রাজশাহীনামা ০১: তরু ভাইয়ের বোরাক

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: রবি, ২৭/০৬/২০১০ - ২:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাবি মেইন গেটের সামনে পাঁচ মিনিট দাঁড়াতেই পেয়ে গেলাম ইলেক্ট্রিক পঙ্খীরাজের দেখা। autoরিজার্ভ-এ যেতে চাই শুনে পঙ্খীরাজচালক বললেন আমাকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে নেবেন ৪০ টাকা। রিজার্ভ না হলে আরো লাভ হত সেইটেও জানিয়ে দিলেন যাতে আমি আর দরদাম না করি। আমি মধ্য দুপুরে প্রিয় শহরের অপ্রিয় খরতাপ ভোগ করতে হবে না জেনে সানন্দেই রাজি হই তার প্রস্তাবে। খুশি হবার আরেকটা কারণ অস্বাভাবিক গরম আর ততোধিক চরম ব্যস্ততায় আমার বেশ কিছুদিনের ইচ্ছে পঙ্খীরাজচালকের সাক্ষাৎকার প্রকল্পটি প্রায় মাঠে মারা যেতে বসেছিল। আজ নির্বিঘ্নে এইটে সারা হয়ে যাবে ভেবে আলাপ শুরু করে দেই আমি, পঙ্খীরাজ উড়তে শুরু করার কিছুক্ষণের মাঝেই।

“গাড়ি কি আপনার নিজের নাকি?” প্রশ্ন করি আমি।
“না, আমি সকাল ৯টায় নেই, রাতে ১১টার দিকে ফেরত দেই মালিককে।"

“কয় ব্যাটারিতে চলে আপনার গাড়ি?”
“চার ব্যাটারি।"

“আচ্ছা। কতক্ষণ লাগে ফুল চার্জ হতে?”
“এইতো ধরেন ৪৪০-এর লাইন হলে রাতে ৭ ঘন্টা চার্জ পাইলেই হয়, নাইলে ২২০-এর লাইন যেমন ধরেন বাসায়, ১২-১৪ ঘন্টা লাগে।“

“যদি লোডশডিং না হয় তাইলে তো? তা ৪৪০-এর লাইন পান কই? চার্জ থাকে কতক্ষণ?”
“জ্বি। ঐ যে যেসব গাড়ির গ্যারেজ আছেনা? গাড়ি সারে, বা হাওয়া, চাকা এইগুলির দোকান, ব্যাটারির দোকান, এদের আছে ৪৪০-এর লাইন। আর একবার ফুল চার্জ হলে ১৪০ কিলোমিটার মত চলে।“

“আচ্ছা, ছোট গাড়িগুলিও?”
“নাহ, ব্যটারি কয়টা সেই হিসেবে গাড়ির হিসাব। এটা যেমন ৪ ব্যাটারির গাড়ি। আর আছে ছোট, ২ জন চড়তে পারবে সেগুলা ২ ব্যাটারির। আর সবচেয়ে বড় গুলান ৫ ব্যাটারির। ৫-এর গুলা প্রায় ১৬০ কি.মি. যায়।“

দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতির পরে মাস কয়েক আগে প্রিয় শহরে ফিরে যে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তনটি চোখে পড়েছিল তা ছিল নগরীর রাস্তায় ছেয়ে যাওয়া ব্যাটারি চালিত ২-৮ জন ধারণক্ষম এই বিশেষ নাগরিক বাহনগুলি। রাজশাহী ছোট শহর। এখানে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের যাত্রাপথের সাথী হল রিকশা। দূ্রে যেতে হলে আছে টেম্পুর মত 'এমা' গাড়ি। মিশুকও চলে এই শহরান্তরের পথগুলিতে। বেবী ট্যাক্সি যাকে এখন বলে সি.এন.জি. সেটাও চলে এই আন্তঃশহর রুটগুলিতে, কিন্তু সি.এন.জি. নামে নয়, হবে কী করে? গ্যাস তো এখনো আসছি-আসবোই করে চলেছে এই শহরে! পুরোনো সেই এক-ঘোড়ায় টানা টমটম-এর অকেশনাল চাহিদা কিন্তু এখনো আছে সহস্রাব্দের পুরোনো এই নগরীতে। জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই নতুন বিদ্যুৎচালিত যানের ওদিকে নামকরণ হয়েছে বিভিন্ন - উল্কা, বোরাক, আবার ঐতিহ্যবাহী টমটমের নামেই ইলেক্ট্রিক টমটম। কারা বাজারজাত করছেন বা মালিক কোন কোম্পানী সেই হিসেবেই নামগুলি।

নগরীর গণক পাড়ায় চোখে পড়ল এই 'মনপুরা' বাহনটিকে!
Monpura Car!

বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সরণী ধরে যেতে যেতে আরো গল্প হয় চালকের সাথে। নাম বলেন মো. তরু। মহানবী (সা:) মেরাজ-এ গিয়েছিলেন বোরাক (বোররাক) এ চড়ে। আর মো. তরু ভাই চালাচ্ছেন এই বিদ্যুতচালিত বোরাক। আমার আজব প্রশ্নের বাহারে বেশ আগ্রহ নিয়েই গল্প করেন তিনি। মাথা প্রায় ১৮০° ঘুরিয়ে আমার দিকে ফিরে জবাব দেবার সময় আমি একটু ভয়ই পাই রাস্তা থেকে তার মনোযোগ সরিয়ে নেয়ায়! ভরসা এই যে রাজশাহী যানযটের শহর নয়, আর ভরদুপুরে রাস্তায় যানবাহনও কম।

কথায় কথায় জানা হয় তরু ভাইয়ের বোরাক মালিকের আছে ৩ টা ইলেক্ট্রিক কার। এগুলি সকালে নিয়ে নেন তার মত চালকেরা, দিনান্তে ফেরত দিয়ে আসেন মালিকের কাছে।

তরু ভাই জানান, “দুপুর ৩টা থেকে সাড়ে চার বা ৫টা পর্যন্ত বাড়িতে থাকি, গোসল, খাওয়া করি। ততক্ষণ আবার ২ ঘন্টা চার্জ হয় গাড়ি, বাড়ির লাইনে। আর বিকালে বের হয়ে আবার রাত ১০-১১টা পর্যন্ত চালাই। রাতে একটা গাড়ি চার্জ হয় মালিকের বাসায় আর দুইটা হয় গ্যারেজে।”

বলতে বলতেই একটা গাড়ির গ্যারেজ অতিক্রম করে আমাদের বোরাক আর তরু ভাই হাত দিয়ে দেখিয়ে বলেন, “ঐ যে দেখেন, চার্জ হচ্ছে গাড়ি।” আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি, তাই তো!

“কত পড়ে খরচ?” জানতে চাই আমি।
“দোকানে পড়ে ৭০ টাকা/রাত। ৬০ টাকা চার্জের জন্য, আর ১০ টাকা দিতে হয় পাহারাদার থাকে যে, তার জন্য।”

“দেড়শো কি.মি. চালান যায় যখন আপনারটা তাইলে তো ২ দিনে একবার ফুল চার্জ হলেই চলে নাকি?”
“নাহ। কারেন্ট তো সব সময় থাকে না।” সর্বজনস্বীকৃত তথ্যটি স্মরণ করিয়ে দেন তরু ভাই।
“আর তা ছাড়া আমরা সারা দিন রাতে শহর জুড়ে ট্রিপ দেই, প্রতি দিনই চার্জ দিতে হয় তাই।”

“আপনার টায় তো ৬ জন প্যাসেঞ্জার উঠতে পারে মনে হচ্ছে। কেমন ভাড়া ধরেন প্রতি কি.মি.?”
“জ্বি, ৬জন। আমার পাশেও ২ জন বসতে পারেন অবশ্য।” (আমি এই হালকা তিন চাকার যানের নিরাপত্তা নিয়ে খানিক চিন্তিত হই। ঠেঁসেঠুসে বেশি মানুষ ওঠানোর অভ্যাসটা আমাদের সহজে যাবে না মনে হয়)! “ভাড়া হল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাজার ৫ টাকা জনপ্রতি।”

“আর কোর্ট?” জানতে চাই আমি।
“১০টাকা”, আমার প্রশ্নের জবাব দেন বোরাক চালক।

“লাভ থাকে ভাল?”
“তা থাকে মোটামুটি। আমাকে যেমন ৪০০ টাকা দিয়ে এই গাড়িটা নিতে হয় প্রতিদিন সকালে। আর সারা দিনে সাতশ থেকে হাজারের উপরে ইনকাম হয়। ঐ চারশ বাদে বাকি সব লাভ আমার।”
কথা শেষ করার আগেই মোবাইল ফোন বেজে ওঠে মো. তরু-র। প্রশ্নোত্তর বাদ দিয়ে আপাতত ফোন ধরতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

তারমানে, ৪৭০ টাকা হল প্রতিদিনের খরচ, আর দিনে ২৪০-৬০০ টাকা লাভ। তুলনামূলক কম খরচের শহর রাজশাহীতে মন্দ নয়, প্রায় একজন ভাল চাকুরের সমান আয়, মনে মনে হিসাব কষি আমি। ইচ্ছা করলে টাকা বাঁচিয়ে তরু ভাইও একটা এল.সি.ডি. মনিটর (অথবা টিভি) কিনে ফেলতে পারে আমার মতই! চিন্তিত ভালই লাগে ভাবতে। হাসি

আরো ভাবি, সুবিধা না অসুবিধা হয়েছে এই হালকা তিন চাকার বাহনগুলি রাস্তায় নামায়। রিকশার চেয়ে ভাড়া পড়ছে তুলনামূলক কম। ওদিকে রিকশার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দ্রুতগামী সবচেয়ে কম শক্তিশালী গাড়িগুলিও। শিক্ষিত ছেলে অনেকেই যারা বেকার ছিলেন নেমে পড়েছেন এই ব্যাবসায়। নিজেও চালাচ্ছেন অনেকে। আগে একটা সমস্যা ছিল পারিবারিক ভ্রমণে। কোথাও বেড়াতে যেতে চান একটা পুরো পরিবার, তা সে দাওয়াতই হোক বা সান্ধ্য ভ্রমণ, নিজস্ব গাড়ি নেই, তাই নিতে হত ২-৩ টা রিকশা, অথবা এক রিকশায় বিপজ্জনকভাবে উঠলেন ৩ জন। এখন দেখছি দিব্বি একটা ইলেক্ট্রিক কার ভাড়া নিয়ে ভ্রমণ করছেন মানুষজন। খরচ, নিরাপত্তা দুইদিক থেকেই ব্যাপারটা লাভজনক।
গৌরহাঙ্গা মসজিদের কাছেই একটা পুরো পরিবারকে দেখলাম রিজার্ভ করছে এমন একটি গাড়ি।
Family

গাড়িগুলির আবার রকমফের আছে। হুডওয়ালা, হুড ছাড়া, চারপাশ ঘেরা, একেবারেই খোলামেলা, একেক জনের গাড়ি একেক রকম। উল্কা গুলি হয় লাল রং-এর, বোরাক সাধারণত সবুজ। রাজশাহীর অনেক নতুন পুরোনো ব্যবসায়ী এগুলির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগও নিয়েছেন অনেকেই। আমার জানামতে আরো বেশ কয়েকটি শহরে পরীক্ষামূলকভাবে রাস্তায় নেমেছে বিদ্যুতচালিত গাড়ি। ঢাকায় গুলশান-বারিধারায় চোখে পড়েছে কয়েকটি। তবে ঢাকার ভারী আর দ্রুতগামী যান চলাচলের প্রধাণ সড়কগুলিতে একই সাথে এই ধীরগতির যান চালান সম্ভব নয়।

আলাপে তরু ভাই জানিয়েছিলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই লাইসেন্স দিয়েছে প্রায় ১৪০০ গাড়ির। নামার কথা মোট ১০ হাজারের উপরে। সেই হিসেবে একবার মনে হল, রিকশা বোধহয় তার জনপ্রিয়তা হারালেও হারাতে পারে এই নতুন যানের ভিড়ে। কিন্তু পরক্ষণেই শান্ত হলাম এই ভেবে যে, পাড়ার ভেতরের অলি-গলি যাত্রায়, রাবির অভ্যন্তরে এর চাহিদা থাকবেই। আর যে যাই বলুক রিকশা ভ্রমণের অন্য একটা আবেদন রয়েছে। হাসি
এসব যখন ভাবছি, ততক্ষণে ফোনে কথা ফুরিয়েছে তরু ভাইয়ের।

আমি জিজ্ঞেস করি, “স্পিড কত হবে এই গাড়ির?”
তরু ভাই সাগ্রহে জানান ওরটা চলে ২০ কি.মি./ঘন্টা হিসেবে। ৫ ব্যাটারির গাড়ি চলে ঘন্টায় ৪০ কি.মি. স্পিডে।

auto

ইলেক্ট্রিক কারগুলি বেশ হালকা, দ্রুতগামী ভারী কোন বাহনের সাথে সংঘর্ষে ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে! কিন্তু রাজশাহী-নাটোর, রাজশাহী-নওগাঁ, বা রাজশাহী-নবাবগঞ্জ, বা শহরের মাঝেই যে এমা (Emma) গাড়িগুলি (ঢাকার টেম্পুর মত) চলে, সেগুলোর হিসেবে এগুলো অনেক নিরাপদ মনে হয়। ঐ এমা গাড়িগুলি ইতিমধ্যেই 'বিখ্যাত' হয়ে গেছে মারাত্মক সব দুর্ঘটনা ঘটিয়ে, আর বেপরোয়া বেগে চালিয়ে। মনে হচ্ছে মানুষজনও এখন এই উল্কা বা বোরাকে চড়তেই নিরাপদ আর সাচ্ছন্দ্য বোধ করছে বেশি। নবাবগঞ্জ, নাটোর যাবার জন্যেও রিজার্ভ করছে, জানালেন তরু ভাই। সময় বেশি লাগলেও, খোলামেলা বেশ, আর খরচটাও কম। আবার একই সাথে একটা বড় সমস্যা যেটা টের পাচ্ছি নিজেরা গাড়ি নিয়ে বের হলে, তা হল, এই ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলির গতিবেগ বেশ কম হওয়ায়, পথের মাঝে এরা দ্রুতগামী যানকে জায়গা করে দিতে সময় নিচ্ছে অনেক বেশি।

খেয়াল করে দেখলাম এই গাড়িটায় কোন গিয়ার চেঞ্জের ব্যাপার নেই। হাতের হ্যান্ডেলে পীক-আপ ব্যাবস্থা।

auto

“ব্যাক-এ যান কী করে?” শুধোই আমি।
“এই যে, এখানে দেখেন”, চালকের সীটের ডান পাশে একটা বক্স নির্দেশ করেন তরু ভাই, একটা গিয়ার স্টিক বের হয়ে আছে তার থেকে।
“এইটা ব্যাক গিয়ার হিসেবে কাজ করে”, আমাকে জ্ঞান দান করে আনন্দ পান তিনি।

আলাপ হয় আরো টুকটাক বিষয়ে। যেখানে ঢাকায় সি.এন.জি. কে খাঁচা বানিয়ে ফেলা হচ্ছে, সেখানে এই শহরে তুলনামূলক ধীরগতির ইলেক্ট্রিক কারগুলি রীতিমত খোলামেলা। জোড়ে বৃষ্টি এলে ভিজে একসা হবে সবাই। নিরাপত্তার কী হবে? এমনটা ভাবা স্বাভাবিক অবশ্য। কিন্তু আমার অবলোকনে এমনিতেই রাজশাহী বেশ শান্ত শহর। এখানে হাইজ্যাকিং, খুন-রাহাজানির ঘটনা ঘটে খুব কম। আর দিনের আলোতে ব্যস্ত শহরে সেই সম্ভাবনা আরো কম।
আমার মনে হয়, মেয়েরাও এই গাড়ি চালান শুরু করতে পারেন। অন্তত ১০ জন শুরু করলেই পুরো ব্যাপারটার তথাকথিত সামাজিক অসঙ্গতি চোখে লাগাটা কমে আসবে মানুষের। নিরাপত্তার দিক থেকে এই শহরে মনে হয় না ব্যাপারটা মন্দ হবে। চালিকাদের সুবিধার্থে প্রাথমিকভাবে কিছু ধরা-বাঁধা রুটে নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে চালু করে দেখা যেতে পারে এটা। এখন যেমন মহিলা-পুরুষ শেয়ার করে এমা, আর ইলেক্ট্রিক কারে উঠছেন, ধরা যাক তখন চাইলেই শুধু মেয়েরাই উঠতে পারবেন মহিলাচালকের গাড়িতে। আমার মনে হয় জনপ্রিয়তা পাবে ব্যাপারটা। চিন্তিত

এতসব ভাবতে ভাবতেই গন্তব্য চলে আসে। সময়াভাবে বাকি থেকে যায় তরু ভাইকে করার আরো অনেক প্রশ্ন। ভাবি একটা উল্কা ফ্যাক্টরীতেই হানা দিতে হবে এবার। খরচ আর পাওয়ার সেভিংস ইত্যাদি দিক থেকে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হিসেবে কেমন হতে পারে এই ইলেক্ট্রিক কার প্রজেক্ট রাজশাহী মহানগরীর জন্যে তা নিয়ে আরেকটু ঘাঁটাঘাঁটি করা দরকার। বিদায় জানাই তরু ভাইকে। তার আগে তাঁর ফোন নম্বরটা টুকে নেই নিজের দূরালাপনীতে।
তরু ভাই তাঁর বোরাক-কে নিয়ে উড়াল দেবার আগে মনে করিয়ে দেন, সকাল ৯টার আগে, আর বিকেলে ৩-৫টার মধ্যে ফোন দিলে পাব না ওঁকে। আমি “ওকে”, বলে টা টা দেই। আর আপনাদের সুবিধার্থে এই যে নিন মো. তরুর ফোন নম্বর: ০১৭১৮৯৩৯০৪৬।
রাজশাহী আসলে দেখা হলেও হবে হয়ত কোন এক উল্কা, বোরাক বা টমটমে। হাসি

Gourhanga

থ্রি-ফেজ ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইন
নগরীর প্রাণকেন্দ্র ‘সাহেব বাজার’, রাবি থেকে প্রায় ৬ কি.মি. দূরত্ব
রাবি আর কোর্ট হল, পদ্মার পাড়ের এই শহরের দুই প্রান্তে অবস্থিত। রাবি থেকে কোর্ট প্রায় ১৪ কি.মি.

[ প্রিয় নগরী রাজশাহীর টুকিটাকি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখার ইচ্ছা অনেকদিনের। সচলায়তনের সদস্য/অতিথি অনেকেই এই শহর থেকে বেড়িয়ে গেছেন, বা আসার ইচ্ছা আছে জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে, ভালবেসেছেন রাজশাহীকে। সচল শিমুল আপার সাম্প্রতিক ভ্রমন্থনে তাই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম এখানেই ধারাবাহিকভাবে লিখব। কিন্তু সেও প্রায় মাসখানেক হল। সময়াভাবে লেখা শুরু করে উঠতে পারি নাই, সেজন্যে দুঃখিত। আর নিয়মানুবর্তিতায় আমি খুবই দুর্বল। কাজেই নিয়মিত লিখব সেই অঙ্গীকারাবদ্ধ না হয়ে, বরং মাঝে মাঝে লিখব সেই আশা রেখে প্রথম পর্ব জমা দিলাম। আপনাদের প্রতিক্রিয়ার সাগ্রহ অপেক্ষা রইল।
আর সিরিজটির নামকরণে কৃতজ্ঞতা রইল প্রিয় লিখিয়ে বুনোহাঁসের প্রতি। ]
হাসি


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

কী ধরনের ব্যাটারি ওগুলো ?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হাসিব ভাই এগুলি গাড়ির ৬সেলের রিচার্জেবল ব্যাটারির মতই। কিন্তু যার গাড়ির ছবি আমি তুলেছি তার ব্যাটারিগুলিতে সম্পূর্ণ তথ্যই ছিল চাইনিজ ভাষায় লেখা। ওয়াটেজ ইত্যাদি কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। ব্যাটারিগুলির লাইফটাইম কত হবে, ব্যাটারি কিনতে কত খরচ পড়ছে, পুরো গাড়িটার বডি সহ দাম কেমন পড়ছে, চার্জিং-এ প্রতিদিন কত ইউনিট খরচ হচ্ছে এরকম নানা টুকিটাকি জানতে চাই আমি, যা আসলে গাড়ি চালকেরা উত্তর দিতে পারছেন না।

একটা অ্যাসেম্বলিং ফ্যাক্টরি আর একটা গ্যারেজ-এ হানা দেবার ইচ্ছা আছে এই তথ্যগুলির সন্ধানে। আশা করছি সোমবারে কাজের ফাঁকে সময় বের করতে পারলে সেটা করা যাবে। এই আপাত লাভজনক বাহন শেষ পর্যন্ত কোন অবস্থানে নিয়ে যাবে রাজশাহীকে তা জানতে আমি খুবই আগ্রহী।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

হাসিব এর ছবি

আমি আসলে জানতে চাচ্ছিলাম এই রিচার্জেবল ব্যাটারিগুলো কোন প্রযুক্তির । অনেক ধরনের ব্যাটারিই বানানো সম্ভব । কিন্তু সবগুলো পরিবেশ বান্ধব না ।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

তাতো জানি না! আচ্ছা, এটাও খোঁজ নিতে হবে। মনে হত না খুব বেশি তথ্য আপাতত পাব এ ব্যাপারে।
তবে বাংলাদেশে এখন পুরনো ব্যাটারি যত্র-তত্র ফেলে দিতে নিশেধাজ্ঞা আছে, এগুলি জমা দিতে হয় যে দোকান থেকে কিনা, সেখানে। তারা সেগুলিকে ব্যটারি প্রস্তুতকারকদের কাছে পাঠান, রি-সাইক্লিং এর জন্যে।

কিন্তু এই যে ব্যাটারিতে ধরেন চাইনিজ লেবেল লাগায় রাখসে, আমি ভাবছি যে সমূহ সম্ভাবনা এইগুলান আসলে হয়ত ঐ পুরান ঢাকার কেমিকেল আর ব্যাটারি ফ্যাক্টরিতে তৈরি!! সেক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধবতো নয়ই, বরং লক্ষ মানুষের জীবনের জন্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আচ্ছা, আনিস ভাইয়ের সাথে আলাপের সময় বলছিলেন এগুলি ডিপ সাইকল লেড অ্যাসিড ব্যাটারি, পরিবেশবান্ধব নয় মোটেও।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

লেখা অনেক ভালো লাগলো।

ঢাকার রাস্তায় কিন্তু এ জিনিস একদম পোষায় না। আমি একবার চড়েছিলাম। রিক্সাও হার মানিয়ে দেবে এমন গতি।

আর মেয়েদের চালানোর কথায় মনে পড়লো, ঢাকায় নারীচালিত গোলাপি ক্যাব চালু করার রব উঠেছিলো একবার। সেটা যথারীতি থিতিয়েও গেছে পরে। এমন উদ্যোগকে সফল করতে পারলে সেটা দারুণ যুগান্তকারী ঘটনা হবে নিঃসন্দেহে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ধন্যবাদ বুনো। হাসি

ঢাকায় আমি শুধু দেখেইছি, চড়া হয় নাই। আর এটা ঢাকায় চালান অসম্ভব প্রায়, যানজট বাড়বে বই কমবে না। তুমি তো নিজেই চড়েছ এখানে, আর রাজশাহী কেমন শান্ত তাও দেখেছ। আমি সত্যি মনে করি মেয়েদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

এমন উদ্যোগকে সফল করতে পারলে সেটা দারুণ যুগান্তকারী ঘটনা হবে নিঃসন্দেহে।
চলুক ঠিককথা। সামাজিক একটা ছোটখাট বিপ্লব ঘটে যাবে তাইলে। আর এইটা শুরু করবার জন্যে নিরাপত্তার দিক থেকে রাজশাহী বেশ উপযুক্ত শহর।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই বাহন যখন দেশে নামানোর পরিকল্পনা চলছিলো, তখন [সম্ভবত] দুর্দান্তদার একটা লেখা পড়েছিলাম সচলায়তনে।
সেই আশঙ্কা থেকেই বলছি
এই গাড়ি সারাদেশের মফস্বলগুলোতে জনপ্রিয় হতে থাকলে এই বিদ্যুৎহীন দেশে এতো বিদ্যুৎ কোথা থেকে আসবে?
এক রাজশাহীতেই যদি ১৪০০ গাড়ি চলে প্রতিদিন। কী পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন চার্জ দিতে?
বিদ্যুৎ দিতে পারে না বলে কারখানা বন্ধ রাখতে বলছে সরকার একদিকে, আর রাস্তায় নামাচ্ছে বোরাক... গুড

রাজশাহী নামায় সবার আগে আমনামা হইলে ভালো হইতো। আমের সিজন বলে কথা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চিন্তা কইরেন না নজরুল ভাই, 'আমনামা' আসিতেছে অচিরেই। হাসি নূপুরাপু-নিধির ছবি সহ আসিবে নাকি শুধুই আমের আড়তের সেইসব টুকিটাকি বিশ্লেষণ বাকি আছে। আর সময়ের অভাব। মন খারাপ

আসলে শহরে এই ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলির এতই প্রভাব দেখছি, যে অনেকদিন ধরেই এই ব্যাপারটা ঘুরছিল মাথায়। অন্য আর কোন শহরে এই জিনিস এতটা জনপ্রিয় হয়েছে কিনা, বা কে কী ভাবছেন জানতে চাই। ভাবতে ভাবতে সেদিন রাতে এই নিয়েই লেখা হয়ে গেল। আর ঐ বিদ্যুতের ব্যাপারটা নিয়ে জানতে আগ্রহী আমি আর আরো অনেকে। দুর্দান্তদা-র লেখাটার লিঙ্ক দেয়া যাবে?

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইরে, লিঙ্ক আমি কোথা থেকে দেই?
তবে মূল বক্তব্য এটাই যে, দেশে এসব যানবাহন আসছে, এগুলোর রিচার্জের জন্য যে বিদ্যুত প্রয়োজন সেটা কোথা থেকে আসবে? এমনিতেই বিদ্যুতের চরম ঘাটতি। কলকারখানা বন্ধ হওনের উপক্রম। সেখানে এই জাতিয় বিদ্যুতচালিত গাড়ির যৌক্তিকতা কী?
আর বিদ্যুৎ বিল দুই প্রকারের। একটা আবাসিক, আরেকটা কমার্শিয়াল। এই যানবাহনগুলা কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহার হবে, কিন্তু চার্জ হইতেছে ঘরোয়া বিদ্যুতে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আচ্ছা, আমি খুঁজে দেখছি। হাসি তবে দুর্দান্তদার এই লেখাটা পেলাম। এটাও ইন্টারেস্টিং।

বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারে কমার্শিয়াল বিলিং-ই হওয়া উচিত হয়ত। কিন্তু কারো যদি নিজস্ব একটা গাড়ি থাকে, তিনি বাড়িতেই চার্জ করতে চান, সেক্ষেত্রে কী হবে? আসলে পুরা ব্যাপারটা নিয়ে কর্তৃপক্ষ কী ভাবছে, কোন নীতিমালা করছে কিনা, বা আদৌ ভাবছে নাকি খালি লাইসেন্সই ইস্যু করে যাচ্ছে (মোট নাকি দশ হাজার গাড়ি চলবার অনুমতি পাচ্ছে শহরে, যা শুনছি!) এগুলি জানার বিষয়।

কিন্তু একটা ব্যাপার হল, শিল্পায়ন, নগরায়ন, উন্নয়নের যে শাখার যেদিকেই যাই না কেন বিদ্যুৎ অপরিহার্য। এখন পরিবেশদূষণ, জ্বালানি, ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে লোডশেডিং হবে এই দুশ্চিন্তায় কোন প্রকল্প বাদ দেয়া কতটুকু যুক্তিসঙ্গত হবে? চিন্তিত বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে লোডশেডিং কোন সমাধান হতে পারে না! আবার বিদ্যুৎ ঘাটতি, সেই যুক্তিতে উন্নয়ন কার্যক্রমও কি থামিয়ে রাখা যায়? বরং এই ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে হলে কী করণীয় সেইটা বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত আমাদের নীতিনির্ধারকমণ্ডলীর! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ওডিন এর ছবি

ভালো লাগলো। আর অনেকটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ধরনের হওয়ায় পড়তেও মজা পেলাম। হাসি

চলুক

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হাসি
হ্যাঁ, অনুসন্ধান জারি আছে এখনো, এটা বলতে পারি।
ইচ্ছা ছিল আসলে হঠাৎ দেখতে পাওয়া রাজশাহীর কিছু বিবর্তন তুলে ধরা, কী দেখছি, কী ভাবছি। টেকনিকাল লেখা করে ফেলার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু আসলে তৎক্ষণাত যা কিছু প্রশ্ন এসেছে করে ফেলেছি চালককে। আর লিখতে গিয়ে দেখি এই তথ্যগুলি না দিলে কেমন জানি লাগছে। আরো অনেক কিছু জিজ্ঞেস করা হয় নাই, এই যেমন তরু ভাইয়ের বাড়ি কোথায়, ওনার পরিবার কিছু করেন কিনা, ছেলে মেয়ে কয়জন, আগে কি করতেন। দেখি, আরেকদিন ফোন করে ডেকে নিতে হবে তাকে বোরাক সহ।

আমার মজা লাগছে দেখতে যে কেমন সবাই পুরো ফ্যামিলি নিয়ে বেড়াচ্ছেন এই ইলেক্ট্রিক কারগুলিতে চড়ে। ইচ্ছে আছে এই সিরিজটা হবে পুরোনো স্মৃতি, নতুন ভাবনা, বেড়ান, গল্প - সব মিলমিশ, আবঝাব একটা কিছু। হাসি

ধন্যবাদ পড়বার, আর মন্তব্যের জন্যে। হাসি
(লেখাটা এমনি কেমন হল, ভাল লাগছে কিনা পড়তে, তা নিয়ে কেউ তেমন কিছু বলছে না, খালি পড়ে পড়ে চলে যাচ্ছে!) চিন্তিত খাইছে
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দ্রোহী এর ছবি

ভাল্লাগলো।


কি মাঝি, ডরাইলা?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ব্যাটারি কখনও পরিবেশবান্ধব না। তবে অন্যান্য গাড়ির মতন ধোয়া বের হয়না। এসব ইঞ্জিন তৈরী শুরু হয়েছিলো আসলে বিভিন্ন সুপার স্টোর গুলোতে গুদাম থেকে স্টোরে মালামাল আনা নেওয়া এবং রেক বদলানোর জন্য। এছাড়া প্রতিবন্ধি মানুষ জনের স্বল্প দুরত্বে (যেমন বাসা থেকে গলির মাথার স্টোরে) চলাফেরার জন্য কিংবা হাস্পাতালে ব্যবহারের জন্য তৈরি গাড়িতে ব্যবহারের জন্য।
তবে চাইনীজ বুদ্ধি বলে কথা।

...........................
Every Picture Tells a Story

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। হাসি

আর সেটাই। তবে কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে হয়ত অনেকখানি এই ব্যাপারগুলি প্রতিরোধ করা যায়। এখনোতো পুরান ঢাকার ব্যাটারি ফ্যাক্টরি সমস্যা সমাধানের কোন আলাপ দেখলাম না! পুরানো ব্যাটারির ডিসপোজাপ কীভাবে হবে তার কোন নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে কী?

এই গাড়িগুলি চাইনিজ মোটর ব্যবহার করছে দেখলাম। আমার ইনোভেটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং ভাল লাগে। এই যে আমরা জমিতে পানি দেবার উদ্দেশ্যে শ্যালো ইঞ্জিন এনেছিলাম, পরে সেগুলাইauto নৌকার আর নছিমন-করিমন/চাঁদের গাড়ি/ ভটভটির (একেক নাম একেক জায়গায়) ইঞ্জিন হয়ে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, তা অনস্বীকার্য! এখন দেখার বিষয় পরিবেশদূষণ রোধে কী করা যায়।

আপাতত এই গাড়িগুলির বেশ ভাল উপকারিতা পাওয়া যাচ্ছে। এখানে গ্যাস নেই। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের খরচ আর পরিবেশদূষণ। কিন্তু ব্যাটারির আয়ু কতদিন সেগুলি কীভাবে ডিসপোজাপ হবে ইত্যাদি বিষয় দেখবার ব্যাপার আছে। তবে যাই হোক এমা গাড়িগুলির বা সিএনজির চেয়ে এগুলি অনেক নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

বোকাসোকা এর ছবি

মারহাবা! বেশ তথ‍্যবহুল হয়েছে লেখাটি।
হমম শেষবার রাজশাহী গিয়ে আমিও অবাক হয়ে তাকিয়েছিলাম শহরব‍্যাপি এই নতুন বাহনের ছড়াছড়ি দেখে! যাযাবর কে ধন‍্যবাদ লেখাটির জন‍্য হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ পড়বার আর মন্তব্য করবার জন্য। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

আহ রাজশাহী!!! সিরিজ চলুক।

এত খাটনি করে লেখা দেবার জন্য লেখককে ধন্যবাদ হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আনন্দী!

আশা রাখছি সিরিজ চালিয়ে যাবার সময় সংকুলান করতে পারলেই। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এই গাড়িগুলোতে চড়তে আমার কিন্তু বেশ মজা লেগেছে।
শব্দ হয় না তেমন, এটা তার মধ্যে একটা কারণ।
রাজশাহীকে আরো ভালো করে জানার প্রত্যাশায় চোখ পেতে রইলুম... হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

শিমুলাপা, আপনার লেখায় উল্কার কথা আসাতেই মনে হয়েছিল এই জিনিসটা নিয়ে লিখতে হবে। কী রকম জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে জিনিসটা সেটা অবাক করার মত!

ধন্যবাদ পড়বার জন্যে। হাসি কিন্তু বেশি প্রত্যাশা রাখলে না আবার তা পূরণে ব্যর্থ হই! লইজ্জা লাগে
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নিবিড় এর ছবি

মানুষ কেন যে খালি শুধু শুধু খেলাপী লিস্টে নাম লিখায় খাইছে


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

গোলাম মুরশিদ [অতিথি] এর ছবি

অনেক রিকশাচালক তাদের জীবিকা হারাবে। শহরে যেসব দরিদ্র লোকেরা থাকে তাদের অধিকাংশ রিকশাচালানোর সাথে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত। এই নতুন যান শহরের দরিদ্র লোকজনের জন্য খারাপই হবে। এই গাড়িগুলোর স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন আছে।

গোলাম মুরশিদ

kingkortbbobimur@gmail.com

স্পর্শ এর ছবি

আচ্ছা বিদ্যুত খরচ কেমন? মানে একবার চার্জ দিতে কত টাকার বিদ্যুত লাগে?
এই নতুন গাড়িগুলোতে ওঠার কথা ভেবেছি অনেক। কখনো সুযোগ হয়নি। যেতেই চায়না কেউ।
লেখা ভালো লাগলো।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।