মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: সোম, ২৮/০৭/২০০৮ - ১০:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পত্রিকার পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন। বিষয়টি নিয়ে দেখি সব পত্রিকার পাঠকই বিরক্তি প্রকাশ করেন। এই মাসখানেক আগে আমাদের সময় পত্রিকা ফ্রন্ট পেজের পুরোটাই বিজ্ঞাপনের জন্য বরাদ্দ দিয়ে বেশ বিতর্ক বাঁধিয়েছিল। সবাই মনে করেন, বর্তমানে কর্পোরেট বাণিজ্যে এসে পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপন নির্ভর হয়েছে। আগে এমনটি ছিল না। কিন্তু এখন দেখছি, আগেও পত্রিকা জুড়ে বিজ্ঞাপনের এমন বাহার ছিল। তবে এখন যেমন টেলিকমের বিজ্ঞাপনে পত্রিকার মুখ ঢেকে যায়, তখন যেত সিনেমার বিজ্ঞাপনে। আজকে পুরানো দিনের পত্রিকাগুলো ঘেঁটে আমার এমনই মনে হয়েছে।

ঘটনাটা একটু বলিই।

এসএমসি'র পিচ হবে। আগামীকালই সাবমিট। কর্পোরেট ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ওদের ৩৫ বছরের অ্যাচিভমেন্ট দেখাতে হবে। ভবিষ্যতে কি করতে চায়, তাও। তো তাদের অ্যাচিভমেন্ট হলো রাজা, মায়া, ম্যাজেস্টিক, প্যান্থার, ওরস্যালাইন দিয়ে ওরা যে বাংলাদেশে ফ্যামিলি হেলথে অবদান রেখেছে-এইসব আর কি। ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করতে করতে হঠাত্-ই ওদের পুরানো দিনের সেইসব অ্যাডের (শিশুর হাসি মায়ের খুশি এনেছে ওরস্যালাইন জাতীয় অ্যাড) দরকার পড়ল। কই পাওয়া যায় সেই ৮৫-৮৬ সালের দিকের প্রেস অ্যাড। বাতলে দিলাম, আমাদের ঢাকা ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরির আর্কাইভেই তো পুরানো পত্রিকা আছে, সেখানেই পাওয়া যাবে। দৌড়াও এবার। দায়িত্ব পড়ল এই অধমেরই কাঁধে। তবে আমার সঙ্গী অবশ্য করে নিলাম , মূর্তালা রামাতকে (বেচারা মূর্তালা, সচলে ক্রসফায়ার নিয়ে লেখা লিখতেছিল, বসের নির্দেশ পেয়ে আমার সাথে চললো)।

সেই ৮০ দশকের পত্রিকা হাতড়াচ্ছি। ইত্তেফাক পত্রিকা। কিন্তু আমাদের রাজা, মায়া, ম্যাজেস্টিক, ওরস্যালাইনের বিজ্ঞাপন কই। বিজ্ঞাপন সব তো সিনেমার। মহানগর, বসুন্ধরা, কারণ, ভেজাচোখ, প্রাণ সজনী, সওদাগর, গুনাহগার, দহন, চ্যালেঞ্জ, পেনশন, ভাত দে আরও কত যে সিনেমা। সবগুলোর নাম মনে নাই। (অবশ্য মনে রাখার মতো ব্রেনও নাই। ) যদিও এতো এতো সিনেমার মাঝে আমাদের দরকারী বিজ্ঞাপনগুলো পেয়েছিলাম। ঝটপট ছবি তুলে নিয়ে দে দৌড়।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক (বাইরে) এর ছবি

লেখাটা অসম্পূর্ণ মনে হলো।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দৌড়ের ওপর লেখা রে ভাই। নিজ গুণে ক্ষমা করে দিয়েন।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

৮৫-৮৬ সালের দিকে আমি খালি ইত্তেফাক পত্রিকাটাকেই পত্রিকার মর্যদা দিতাম
কারণ এটানে সিনেমার বিজ্ঞাপন থাকতো
আর বিষুদবার শুক্রবারের ইত্তেফাকতো...
আহারে...

তানবীরা এর ছবি

আমিও লীলেন ভাই। সিনেমা দেখতে নিয়ে যাওয়ারতো কেউ ছিল না শুধু বিজ্ঞাপন গুলো দেখাই ছিল, কোকের স্বাদ লেবুর শরবতে মিটানো।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আহারে!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সেই ৮৫-৮৬ সালে আমার অক্ষরজ্ঞান হলেও তা পেপার পড়ার মতো ছিল না লীলেন ভাই। কাজেই সেই সময়ের ইত্তেফাকের মর্যাদা বুঝবার পারি না।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আজকাল আসলেই মনে হয় 'বিজ্ঞাপনের সৌজন্যে' কোন খবর ছাপা হয়েছে! পত্রিকায় তো পড়ার মত খবর খুবই কম, খালি বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

'বিজ্ঞাপনের সৌজন্যে' কোন খবর ছাপা

ভালোই বলেছেন।

নিরিবিলি এর ছবি

আসেন বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি সংবাদ পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলি।:)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ছুম্মা আমিন!

রণদীপম বসু এর ছবি

এজন্যেই কি কবি শঙ্খ ঘোষ বাংলাদেশ ঘুরে গিয়ে তার বিখ্যাত কবিতাটার পঙক্তি বেছে নিয়েছিলেন- 'মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপণে' ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পলাশ দত্ত এর ছবি

রণদীপম,
যদিও আপনি আপনার কথাটি শেষ পর্যন্ত প্রশ্নের আকারেই রেখেছেন; তবু;
শঙ্খের ‌'মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে' কবিতাটি কি আসলেই বাংলাদেশ ঘুরে গিয়ে লেখা? এ তথ্যটা আমার জানা ছিলো না। বিষয়টা একটু নিশ্চিত যদি করেন তাহলে উপকার হয়।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

পলাশ দত্ত এর ছবি

রণদীপম,
আপনার মন্তব্যটা যদিও প্রশ্নের আকারে আছ; তবু; আসলেই কি শঙ্খের কবিতাটা বাংলাদেশ দেখে লেখা? এই তথ্যটা আমার জানা ছিলো না। বিষয়টা একটু নিশ্চিত করতে পারলে আমার উপকার হয়।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কী জানি!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শুরুটা পড়ে এমন আয়েশ করে বসলাম আর শেষ হয়ে গেল! ফেরার পরের অংশটুকু পোস্টান! এই রকম একটা পোস্টের অপেক্ষা অনেক দিনের!!


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ইশতি ভাই, এবারের মতো মাফ করে দ্যান। দৌড়ের উপর পোস্টাইছি তো।

শেখ জলিল এর ছবি

মহানগর, বসুন্ধরা, কারণ, ভেজাচোখ, প্রাণ সজনী, সওদাগর, গুনাহগার, দহন, চ্যালেঞ্জ, পেনশন, ভাত দে আরও কত যে সিনেমা। ...পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। আহারে, কতো যে সিনেমা দেখেছি!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

জলিল ভাই, স্কুল পালিয়ে দেখেনি তো?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আরো ছিল....লড়াকু, আমিই ওস্তাদ, শশী-পুন্নু......



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

মূর্তালা রামাত এর ছবি

লেখাটা হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেলো!!!!!!!

মূর্তালা রামাত

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাঁ ব্রুটাস, তুমিও!

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমার মনে আছে পত্রিকার মাঝে কচিকাচার আসর নামে কয়েক পাতা থাকত, ছড়া, ছোট গল্প এসব ওটা অনেক পড়তাম হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আপনি তো পিচ্চিবেলা থেকে বিদেশে, তো সে সময়ের ইত্তেফাক কেমনে পড়লেন।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ইত্তেফাক দিয়েই পেপার পড়া শেখা।
কচি কাঁচার আসরে নাম লেখানো।
কূয়াশা ছবির এ্যাড দেখে স্পীডেবোট দেখার জন্য ছবিটা দেখতে চাইছিলাম।বয়স এলাও করেনি।
বহু বহু বছর একনাগারে টারজান পড়ছি এই ইত্তেফাকেই।
তখন সাহিত্য পাতার নাম ছিল রবিবাসরীয় আসর।এইটাও ঐখানেই শুরু।
শাবানা -ববিতার মাঝে ববিতাকেই ভাল লাগতো।তবে সিনেমা দেখে নয়, ইত্তেফাকে এ্যাড দেখে।অন্জু-রোজিনার রুপ সম্পর্কে যত জ্ঞান তাও এই ইত্তেফাক দেখেই।

হায় ইত্তেফাক!

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

টুটুল ভাই, রবিবাসরীয় পাতা দেখেছি, ওইটা সাহিত্য পাতা ছিল, তাই না। অনেক প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকদের লেখা দেখেছি ওই পাতায়।

রায়হান আবীর এর ছবি

হাসি

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।