বিশ্বকাপ ফাইনালের অপেক্ষায়

রেশনুভা এর ছবি
লিখেছেন রেশনুভা (তারিখ: শনি, ১০/০৭/২০১০ - ৪:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রায় একমাস চলে গেল। আমার জন্য দিনগুলো গিয়েছে খুব দ্রুত। শুধু আমি কেন? সব ফুটবল অনুরাগীদের জন্যই মনে হয় প্রযোজ্য এই কথাটা। অফিসে থাকতেই বিকেলের প্রথম খেলাটা (বাংলাদেশ সময় রাত আটটার) কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেখতাম। সন্ধ্যায় বাসায় এসে তাড়াহুড়ো করে রাতের খাওয়ার পর্ব শেষ করেই অপেক্ষা আবার খেলার জন্য। হুড়মুড়িয়ে চলে গেল দিনগুলো। যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ!

দিন গড়ানোর সাথে সাথে দুটো দল বাদে বাকীগুলোও বিদায় নিয়েছে একে একে। যদিও বিশ্বকাপের সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় আর অনাকর্ষণীয় ৩য়/৪র্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচটায় অংশ নিতে কাল মাঠে নামবে জার্মানী আর উরুগুয়ে। আর্জেন্টিনার সমর্থক বলে বরাবরের মতন এবারও আমার হা-পিত্যেষই সম্বল শুধু। হতাশ করেছে ব্রাজিলও। কিন্তু দেখুন, যেখানে ল্যাটিন পাঁচটি দলই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল সেখানে ইউরোপের দেশ ছিল মাত্র ৬টি, ১৩ টি থেকে। চিলি ব্রাজিলের কাছে হেরে যাওয়ার পর, কোয়ার্টারে দেখা গেল চারটি ল্যাটিন, ৩টি ইউরোপ আর আফ্রিকা থেকে সবেধন নীলমণি ঘানা। আমি তো স্বপ্নও দেখছিলাম অল-ল্যাটিন সেমিফাইনালের। বেশি দেরি হয়নি স্বপ্ন ভেঙে যেতে।

স্বপ্ন ভাঙার শুরু ব্রাজিলের হেক্সা মিশন মুখ থুবড়ে পড়ার মধ্য দিয়ে। ম্যাচের শুরুটা ছিল এই বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অন্য খেলাগুলোর মতই। মাঝমাঠ থেকে ফিলিপমেলোর ডিফেন্স চেরা নিখুঁত পাস রবিনহোর পায়ে আর পলকে গোল। তবে খেলা জমে গেল দ্বিতীয়ার্ধে নেদারল্যান্ডস বেশ চেপে বসায় ব্রাজিলের উপর। সেই ফিলিপমেলোর মাথা ছুঁয়ে বল জালে আর তার পরপরই মেলো্র অহেতুক মাথা গরমের ফল হল লাল কার্ড পেয়ে মেলোর বাইরে চলে যাওয়া; যার খেসারত ব্রাজিলকে দিতে হল আরও একটি গোল হজম করে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেয়ে। আমার মতে নেদারল্যান্ডস গোল শোধ করার পরেই ব্রাজিল আর চাপটুকু সামলাতে পারেনি হয়ত দুঙ্গার রক্ষণাত্মক ছকের জন্যই। এই ব্রাজিল সেই ব্রাজিল নয় যারা আগে ২ টা গোল খেলেও ৩ টা দেয়ার জন্য খেলতো। “জোগো বনিতা”র দেশ ব্রাজিল তেমন দৃষ্টিনন্দন কোন ফুটবল উপহার না দিয়েই বিদায় নিল।

উরুগুয়ের অবশ্য কপালের জোর ছিল অনেক বেশি। আর সে জোরেই সুয়ারেজ হাত দিয়ে গোল ঠেকিয়ে উরুগুয়েতে নায়ক বনে গেলেন আর সমগ্র আফ্রিকার কাছে খলনায়ক। ১২০ মিনিটের খেলার অন্তিম মুহূর্তে পেনাল্টি পেল ঘানা। এগিয়ে এলেন আসামোয়াহ জায়ান। ঘানার আগের দুটো খেলাতেও স্পটকিক থেকে গোল করে যিনি দলকে এনে দিয়েছিলেন জয়ের সুবাতাস। বিধিবাম এবার। বল ক্রসবারে লেগে মাঠের বাইরে আর উরুগুয়ের আশা বেঁচে থাকলো টাইব্রেকার পর্যন্ত। টাইব্রেকারের নায়ক উরুগুয়ের গোলকীপার মুসলেরা। উরুগুয়ের “লাকি এস্কেপ”।

রাতটা শেষ হয়েছিল পরদিন আর্জেন্টিনা-জার্মানীর অনেক প্রতীক্ষিত কোয়ার্টার ফাইনাল দেখার আশায়।ছিল জমজমাট লড়াইয়ের প্রত্যাশা। আর্জেন্টিনার হয়ত চেয়েছিল গত বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে হেরে এই জার্মানীর কাছ থেকেই কোয়ার্টারে বিদায় নেয়ার শোধটা এবার তুলে নিতে। কিন্তু এরকম নড়বড়ে রক্ষণ নিয়ে তা যে সম্ভব হয়নি তা বলাই বাহুল্য। আর্জেন্টিনা ভীষণভাবে বিধ্বস্ত হল জার্মানীর কাছে। মেসিকে জার্মানী জোনাল মার্কিংয়ে আটকে রাখলো। আর প্রথম গোলটা হজমের পরে আর্জেন্টিনা যখন মরিয়া গোল শোধের জন্য তখনই দুর্বল এবং শ্লথ রক্ষণের কারণে খেয়ে বসল আরও তিনটা গোল কাউন্টার অ্যাটাক থেকে। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডাররা ভয়ংকরভাবে গতিতে পর্যুদস্ত জার্মান ফ্রন্টলাইনের কাছে। আমি আর্জেন্টিনার বেশ ত্যাড়া সমর্থক। সেই আমারও এমন হার দেখে কোন আফসোস হয়নি। এরকম দুর্বল রক্ষণ আর খুবই সাধারণ মানের মধ্যমাঠ নিয়ে আর্জেন্টিনার এই পরিণতি ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ম্যারাডোনা হয়ত দলটাকে একসূত্রে বেঁধেছিলেন কিন্তু তার রণকৌশল ছিল নিতান্তই সাদামাটা – সেই মেসি নির্ভর। ফলাফল মেসির শূন্যহাতে ফিরে যাওয়া।

শেষ সেমিফাইনালটার ফলাফল বেশ অনুমেয় ছিল আগে থেকেই। কিন্তু প্যারাগুয়ে যথেষ্টই লড়াকু মনোভাবের পরিচয় রেখেছে। কারডাজো পেনাল্টি মিস না করলে হয়তবা ম্যাচের শেষটা আরো বেশি চিত্তাকর্ষক এবং উত্তেজনাময় হত। স্পেনের ত্রাতা এইবারও ভিয়া। একটা দুর্দান্ত মধ্যমাঠ নিয়ে স্পেনের কাছ থেকে আরো বেশি গোল আশা করেছিলাম পুরো টুর্ণামেন্ট জুড়েই। কিন্তু ডি-বক্সের সামনে যেয়ে আক্রমণগুলো অধিকাংশই আর পূর্ণতা পাচ্ছিল না। তবে স্পেনকে সাধুবাদ এজন্য যে তারা শুরুতে সুইজারল্যান্ডের কাছে হারটা খুব ভালোভাবেই সামলে উঠেছে বলে।

সেমিফাইনাল প্রথমটা হল উরুগুয়ে আর নেদারল্যান্ডসের মধ্যে। ফোরলানের গোল করে সমতা ফেরানোর মুহুর্তটা ছাড়া কখনই আমার মনে হয়নি ডাচরা খুব বেশি বিপাকে পড়েছে। শেষের দিকে স্নেইডার আর রোবেনের জোড়া গোলে উরুগুয়ের এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা ৪০ বছর পর আবার সেমিতে ওঠার আনন্দ পর্যন্তই আটকে রইল। যদিও ইনজুরি টাইমে সেটপিস থেকে ম্যাক্সিমিলানো একটা গোল শোধ করে আমাদের সবার স্নায়ুই বেশ টানটান করে দিয়েছিল। সাথে রেফারীও মনে হয় আমাদের মজা দিতেই ৩ মিনিটের ইনজুরি টাইম টেনে ৫ মিনিটে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে ফোরলানের উরুগুয়ে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মত মাথা নত করে নয় বরং মাথা উঁচু করেই মাঠ ছেড়েছে।

শেষ সেমিফাইনালটা হওয়ার কথা ছিল আরো রোমাঞ্চকর। জার্মান গতির সাথে স্পেনিশ স্কিলের প্রতিযোগিতা। শেষ পর্যন্ত জয়ী সুন্দর ফুটবল মানে স্পেন। খেলার প্রথম ৩০ মিনিট স্পেনতো জার্মানীকে একেবারেই জায়গা দেয়নি। জার্মানীর মধ্যমাঠ ছিল পুরোপুরি অচল। জার্মানীর প্রতি আক্রমণও এদিন আগের মত গতিময় আর নিখুঁত ছিল না। জার্মানী যেন খুব সাদামাটা ভাবেই এক গোলের পরাজয় বরণ করে নিল। যে দলটা ইংল্যান্ড আর আর্জেন্টিনাকে গুড়িয়ে দিল তাদের এমন হল কেন? আমার ধারণা স্পেনিশ খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা, স্কিল আর দেল বস্কের ট্যাকটিকসের কাছে মার খেয়েছে জার্মানী। এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল খেলা দল, ২০০৮ ইউরো চ্যাম্পিয়ন, স্পেন উঠে গেল ফাইনালে।

বহুল প্রতীক্ষিত ফাইনালের লড়াইটা এখন তাই ডাচ আর স্পেনিয়ার্ডদের মধ্যে। আমার মনে হয় খেলা শুরু হওয়ার আগে খুব অল্প ক’জনই এই দু’টো দেশের নাম বলতেন ফাইনালিস্ট হিসেবে। আমার অনুমান ছিল আর্জেন্টিনা আর নেদারল্যান্ডস। বুঝতেই পারছেন, একেবারেই কট্টর সমর্থক হিসেবেই আমার এই অনুমান। মজার ব্যাপার হল, এই দেশ দুটি বিশ্বকাপের মতন আসরে এর আগে কখনই একে অপরের মুখোমুখি হয়নি। ডাচদের জন্য এটি তাদের তৃতীয় ফাইনাল আর স্পেনিশদের জন্য অবশ্যই প্রথম।

ডাচরা এই বিশ্বকাপে সুন্দর ফুটবল খেলেছে বলব না তবে কার্যকরী ফুটবল অবশ্যই খেলেছে এবং জয়ী হতে শিখেছে। বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ড ধরে এখন পর্যন্ত তারা সবগুলো ম্যাচই জিতেছে। ওদের রয়েছে অনেক ফিনিশার। স্নেইডার গোল বানানো থেকে শুরু করে গোল দেওয়ার কাজেও সিদ্ধহস্ত। রোবেনের গতি আর বল নিয়ে কারুকাজ পিকে, পুয়োলদের সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। রোবেনের অভিনয় থেকেও অবশ্য সামলে চলতে হবে স্পেনিশদের। নিজেদের রক্ষণটাও খারাপ সামলায় না ডাচরা। যদিও বেশ অনেকগুলো গোলই ওরা হজম করেছে যার অধিকাংশই ছিল শেষ সময়ে প্রতিপক্ষের করা স্বান্তনাসূচক গোল। গোলের নিচে স্টেকেলেনবুর্গ যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী।

স্পেন এই বিশ্বকাপে সত্যিকার সুন্দর ফুটবল খেলেছে যদিও সেটা খুব বেশি গোলে অনূদিত হয়নি। গোল দেওয়ার জন্য ভিয়াকেই একমাত্র অবলম্বন মনে হচ্ছে স্পেনের। টোরেস হারিয়ে খুঁজছে নিজেকে আর পেড্রোর খেলা দেখে এখনও পরিণত মনে হয়নি ওকে; কিছুটা সার্থপর বরং মনে হয়েছে আমার কাছে। ইনিয়েস্তা-জাভি-জাভি আলোনসো-বুসকেটস দের নিয়ে গড়া মধ্যমাঠ নিয়ে কিছু বলাটাই বাহুল্য। আর সাথে যদি যোগ করা হয় উইং থেকে উঠে আসা রামোস আর কেপদেভিয়াকে তাহলে তো এক কথায় অপ্রতিরোধ্য এই স্পেন। তবে এই আক্রমণাত্মক মানসিকতাই আবার বিপদের মুখে না ঠেলে দেয় স্পেনিয়ার্ডদের। শেষ ভরসা হিসেবে আছে ক্যাসিয়াস যার সাম্প্রতিক ফর্ম অসাধারণ।

ধরবেন বাজী? কার পক্ষে? “পল দ্য অক্টোপাসের” অনুমান শুনে ফেলেছেন নিশ্চয়ই এতক্ষণে। স্পেনের পতাকাশোভিত বাক্সটাকেই পছন্দ করেছে এই নয়া সেলিব্রেটি। আর আপনি? একদিকে সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল খেলা দল এই বিশ্বকাপের আর অন্য দিকে গোছানো রক্ষণ নিয়ে সবচেয়ে কার্যকরী ফুটবল খেলা দল। আপনার বাজীটা কার পক্ষে, বলে যেতে ভুলবেন না যেন।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সেদিন জার্মানরা যে খেলা খেলল তাতে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলাটাকে স্বপ্ন-স্বপ্ন মনে হয়। হয় কোয়ার্টাফাইনালে আর্জেন্টিনা খুবই বাজে খেলেছে, নয়তো জার্মানী সেদিন ভীনগ্রহের খেলা খেলেছে। সেমিফাইনালে ডাচদের বিরুদ্ধে ওদের মনে হয়েছে ঠিক যেন কোয়ার্টার ফাইনালের আর্জেন্টিনা।

আমার বাজী যদিও স্পেনের পক্ষে, তবুও ডাচদের মনে হয়েছে নীরব ঘাতকের মতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

হয় কোয়ার্টাফাইনালে আর্জেন্টিনা খুবই বাজে খেলেছে, নয়তো জার্মানী সেদিন ভীনগ্রহের খেলা খেলেছে। সেমিফাইনালে ডাচদের বিরুদ্ধে ওদের মনে হয়েছে ঠিক যেন কোয়ার্টার ফাইনালের আর্জেন্টিনা।

পিপিদা, আমার যদি ভুল না হয়, সেমিফাইনালে জার্মানি স্প্যানিশদের সাথে খেলেছে, ডাচদের সাথে নয়! হাসি

যা হোক, আমার বাজি এবার নতুন একটি দেশের পক্ষে। এমন একটি দেশ কাপ নেবে যারা আগে কখনও ফাইনালে ওঠেনি!

কুটুমবাড়ি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ওহ হো, তাই তো। যাইহোক-- যা বলতে চেয়েছি তা বুঝেছেন তো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

এবার চমক হচ্ছে নতুন চাম্পিয়ন দেখবে বিশ্ববাসী। স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটায় খেলা, তাই সম্ভব হবে না দেখা, চাম্পিয়ন দলকে আগাম শুভেচ্ছা।

মুকুট

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার রিভিউ। হাসি

এরকম দুর্বল রক্ষণ আর খুবই সাধারণ মানের মধ্যমাঠ নিয়ে আর্জেন্টিনার এই পরিণতি ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ম্যারাডোনা হয়ত দলটাকে একসূত্রে বেঁধেছিলেন কিন্তু তার রণকৌশল ছিল নিতান্তই সাদামাটা – সেই মেসি নির্ভর।

ভীষণভাবে সহমত। এই পরিণতি ছিল অমোঘ নিয়তির মতো। আমরা যারা ম্যারাডোনা-ভক্ত, তাদের হয়তো মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু এই হার এড়াতে প্রয়োজন হতো কোনো দৈব-হস্তক্ষেপের অথবা মেসির ম্যারাডোনা হয়ে ওঠার। কোনোটাই হয়নি শেষ পর্যন্ত।

কুটুমবাড়ি

রেশনুভা এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আর্জেন্টিনার জন্য দুঃখ লাগে। মেসির জন্য আরও বেশি।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হুমমম, অক্টোপাস তো মনে স্পেনকে চ্যাম্পিয়ন করেই দিলো
টিভিতে অক্টোপাসের গণনাটা দেখলাম, পরিস্কারভাবেই অক্টোপাসের কাছাকাছি ছিলো স্পেনের বাক্সটা; জার্মানী-উরুগুয়ে গণনার বেলায়ও তাই, যদিও দেখা গেছে যে অক্টোপাস উরুগুয়ের বাক্সের দিকে মুভ করছে, তবে সেটা যে শুধুই কাছাকাছি থাকা জার্মানীর বাক্স থেকে শেল নেয়ার জন্য পজিশনিংয়ের উদ্দেশ্যে না, বলি কিভাবে

তার চেয়েও বড় কথা, বাক্সের ভেতরে আসলে এমন কিছু রাখা সম্ভব যা দ্বারা অক্টোপাসের পছন্দকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় চোখ টিপি

অফটপিক
মেলো আসলে লালকার্ড পেয়েছে ব্রাজিল দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পরে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

রেশনুভা এর ছবি

খুবই দুঃখিত। ফিলিপমেলোর লাল কার্ড লিখতে যেয়ে টাইমলাইনে গুলিয়ে ফেলেছি। ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

হাসিব জামান এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আমার বাজী স্পেন। এত সুন্দর ফুটবল খেলেও যদি কাপ না জিতে তবে তা হবে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।

অনন্ত

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ফেইসবুকে অলরেডি অপবাদ পেয়ে গেসি যে আমি বার্সা সাপোর্টার বলে নাকি মেসি ভালো খেলছে বলে মনে করি এবং স্পেনের খেলাকে সুন্দর বলে মনে করি ... বাস্তবে মেসি মোটেও সুবিধাজনক খেলে নাই; আর স্পেনের পাসিং ফুটবলের মত বোরিং নাকি আর কিছু নাই, বিশেষ করে জাভি-ইনিয়েস্তার পাসিং দেখলে নাকি ঘুম আসে ... চার বছরে সাড়ে সাতখান ম্যাচ দেখা মানুষের মুখে এমন কথা শুনলে মানা যায়, ক্যান্টোনার আমল থেকে ফুটবল দেখা লোকের মুখে এমন কথা শুনলে তো মুশকিল দেঁতো হাসি

কাজেই বিস্তারিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকি ... স্পেনের ফুটবল দেখতে ভালো লাগে, আমার নিশ্চই ব্যাপক সমস্যা আছে দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হোহোহো...

আমি বার্সা সাপোর্টার বলে নাকি মেসি ভালো খেলছে বলে মনে করি এবং স্পেনের খেলাকে সুন্দর বলে মনে করি ... বাস্তবে মেসি মোটেও সুবিধাজনক খেলে নাই; আর স্পেনের পাসিং ফুটবলের মত বোরিং নাকি আর কিছু নাই, বিশেষ করে জাভি-ইনিয়েস্তার পাসিং দেখলে নাকি ঘুম আসে ... চার বছরে সাড়ে সাতখান ম্যাচ দেখা মানুষের মুখে এমন কথা শুনলে মানা যায়, ক্যান্টোনার আমল থেকে ফুটবল দেখা লোকের মুখে এমন কথা শুনলে তো মুশকিল দেঁতো হাসি

কাজেই বিস্তারিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকি ... স্পেনের ফুটবল দেখতে ভালো লাগে, আমার নিশ্চই ব্যাপক সমস্যা আছে দেঁতো হাসি

ভীষণভাবে মিল্যা গ্যালো। ব্রাজিল যদিও রক্ষণাত্বক খেলসে, কিন্তু দল থাকতে আর্জেন্টিনা আর স্পেন সাপোর্ট দিবো ক্যান ?? ... এই জন্যেই কোয়ার্টার ফাইনালের আগে পর্যন্ত প্রচুর গলা ফাঁটাইসি...

তবে এখন স্পেনের খেলা দেখে পুরাই বার্সার মত উপভোগ করতেসি। বিশেষ করে ইনিয়েস্তা আর পেদ্রো... তবে পেদ্রোর ঐ স্বার্থপরের মত খেলাটা ঠিক পছন্দ হয় নাই।

ফাইনালে বার্সা... থুক্কু স্পেন, এরকম খেলে হেরে গেলেও দুঃখ থাকবে না। আমি স্পেনের পক্ষেই থাকলাম।

_________________________________________

সেরিওজা

রেশনুভা এর ছবি

কিংকু, তুমি তো ছদ্মবেশী আর্জেন্টাইন এজেন্ট ... দেঁতো হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সেমি ফাইনালে জার্মানি হেরেছে টমাস ম্যুলার না খেলার কারণে। সে খেললে পুরো খেলার চেহারাই পালটে যেত। সাদামাটা জার্মানির গতির উৎস ওই ম্যুলার। এদিক দিয়ে স্পেন লাকি, ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনা আনলাকি। আজ থার্ড প্লেসের ম্যাচে ম্যুলার ফিরছে, উরুগুয়েরও উড়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

শুরুর দিকে আমার হিসেব ছিলো স্পেন-ব্রাজিল ফাইনাল। জার্মানি ফুল টীম খেলতে পারলে স্পেনকে হারানোর অঘটনও ঘটিয়ে ফেলতে পারতো। নেদারল্যান্ডসের খেলা ভালো লাগে না, ব্রাজিল খেলোয়াড়দের স্বার্থপর ফুটবলের সুযোগ নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল জিতলেও ফাইনালে তারা অন্তত ২ গোলে হারবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রেশনুভা এর ছবি

আমার অবস্থা খুবই খারাপ। কেরোসিন টাইপ। থাকি নেদারল্যান্ডসে। পছন্দ স্পেনিশ ফুটবল। ডাচ ফুটবলও অপছন্দ না। কী যে করি ... (চুল ছেড়া ইমো)

তয় আমার কেন জানি মনে কয় নেদারল্যান্ডস জিতবো ... :|

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।