টেকনলজি আমার খুব আগ্রহের জায়গা। কিন্তু আগ্রহের জায়গা হলে কি হবে, এটির ব্যবহার নিয়ে আমি একেবারেই ভীতুর ডিম গোছের ব্যক্তি। কি থেকে যে কি হয়ে যায়, এই ভাবনার আমি আমি সারাক্ষণ তটস্থ থাকি। ফলে এর আদবকেতা তেমন কিছু শেখাও হয়নি। আর এতে করে আমাকে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শুনুন না কয়েকটি বিড়ম্বনার কথা।
০১. ঘটনাটা সেকেন্ড সেমিস্টারের। ফারজানা ম্যাডামের প্রেজেন্টেশন চলছে। গ্রুপ প্রেজেন্টেশন। আমার পালা এলো। গড়বড় করে আমার অংশটুকু মুখস্ত বলে এলাম। আমার পরের জনকে ডেকে নেমে যাবো। এমন সময় ম্যাডাম বললেন, তোমার থার্ড স্লাইডে যাও তো। বিপদটা তখনই এলো। পাওয়ার পয়েন্টের কাজ আমি কিছুই জানি না। প্রেজেন্টেশনের আগে আমাদের গ্রুপের টেকি বন্ধু শুধু শিখিয়ে দিয়েছিল কিভাবে স্পেসবার চেপে সামনের দিকে যেতে হয়। ম্যাডামের কথা শুনে কাংখিত স্লাইড পেতে আমি সমানে স্পেসবার চেপে যাচ্ছি। কিন্তু থার্ড স্লাইড আর মেলে না। আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ক্লাসের কেউ কেউ ব্যাকস্পেস ব্যাকস্পেস কি একটা বলে আওয়াজ দিচ্ছে। কিন্তু আমি ব্যাকস্পেস যে কোনটা সেটাই তো চিনি না। অবশেষে অপু এসে সে যাত্রায় রক্ষা করে।
০২. তখন সাপ্তাহিক ২০০০-এ কন্ট্রিবিউটিং করি। অফিসে রিডার ডাইজেস্ট আসে, ভ্যানিটি ফেয়ার আসে, টাইম, নিউজউইক, ফ্রন্টলাইন ম্যাগাজিন আসে। সেখান থেকে নানা ধরনের লেখা অনুবাদ করি। ছবি দরকার পড়লে সেসব ম্যাগাজিনের ছবিই স্ক্যান করে লেখার সাথে জুড়ে দিই। একদিন কি যেন লেখার সাথে নাবিল ভাই (তখনকার চিফ রিপোর্টার) গুগল থেকে ছবি নামিয়ে দিতে বললেন। আমি যথারীতি গুগল থেকে ছবি নামিয়ে এনে মনসুর ভাইয়ের সাথে মেকাপে বসে গেলাম। মনসুর ভাই লেখা বসিয়ে ছবি দিতে গিয়ে দেখেন, ছবিগুলো সব আইকন হিসেবে নামানো। পাশেই বসে ছিলেন ২০০০-এর টেকি জুয়েল ভাই (তিনি প্রযুক্তি বিভাগ দেখতেন)। আমার এই কান্ডটিকে তিনি সারা অফিসে ছড়িয়ে দিলেন। যদিও আমি তখন পর্যন্ত গুগল থেকে ছবি নামানোর আদবকেতা জানতাম না।
০৩. ফেসবুকে তখন মাত্রই চ্যাট অপশন চালু হয়েছে। চ্যাটরুমে জয়েন্টের আমন্ত্রণ জানিয়েছে এক বন্ধু। তো জয়েন্ট করে ঢুকে পড়েছি চ্যাটরুমে। যদিও তখন পর্যন্ত আমার নেটে চ্যাট করার অভিজ্ঞতা নেই। জানা নেই চ্যাটের আদবকেতা। তো ঢোকার সাথে সাথেই একজন প্রাইভেট মেসেজ দিলো- ASL । পাশেই ছিলেন সিনিয়র কলিগ সাইফুল ভাই। জিজ্ঞেস করলাম বিষয়টা কি। শুনে তিনি একপ্রস্থ হেসে নিলেন। তারপর পাশেই নিউটন ভাইকে ডেকে বললেন, পান্থ ASL-এর মানে জানে না। চ্যাটরুমে ঢুকেছে। বলেই আবার তারা দু'জনে হাসতে লাগলেন। আমিও বোকার মতো তাদের সাথে হাসিতে যোগ দিলাম।
০৪. কয়েকদিন আগের ঘটনা। সেটাও ফেসবুকে। এক লাস্যময়ী তরুণী'র সাথে চ্যাটে কথা হচ্ছে। যদিও চ্যাট করার সময় আমি সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকি। তো সেই সুদর্শনার সাথে কথা হচ্ছে কৃষ্ণকলির গান নিয়ে, চন্দ্রবিন্দু'র গান নিয়ে। তারপর এটা-সেটা আলাপ। সেই আলাপের একফাঁকেই মেয়েটি LOL লিখে। এটা যে কি আমি জানি না। তাই জিজ্ঞেস করি, এর মানে কি। আমার এ প্রশ্নে মেয়েটি সিডনি থেকে যে হাসি দেয়, তার দমক আমি বঙ্গোপসাগরের এপার থেকেও শুনতে পাই। ভবিষ্যতের বিপদ আপদ এড়াতে সেই লাস্যময়ীকে জলপাই আচারের লোভ দেখিয়ে আরো কিছু চ্যাটের জার্গন জেনে নিই।
নাহ্, নিজের দুরবস্থার কথা আজ আর না বলি। কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!!! বৃষ্টিমুখর এই দিনে অফিসে এসে কাজ করতে ইচ্ছে করছে না, তাই আজাইরা এই লেখা।
(অফটপিক- চন্দ্রবিন্দু, মহিনের ঘোড়াগুলি'র গান দিয়ে ব্লগের শিরোনাম করাটা রায়হান আবীরের প্যাটেন্ট করা। প্যাটেন্ট আইন ভাংলাম। রায়হান আবীর মামলা করে বসে কী'না কে জানে!!!)
মন্তব্য
হা হা হা । ব্যাপারয না।
মানুষ পিছলাইতে পিছলাইতেই শিখে। কয়দিন পর দেখা যাবো আমগো যে পান্থদা ASL কি সেইটা বুঝেনা সেই মানুষটাই সপ্তাহের সাতদিন চ্যাটফ্রেন্ডগো লগে ঢাকার বিভিন্ন মনোরম পরিবেশে শিডিউল মাফিক ডেটাইতেসে
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক। হাছা কইতেছি, এমন বৃষ্টির দিনে চ্যাটফ্রেন্ডের (অবশ্যই মাইয়া) লগে মন্দ হইতো না। আহা! এমন একখান দিন কবে যে আসবো।
হাহাহাহা ASL এর কথা মনে করায়ে দিলেন, আগে যখন অনেক চ্যাটরুমে যেতাম তখন রুমে গেলেই টপাটপ মেসেজ আসত ASL? এমন মেজাজ খারাপ হত আবার মাঝে মাঝে যখন বান্ধবীরা একসাথে যেতাম তখন আমরা হাসাহাসি করতাম যে 'দেখবা এখনি ASL জিজ্ঞেস করবে, আর করতও তাই , তখন বানায়ে বানায়ে এক এক জনকে এক এক ASL বলতাম তবে কখনও কোনও মেয়ের কাছ থেকে ASL পাইনি, আপনি কি মেয়ের নাম নিয়ে চ্যাটরুমে ঢুকেছিলেন নাকি?
আহারে সেইসব চ্যাটরুমের দিনগুলির কথা মনে করায়ে দিলেন, কত মজা করতাম, কত ঝগড়া করতাম, এডমিন ছিলাম কেউ উলটা পালটা কিছু করলেই বের করে দিতাম, কত পাওয়ার ছিল, আহা
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
নাউযুবিল্লাহ, মেয়ের বেশ ধরে চ্যাটরুমে যামু ক্যান? আমার হ্যাডম আছে না!!! একদম বাবা-মায়ের নাম নিয়াই আল্লাহ'র নাম জপে ঢুকে পড়ছিলাম।
আর আপনে কি কি যেন জার্গন শিখাইলেন, তা কিন্তু ভুলে গেছি। আবার একবার সবক দ্যান তো।
এই লিংকে সব পাবেন
http://www.swalk.com/chat.htm
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বছর দশেক আগে mirc এর চ্যাটের আমলে asl সবার মুখে মুখে ঘুরতো। এখনো এটা চালু আছে জেনে অবাক লাগলো।
আমি অবশ্য চ্যাট করা বা মেসেঞ্জার ব্যবহার পুরোপুরি বাদ দিয়েছি বছর চারেক ধরে। দরকার হলে মেইলে এক লাইন লিখি, কিন্তু রিয়াল টাইমে চ্যাট আর করা হয় না।
আপনার পোস্ট দেখে নিজের স্মৃতি মনে পড়লো, বছর এগারো আগে প্রথম কম্পিউটার কিনে উইন্ডোজ ৯৫ চালানো, আর তাতে প্রথম প্রোগ্রাম লেখা। অনেক স্মৃতি।
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
রাগিব ভাই, কি আর কমু, এসব চ্যাটম্যাট আমি বুঝি না। ভাবছি, এরপর থেকে এইসব কাজে যাওয়ার আগে আপনের উইকি থেকে জ্ঞান নিয়া যামু।
ব্লগেই পড়া।
কার লেখা মনে করতে পারছি না।
উনার (নাম ধরি x) ১ম দিনে অপরিচিত y এর সাথে চ্যাট অভিজ্ঞতা -
x: hi
y: asl
x: walaiqumassalam
y: m/f
x: you m/f
__
x ভাবছিলেন, asl =assalamualaiqum, m/f = mother f*ck*r
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
শিমুল ভাই, কমেন্ট পড়ে হাসতেছিই শুধু। তোফা বলেছেন। তয় আমার নিজেরে ক্যান জানি আরো বোকা বোকা লাগতেছে।
সুরভি
টেকনলজী আমার ভয়ের জায়গা.সামহয়ার ইন ব্লগে একটা লেখা আসছে বাংলা সহজ ভাবে লেখার উপায় নিয়ে ,অনেক ভাল মনে হচ্ছে ,আমি ভয়ে ওটা চেষ্টা করিনা ,যদি পুরোনটাতে না ফিরতে পারি , বুঝেন অবস্থা .
সুরভি
ঠিক তাই পান্থ, কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে ?
চ্যাট, ASL, LOL...... তো দুরের কথা, কম্পিয়্যুটারের 'ক' ও তো জানি না ! বিপদে পড়লে সেই এক প্রযুক্তিবিদের শরণাপন্ন হই । তিনি-ই ত্রাতা । এই পোস্টের বরাতে তাকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে রাখি । আর পান্থ কে তো বটেই ।
ও হ্যাঁ, ভদ্রলোকের নাম হাসান মোরশেদ ( সিলঙফেরত্ কম্পিয়্যুটার-বিশেষজ্ঞ ! )
---------------------------------------------------------
আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আসেন সুপান্থ দা', আমরা দুই টেকি নাদান মোলাকাত করি। এসব ব্যাপারে আপনার মতো আমিও বিশেষ অজ্ঞ। বিপদে পড়লে প্রায়ই আতিক ভাইয়ের (অফিসের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ) শরণাপন্ন হই। আর চ্যাট জার্গন শিখি কলিগ নিউটন ভাইয়ের কাছ থেকে। এক সচলের কাছ থেকেও কিছু শিখেছি (মুশফিকা মুমু), এ যাত্রায় আমিও তার কাছে হাজারো কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখি।
আচ্ছা সুপান্থ দা' বলেন তো চ্যাটের এইসব পরিভাষা (ইঙিাগতপূর্ণ শব্দ) আসলে কি সত্যিকারের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে। যেমন কেউ একজন হাসির কথা বললে, অন্যজন বলছে LOL (Laugh out loud)। এর মাধ্যমে আসলেই কী একটু আহ্লাদি-আদুরে ভঙ্গির বাঁধ ভাঙ্গা হাসির উচ্ছ্বাসটা প্রকাশ পাচ্ছে? আবার লোকজন কিন্তু এসব পরিভাষা ঠিকই কমিউনিকেশন করতে পারছে। সেও রিপ্লাই দিচ্ছে। দেখে শুনে মনে হয় এগুলো বুঝি ডিজিটাল বিশ্বে যোগাযোগের নতুন তরিকা। যেখানে আমরা ধানক্ষেতের একটা অংশ দেখেই চিনে নিচ্ছি কৃষি সভ্যতার রূপকল্প। নাহ্, কি থেকে কি বলে যাচ্ছি। পরে এগুলো নিয়ে একটু ভেবে আলাদা পোস্ট দেয়া যাবে।
হুরো!! শিমুল ভাই আমার বন্ধুর কাহিনীটা বলে দিলো। আল্লাহ্র কসম ওই আসলে asl মানে ভাবছিল আসসালামুয়ালাইকুম।
ভাই আপ্নার অবস্থা নজরুল ভাইয়ের মতৈ খারাপ দেখা যায়।
আহ শিরোমানটা দিয়েছেন জব্বর!
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
আমি খুব একটা চ্যাট করিনি কখনো। অপরিচিত লোকদের সাথে কথা আগাতে পারি না। প্রবাসে এসে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করতাম, আর বিয়ের আগে বৌয়ের সাথে। বৌ চলে আসার পরে মাসে-ছয়মাসে একবার মেসেন্জার ওপেন করা হয়।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
রায়হান মিথ্যা কথা বলছে... আমার অবস্থা আপনার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ... ASL কি তা আমি শিখছিলাম ভুইল্লা গেছি... এখন অনেক চেষ্টা কইরাও মনে করতে পারতেছি না। চ্যাট আমি তেরম করিনা... যাদের সাথে করি তারা আমার অবস্থা জানে... তারাই আমারে অনেক কিছু হাতে কলমে শিখায়... আমি আবার ভুলি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"টেকনলজি আমার খুব আগ্রহের জায়গা। কিন্তু আগ্রহের জায়গা হলে কি হবে, এটির ব্যবহার নিয়ে আমি একেবারেই ভীতুর ডিম গোছের ব্যক্তি। কি থেকে যে কি হয়ে যায়, এই ভাবনার আমি আমি সারাক্ষণ তটস্থ থাকি।"
আমার কথা আগেভাগেই হুবহু কইলেন ক্যান?
আমার দুঃখের কথা শোনেন।
সমস্ত ইন্সট্রাকশন ফলো করার পর যখন আমাকে বলা হলো ওটা ডেস্কটপে সেইভ করতে, আমি বলি, "ডেস্কটপ কই, খুঁজে পাচ্ছি না তো..."
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধূ-র।
সবাই খালি ফালতু কমেন্ট দেয় ।
কিন্তু ASL মানেটা কী , কেউ কইয়া দিল না ।
আসল স্কটিশ লিকার .......... হয় নাই ?
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
আমারও মনে পড়ে গেল সেই mirc যুগের কথা। এক ধাক্কায় age-sex-location (ASL) জানার চেষ্টা, বিচিত্র সব শর্টকাট ব্যবহার... আহারে সেই সব নস্টালজিক দিনগুলো!
আহা mirc, আমি ছিলাম বাংলাক্যাফের এডমিন, সেইসব দিনগুলি ,
এখানে কেউ কি কখনও PalTalk এ যেত?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমি প্রচুর চ্যাট করি, কিন্তু সবই পরিচিত মানুষদের সাথে ...
বললে হয়তো পাবলিক হাসবে, আমি আজ পর্যন্ত কোন চ্যাটরুমে ঢুকি নাই ... এমাইআরসি কি জিনিস কয়েকদিন আগেও জানতাম না ... ফেসবুকে প্রচুর মানুষকে এড করা আছে কিন্তু তাদেরকেও কোন না কোন সূত্রে আগে থেকে চিনি, তারপরে এড করাকরি ...
সচলে-সামহোয়ারের সূত্রেই প্রথম একগাদা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হল যাদেরকে কখনো দেখি নাই কিন্তু একফোঁটাও দূরের মানুষ মনে হয় না ...
অপিরিচিত মানুষের সাথে সামনাসামনি ভালোই আলাপ চালাইতে পারি বাট অনলাইনে কেন জানি পারি না, আগ্রহও হয় না ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
রেডিও টুডেতে চাকরী করার সময় যখন রাতে ডিউটি পড়তো তখন বেশ চ্যাট করতাম। পরে বিরক্ত হয়ে গেছিলাম। চ্যাট আমার কাছে অনেকটা যান্ত্রিক মনে হয়। আর চ্যাট চালাচালিতে মিথ্যার প্রাধান্যও বেশি থাকে (অনেক সময়)।
মূর্তালা রামাত
নতুন মন্তব্য করুন