একটি ধর্ষণের গল্প ও কিছু কথা

সাফিনাজ আরজু এর ছবি
লিখেছেন সাফিনাজ আরজু [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৭/০১/২০১৩ - ২:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে একটি ধর্ষণের গল্প বলি। হ্যাঁ, এটিও প্রতিদিনের পেপারে উঠে আসা অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনার একটি, পার্থক্য এইটুকুই যে ঘটনাটা আমি মোটামটি কাছ থেকেই ঘটতে দেখেছিলাম।

এই গল্পটি রবির মা, রবির বাবা আর রবির। রবিরা ছিল নিম্নবিত্ত, তথাকথিত সমাজের একদম শেষ পর্যায়ের মানুষ। সাঁওতাল এই পরিবারটিতে রবির বাবা ছিলেন একজন রিকশাচালক। উনাদের আসল নাম পরিচয় আমি জানিনা, শুধু জানতাম উনারা রবির বাবা আর মা।

প্রায় বছর নয়েক আগে রাজশাহীতে আমাদের বাড়ির দুই ঘর পাশে যে পরিত্যক্ত বাড়িটি ছিল, একদিন কলেজ যাবার পথে খেয়াল করলাম সেখানে রবিরা এসে উঠেছে। বাড়ির আশে পাশে আরও অনেক রিকশাওয়ালা দম্পত্তির বসবাস ছিল। তবুও হাসিখুশি এই দম্পতিটি আমার নজর কেড়েছিল, তার কারন ছিল রবির বাবার অসম্ভব প্রাণোচ্ছল স্বভাব আর রবির বাবা আর মায়ের গভীর প্রেম। সমাজের নিচু তলার মানুষদের মধ্যে সাধারনত প্রেম ভালবাসার চর্চা সেভাবে দেখা যায়না। সেখানে উনারা ছিলেন পুরাই দৃষ্টান্ত। আমি আমার কলেজ যাওয়া আসা, দৈনন্দিন জীবন যাপনের মধ্যে উনাদের গভীরভাবে লক্ষ্য করতাম। রবির বাবা প্রায় সময় সন্ধ্যার দিকে রবির মা আর রবিকে নিয়ে রিকশাতে করে ঘুরতে বের হত, সারাদিন রিকশা চালালেও বিকালের পরে সব সময় রবির বাবা বাসায় থাকত।

অনেক সকালে প্রাইভেটে যাবার সময় প্রায়দিনই আমি উনার রিকশাতে যেতাম, সেই সুবাদে উনার সাথে মাঝে মাঝেই আমার টুকটাক কথা বার্তা হত। উনি মাঝে মাঝেই আমাকে গল্প শুনাতেন আজ অমুক হলে কোন বাংলা সিনেমা এসেছে, আজ বিকেলে সেখানে যাবে তারা সবাই তো কাল চিড়িয়াখানায় যাবে, রবির মায়ের জন্য ঈদে কি কিনবেন এইসব টুকিটাকি গল্প আর কি। উনাদের এই ধরনের গল্প শুনতে আমারও খুব ভালো লাগত।

তুলনামূলক ভাবে রবির মা মানুষটা কিছুটা লাজুক ছিলেন, কখনও হয়ত কল পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকলে দেখা হত, কুশল জানতে চাইলে লাজুক হাসি দিতেন। রবির মায়ের আরেকটি স্বভাব ছিল, উনি খুব গুছিয়ে পরিপাটি হয়ে থাকতেন। মাঝে মাঝে আবার দেখতাম বিকেল বেলায় আমাদের বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে দুই জন বসে টুক টুক চা খাচ্ছেন আর ছোট্ট রবি খেলে বেড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে কিন্তু খুব চমৎকার সুখী পরিবার। আমার বাসার একদম নিকটবর্তী হবার কারনে হাজার ব্যাস্ততার মাঝেও তাদের কাজকর্ম ঠিকই চোখে পড়ত।

ক্রমে ক্রমে দেখলাম রবির বাবার আমুদে স্বভাবের জন্য প্রায় দিন পাড়ার অন্য ৩/৪ জন রিকশাচালক উনাদের বাসায় যাওয়া শুরু করল, মাঝে মাঝে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা চলত। এভাবেই দিন চলছিল। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে শুনতে পেলাম পাশের বাসায় নাকি পুলিশ এসেছে। ঘটনা জানতে গিয়ে আমি প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেয়েছিলাম। গভীর রাতে রবির বাবার সেই ৩ জন রিকশাওয়ালা বন্ধুর সাথে আরও ৩জন মোট ৬জন মিলে রবির বাবা কে পাশের ঘরে বেঁধে রেখে রবির মাকে রাতভোর ধর্ষণ করেছে। একঘরে যখন রবির মায়ের উপর নৃশংস অত্যাচার চলছিল তখন ভোরের দিকে রবির বাবা কোনমতে পাশের ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে লোকজন ডেকে আনে। সবাই মিলে দুই জনকে হাতে নাতে ধরে ফেললেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে রবির মায়ের রক্তাক্ত শরীর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এর পরের ঘটনা ছিল আসলে আর বাকি সব ধর্ষণের ঘটনার মতই। রবির মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা, পুলিশের গ্রেফতার, বাকিদের পলায়ন। এর পরেও রবির বাবাকে আমি কয়েকদিন দেখেছিলাম, ভেঙে পড়া বিধ্বস্ত এক মূর্তি যেন। রবির মা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার আগেই তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

পাড়ায় থাকবেই বা কিভাবে? ধর্ষণের পর পরেই তো সব দোষ এসে পড়েছিল রবির মায়ের উপর। অপরাধীদের বউ, ছেলে মেয়ে পাড়া প্রতিবেশীরা সবাই গলা উঁচিয়ে বলা শুরু করল সব দোষ রবির মায়ের ! সে কেন সব সময় এত সেজে গুঁজে থাকবে? গরিব মানুষের কেন এত গুছিয়ে শাড়ি পড়ার সখ? কেন স্বামীর সাথে এত ঢং করে বেড়াবে? রবির মায়ের আসলে চরিত্র খারাপ, সে নাকি ভাড়া খাটে। ফাঁকতালে তার নষ্ট চরিত্র(!?) দিয়ে পাড়ার সেই বেচারি(?!) ৩জন রিকশাওালাকে ফাঁসিয়েছে। আর সেই বেচারি তিনজন(?!) কিছু না বুঝেই নিজেদের পাশবিক কামনা মেটাতে স্বামীকে বেঁধে রেখে রাতভোর ৬জন মিলে সেই অসহায় নারীটিকে সাংঘাতিক নির্যাতনের পরে ধর্ষিত করে রক্তাক্ত, ক্ষত বিক্ষত করেছে।

একটি মেয়ের একটু গুছিয়ে শাড়ি পরে সেজে গুঁজে স্বামীর সাথে বেড়াতে যাওয়াও তবে দোষের!!! তাতেই তার চরিত্র নিয়ে মানুষের অশ্লীল নোংরা ইঙ্গিত?? সেই রবির মা কোথাও কারো এতটুকু সহানুভূতি পায়নি সেদিন, অথচ যদি তাদের বাসায় চোর এসে একটি পাতিলও চুরি করে নিয়ে যেত আমি নিশ্চিত সবাই সেই পরিবারটির পাশে গিয়ে দাঁড়াত সেদিন।

সেই ধর্ষণের ঘটনাটি সেই সময়ে পেপারে এসেছিল, বেশ কিছুদিন পাড়া সরগরম করে রেখেছিল, একজন পলাতক থাকলেও ঘটনার আসামী বাকি সেই দুই জনের ৮ বছরের করে জেল হয়েছিল। কয়দিন আগে শুনলাম জেল থেকে তারা ছাড়া পেয়েছে। সেই সহজ সরল বেচারি রিকশাওয়ালারা(?!) জেল থেকে বেড়িয়ে তাদের বউদের সাথে আবার সংসারও শুরু করেছে। শুধু মাত্র ছেলে হবার কারনে এত বড় অপরাধের পরেও সমাজে অন্য সবার সাথে মিশে যেতে এই অপরাধীদের একটুও সময় লাগেনি। ধর্ষক নামের এই জঘন্য অপরাধীর তকমাটা তাদের শরীরের কোথাও লাগেনি, অথচ নির্যাতিত সেই মেয়েটিকে, তার স্বামীকে, তার পরিবারকে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। ধর্ষকরা আজ বেশ ভালোই আছে, সুখেই আছে। খুব জানতে ইচ্ছে হয়, রবিরা আজ কেমন আছে??? এখনও কি তাদের সংসারে হাজার অভাবের মাঝেও সুখ আনাচ কানাচ দিয়ে ঝরে পড়ে??? এখনও কি তাদের সেই হাসিখুশি ভাবটা আশে পাশের সবাইকে হাসিয়ে ফেলে?

এ তো গেল সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষজনের মন মানসিকতা যেখানে ধর্ষণের পরে সবাই মেয়েটির দোষ খোঁজে। ভয়ংকর ব্যাপার হল আমরা যারা তথাকতিত শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষজন তাদেরও ঠিক একই অবস্থা।
দিল্লীর সেই মেয়েটির অসম্ভব মর্মান্তিক ঘটনার পরে সবাই বেশ নড়ে চড়ে বসেছে। নানান মানুষ নানান রকম কথাবার্তা বলা শুরু করেছে। ফেসবুকের একটা সুবিধা হল মানুষ জনের চিন্তা ভাবনাগুলো এখন কিছুটা হলেও বুঝা যায় ফেসবুকের কল্যাণে।

ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেখলাম যেটি অনেকেই তুমুল হারে লাইক আর শেয়ার করছে সেটি ছিল- "Do not teach us what to wear, teach your sons not to rape" এই কথাটির এবং প্ল্যাকার্ডটির প্রেক্ষিতে করা মন্তব্য-

মিস্টির দোকানে মিস্টি ঢেকে না রাখলে তাতে মাছি বসবেই.................................।।

এখন যদি দোকানদার দোকানের কাস্টমার কে বলেন

" আমাকে বইল না মিস্টি ঢেকে রাখতে, মাছিকে বল যাতে মিস্টির উপর না বসে"

তাইলে ১০০% সিওর আপনাকে কেও অন্য কিছু বলবে না, শুধু পাগল বলবে।

এবার আপনারা বলেন এই মেয়ে টা কি?

আরেকটি বেশ জনপ্রিয় স্ট্যাটাস হল সেই একই ইংলিশ বাক্যটির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন উন্নত এবং মুসলিম প্রধান দেশগুলর মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করে প্রমান করা যে কথাটি আসলে ভুল, আসলে সব দোষ মেয়েদের, তাদের পোশাকের, তাদের চলাফেরার, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে না চলার। এইসব কথা বার্তার ফাঁকে শিক্ষিত এইসব মানুষেরা প্রকারন্তারে ধর্ষণের মত ভয়ংকর নিষ্ঠুর অপরাধকেই সমর্থন করে যাচ্ছে।

এইসব কথাবার্তা যখন শুনতে পাই, দেখতে পাই প্রচণ্ড রাগে ক্ষোভে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যায়। শুধুমাত্র ভিন্ন শারীরিক কাঠামোর জন্য, শুধুমাত্র কতিপয় কাপুরুষ নামক জানয়ারের কুৎসিত কামনা পূরণের জন্য যখন কোন মেয়েকে এভাবে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়া হয়, ভয়ংকরভাবে অপমানিত করা হয় তখন তার কেমন লাগে নিজে মেয়ে হিসেবে কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারি।

মেয়েরা কি মিষ্টি, পণ্য, শুধুই ভোগের জিনিষ? মানুষ নয়? মেয়েরা কেন ছেলেদের চোখে মেয়েমানুষের পরিচয় থেকে শুধু মানুষ হয়ে উঠতে পারেনা? মেয়েদের ধর্ষণের সাথে যদি দোকানে খোলা ফেলে রাখা মিষ্টির তুলনা করা হয় তবে আমার মতে তাহলে কোন অপরাধী আসলে অপরাধী নয়, অপরাধী বলে কোন শব্দই থাকা উচিত নয়, কোন অপরাধের বিচার চাওয়া কোনভাবেই উচিত নয়। কারন প্রতিটি অপরাধের পিছনেই অপরাধীর নিজস্ব যুক্তি থেকে থাকে।

তাহলে ছিনতাইকারীকে আর কেনই বা অপরাধী বলি- এত সুন্দর মোবাইল, ক্যামেরা, ল্যাপটপ,হাতে নিয়ে সোনার গহনা পড়ে ঘুরে বেড়াব, আর এত সব লোভনীয় ক্যামেরা, ল্যাপটপ বা মোবাইল নামক মিষ্টি রাস্তা ঘাটে খোলা ঘোরাফেরা করলে মাছি তো আসবেই, মাছি তো ছিনতাই করবেই।

কাউকে সুন্দর দামী কোন মডেলের গাড়ি নামক মিষ্টি তে চড়ে ঘুরতে দেখলে তবে প্রকাশ্য জনপথে অথবা নির্জনতায় গাড়ি নামক মিষ্টি জবর দখল করা কোনই দোষের ব্যাপার নয়।

যে খুন করে তারই বা আর কি অপরাধ- এটা তো সে রুটি রুজির জন্যই করে থাকে তাইনা, এমনি এমনি তো আর খুন করছেনা, কখনও টাকার জন্য, কখনও বা প্রতিশোধের জন্য, একটা যুক্তি তো আছে।

যে ঘুষ খায়, তার অতিরিক্ত টাকার দরকার সে জন্যই খায়, তার তো আসলে কোন দোষ নাই।

আমরা ধর্ষণের সময় মেয়ে নামক মিষ্টির দোষ দিব ঢালাও ভাবে আর অন্য সময়ে, বাকি সব সময়ে অপরাধীর দোষ হবে- উঁহু, তা হবেনা। মেয়েদের যেমন নিজের স্বভাব চরিত্র পরিবর্তন করে, রেখে ঢেকে পোশাক পড়ে চলতে হবে, ঠিক সেইভাবে কোথাও কোন অপরাধ ঘটলে সব দায় দায়িত্ব তাহলে ভিক্টিমের নিতে হবে! কোথাও কোন বিচার চাওয়া যাবেনা !

প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা চোখে পড়ে যেখানে অনেক সময় মেয়েটির বয়স এতটাই কম থাকে যে তাকে আসলে শিশুই বলা যায়, তবুও আমাদের হুঁশ হয়না, তবুও আমরা ধর্ষণের পক্ষে খোঁড়া যুক্তি খুঁজি, তবুও ধর্মের দোহাই দিয়ে শালীনতার কথা বলি। এমন ধর্মের জন্য ধিক্কার, এমন মানুষদের ধিক্কার!

এত এত ঘটনা ঘটে তবুও আমরা একটুও নড়ে চড়ে বসিনা, আমাদের বিবেকে কোথাও বিঁধেনা । দিল্লীর ঘটনার পরে সেখানকার সকল শ্রেণীর সাধারন মানুষের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সেই দেশের সরকার , রাজনৈতিক দলগুলো, নেতা নেত্রী সবাই নড়ে চড়ে বসেছেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। আমরা কবে একটু নড়ে চড়ে বসব? আমাদের বিবেক কবে জাগ্রত হবে? এই সকল ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইতে আমরা আর কবে শিখব, এমন শাস্তি যাতে করে আমাদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা পশু পুরুষগুলোর ধর্ষণ করতে যাবার আগে যেন বুক কেঁপে উঠে শাস্তির কথা চিন্তা করে।

না তেমন কিছু লাগবে না,হাল আমলের ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোতে অপরাধীদের খুঁজে বের করে জনসমক্ষে শাস্তি দেওয়া হোক, সেই শাস্তি বার বার মিডিয়াগুলোতে প্রচার করা হোক, সামাজিকভাবে এইসব মানুষদের পুরোপুরি বর্জন করা হোক, আমি নিশ্চিত এইসব মানুষ নামক কাপুরুষ পশুগুলো ভয় পাবেই। রবির মায়ের সেই ঘটনায় সেই সব ধর্ষকদের পরিবার যদি তীব্র ভাবে ধর্ষকদের বর্জন করত, তা দেখে বাকিরা শিক্ষা নিত।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যে মেয়েটি ধর্ষণের মতন এমন মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যে দিয়ে যায়, তাদের প্রতি সমাজের নিষ্ঠুর আচরন। তাদের প্রতি আমরা বিন্দুমাত্র সহানুভুতির হাত বাড়াই না, ভালবাসায় আশ্বস্ত করিনা বরং তাদের চরিত্র নিয়ে সন্দেহ পোষণ করি। উন্নত বিশ্বেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে, কিন্তু সেক্ষেত্রে অপরাধীর বিচার হয়। কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে কাগজে কলমে মেয়ের চরিত্র, মেয়ের পোশাক এইসব প্রমান করতে বসেনা। আর তাছাড়া ধর্ষণের পরে মেয়েটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরেও আসতে পারে, যেটি কিনা আমাদের সমাজে একেবারেই অসম্ভব। মেয়েদের প্রতি সমাজের এই মানসিকতার পরিবর্তনের প্রয়োজনটাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

সচেতনতার আসলে বিকল্প নেই। আমারা ধর্মের ফালতু যুক্তি বর্জন করে অপরাধকে শুধুই অপরাধ হিসেবে ঘৃণা করি এবং তার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করি। সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে, এলাকা ভিত্তিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ধর্ষণের ব্যাপারে সবার আগে আসলে সুস্থ মানসিকতার ছেলেদের প্রতিবাদে এগিয়ে আসা উচিত। যে কোন অন্যায়ের, অত্যাচারের সময় সংখ্যাগুরুদের সক্রিয় প্রতিবাদ সংখ্যালঘুদের পাশে অবস্থান,সংখ্যালঘুদের সবসময় আশ্বস্ত করে, সাহসী করে তোলে। রবির মা বিচার পেয়েছিলেন কারন রবির বাবা সোচ্চার ছিলেন। দিল্লীর ঘটনাতে সেই সব ধর্ষকদের নিজ নিজ পরিবার থেকে বর্জন শুরু করে আইনজীবীরা পর্যন্ত তাদের পক্ষে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এইভাবে যদি প্রতিটি ধর্ষণের ক্ষেত্রে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হবার পরে পরিবার থেকে ধর্ষকেরা কোন ধরনের সহযোগিতা না পায়, সামাজিক প্রতি পদক্ষেপে ধর্ষকদের বর্জন করা হয় এবং কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা করা হয় তাহলে কারো মনের ভেতর এমন ইচ্ছে থাকলেও উবে যেতে বাধ্য।

আইনের শাসন কঠিন থেকে কঠিনতম হোক। সামাজিক সচেতনতা, ধর্ষকদের প্রতি ঘৃণা, সামাজিকভাবে ধর্ষকদের বর্জন এবং কঠোর আইনের বিধানই পারে ধর্ষণের মতন এমন ভয়ংকর, অমানবিক অপরাধের দমন করতে। ধর্ষণ নামক এই বর্বরতার, নৃশংসতার বিরুদ্ধে সকলের সম্মিলিত সুদৃঢ় অবস্থানই পারবে এই অন্যায় থেকে মুক্তি দিতে।


মন্তব্য

সাইদ এর ছবি

পুরুষ হিসেবে লজ্জিত বোধ করছি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সব পুরুষ তো আর এমন নয় সাইদ, তাই আপনাদের কেই এগিয়ে আসতে হবে। আশে পাশে যখন যেখানে দেখবেন মেয়েদের প্রতি অন্যায় আচরন, ইভ টিজিং বা অন্য যে কোন রকমের নির্যাতন, প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ করুন।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এমন আশাবাদ আমরা রাখতেই পারি, তবে তা নিজ দ্বয়িত্বেই। বিচারব্যাবস্থার সঙ্গীন দশা, এটা নতুন নয়। সবচেয়ে বাজে অবস্থা নারী নির্যাতন ও তার সংশ্লিষ্ট বিচার কার্যক্রম। এখানে প্রশাসনের অবস্থানও প্রশ্নবিদ্ধ। নির্যাতিতকে আদালতে আবারো শিকার হতে হয় ধর্ষণের। সামাজিক মূল্যবোধ হঠাৎ করে গড়ে ওঠে না। এর জন্য রাষ্ট্র, প্রশাসন এবং তেৃস্থানীয় পর্যায় থেকে এক ধরনের চর্চা থাকতে হয়। এটা যে নেই বরং বিপরীত অবস্থানেই যে আমরা দাঁড়িয়ে তা সহজে দৃষ্টিগ্রাহ্য।
এটা পাল্টাতে আন্দোলন ছাড়া গত্যন্তর নেই। সমন্বিত, দীর্ঘসূত্রি সম্মিলিত আন্দোলন একমাত্র এর একটা উত্তরনের দিকে আমাদের নিয়ে যেতে পারে। মিষ্টি ও মাছির উদাহরণ, স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের সমাজের বাস্তবতা মূলত কি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই মনোভঙ্গি সমাজের উঁচু থেকৈ নিচুতলার সমস্তটা জুড়ে, শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে। সঙ্কটটা কাঠামোয়, সঙ্কট পুরুষতন্ত্রে, সঙ্কট নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠীর মজ্জাগত প্রবণতায়। এটা শিলাখণ্ডের মতো দৃড় ও স্থায়ী হয়ে উঠেছে। একে ভাংতে হলে তাই হঠাৎ করে কোনও একটা ঘটনায় বা দাবিতে মাঠে নামলেই হবে না। ভাঙতে হলে ক্রমাগত আঘাত ও নির্মাণ প্রক্রিয়ার মিথস্ক্রিয়ায় পথ করে নিতে হবে। আর আমাদের দুর্বলতাও বোধ হয় এখানেই। আমরা দীর্ঘমেয়াদে কিছু করতে সহজে রাজি হই না। নিজের চর্চা দিয়ে অতিক্রম করতে চাই না। ধর্ম এখঅনে সবচেয়ে বড় বাধা। একে চিনতে পারলে সঙ্কট আরো বেশি।
লেখা ভালো লেগেছে।

স্বয়ম

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সঙ্কটটা কাঠামোয়, সঙ্কট পুরুষতন্ত্রে, সঙ্কট নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠীর মজ্জাগত প্রবণতায়। এটা শিলাখণ্ডের মতো দৃঢ় ও স্থায়ী হয়ে উঠেছে। একে ভাংতে হলে তাই হঠাৎ করে কোনও একটা ঘটনায় বা দাবিতে মাঠে নামলেই হবে না। ভাঙতে হলে ক্রমাগত আঘাত ও নির্মাণ প্রক্রিয়ার মিথস্ক্রিয়ায় পথ করে নিতে হবে। আর আমাদের দুর্বলতাও বোধ হয় এখানেই। আমরা দীর্ঘমেয়াদে কিছু করতে সহজে রাজি হই না।

একমত, সুন্দর বলেছেন।
তাছাড়া, ধর্মের বাঁধা আসলেই অনেক অনেক বড় একটা বাঁধা। আমরা ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজেদের স্বার্থে যখন যা মন চায় যুক্তি সাজিয়ে জাহির করি। ধর্মের খোলস থেকে বের হয়ে এসে মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে না শিখলে অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

কিছু বলার নাই, প্রতিবাদ চলুক লেখায়, রাজপথে, সবজায়গায় চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রাজীব মাহমুদ এর ছবি

সচেতনতা, বিবেক এসবের উপর নির্ভর একটা রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তার ফানুস তৈরী করার দিন বোধহয় বহু আগেই শেষ। একজন ধর্ষণকারী এবং একজন খুনীর মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখিনা। একজন খুনীর যদি সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হতে পারে, তবে একজন ধর্ষকের কেন নয়? আমি এর বিপক্ষের যুক্তিগুলো শুনতে চাই। ধর্ষণের দ্রুত বিচার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্ত্যুদন্ড দেয়া না হলে আমরা শুধু ধর্ষণ-পরবর্তী বিক্ষোভ, প্ল্যাকার্ড, আর ঘৃণা-সর্বস্ব ফেসবুক স্ট্যাটাসই দেখব।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ধর্ষণের দ্রুত বিচার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্ত্যুদন্ড দেয়া না হলে আমরা শুধু ধর্ষণ-পরবর্তী বিক্ষোভ, প্ল্যাকার্ড, আর ঘৃণা-সর্বস্ব ফেসবুক স্ট্যাটাসই দেখব।

ধর্ষণের বিচার যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে বারবার মিডিয়াগুলোতে প্রকাশ করতে পারলে হয়ত কিছুটা কাজে দিবে। একটা সময় এসিড সন্ত্রাস আমাদের দেশে ভয়াবহ রুপ ধারন করেছিল। সবার প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধেই এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। ধর্ষণের ক্ষেত্রেও ঠিকমত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক শিক্ষাও মানুষের চিন্তা ভাবনা সুস্থ সুন্দর করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিবাদ হোক সকল জায়গাই।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

প্রতিবাদ চলুক লেখায়, রাজপথে, সবজায়গায়

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

মেঘা এর ছবি

যা বলতে চেয়েছিলাম যা লিখতে চেয়েছিলাম যা ভেবেছিলাম তার সব কিছু তুমি লিখে দিয়েছো আপু। প্রচণ্ড রাগ হয় যখন মানুষের এই ধরণের মন্তব্য দেখি ধর্ষণের বিরুদ্ধে লিখতে গেলে। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ এই ধারণা এখনো মনের মধ্যে ধরে রেখেছে যে মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছে সেখানে তার কোন না কোন দোষ ছিলই নাহলে কেন তার সাথে এমন হলো! কিছু বাস্তবতা আমার জানা আছে। নিজের চোখে দেখা আছে। আমি অসুস্থ হয়ে যাই সেসব চিন্তা করতে গেলে। যদি কোনদিন মানসিক শক্তি অর্জন করতে পারি তো লিখবো!

আমি ঘৃণা করি সেই সব মানুষদের যারা মেয়েদের পণ্য মনে করে, মেয়ে মনে করে, কিন্তু মানুষ মনে করে না।

লেখা চমৎকার হয়েছে চলুক । খুব বেশি কষ্ট হয় আপু তাই বেশি কিছু বলতে পারলাম না। শেয়ার দিলাম আর পাঁচ তারা দাগালাম।

আর হ্যাঁ আমার প্রতিবাদ করবো। ১১ তারিখ সকাল ১০টায় মানব বন্ধন হবে। আশা করি সমমনা আরো অনেক মানুষকে আমাদের সাথে পাবো।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আমি ঘৃণা করি সেই সব মানুষদের যারা মেয়েদের পণ্য মনে করে, মেয়ে মনে করে, কিন্তু মানুষ মনে করে না।

চলুক
তোমার প্রতিবাদের কথা জেনে ভালো লাগল মেঘা, নিশ্চয় পাবে সমমনা অনেক মানুষ। যদি আমিও থাকতে পারতাম বেশ হত, কি হল জানিও।

খুব বেশী কষ্ট আমারও হয়, কিন্তু নিজের কথাগুলো লিখে ফেল, আমাদের আরও জানতে দাও, প্রতিটি মানুষ আলাদাভাবে চিন্তা করে, তাই একই বিষয় নিয়ে যদি বিভিন্ন মানুষ লিখে আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছু সামনে আশে।
ধর্ষণের মত একটি অপরাধের পক্ষে মানুষ কিভাবে যুক্তি খাড়া করে ভাবতেই ঘৃণা হয়।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রংতুলি এর ছবি

প্রথমে ধন্যবাদ জানাই লেখাটার জন্যে।

সত্যি বলতে গত কয়েকদিনের এ ঘটনাগুলো এবং ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে কিছু মানুষের মন্তব্য/প্রতিক্রিয়া দেখে আমি নিজেই ভেতরে ভতরে ছটফট করছিলাম এরকম কিছু একটা লেখার জন্যে। খুব সহজে মানুষ ধর্ষণের মত পাশবিকতাকে জায়েজ করতে মেয়েদের পোশাক-আশাক, পর্দা, শালীনতা ইত্যাদিকে কারণ হিসেবে ঘাঁটতে বসে, যা পরোক্ষভাবে হলেও একটি মেয়ের করুণ পরিণতির জন্যে তাকেই দায়ী করে। একজন মহাজ্ঞানী এসে হয়ত কমেন্ট করে গেল - "পর্দাই মেয়েদের ইজ্জত-আব্রু রক্ষার একমাত্র উপায়।" আবার কেউ একজন বললো - "খাবার জিনিস ঢেকে না রাখলে মাছি তো বসবেই।" এই কমেন্টগুলোতে আবার আরো দশজন এসে নির্দ্বিধায় লাইক মেরে যাচ্ছে। এদের মধ্যেই কেউ কেউ আবার যেসব মেয়ে নারী অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের প্রকাশ্যে 'বেশ্যা' বলে গালিগালাজ করে যাচ্ছে... মাঝে মাঝে অস্থির লাগে আমারা আসলে কোথায় বাস করছি এটা ভেবে!! এক দিল্লীতে একটি মেয়েটি রেপ হলো, মরলো... তার পরেও অন্তত সেখানে মানুষ জাগলো, প্রতিবাদ করলো, সেই পশুগুলোর বিচার চাইলো... কিন্তু মেয়েদের প্রতি সেই একই মানসিকতা নিয়ে যে কত মানুষ আমাদের চারপাশেই উপস্থিত, কোনো রকম সঙ্কোচ ছাড়াই যারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জাহির করে যাচ্ছে, অথবা যারা লাইক দিয়ে তা উৎসাহিত করে যাচ্ছে... তার প্রতিবাদ আমরা কতটুকু করতে পারছি!

মেয়েদের ধর্ষিত হওয়ার পেছনে যারা পর্দা না করাকে দায়ী করে তাদের কাছে খুব জানতে ইচ্ছে করে - একটি শিশুর জন্য পর্দা কতটুকু প্রয়োজন? আপনি বা আপনার মতো মানুষেরা যারা নারী নামের রসগোল্লা খোলা দেখলেই নিজের লালসা সংবরণ করতে পারেন না তাদের কাছে একটি শিশুও কেমন করে সমান যৌন উদ্দীপক হতে পারে? কেন মিডল ইস্টের মত দেশগুলোতে যেখানে মেয়েদের পর্দা আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক সেখানে প্রতি ৫ জনের ৪টি শিশুকে তাদের বয়স ৩ থেকে ৬ এর মধ্যে সেক্সুয়ালী এবিউজড বা ধর্ষন করা হয়? একটি শিশু যে হয়তো ঠিক মতো তখনো হাঁটতেই শিখেনি অথচ সে শিখে গেল আপনাদের সেক্সুয়ালী সিডিউসড করা!!

শুধু ধর্মের দোষ দেই কেন, আমার কাছে সেই সব বিনোদন মাধ্যম - সিনেমা, নাটক বা বলিউডি মুভি/গানগুলোকেও সমান অসুস্থ মনে হয় যেগুলোতে হরহামেশায় মেয়েদের প্রদর্শিত করা হচ্ছে ভোগ্যপণ্য বা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে, যেকারণে ধর্মে মেয়েদের ঢেকে রাখতে বলা হচ্ছে ঠিক একই কারণে সেখানে লোভনীয় রসগোল্লার মতই সেখানে মেয়েদের তুলে ধরা হচ্ছে। একজন মেয়ে হিসেবে আমার আপত্তি আছে দুটোতেই।

নারী অধিকার বলে আলাদা কিছু থাকা লাগবে কেন? নারীবাদী হওয়ারও প্রয়োজন নেই কারো। মেয়েরা কোন আলাদা প্রজাতি নয় এটা কবে মানুষ বুঝবে, মানুষ হিসেবে একটা মেয়ের আবেগ, অনুভূতি, চাওয়া-পাওয়া অংশে আলাদা নয়। কবে মেয়েরা নিজেকে শুধু মানুষ ভেবে বাধাহীন পথ চলতে পারবে? কবে একটি মানুষ শুধুই মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকার পাবে? কবে আমাদের প্রত্যকের ভেতর থেকে নারীর প্রতি নারীসুলভ মনোভাব বদলে কেবল মানুষসুলভ মনোভাব জন্ম নিবে?

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মেয়েদের ধর্ষিত হওয়ার পেছনে যারা পর্দা না করাকে দায়ী করে তাদের কাছে খুব জানতে ইচ্ছে করে - একটি শিশুর জন্য পর্দা কতটুকু প্রয়োজন? আপনি বা আপনার মতো মানুষেরা যারা নারী নামের রসগোল্লা খোলা দেখলেই নিজের লালসা সংবরণ করতে পারেন না তাদের কাছে একটি শিশুও কেমন করে সমান যৌন উদ্দীপক হতে পারে? কেন মিডল ইস্টের মত দেশগুলোতে যেখানে মেয়েদের পর্দা আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক সেখানে প্রতি ৫ জনের ৪টি শিশুকে তাদের বয়স ৩ থেকে ৬ এর মধ্যে সেক্সুয়ালী এবিউজড বা ধর্ষন করা হয়? একটি শিশু যে হয়তো ঠিক মতো তখনো হাঁটতেই শিখেনি অথচ সে শিখে গেল আপনাদের সেক্সুয়ালী সিডিউসড করা!!

শুধু ধর্মের দোষ দেই কেন, আমার কাছে সেই সব বিনোদন মাধ্যম - সিনেমা, নাটক বা বলিউডি মুভি/গানগুলোকেও সমান অসুস্থ মনে হয় যেগুলোতে হরহামেশায় মেয়েদের প্রদর্শিত করা হচ্ছে ভোগ্যপণ্য বা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে, যেকারণে ধর্মে মেয়েদের ঢেকে রাখতে বলা হচ্ছে ঠিক একই কারণে সেখানে লোভনীয় রসগোল্লার মতই সেখানে মেয়েদের তুলে ধরা হচ্ছে। একজন মেয়ে হিসেবে আমার আপত্তি আছে দুটোতেই।

নারী অধিকার বলে আলাদা কিছু থাকা লাগবে কেন? নারীবাদী হওয়ারও প্রয়োজন নেই কারো। মেয়েরা কোন আলাদা প্রজাতি নয় এটা কবে মানুষ বুঝবে, মানুষ হিসেবে একটা মেয়ের আবেগ, অনুভূতি, চাওয়া-পাওয়া অংশে আলাদা নয়। কবে মেয়েরা নিজেকে শুধু মানুষ ভেবে বাধাহীন পথ চলতে পারবে? কবে একটি মানুষ শুধুই মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকার পাবে? কবে আমাদের প্রত্যকের ভেতর থেকে নারীর প্রতি নারীসুলভ মনোভাব বদলে কেবল মানুষসুলভ মনোভাব জন্ম নিবে?

চলুক চলুক
এই কথাগুলো আমার নিজেরও, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আপু কথাগুলো এত সুন্দরকরে গুছিয়ে বলার জন্য।

আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি যে ফেসবুকে আমার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা বেশ কিছু মানুষ যাদের আমি অন্ততপক্ষে সচেতন বলেই জানতাম তারাও এই ধরনের স্ট্যাটাস গুলোতে লাইক দিচ্ছে, শেয়ার করছে। এই সেই মানুষগুলো অন্য কিছু বিষয় নিয়ে সচেতন হলেও এই বিষয়ে তাদের মনোভাব এতটাই নোংরা। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে,এমন মানুষের সংখ্যা অনেক অনেক বেশী।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

পিয়াল এর ছবি

যারা ধর্ষণের কারণ হিসাবে মেয়েদের পোশাক, রাতে চলা ফেরা বা ধর্মের দোহাই দিচ্ছেন তাদেরকে অস্ট্রেলিয়াতে আসার দাওয়াত দিচ্ছি। আপনাদের কথা মত এখানে ইভ টিজিং থেকে শুরু করে সব রকম অপকর্ম করার পরিবেশ আছে। গভীর রাতে স্বল্পবসনা নারী, ধর্মীয় আনুসাশনের অভাব, নাইট ক্লাব সকল অনুঘটক বিদ্যমান থাকার পরও কিন্তু এই ধরনের কোনও ঘটনা খুবই বিরল। এর কারণ ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করছি না, যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝতে পারবেন।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

পিয়াল ভাই, যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝতে পারেনা যে। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভুলভাল এবং খোঁড়া যুক্তি চলতেই থাকে। আপনাকে ভুল বাংলাতে লেখা ফেস বুকের একটা স্ট্যাটাস দেখাই তাহলেই বুঝতে পারবেন-

কিছুক্ষন আগে একটা মেয়ের স্ট্যাটাস
দেখলাম"Do not teach us what to wear, teach your sons not to rape"
ভালো লাগলো কথাগুলা লাইকও দিলাম৷
একটু পরে ভাবলামএকটু দেখি তো কোথায় কোথায় ধর্ষণ এর Rate কেমন?তাতে দেখলাম Ranking এর শীর্ষ তালিকায় আছেঃ
১) South Africa: এই দেশে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে১১৯৫ জন ধর্ষিত হয়। সেখানে সমাজ বেবস্থা খুব খারাপ। অবাধ যৌনাচার, AIDS এর ছড়াছড়ি, মেয়েদের অর্ধ উলঙ্গ অবস্থা। শিক্ষার দিক থেকে ভাল না।
২) Australia: South Africa এর পর এর অবস্থান। এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৭৭ জন ধর্ষিতহয়। High Standard সমাজ বেবস্থা। শিক্ষা বেবস্থাও অনেক Developed। Morality এর দিক থেকেও so called developed। সেখানে মেয়েদের যে কোন Dress up allowed. কোথাও কোথাও পর্দা নিষিদ্ধ।
3) Canada : এর পরের অবস্থান।এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৩৩ জন নারী ধর্ষিত হয়। সেখানের সমাজ বেবস্থা,শিক্ষা বেবস্থা, Morality so called developed। অবশ্যই তারা তাদের সন্তানদের শিক্ষাদেয় Rape না করার। মেয়েদেরDress up as they wish. কোন বাঁধা নেই।
৪) Zimbabwe: এর পরের অবস্থান । এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪৫৭ জন নারী ধর্ষিত হয়। সমাজ বেবস্থা, শিক্ষা বেবস্থা, Morality খুবখারাপ।
এখানেও মেয়েদের Dress up এ কোন বাঁধা নেই। যা খুশি কাপর পরে।
৫) U.S.A: এর পরের অবস্থান। এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩০১ জন নারী ধর্ষিত হয়। বাকি অংশআর নাই বললাম। অবশ্যই এখানে মেয়েদের Rape শিক্ষা দেয়া হয় না। মেয়েদের Dress up না ই বলি। BeingNaked is allowed is some states. কোথাও কোথাও পর্দা নিষিদ্ধ।
৬) New Zealand: এর পরের অবস্থান। এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ২১৩ জন ধর্ষিত হয়। শিক্ষা বেবস্থা, সমাজ বেবস্থা, Morality so called developed. নারীদের dress up free. কোথাও কোথাও পর্দা নিষিদ্ধ।
৭) U.K: এর পরের অবস্থান।এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১৪২ জন ধর্ষিত হয় বাকি আমার কিছু বলারনাই। সবই জানা।

এবার আসি শেষের দিকে কারা আছেঃ
১) Saudi Arabia: শেষের দিক থেকে ১ নম্বর। এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ৩ জন ধর্ষিত হয়। শিক্ষা বেবস্থা so called developed না। শরিয়া আইন এ চলে। মেয়েদের পর্দা না করে এবং একা বাইরে বের হওয়া মানা। বের হতে চাইলে স্বামী, বড় ভাই কাউকে নিএ বের হতে হবে।
২) Azerbaijan: শেষের দিক থেকে ২ নম্বর। ৯৫% মুসলিম। এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩জন ধর্ষিত হয়। শিক্ষা বেবস্থা, Morality so called
developed না। মেয়েদের পর্দা করে বের হতে হয়।
৩) Yemen: শেষের দিক থেকে ৩ নম্বর। মুসলিম দেশ। West এর তুলনায় শিক্ষা বেবস্থা, সামাজিক বেবস্থা so called developed না । মেয়েদের পর্দা করে বের হতে হয়।
৪) Indonesia : শেষের দিক থেকে ৪ নম্বর। এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ৫ জন ধর্ষিত হয়। শিক্ষা বেবস্থা, সামাজিক বেবস্থা so called developed না। মেয়েদের পর্দা করতে হয়।
৫) Oman: মুসলিম দেশ। এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১৮ জন ধর্ষিত হয়। শিক্ষা বেবস্থা, সামাজিক বেবস্থা so called developed না। মেয়েদের
পর্দা করতে হয়।

এটা কোন মধ্যযুগীয় তথ্য না। ২১ শতকে যেখানে সভ্য জাতিগুলার তথ্য। যাই হোক কিছু বললামনান না ৷ আপনারাই চিন্তা করেন এবং আবার চিন্তা করেন....

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

পিয়াল এর ছবি

কিছুই বলার নাই আরজু আপু। কামুক পুরুষদের তীর্থভূমি, অর্ধশিক্ষিত, সুবিধাবাদী, বর্ণবাদী, নারীবিদ্বেষী, রাজাকার, পাকিস্তানপন্থিদের অতি পছন্দের ফেসবুক পেইজের এই কাল্পনিক পরিসংখ্যানে যারা সন্তুষ্ট তারা প্রকৃতপক্ষে মানসিকভাবে অসুস্থ এবং সম্ভাব্য ধর্ষণকারী (এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সাহস আর সুযোগ হয়ে ওঠেনি)।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ঠিক বলেছেন।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনেক আবেগ নিয়ে লিখেছেন বোধ করি।
আপনার কথাগুলো পুরনো। অবশ্য তারমানে এই নয় যে, এই কথাগুলো আবার বলা যাবে না।

আমার জানামতে বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন বেশ শক্ত। আপনার যদি শক্ত না মনে হয় তাহলে কোন অংশে পরিবর্তন হওয়া দরকার, কীরকম পরিবর্তন হওয়া দরকার সেটা নিয়ে একটা লেখা দিতে পারেন।

সামাজিক আচরণে পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে। পরিবর্তন হোক। সেই বিষয়েও আপনার বিস্তারিত লেখা আসুক। এই লেখাটা আসলে অনেকগুলো বিষয়ে একটুখানি করে কথা এসেছে। বিশেষ একটি বিষয়ে বিস্তারিত লিখলে ভালো লাগতো।

নারী'কে পণ্য করে রাখে সবার আগে ধর্ম। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এইখানে পরিবর্তন আনা সহজ নয়। তবে পরিবর্তন তো আনতেই হবে। সেই প্রচেষ্টা জারি থাকুক।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফাহিম হাসান এর ছবি

নারী'কে পণ্য করে রাখে সবার আগে ধর্ম।

চলুক

রুবেল এর ছবি

মিডিয়া কি নারীকে পণ্য বানায় নাই? বিড়ি, পারফিঊম, মদ, কাপড়, শেভিং কিট, হেয়ার রিমুভাল ক্রীম, ফেয়ারনেস ক্রীম, বডি লোশন ইত্যাদি বিজ্ঞাপন বুঝাতে চায়- যেমন করেই হোক, নারী তোমার লাগবোঈঈঈ। আমি নিজে ধর্ম না মানলেও এটা বিশ্বাস করি যে- ধর্ম না থাকলে আমাদের আর কুত্তার(অসভ্য প্রাণী) মধ্যে ব্যবধান থাকবেনা। কারণ নৈতিক বিষয়গুলো ধর্মীয় অনুশাসন থেকেই এসেছে বেশিরভাগ। ধর্ম নিয়ে গোঁড়ামি ছাড়লেই মনে হয় অনেক কিছু বদলাতে পারে।

আর শাস্তির ব্যাপারে আমি জনসমক্ষে শিশ্ন কাটার মত কঠিন শাস্তির পক্ষে, সৌদি আরবের মত কঠিন শাস্তির প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা উচিৎ এইক্ষেত্রে। তখন আবার পাব্লিকে কইবো মানবাধিকারের কথা। সবখানেই কেউ কইবো ''নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালা'' আবার কেউ কইবো ''কানা মামার চেয়ে নাই মামা ভালা(দুষ্ট গরুর চেয়ে শুণ্য গোয়াল ভালা)''।
পুরা জাতিই বিভক্ত, ঐকমত্য/ঐক্য নাই মন খারাপ

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

শাস্তির ব্যাপারে আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। এখানে মানবাধিকারের প্রশ্ন আমি দেখিনা, কারন এই ধর্ষন যারা করে তারা মানুষের পর্যায়ে পড়ে না। তবে শাস্তি হিসাবে একটা দ্রুত বিচার আইন করা দরকার যেখানে ৩-৪ মাস সময়ের মধ্যে শাস্তি কার্যকর করা হবে যেখানে সর্বনিম্ন শাস্তি হবে যাবজ্জিবন। সৌদির এই কাটাকুটির আইনের তো গোড়াতেই গলদ, খাঁটি শরিয়া আইন মানলে তো ওখানের একটা শেখেরও বংশদন্ড অক্ষত থাকবে না। সো সৌদির আলোচনা না করাই ভাল, ওইগুলা নপুংশক এর দল।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

তবে শাস্তি হিসাবে একটা দ্রুত বিচার আইন করা দরকার যেখানে ৩-৪ মাস সময়ের মধ্যে শাস্তি কার্যকর করা হবে যেখানে সর্বনিম্ন শাস্তি হবে যাবজ্জিবন। সৌদির এই কাটাকুটির আইনের তো গোড়াতেই গলদ, খাঁটি শরিয়া আইন মানলে তো ওখানের একটা শেখেরও বংশদন্ড অক্ষত থাকবে না। সো সৌদির আলোচনা না করাই ভাল, ওইগুলা নপুংশক এর দল।

ওইগুলা আসলেই নপুংশক এর দল।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রুবেল এর ছবি

তা অবশ্য মন্দ বলেননি, তবে শাস্তির মাত্রা এমন হতে হবে, যেন আসামির জীবনে প্রতি ঘণ্টায় মনে পড়ে যেমনটা ঘটে ভিক্টিমের

হিমু এর ছবি

আপনার কথা মতো, আপনার সঙ্গে তো কুত্তার কোনো ব্যবধান নাই তাহলে।

রুবেল এর ছবি

হতেও পারে।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ধর্ম না থাকলে আমাদের আর কুত্তার(অসভ্য প্রাণী) মধ্যে ব্যবধান থাকবেনা। কারণ নৈতিক বিষয়গুলো ধর্মীয় অনুশাসন থেকেই এসেছে বেশিরভাগ।

কোনভাবেই একমত নই কথাটির সাথে। ধর্ম না থাকলে বরং মানুষ অনেক অনেক বেশী মানবিক হবে। নৈতিক বিষয়গুলো মানুষ নিজে ধারন করতে শিখে, চর্চা করতে শিখে নিজের বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে। ধর্ম নৈতিকতাটাকে নষ্ট করে, মানুষকে অনেক ক্ষেত্রেই উন্মাদ, পশু বানিয়ে দেয়।

আপনি সৌদি আরবের কেসাসের পক্ষে? তাহলে আর কিছু বলার নাই। কেসাস আমি কোনভাবেই সমর্থন করিনা, ঘৃণা করি।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রুবেল এর ছবি

আপনি সৌদি আরবের কেসাসের পক্ষে?- তাদের কথা এসেছে কঠোরতার(বর্বরতাও বলা যেতে পারে) উদাহরণ হিসেবে আর আপনি শুরু করেছেন ত্যানা প্যাঁচানো। আমি ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের পক্ষে কারণ, মানুষ একসময় ঘটনা(পুরাতন পাপ) ভুলে যায়, ক্ষমাও পায়। সামাজিকভাবে বর্জন করার ২-৩বছর পরইতো মানুষরে বুঝাইলে বুঝবো, বেচারা নিজের ভূল বুঝতে পার্সে, এইবার তারে ক্ষমা করা যায়। তার পরিবারই তারে সবার আগে মাফ করবো। আমার ভূল হইসে এইখানে কমেন্টাইয়া, পার্লে কমেন্ট সবগুলা ডিলিট দিয়েন। লেজ গুটাইয়া পলাইতাসি। খালি বারবার মাথায় ঘুরতাসিল এই ফালতু ক্যাঁচালটা, পরীক্ষার মাঝখানে মাথাটা খালি রাখতে চাই। মাফ কইরা দিয়েন, তালগাছ আপ্নেগো।

মিলন এর ছবি

"আমি নিজে ধর্ম না মানলেও এটা বিশ্বাস করি যে- ধর্ম না থাকলে আমাদের আর কুত্তার(অসভ্য প্রাণী) মধ্যে ব্যবধান থাকবেনা।"

কেমনে কি? চোখ টিপি
আপনার ধর্ম নাই তাহলে ?

"কারণ নৈতিক বিষয়গুলো ধর্মীয় অনুশাসন থেকেই এসেছে বেশিরভাগ। "

একটু ব্যাখ্যা করবেন?

রুবেল এর ছবি

আপনার ধর্ম নাই তাহলে ?- জন্মগতভাবে আছে, আত্মিকভাবে নাই।
নৈতিক বিষয়গুলো ধর্মীয় অনুশাসন থেকেই এসেছে বেশিরভাগ- আমি বা আমার পরিচিত যারা জীবনের প্রথমভাগে শিখেছে, তারা ওই ধর্ম বই আর আশপাশের মানুষের কাছ থেকেই শিখেছে। এইটারও একটা অপব্যাখ্যা আসার আগেই ব্যাখ্যা দেয়া জরুরী মনে হচ্ছে কারণ এই ব্লগের মানুষগুলা অতিরিক্ত জ্ঞাণী, খালি ত্যানা প্যাঁচাইতে চায়। ছোট হইতেই হুইন্যা আইতাছি, এইটা করলে গুণাহ/পাপ হইব, ওইটা করলে পূণ্য/সওয়াব হইবো। স্বর্গে/বেহেশ্তে যাইতে পারবা মানুষের ভালা করলে(আর লিখতে কষ্ট লাগতাসে)। যেখান থেকে মানুষ আগে শিখে, সেইটারে ভিত্তি বলতে আমার আপত্তি নাই। আপনি যদি জীবনের প্রথমভাগ থেকেই নাস্তিক হয়ে থাকেন, তাইলে আপ্নে আলাদা বইলা সবাইরে আপনার মত মনে করাটা আমার মনে হ্য়না যুক্তিযুক্ত।
আমি খোদা বিশ্বাস ছাড়সি, আশেপাশের ধার্মিক মানুষের ভন্ডামি দেইখা, কিছু কারণে খোদা হারামজাদার উপর বিরক্ত হইয়া। কিন্তু এইটা মানি যে, কম্পিউটার যেমন কেউ না কেঊ বানাইসে, দুনিয়াও কেউ না কেউ বানাইসে। কিন্তু তার কাজকারবার আমাগোরে নিয়া না, সে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ব্ল্যাকহোল, এসহোল ইত্যাদি লইয়া ব্যস্ত। আমি তার দেয়া নিয়ম মানতে রাজি না, দুনিয়াতে আইসি, দুনিয়ার পুরা মজাই লইয়া যামু। এখন আমি ধর্মের বাহিরে বলে ধর্মের বিপরীতে আমার কোন কিছু করতে বাধা নাই। এই আস্তিকতা-নাস্তিকতা নিয়া আমার কোন মাথাব্যাথা কোনদিন ছিল না। তাই আমার এইসব ব্যাপারে যুক্তি খুবই সীমিত।

আপনার যদি এরপরও আরো ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়, আমারে মাফ কইরা দিয়া আপনার রাস্তা আপ্নে মাপেন কিংবা তালগাছ চাইলে সেটাও লইয়া যাইয়েন(যেহেতু আপনি এখনো চান নাই ) আর আমার রাস্তা আমি মাপিগা। কম্পিউটারে বাংলা লেইখা তেমন মজা নাই(হয়ত কাঁচা হাতের কারনে)।

হিমু এর ছবি

নৈতিক বিষয়গুলো ধর্মীয় অনুশাসন থেকে আসেনি, বরং ধর্মীয় অনুশাসনে কিছু নৈতিক বিষয়কে গুঁজে দেওয়া হয়েছে। যে কোনো একটা ধর্ম নিয়ে সেগুলোর অনুশাসনগুলো নিয়ে ছাঁকেন, নৈতিক আর অনৈতিক সবকিছু দুই চ্যানেলে ভাগ করে দেখতে পাবেন। আর ধর্মগুলি তো ফ্রোজেন, নৈতিকতা তো সময়ের সাথে পাল্টায়।

আপনার কি ছোটোকালে ঘরে মুরুব্বি ছিলো না যে ধর্ম বই পইড়া আপনারে নৈতিকতা শিখতে হইছে? যার ধর্ম বই পড়া হয় না, যে নিরক্ষর, সে কি নৈতিকতাশূন্য?

এই ব্লগের লোকজন আসলেই আপনার চেয়ে জ্ঞানী। আপনার মতো কাঠবলদগুলি মাঝেমধ্যে সচলায়তনে ঢুকে ইচ্ছামতো হেগেমুতে চলে যেতে চায়। আপনার মতো ছাগলদের জন্য কি কোনো ব্লগ নাই? ঐখানে কি আপনারে নেয় না? নাকি তারাও আপনার বুদ্ধির তলানি হাতড়ায় স্পর্শ করতে না পাইরা আপনারে বাইর কইরা দিলো?

কম্পিউটার যেমন কেউ বানাইছে, দুনিয়াও তেমনি কেউ বানাইছে, অতএব দুনিয়া যে বানাইছে তারেও কেউ বানাইছে ... আড ইনফিনিটুম এই বাল ছিঁড়তে থাকেন।

তালগাছ আপনার পুটকি দিয়া ঢুকাইয়া এইবার বিদায় হন। বাল ফেলতে চাইলে সচলায়তনের বাইরে গিয়া ফালান। আপনি শহরে চলে আসায় দুনিয়ার কোথাও দশটা গ্রাম আর বিয়িং ডিপ্রাইভড অফ আ ভিলেজ ইডিয়ট।

রুবেল এর ছবি

হিমু, কোন বিষয়ে মতামত আসতে পারে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ বা অভিজ্ঞতা থেকে, একারণে একজনের মতের সাথে আরেকজনের মতের অমিল হতেই পারে। কিন্তু আপনি চান যে, আপনার মতের সাথে অন্যের মতের মিল থাকতেই হবে। ভার্চুয়াল জগতে সবাইই বিশাল বড় মাপের সুশীল। আপনার সম্পর্কে আগেও বদনাম শুনেছি কিন্তু অভিজ্ঞতা ছিলনা। এই ব্লগে আপনার চেলা আর নিকের অভাব নেই আর আমিও কাউরে তোষামোদাই না। আমি ইনফিনিটুম ** ছিঁড়তে থাকি আর আপনি শর্টকাটে(সীমিত) অণু, পরমাণু, ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিঊট্রিনো........ ভাইঙ্গা গড ড্যাম/গড পার্টিকল খুঁজতে থাকেন নয়তো আমারে যে জিনিস উৎপাটন করতে বলেছেন তার চেয়ে ভাল কিছু উৎপাটন করা না করা আপনার ইচ্ছা। আপনি যেমন আমার ভেতর ছাগু খুঁজে পান, তেমনি আমি আপনার ভেতর ধর্ষকামী মোল্লা/পরিমলের ছায়া খুঁজে পাই। দুর্জন মাস্টার বা হুজুর হলেও সর্বদা পরিত্যাজ্য!

এই ব্লগে এসে আপনার মত মানুষদের কারণে আমার হাগার রুচিও চলে গিয়েছে। এখাঙ্কার অবস্থা আপ্নারা সরকারী হাসপাতালের টয়লেটের চেয়েও খারাপ করে রেখেছেন। মনে হচ্ছে বমি আসবে, তাই থুথু ফেলে ভাগাটাই বেটার।
আমার মত বলদের রেক্টামের জন্য বাঁশও অনেক বড় হয়ে যায় কিন্তু, আপনার মত মাত্রাতিরিক্ত জ্ঞাণীদের বিশাল রেক্টামের জন্যই(যেহেতু এটা হাগার জায়গা, এখানে সবাই কোন জায়গা দিয়ে বের করে) তালগাছটা পারফেক্ট। চাইলেও নিতে পারছি না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিৎ। কাঠবলদটা আপনার বাংরেজী/ইংলা অপমান বুঝেও নাই। হয়ত এই কমেন্ট পূর্বের কিছু কমেন্টের মতই ছাপা হবেনা কারণ এটি আপনার বিপক্ষে/খোঁচানো লেখা যদিও আপনার অশ্লীল শব্দের ব্যবহার এখানে জায়েয, আমি আমার শেষ জবাব দিয়ে গেলাম।
পুনশ্চঃ কাঠবলদ ভবিষ্যতে আইনি ব্যবস্থা লইবার প্রয়োজন হইতে পারে ভাবিয়া কিছু পর্দাচিত্র(screenshot) লইয়া রাখিয়াছে এবং কিছু ওয়েবপাতাও সঞ্চয় করিয়াছে। সে সচলের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়ে মডুদেরকে বিশ্বাস করিতে পারিতেছে না।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

রুবেল,আপনি ধর্মের পক্ষে অনেক কথাই বলে গেলেন। বুঝলাম আপনি খাঁটি ধার্মিক লোক, নৈতিকতার শিক্ষা পেয়েছেন ধর্ম থেকেই, ধর্মীয় বই পড়ে, আশে পাশের মানুষদের থেকে । ঠিক কি কি নৈতিকতার শিক্ষা পেয়েছেন জানতে মন চাইছে, কেননা ছোট বেলায় আমিও ধর্ম থেকেই নৈতিকতার শিক্ষা পেয়েছিলাম কিনা। কি ছিল সেই শিক্ষা জানেন- হিন্দুদের পূজা দেখা যাবেনা, মূর্তি দেখলে মাথা নিচু করে হাঁটতে হবে, শুধু মুসলমান ছাড়া বাকি সব ধর্মকে ঘৃণা করতে হবে, বিধর্মীদের সাথে মেশা যাবেনা, হিন্দুবাড়ির খাবার মুখে তুলা যাবেনা এমন বহু কিছু নৈতিক বাক্য আর মেয়ে হিসেবে স্বামীর প্রতি কর্তব্যসহ পর্দা পুশিদার কথা লিখতে গেলে তো আরেক ইতিহাস হয়ে যাবে... তাই আর সেই সব কথায় গেলাম না । ধর্মের কাণ্ডারি এক হুজুরের কাছে কিছুদিন আরবি পড়ার অংশ হিসেবে মাত্র মাস খানেকেই এত শিক্ষা পেয়েছিলাম। আমার আম্মা একদিন হুজুরের নৈতিকতার শিক্ষার বহর দেখে আমাকে আর আরবি শিখতে পাঠান নি।

ছোটবেলায় শিখান নৈতিকতা যদি আমার ভিতরে আজও থাকত তাহলে যেসব মানুষেরা ধর্মের দোহাই দিয়ে, ধর্মকে পুঁজি করে, ধর্মকে ব্যাবসা করে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করে এবং যারা তাদের সমর্থন করে সেই সব ঘৃণিত মানুষদের কোন একজন আজ আমিও হতাম। জানতে ইচ্ছে করছে আপনার ধর্মীয় নৈতিকতা কি বলে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ব্যাপারে? একটু জানাবেন...

আর সচলায়তনের কথা বলছেন তো, এখানকার সবাই আপনার মত এত ধর্মীয় ভাবে নৈতিক নয়, আসলেই এটা আপনার জায়গা নয়। এখানে ত্যানা পেঁচানর মত কথা বললে সবাই ত্যানা ছিড়েই ফেলবে প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে।

আরেকটি প্রশ্ন থেকে গেল- হঠাৎ করে খোদাকে হারামজাদা বলে ঠিক কি প্রমান করতে চাইলেন? আপনার বিশ্বাস মতে যদি সত্যি সত্যি কেউ একজন থেকেই থাকে তাকে গালি দিতে কে শিখাল আপনাকে, আপনার নৈতিকতা???

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রুবেল এর ছবি

সাফিনাজ, আপনারা অনেক কৌশলী/পিছলানো এবং অনেক ভালো ত্যানা প্যাঁচান প্রসঙ্গের গতিপথ বদলে দিয়ে। আপনাদের সম্পর্কে আমার অভিমত হলো আপনারা একচোখা/পক্ষপাতদুষ্ট কেননা যেখানে আমার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেখানে আরেকজন(যিনি আমার **কি এবং **ল নিয়ে লিখেছেন- আমি ইনফিনিটুম ** ছিঁড়তে থাকি আর তিনি শর্টকাটে(সীমিত) অণু, পরমাণু, ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিঊট্রিনো........ ভাইঙ্গা গড ড্যাম/গড পার্টিকল খুঁজতে থাকুন) নীতিবানের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। আপনাদেরকে আমি পিছলানো বলছি কারণ “নারী'কে পণ্য করে রাখে সবার আগে ধর্ম।” কথার বিপরীতে যখন আমি এমন প্রশ্ন করেছি “আমি তো জানি ধর্ম নারীকে অনেকাংশে দাসী এবং বন্দি করেছে। শুধুই কি ধর্ম; মিডিয়া(বিজ্ঞাপন/পর্ণোগ্রাফি/আকাশ সংস্কৃতি) এবং সমাজ কি নারীকে ভোগ্যপণ্যে রূপান্তর করেনি?” আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া তো দূরের কথা, ছাপানো ও হয়নি মডারেশনের খড়গ দিয়ে/দেখিয়ে। আপনার ধর্ম খারাপ লাগে বলে সব ধার্মিককেই আপনি খারাপ প্রমাণ করার চেষ্টায় থাকেন যদিও তার(ধর্ম) সব কিছু খারাপ না আবার ভালো ও না। একই কারণে আপনারা(আপনি/নারী সরাসরি বলছিনা কারণ সেটাকে আপনারা আরেকটা ত্যানা বানিয়ে ফেলবেন, বেকুব হলে এগুলা খেয়ালই করতেননা সেহেতু আপনারা বোকা নন) একচোখা ও বলা যেতে পারে। আপনারা একচোখা কারণ, হুজুরের নৈতিকতা(খারাপ অর্থে ব্যবহৃত) দেখে আপনারা আরবি পড়া ছেড়ে দেন(আরবি পড়ার জন্য অর্থে ব্যবহৃত নহে) আর পরিমলের(মাস্টার) কারণে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করা তো দূরের কথা ভিকারুন্নিসাতে ভর্তি করানো বন্ধ করেননি(স্কুলে পাঠানো কিংবা ভিকারুন্নিসাতে ভর্তি করানো বন্ধ করে দিতে বলিনি কিন্তু), এটা কি ওই বকধার্মিকদের মত ভন্ডামির প্রকার নয় যেখানে ষষ্ঠ শ্রেণীর বালক-বালিকাও জানে- দুর্জন মাস্টার বা হুজুর হলেও পরিত্যাজ্য? উত্তরটা যা হতে পারে(না ও হতে পারে) তা আমিই দিয়ে দিচ্ছি- আরবি শেখার মত একটা বাড়তি বোঝা বাড়ানোর প্রয়োজন দেখিনা(যদিও ঐচ্ছিক)। তাহলে হিন্দী জানেন কেন(ইংরেজির কথা আলাদা)?
আপনারা কিছু শহুরে ব্লগার সুবিধাপ্রাপ্ত নাগরিক যাদের দৃষ্টিভংগি ভিন্ন যেখানে দেশের বেশিরভাগই সুবিধাবঞ্চিত, তারপরও আপনারা ভাবেন সবাই আপনাদের মত করে শেখে। আপনাদের সাথের আমার চিন্তার অমিল এই জায়গায় যে আপনারা কিছু খারাপ মানুষকে দেখে সবাইকে খারাপ বলে ফেলতে পারেন। অনেক বোরকা, শাড়ি, টাইট পাজামা/জিন্স/টি-শার্ট পরা, কড়া মেকাপ নেয়া মেয়েকে/নারীকে দেখি(কারো অন্তর্বাসও জামার উপর দিয়ে দেখা/বোঝা যায়)। কিছু পতিতাকে দেখেছি এমন সাজে তাই এরা সবাই পতিতা? কিছু ভালো মেয়েকে/নারীকে ও দেখেছি এমন সাজে তাই এরা সবাই ভাল? এই ব্লগে এসে মনে হচ্ছে এখানকার বেশিরভাগই একচোখা ধর্মব্যবসায়ীদের মতই ধর্মব্যবসায়ীদের বিপরীতে ভাবে। কারণ তারা অল্প তথ্যের ভিত্তিতেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে নিজেকে জাহির করার চেষ্টায় লিপ্ত।
আপনার পরিবার/ধর্ম আপনাকে হিন্দুদেরকে ঘৃণা করতে শেখালেও আমার জন্মের পর বিশাল একটা সময় কেটেছে হিন্দুবাড়িতেই। কিছু হিন্দু মহিলা আমার জন্মের সময় আঁতুরঘরেও ছিল যাদেরকে আমি ফুপু-চাচী-দাদী ডাকতাম। অনেক সময় নাওয়া-খাওয়াও হয়েছে তাদের হাতেই। তাদের পূজা আমার উৎসব ছিল(আমার ঈদ তাদের ঈদ ছিল কি না জানিনা কিন্তু তারা আমাদের বাড়িতে সেদিনও আসতে পারতো)। কই, আমিতো আপনার কথার বিপরীত বাস্তবতা দেখেছি। আবার আমার বাস্তবতার বিপরীত বাস্তবতাও দেখেছি, শুনেছি। কিন্তু ঢালাওভাবে আপনাদের মত আমার চিন্তা চাপিয়ে দিতে চাইনি। আমার ছোট কথাটার মানে বুঝাতে আপনাদের জন্য কাঠবলদ/ভিলেজ ইডিয়টকে প্রায় একটা ব্লগই লিখে ফেলতে হল, হয়তো জ্ঞাণীরা মূর্খদের কথা বোঝেনা কিংবা মূর্খরা জ্ঞাণীদেরকে বোঝাতে পারেনা।
খোদা হারামজাদা ডাকার কারণ- আগে তারে বহুত ডাকাডাকি করতাম, এখন সেটা তাঁরে গালি দিয়ে উশুল করি, ব্লগারকে নয়। তারপরও কমু ধর্মের দরকার আছে। জানার দরকার থাকলে কাঠবলদ/ভিলেজ ইডিয়টরাও এখন গুগলায়, মানা ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
এই ব্লগের শিক্ষা- আমি কাঠবলদ/ভিলেজ ইডিয়ট, ছাগু, রাজাকার, গোয়াজম............... আর আপনারা মহাজ্ঞাণীরা দেশ উদ্ধারকারী। বোনাস শিক্ষা= সুযোগ পেলে সবাই নিজ নিজ পুঁজি থেকে অনুভুতি বাজারে বিনিয়োগ করেই করে!
আপনারা দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবেন, এই শুভকামনায়- চিরবিদায়।
পুনশ্চঃ কাঠবলদ ভবিষ্যতে আইনি ব্যবস্থা লইবার প্রয়োজন হইতে পারে ভাবিয়া কিছু পর্দাচিত্র(screenshot) লইয়া রাখিয়াছে এবং কিছু ওয়েবপাতাও সঞ্চয় করিয়াছে। সে সচলের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়ে মডুদেরকে বিশ্বাস করিতে পারিতেছে না।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

নারী'কে পণ্য করে রাখে সবার আগে ধর্ম। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এইখানে পরিবর্তন আনা সহজ নয়।

চলুক

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সঙ্গীতদা আপনার গঠনমূলক মন্তব্যর জন্য।

আমার জানামতে বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন বেশ শক্ত

আমারও জানামতে ঠিক তাই। আমার কাছে মনে হয় সমস্যাটা অন্য জায়গাই। ইচ্ছে আছে এই বিষয় নিয়ে আরও গুছিয়ে লেখার। তবুও কিছু বলি। যেমন ধরেন, ধর্ষণের পরে বেশিরভাগ সময়ে মেয়েরা ধর্ষণের বিচারের দাবিতে পুলিশের কাছে যায়না হয় লোকলজ্জার ভয়ে নাহয় পুলিশের ভয়ে। এই বিষয়টার একটা প্রয়োজন আসা উচিত। এই ভয় দুটি অতিক্রম করে কেউ হয়ত গেল, হয়ত বিচার ও পেল, ধর্ষকের বছর দশেকের জেল হল। তারপরে কি হয়? জেলে কিন্তু দশ বছর আসলে আরও কম। কয়েকবছর পরে সে জেল থেকে ছাড়াও পেল, কিন্তু এই যে তার জেলের জীবন, কষ্ট বা শাস্তি কোনকিছুই অন্যরা জানতে পারলনা। ধর্ষণের শাস্তিগুলো সংবাদ মাধ্যমে সেইভাবে আসেনা।

আসলে আমি বলতে চাইছি, মেয়েদের প্রতি মনোভাবেরপরিবর্তন সবার আগে প্রয়োজন, সবাই যদি মেয়েদের মানুষ হিসেবে ভাবতে পারে তাহলেই কাজ অনেক খানি সহজ হয়। কিন্তু তারপরেও কথা থাকে, অনেক উন্নত দেশেও ধর্ষণ হচ্ছে। আমি শুধু আমার দেশের কথা বলি- আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা ধর্ম, এটা একদম ঠিক, এই ক্ষেত্রে পরিবর্তনটাও সহজ নয়, তবে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এর বাইরে আমার মনে হয় একটা ভয় তৈরি হয় সবার ভিতরে তৈরি করা যেত যে ধর্ষণ করার পর সহজে পার পাওয়া যায়না। ধরেন যদি ধর্ষণের শাস্তিগুলো ফলাও করে প্রচার করা হত। মিডিয়াগুলো এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটার কিছুদিন পরে সবাই পুরাতন ঘটনা ভুলে যায়, এই ক্ষেত্রে শাস্তি পর্যন্ত যদি পেপারগুল ফলোআপ একটা নিউজ ছাপায় তাহলে হয়ত কাজ হতে পারে কিছুটা।

ফেসবুকে এক বন্ধুর কথা যেটা কিনা আমারও কথা সেটা বলি- একটা সময় বাংলাদেশে এসিড সন্ত্রাস বেশ ভয়াবহ আকার ধারন করেছিল। মিডিয়াগুলোর প্রচার এবং এর বিপক্ষে সক্রিয় অবস্থান থেকে আজ কিন্তু এই ভয়াবহতা অনেক অংশে কমেছে। সবাই এই বিষয়টা নিয়ে সচেতন হয়েছে।

আরেকটি বিষয় হল অন্ততপক্ষে ধর্ষণের পরে ধর্ষকদের পিছনের যুক্তি খুঁজে বের না করতে চাওয়া, একটা মেয়ে একটা ছেলের সাথে যত অন্যায় আচরণই করে থাকুক না কেন, ধর্ষণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক সময় মুভিতে দেখানো হয় মেয়েটি ছেলেটিকে চড় মারল আর তাতে ছেলেটি ক্ষেপে গিয়ে মেয়েকে শাস্তি দিতে নিয়ে গেল, এভাবেও কিন্তু অসুস্থ মনের ছেলেরা হয়ত নিজের অজান্তেই ধর্ষণ ধারন করতে শিখছে নিজের ভিতরে মেয়েদের প্রতি প্রতিশোধের নেশায়। তাই আবারও বলছি সিনেমার বা মিডিয়ার এই মেসেজ গুলোর পরিবর্তন খুব দরকার।

ধর্ষকের শাস্তির আগ পর্যন্ত ধর্ষকদের পরিবার যদি তাদের বর্জন করে, তারা নিজেরা যদি শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়, এবং এটা যদি বারবার ফলাও করে প্রচার করা হয়, সেক্ষেত্রে এটি ধর্ষকদের মনের উপর কিছুটা হলেও চাপ তৈরি করবে।

দুঃখিত সঙ্গীতদা, চেয়েছিলাম গুছিয়ে লেখতে, পারলাম না মনে হয়। আবারও হয়ত আবেগপ্রবন হয়ে গেছি। মন খারাপ
এই বিষয়গুলো আমি একদম মেনেই নিতে পারিনা, সচলে আমার প্রথম লেখাটাও ছিল Child Sex Abuse নিয়ে।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

কালো কাক এর ছবি

আরেকটি বিষয় হল অন্ততপক্ষে ধর্ষণের পরে ধর্ষকদের পিছনের যুক্তি খুঁজে বের না করতে চাওয়া, একটা মেয়ে একটা ছেলের সাথে যত অন্যায় আচরণই করে থাকুক না কেন, ধর্ষণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক সময় মুভিতে দেখানো হয় মেয়েটি ছেলেটিকে চড় মারল আর তাতে ছেলেটি ক্ষেপে গিয়ে মেয়েকে শাস্তি দিতে নিয়ে গেল, এভাবেও কিন্তু অসুস্থ মনের ছেলেরা হয়ত নিজের অজান্তেই ধর্ষণ ধারন করতে শিখছে নিজের ভিতরে মেয়েদের প্রতি প্রতিশোধের নেশায়। তাই আবারও বলছি সিনেমার বা মিডিয়ার এই মেসেজ গুলোর পরিবর্তন খুব দরকার।

চলুক

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছেন।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার লেখাটা আমার কাছে খানিকটা বিক্ষিপ্ত মনে হয়েছে। আমার মন্তব্যের আপনি যে জবাব দিয়েছেন সেটাও বিক্ষিপ্ত লেগেছে। যেকোন একটি সমস্যার কথা একবারে আলোচনা করে সেটার সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কে লিখলে আরো ভালো লাগত।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি
ঠিকাছে।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

নারী'কে পণ্য করে রাখে সবার আগে ধর্ম।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ধর্ষণের ঘটনাগুলো আমাকে আতংকিত করে। ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ সবক্ষেত্রেই এখন শুধু ধর্ষকের ছায়া দেখি।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ সবক্ষেত্রেই এখন শুধু ধর্ষকের ছায়া দেখি।

সেই।
প্রতিদিন পেপার খুললেই ধর্ষণ। কবে যে এই অবস্থার পরিবর্তন আসবে জানিনা।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

Guest_Writer নীলকমলিনী এর ছবি

তোমার সব গুলো লেখা আমি পড়েছি। তুমি সত্যিই খুব ভাল লেখো। এই লেখাটি পরে অনেক্ষন ভেবেছি।
তোমাদের বয়েস আমি পাড় করে এসেছি বিশ পঁচিশ বছর আগে, আমি এখন দুটি মেয়ের মা। ওদের জন্মের পর থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে ওরা যৌন হয়রানির শিকার না হয়। অনেক ছোট বেলা থেকেই আমি ভাল স্পর্শ, খারাপ স্পর্শ কি বলেছি।
বলেছি তোমরা আমার জীবনের সবচে কাছের একজন, তোমাদের চে প্রিয় আর কেউ নয়। যদি খুব আপন কেউও বাজে স্পর্শ করে আমাকে বলবে।
এখন বড় হয়ে আমাকে ধন্যবাদ জানায় যে ওদের কোন বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি বলে।
আমি জানি আমার মত সব বাবা মা ই নিজের সন্তান কে আগলে রাখেন। তারপরও অনেক বাবা মা মেয়েদের পশুদের হাত থেকে বাঁচাতে পারে না।
আর লিখতে পারছি না, খারাপ লাগছে।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

নীলকমলিনীদি, অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য। আমার লেখা আপনার ভালো লাগে জেনে খুব ভালো লাগছে। হাসি
আপনার জন্য শ্রদ্ধা, আপনি ছোট থেকে আপনার মেয়েদের সব সময় সতর্ক করে এসেছেন, বিষয়টা নিয়ে সচেতন ছিলেন।
কিন্তু সবাই এমন করেনা, অনেক বাবা মা নিজেরা সন্তানদের আগলিয়ে রাখেন ঠিকই কিন্তু কখনও মুখ ফুটে বিষয়টা খুলে বলেন না, তাতে করেই অনেক সময় অনেকেই বাবা মায়ের আড়ালে যৌন হয়রানির শিকার হয়। আমাদের কিন্তু এই বিষয়গুলো নিয়ে সোচ্চার হওয়া উচিত। অনেক মেয়েই এমন কোন ঘটনার মধ্যে দিয়ে গেলে নিজেদের দোষী ভাবতে শুরু করে। সমাজ আমাদের এভাবে ভাবছিলেন শিখিয়েছে, এই ভাবনা গুলোর পরিবর্তন দরকার। আমাদের প্রতিবাদী হতে হবে, প্রতিরোধী হতে হবে। সচলে আমার প্রথম লেখাটাও ছিল Child Sex Abuse নিয়ে।
আমারও প্রচণ্ড কষ্ট হয় এইসব বিষয়গুলো দেখলে, জানলে।

অফ টপিক : নীলদি আমার মনে হয় আপনি হাচল হয়েছেন, ফাঁকিবাজের তালিকাতে আপনার নাম দেখতে পাই। লগইন করছেন না কেন? কোন সমস্যা হয়ে থাকলে মডারেটরদের সাথে যোগাযোগ করলেই তো সমাধান হবার কথা।
হাচলাভিনন্দন হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রুবেল এর ছবি

সৌদি আরবের মত কঠিন শাস্তি প্রয়োগ করা উচিৎ এইক্ষেত্রে। তখন পাব্লিকে কইবো মানবাধিকারের কথা। সবখানেই কেউ কইবো 'নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালা' আবার কেউ কইবো 'কানা মামার চেয়ে নাই মামা ভালা(দুষ্ট গরুর চেয়ে শুণ্য গোয়াল ভালা)'
পুরা জাতিই বিভক্ত, ঐক্য নাই মন খারাপ

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

পছন্দ হয়নি আপনার কথাটা।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাংলাদেশে প্রতি বছর যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তার কতগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হয়? সম্ভবত ৫%ও না। যতগুলো ধর্ষণের মামলা হয় তার কতগুলোতে রায় হয়ে অপরাধী শাস্তি পায়? সম্ভবত ৫%ও না। অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করা যায় ধর্ষক ক্ষমতাবান-বিত্তবান হোক বা না হোক, সামাজিক বিচারই হোক আর আদালতে দায়ের করা মামলাতেই হোক, সে খুব সহজে পার পেয়ে যায়। তদন্তকারী পুলিশ খুব কম সময়ে ধর্ষণের আলামত পান, প্রমাণ পান। circumstantial evidence-এর ভিত্তিতে হত্যা মামলায় আসামীর ফাঁসি হবার উদাহরণও আমাদের সামনে আছে, কিন্তু circumstantial evidence-এর ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলায় কারো শাস্তি হবার উদাহরণ আমাদের সামনে নেই। সুতরাং দুটো বিষয় স্পষ্ট। এক, ধর্ষণ বিষয়ক আইনগুলো যথেষ্ট কঠোর হলেও সেগুলোতে যথেষ্ট ফাঁক আছে যেগুলো গলে অপরাধী প্রায়ই পার পেয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আইনগুলোতে অপরাধ প্রমাণের বিষয়টিতে জটিলতা থাকায় ভিকটিমের পক্ষে কিছু প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে পড়ছে। দুই, বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ধর্ষকের পক্ষে একটি সফট কর্নার তৈরি করে দেয়। ফলে ধর্ষক ক্ষমতাবান/বিত্তবান না হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।

খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুরবস্থার উন্নতির উপায় কী? এর উত্তরে বাংলাদেশের সাথে তুলনীয় নয় এমন একটা উন্নত দেশে বিষয়টি কীভাবে হ্যান্ডেল করা হচ্ছে সেটা দেখা যাক। উদাহরণ রূপে ধরা যাক, যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ঘটা ৯০,০০০ রিপোর্টেড নারী ধর্ষণের বিপরীতে গ্রেফতারের সংখ্যা মাত্র ২৫%। ধারণা করা হয় আরও ৭৫,০০০ নারী ধর্ষণের ঘটনায় কোন রিপোর্টই হয়নি। তাছাড়া এই হিসাবে মেল-মেল, ফিমেল-মেল ও ফিমেল-ফিমেল ধর্ষণের হিসাব ধরা হয়নি। গ্রেফতারকৃত ২৫%-এর কতোজনের শাস্তি হয়েছে সেই হিসাবটা পাইনি। যদি ধরি তাদের সবারই শাস্তি হয়েছে তাহলেও ১,৬৫,০০০ ধর্ষণের বিপক্ষে শাস্তিপ্রাপ্তের সংখ্যা মাত্র ২২,৫০০ (১৩.৬৪%)। বোঝা যাচ্ছে অবস্থাটা কোথাও খুব আশাপ্রদ নয়। এই ব্যাপারটাতে আন্তর্জাতিকভাবে ইউনিফর্ম আইন ও তার প্রয়োগ দরকার। সচেতনতা বৃদ্ধির কাজটাও সারা দুনিয়াজুড়ে প্রায়োরিটি বেসিসে হতে হবে। দুয়েকটা ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা কোন স্থায়ী সমাধান দেবে না। আইনটা আরও বহু বহু দিন ধরে কঠোর হাতে প্রয়োগ করে যেতে হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক গুরু গুরু
অনেক অনেক ধন্যবাদ পাণ্ডবদা।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

মানিক মনিরুল

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

গতকাল ঢাকার মিরপুর-১১ তে ক্লাস-৪ পড়ুয়া ১১ বছরের এক কিশোরী কে গণ-ধর্ষণ করার পরে হত্যা করা হয়েছে ..কই আমাদের বালের মিডিয়া চুপ কেন ? শুধু তাই নয় গত ১৫ দিনে ৩ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যেগুলার কথা আমরা শুনেছি, আর সম্মানের ভয়ে কত কিশোরী অন্ধকার ঘরে সারাজীবনের জন্য মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে চলেছে সেতো আমরা জানিই না। পরিসংখ্যান করলে দেখা যাবে ধর্ষনের বেশিরভাগ ভিকটিমের বয়সই টিনেজ বা তার থেকেও কম, সাধারনত এই বয়সে বাংলাদেশের মেয়েরা তথাকথিত বালের সমাজ ও আবাল ধর্মগুলা সার্টিফাইড উগ্রপোশাক পরে না, আসলে এই বয়সটায় সেই সম্পর্কীয় ধারনাও হবার কথা না। তাহলে তারা কেন ধর্ষনের শিকার, আমার কোন আইডিয়া নাই। পোষাক(পোষাকের আবার উগ্র কি?) পরা মেয়ে(বাচ্চা বিশেষ করে) দেখলেই মোমিনের বংশদন্ড উত্থিত হইয়া যায়। তাইলে কি বোরখা পরা মেয়েরা ধর্ষিত হয় না? বোরখা পরা শুরু করলে কয়দিন পরে বাংলাদেশের ছেলেরা মনে হয় সৌদির নপুংশক গুলার মত পা/চোখ দেখলেই গরম খাইয়া যাইত। মাঝেমধ্যে মনে হয় এরা মানুষের জন্ম না, এদেরকে সারমেয়র ঔরসজাত বলে ফেললে কুকুরদেরকে অপমান করা হবে।

সেদিন সচলে একটা নারীতান্ত্রিক সমাজ নিয়ে লেখা পড়েছিলাম, তারপর মনে হল আচ্ছা এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যদি একদল নারী একটা যুবককে ধর্ষন করে পাশবিক ভাবে হত্যা করত তাহলে কি বাঙ্গালী এখনকার মতই চুপ করে থাকত?

সব থেকে শেষ কথা, পুরুষ জাতির একজন সদস্য হিসেবে লজ্জিত বোধ করছি। আগে এমন অনুভুতি তেমন হত না, আজকাল খুব বেড়ে গেছে।

সাবেকা এর ছবি

হাততালি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ভাল বলেছেন ভাই। সব ছেলেরা যদি এইভাবে চিন্তা করত!
আসলে সুস্থ চিন্তার ছেলেদের উচিত আশেপাশের অসুস্থ চিন্তার কাউকে দেখলে, অসুস্থ কর্মকাণ্ড দেখলে যেমন ইভ টিজিং বা মেয়েদের নিয়ে নোংরা আলাপ করতে দেখলে তীব্র প্রতিবাদ করা। যারা ইভ টিজিং করে, মেয়েদের নিয়ে সব সময় অশালীন আলাপ করে তারাই এসিড ছুঁড়ে, তারাই ধর্ষণ করে। ছেলেরা যেহুতু ছেলেদের মানসিকতা ভালো বুঝবে সুতরাং সুস্থ চিন্তার ছেলেদের অনেক বেশী দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে যে কোন নারী নির্যাতনের বিপক্ষে।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক উত্তম জাঝা! গুরু গুরু

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ মানিক ভাই। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাবেকা এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

প্রতিবাদ চলুক লেখায়, রাজপথে, সবজায়গায়!
আপনাকে ধন্যবাদ।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক প্রতিবাদে, প্রতিরোধে সাথে আছি সবসময়।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

প্রতিবাদ চলুক লেখায়, রাজপথে, সবজায়গায়!
সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যামদা।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অরফিয়াস এর ছবি

আপনাকে কিছু পরিসংখ্যান দেই, চোখ বুলিয়ে নেবেন সময় থাকলে। পরবর্তিতে এই বিষয়ে লেখা চালিয়ে যেতে চাইলে সাহায্য করতে পারবো।-

বিশ্বে নারী নির্যাতন [১]

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ অরফিয়াস ভাই। আপনার লিংকগুলো দেখছিলাম, ভীষণ কাজের এবং দরকারি। ভবিষ্যতে এই নিয়ে আরও লেখার ইচ্ছে থাকল। সহযোগিতার জন্য হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নিরন্তর ধারা এর ছবি

অনেক সুন্দর করে লেখা।

অনেক কষ্ট পাই যখন দেখি একজন মনে করে ধর্ষণের জন্য মেয়েই দায়ী।
অনেক কষ্ট পাই যখন দেখি একজন মনে করে ধর্ষণের জন্য ধর্ম চর্চার অভাব দায়ী।
এসব হল মনুষ্যত্বহীন কাপুরুষদের মনোভাব।

ধর্ষণের জন্য দায়ী মানুষের চেহারার আড়ালে পশুত্ব। আর যারা ধর্ম বা অন্য কোন দোহাই দিয়ে এই পশুত্বকে ঢাকার চেষ্টা করে তারাও পশু। খুব কষ্ট পাই যখন দেখি এসব মানুষরুপী পশুর সংখ্যা আসলে সমাজে অনেক এবং এর মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

এসব হল মনুষ্যত্বহীন কাপুরুষদের মনোভাব।

ধর্ষণের জন্য দায়ী মানুষের চেহারার আড়ালে পশুত্ব। আর যারা ধর্ম বা অন্য কোন দোহাই দিয়ে এই পশুত্বকে ঢাকার চেষ্টা করে তারাও পশু। খুব কষ্ট পাই যখন দেখি এসব মানুষরুপী পশুর সংখ্যা আসলে সমাজে অনেক এবং এর মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত।

চলুক

সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রতিবাদ চলুক সর্বক্ষেত্রে।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক

লেখা চালিয়ে যান

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ তাপসদা। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অমি_বন্যা এর ছবি

লেখা পড়ে রবির মায়ের জন্য খুব মায়া হল। একজন পুরুষ হিসেবে লজ্জায় মাথা কাঁটা যাচ্ছে। আসলে আমরা কেমন জানি পশুর মত আচরণ করছি। আপনার মত অনেক বিষয়ই ফেসবুকে চোখে পড়ে। এইরকম লাইক এইসব শিক্ষিত মানুষেরা বুঝে দেয় নাকি না বুঝে দেয় আমার মাথায় আসে না। এরা সভ্য নাকি আদিম বর্বর তা না হলে একজন নারীকে কিভাবে মিষ্টির মত ভোগ্যপণ্যের সাথে তুলনা করে।

তবে খুব দুঃখ লাগে যে এইসব ধর্ষণের জন্য ওই পুরুষ মানুষটির তেমন কিছু আসে যায় না। সমাজে তার অবস্থানের তেমন পরিবর্তন হয় না।

কঠোর আইন করে তার যথার্থ প্রয়োগ এবং ধর্ষণের জন্য যে ওই পুরুষটির ঘৃণ্য কামুকতা আর বিকৃত মানসিকতা দায়ী সেই চেতনার বিস্ফোরণ ঘটুক সেই আশাবাদ রাখি।

আপনার লেখা খুব ছুঁয়ে গেল আপু।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

তবে খুব দুঃখ লাগে যে এইসব ধর্ষণের জন্য ওই পুরুষ মানুষটির তেমন কিছু আসে যায় না। সমাজে তার অবস্থানের তেমন পরিবর্তন হয় না।

সেই অমি ভাই। আমি দেখেছি রবিদের কি চমৎকার একটি সংসার ছিল। ওরা আসলেই খুব সুখী ছিল, জানিনা এখন কেমন আছে। অথচ ধর্ষকেরা কিন্তু ছাড়া পেয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে দিব্যি ভালোই আছে। সব ক্ষেত্রে মেয়েরাই সাফারার হয়। দুঃখটা লাগে তখনি যখন দেখি শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধনী, গরীব,যাই হোক না কেন বেশিরভাগ ছেলেরা মেয়েদের মানুষ ভাবতে পারেনা। মেয়েদের পরিচয় যেন শুধুই তাদের লিঙ্গে। এমন চিন্তা দেখলেও বমি পাই। কবে যে এই অবস্থার পরিবর্তন আসবে!!! এই বিষয়গুলো যে কোন মেয়ের জন্যই ভীষণ কষ্টের।
সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ অমি ভাই।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রোহান এর ছবি

আমার মতে যারা ধ

রোহান এর ছবি

আমার মতে ধর্ষকদের জনসম্মুকে এনে এমনভাবে শাস্তি দেয়া হোক যা দেখে এধরনের খারাপ কাজ করার চিন্তা করবে না কেউ।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

শুধু শাস্তি দিয়ে আসলে কাজ হবেনা, সবার আগে দরকার মানসিকতার পরিবর্তন। দ্রুত এবং কঠিন শাস্তি অবশ্যই দরকার এছাড়াও পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে অনেক কিছুই বদলানো লাগবে। ভবিষ্যতে আরও লেখার ইচ্ছে রইল এই বিষয়ে।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

শিরোনাম দেখেই জানি ভয়াবহ এক বিষয় । কাজেই এখন পড়বোও না, মন্তব্যও করবো না । তবে এক সময় পড়বো এবং মন্তব্য করবো ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মন খারাপ জানি আপু এই বিষয়টি আসলেই অসম্ভব পীড়াদায়ক।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ উদাসদা। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আমার আমি এর ছবি

আমার একটা কলেজে পড়ুয়া ভাই আছে , ওর বন্ধুরা যখন এমন কোন পোস্টে লাইক দেয়,তখন ও দেখি ওর বন্ধুদের ঠিক আপনার মতো করেই বলে।আসলে পরিবার অনেক বড় একটা ভূমিকা পালন করে। যাদের বাবা মা ভাই বোন এমন চিন্তা করে,তারা তো এইসব পোস্টকে সমর্থন করে।
আর লেখকের প্রতি আমার অনুরোধ নিজের দেশে ঘটে যাওয়া অপরাধ গুলো নিয়ে কিছু লিখুন যেগুলো কখনই মিডিয়ার চোখে পড়েনা ।
গুরু গুরু উত্তম জাঝা!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আসলে পরিবার অনেক বড় একটা ভূমিকা পালন করে

চলুক
মিডিয়া আসলে খুবই অদ্ভুত আচরন করে। কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ডাঃ সাজিয়া আফরিনের ধর্ষণ এবং মৃত্যুর ঘটনায় মিডিয়ার অদ্ভুত সাড়াশব্দহীন আচরণ সহ প্রতিদিন ঘটতে থাকা ধর্ষণের ঘটনায় নীরব আচরন মিডিয়ার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমাদের দেশের সব কিছুই খুব অদ্ভুতভাবে চলে। চেষ্টা করব এই ধরনের ঘটনার আরও অনেক বেশী প্রতিবাদ করার।

সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ধুসর জলছবি এর ছবি

গত বেশ কিছুদিন যাবৎ এই ধরনের ঘটনাগুলো নিয়ে খুব মানুষিক অস্থিরতায় ছিলাম, আছি। অন্য কিছুতে ডুবে থেকে ভুলে থাকার চেষ্টা করছিলাম। কারন আমার পরিচিত এক জুনিয়রের সাথেই এরকম ঘটেছে কিছুদিন আগে।ব্র্যাক এঁর এক হাসপাতালে , ধর্ষণ করতে গিয়ে বাঁধা পেয়ে মেয়েটাকে মেরে ফেলেছে, সেটাও ঘটেছে তার কর্মক্ষেত্রে। রাস্তাঘাটে ধর্ষণ হওয়ার চেয়েও এই ব্যাপারতার ধর্ষণের সব ধরনের ট্রমার বাইরে আরও একটা সুদুর প্রসারী ক্ষতিকর এফেক্ট আছে। এর পরে আর কোন মেয়ে নাইট ডিউটি করতে সাহস করবে কিনা জানিনা। এবং তাতে ক্ষতিটা যতটা না একটা মেয়ের ,তার চাইতে অনেক বেশী সমাজের।কারন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি রাতে হাসপাতালে একটা মেয়ে ডাক্তার থাকাটা কতটা জরুরি। আর ইদানীং মেডিকেল কলেজ গুলো থেকে তুলনামুলক ভাবে মেয়ে ডাক্তার ই বেশী বের হচ্ছে। তবুও আমাদের মিডিয়া সমাজ নারীবাদী সংগঠন গুলো সবাই মোটামুটি এ ব্যাপারে নিরব ছিল। অদ্ভুত ব্যাপার হল, সরওারদি হাসপাতালে আমরা মানব বন্ধন করার সময় এক দল সাংবাদিক আসে, তাদের মধ্যে দুটা মেয়েও ছিল। তাদেরকে জানানোর পর তাদের উত্তর ছিল " ও আচ্ছা, এই ঘটনা, আমরা তো ভাবলাম ডাক্তার রা স্ট্রাইক করেছে, রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে, তাই রিপোর্ট করতে আসলাম" এরপর তাঁরা চলে যায় এবং যথারীতি কোন মিডিয়াতে এই ব্যাপারে কোন নিউজ হয় না। আরও একটু দুঃখের কথা যোগ করি। শেষ কয়েকদিন ফেবুতে দেখলাম বাঙ্গালিরা দিল্লির ওই মেয়েটা কে নিয়ে খুব সহমর্মিতার স্ট্যাটাস দিচ্ছে, প্রতিবাদ করছে। ধর্ষণ সে যেখানেই যার সাথেই হোক, প্রতিবাদ করতেই হবে অবশ্যই। কিন্তু নিজের দেশের মেয়েটার জন্য কারও সহানুভূতি হল না কেন বুঝলাম না? কারন আমি এখনকার প্রতিবাদ করা, স্ট্যাটাস দেয়া একটা মানুষকেও দেখিনি কোথাও একটা কথা বলতে, একটা লাইন লিখতে। সেদিন দেখলাম বাংলাদেশের নারীবাদী সংঘটন গুলো দিল্লির মেয়েটার জন্য মানব বন্ধন করছে। নিজের দেশের সময় এরা করেনি । অধিকাংশ সময়ই করে না। তাহলে কি এইসব প্রতিবাদ, মানব বন্ধন সব হুজুগে? এজন্যই ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলছে। আমাদেরকে প্রতিবাদ করতে হবে সব সময়, প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত, প্রতিটা ঘটনায়। এবং সেটা এক জন দুজন না, সেটা সবাই মিলে। তাহলে যদি কিছু একটা হয়।
এ বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করতে গেলেই আমি খুব বেশী অস্থিরতায় ভুগি, সম্ভবত সব মেয়েই।খুব বেশী অস্থিরতার জন্য গুছিয়ে লিখতে পারিনা। তাই লিখতে গিয়েও লেখা হচ্ছিল না , পারছিলাম না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। প্রতিবাদ চলুক, লেখায়, মাঠে, রাস্তায়, কর্মক্ষেত্রে সবখানে। চলুক

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

প্রতিবাদ চলুক, লেখায়, মাঠে, রাস্তায়, কর্মক্ষেত্রে সবখানে।

সাথেই আছি। থাকব।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আমাদেরকে প্রতিবাদ করতে হবে সব সময়, প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত, প্রতিটা ঘটনায়। এবং সেটা এক জন দুজন না, সেটা সবাই মিলে। তাহলে যদি কিছু একটা হয়।

চলুক

আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক্ষন চুপ করে থাকলাম। আমার ছোট বোন বরিশাল মেডিক্যালে পড়ছে। ওর খুব ক্ষোভ আমি বা আমরা কেন কেউ ডাঃ সাজিয়া আফরিনের কর্মস্থলে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় কিছু বলিনাই। কোথাও কোন প্রতিবাদ হয়নি শুধুমাত্র ফেসবুকে কিছু মেডিক্যাল স্টুডেন্ট বা ডাক্তার ছাড়া। তখন ও প্রতিনিয়ত ডাঃ সাজিয়া আফরিন কে নিয়ে ফেসবুকে লিখা বিভিন্ন নোট পাঠাত। এই রকম একটি ঘটনা পেপারে আসেনি, টিভিতে আসেনি, আসলেও তা খুবই গুরুত্বহীনভাবে।

সরওারদি হাসপাতালে আমরা মানব বন্ধন করার সময় এক দল সাংবাদিক আসে, তাদের মধ্যে দুটা মেয়েও ছিল। তাদেরকে জানানোর পর তাদের উত্তর ছিল " ও আচ্ছা, এই ঘটনা, আমরা তো ভাবলাম ডাক্তার রা স্ট্রাইক করেছে, রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে, তাই রিপোর্ট করতে আসলাম" এরপর তাঁরা চলে যায় এবং যথারীতি কোন মিডিয়াতে এই ব্যাপারে কোন নিউজ হয় না।

আমার বোনের কাছ থেকেই আমি ঘটনাগুলো শুনেছিলাম। অবাক হয়েছিলাম, কষ্ট পেয়েছিলাম।
দিল্লীর ঘটনায় দিল্লীর মানুষদের প্রতিবাদী ভূমিকা দেখে ভালো লাগছিল, মনে হচ্ছিল কবে আমরাও এমনটা করতে পারব, বিশেষ করে ধর্ষকদের পরিবার এবং আইনজীবীদের তাদের বর্জন করতে দেখে।

এই বিষয়গুলো এমন আমার মনে হয় প্রতিটি মেয়েই অস্থিরতায় ভুগবে, কেউ তো নিশ্চিত নয় কবে তার খবরটি পেপারে, পত্রিকায় আসবে অথবা আসবেনা।
হয়ত এখন আমারও কিছু লেখা হতনা, সেদিন হঠাৎ ফেসবুকে কিছু মানুষের অসুস্থ কমেন্ট দেখলাম। মাথাটা আর ঠিক রাখতে পারিনি।
কম বেশী প্রতিটি মেয়ে জীবনে কোন না কোন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়, হচ্ছে। ঘরে, বাইরে, অফিসে, আদালতে, বাসে ট্রেনে সব জায়গাতে। জানিনা এই অবস্থার পরিবর্তন কবে হবে!!!

সেদিন দেখলাম বাংলাদেশের নারীবাদী সংঘটন গুলো দিল্লির মেয়েটার জন্য মানব বন্ধন করছে। নিজের দেশের সময় এরা করেনি । অধিকাংশ সময়ই করে না। তাহলে কি এইসব প্রতিবাদ, মানব বন্ধন সব হুজুগে?

আমারও মাঝে মাঝে মনে হয় হজুগে।প্রতিনিয়ত আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে, অথচ সেই তুলনায় প্রতিবাদ হয়না বললেই চলে। আমিও খুব অবাক হয়েছিলাম সবার নীরব ভূমিকা দেখে।

শেষ একটি কথা বলি। আমার বোন সামনে বছর ইন্টার্ন শুরু করবে। বরিশালে নাইট শিফটে কোন মেয়ে কাজ করেনা তার কারন হল বছর কয়েক আগে রাতের দায়িত্তে প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক সিনিয়ার ডাক্তার দ্বারা ধর্ষিত হয়। সেই থেকে মেয়েরা আর রাতে ডিউটি করেনা। এইভাবে আসলে সামগ্রিকভাবে সমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। জানিনা সেই ঘটনার কোন বিচার হয়েছিল কিনা।

অবস্থার পরিবর্তন দরকার, খুব দ্রুত। আরও অনেক কিছু বলতে চাইলেও লিখতে পারলাম না। কষ্ট হয় খুব বেশী।
প্রতিবাদ চলুক, লেখায়, মাঠে, রাস্তায়, কর্মক্ষেত্রে সবখানে। চলুক

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

পদব্রজী এর ছবি

যখন দিল্লি, বাংলার জনপদগুলো সেই দুমরানো শরীরগুলোর চাপা চিৎকারে ছেয়ে যায় তখনও সমাজ যখন সেই দুমরানো শরীরে দোষ খুজতে যায়--- আমি সত্যি জানি না তখন আমার কি করা উচিৎ----------------

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আর কিছু না পারেন প্রতিবাদ করুন।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাফি এর ছবি

মন খারাপ

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মন খারাপ

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ফুলবানুর অশ্রুজল এর ছবি

আমি জানিনা কি বলবো, নিতান্তই হতাশ এত বাজে কিছু ঘটনার ভিড়ে! খারাপ লাগে নিজেকে ঐ ধর্ষিতার ভাইয়ের জায়গায় রেখে চিন্তা করতে। যদি এমনটা আমার বোনের ক্ষেত্রে হয়? হতে পারে আমার বাবা হারানো ভাগ্নিটার ক্ষেত্রে?

আমি দোষ বা আঙুল তুলব আমাদের প্রযুক্তির অপব্যবহারের দিকে। সবকিছুই হাতের মুঠোয়। আজকে মুঠোফোনে যেভাবে পর্ণ ছবি বা ভিডিও দেখছে মানুষ, তাতে সে যেখানে সেখানে দেখছে। ক্লাসের পেছনে বসে দেখছে, রীতিমত বন্ধুর বোনকে ভেবে তথাকথিত চিন্তাধারা নষ্ট হচ্ছে। যেটা প্রভাব ফেলছে বাকিদের ওপর। লোভ লালসা, মানুষের নিতান্তই মানসিক স্থায়ী একটা রোগ। আর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনা বাসনাকে উসকে দিচ্ছে ঐসব মুঠোফোনে দেখা ভিডিও চিত্র। খারাপ লাগে আমিও একটা পুরুষ, খারাপের ভিড়ে আমিও হারাই।

ধর্ম মানুষকে সঠিক পথে নেয়, কিন্তু ধর্ম বলেনি ধর্ষণ করতে। শিক্ষা আর পারিপার্শ্বিক মানুষের অনৈতিক চিন্তাধারা আমাদেরকে প্রভাবিত করে না। তাহলে আমাদের পশু বানায় কে? পশুত্ব কি আমদের মিডিয়া গুলো বানাচ্ছে না?

দেখাতে পারবেন একটা হিন্দি মুভি বা বাংলা মুভি যেটাতে খুন খারাপি নেই? ভালবাসার দৃশ্যপটে হালকা যৌন উত্তেজক কার্যকলাপ?

ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, নায়কের বোন না হয় মা কে ধর্ষণ করে ভিলেন, নায়ক নায়িকার জন্য মারামারি করে, ধাক্কা খেয়ে প্রেম হয়, নাচানাচি হয়, ইত্যাদি।

কনসেপ্ট কি এটাই? এগুলাই মেসেজ?

আররে ভাই, দেখান না, দেশে শিক্ষার ব্যবস্থায় সেশন জ্যাম নামে যে অভিশাপ আছে! দেখান না, দুর্নীতি তে নায়ক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম, দেখাতে পারেন না যে অন্যায় আর ব্যভিচারের বিরুদ্ধে নায়ক তার বন্ধুদের নিয়ে ঐক্য? কেন ভাই শুধু গুণ্ডারা নায়িকা বা কোন এক নারীকে তুলে নিয়ে আসবে? ওই গুণ্ডাদের ভিড়ে, একজন কি তাদের বোঝাতে পারেন না?

এত আইন কানুন, করেন না ওইসব পশুদের বিচার যারা মুথফনে ছড়িয়ে দিচ্ছে আপনার নিজের প্রতিবেশির নগ্নচিত্র?

দেশকে দেখে মায়া হয়, আমাদের জন্যই আমরা এই দেশকে অপবাদ আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বকলম বানাই রাখতেসি।

আমার মন্তব্য কারো স্বার্থে বা মূল্যবোধে আঘাত করলে খমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি ব্লগার না, একজন সাধারণ ছাত্র মাত্র।

ফারুক হাসান এর ছবি

আমি দোষ বা আঙুল তুলব আমাদের প্রযুক্তির অপব্যবহারের দিকে। সবকিছুই হাতের মুঠোয়। আজকে মুঠোফোনে যেভাবে পর্ণ ছবি বা ভিডিও দেখছে মানুষ, তাতে সে যেখানে সেখানে দেখছে। ক্লাসের পেছনে বসে দেখছে, রীতিমত বন্ধুর বোনকে ভেবে তথাকথিত চিন্তাধারা নষ্ট হচ্ছে। যেটা প্রভাব ফেলছে বাকিদের ওপর। লোভ লালসা, মানুষের নিতান্তই মানসিক স্থায়ী একটা রোগ। আর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনা বাসনাকে উসকে দিচ্ছে ঐসব মুঠোফোনে দেখা ভিডিও চিত্র। খারাপ লাগে আমিও একটা পুরুষ, খারাপের ভিড়ে আমিও হারাই।

প্রযুক্তির অপব্যবহার কেন হয় - এ নিয়ে বিস্তারিত ভাববার অবকাশ আছে। আমার মনে হয়, হাতের মুঠোয় থাকা প্রযুক্তিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষ দিলে দিতে হয় শিক্ষার অভাবকে এবং কুশিক্ষার প্রভাবকে। আমাদের সমাজে যৌনশিক্ষাকে খুবই অবজ্ঞাভরে দেখা হয়। যৌনকৌতুহল একটি স্বাভাবিক ব্যাপার এবং সঠিক উপায়ে সেটা মেটাতে পারে না বলেই অনেকের মুঠোফোনে লুকিয়ে লুকিয়ে পর্ণ ছবি দেখার হাতেখড়ি হয়। আর এ কারণেই মনে হয়- লোভ-লালসা বুঝি মানুষের স্থায়ী কোনো রোগ, কিংবা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনা-বাসনা মানেই খারাপ। এসব আসলে মানুষের ধর্ম। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনা জীবের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাই একে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ধর্ষণ হচ্ছে পাশবিকতার সবচেয়ে বড় প্রকাশ। আমাদেরকে সেই পশুত্বকে দূর করতে হবে সবার আগে। নারীকে ভোগ্যপণ্য মনে না করে মানুষ ভাবতে শিখতে হবে। পর্ণ ছবি দেখলেই কাউকে ধর্ষণ করতে হবে কেন? শিক্ষাই পারে সঠিক বোধটা জাগ্রত করতে।

আমার আমি এর ছবি

মেয়ে হয়ে প্রতিবাদ করতে যাওয়া আসলে দোষের হয়ে দাড়ায়, কারন আমাদের দেশে যেই মুহূর্তেই একটা মেয়ে প্রতিবাদ করে তখন সেই মেয়েটির চরিত্রের দিকে ভদ্রবেশি পশুরা আঙ্গুল তুলে বলে,তুমি খারাপ মেয়ে।আবার অনেক মেয়ে আছে যারাও সেই পশুদের সাথে একমত হয়।মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু। অনেক মেয়ে ইচ্ছা থাকলেও প্রতিবাদ করতে পারেনা, যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে সেই শয়তানের দ্বারা যদি সে ধর্ষিত হয়! যদি এইসব পশুদের জনসম্মুখে জবাই করা যেতো, তাহলে হয়তবা এরা এরকম কিছু করার আগে একবার ভাবত।
আপনি লেখা চালিয়ে জান।বাংলার সমাজ একদিন জাগবেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

১) কঠোর শাস্তি অপরাধ দমনে কতটুকু প্রভাব ফেলে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। বস্তুত, মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে তো এটা একটা বহুল প্রচলিত অভিযোগ যে অপরাধ দমনে এর কোন কার্যত ভূমিকা নেই। কোন অপরাধ দমন করতে চাইলে আগে সেই অপরাধ সংগঠিত হওয়ার কারণটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, আমি মনে করি না অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে শাস্তি প্রক্রিয়া বিশেষ গুরুত্ব ধারণ করে। খুন করার ইচ্ছা যথেষ্ট শক্ত হলে যত কঠিন শাস্তিই দেন, খুন কমাতে পারবেন না। আর বিচার প্রক্রিয়া প্রভাব করার ক্ষমতা থাকলে তো কথাই নেই!

২) ধর্ষণের কার্যকারণ যাই হোক, এটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগে না যে ধর্ষণ একটি অপরাধ এবং এটি একটি পক্ষ দ্বারাই সংগঠিত হয়। মতাদর্শতাড়িত অপরাধ(যেমন সাম্প্রদায়িক হামলা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর হামলা ইত্যাদি) বাদ দিলে কোন অপরাধেই(ডাকাতি, খুন, ছিনতাই, চুরি, প্রতারণা) কখনও উসকানি থাকে না, অপরাধী স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই কাজ করে। ধর্ষণ যে উসকানি ছাড়াই সংগঠিত হয়, এটা প্রতিষ্ঠা করতে হবে; বলা বাহুল্য যে সব মানুষ এখনও এই পয়েন্টে একমত না।

৩) ধর্ষণের কেইসে মেয়েদের দোষারোপ করার মধ্যে একটা পরোক্ষ অনুমিতি থাকে যে কামের উপর পুরুষের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই, তাই ধর্ষণ এড়ানোর দায়িত্বটা মেয়েদের উপরই বর্তায়। এই অনুমিতিটাকে জোড়ালোভাবে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। এটা এতই এবসার্ড একটা দাবি যে একে খন্ডন করার কোন কারণ দেখি না। যার প্রবৃত্তির উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নাই, সে একটি ডিফেক্টিভ প্রাণী, তাকে অতি সত্তর জনসাধারণ থেকে সেগ্রেগেট করে চিকিৎসা করাতে হবে(ধর্ষণ অবশ্য যতটা কামতাড়িত, তার চেয়েও বেশি হল ক্ষমতা জাহির করা; সুজান ব্রাউনমিলারের "Against Our Will: Men, Women and Rape বইতে পড়েছিলাম আমেরিকার কারাগারগুলোতে পুরুষ-পুরুষ ধর্ষণ কারাগারে মূলত একটা dominance hierarchy সৃষ্টি করে, কোন কয়েদি নিজেকে সর্দার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে অন্য কয়েদিকে ধর্ষণ করে)। একটা আগ্রাসী ম্যানিয়াককে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে আশেপাশের সবাইকে বর্ম পড়ে ঘুরতে বলার কোন মানে হয় না।

৪) ধর্ষণ যেহেতু একটি বৈশ্বিক অপরাধ এবং ভুক্তভোগীর উপর ক্ষতিকর প্রভাবের প্রেক্ষিতে যেহেতু মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই বিষয়টা স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে ইনস্ট্রাকশনটা অবশ্যই ছেলেদের উদ্দেশ্যেই দিতে হবে, কারণ এই অপরাধের হোতারা প্রায় সবাই পুরুষ। এই ক্ষেত্রে মেয়েদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা মানে ধর্ষণকে "দ্বিপাক্ষিক" অপরাধ বিচার করার প্রবণতাকে বৈধতা প্রদান করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠক্রম-বহির্ভূত এক্টিভিটি হিসেবে সেলফ-ডিফেন্সকে উৎসাহিত করা যেতে পারে, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি হিসেবে মার্শাল আর্ট তো বেশ জনপ্রিয় বলেই জানি।

পৃথিবী

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক চলুক
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দারুন মন্তব্বের জন্য।
আপনার কথাগুলোর সাথে সম্পূর্ণ একমত। তবে শুধু কঠোর শাস্তির কথা কিন্তু আমি বলি নাই। বলেছি শাস্তি যে আসলে কার্যকর হচ্ছে সেটি প্রচারের কথা। এইসব ক্ষেত্রে যা হয়, শুধু ঘটনাটাই আমরা জানতে পারি, কিন্তু আসলে শাস্তি হল কিনা, হলেও সেটির তীব্রতা সেগুলো সব আড়ালেই থেকে যায়। অনেকেই আছে যারা ভিতু প্রকৃতির শয়তান, তারা সুযোগের সন্ধানে থাকে, সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা যদি শাস্তির কথা টুকু ঠিকমত জানত তাহলে তাদের এত সাহস হয়ত হতনা।

যাই হোক, মূল ব্যাপারটা হল ধর্ষণ প্রতিরোধে একদম গোঁড়াই গিয়ে কাজ করতে হবে। এই লেখাতে সব কিছু বিস্তারিত লেখা হয়নি অনেক বড় হয়ে যায় বলে। সময় নিয়ে, পর্বে পর্বে ভাগ করে বিস্তারিত আলোচনার ইচ্ছে থাকল।
আবারও ধন্যবাদ। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শাস্তি যে আসলে কার্যকর হচ্ছে সেটি প্রচারের কথা।

এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ শিমুল ভাই। আমারও তাই মনে হয়।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

ফারুক ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার পরিষ্কার এবং শুদ্ধ মন্তব্যের জন্য।

ভাইয়া, আমি কিন্তু বিশ্বাস করি প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা, কিন্তু এর অপব্যবহার যে হচ্ছে তাতে আমি দুঃখিত। আমরা শিক্ষাকেও দোষ দিব। পাশাপাশি মানুষগুলোর উসকে দেয়ার একটা প্রভাব।
সবমিলিয়ে আমি বিভ্রান্ত।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, মেয়েদের কে দেখে পুরুষরা কি তাকায় না? অবশ্যই তাকায়। কারণ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আসক্তি এটা প্রাণীকুলের একটা মৌলিক প্রবৃত্তিজাত আচার! আর প্রযুক্তি এর উসকে দেবার উপর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। আপনার চোখের সামনে একটা মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে, আর আপনার পাশের বন্ধু বলে উথল, জোস না? আপনি দেখেন পর্ণ, মেলাতে চান পর্ণ স্টার এর চেহারার সাথে। আপনার চিন্তায় ফিরে আসে পর্ণে দেখা কার্যকলাপ। আর মিশিয়ে ফেলেন আপনার চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েটিকে। আপনার তথাকথিত শিহরণ এবং কামুক নার্ভগুলো হিট করা শুরু করে। এখন আপনি দেখে তা দমাতে পারছেন, কিন্তু যাদের শিক্ষা নাই, বিচার করার ক্ষমতা নাই, তাদের?

আমি সত্যি খুব ভীত এগুলো নিয়ে। কি হবে সামনে? সবকিছু নিরাপদ থাকবে?

-ফুল্বানুর অশ্রুজল

ফারুক হাসান এর ছবি

আপনি যেভাবে বললেন, সবাই কি একইরকমভাবে ভাবে? আমার মনে হয় না। সব মানুষই অসভ্য নয়। আর যে নিজের প্রবৃত্তিকে উস্কে নিতে চায়, তার কাছে প্রযুক্তি থাকলেও সে সেটা করবে, না থাকলেও সেটা করবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

ফারাসাত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।