নতুন দিনের ব্লগ সাহিত্য, একটি অভিমত

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৭/২০০৮ - ১০:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথমেই আমি আমার ব্যক্তিগত ধারণাটি বলে নিই। আমার ধারণা, ব্লগ বর্তমানে আমাদের ভুবনে নতুন বিষয় হলেও আগামী দিনে এটাই লেখালেখির (সাহিত্যচর্চার) বড়ো একটি মাধ্যম হয়ে উঠবে। নতুন ব্লগভিত্তিক সাহিত্যিকগোষ্ঠীর পাশাপাশি মুলধারার লেখকরাও ব্লগ সাহিত্যে আসবেন (এখনই কি আসছেন না?)। নিয়মিত লিখবেন। আর এজন্যই ব্লগের পাঠকদের মেজাজ মর্জির খোঁজখবর রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। এটা বরং যারা আগামী দিনে ব্লগ নির্ভর সাহিত্য করবেন, তাদের কাজে দেবে। আমার এই ধারণাটি অনেকের কাছে হয়তো মার্কেটিং-এর মতো লাগতে পারে। যেন কোনো প্রোডাক্ট নামানোর আগে ভোক্তার চাহিদাকে একটু যাচাই করে নেয়া। যাতে প্রোডাক্ট চলে, জনপ্রিয়তা পায়। আর তাই এখানে এসে অনেকে সাহিত্যে জনপ্রিয়তার ধারার একটু গন্ধ পেতে পারেন। আবার এও প্রশ্ন আসতে পারে, একজন ব্লগার কেনইবা ব্লগ পাঠকের মেজাজ মর্জি জেনে সেভাবে লেখা তৈরি করবেন। এসব কিছুই আমার বিবেচনায় আছে। তবুও আমি চাই, ব্লগের পাঠকরা কেমন, তাদের প্রত্যাশার চৌহদ্দি, তাদের চিন্তার জগত্, মুলধারার পাঠকদের থেকে তাদের ভিন্নতা- এসবেরই হদিস একটু জেনে নিতে। এই হদিস জেনে নিতে পারায় আসলে কোনো লাভ আছে কী'না আমি তা জানি না। তবে আমার মনে হয়েছিল, আমার ব্লগের পাঠক কারা, তাদের চিন্তার চৌহদ্দির সাথে আমার মিল কতটুকু, এটা জেনে নিতে পারা আমার জন্যই যেন মঙ্গলকর। আর এ থেকে এই বিষয়ে অবতারনা।

আমার আরো একটা ধারণাও সবার সাথে শেয়ার করি। ব্লগের পাঠকরা বেশিরভাগই ব্যস্ত মানুষ। এদের বেশিরভাগই অফিসে কাজের ভিড়েই ব্লগ চর্চা করেন, পড়েন, মন্তব্যও দেন। তারা তাই খুব বড়ো লেখা তেমন একটা পড়ার সুযোগ করে উঠতে পারেন না। লেখা শুধু স্ক্রল করে দেখে নেন। এ কারণেই দেখা যায়, ছোট কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত ব্লগগুলোই পাঠক প্রিয় হয়েছে (তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)। ব্লগে যারা লেখালেখি করেন, তাদের এ রকম অন্যান্য তথ্য জানা থাকলে, লেখালেখি করার জন্য একটু সুবিধা হয় বৈকি। অন্যদের কী ধারণা তা আমি জানি না, তবে নানা আনুষঙ্গিক তথ্য জানা থাকলে আমার জন্য সুবিধাই হয়। শুধু এইটুকু কারণে বিষয়টি সবার সামনে হাজির করা।


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আবারো খুব ভাল একটা ভূমিকা লিখে ছেড়ে দিলেন। আয়েশ করে লেখাটার মধ্যে ঢুকতে ঢুকতেই শেষ!! (ঐ যে কান দিয়ে ফোঁসফাঁস ধোঁয়া বের হয়, ঐ ইমোটিকনটা কীভাবে যেন দেয়?)

এই পাঠক কিন্তু গোস্বার দ্বারপ্রান্তে!


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

পাঠক গোম্বা করলে লেখকের জন্য তো খুবই খারাপ খবর। কি করবো বলেন? লাঞ্চ পিরিয়ডের মধ্যেই রাঁধুনী সরিষার তেলের জন্য একটি বিজ্ঞাপনের গল্প বের করতে হবে। সেইটা নিয়েই এখন ভাবতে হইতেছে। আগে তো পেটের ভাত জুটানো! তারপর না ব্লগ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উহু, এসবে ভুলছি না। প্রয়োজনে সকালের চায়ের সাথে শুরু করবেন, বিকেলের চায়ের সাথে শেষ করবেন।

ব্লগ আর অন্য সাহিত্যের মধ্যে তফাৎ নিয়ে ভাবছি অনেক দিন ধরেই। সেজন্যই লেখাটা ধুম করে শেষ হওয়ায় এত গোস্বা।

আপনার বুদ্ধিদীপ্ত, স্বল্পদৈর্ঘ্য পোস্টের কথাটার সাথে পুরোপুরি একমত।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধৈর্য নেই রে ভাই, কিছু একটা মনে এলেই দুম করে লিখে ফেলি, সাত পাঁচ তেমন একটা ভাবিও না। এটা আমার স্বভাব। কেমনে এটা ছাড়ি।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

একদম একমত। এটা একবারেই অনুচিত।

মূর্তালা রামাত

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কোনটা অনুচিত মূর্তালা।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

দ্বিমত।

ব্লগ-কে ব্লগের মত থাকতে দিলেই ভালো। যারা ব্লগের মাধ্যমে নাম কামাতে চান, ব্লগের লেজ ধরে সাহিত্যিক হতে চান, বা খ্যাতি-ট্যাতি নিয়ে চিন্তিত, তাদের নিয়ে বেশী কিছু বলার নেই। তবে আশা করবো ব্লগে তারাই সংখ্যালঘিষ্ঠ।

ইন্টারেস্টিং কিছু বলার থাকলে পাঠক এমনিতেই পড়বে, মন্তব্য দিবে। আলাদা করে মার্কেটিং তারাই করবে, যাদের নজর মার্কেট শেয়ারের দিকে বেশী।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ব্লগ ব্লগের মতোই থাকবে। তবে সময়ের হাত ধরে তার যে পাখা গজাবে না, উড়তে ইচ্ছে করবে না নতুন কোনো দিগন্তে, তার কী কোনো নিশ্চয়তা আছে সুবিনয় দা'।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ব্লগ আর সাহিত্যের পার্থক্যের ব্যাপারে একমত।

সাহিত্যরস উপলব্ধির জন্য অনেক সময় দরকার, স্থির চিত্ত দরকার। সাহিত্য সময় লিখিত, পঠিত। ব্লগ সেই তুলনায় অনেকটাই "দৌঁড়ের উপর" লেখা। এই গতি-ই ব্লগকে আলাদা করে দেয় অন্য যেকোন মাধ্যম থেকে। গতির কারণেই লেখার আকার সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে ব্লগে। সময়ের স্বল্পতার কারণেই সময়ের সাথে সাথে আরো গতিশীল মাধ্যম আসবে। (কী যেন সেই সাইটটার নাম যেখানে শুধু status message আপডেট করা হয়?)

যেকোন জায়গা থেকে যেকেউ ব্লগিং করে নিজের অবস্থান ও উপস্থিতি সম্পর্কে বাকিদের জানান দিতে পারেন। এই দিক থেকে ব্লগ খুবই গণতান্ত্রিক একটি মাধ্যম। আমি মনে করি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কারণেই ব্লগকে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। উদাহরণ, পান্থ ভাই তাঁর বিজ্ঞাপণ নির্মাণ পণ নিয়ে কিছু একটা লিখতে পারেন নিয়মিত।

তবে ব্লগে মূলধারার কোন সাহিত্য বা সাহিত্যিকের উপস্থিতির বিরোধিতার সাথে আমি একমত নই। পরীক্ষিত লেখকদের কাছে অনেক কিছুই শেখার আছে। আর, গণতান্ত্রিক মাধ্যম বলেই ব্লগে সাহিত্যকেও স্থান দিতে হবে। পাঠক নিজের মেজাজ ও সময় অনুযায়ী তা গ্রহণ-বর্জন করবে।

একই ভাবে ব্লগ থেকে কেউ মূলধারায় গেলে সেটাকেও আমি প্রশংসার চোখেই দেখি। একজন লেখক ব্লগ থেকে মূলধারায় যাওয়া মানে তাঁর সূত্র ধরে ব্লগের সাথে কিছু পাঠকের পরিচিতি।

ব্লগ কেন, যেকোন মাধ্যমেই নাম-যশের পেছনে ছোটা আমার অপছন্দ। ছেলেমানুষি মনে হয়, হাসি পায়। এদিকে আমি সর্বতো ভাবে একমত।

আপনার কথার সাথে যোগ করবো পুরনো লেখা ব্লগে রিসাইকেল করবার বিরুদ্ধে আমার মত। হোক সে পূর্বপ্রকাশিত কোন বই কিংবা অন্যত্র প্রকাশিত কোন পোস্ট। নিজের ব্লগে আর্কাইভ করা ঠিক আছে, কিন্তু পাঠক হিসেবে আমার দাবি মূলপাতায় সতেজ কিছু, গতিশীল কিছু, নতুন কিছু।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

অনিশ্চিত () এর ছবি

সুবিনয় মুস্তফীর সাথে আমি একমত। আমাদের সবগুলো জায়গাই আস্তে আস্তে পাঠকরুচিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়ার দিকে এগুচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই জায়গাটি মুক্ত আছে বলে আমার মনে হচ্ছে। একজন লেখক তাঁর নিজস্ব অভিরুচি-আগ্রহ-চাহিদার ওপর ভিত্তি করে লিখবেন। এতে পাঠক পাওয়া গেলো, নাকি গেলো না- সেটি বড় প্রশ্ন হওয়া উচিত নয়।

আর অধিকাংশ পাঠকের চাহিদাটি ধর্তব্যে নিলে লেখক অন্য শঙ্কায় পড়ে যান। অনেক লেখক আছেন, যাদের লেখার পাঠক সংখ্যা অল্প। কিন্তু সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। পাঠকের চাহিদার কথা ভাবলে সেই ধরনের লেখা কখনোই আসবে না। ফলে লেখক কী লিখতে চান, পাঠকের কথা না ভেবে সেগুলোই লেখা উচিত।

পাঠকের চাহিদাকে সম্মান দিয়ে লেখালেখির অসংখ্য ক্ষেত্র তো আছেই। ব্লগটা না হয় এর বাইরে থাকুক।

চমৎকার এই আলোচনার প্রসঙ্গটি শুরু করবার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।

অনিশ্চিত

সবজান্তা এর ছবি

ব্লগে সাহিত্য আসুক ক্ষতি নাই, যার যেইটা রুচি সে সেইটা নিবে। তবে ব্লগে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকাটা জরুরী। রহিমুদ্দির ভাই কলিমুদ্দি আমার বই এর পাবলিশার দেইখা, রহিমুদ্দি যে একটা চুদির্ভাই সেই কথাটা আমি বই লেখতে পারি না - কিন্তু এমনটা জানি ব্লগে না হয়।


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

আমি হুদাই যা ইচ্ছা তাই লিখি, লিখতে ভালো লাগে তাই...

নিজেকে লেখক বলার কোন ইচ্ছা আমার নাই, কেউ বলেও না, বল্লেও মেজাজ খারাপ হয়...

আমি শুধুই একজন ব্লগার। এখন দুই একটা কথা বলি...

লেখার সময় আমি নিজে যেই জিনিসটা খেয়াল রাখি তা হচ্ছে লেখা যেন বেশী বড় হয়ে না যায়। হিমু, কিংকং, ইশতি, সুবিনয়, আরেফিন ভাইরা সহ অন্যান্য বসরা বিশাল বিশাল ব্লগ লিখতে পারেন। তাদের লেখা হাজার বড় হলেও সবাই পড়বে। যেহেতু আমার লেখা ফ্লুয়েন্ট না তাই আমি ছোট রাখি। কষ্ট করে হলেও যেন সবাই এটলিস্ট পড়ে ফেলেন। বড় ব্লগ লিখার মতো সামর্থ্য আমার নেই, লিখলেও সেটা পড়ার উপযোগী হবে না।

কম্পিউটারে লেখা পড়াটা একটু ঝামেলার বটেই। আমার প্রথম দিকে ঝামেলা হতো, তখন স্ক্রল করে চোখ বুলাতাম। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে...পছন্দের সব লেখকদের লেখা আগ্রহ নিয়ে পড়ি, পড়ার জন্য অপেক্ষা করি...

আর একটা কথা,

এ কারণেই দেখা যায়, ছোট কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত ব্লগগুলোই পাঠক প্রিয় হয়েছে (তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)।

এটা আমি মানলাম না। হাজার বড় হলেও লেখাটি যদি মানসম্মত হয়ে থাকে তাহলে তা সচলে পাঠকপ্রিয়তা পাবেই। কয়েকটা বাদ যেতে পারে সেটাই ব্যতিক্রম।

সচলে অসাধারণ ব্লগারের পাশাপাশি অসাধারণ পাঠকের অভাব নেই।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

রায়হান আবীর এর ছবি

কোন কারণে আমি এই ব্লগের সুরটা ধরতে পারছিনা। আমার উপরের মন্তব্যটি অফ টপিক হয়ে থাকলে তাই ক্ষমা চাই। হাসি

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ওরে কে আছিস ধরে আন্‌ পান্থ ভাইকে। কামডা করছে কী দেখছেন নি? আবীর বেচারা ঠিকঠাক কথা বলেও ভয়ে আছে কী থেকে কী বলে বসলো ভেবে। দেঁতো হাসি

আমার মনে হয় সুরটা ঠিকই ধরেছেন। আর, পান্থ ভাই আসলেই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে টোকা দিয়েছেন। দেখা যাক কথা কোথায় যায়।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ইশতি ভাই, কাউরে ডাকতে হবে না। আমি হাজির। তবে বুঝতে পারতেছি না, পিঠে ছালা বেঁধে নিয়ে আসবো কী'না। আবীর লেখা বুঝতে না পারার ঝালটা যদি আমার পিঠের ওপর ঝাড়ে। আপনেই কিছু একটা বুঝান না ওরে।

রায়হান আবীর এর ছবি

না এক্কেরেই বুঝি নাই তা না...আসলে মার্কেটং মুর্কেটিং কথা গুলো আসাতে ধান্ধা লেগে গেছিলো। এই জিনিসগুলা আমার মাথার উপর দিয়ে যায়।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

কীর্তিনাশা এর ছবি

ব্লগ থাকুক স্বাধীনচেতা, মুক্তমনে কথা বলার স্থান।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

স্বপ্নাহত এর ছবি

ইন্টারেস্টিং !!

সচলের বেশিরভাগ আলোচনাগুলোই আমি একটু দূরে দাড়িয়ে থেকে উপভোগ করার চেষ্টা করি। কারণ তাদের বেশিরভাগগুলোতেই জয়েন করার মত জ্ঞানের গভীরতা এই বান্দার নেই। কাজেই নিজের সীমাবদ্বতাটুকু জেনে সেসব অালোচনাগুলোতে স্রেফ পাঠক বনে যাই।

এই ব্যাপারে আমি সুবিনয়দার সাথে পুরোপুরি একমত। ব্লগকে ব্লগের মত থাকতে দেয়াই ভাল।

সবজান্তা ভাইয়ের কথায় সুর মিলিয়ে বলি- টক ঝাল মিষ্টি থেকে নিজের পছন্দমত যে কোনটা বেছে নেবার বন্দোবস্ত আছে বলেই অার অার সব সাইটের কথা ভুলে শুধু সচলায়তনে পড়ে থাকি। শুধু সাহিত্য কেন্দ্রিক হলে বোধহয় এমনটা হতোনা।

আর ব্লগ যদি শুধু সাহিত্য চর্চার জায়গা হয়ে ওঠে তাইলে আমার মত ব্লগর ব্লগর ওয়ালাদের কি হবে মন খারাপ লেখক শব্দটা শুনলেই কেমন দূরের দূরের মনে হয়। যাদের কেবল বইয়ের পাতায় খুজে পাই। কিন্তু পাশের বাড়ির রহিম করিমের মত সবসময় অত আপন লাগেনা। বরং ব্লগার শব্দটা অনেক আপন আপন লাগে।

ব্লগার আছি, ব্লগারই থাকতে চাই। সারাজীবন খালি ব্লগর ব্লগরই করে যেতে চাই। হাসি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমার যা কওনের আছিলো, সবই তো কইয়া ফালাইলেন।
একটু কিছু বাকি রাখলেও তো পারতেন!
কি জামানা যে আইলো !!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্বপ্নাহত এর ছবি

বালিকা কি জানেনা যে চাহিবা মাত্র হাত না ধরিতে দিলে এমনই হয় হো হো হো

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কয় কি?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পলাশ দত্ত এর ছবি

ইন্টারেস্টিঙ একটা আলোচনা শুরু হলো। যথারীতি ব্লগীয় চরিত্রের কারণেই (!) এই মুহূর্তে আমি পুরোপুরি আলোচনাটায় অংশ নিতে পারতেছি না। তবে আশা করতেছি এই বিষয়ে আমারও কিছু মত দেওয়ার আছে!। এবং দেবো।

আলোচনাটা কেউ ছেড়ে দিয়েন না যেনো।।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

রাফি এর ছবি

আমি ব্লগে একেবারেই নতুন। তবে এই কদিনে যা শিখেছি আর পড়েছি তাতে মনে হয়েছে প্রত্যেক ব্লগারেরই নিজস্ব কিছু চিন্তাধারা আছে , প্রত্যেকেই কিছু ভাবনার মধ্যে তার সময় কাটান। আর তার ব্লগে সেই ভাবনাগুলোরই ছোঁয়া পাওয়া যায়।
আর ব্লগ ব্যাপারটা উপভোগ্য হয় এজন্য যে লেখক -পাঠক মিথস্ক্রিয়া এখানে খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠে। লেখক যা বলতে চান তা পাঠক কতটুকু বুঝতে পারলেন আর যেভাবে বলতে চান তা পাঠক কতটুকু পছন্দ করলেন তা জানার তাৎক্ষনিক সুযোগ থাকে।
বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের লেখক একই সমতটে লিখেন বলে তথ্যের আদান প্রদানটাও বেশ সূচারুরুপে সম্পন্ন হয়।

---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমি কম বেশি সব কিছুই পড়ি, তবে হাসির গল্প, কৌতুক, স্মৃতিচারন, ব্লগর ব্লগর পড়তে বেশি ভাল লাগে হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তানবীরা এর ছবি

আমি এই বিষয়ে মোমবাতির আলো ফেলতে যাবো ভাবছিলাম, দেখি মুমু ফিপিলস সেভিং ল্যাম্পের আলো ফেলে দিয়েছে। আমার ব্লগ অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়,হালকা বেশী পাবলিক খায় দেন চিত্নাশীল লেখা থেকে। ভুলও হইতে পারে অভিজ্ঞতা বেশী দিনেরতো নয়।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ব্লগে এখনই কোনও নিয়ম নীতির বিপক্ষে আমি... জিনিসটা নতুন... সকলে একটু নাইড়া চাইড়া দেখুক... ব্লগাররাই ব্লগর ব্লগর করতে করতে এর একটা কাঠামো দাঁড়া করায়ে ফেলবে... জোর কইরা এখানে কিছু করতে গেলেই বিপদ... সেটা না করাই ভালো।

আমার ভালো লাগে যে ব্লগের কল্যানে অনেক মানুষ বাংলা ভাষায় লেখালেখির চর্চা করছে... যারা কখনো লেখক হইতে না চায়াও নিজের অজান্তে লেখক হয়া যাইতেছে...

বিখ্যাত হওয়া বা নাম কামানোর ব্যাপারটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে... ধরা যাক সুবিনয় মুস্তফী জনপ্রিয় হতে চায় না বা এটা তার উদ্দেশ্য না... কিন্তু বাংলা ব্লগ জগতে তিনি তো ব্যাপক জনপ্রিয়... এইটা কে ঠেকাইবো? কেম্নে?

আর প্রতিষ্ঠিত লেখকরা আসলে সমস্যা কি? সমস্যা ঐখানে যখন আমরাই তাদের উপড়ে হুমড়ি খায়া পড়ি... দোষটা তাদের না মনে হয়... ব্লগারদেরই কিছুটা আত্মনিয়ন্ত্রন দরকার...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রণদীপম বসু এর ছবি

আচ্ছা, ব্লগ আর সাহিত্য, দুটোকে আলাদাভাবে সংজ্ঞায় বেঁধে ফেলা কি ঠিক ? ব্লগ কেন সাহিত্য হবে আর সাহিত্য কেন ব্লগ হবে, বিষয়টা আসলেই ঘোরালো নয় কি ?

সাহিত্য যদি হয় সংযোগ বা সমন্বয়সূত্র, অতীতের সাথে বর্তমানের, লেখকের সাথে পাঠকের, পাঠকের সাথে পাঠকের, যাপিত জীবনের বাস্তবতার সাথে মানবমনের উপলব্ধির, ব্লগ কি এর বাইরে ? এই যে আমরা ব্লগরব্লগর করছি, এটা সাহিত্য নয় কে বললো ? সাহিত্য তো মঙ্গল গ্রহ থেকে আনা কোন আচানক জিনিস নয়। যদি আসেও, পৃথিবীর সংশ্লেষণে তাও তো সাহিত্যের অংশ হয়ে যাচ্ছে।
ব্লগে যিনি কবিতা লিখছেন, যিনি ছড়া লিখছেন, যিনি ভ্রমন কাহিনী লিখছেন, যিনি আজাইরা প্যাঁচালের নামে তাৎক্ষণিক অনুভূতি প্রকাশ করছেন, যিনি প্রবন্ধ নিবন্ধের মাধ্যমে অভিজ্ঞতার সংশ্লেষ ঘটাচ্ছেন, কোনটা সাহিত্য নয় ? কেউ কি বলবেন, সচলায়তনের জন্ম থেকে এযাবৎ যা কিছু লেখা হয়েছে, যা আর্কাইভবন্দী রয়েছে, কোন লেখাটা সাহিত্য নয় ?
এ মুহূর্তে যে অনুভবটা যেখানেই হোক অক্ষরবন্দী হলো, তাই সাহিত্য। ফলে সাহিত্যকে আলাদা কোন অলৌকিক বস্তু হিসেবে দেখিয়ে পারলৌকিক ব্যবধান তৈরি করে লাভ নেই। সাহিত্য হচ্ছে আত্মাটা। আর ব্লগ বলেন, প্রিন্ট মিডিয়া বলেন, সংগীত বলেন, চলচ্চিত্র বলেন, চিত্রকলা বলেন, এক একটা ভিন্ন ভিন্ন দেহাঙ্গ মাত্র।
আমার তাই ধারণা।
ব্লগ হচ্ছে সাহিত্যের অভূতপূর্ব নতুন ও উন্নত মাধ্যম। ইতিপূর্বের সব মাধ্যম থেকে এগিয়ে, আধুনিক, পূর্ববর্তী মাধ্যমের ঘাটতিপূর্ণকারী আগামী দিনের মাধ্যম।
শুধু গল্প কবিতা উপন্যাস বা প্রবন্ধ নিবন্ধকেই সাহিত্য নাম দিয়ে যারা সাহিত্যকে জানতে অজান্তে গন্ডিবদ্ধ করে ফেলছেন, তারা মূলত ব্লগ নামের দ্রুত কার্যকর ও বিশাল সম্ভাবনাময় একটা মাধ্যমকে খন্ডিত দৃষ্টিতে দেখছেন বলে আমার বিশ্বাস।

ব্লগে যিনি কেবল মাত্র মন্তব্য করছেন, তিনিও সাহিত্যস্রোতের বাইরে নন।

ব্লগার মানেই হচ্ছে সময়ের অগ্রবর্তী সাহিত্যিক সত্ত্বা।

আমি কি ভুল বললাম ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ব্লগের আসলেই নির্দিষ্ট কোন প্যাটার্ণ আছে কি? আমার কাছে তো এটাকে অনেকটা টেলিভিশনের চ্যানেলের মত মনে হয়। আজকাল শ'য়ে শ'য়ে চ্যানেল। যার যেটা পছন্দ সে সেটা দেখছে, যেটা পছন্দ নয় সেটা চেঞ্জ করে ফেলছে। এখানেও তো অনেকটা তাই-ই। কোন লেখা পছন্দ হলে সেটা সবাই পড়বে, পড়ছে-ও। ছোট হোক বা বড়। আর যদি কারো পছন্দের সাথে না মেলে তাহলে পড়া শুরু করলেও শেষ না করেই অন্য লেখায় চলে যাবে আবার।

ব্লগের প্রধান আকর্ষণীয় (আমার কাছে) দিকটা হল এর সরল প্রকাশভঙ্গি, স্বাভাবিকতা আর ইচ্ছামতন লিখে ফেলা। তাই আমার মতে ব্লগারদের তাদের ইচ্ছামতন লিখতে দেয়াই উচিৎ, মানে তাদের নিজেদের ইচ্ছামতন লেখা উচিৎ। লেখার গুণে "দুপুরে পুটি মাছ দিয়া সাটায়া ভাত খাইছি" জাতীয় লেখাও খুব ভাল লাগতে পারে পাঠকদের, আবার "আকাশ জুড়ে ছোপ ছোপ কালো মেঘ, তার মাঝে ঝলকানি দেয় এক চিলতে সোনালী রোদ্দুর" জাতীয় লেখাও পাঠককে টানতে ব্যর্থ হতে পারে।

তাই আমার মনে হয়, যেমন চলছে চলুক। মার্কেটিং-য়ের চিন্তা বাদ দিয়ে সবাই নিজের মনের কথাগুলো লিখুক এখানে। (ব্যক্তিগতভাবে) সেটাই আমার কাম্য।

চমৎকার আলোচনার বিষয়বস্তুর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শেখ জলিল এর ছবি

সুন্দর একটি আলোচনার সূত্রপাতের জন্য ধন্যবাদ।
যে কথাটি আমি বলতাম তার সম্পূর্ণই বলে দিয়েছেন@ রণদীপম বসু।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মনজুরাউল এর ছবি

ঠিক কোন জায়গা থেকে শুরু করব বুঝতে পারলাম না । ব্লগ সাহিত্য আবার ব্লগ সাহিত্য নয়। দু'টোই ঠিক। ব্লক এরিনায় আমি নবীশ। তাই ডিটেইলে কিছু বলতে পারব না। তবে অনেক দিন 'অস্থির পাঠক' হিসেবে বিভিন্ন ব্লগে এলেবেলে ঘুরে দেখে একটা তুলনা দিতে পারি। লঘু এবং ব্যক্তিপ্রধান্যের আলোচনা বা লেখা ব্লগে বেশি জনপ্রিয়। এটা প্রায় স্বীকৃত। তার পরও সিরিয়াস লেখা নিয়ে যে আগ্রহ দেখা যায় সেটা আশাবাদী হওয়ার বিষয়।

অন্য কিছু ব্লগের সাথে সচলের পার্থক্য হলো সেখানে 'লঘুর" গুরুত্ব বেশি । সচলে 'লঘু' র চে' 'গুরু'র গুরুত্ব বেশি। এটাই সচলকে মোটা দাগে অন্যদের চে' এগিয়ে রেখেছে।

মনে হয় খোলসা করতে ব্যর্থ হলাম !

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি
ব্লগ-কে ব্লগের মত থাকতে দিলেই ভালো। যারা ব্লগের মাধ্যমে নাম কামাতে চান, ব্লগের লেজ ধরে সাহিত্যিক হতে চান, বা খ্যাতি-ট্যাতি নিয়ে চিন্তিত, তাদের নিয়ে বেশী কিছু বলার নেই। তবে আশা করবো ব্লগে তারাই সংখ্যালঘিষ্ঠ।

সুবিনয়ের মন্তব্যের উদ্ধৃতাংশে আমার একটু আপত্তি আছে। (মডারেটররা এটি পাস করলেই হয়।) কারণ, বল্গ আসলে কী বলতে চাচ্ছেন তিনি? বল্গ যদি পাঠকের রুচির চাহিদার কথা ভেবেই লিখতে হয় আমি মনে করি এমন লেখার কোনো প্রয়োজনই নেই। ব্লগে আমি লিখবো আমার চাহিদা মত। পাঠক পড়লো কি পড়লো না, মন্তব্য করলো কি করলো না তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ, প্রথম দর্শনেই আমি অনেক ব্লগকে পাশ কাটিয়ে যাই। মনে হয় হয় ফালতু। কিন্তু পরে অনেক সময় পড়ে দেখি অসাধারণ একটি লেখা। তখন কখনো মন্তব্য করি কখনো নয়। কিন্তু আমার যাবতীয় লেখা পাঠকের পছন্দকে ঘিরেই তৈরী হতে হবে সেটাও মানতে পারছি না। পাঠক যে কী চায় সে নিজেও হয়তো জানে না।

আর ব্লগ যদি সাহিত্য প্রকাশের ক্ষেত্র হিসেবে কেউ কেউ (আমার মত) মনে করেন তাহলে ক্ষতি কি? নিতান্তই পাঠকের চাহিদা মনে রাখা মানে তো মার্কেটিং-এর মত ব্যাপার হয়ে গেল। এটা বাজারে চলবে, এটা চলবে না। তাহলে (সুবিনয়ের কথা মানতে গেলে) ব্লগে মুক্তচিন্তার কোনো স্থান থাকবে না। ব্লগে এসে আমার চিন্তা-ভাবনা যদি পাঠকের সঙ্গে শেয়ার করতে না পারলাম,পাঠকের পছন্দানুযায়ী লেখা লিখলে আমার চিন্তার জায়গাটি কি স্তব্ধ হয়ে গেল না? আর নাম কামানোর বিষয়টি সম্পূর্ন ভিন্ন বলে মনে করি।

নাম কামাতে চেষ্টা করলেও অনেক সময় আসে না। আবার অনেক সময় এমনিতেই নাম হয়ে যেতে পারে। এমন উদাহরণ অনেক আছে যে, একটি বই লিখেই খ্যাতিমান আবার শত বই লিখেও সেই লেখককে কেউ চেনে না। কাজেই ব্লগ হোক সব ধরনের চিন্তা-ভাবনা প্রকাশের জায়গা। সেটা সাহিত্যিক হোক আর ব্লগীয়? হোক।

কেউ মনে করতে পারেন তার চিন্তাভাবনাটি গল্পের, কবিতার, বা উপন্যাসের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন। তাহলে তিনি তা না করে সাধারণ ব্লগীয় পদ্ধতিতে (সুবিনয়ের মতানুযায়ী) প্রকাশ করতে হয়তো সম্পূর্ণ ভাবেই ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে তার জন্য সাহিত্যিক মাধ্যমটিই কি উপযুক্ত নয়?

আর নাম কামানেঅলারা ব্লগ জন্মের আগে থেকেই সংখ্যালঘিষ্ঠ। সেটা যে কোনো মাধ্যমেই হোক। আর তার জন্যই সাহিত্যের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়েছে বা নিচ্ছে লিটল ম্যাগাজিন। এখন সুবিনয়দের দৃষ্টিতে ব্লগে সাহিত্যচর্চা যদি "আ-কাম" হয়ে থাকে তাহলে কি কেবল সাহিত্য চর্চার জন্যই আলাদা একটি ব্লগ মাধ্যম প্রয়োজন?

পুনশ্চ: সবিনয় মুস্তফী আমার মন্তব্যকে ঝগড়া ভেবে বসবেন না। আপনার মাতামত আশা করছি।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।