মুস্তাফিজ ভাইয়ের লগে সুন্দরবনে বাঘ দেখতেছি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: সোম, ২১/০২/২০১১ - ১০:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুন্দরবন গ্যাছো কখনো
না
আবদুল ওয়াহাবকে চেনো?
কিছুটা চিনি। ফটোগ্রাফার মুস্তাফিজ ভাইয়ের ছবিব্লগে আর লীলেন্দার সাকিন সুন্দরবনে তার কথা শুনেছি। অসম্ভব সাহসী সে। বাঘের সাথে লড়েছে। ডাকাতদলকে বন্দুক যুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছে। পচাব্দি গাজীর পাশের গ্রামের বাড়ি।
সালাউদ্দিন বাপ্পীকে চেনো?
হুম। গল্পবাজ মানুষ তিনি। থলি ভর্তি আশ্চর্য সব গল্প- সুন্দরবনের বাঘ আর ডাকাত দলের। সে গল্প শুনে কখনো গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। কখনো রক্ত হিম হয়ে আসে।
বাপ্পীদা আর আবদুল ওয়াহাবকে সঙ্গে নিয়ে মুস্তাফিজ ভাই সুন্দরবনে যাচ্ছেন, একাই। যাবে?
যাবো, যাবো, যাবো!
নিজের সাথে এইসব বোঝাপড়া শেষে মুস্তাফিজ ভাইকে ফোন দেই। আমি যাবো। উনি আমাকে সঙ্গী করে নেন।

সুন্দরবনে এখন গোলপাতা কাটার মৌসুম। মুস্তাফিজ ভাইয়ের প্ল্যান বাওয়ালীদের সাথে সুন্দরবনে ঢুকবেন। বাওয়ালীরা গোলপাতা কাটতে বনের অনেক গভীরে ঢোকে। তাই, তাদের সাথে গেলে বাঘমামা দেখার সম্ভাবনা বেশি। বনের ভেতরে ঢোকার কথা শুনে ভয় একটু বেশি-ই পাই। দুরু দুরু বক্ষে শ্যামলীর কাউন্টারে এসে হাজির হই।

ভোরের ভিজে কুয়াশার রোদ্দুর মেখে সকাল হয় সাতক্ষীরার শ্যামনগর বাসস্টপে। এ কে পরিবহনের বাসটি আমাদের নামিয়ে দিয়ে নাক বরাবর উত্তরমুখী চলে গেলে গ্রামীণ রেস্তরাঁয় পরোটা আর ননীর ছানা সাবাড় করতে করতে আমি আর মুস্তাফিজ ভাই সকালকে ফিকে হতে দেখি। অত:পর সালাউদ্দিন বাপ্পীর ফোন আসে। আমরা রওনা হই নীলডুমুরের দিকে। ওইখানে ট্রলার নিয়ে আবদুল ওয়াহাব রেডি। ঘাটপাড়েই আবদুল ওয়াহাবের বাড়ি। বাড়ির সামনে এক চিলতে একটা নদী। নদীর ওপাড়েই সুন্দরবন। বাঘ প্রায়ই নদী পার হয়ে এপাড়ে আসে। মানুষ ধরে নিয়ে যায়।

নীলডুমুর থেকে ট্রলারে করে বুড়িগোয়ালিনীর দিকে যেতে যেতে আমরা মানুষ হত্যার প্রতিবেদন শুনি। প্রতিদিনই বাঘের খাদ্য হচ্ছে মানুষ। সুন্দরবনের আরো গভীরে যেতে যেতে আমাদের হাতে একে একে পরিসংখ্যান আসতে থাকে। শিবসা নদীর ভূতুমের চরে মারা গেছে দশ-বারোজন। শিবসার এক পাড়ে আদাচাই ফাঁড়ি। সেখানকার অফিসার ইন চার্জ ইসমাইল। তিনি আমাদের জানান, ইতিমধ্যে ছয়-সাতজন বাঘের পেটে গেছেন। তার অফিসের বাচুর্চি আইলা আক্রান্ত। সরকারি সাহায্য হিসেবে ছাগল পেয়েছিল। সে ছাগলটি নিয়ে গেছে বাঘে। শিবসার পিছনে পশুর নদীর অংশে মারা গেছে চার জন। খুলনার গোলপাতা ব্যবসায়ী নূর বক্কার গোলপাতার নৌকা নিয়ে শিবসা পার হতে হতে এ তথ্য আমাদের অবহিত করেন। হড্ডা বন অফিসের জেটিতে আমাদের ট্রলার নোঙর ফেলে রাত্রি যাপনের। বনরক্ষী ফারুক জানান, প্রতিদিনই কেউ কেউ না বাঘের হাতে মারা যাচ্ছে। সে রাতেই আমরা বাঘের হুংকার শুনি। আর একটু পরেই ভেসে আসে হরিণের আর্তনাদ। ডিঙি নৌকা নিয়ে যেসব লোক কাঁকড়া আর মাছ ধরতে বনের ভেতরে খালে ঢুকে পড়েছিল, তারাও ভয় পেয়ে ফিরে আসে। বন অফিসের সামনে দিয়ে যেতে যেতে তারা বাঘের উপস্থিতির সতর্কবাণী দিয়ে যায়। আমরা ট্রলারের ছাদে বসে জোসনার দুধজলে স্নান করতে করতে চর্টের আলো ফেলি বনের এখানে-সেখানে। আর অপেক্ষা করি, এই বুঝি বাঘের চোখ ঝলসে উঠলো।

তবে, সুন্দরবনের বাঘ আসলে একটা অতীতকাল। বর্তমান কালে সে কোথাও থাকে না। আপনি সুন্দরবন গেলে শুনবেন, কালকে অমুক খানে বাঘ দেখা গেছে। ওই দেখেন বাঘের পায়ের ছাপ। দশ মিনিট পিছনে ফেলে রেখে এবারো আমরা বাঘের দৃশ্যমান হওয়ার গল্প শুনি। ভুতুমের চরের গোলপাতা কুপের ফরেস্ট অফিসার আমাদের খবর পাঠান বাঘ খাল পার হচ্ছে। ট্রলার ঘুরিয়ে ওই খালে যাওয়ার দূরত্ব মাত্র ১০ মিনিট। আদাচাইয়ের ইসমাইলও জানান, শেখের বাড়ির দিকে একটা বাঘের ঘুরে বেড়ানোর কথা। কিন্তু বাঘকে আর অতীতকাল হিসেবে রাখতে নারাজ মুস্তাফিজ ভাই। তাকে বর্তমান কাল করে ছাড়বেন। তাই মার্চে আবার সুন্দরবন যাচ্ছেন। ওই সময় সুন্দরবনে মধুর চাক কাটার মৌসুম শুরু। মৌওয়ালিদের সাথে সুন্দরবনে ঢুকবেন তিনি। তার লগে আমরাও বাঘ দেখতে বনে যাবো। চাক্ষুষ না হলেও ফটো ডকুমেন্টেশনে দেখবো।

সুন্দরবনে বাঘের হাতে শুধু যে মানুষ মারা পড়ে, তা নয়। মানুষের হাতে বাঘও মারা পড়ে। এর বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটে বাঘ লোকালয়ে এলে। বনবিভাগের বোটে খোলপেটুয়া নদী হয়ে ফুলতলা খালের দিকে যেতে যেতে আবদুল ওয়াহাব বাঘ মারার গল্প বলেন। বাপ্পী ভাইও বলেন। সুন্দরবনের রাজা বাঘের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠা মানুষদের গল্প শুনতে শুনতে মনে পড়ে যায়, বাঘদের ক্রমাগত বিপন্ন হওয়ার ইতিকথা। বাহাত্তর সালের আগে বাঘকে উপদ্রুব হিসেবে গন্য করা হতো। তখন বাঘ মারলে মানুষ বাহবা পেতেন। পুরস্কারও জুটতো। কিন্তু পৃথিবী থেকে বাঘ ক্রমাগত হারিয়ে যেতে থাকলে সংরক্ষণের জন্য বাঘ হত্যা নিষিদ্ধ করে সরকার। জেল জরিমানার ব্যবস্থা করে। এখন বাঘ মারলে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা আর ৩০ বছরের জেল। তবে, আইন করে বাঘ হত্যা বন্ধ করা যায়নি। বন্ধ হবে কি করে। বাঘের হাড়ের দাম ২০ হাজার টাকা কেজি। একটা দাঁতের দাম ৫০০ ডলার। সুন্দরবনে বাঘ মামার দেখা পেতে উন্মুখ আমরা শুনি, কিছুদিন আগে মারা যাওয়া তিনটি বাঘ বনবিভাগের কর্মীরা মাটি চাপা দেয়। কয়েকদিন পরে সেখান থেকে বাঘের হাড্ডিগুড্ডি উধাও।

সুন্দরবন থেকে ফেরার দিন বইমেলায় লীলেন্দা আমার কাছে এককথায় জানতে চান, সুন্দরবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে। আমি বলি, সুন্দরবন যেন একখানা গল্পের বই। যার প্রতি পাতা উল্টালেই আশ্চর্য সব গল্প। তবে এ গল্পের বেশিরভাগই বাঘ-ডাকাত-শিকারি আর সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল দরিদ্র মানুষদের গল্প। এর বাইরেও গল্প আছে। তার একটা নিদর্শন দেখলাম, আদাচাই ফাঁড়ি থেকে শিবসা নদী ধরে সমুদ্রের দিকে দশ-পনের মিনিট গেলেই। জায়গাটার নাম শেখের বাড়ি। এখন অবশিষ্ট শুধুই ইটের ধ্বংসস্তুপ। একজন ফরেস্ট অফিসার জানালেন, একসময় এটা ইটের বাড়ি ছিল। ১৯৮২ সালের দিকে উনি যখন সুন্দরবনে চাকরি নিয়ে আসেন তখন সে রকম দেখেছিলেন। তবে, বাড়িটা কিসের সে ইতিহাস তার জানা নেই। জানা যায়, একসময় এই পথে আরবের ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করতেন। তারাই তাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই বিল্ডিংটি বানিয়েছিলেন। মুস্তাফিজ ভাই, একটা ইট নিয়ে এসেছেন। ইট পরীক্ষা করে কত আগের স্থাপনা তা বের করবেন। শেখের বাড়ি থেকে আরো খানিকটা সামনে গেলে আছে কালীমন্দির। নদী থেকে নেমে বনের ভিতরে আরো দেড়-দুই কিলোমিটার হেঁটে গেলেই দেখা মেলে সে মন্দিরটির। মন্দির ঘিরে এখন শুধুই সাপেদের আবাস। নিরাপত্তার কথা ভেবে বনরক্ষীরা আমাদের যেতে দেয় নি সেখানে। তবে, এই মন্দিরটির নির্মাতা কারা, কারাইবা পুজারি সে তথ্য কেউ দিতে পারলো না।
সুন্দরবনের মতো শ্বাপদসংকুল এমন একটি পরিবেশে এ ধরনের স্থাপনা সত্যিই বিস্ময় জাগায়। এমন বিস্ময় আরো আছে নিশ্চয়ই। সেইসব বিস্ময়মাখানো গল্পের হাতছানি বারে বারে নিয়ে যাবে সুন্দরবন।

সুন্দরবনে ভয়ংকরের দিক দিয়ে বাঘের পরেই বোধহয় ডাকাতদের অবস্থান। এহেন অপরাধ নেই যা ডাকাতরা করে না। সুন্দরবনের প্রথম রাত্রিতে আমরা শিবসার পশ্চিম পাড়ে আদাচাই ফাঁড়ির জেটিতে ট্রলার নোঙর করে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা নিয়েছি। জায়গাটা পর্যটন স্পট না। তাই মানুষজনও নেই। উত্তাল নদীর গর্জন ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। দূরে দু-একটা মাছ ধরার নৌকা আর গোলপাতার নৌকা চোখে পড়ে বটে। এখানেই আমরা ডাকাতদের খপ্পরে পড়ি। তখন ঘড়িতে রাত এগারোটা। চমৎকার একটা চাঁদ উঠেছে আকাশে। রাতের খাওয়া সেরে ট্রলারের ছাদে বসে আমরা গল্প করার প্রস্তুতি নিচ্ছি মাত্র। এমন সময় দুইটা ট্রলার এসে আমাদের পাশে থামে। একটু পর ডাকাতরা মুস্তাফিজ ভাইকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত তিনটা বেজে যায়। মুস্তাফিজ ভাই ফেরেন না। একরাজ্য টেনশন নিয়ে আমরা অপেক্ষা করি। বাপ্পী ভাই তাহাজ্জুত নামাজের প্রস্তুতি নেন। এমন সময় মুস্তাফিজ ভাই ফেরেন। ডাকাতের হাতে পড়ার গল্প বিস্তারিত উনিই লিখবেন। আমি এখানে শুধু প্রোমোটা করে গেলাম।

সচল পাঠক, এইবার মুস্তাফিজ ভাইকে গুঁতাতে থাকেন ডাকাতনাম লেখার!


মন্তব্য

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ডাকাতের অপেক্ষায় থাকলাম।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমরা ফেরার সময় বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনে নামলে টাইগার প্রজেক্টের দুটো ছেলে এসে সামনে দাঁড়ায়, হাতে গ্যাস গান, অনুরোধ করেছিলো আধ ঘণ্টার দুরত্বে ওদের সাথে যেতে, সেখানে গ্রামে বাঘ ঢুকেছে, ওরা গ্যাস গান দিয়ে তাড়িয়ে বনে পাঠাবে। কিন্তু যাইনি, পরদিন পান্থ'র অফিস, কিভাবে যাই।
এখন পত্রিকায় দেখলাম সেই বাঘ সারারাত ঘেরাও অবস্থায় ছিলো, ভোরে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে অজ্ঞান করে দোবাকী ফরেস্ট অফিসের কাছে নামিয়ে আসা হয়েছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

এইটা তো ভুলে গেছিলাম। ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে অজ্ঞান করে বনে ফিরিয়ে দেয়ার কথা গতকাল বইমেলায় লীলেন্দার কাছে শুনেছি।
মুস্তাফিজ ভাই, একবার বাঘ দেখলে তো আর সুন্দরবন যাওয়া হবে না! তাই, বাঘকে অতীতকাল বানিয়ে তার পেছনে ঘুরে ঘুরে কাটিয়ে সুন্দরবনের অন্য সব রহস্য উদঘাটন করি। দেঁতো হাসি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সুন্দরবনের বাঘ আসলে একটা অতীতকাল

পান্থ প্রথম পরীক্ষায় পাশ
সবচে বড়ো আবিষ্কারটা করে ফেলেছে

তার পরের আবিষ্কার হলো

সাপের লেখা আর বাঘের দেখা কপালে থাকতে হয়

মানে যখন দেখে। তখন সেইটাই প্রথম আর সেইটাই শেষ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দেঁতো হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মিয়া, এমন জটিল ঘটনার এত বড় প্রোমো? তোমারে ...

মুস্তাফিজ ভাই, তাড়াতাড়ি লিখেন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এখন আমি আর সুন্দরবনের পোস্ট দেখলে না দেখার ভান করে কেটে পড়ি না, কারণ গেল নভেম্বরে শ্যামনগর দিয়ে, বুড়িগোয়ালিনী, খালপেটুয়া হয়ে আমিও ঘুরে এসেছি। দেঁতো হাসি দিনের বেলাতেই যদিও, তাতে কী?! একবার তো সুন্দরবনের অসাধারণ রূপ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে! এর পরে আরো হবে, ততদিন আপনাদের লেখার আলোকে পাঠকের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নেই। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমার বাড়ি সবাই যায়, আমি কেবল যেতে পারিনা মন খারাপ
লেখা দারুণ হইছে পান্থ'দা। আরেক পর্ব না লিখলে অন্যায় হয়ে যাবে কইলাম!

একটা ব্যাপার, আপনাদের কারো লেখাতেই বাপ্পী ভাইয়ের (আমি যদি ওনাকে চিনতে ভুল না করে থাকি!) গানের কথা শুনলাম না! আপনারা কী জানেন উনি অসম্ভব দূর্দান্ত আসর বসানো গান করেন? বাংলাদেশ বেতারে গাইতেন একসময়।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ইনি সেই বাপ্পী ভাই। গাজী সালাহ উদ্দিন বাপ্পী। এখনও গান করেন

মুস্তাফিজ এর ছবি

ছেলে মারা যাবার পর এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়েন। তাহাজ্জুদও পড়েন।

...........................
Every Picture Tells a Story

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তার গান শুনছি তো! ডাকাতরজনী পার হওয়ার পর কুয়াশাঘেরা ভোরে গান গাইছেন তিনি। মুস্তাফিজ ভাই সেটা রেকর্ড করে রেখেছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই পথে আমিও একবার ঘুরে এসেছি রে পান্থ... বাপ্পী ভাইয়ের গানও শুনে আসছি... সেটাও অতীত কাল...
সামনে বড় সময় ধরেই সুন্দরবনে থাকার সম্ভাবনা আছে। পফেশনাল কাজে হাসি

ডাকাতের গল্প শুনে ফেলছি আগেই... তবু অনুরোধ মুস্তাফিজ ভাইকে লেখার জন্য।

লেখা দারুণ হইছে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমাদের সবই ভবিষ্যতকাল।
দেখিস, একদিন আমরাও....

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।