ডাংগুলি ছেলে এবং আমসত্ত্ব মেয়ে- ৩

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: রবি, ৩০/০৩/২০০৮ - ৬:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

****প্রথম পর্ব****

****দ্বিতীয় পর্ব****

**** তৃতীয় পর্ব****

- মা...কাইন্দ না।
মাকে কথাটা বলেই আমি ঝরঝর করে কেঁদে ফেললাম। কোথায় যেন একটা কুকুরও কাঁদছে। বাবা'র কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আমার কেমন যেন লাগল! এশার কথা মনে পড়ল। এশা এখন কী করছে? আমার কেন জানি মনে হল... আমার যখন মন খারাপ হয়... আমি যখন রাতের বেলা চাঁদের নীচে দাঁড়িয়ে এমন করে কান্না করি...তখন এশা ঠিক বুঝতে পারে! আকাশের ওপরে যার ঘর... তিনি এশার কানে কানে আমার মন খারাপের কথা বলে দেন।
মা আমাকে কাছে টেনে নিল। কী অদ্ভুত একটা ঘ্রাণ মা'র শরীরে। আচ্ছা... পৃথিবীর সব মায়েদের শরীরে কী এমন অদ্ভুত ঘ্রাণ থাকে?
- ল... রওনা দিই।
- চল।
বাবার কবরের মাটির উপর আমি হাত রাখলাম। আমার মনে হল... বাবা আমার চুলে হাত রেখে বলছেন...
- মনু... তর মারে দুঃখ দিস না...বাপ।
আমার চোখের জল বাবার কবরের ওপর গিয়ে পড়ল।
- দিমু না। কোনদিন দিমু না।

আমি একবারও আমাদের বাড়ির দিকে ফিরে তাকালাম না। আমার বড় কষ্ট হয় যে। বিদায় বেলায় নিজের শেকড়ের দিকে ফিরে তাকানোর মত ভয়ংকর কষ্ট আমি কীভাবে সহ্য করব? আমি তো সামান্য একটা ছেলে।

চাঁদের আলোর সর রাস্তার কোল জুড়ে নেমে এসেছে। সেই সর মাখা পথে মাঝে আমি আর মা হাঁটছি। আমাদের ভালোবাসার ঘরটা ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে।
না... ঘর কখনো তার মানুষদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় না। মানুষই দূরে সরে যায়!

নানাবাড়িতে পৌঁছার সাথে সাথেই আমাদের নিয়ে বড় মামা আর মেঝ মামা'র মধ্যে যুদ্ধ শুরু হল। বড় মামা বললেন...
- আমি বড় ভাই... রাশেদা আমার ঘরত উঠব...
মেঝ মামা বললেন...
- বড় ভাই হইলেই তো হইব না... বিচার বুদ্ধি কিছু থাকন লাগব।
আমি উঠোনের এক কোণে দাঁড়িয়ে রইলাম। উঠোনের মাঝখানে একটা বেড়া দেওয়া। একপাশে বড় মামা'র ঘর- একপাশে মেঝ মামা'র ঘর। আমি দু চোখ দিয়ে ছোট খালাকে খুঁজতে লাগলাম। ছোটবেলায় নানাবাড়িতে এলে আমি সারাদিন ছোট খালার সাথেই থাকতাম।

ওদিকে মামাদের যুদ্ধ থেমেছে। বড় মামাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হলেন মনে হয়। বড় মামা এতক্ষণে মনে হয় আমাকে দেখলেন। ভরাট গলায় আমাকে ডাকলেন...
- মনোয়ার না... বিরাট বড় হইয়া গ্যাসে দেখন যায়... এদিক আয়।
বড় মামী আমার কপালে একটা চুমু দিলেন। লজ্জায় আমার কান লাল হয়ে গেল। মাথা নীচু করে ফেললাম। মামী গাল টিপে দিয়ে বললেন...
- লজ্জা পাওনের কী আছে?... তুমি তো অখনো ছুড। আমি মাথা নীচু করেই বললাম...
- খালা কই?

বড় মামী আমাদের জন্য মুরগী রান্না করলেন। মা আড়ষ্ট ভঙ্গিতে বারবার বলল...
- ভাবী...কী দরকার আছিল? আপনের পাকঘরে গিয়া কাম নাই... আমারে দ্যান। আমি কুইটা দিই...
বড় মামী হেসে বললেন...
- থাউক... দুইদিনের লাইগা থাইকতে আসছ... জিরাও একটু।
বড় মামীর কথাটা আমার কেমন কেমন লাগল। মা কিছু বলল না। মায়া ভরা দুটি চোখে আমার দিকে তাকাল শুধু।

ছোটখালাকে কোথাও খুঁজে পেলাম না। ছোটখালার কথা জিজ্ঞেস করলে... কেউ কিচ্ছু বলে না। কেমন করে তাকায় আমার দিকে। আমি বুঝতে পারি... ছোটখালা কোথায় হারিয়ে গেছে। আমার মন খারাপ হয়... ভীষণ।

বড়মামার ঘরের পাশে ছোট্ট একটা ঘরে আমাদের থাকতে দেওয়া হল। রাতের বেলা আমি আর মা পাশাপাশি শুয়ে আছি। মার কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম। আমার মনটা কেমন করে। মাকে জড়িয়ে ধরলাম...
- মা...কাঁদবানা কইলাম!
মা আমাকে বুকের মধ্যে টেনে নেয়। বলে...
- আমারে মাফ কইরা দিস... বাপ।
আমি কিছু বলি না। কেঁদে কেঁদে মা'র বুকের ভেতরটা ভিজিয়ে দিই। ঘরের ছোট্ট একটা জানালা দিয়ে এক টুকরো আকাশ দেখা যায়। আকাশে তারাদের মেলা বসেছে। আমার খুব ঐ তারাদের মত হতে ইচ্ছে করে। খুব ইচ্ছে করে!

সকালে গ্রামে ঘুরতে লাগলাম। লোকজন কী ব্যস্ত। রাস্তার পাশে কয়েকজন দোকান খুলে বসেছে। সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে বলে...
- পিস্তল লাগব বাবু? তলোয়ার আছে... টিপু সুলতানের তলোয়ার।
কাউকে চিনি না। কেমন যেন লাগে! রাশু...সালামদের কথা খুব মনে পড়ে। এশার কথা মনে পড়ে। বাবার কথা মনে আসে! হঠাৎ কেউ একজন আমাকে ডাকল...
- এই ছ্যারা, তর নাম কী? কাগো বাড়ির? কুনদিন তো দেহি নাই।
আমি ছেলেটার দিকে তাকালাম। ছেঁড়া একটা হাফপ্যান্ট পরনে... খালি গা। আমি বললাম...
- নানাবাড়িত বেড়াইতে আসছি। তোমার নাম কী?
ছেলেটা রাগী রাগী কণ্ঠে বলল...
- আমি আগে তর নাম জিজ্ঞাস করসি...
ছেলেটার রাগী মুখ দেখে আমার মন ভালো হয়ে গেল। হেসে বললাম...
- আইচ্ছা... আমার নাম মনু...
এবার সে মুখ গম্ভীর করে ফেলল...
- মনু! এইডা কুন নাম অইল।
- তাইলে তোমার সুন্দর নামডা শুনি।
ছেলেটার মুখের গাম্ভীর্য আরো বেড়ে যায়...
- জুয়েল।
- হ... ভালা নাম।
জুয়েল তার প্যাণ্টের পকেট থেকে একটা জিনিস বের করল...
- এইডা কী দেখলি?
আমি জিনিসটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করলাম। কালো একটা জিনিস। উপরে ওয়ান...টু... লেখা।
- কী এইডা?
জুয়েল তৃপ্তির হাসি হাসল...
- এইডা হইল গিয়া মুবাইল। এইডা দিয়ে ফুন করন যায়।
- তুমি কই পাইলা?
জুয়েল খুব সহজভাবেই বলল...
- কামাল মিয়া মেম্বারের বাড়ি থেইকা চুরি করছি।
আমি ভীষণ অবাক হলাম।
- চুরি করছ মানে?
- মানে নাই কুন। আমি হইলাম চুরের পুলা। চুরের পুলা চুরি না কইরা কী করব?
- চুরের পুলা?
- হ... আমার বাপে চুর...আমার মায়ে চুর... আমার চৈদ্দগুষ্ঠী চুর।
জুয়েলের কথা শুনে আমার মজা লাগল। আমি মোবাইলটার দিকে তাকালাম। এটা দিয়ে এশাকে ফোন করা যাবে? এশার সাথে কথা বলা যাবে?
জুয়েল আমার হাত থেকে জিনিসটা নিয়ে নিল...
- এদিক দে... নিয়া আবার দৌড় দিবি..
জুয়েলকে আমার খুব ভালো লাগল। আমাকে ওদের গ্রামের নতুন রেললাইন দেখাতে নিয়ে গেল। বলল...
- এইডা দিয়া রেল যায়... একবার রেলে উডলে আর চাওন লাগব না... এক্কেবারে ডাকা শহর গিয়া নামতে হইব...
আমি জুয়েলকে জিজ্ঞেস করি...
- তুমি ইশকুলে যাও না?
- চুরের পুলা ইশকুলত গিয়া কী করব?

আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরলাম। চোরের পোলা জুয়েল আমার বন্ধু হয়ে গেল। জুয়েলকে জিজ্ঞেস করলাম...
- মুবাইলটা দিয়ে এশার সাথে কথা কওন যাইব?
জুয়েলকে রহস্যময় ভাবে বলে...
- এশা আবার ক্যাডা।
কিছু একুটা বলতে গিয়েও আমি থেমে যায়। তারপর ধীরে ধীরে বলি...
- এশা একটা মাইয়া!

দুইদিন পর দুপুরের খাবার খাচ্ছি। ভাতের সাথে কলা ভর্তা। আমি...মা... বড় মামা আর বড় মামী। হঠাৎ বড় মামা কথাটা বলল...
- রাশেদা আর কয়দিন থাকবি?
ভাত মুখে দিতে গিয়ে মা থমকে গেল। আমি স্পষ্ট দেখলাম... মার চোখ ভিজে উঠছে। ভেজা চোখে মা আমার দিকে তাকাল।
ভেজা চোখে মানুষ বোধহয় প্রিয় কোন মুখ দেখতে চায়। অসহায়ের মুহুর্তে সেই মুখটাকে দেখে... কিছুটা সাহস লাভের চেষ্টা। মা আমার দিকে তাকিয়েই মামাকে বলল...
- ভাইজান আমি কই যামু?
- ক্যান জামাই মইরা গেলে বাড়ি ছাইড়া চইলা আসতে হয় নাকি?
- আপনারে তো কইছি ভাইজান... হাশেম মেম্বারের মত বজ্জাত লোক দুনিয়াত নাই। হেই আমারে শেষ কইরা দিব...আমার মনুরে শেষ কইরা দিব...
মা কাঁদছে। আমি কী করব বুঝতে পারি না! মামা বলে...
- আমি তোরে দিয়া আসুম...আর ঐ হারামীর বাচ্চা হাশেম কী করবার পারে আমি দেখুম।
মা যেন এসব কিছুই শুনতে পায় না। এই রোদ মাখা দুপুরে আমি দেখতে পাই...মা পাগলের মত কাঁদছে আর বলছে...
- ভাইজান আমাগোরে ভাগাইয়া দিয়েন না...দরকার হয় আমি আপ্নাগো সব কাজ কইরা দিমু... রাইতের বেলা ঐ ঘরডায় শুইয়া থাকুম...
বড় মামা গম্ভীর হয়ে বলে...
- এইডা একটা কথা কইলি...রাশেদা। ভাইয়ের বাড়িত ভইন কাম কইরা থাকব।
সামনে রাখা ভাতের থালা মা'র চোখের জলে ভরে যায়। আমার কিচ্ছু ভালো লাগেনা। আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না।
বড় মামা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তারপর নিজে নিজেই বলে...
- তোর একডা ব্যবস্থা না কইরা আমি থামতাসি না... বুঝলি রে রাশেদা। তর বয়স-আয়সও তেমন একডা অয় নাই। আমি চিন্তা করসি... তোরে আবার বিয়া দিমু। কী কও নাসিমা?
বড় মামী সায় দেয়। আমি মা'র দিকে তাকাতে পারি না। রোদে মাখা দুপুরে আমার ছুটে পালাতে ইচ্ছা করে... যেখানে অন্যের বাড়িতে থাকতে হয় না... যেখানে মায়ের বিয়ে নিয়ে কেউ কথা বলে না... যেখানে শুধু এশারা থাকে... যেখানে রাশু বাঁশি বাজায়... আমার শ্যাম যদি হইতো মাথার কেশ...যেখানে আমি বাবার হাত ধরে গান শুনতে যাই...

মামার বাড়িতেই আমাদের দিন কাটতে লাগল। মা সারাদিন কাজ করেন। আমি বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায়। জুয়েলের সাথে গুলতি নিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলি। রাতের বেলা মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাই... বড় মামা মা'র আসন্ন বিয়ে নিয়ে কথা বলে... মা কোন প্রতিবাদ করে না... আর আমি অবাক হয়ে চিন্তা করি... মা প্রতিবাদ জানায় না কেন? আমি মাকে কখনো জিজ্ঞেস করি না। শুধু রাতের বেলা ঘুমানোর সময় মার গায়ে হাত রেখে বলি...
- মা... চল আমরা চইলা যাই।
মা আমাকে আরো কাছ টেনে নেয়...
- কই যামুরে পাগলা?
- আমাদের বাড়িত...
- আমারও মন চায় তর বাপের বাড়িত যাইতে...
তারপর মা আমার মাথায় হাত রেখে গান শোনায়। ছোট্টবেলায় যেমন শুনত। আমার কেমন অদ্ভুত লাগে এই গান। জানালা দিয়ে যে পৃথিবীটা দেখা যায়... সেটাও বড় অদ্ভুত লাগে। মায়ের গান থেমে গেলে শেয়ালের ডাক শোনা যায়। আমার চোখ দুটোকে বড় ভারী মনে হয়...

সেদিন দুপুরে জমির পাশে বসে আছি। জুয়েলের কণ্ঠ শুনতে পেলাম...
- ঐ... মনা...ঐ মনা।
গাধাটা আমাকে মনা বলে ডাকে। কেন ডাকে কে জানে। আমি জিজ্ঞেস করলে...দাঁত বের করে বলে...
- মনু ডাকতে গেলে আমার গাল ফুইলা যায়...হের লাইগা মনা কই...
আমি জুয়েলের দিকে তাকালাম। জুয়েলের পাশে যাকে দেখলাম... তাকে দেখে মনে হলো আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাব...রাশু রাশু...
আমি রাশুর কাছ ছুটলাম। পাগলের মত জড়িয়ে ধরলাম... কেমন আছিস রাশু... সালামরা কেমন আছে?... এখনো তুই স্কুলের মাঠে বসে বাঁশি বাজাস?... হাজার হাজার কথা জানতে ইচ্ছে হল আমার। কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারলাম না। রাশুকে
জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম...রাশুও কেঁদে দেয়... জুয়েল আমাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
রাশু বলতে লাগল...গ্রামের কেউ জানে না...আমরা যে এখানে আছি। রাশুর মনে হয়েছে...আমরা নানাবাড়িতে আসতে পারি। আমাদের বাড়িতে হাশেম মেম্বার অফিস খুলেছে... সালামটার দুষ্টুমি আরো বেড়েছে- এসব কথা রাশু আমাকে বলতে লাগল। তারপর এমন একটা কথা বলল... যেটা শোনার জন্য আমি হাজার বছর জন্মাতে রাজী আছি... এশা গ্রামে এসেছে... এশাই রাশুকে আমাকে পাঠিয়েছে আমাক খুঁজতে। রাশু আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল।
- এশা দিসে...
আমি খেয়াল করলাম...আমার হাত কাঁপতে শুরু করেছে... কাঁপা কাঁপা হাতে আমি কাগজটা নিলাম... গুটি গুটি অক্ষরে কিছু অদ্ভুত লেখা... স্কুলে ব্যকরণ বইয়ে দেখেছি...কেউ কাউকে চিঠি লিখলে শুরুতে প্রিয় এই...প্রিয় সেই... কিছু একটা লেখা থাকে। এশার চিঠিতে এসব কিছুই লেখা নেই... এমনও হতে পারে এটা কোন চিঠিই না। ঝাপসা চোখে আমি পড়তে শুরু করলাম...

'' কেমন আছ মনু?
তুমি খুব পচা। কাউকে কিচ্ছু না বলে কোথায় চলে গিয়েছ? অনেক কষ্টে আব্বুকে রাজী করিয়ে সাতদিনের জন্য তোমাদের গ্রামে এসেছি। এসেই তোমাদের বাড়িতে গেলাম। তোমাকে খুঁজে পেলাম না। একটা গোঁফওয়ালা লোক তোমাদের বাড়িতে বসে আছে। আমাকে জিজ্ঞেস করল...খুকী তোমার নাম কি?... কেউ আমাকে খুকী বললে আমার রাগ হয়। আমি লোকটাকে আচ্ছামত বকে দিলাম। রাশুও তোমার খবর জানে না। তুমি এত্ত খারাপ কেন? কাউকে কিছু না বলে চলে যাওয়া কী ঠিক?
তোমার জন্য অনেক বই এনেছি... আর বিশাল লম্বা একটা বাঁশি এনেছি...লম্বায় আমার থেকেও বড়...হি হি হি। আমি অনেক চেষ্টা করেও কিচ্ছু বাজাতে পারি নি... শুধু ফুক ফুক একটা শব্দ বের হয়... আব্বু তো আমার অবস্থা দেখে হাসতে হাসতেই শেষ...
এখন আর কিচ্ছু বলব না। তুমি এক্ষুণি চলে আস... এক্ষুণি চলে আস... আমরা পরশু চলে যাব।
তোমার জন্য আমার মন খারাপ...
--- এশা

বিঃদ্রঃ যদি না আস... তাহলে তোমার সাথে আর কক্ষনো কথা বলব না। প্রমিস...''

(চলবে...)


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

দারুন হয়েছে। বাবার প্রতি ভালোবাসার বর্ণনা, মানুষের লোক দেখানো ভাব, রোমান্স সব...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

তুই তো বিশ্লেষণ ধর্মী পাঠক হয়ে যাচ্ছিস!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভাবনার নাওয়ে রং বেরং-এর পাল, সেই পালে লাগসে দখিনা হাওয়া। এখন এই হাওয়া নাওরে কই লইয়া যায় সেইটাই দেখোনের অপেক্ষায় আছি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

পরিবর্তনশীল এর ছবি

গুরু ইদানীং কঠিন কঠিন ভাবের ডায়ালগ দিতেসেন দেখন যায়
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্বপ্নাহত এর ছবি

আমি কিন্তু পড়তেসি...

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কী পড়স???
মেকানিক্স।.।.।.
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এতো কিছু!!!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হে হে হে
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তারেক এর ছবি

ভালো হচ্ছে। চলুক
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

পরিবর্তনশীল এর ছবি

চল চল চল
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

থার্ড আই এর ছবি

"তুমি এক্ষুণি চতুর্থ পর্বটা লিখে ফেলো, এক্ষুণি এক্ষুণি.. যদি না লিখ তাহলে তোমার গল্পে আর কক্ষনো কমেন্ট করবো না ।"
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

পরিবর্তনশীল এর ছবি

বস।.।.।.আজকেই দিয়া দিব
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

থার্ড আই এর ছবি

প্রমিস... ??
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অনিন্দিতা এর ছবি

এত ভাল কিভাবে লিখ ভাই?

পরিবর্তনশীল এর ছবি

দেঁতো হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মুশফিকা মুমু এর ছবি

এই পর্বও খুব ভালো লাগলো, এরপর কি হয় জানতে ইচ্ছে করছে। হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আশা করা যাইতেছে...
অচিরেই জানিতে পারিবেন
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আরে !
আমার কমেন্টটা গেলো কই !!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এইত্ত
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতিথি লেখক এর ছবি

এতো দেরী কইরা পর্ব গুলা পাঠাইলে ভার্চৃয়াল ইটা মারুম (খেপতাছি)

দারুন হইছে.... পরেরটা তাড়াতাড়ি পাডান ভাই ...

কল্পনা আক্তার
কল্পনাআক্তার@হটমেইল.কম

..................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

অতিথি লেখক এর ছবি

কি বলবো বলেন?শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না।কি হবে ভাই এত ভালো লিখে?
-নিরিবিলি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমি কোনও লেখাই প্রিয় পোস্টে রাখি না। কারণ তাহলে প্রিয় পোস্ট দিয়ে আরেকটা ্বলগ হয়ে যাবে।

কিন্তু মাঝে মাঝে এই সিদ্ধান্তর জন্য আমার আফসোস হয় ... ...

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এই ভালো লাগা... আমার জন্য অনেক বিশাল পাওয়া। আবার হারানোর ভয়ও...আমি এই ভালো লাগা হারাতে চাই না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ঝরাপাতা এর ছবি

আবারো আপ্লুত হলাম।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।