ট্রবিরোধি কর্মকান্ডে লিপ্ত বিবেচনা করে কারাগারে প্রেরণ করা হোক। অনেক মানুষ বর্তমানে কারারুদ্ধ যারা তেমন কোনো অপরাধ করেন নিজ দেশকে ভালোবাসা ছাড়া।. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সেনা বাহিনীর বিরোধিতা করে কারাগারে বন্দী।

এমনটা সংবিধানে লিখিত আছে বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য রচিত এই সংবিধান এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিককে এর মুল ধারায় বিশ্বাস করতে হবে। সংবিধানের সূচনায় বলা আছে এই রাষ্ট্রেও জন্ম হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। সুতরাং বাংলাদেশের সকল নাগরিক এটা মেনে চলবে এবং বিশ্বাস করবে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে এবং প্রবাসী সরকারের অস্তিত্ব ছিলো। যারা এসব বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার অধিকার কি তার থাকে?

হান্নানের বক্তব্য মেনে নিলে বলতে হবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটা ১৯৭১এর ১৬ই ডিসেম্বর অস্তিত্ববান হয়। তবে ১০ই এপ্রিল থেকেই এই স্কাধীনতা পক্ষের শক্তি, মুক্তিযোদ্ধা এবং পাকিস্তানী সেনাবহিনীর দোসর সংজ্ঞাগুলো স্পষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং গৃহযুদ্ধ এবং রাজনৈতিক সংঘাত এবং এই সংঘাতে উভয় পক্ষেই বাঙ্গালী অংশগ্রহন করেছে বলে ৭১এ যুদ্ধ বিরোধিতার দায় এড়ানো সম্ভব নয়। ঠান্ডা মাথায় নির্বিচার গনহত্যা এবং এটাকে সহায়তা দানের জন্য বিকল্প রাজাকার বাহিনী গঠন এবং একই সাথে আল বদর, আল শামস বাহিনী গঠন ঠিত কোন রাজনৈতিক সংঘাতের ইংগিত বহন করে। ১৯৭০এর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও আওয়ামি লীগ মন্ত্রীসভা গঠন করতে পারে নি পিপিপির বিরোধিতায়, আরও স্পষ্ট করে বললে পিপিপি প্রধান ভুট্টোর কারণে। এবং যদি এ কারণে একটা রাজনৈতিক সংঘাত হতো তবে এটা হতে পারতো আওয়ামী লীগ এবং পিপিপি সমর্থকদের ভেতরে। তবে আল বদর আল শামস এবং রাজাকার বাহিনী পিপিপির কোনো সশস্ত্র অঙ্গসংগঠন নয়। যদি এমনটা ঘটতো ইতিহাসে যে পিপিপির সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে আওযামী লীগের সমর্থকদের সাথে পিপিপির সংঘাত রক্তক্ষয়ী রুপ গ্রহন করে এবং উভয় পক্ষই অস্ত্র ধারণ করে এবং এই সংঘাতের পরিনতিতে নাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রেও জন্ম হয় তবে আলোচনার খাতিরে হয়তো গৃহযুদ্ধেও তকমা লাগানো যেতো।

তবে ঐতিহাসিক বাস্তবতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ এর নির্বচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় স্বাধীকার প্রশ্নে অনড় মনোভাবের জন্য। সযতরাং স্বাধীকারের প্রশ্নে কোনো আপোষের সম্ভবনা ছিলো না। এবং এই একই উদ্দেশ্য পুরণেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় ২৫শে মার্চেও রাতের সামগ্রীক গণহত্যার পরে।
তবে এনেক রকম বিরোধের উপাদান এবং অনেক রকম আভ্যন্তরীন অনৈক্যের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত হান্নান এটা বলতে ব্যর্থ আদতে কোন কোন পত্রিকা এটাকে গৃহযুদ্ধ হিসেবে চিহ্ণিত করে গেছে ১৯৭১এর পুরোটা সময় ধরে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথমে পিিকস্তানের প্রচারনায় গৃহযুদ্ধ তকমাটার পরে যখন প্রবাসী সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা মুক্তিযুদ্ধেও সমর্থনের জন্য বিভিন্ন দেশে দুত পাঠিয়েছে তখন থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ।

কবে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো ৭১এর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হান্নান যখন বলে সে সময় দেশে বিহারী মারা গিয়েছে, বাঙ্গালী মারা গিয়েছে হিন্দু মারা গিয়েছে মুসলীম মারা গিয়েছে, আর উভয় পক্ষেই ছিলো মুলত বাংলা ভাষাভাষি তখন নিজের অগোচরে একটা বিষয়ের সত্যতা মেনে নিয়েছেন ১৯৭১ এসেছিলো বাংলাদেশে বাঙ্গালীর জাতীয় ইতিহাসে এবং এখানে ভাষার প্রশ্ন একটা গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করেছে, যদিও মুক্তিযুদ্ধে নিহত মানুষের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধের অভাব লক্ষ্য করেছি পুরোটা সময় তবে পরাজিতেরা বিজয়ীকে ঘৃনা করে এবং প্রতিশোধের উপলক্ষ খুঁজে কথাটা উপলব্ধি করেছি সম্পুর্ন সময়।


মন্তব্য

অপ বাক এর ছবি

বিজয়ের র'গুলো কোনো এক আশ্চর্য কারণে ও হয়ে যায়, এমনকি বার বার ঠিক করবার পরেও এই ঘটনা ঘটে কেনো?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হয় এম এস ওয়ার্ডে টাইপ করলেই এমন হয়। ওয়ার্ডে এমন হলে 'অটোকারেক্ট' ফিচারটি ডিজাবল করে দিলেই সমাধান হবে। (এই মুহূর্তে আমার ওয়ার্ড নেই, তবে যতটা মনে পড়ে-- টুলস মেনুর ভেতরে অটোকারেক্ট নামে একটি অপশনে গিয়ে এটা করা যাবে)

আর সবচে ভাল হয় বিজয় ফেলে দিয়ে অভ্র নিয়ে ইউনিজয় কী-বোর্ড দিয়ে টাইপ করলে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

হিমু এর ছবি

হান্নু ১৯৭১ সালে কোথায় ছিলো, কী করছিলো?


হাঁটুপানির জলদস্যু

আড্ডাবাজ এর ছবি

হুম, তবে এখন থাকে এখানে, এটা হলো হান্নানের ওয়েবসাইট। ইয়াহু গ্রুপগুলোতে খুব মায়াকান্না দিচ্ছে হান্নু মিয়া তার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছে ইটিভি একতরফা বক্তব্য দিয়ে। হান্নু মিয়াদের ওয়েবভিত্তিক কর্মকান্ড মনিটর করা খুব দরকার। আজকে লন্ডন থেকে আরেক পিচ্চি রাজাকারের লেখা পড়লাম, যুদ্ধাপরাধ আর রাজাকার ইস্যু নিয়ে নাড়ানাড়ি করে দেশকে ভাগ না করার জন্য। তো রাজাকারের বাচ্চারা পিয়ারা পাকিস্তানে গিয়া করাচীর মোহাজির ক্যাম্পে গোলামীর কাম করলেই তো পারে।

আড্ডাবাজ এর ছবি

এই লেখাটাকে বেইজ করে সব তথ্য এখানে জমাচ্ছি। ইয়াহু গ্রুপগুলোতেও হান্নানকে ধরার পর সে ধরাশায়ী। তারই একটু স্যাম্পল। ভাল না লাগলে মুছে দেয়ার অনুরোধ রইল:
Mr. S.A Hannan, have some shame and confess !

WRT: http://groups. yahoo.com/ group/khabor/ message/5917

Mr. S.A Hannan

Naujobillah !!!

Why don't you confess and describe your true role in 1971 in details?

Be honest and tell us: Did you support Mukti-Bahini or the Occupation
Army in 1971?

Tell us how did you try to save your beloved Islamic Republic of Pakistan
in 1971 by helping the Occupation Army?
Which camp did you belong in your self-described "Civil War ?"

Most Bangladeshi's inside helped the MuktiJoddhas in whatsoever way
they could.

What did you do? Did you help the Rajaker, Albodor and Alshams and
Jamaati politicians in Chittogong with all your dedications ....?

What was your state of mind on the night of 16th December 1971 after
your Pak Army surrendered? Did you cry? Did you help the fleeing
collaborators to hide?

Did you or your Jamaati buddies ever performed a Tauba ceremony for
misdeeds in 1971 and collaboration with Occupation Army?

Don't try to hide your true color. You are just one of those motivated persons
in action with henious motives to help Jamaat and other religion-traders!

Don't you feel any guilt, moral turpitude or shame for you henious misdeeds?

Syed Aslam

----- Original Message -----
From: S A Hannan
To: mukto-mona@yahoogro ups.com
Cc: political_analysts@ yahoogroups. com
Sent: Wednesday, October 31, 2007 11:06 PM
Subject: [political_analysts ] Re: [mukto-mona] Interview of S A Hannan [Bangla]

Respected members,

Assalamu Alaikum.I do not remember anything about what Mr. Hassan says.It is unfortunate that he is making these comments after 36 years when I being harassed by motivated quartres.This is not called moral behaviour or chivalry.

In any event, I was a young and junior officer at that time in Chittagong I do not know what I told my father in law or what he told his friend..

Shah Abdul Hannan.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।