মুমু কাহিনী

রেনেট এর ছবি
লিখেছেন রেনেট (তারিখ: শনি, ০৭/০৬/২০০৮ - ১০:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

( উতসর্গঃ মুশফিকা মুমু, আমার একনিষ্ঠ পাঠিকা। আমার ধারণা, মুমু আমার ব্লগে ঢুকে প্রথমে একটা পাঁচতারা দিয়ে নেয়, তারপর আমি কি লিখলাম পড়তে বসে)

এক
মুমুর সাথে পরিচয় বেশ আনেকদিন আগে। সাল তারিখ মনে নেই। হঠাত করে পরিচয়। তখন নতুন নতুন সিগারেট খাওয়া শিখেছি। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে মাত্র সিগারেট ধরিয়েছি কি ধরাই নি, এমন সময় পিছন থেকে কে যেন ডাকলো। এই যে, শুনুন! নতুন সিগারেট খাই, সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকি, কে না কে দেখে ফেলে। তাই অপ্রত্যাশিত ডাক শুনে সিগারেটটা টুপ করে হাত থেকে পড়ে গেল। অবশ্য এই পড়ে যাওয়াটা কি আকস্মাত ভয় থেকে হয়েছে, না আমি বুদ্ধিমানের মত কৌশলে জলদি করে সিগারেটটা ফেলে দিয়েছি, তা বলা মুশকিল। তবে আপনারা কেউ যেহেতু ঘটনা স্থলে ছিলেন না, কাজেই আমি মনে করি, বেনিফিট অফ ডাউটটা আমাকেই দেয়া উচিত। যাহোক, আমি কৌশলে সিগারেটটা ফেলে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ালাম।

আমার নির্বিঘ্নে সিগারেট খাওয়ায় বিঘ্ন ঘটানোকারী আর কেউ নয়। একটা মেয়ে। যাকে আমি সাত জন্মেও চোখে দেখিনি। এরকম অপরিচিত কারো জন্যে খামোখা সিগারেটটা নষ্ট করলাম বলে মেজাজ খারাপ হতে লাগলো। আর আমার তখনও মেয়ে দেখলেই গলে যাওয়ার রোগটা শুরু হয় নি। আমি দিব্যি মোটা মেয়েকে মোটা, চিকন মেয়েকে চিকন ইত্যাদি বলতে কার্পণ্য বোধ করি না। কাজেই, একটা মেয়ে আমাকে ডাকছে, এটা আমার মনের মধ্যে কোন প্রভাবই ফেলতে পারলো না।

মেয়েটি একটা সি এন জির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সি এন জি তে উঠবে, না সি এন জি থেকে নেমেছে, বুঝতে পারলাম না। সি এন জি ধাক্কা দিতে হবে নাকি? আমি শুনতে পাই নি, এমন একটা ভান করতে লাগলাম। মেয়েটা এবার আরেকটু কাছে এসে আরেকটু জোরে বলল, এই যে, শুনুন! এখন না শুনতে পাওয়ার ভান করে আর লাভ নেই। এখন না শোনার ভান করলে শেষে আমাকে কালা ভাবতে পারে।

আমি একটু বিরক্ত হওয়ার ভান করে বললাম, জ্বী, আমাকে বলছেন?
-হ্যাঁ।
- বলুন।
- আপনার কাছে ভাংতি টাকা হবে?
-কত টাকা?
- ভাড়া উঠেছে ২৫ টাকা। আমার কাছে আছে ১০০ টাকার নোট।
- জ্বী, আমার কাছে ২৫ টাকা আছে। বলে আমি পকেটে হাত ঢুকালাম। গতকাল আমার একটা ৫০ টাকার নোট কিভাবে যেন মাঝখান থেকে ছিড়ে গেছে। আপাতত ৫০ টাকার নোটটি দ্বি খন্ডিত অবস্থায় আমার মানিব্যাগে পড়ে আছে। ওর এক খন্ডই এই মেয়েটিকে দেয়া যাক।

আমি নির্বিকার মুখে অর্ধেক খানা ৫০ টাকার নোট বাড়িয়ে দিলাম।

মেয়েটি কিছুক্ষণ নোটের দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো।

কিছুক্ষণ উলটে পালটে দেখে জিজ্ঞেস করলো, এটা কি?
-দেখতেই পাচ্ছেন, এটা কি। এটা হচ্ছে ৫০ টাকার অর্ধেক, অর্থাৎ ২৫ টাকা।

মেয়েটির দৃষ্টি দেখে মনে হল, আমাকে কাঁচা খেয়ে ফেলবে। হুমমমম...কেমন লাগে এখন?বেশ হয়েছে, আমাকে সিগারেট খেতে দাও নি, এখন এই ছেড়া ৫০ টাকার নোট দিয়ে কটকটি খাও।

অবশ্য ততক্ষণে রাস্তায় আতি উতসাহী কিছু লোক এগিয়ে এল। আপা কি সমস্যা?
-জ্বী, আমার ১০০ টাকার ভাংতি দরকার।
-এই যে নেন আপা। ১০০ টাকার ভাংতি।
-থ্যাঙ্কু ভাই। আপনি আমাকে বাঁচালেন।

মেয়েটি ভাড়া মিটিয়ে আমার দিকে আরেকবার অগ্নি দৃষ্টি হেনে হন হন করে চলে গেল।

যাহ বাবা, আমার আধা খানি ৫০ টাকার নোটটাও সাথে করে নিয়ে গেল। এখন আমি বাকি অর্ধেক দিয়ে কি করি?

দুই
মেয়েটির সাথে আমার আবার দেখা বেশ অনেকদিন পরে। ততদিনে অবশ্য মেয়ে দেখলেই আমার গলে যাওয়া রোগটা মোটামুটি ভালোভাবেই শুরু হয়েছে। এখন আমি আর মোটা মেয়েদের মোটা, চিকন মেয়েদের চিকন ইত্যাদি বলি না। যে যেটা শুনলে খুশি হয়, তাকে সেটা বলি। ঢাকা ভার্সিটির ফর্ম কিনতে এসেছি। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার সামনে আরো শখানেক পোলাপান। এই সময় আবার সেই ডাক। এই যে, শুনুন! এইবার অবশ্য কথা শেষ হবার আগেই শুনে ফেললাম। এবং হাসি হাসি মুখ করে ঘুরে তাকালাম। একটা মেয়ে!মেয়েটি বললো, আপনি কি আমার আর আমার বান্ধবীর জন্য দুটো ফর্ম কিনে দিতে পারবেন? যে লম্বা লাইন, এখন লাইনে দাঁড়ালে ২ ঘন্টার আগে কাউন্টারের কাছে পৌছাতে পারবো না। আপনি কি একটু হেল্প করবেন?

করবো না মানে? অবশ্যই করবো! (এটা অবশ্য বলিনি) মুখে বললাম, জ্বী, হেল্প করবো।

মেয়েটি ততক্ষনাত ব্যাগ থেকে টাকা বের করে এগিয়ে দিল। আমি এসবের আবার কি দরকার ছিল ভংগিতে টাকাটা নিলাম।

অসহায় মেয়েদুটিকে সাহায্য করছি, আবার উপরি হিসাবে মেয়ে দুটির সিট আমার সাথেই পড়বে। আহ, আজকে যে কার মুখ দেখে উঠেছিলাম!

তিন
মুমুর সাথে পরিচয় হবার পর যেটি সবচেয়ে বেশী করতে হত, তা হলো সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। ব্যাপারটা শুনে যতটা রোমান্টিক মনে হয়, আসলে কিন্তু ঘটনা পুরো উলটো। আমি সাধারনত সিনেমা দেখিনা। যাও দুয়েকবার সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছি, বেশিরভাগ সময়ই হয় সিনেমা শুরু হওয়ার পর ঘুমিয়েছি, অথবা আশে পাশের মেয়েদের দেখেছি। বলাই বাহুল্য, মুমুর সাথে গিয়ে এগুলোর কোনটাই করা যেত না।

উপরন্তু পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স না কি যেন নাম , ওইখানে সিনেমা থিয়েটার চালু হয়েছে। টিকেটের দাম সেইরকম। প্রতি সপ্তাহে টিকেটের টাকা দিতে দিতে আমার ফতুর হবার মত দশা। সিনেমা দেখার ২ দিন পর পর্যন্ত আমাকে না খেয়ে থাকতে হয়, এই অবস্থা।

তাও আমার মনমত সিনেমা হলে একটা কথা ছিল। এতকাল সিনেমা দেখেছি বিনোদনের জন্য, যেমন খায়রুন সুন্দরী। আর এখন সিনেমা দেখতে হয় জ্ঞান ভান্ডার বৃদ্ধির জন্য, যেমন আকাশ কেন নীল? সিনেমা যত বোরিং, মুমুর সেটা তত পছন্দ হয়। আর আমাকে একগাদা টিস্যু পেপার নিয়ে পাশের সিটে বসে থাকতে হয়। সিনেমার এক পর্যায়ে গিয়ে মুমু কান্নাকাটি শুরু করে, তখন আমাকে টিস্যু পেপার এগিয়ে দিতে হয়। মাঝে মাঝে কান্নার ভাব ও করতে হয়।

একদিন আমি ভুল করে কাঁদিনি। ওদিকে ও সমানে কেঁদে যাচ্ছে। আমি টিস্যু পেপার গোনার চেষ্টা করছি, ভাবছি, বাকি টিস্যু পেপারে আজকের সিনেমা শেষ হবে কিনা। হঠাত ও নিচু স্বরে ধমক দিয়ে উঠলো, কি রকম পাষান ছেলে তুমি? নায়িকার এত আদরের কুকুরটা মারা গেল, আর তোমার একটু ও কান্না পেল না? আমি কি বলব ভেবে না পেয়ে বললাম, কি করব বল, আজকে টিস্যু পেপারে শর্ট আছে।

এর পরিনাম হল, এর পর থেকে আমাকে ২ বান্ডিল টিস্যু পেপার নিয়ে যেতে হত। এক বান্ডিল ওর জন্য, এক বান্ডিল আমার জন্য। মাঝে মঝে অবশ্য ওর টিস্যু পেপারে শর্ট পড়ত, তখন আমার বান্ডিল থেকে অর্ধেকটা ওকে দিয়ে দিতাম।

চার
এর পরে আরো অনেক ঘটনা ঘটলো। কোথাকার জল কোথায় গড়িয়ে গেল। কত ফুচকাওয়ালারা ব্যবসা করে কোটিপতি হল। আর্চিস, হলমার্কের বেচাকেনা বেড়ে গেল। আমার অঙ্ক খাতা আমার লেখা কবিতায় ভরে যেতে লাগলো। আমি আমেরিকায় আসার প্রস্তুতি নিতে লাগলাম।

এমন সময় একদিন হঠাত মুমুর ফোন।
-এই রেনেট, কি কর?
- কিছু না।
-এই জানো, আমার না একটা বিরাট খবর আছে!
- কি খবর?
- আমি না বিদেশ চলে যাচ্ছি!
-তাই নাকি?
- হ্যাঁ
-কোন দেশ?
-উমম... দেশের নাম শুরু হয় a দিয়ে, শেষ ও হয় a দিয়ে।

আমার বুকে ড্রাম বাজতে লাগলো। মুমুও কি তাহলে america যাবে?

কিছু বলতে যাবো, এসময় মুমু আবার বলে উঠলো, কি ব্যাপার কিছু বলছো না যে?
আরে হ্যাঁ। এতো বেজায় খুশির খবর!
আমার ও অনেক আনন্দ লাগছে! ভাবতেই পারছি না, আগামী মাসে আমি australia চলে যাব!

মুমুর মুখে australia নাম শুনে সেই যে প্রথম দিন আমার হাত থেকে সিগারেটটা যেভাবে পড়ে গিয়েছিল, আজকেও ফোনের রিসিভারটা ঠিক সেভাবে পড়ে গেল।


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

বাহ্‌ অসাধারণ লাগলো!!! খুব মজা করে লিখেছেন। মোটাকে মোটা আর চিকন কে চিকন বলার বয়স মনেহয় এইচ এস সি পাশ করলেই কেটে যায় সবার!

শেষের দিকে ম্রৃদু বিষাদের ছোয়া পেলাম! সব কিছু মিলিয়ে দারুন! হাসি
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বেশ মজা লাগল। মুমুর মন্তব্য দেখবো আশা করছি। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মনে পড়ে রুবি রায়

আরণ্যক সৌরভ (সচলায়তন বাইরে থেকে দেখতেই ভাল্লাগে) এর ছবি

ভালো লাগলো।
মুমু আপুর প্রতিক্রিয়া দেখার অপেক্ষায়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমিও মুমুর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। তয় কথা হইলো জনাব, আপনি এখন মুমুকে কী বলেন? চোখ টিপি

অচল এর ছবি

হুমমম, এই তাহলে ঘটনা !

এনকিদু এর ছবি

মুমু আপুর মন্তব্যের অপেক্ষায় আছি । এখনো পাঁচ তারা পড়েনি, মনে হয় মুমু আপু এখনো এই পোস্ট পড়েননি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

পুতুল এর ছবি

৫ তারা রসঘন লেখার জন্য। মুমু জবাবে আরেকটা ব্লগ লিখুক। আমরা পড়ে মুগ্ধ হই। শুভেচ্ছা দুজনকেই।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

কনফুসিয়াস এর ছবি

কঠিন মজা পেলাম।
বেশ কিছু জায়গা অসাধারণ।

মেয়েটি একটা সি এন জির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সি এন জি তে উঠবে, না সি এন জি থেকে নেমেছে, বুঝতে পারলাম না। সি এন জি ধাক্কা দিতে হবে নাকি?

- জ্বী, আমার কাছে ২৫ টাকা আছে। বলে আমি পকেটে হাত ঢুকালাম। গতকাল আমার একটা ৫০ টাকার নোট কিভাবে যেন মাঝখান থেকে ছিড়ে গেছে। আপাতত ৫০ টাকার নোটটি দ্বি খন্ডিত অবস্থায় আমার মানিব্যাগে পড়ে আছে। ওর এক খন্ডই এই মেয়েটিকে দেয়া যাক।

বটম লাইন হইলো- পাঁচ তারা!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মুশফিকা মুমু এর ছবি

এইটা কি করলা রেনেট গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
প্রথমে নিজের নাম এত বড় ফন্টে তাও আবার টাইটেলে দেখে একটা ধাক্কা খেলাম অ্যাঁ , এরপর হাসতে হাসতে গড়াগড়ি গড়াগড়ি দিয়া হাসি , আমি কি বলব বুঝতেসিনা, মারাত্তক লিখসো, গুল্লি
শুধু ৫ তাঁরা কেন, পারলে আমি এই লেখায় ১০ তাঁরাই দিতাম।

যাইহোক, তুমিতো সবই বলে দিলা আর শেষের টুকু বললা না কেন? অনুমতি না নিয়েই আমার সিমিত এবিলিটিতে কাহিনীর বাকিটুকু বলে দেই খাইছে ....
********
মুমুঃ হ্যালো! কি হল?
একটা মাকরশা হাতে হেটে যেতে দেখে রেনেটের হাত থেকে রিসিভারটা পরে গেল, রেনেটের আবার খুব মাকরশা ভীতি কিনা। আবার রিসিভার তুলে নিয়ে ....
রেনেটঃ না না কিছুনা, বল।
মুমুঃ আমারতো খুব খুশি লাগছে শুধু মন খারাপ লাগছে তুমি দেশে থাকবা বলে, কিন্তু চিন্তা কোরনা আমি প্রতিদিনই ....
রেনেটঃ ওহ তোমাকেতো বলাই হয়নি আমি পরশু আমেরিকা যাচ্ছি।
শুনে মুমু হতভম্ভ হয়েগেল। পরশু চলে যাচ্ছে আর একথা সে আজকে বলছে তাও কিনা আমি ফোন করাতে।

মুমুঃ তুমি পরশু যাচ্ছো? কি বলছ? কবে জানালো তোমাকে? আমাকে আগে বলনি কেন?
রেনেটঃ না আসলে এত ব্যাস্ত ছিলাম এই মাসটা!
মুমুঃ কই গত পরশুইতো আমি কল করলাম তুমি কল ব্যাক করলানা। গত সপ্তাহে কথা হল তখনো কিছু বললা না।
রেনেটঃ ইয়ে মানে পাসপোর্ট, ভিসা নিয়ে একটু ঝামেলায় ছিলামতো তাই ফোন করব করব করে আসলে করা হয়ে ওঠেনি।
মুমুঃ ওহ আচ্ছা!
রেনেটঃ বোঝোইতো সবার সাথে দেখা করা, প্যাক ট্যাক করা আরও কত কি ঝামেলা!
মুমুঃ ওহ আচ্ছা!
রেনেটঃ আজকেও আবার যাব কিছু কাগজ পত্র জোগার করতে!
মুমুঃ ওহ আচ্ছা!
রেনেটঃ এই মা ডাকছে আমি তোমাকে একটু পরে রিং করছি। ঠিক আছে!
খট ....... বিপ বিপ বিপ ........
ওপাশে রেখে দেয়া শুনেও রিসিভার কানে রেখে মুমু নিশ্চুপ বসে রইল। কেমন জানি সব ফাকা ফাকা লাগছে। মানুষ কিভাবে এতটা বদলে যায়। কখন যে গাল বেয়ে টপটপ করে পানি পরছিল টেরও পায়নি।

এদিকে রেনেট ফোন রেখে ভাবছে উফ বাঁচা গেল। আবার মুমুর ফোন আসার আগেই বের হওয়া দরকার। মোবাইলের সিমটা বদল করে রেনেট বের হয়ে গেল।

হাটতে হাটতে, সিগারেট ঠোটে রেনেট ভাবছে নিরাকে একটা ফোন করা দরকার। মুমুর ভার্সিটির ল্যাব পারটনার হল নিরা। সেদিন বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছে হঠাত শুনতে পেল একটা মেয়ের ডাক। ঘুরে দেখে নিরা। সি এন জিতে দুজন যেতে যেতে নিরা ওর আমেরিকা যাওয়ার কথা বলল, এমনকি একই ভার্সিটিতে। খবর নিতে হবে ও আমেরিকার কোথায় উঠছে, ওর কাছাকাছি কোথাও বাসা ভারা নিতে হবে।

নিরাকে রেনেটের আগে থেকেই বেশ পছন্দ ছিল। কিন্তু মুমুর পরিচিত বলে কিছু বলার সাহস পেত না। এখন আমেরিকায় আর এ সমস্যা হবেনা। একই বিষয়ে এম এস করবে, একই ভার্সিটিতে পড়বে ...... ইসস ভাবতেই অজান্তে রেনেটের মুখে হাসি ফুটে ওঠল। রেনেট গুন গুন করে গেয়ে ওঠে "মন কি যে চায় বলো, যারে দেখি লাগে ভালো, এ মন সেতো বাধা মানেনা, কি জানি কেন জানিনা"।
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কনফুসিয়াস এর ছবি

হা হা হা!
আপনারেও পাঁচ তারা!

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এনকিদু এর ছবি

এইটা কি হইল ?????
আল্লার কোন বিচার নাই দেখা যাচ্ছে ।

যাউক গা, একটা ছেঁড়া পঞ্চাশ টাকা দরকার, আছে কারো কাছে ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রেনেট এর ছবি

নীরার কথা আর বলো না মন খারাপ
ওর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে সেই কবে!
কিন্তু ছাড়াছাড়ি হবার আগে ও যা বলে গেল, তাতেই দুঃখ পেলাম বেশি।
নীরার বয়ফ্রেন্ড ছিল আশিক। কিন্তু ওর সাথে নাকি তোমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দেখা যেত।
একসময় নাকি আশিক তোমার কারণেই নীরাকে ছেড়ে চলে যায়। এজন্যই ও প্রতিশোধ নিতে ভাব করার চেষ্টা করে আমার সাথে। কিন্তু আমি পাত্তা টাত্তা দিতাম না। কিন্তু একদিন যখন ও হাতে কলমে প্রমাণ দেখালো, তখন না বিশ্বাস করে আমার উপায় ছিল না।
কিন্তু একসময় নীরার নাটক ও ফুরালো।
মেয়েদের বিশ্বাস করার চেয়ে একটা বিড়ালকে বিশ্বাস করাও ভালো।

-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
জটিল মজা পেলাম, রেনেট।
মুমুও তো দেখি কম যায় না। পালটাপালটি গল্প আরো কিছুদূর চালানো যায় না?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ashik এর ছবি

সে দিনের কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। সারাদিন ধরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিল। সাধারনত এমন দিনে আমি বাসায় লেপ গায়ে দিয়ে আরাম করে ঘুমাই এবং আম্মুকে খিচুরি রান্না করতে বলি। সেদিন ছিল আমার অ্যাসাইনম্যান্ট জমা দেয়ার শেষ তারিখ। তারাহুরা করে কোন মতে অ্যাসাইনম্যান্ট জমা দেয়ার জন্য ভর্াসিটিতে যাই। করিডোরে এক রকম দৌড়েই আমার প্রফেসরের রুমে যাচ্ছিলাম। হঠাং করে একটা ধাক্কা খেলাম। প্রথমে কয়েক সেকেন্ড বুঝপে পারিনি কি হল এরপর দেখি একটা মেয়ে তার বই খাতা গুছানোর চেষ্টা করছে। এলোমেলো চুল , মায়াবী চোখ নিষ্পাপ তার মুখ। সেই ছিল মুমুর সাথে আমার প্রথম পরিচয়। প্রায়ই ওকে দেখতাম ক্যাফেতে আনমনা হয়ে বসে থাকতে। এরপর কথা , কথা থেকে বন্ধুত্ব। রনেটের কথা মুমু আমাকে অনেক বলতো। কিভাবে রনেট ওর জীবনে এল কিভাবে আবার হারিয়ে গেল। রনেট যে নিরার জন্য ওর সাথে এমন করেছিল তাও ্ওর কাছ থেকেই জানা আমার। খুব অবাক লাগলো যখন দেখলাম রনেট নিরার সাথে আমার নাম নিল। আমি অষ্ট্রেলিয়াতে বড় হয়েছি নিরা নামের কোনো মেয়েকে চিনি বলে মনে পড়ছে না। আমার মনে হয় নিরার সাথে রনেটের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর নিরা আশিক নামের কারো সাথে চলে যায়। পরে রনেট আমার নাম আশিক দেখে আমাকে সেই আশিক ভেবে ভুল করে এসব লিখেছে। একই নামের অনেক মানুষ থাকতেই পারে এ জন্য রনেটকে দোষ দেয়া যায় না। মানুষ মাত্রই ভুল করে। যাইহোক একটা জিনিষ খুব জানতে ইচ্ছা করছে রনেট কি এখনো সেই গানটা গায় ' মন কি যে চায় বলো যারে দেখি লাগে ভালো এ মন সে তো বাধা মানে না কি যেন জানি কেন জানি না '। -আশিক

রেনেট এর ছবি

সবই বুঝলাম আশিক ভাই, তবে কথা হইল, আগে আমার নামের বানান ঠিক করেন।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

জি.এম.তানিম এর ছবি

একালের মির্চা...একালের মৈত্রেয়ী...হা হা হা হা! হো হো হো
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হায় হায় রে, নিরা তো লাগায়া দিল গিরা!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

তারপর? তারপর কী হলো? কাহিনীর তারপর কই? এখন কে কোথায় কিভাবে কেম্নে কি?

তারেক এর ছবি

জট্টিল অবস্থা!!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খাইছে!

ঢাকা-আম্রিকা-অস্টেলিয়া-বাস-সিএনজি-ল্যাব পার্টনার-নীরা-কিড়া, সব মিল্যা বিড়া বানায়া দেখি চতুর্ভূজ কাহিনীরে পুরা বৃত্ত বানায়া ছাইড়া দিছেন আপনেরা দুইজনে। চিন্তিত

পাঠকের তো মাথা ঘুরে। পরের কাহিনী যায় কই?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেনেট এর ছবি

আমি কিরা কেটে কচ্চি, আমি নীরা নামে কাউকে চিন্তাম না। ধু গো
ভাই, আপনি মুরুব্বী মানুষ। আপনি আমার নামে এই মিথ্যা অপবাদের একটা বিহিত করেন।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মুরুব্বী যখন মানছেন তাইলে তো বিহিত এট্টা করোনই লাগে। কিন্তু আমি বিহিত করতে গেলেই তো জনগণ আমারে কাইজ্যার ডর দেখায়। মুমু আর তার পার্টনার (যারা আমারে সাইজ করার মুহুর্মুহু হুমকী ধামকী দেয়) আবার কুংফু ক্যারাটে না কি জানি জানে। আগে কন আপনে আমারে প্রোটেকশন দিবেন, হেরপর বিহিতের ডালা খুলতাছি! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেনেট এর ছবি

কেডা, কেডা আপনারে কুংফর ডর দেহায়? আমারে খালি নামডা কন!
আপনার পিলিজ লাগে, তাও আপনি নীরা সমস্যার একটা সমাধান করেন।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এক কাম করেন, আপাতত নীরার ফুন নাম্বারটা আমারে পাচার করেন। আমি নীরারে লইয়া নীপোবনে লুকোচুরি খেলতে থাকি গিয়া আর এদিকে আপনে নিজের ফিল্ড ঠিক করেন।

আইডিয়াটা কিমুন? চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেনেট এর ছবি

আহারে ধু গো ভাই, আপনি বোঝেন না কেন! আমি নিরা, মিরা, কিরা কাউরেই চিন্তাম না!
তবে এমিলি, কেটি, মনিকা এদের কারো ফুন নাম্বার লাগলে আমারে বইলেন। আমার রুম মেটের কাছ থেকে নাম্বার নিয়া দিমুনে।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

তানবীরা এর ছবি

সিএনজি-ল্যাব পার্টনার-নীরা-কিড়া, সব মিল্যা বিড়া বানায়া
হাহাহাহা

ধূ গোর জবাব নাই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধূর... ক্যাটাগরী না দেখে উত্তেজনা নিয়ে পড়তেছিলাম। পরে দেখি গল্প...

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রেনেট এর ছবি

এইটা একটা কথা বললেন অলওয়েজ চেঞ্জিং ভাই? আমি নাহয় ক্যাটাগরীতে গল্পই দিলাম, তাই বলে কি কাহিনী মিথ্যা হয়ে গেল?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

জব্বর... এইবার দরকার শুধু একটা ডিপজল...

রেনেট এর ছবি

হুমমম...আপনাকে তো গভীর জলের মাছ বলেই মনে হচ্ছে...
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্পর্শ এর ছবি

ন হন্যতে!! (বানান কি ঠিকাসে চিন্তিত ) দেঁতো হাসি
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রেনেট এর ছবি

ন হন্যতে আবার কি জিনিষ চিন্তিত
খায় না মাথায় দেয়?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মুজিব মেহদী এর ছবি

অসাধারণ পোস্ট।
রেনেট-মুমু দুজনেরই সেন্স অব হিউমার ঈর্ষণীয়।

এই কাহিনি নিয়ে সিনেমা তৈরি হলে আমি বান্ধবীসহ দেখতে যাব, কথা দিলাম।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রেনেট এর ছবি

লীলেন ভাইরে ডাক দেন। উনার সাথে নাটকের মানুষের জানাশোনা আছে। এক ঘন্টার প্যাকেজ নাটক হয়ে যাক...
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমি আপনার এই কমেন্ট পড়ার আগে নিচের কমেন্টটা করেছি
আর আপনি আমার কমেন্টটা পড়ার আগে এই কমেন্টটা করেছেন

দুটোর মানে একই দাঁড়ায়
নাটকের নাম: রেমুনেমুট

রেনেট এর ছবি

রেমুনেমুট হো হো হো

দূর্ধষ নাম।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মুজিব মেহদী এর ছবি

আলাদা করে আগে পরে নাম দেখাবার আর দরকার কী? লীলেন প্রস্তাবিত রেমুনেমুট নামের মধ্যে তো দুজনেই আছেন দেখছি। নামটা আমার বেশ পছন্দ হলো।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রেনেট এর ছবি

মুজিব ভাই ভালো লোক।
শিখেন, লীলেন ভাই, কিছু শিখেন!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

জি.এম.তানিম এর ছবি

রেমুনেমুট নামে নাটক হইলে পাবলিক ছাই ফাই নাটক মনে করে দেখবে না...খটখটে নামের বদলে কোমল কোমল একটা নাম দরকার। B-)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

জি.এম.তানিম এর ছবি

রেমুনেমুট নামে নাটক হইলে পাবলিক ছাই ফাই নাটক মনে করে দেখবে না...খটখটে নামের বদলে কোমল কোমল একটা নাম দরকার। B-)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

রেনেট এর ছবি

কুসুম কুসুম ভালোবাসা
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

রেনেটের পোস্ট এবং মুমুর কমেন্ট
দুটোই আমি ঘোষণা দিয়ে মেরে দিলাম....

রেনেট এর ছবি

মারেন, সমস্যা নাই। তবে আমার নামটা নাটকের শুরুতে একটু দেখানো যায় না হাসি
আহ, টিভিতে নিজের নামটা দেখার বড়ই শখ ছিল!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দেখানো যাবে
তবে ছোট অক্ষরে নাটকের শেষে স্ক্রলের মধ্যে
আর মুমুর নাম থাকবে নাটকের শুরুতে
বড়ো অক্ষরে
এবং অনেক্ষণ ধরে...

রেনেট এর ছবি

তবে রে শয়তানী!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মুজিব মেহদী এর ছবি

লীলেনের এই পক্ষপাতের গূঢ় কারণ জানতে চাই।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রেনেট এর ছবি

যাক, ভালো মানুষ এখনও আছে দুনিয়ায়!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই নাটকের নায়িকার নাম হবে মুমু
তাই নামটা থাকবে শুরুতে
আর যেহেতু নাটকের ফিনেন্সার হবে রেনেট
সেহেতু নিয়ম অনুযায়ী রেনেটের নাম যাবে সবার শেষে
(ফিনেন্সারদের নাম সবার শেষে দেবার নিয়ম)

০২

রেনেটের নাম আগে দিলে লোকজ এটাকে বেয়নেট>বেনেট এর সাথে মিলিয়ে ভাববে এটা মারামরির নাটক
কেউ আর দেখবে না
তাই টেকনিক্যাল কারণেই রেনেটের নাম শুরুতে দেয়া যাবে না

আর মুমু নামটা শুরুতে দিলে একটা টিনএজ টিনএজ গন্ধ পাবে লোকজন
বসে গিটঠু মেরে দেখবে পুরোটা

(মুমু সাধারণত টিনএজদের নাম হয়। টিন অতিক্রম করে ড্রাম হয়ে গেলে মুমুরা মামীতে রূপান্তরিত হয়ে যায়)

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে আমি হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে গেলাম! হো হো হো..........

~ ফেরারী ফেরদৌস

রণদীপম বসু এর ছবি

ঘরের কথা বাইর হওয়া কেবল শুরু হইছিলো। ভিলেন লীলেন বাগড়া দিয়াই তো দেখি গ্যাঞ্জাম লাগাইয়া দিলো ! এখন তো হেরা কী সুন্দর সুন্দর মিছা কতোটি ডায়লগ দিয়া সাসপেন্সটাই নষ্ট কইরা দিবো !
নাহ্! সুন্দরী রমণী দেখলে কারো মাথাই ঠিক থাকে না দেখি !
এই সব কিছুই কাট্ ! আবার নতুন কইরা শুরু হউক !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নিঝুম এর ছবি

এই যে, শুনুন! নতুন সিগারেট খাই, সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকি, কে না কে দেখে ফেলে। তাই অপ্রত্যাশিত ডাক শুনে সিগারেটটা টুপ করে হাত থেকে পড়ে গেল। অবশ্য এই পড়ে যাওয়াটা কি আকস্মাত ভয় থেকে হয়েছে, না আমি বুদ্ধিমানের মত কৌশলে জলদি করে সিগারেটটা ফেলে দিয়েছি, তা বলা মুশকিল। তবে আপনারা কেউ যেহেতু ঘটনা স্থলে ছিলেন না, কাজেই আমি মনে করি, বেনিফিট অফ ডাউটটা আমাকেই দেয়া উচিত। যাহোক, আমি কৌশলে সিগারেটটা ফেলে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ালাম।

এই অংশটা হেভী লাগলো।

ইন্টারেস্টিং কাহিনী । মিস মুমু'র রিপ্লাইও সেইরকম । রেনেট রে দিসে... সিগারেট যে হাত থেইকা আর কয়টা পড়ে , কে জানে...
তবে গল্প লড়াই হেভী জমল, আরেকটু দরকার ছিলো । সত্যি সত্যি একটা ডিপজলের ব্যাপক প্রয়োজন ।

যা হোউক, পাঁচ তারা এই লেখার জন্য ।

---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

রেনেট এর ছবি

এই যে আসছে আরেকটা পাঁচতারা দেয়ার বান্ধা পাবলিক। তিন নাম্বার কাউরে পাইলে বেশ হয়, যে কিনা তোদের মত মাগনা মাগনা পাঁচ তারা দিব। তাহলে আমি যা ইচ্ছা তাই লিখিনা কেন, আমার রেটিং সবসময় পাঁচ দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নিঝুম এর ছবি

মাগনা না রে... তুই তো একটা জিনিশ

---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

তারেক এর ছবি

একটা দুষ্টু গান ঢোকান না দাদা, দুষ্টু গান ঢোকান...
নাটক না হয়ে বরং সিনেমাই হোক না!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রেনেট এর ছবি

গপ্পের গরু গাছে উঠে গিয়ে নাচলো তা ধিন ধিন...
একটা দুষ্ট গানের সীন গো দাদা, দুষ্ট গানের সীন! চোখ টিপি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অঞ্জন দত্ত কিন্তু ভালো একটিং করে
ভিলেনের পাটটা তারেই দেয়া যায়
সঙ্গে ভিলেনগিরি আইডিয়া আবিষ্কারের দায়িত্বও

রেনেট এর ছবি

খামোখা পয়সা দিয়ে ভিলেন হায়ার করবো কোন দুঃখে?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

কেউ না এর ছবি

এখন তো সিএনজি ভাড়া বেশি, তাই ভাবতেছি ৫০০ টাকার একখান ছেড়া নোট রাখবো, দরকার হইলে -এইখানে ছেড়া, ফাটা, ময়লা, পুরান টাকা বদলানো হয় নামের একখান দোকান দিমু

গৌতম এর ছবি

গুল্লি গুল্লি গুল্লি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

খেকশিয়াল এর ছবি

ওরে কাহিনী ! রেনেট মুমু দুইটারেই পাঁচ তারা ! নীরার সাথে রেনেটের ব্রেক আপ হইসে শুইনা ভাল লাগল, আমি এই থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার নীরার সাথে ফোর্থ পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার হিসাবে একটা রোমান্টিক এন্ট্রি চাই দেঁতো হাসি

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

রেনেট এর ছবি

তারেক ভাই প্রস্তাবিত সিনেমার থিম সং

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অচেনা কেউ এর ছবি

এই দিয়ে ৩ বার পড়লাম গল্পটি, ফাটাফাটি হয়েছে রেনেট ভাই।
আর গল্পের লেজ লাগানোর জন্য মুমু এবং আশিক দুইজনকেই ধন্যবাদ।শুভকামনা রইল।রেনেট ভাইকে পাঁচের জায়গায় ৬ তারা দেওয়া উচিত।

রেনেট এর ছবি

আমার লেখা আমি ছাড়া কেউ একাধিকবার পরে বলে জানা ছিল না।
ধন্যবাদ আপনাকে হাসি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অচেনা কেউ এর ছবি

মুমুকে পঁচানি দেওয়া কম হয়ে গেছে এবার, সামনে পূর্ণ উদ্যমে ওকে পঁচানি দিবেন আশা রাখি।হেঃ হেঃ হেঃ।

রেনেট এর ছবি

হৈ মিয়া! আপনের ডর-ভয় বলতে কিছু নাই? মুমু দেখলে আপনারে দিবে নে দৌড়ানি।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অচেনা কেউ এর ছবি

কে কাকে দৌড়ানি দেয় তা তো সময় বলে দিবে ভাইয়া।হেঃ হেঃ।

রেনেট এর ছবি

কে কাকে দৌড়ানী দিল, এটার একটা ভিডিও পাঠিয়ে দিয়েন চাল্লু
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

ফাটাফাটি হইছে!!! দেঁতো হাসি

রেনেট এর ছবি

ধন্যবাদ অতিথি! আপনার নাম তো বললেন না!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

তানবীরা এর ছবি

মুমু / রেনেট দারুন হয়েছে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রেনেট এর ছবি

থ্যাঙ্কু আপু।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাজেদুল ইসলাম [অতিথি] এর ছবি

দেরিতে হলেও লেখাটা পড়লাম।খুব মজা পেলাম কাহিনিটা পড়ে।দুজন অনেক আগে বিচ্ছিন্ন হয়ে আবার সচলে দেখা?ইন্টারেস্টিং।

রেনেট এর ছবি

ভাইজান মনে হয় বাংলা সিনেমা বেশি দেখেন দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাজেদুল ইসলাম [অতিথি] এর ছবি

না রেনেট ভাই,আমি সিনেমা জিনিসটা কম দেখি।দেখলেও "মাটির ময়না","লালসালু","চাকা","দুখাই" এ জাতীয় ছবি দেখি,আর কিছু ইরানি ছবি খুব ভাল লাগে।আমি বই বেশি পড়ি,আর আমার যেসব বই বেশি ভাল লেগেছিল পরবর্তিতে জেনেছি প্রায় সব গুলোর কিছু না কিছু বাস্তব থেকে নেওয়া।তাই হয়ত আপনাদের গল্পটা এত ভাল লেগেছে।আর আমি বুঝি মানুষের জীবন একটা সিনেমার চেয়ে অনেক বেশি নাটকিয়।তবে এর মাঝে আপনি বাংলা ছবির কথা আনলেন তার কারন কি অনেক দিন আগে হারনোর পর খুঁজে পাওয়াটার কারনে?হাঃ হাঃ হাঃ তাহলে আপনি নিশ্চই সচলে এসে একটা সুন্দর গান গেয়েচিলেন যেটা অনেক আগে আপনারা একসাথে গাইতেন...আর সেই গানটা এই ভার্চুয়াল জগতে শুনতে পেয়ে "মিস মুমু" আপনাকে চিনতে পেরেছেন।যদি এই ঘটনাটা ঘটে থাকে তবে একটা বাংলা ছবি বানানো যায়,কি বলেন?(আপনারাই নায়ক নায়িকা হবেন)।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।