যাদুর শহর ঢাকা

রিসালাত বারী এর ছবি
লিখেছেন রিসালাত বারী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৮/০৪/২০১৫ - ৮:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল সন্ধ্যায় ট্রাস্ট পরিবহনের বাসে মিরপুর যাচ্ছিলাম। এয়ারপোর্ট রোড এবং কচুক্ষেত রোডের সংযোগস্থলে বাসগুলো সুযোগ পেলেই ইউটার্ণ নিয়ে অনেক খানি রাস্তা কমিয়ে ফেলে। নয়তো বনানী ১১ থেকে বাঁক নিয়ে সেই মহাখালি ফ্লাই-ওভারের নিচ থেকে ঘুরে এসে কচুক্ষেতের রাস্তায় ঢুকতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেটাই করার কথা। গতকাল বাসটা সুযোগ পাওয়ার পরেও যখন ট্রাফিক আইন না ভেঙ্গে সেই মহাখালি দিয়ে ঘুরিয়ে আনতে গেল তখন বাসের প্রতিটা যাত্রী ক্ষেপে উঠলো। এই পরিস্থিতিতে প্রথম আক্রমন করা হয় বাস ড্রাইভার আর কন্ডাক্টরকে। বাংলা ভাষায় সর্বনামের তিনটি রূপ থাকায় মানুষের জন্য রাগ বা ঘৃণা প্রকাশের কাজটি বেশ সহজ। প্রথমে আমরা বাস ড্রাইভারকে আপনি আর কন্ডাক্টরকে তুমি দিয়ে শুরু করি এবং এক সময় রাগ আর ক্ষোভের মাত্রা বাড়াতে দুজন'কেই তুই বলা শুরু করি।

আমার পাশে বসা যাত্রীটি হয়ত মাত্রই বসের ঝাড়ি খেয়ে এসে বাসে উঠেছে। সমস্ত রাগ তার গিয়ে পড়লো কন্ডাক্টরের ওপর। এরকম পরিস্থিতিতে আমি কখনো কন্ডাকটর বা ড্রাইভারকে আইনের কথা বলতে শুনিনি। আইন ভাঙ্গাটাকে আমরা মোটামুটি নৈতিক অধিকার হিসেবেই ধরে নেই। তাই কিছুটা অবাক হলাম সে যখন আমার পাশে বসা যাত্রীকে আইনের কথা বলে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করলো। আইন ভাঙ্গার অধিকারে হস্তক্ষেপের কারনে যাত্রীটি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন। তখন ড্রাইভার জানালেন যে, তার যে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কথা সেই রাস্তা দিয়েই যাবেন। এটাই তার ইচ্ছা। লোকটি তারপর পুরো রাস্তাই গজ গজ করতে থাকলেও তাকে আর কেউ বিশেষ পাত্তা দিচ্ছিল না।

আইন ভাঙ্গার পক্ষে আমাদের যুক্তিগুলি বেশ চমকপ্রদ। "ঐ দুইটা বাস তো ঠিকই ঐ পথেই গেল, তোর যাইতে সমস্যা কোথায়?" ঘুরেফিরে এই আর্গুমেন্টকে ঘিরেই আমরা নানান অপকর্ম করে ফেলি। পত্রিকায় দেখলাম এক কুটনৈতিকও এই একই যুক্তি দেখিয়ে দোকান থেকে জিনিসপত্র হাপিস করে দিতে যেয়ে ধরা খেয়েছেন। তার প্রতিও আমাদের সমব্যাথি হওয়া দরকার। তার কলিগরা একই কাজ করে কেউ ধরা খায়নি দেখেই না তিনি চুরিতে উৎসাহিত হয়েছেন!

যাই হোক, কিছুক্ষণ পর কন্ডাক্টর ভাড়া চাইতে এলে উক্ত ভদ্রলোক একটি ৫০০ টাকার নোট বের করে দিলেন। কন্ডাকটর অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো ১৩ টাকার ভাড়ায় ৫০০ টাকার নোট দিলে কীভাবে হবে! তখন ভদ্রলোক জানালেন এটা তার ইচ্ছা। তারা যেমন ইচ্ছা মত বাস নিয়ে দীর্ঘ রাস্তা ধরে এসেছে তিনিও তেমনি ইচ্ছা মত ৫০০ টাকা দিয়েছেন। তার থেকে ভাড়া নিতে হলে ৪৮৭ টাকা ফেরত দিয়েই নিতে হবে। কন্ডাকটরের হাতে কয়েকটা ১০০ টাকার নোট থাকলেও সেগুলো না দিয়ে সে সবচাইতে ছোট নোট দিয়ে টাকা গণনা শুরু করলো। প্রথমে এগারটি ২ টাকা, এরপর সতেরটি ৫ টাকা এবং অবশিষ্ট সব দশ টাকার নোটে দিয়ে বললো, "টেকা গুইন্না ন্যান"। এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নোট গুনতে রাজি না হওয়ায় কন্ডাক্টর নিজেই আবার গোনা শুরু করে ইচ্ছা করেই একটি দশ টাকার নোট সড়িয়ে রেখে বললো, "দশ টেকা বেশি দিয়া ফালাইছিলাম, আপনি আবার গুইন্না ন্যান"। এবার বাধ্য হয়েই ভদ্রলোক টাকা গোনা শুরু করলেন এবং বললেন দশ টাকা কম আছে। কন্ডাক্টর দশ টাকা দিয়ে বললো, "আরেকবার গুইন্না দেখেন, ভুলও হইবার পারে"। আশেপাশের লোকজন তখন বেশ হাসাহাসি শুরু করেছে। বাস থেকে নামার মুহুর্তে কন্ডাক্টর আমার দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলিয়ে একটা হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, "ছার, কেমুন দিলাম :D"

মেয়র নির্বাচন সামনে। নানান ঘরানার প্রার্থীরা ইতিমধ্যে ভোট ভিক্ষায় নেমে গেছেন। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পার্থক্য হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি। মোটামুটি সবাই পেজ/ইভেন্ট খুলে ভোটের দাওয়াত দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আকাশচুম্বী অনেক প্রতিশ্রুতির কথাও শোনা যাচ্ছে। সেটা ভাল কথা, কারণ কর্পোরেট শাস্ত্রে লেখা আছে টার্গেট সবসময় বেশি বেশি রাখতে হয়। তবে সমস্যা হচ্ছে, শাস্ত্রে এও বলা আছে যে টার্গেট হতে হবে সুনির্দিষ্ট, পরিমাপ যোগ্য, অর্জন উপযোগী, বাস্তবতার সাথে সংগতিপূর্ণ এবং সময়ের মাপকাঠিতে সংজ্ঞায়িত। আফসোসের ব্যাপার এখন পর্যন্ত কারও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই এই শর্তগুলোর ধারে কাছে নেই। আমরা কি আশা করতে পারি হবু মেয়ররা অন্তত পাঁচটা হলেও এমন লক্ষ্যের কথা বলবেন এবং নির্বাচিত হলে তা অর্জনে কাজ করবেন?

আমার অফিস গুলশান এলাকায়। এখানে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই রাস্তার দু'ধারে, ড্রেনে মশা বিনাশক ঔষধ স্প্রে করতে দেখি। কিন্তু মিরপুর এলাকায়, যেখানে আমার বাসস্থান, সেখানে গত কয়েক বছরে এমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এটা কি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নেয়া উদ্যোগ? নাকি সিটি কর্পোরেশন শুধু অভিজাত এলাকা গুলোতেই এমন সেবা দিয়ে থাকে? এই পক্ষপাতের হেতু কী?

মেয়র নির্বাচনের কথায় প্রসঙ্গক্রমে চলে আসে জোনায়েদ সাকি'র কথা। তিনিও এবার মেয়র নির্বাচনের প্রার্থী। গত জানুয়ারির দুটো খবরের কথা মনে পড়ছে। প্রথম খবরটি ছিল, প্রথমবারের মতো গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর ভোক্তাদের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। (সন্দেহ নাই অত্যন্ত বাজে সিদ্ধান্ত বাই বাকশাল। গ্যাস আল্লাহর নেয়ামত, সেটা পোড়াইতে আবার টেকা কিসের?)। যাই হোক, এর আগে প্রত্যেকবারই সরকারি নির্বাহী আদেশে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু এবার গণশুনানিতে প্রস্তাবকারী কোম্পানি ও ভোক্তাদের মধ্যে যুক্তিতর্ক হবে। এরপর মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা যাচাই-বাছাই শেষে আদেশ দিবে বিইআরসি।

দ্বিতীয় খবরটি ছিল, ভেতরে যখন বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ গণশুনানি চলছে, ঠিক সে সময়ে বাইরে এর বিরুদ্ধে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। বাম মোর্চাভুক্ত বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গনতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা গণঅবস্থানে অংশ নিচ্ছেন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া অবৈধ। এর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তো কথা হচ্ছে, জোনায়েদ সাকি বেশ "অদ্ভুদ"। গণশুনানির অর্থই হচ্ছে গণ মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে তাদের যুক্তি তুলে ধরবেন। জোনায়েদ সাকি বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অবৈধ বললেও এটা কেন অবৈধ সে সম্পর্কে শুনানিতে অংশ না নিয়ে বা যুক্তি-তর্ক তুলে না ধরে বাইরে বসে অবস্থান ধর্মঘট করেন। মেয়র হিসাবে তার কাছে ঠিক কী প্রত্যাশা করবো তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। যানজট দূর করার লক্ষ্যে তিনি হয়ত রাজপথে অবস্থান ধর্মঘট করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন!


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

জোনায়েদ সাকী জিতবে? তারে কয়টা মানুষ চিনে?

কন্ডাকটর ড্রাইভারের আচরণে অবাক হইলাম। দারুণ দেখাইসে!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

রিসালাত বারী এর ছবি

কন্ডাক্টর আসলেই কুল ছিল, গাইল খাইয়াও চ্যাতে নাই

হিমু এর ছবি

জোনায়েদ সাকী ঐ বাসে থাকলে ড্রাইভার-কণ্ডাক্টরের খবরই ছিলো। হয়তো ঐ বাস থেকেই বিপ্লব শুরু হয়ে যেতো।

রিসালাত বারী এর ছবি

দেঁতো হাসি

গগন শিরীষ  এর ছবি

প্রদীপ,তোর কন্ডাক্টরের গল্প ফেসবুকে পড়ে মজা পাইসিলাম।এরকম স্মার্ট লোক আমি খুব কমই দেখসি।আর জোনায়েদ সাকীদের নিয়ে আমি কোনকালেই আশাবাদী ছিলাম না,এরা এরকমই থাকবে।

রিসালাত বারী এর ছবি

বামদের নয়া কেউ যদি কখনো কিছুটা আশাবাদী হয়ও, সেই আশা ধ্বংস করার জন্য যা যা করা দরকার তারা সবসময় তার থেকে কিছুটা বেশি করে ফেলে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি চলুক

দেবদ্যুতি

রিসালাত বারী এর ছবি

হাসি

সবজান্তা এর ছবি

ঢাকার বাসের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমি বরাবরই লোকাল বাসে চড়ে ঘুরে বেড়ানো মানুষ- জীবন এবং ঢাকা সম্পর্কে বহু জ্ঞানের উৎসও এই লোকালবাসই। আমার বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ছিলো লোকাল বাস সম্পর্কে। সময় থাকলে হাতে পরে এসে মন্তব্যের ঘরে যোগ করে যাবো।

জোনায়েদ সাকি ভাইকে নিয়ে শুনলাম বিপ্লবী জনতা উত্তেজিত। তবে আমার মতো অবিপ্লবী মানুষের অবশ্য মনে হয়, উনার ঘটিবাটি শুদ্ধা জামানত বাজেয়াপ্ত হবে- যেমনটা এর আগে এক বিশিষ্ট অনলাইন ব্যক্তিত্ব, ও বিখ্যাত সাংবাদিকের হয়েছিলো।

ভালো কথা- বলদিয়ার জমিদার চৌধারি ইরাদ সিদ্দিকী কি দাঁড়াইসে এইবার?

রিসালাত বারী এর ছবি

ভাল কথা মনে করছেন। বলদিয়ার জমিদারের ফেসবুক পেজটাও অনেকদিন দেখি না।

তিথীডোর এর ছবি

ইরাদ বলদিয়া
নেন। চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কন্ডাক্টরের প্রেমে পড়ে গেলাম! হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রিসালাত বারী এর ছবি

চোখ টিপি

এক লহমা এর ছবি

চলুক
এইরকম কন্ডাক্টার-ড্রাইভারে বাংলাদেশ ভরে উঠুক, এই আকাঙ্খা করি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কন্ডাক্টারের কাণ্ডটা দারুণ! নির্ঘাত ওই খুচরোর মধ্যে ও বেশির ভাগ ছেঁড়া নোট দিয়ে দিয়েছে। যেগুলো চালাতে গিয়ে লোকটার দফারফা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১।
এইরকম বেমক্কা প্যাসেঞ্জাররে কবিগুরু স্টাইলে "যখনি দাঁড়াবে তুমি পথ কুক্কুরের সম্মুখে তাহার তখনি সে/সঙ্কোচে সত্রাসে যাবে মিশে..." থেরাপি দিলেই কাছা তুলে (কখনও খুলে) দৌড় দেয়। একজনকে খালি সাহস করে শুরু করতে হয়। করে দেখেছি, কাজ করে।

২।

আমরা কি আশা করতে পারি হবু মেয়ররা অন্তত পাঁচটা হলেও এমন লক্ষ্যের কথা বলবেন এবং নির্বাচিত হলে তা অর্জনে কাজ করবেন?

বুমধারী অনুভূতিবাজেরা সক্রিয় হলে পারি।

৩।
ইয়ে, বিপ্লবরে না সোনায়েদ জাকী পল্টনে পিটা দিয়া মাইরা ফালাইল? (তথ্যসূত্রঃ হিমু ভাই) এখন সে ঠিক কি নিয়া বিপ্লবের কি ফেলে?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

বন্দনা এর ছবি

লেখার প্রথমাংশ খোমাখাতার কল্যানে পরে ফেলেছি অলরেডি,ভীষণ মজা পাইছি ইনফ্যক্ট।

স্যাম এর ছবি

চলুক দেঁতো হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ঢাকার লোকাল বাসের অভিজ্ঞতা একটা চরম জিনিস। কত হাজার রকম মানুষ যে দেখা যায় বাসে উঠলে। এই নিয়ে একটা সিরিজ লিখব লিখব করেও লেখা হচ্ছে না। আপনি লেখায় কিছুটা উৎসাহ পাইলাম। কন্ডাক্টর ভাইয়াকে ব্যাপক পছন্দ হইছে।

মেয়র নির্বাচনের প্রার্থীদের কিছু কিছু বক্তব্য শুনলাম আজ টিভিতে। নিজ নিজ প্রতীকের ব্যাখ্যা দিল কয়েকজন। একজন কইল, মগ দিয়ে সাধারণ মানুষ সারাদিন পানি খায় তাই আমাদের প্রতীক মগ। এদের অ্যাজেন্ডাগুলাও হাস্যকর রকম। জোনায়েদ সাকীকে বলতে শুনলাম, ঢাকার লোকদের নাগরিক মর্যাদা নাই, মেয়র হইলে সে সে নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করবে। সাংবাদিক আর লোকজনকে ভোদাই পেয়ে এইরকম ভেগ কথাবার্তা বলে লোকজন পার পেয়ে যাচ্ছে। নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ব্যাপারটা আসলে কী, কেউ ওনারে জিগায় না কেন?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এটা একটা সিরিজ বানিয়ে ফেলুন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রানা মেহের এর ছবি

বাহ! কী চমৎকার একটা ব্লগ!

প্রতিবার দেশে যাই আর দেখি আইন না মানার প্রবণতা চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী খারাপ।

আপনার এই লেখা থেকে কিন্তু দুটো সিরিজ হতে পারে।
যাদুর শহর ঢাকা আর লোকাল বাস।
পারলে কন্টিনিঊ করবেন।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ওডিন এর ছবি

হ' সিরিজ হিসেবে কনটিনিউ করার তীব্র দাবী জানায়া গেলাম। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়েছি আগেই। ভালো লেগেছে। এখন এসে জানিয়ে গেলাম।

স্বয়ম

আয়নামতি এর ছবি

কন্ডাক্টর ভাইয়া দারুণ! স্ট্রীট স্মার্ট একেই বলে। দেঁতো হাসি
সিরিজের দাবীতে আমিও গলা তুললেম কিন্তু।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাহাহা। কন্ডাক্টর তো চরম দেখিয়েছে আসলেই! দেঁতো হাসি

মেয়র নির্বাচিত হলে সবাই "সুন্দর, সবুজ, পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ঢাকা" গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সেদিনই ভাবছিলাম, পুরো শহর নোংরা করে যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা নির্বাচিত হলেই বা শহরটা পরিষ্কার রাখবেন কীভাবে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।