পিচ্চি যখন ভয়ংকর!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি
লিখেছেন সাফিনাজ আরজু [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০১/২০১৩ - ১০:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে নাহয় মাহিন বাবুর গল্প বলি-

কড়ে আঙ্গুলের সমান একটা মানুষ যদি তার আশেপাশের সব মানুষকে নাকানি চুবানি খাওয়াতে থাকে তার হাঁটতে শেখার বয়স থেকে তাহলে তাকে কি বলা যায়?!

অনেক ভেবে চিন্তে তাই মাহিন কে আমি ডাকতাম নীরব ঘাতক বলে। তার মতন বছর পাঁচেকের পিচ্চি একটা মানুষের জন্য নীরব ঘাতক নামটা বড্ডও বেশী ভারি হয়ে যায়। কিন্তু নিজে নীরব থেকে অন্যকে সরব করার প্রতিভায় মাহিন যে অদ্বিতীয়। আমার মাতুল বংশীয় সকল বাচ্চা কাচ্চাদের বাঁদরামিতে র‍্যাঙ্কিং এমনিতেই অনেক উপরে হবার কথা আর সেখানে আমার বিবেচনায় মাহিন হল সেরাদের সেরা। মর্নিং শোজ দা ডে বলে একটা কথা আছেনা, সেই রকম মাহিন যে আসলেই নীরব ঘাতক সেই নামকরনের সার্থকতার জোরদার এবং সত্যিকার প্রমান দেওয়া শুরু করেছিল তার হাঁটতে শেখার বয়স মানে মাত্র আট মাস বয়স থেকেই।

মাহিন আমার খালাত বোন, চাচাত বোনও বটে। আমাদের মোটামটি সেমি যৌথ পরিবার হবার কারনে জন্মের পর থেকেই মাহিন পুরাপুরি আমাদের দখলে। হয়ত তার নীরব ঘাতকতার এই প্রতিভা আরও ছোট থেকেই দৃশ্যমান, কিন্তু চাকুরী সুত্রে আমি ঢাকা আর মাহিন রাজশাহী থাকার কারনে টের পেতে আমার আট মাস লেগেছিল। পরিবারের সবচাইতে কাঙ্খিত বাচ্চা ছিল মাহিন তাই তার আদরটাও ছিল দেখার মত। তাছাড়া একদম পিচ্চি বয়সেই তার অল্প অল্প টোল ফেলা গালে ভুবনজয়ী হাসির কারনে আশে পাশের সকলের খুব আদরের বাচ্চা ছিল সে। পিচ্চিকাল থেকেই মাহিন খুব বেশী একটা ট্যাঁ ফো করত না, মুখে একটা সবজান্তার মত হাসি ঝুলিয়ে রেখে সবার দিকে টল মল চোখে তাকাত।

বাচ্চাদের শুনেছি আগে দাঁত উঠে,পরে হাঁটতে শিখে। কিন্তু একদিন দেখলাম মাহিন বাবু দাঁত উঠার আগেই হেলে দুলে হাঁটতে শিখে গেল।

প্রথমে মাহিন গুট গুট করে কোন কিছু ধরে হাঁটতে শিখল, এর পরে থপ থপ করে হেলে দুলেও হাঁটা শিখে গেল। মুখে সেই সবজান্তার হাসি ঝুলিয়ে রেখে কোন কথা না বলে সাড়া বাড়ি হেলে দুলে হেঁটে বেড়াত আর আমরা মুগ্ধ চোখে দেখতাম ওকে এটা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এমন সময়ে হঠাৎ খেয়াল করলাম আমাদের বাড়িতে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে মানে প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু হারাতে শুরু করল। হারানোর তালিকাটাও ছিল খুবই অদ্ভুত। বোনের লিপস্টিক, বাবার চশমা, ভাইয়ের বেল্ট, টিভির রিমোট এমন সব বিচিত্র জিনিসপত্র। প্রথমে সবাই ভেবেছিল হয়ত মাহিন খাটের নীচে ফেলে দিয়েছে কিন্তু পুরো বাড়ি তন্ন তন্ন করেও যখন জিনিসগুলো খুঁজে পাওয়া গেলনা ভাবলাম হয়ত কোন ফাঁকে চোর এসে নিয়ে গেছে। কিন্তু এত জিনিষ থাকতে এমন অদ্ভুত সব জিনিষ কেন সে রহস্যর কোন সমাধান হলনা!

দিন কাটছিল। এক ছুটির দিনে আমি বেশ আয়েশ করে দুপুরের ভাতঘুম দিয়েছি। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগে কেনা এত সাধের নোকিয়া ফোনটা গায়েব। মাথার পাশেই রেখে ঘুমিয়েছিলাম। আহারে আমার ফোন, বড় শখের জিনিষ ছিল। অনেক খুঁজেও যখন পাওয়া গেলনা সবাই নিশ্চিত হল জানালা দিয়ে চোর এসে নিয়ে গেছে। বারবার যান্ত্রিক কণ্ঠে মোবাইল সংযোগ না দেবার বানীতে চোরের ব্যাপারে যৎকিঞ্চিত সংশয় থাকলেও তা দূর হল।

এতদিন নাহয় টুকিটাকি জিনিষ হারিয়েছে তাই বলে সাধের মোবাইল খানাও! আমরা সবাই এবার খানিক নড়ে চরে বসলাম। নাহ চোরের বড্ডও বাড় বেড়েছে, এবার সতর্ক হতে হবে! কিন্তু ঠিকমত কিছু বুঝে উঠার আগেই বাসার চাবিটাও যখন হারিয়ে গেল সবার তখন মাথায় হাত।

আমাদের বাড়িওয়ালা ছিলেন বেশ কড়া মানুষ, বারবার সতর্ক করে দিতেন চাবির ব্যাপারে। চাবি যেন কোনভাবেই না হারায়। আমরাও খুব সাবধান ছিলাম চাবির ব্যাপারে। সেই চাবি হারানোতে সবাই প্রানপনে "খোঁজ দ্যা সার্চ" করে চাবি খোঁজা শুরু করলাম। মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ থাকার কারনে আমার ছোট বোন তখন বাড়িতেই ছিল। ডাক্তারদের যে বেশী বুদ্ধি হয় সেটা প্রমান করেই খুঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সে মাহিন কে জিজ্ঞেস করল চাবি কোথায় মাহিন জানে কিনা? মাহিন তখনও তেমন কথা বলতে পারেনা কিন্তু অনেক কিছুই বুঝে। তাছাড়া ওকে স্যাম্পল হিসেবে একটা চাবিও দেখান হল। সাথে সাথে মাহিন ফোকলা দাঁতের হাসি দিয়ে চাবি খুঁজে বের করে দিল। চাবি যেখান থেকে বের হল দেখে’ত আমাদের চক্ষু চড়কগাছ।

ঘটনা হল বাসার এক কোনায় বহুদিন আগে থেকেই ফেলে রাখা একজোড়া জুতা ছিল যার আসল স্থান হবার কথা ডাস্টবিন। বাড়ির সকল সদস্য সমান পরিমান অলস হবার কারনে জুতোজোড়া ফেলব ফেলব করেও আর ফেলা হয়ে উঠেনি। চাবি বের হল সেই জুতার ভীতর থেকে।

এইবার আমরা বুঝলাম এতদিনের গুম রহস্য। প্রতিটা জিনিষ হারানোর পর পরই হয়ত মাহিন কে জিজ্ঞেস করলে সে দেখিয়ে দিত কোথায় আছে জিনিসগুলো। যাই হোক যা হবার তাতো হয়েই গেছে এবার সবাই একে একে মাহিনকে জিজ্ঞেস করা শুরু করল এটা কোথায় সেটা কোথায় আর জিনিষের খোঁজ ও পাওয়া গেল কোনটা কমোডের ভিতরে তো কোনটা বেডরুমের পিছনের ডোবায় সলিল সমাধি আবার কোনটা বা আলমারিতে কাপড় চোপড়ের ভিতরে ঠেসে রাখা। ততক্ষনে প্রত্যেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেছে। শুধু মাহিনের সেই ফোকলা দাঁতের হাসির জন্যই সেদিন কেউ ওকে কিছু বলেনি।

এবার ভয়ে ভয়ে আমার জানার পালা আমার মোবাইলের হদিশ। তো সেই কথা মাহিন কে জানাতেই সেই ফোকলা দাঁতের সবজান্তা হাসি... হায়রে, আমার মোবাইল শেষ পর্যন্ত বের হয়েছিল আম্মার অতি সাধের পানি খাবার মাটির সরাইয়ের তলদেশ থেকে। মোবাইল চোরে নিয়েছে ভেবেও অত দুঃখ পাইনি যতটা পেয়েছিলাম কুকুরভেজা মোবাইলের দশা দেখে।

এরই মাঝে মাহিনের এই নিঃশব্দ আক্রমনের হাত থেকে নিজেদের সামলে সুমলে চলতে শেখার আগেই একদিন হুট করেই মাহিন বাবুটার নিচের পাটির সামনের দিকের দুইটা দাঁত উঠে গেল। শুরু হল আসল কাহিনী।

শুনেছি কম বেশী প্রতিটি বাচ্চাই নাকি প্রথম দাঁত উঠার পর অন-টেস্ট করে নেয় আশে পাশের মানুষের উপর। আর অন- টেস্ট করবে নাই বা কেন, যে ভেজালের যুগ কোন ভরসা আছে, ঠকে যাবার চেয়ে অন্যদের উপরে দাঁতের ধার পরীক্ষা করানোটায় বেশী সমাচিন। আর মাহিন আমাদের স্মার্ট বাচ্চা। তার পালা আসলে সে শুধু অন- টেস্ট করেই ক্ষান্ত হয়নি এরপর যথারীতি মাঠে নেমে পড়েছে চ্যাম্পিয়ান লীগ খেলার জন্য- আর ফলাফল ঐ যে আগেই বলেছি সেরাদের সেরা। নতুন ভাবে শুরু হল মাহিনের কামড়াত্তক কামড়াত্তক খেলা।

মাহিন হাঁটতে শেখার পরে সারাদিন হেঁটে বেড়াত, কারো কোলে উঠতে চাইত না। জোর করে কোলে নিলে বিরক্ত হয়ে শরীর মুচড়াতে শুরু করত। দাঁত উঠার পরে ঘটনা উলটে গেল, সারাদিন কোলে উঠতে চায়। প্রথম প্রথম তো আমরাও ওকে আদর করে কোলে নিতাম আর কোলে উঠা মাত্র যার কোলে উঠেছে তার ঘাড়ে মুখ গুঁজে দিয়ে শুরু করত দাঁতের চ্যাম্পিয়ন লীগ খেলা। মাহিনের দাঁতের ধার এত বেশী ছিল যে কয়দিন পরে ভয় পেয়ে ওকে আর কেউ কোলে নিতে চাইত না। তারপরে দেখা গেল মাহিন সবার দিকে কোলে নেবার জন্য হাত বাড়ায় কিন্তু ওর দাঁতের ভয়ে কেউ আর ওকে কোলে নেয় না !

আমাদের বাসায় নতুন কেউ বেড়াতে আসলে তারা খুব অবাক হত। এত কিউট একটা বাচ্চা কোলে উঠতে চায় কিন্তু কেউ কোলে নেয়না? এমন কি সেই সব মেহমান মাহিনকে কোলে নিতে চাইলেও আমরা সাবধান বানী শুনাতাম। কিন্তু মাহিনের ঐ দেবশিশুর মত মায়াকাড়া চেহারা দেখে সবাই বিভ্রান্ত হয়ে ওকে কোলে নিত আর সরাসরি পড়ত মাহিনের দুই তীক্ষ্ণ দন্তের খপ্পরে।

কিছুদিন পরে মাহিন যখন বুঝে গেল যে তাকে সহজে কেউ আর কোলে নিবেনা মানে সহজে সে আর কাউকে কামড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেনা তখন সে একটা নতুন পন্থা আবিস্কার করল। আগে শুধু ঘাড়ে বা গলায় কামড়াত তারপর থেকে যখন যার শরীরের যে অংশ অনাবৃত পেত ধরে কামড়ানো শুরু করল। হয়ত কেউ কম্পিউটারে বসে কাজ করছে অন্যমনস্ক হয়ে, মাহিন টুকটুক করে হেঁটে গিয়ে হাতে দিত এক কামড়। আর ওর কামড় দেবার ধরনটাও ছিল এমন যে একবার ধরলে আর ছাড়তে চাইত না। অন্য কাউকে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মাহিনের হাত থেকে উদ্ধার করতে হত। এমনি এমনি তো আর আমি ওর নাম নীরব ঘাতক দেইনি !

ওর এই কামড়ানোর ব্যারাম হয়ত কয়েক দিনেই ঠিক হয়ে যেত, কিন্তু ঐ যে আগেই বলেছি বাঁদরামিতে মাহিনের স্থান সেরাদের সেরা। তাই মাহিন ওর কামড়ানো, সবার চিৎকার আর ওকে ভয় পাবার মাঝে মজার এক খেলা খুঁজে পেল। তাই বিপুল উৎসাহে যখন তখন যেখানে সেখানে সবাইকে কামড়াতে শুরু করল। একটা উদাহারন দেয়- হয়ত কেউ দিনের বেলায় ঘুমিয়ে আছে খাটে, খাটের বাইরে কোনভাবে তার পা বের হয়ে গেছে। যেই মুহূর্তে মহিনের চোখে তার পা পড়ল আর রক্ষা নাই অমনি গিয়ে পায়ের আঙ্গুলে দিত এক কামড়। ঘুমন্ত অবস্থায় পায়ের আঙ্গুলে তীক্ষ্ণ কামড় খেয়ে ঘুম থেকে জাগতে আসলে কেমন লাগে যার সে অভিজ্ঞতা নাই সে কখনও বুঝবেনা। রাতের বেলায় সবার আগেই পিচ্চিটা ঘুমাত তাই আর আক্রমণের সুযোগ পেতনা, কিন্তু দিনের বেলায় কারো রক্ষা ছিলনা। এমনকি সকাল বেলাতে মাহিনের ঘুম ভাঙলেই পরিবারের বাকি সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলা হত নিরাপত্তার খাতিরে !

অবস্থা শেষে এমন হয়ে দাঁড়াল যে আমরা কেউ ভুলেও দিনে ঘুমাই না। আর কেউ ঘুমালেও জুন জুলাইয়ের কড়া গরমেও কাঁথা নাহলে চাদর গায়ে জড়িয়ে ঘুমাই। তাতেও কি রেহাই আছে, কুটকুট করে খাটে উঠে ঘুমন্ত মানুষের কান কামড়ে ধরত। সে এক দেখার মত অবস্থা, বাবুটা ব্যাথা পাবে ভেবে কেউ ওকে জোরেও ধাক্কা দিতে পারত না আবার কামড়ও সহ্য করতে পারত না। ওর বয়স তখন ১০ মাস কি ১১ মাস হবে, ওকে বাসার সবাই আর কি বকাঝকা করবে?

মাহিন বাবু তাই ওর সেই পিচ্চি কালে জ্ঞানী জ্ঞানী একটা ভাব ধরে মুখে একটা ফিচকে হাসি ঝুলিয়ে রেখে টুকটুক করে সারা বাড়ি ঘুরে ওর শিকার খুঁজে বেড়াত। আমরা তিন ভাই বোন ও কম দুষ্টু ছিলাম না। যখন একজনের অন্য জনের সাথে ঝামেলা হত তখন মাহিন কে ডেকে এনে শুধু বলতাম- মাহিন অ্যাটাক, আর অমনি মাহিন ছুটত অ্যাটাক করার জন্য। তিনজনের কারো নির্দেশে মাহিন বাকী দুইজনের কারো পিছনে ছুটছে এটা ছিল আমাদের বাসার খুবই কমন একটা দৃশ্য।

মাহিন তার সেই বয়সে আম্মা, মামনা, দাদা, আপন,মানি(পানি) এমন টুকটাক কিছু শব্দ বলত। এর বাইরে তেমন কথা বলত না, কিন্তু আসলে যে সে ভিতরে ভিতরে বড় বড় বাক্য শিখে বসে আছে আমরা জানতাম না। এরই মাঝে হঠাৎ একদিন এক বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ একটা বাক্য বলে সবাইকে পুরাই চমকে দিল। কিন্তু আজকে আর সেই গল্প বলবনা। অন্য কখনও, অন্য কোনদিন সেই গল্প বলা যাবে।

আসলে মাহিন বাবুটা ছোট থেকে এত বেশী কাণ্ড করেছে আর সবগুলাই এত বেশী মজার লিখতে বসলে আস্ত একটা বই হয়ে যাবে। আমার এই বাবুটা দিনে দিনে বড় হয়ে যাচ্ছে...এখনও বাবুটা প্রতিদিন নতুন নতুন মজার সব কাণ্ড ঘটায়। পার্থক্য এইটাই যে, শুধু গত দুই বছর ধরে ওর বেড়ে উঠার এই প্রতি মুহূর্তের গল্প আমি আর দেখতে পাইনা, এখন শুধু মুঠোফোনে শুনেই মজাটুকু পেতে হয়।

চলবে?


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরাই মাহিনাত্মক!! দেঁতো হাসি

দৌড়াবে।

ফারাসাত

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দৌড়াবে, বলছেন??? চোখ টিপি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

মাহিন বাবু রকস
হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মাহিন বাবু রকস দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আইলসা এর ছবি

দেঁতো হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অচল  এর ছবি

বাহ ! বেশ মজা তো লেখা -গুড়- হয়েছে

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

স্যাম এর ছবি

চলুক ...
একটা ছবি দিয়ে রাখলে বাংলাদেশে নিরাপদে চলতে পারতাম দেঁতো হাসি

(সচলে আগে কি যেন একটা ছিল 'বাচ্চা ভয়ঙ্কর কাচ্চা ভয়ঙ্কর' নামে - মনে করতে পারছিনা)

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

স্যামদা, আপনাকে জানান এটা আমার তৃতীয় অভিনন্দন হল। অনেক অনেক অভিনন্দন। হাসি
সেই জনস্বার্থেই ছবি দেওয়া উচিত ছিল, এর পরে কখনও মাহিনকে নিয়ে লিখলে ছবি দিব। চোখ টিপি
ইয়ে মানে আপনার ফটুক খানাও দেন দেখি কখনও রাগ হলে মাহিন কে ছবি দেখিয়ে বলব-- অ্যাটাক মাহিন! দেঁতো হাসি :D

'বাচ্চা ভয়ঙ্কর কাচ্চা ভয়ঙ্কর' নামে টিউলিপ আপু একটা পর্ব লিখেছিলেন যতদূর জানি। লেখাটা আমিও পড়েছি। 'বাচ্চা ভয়ঙ্কর কাচ্চা ভয়ঙ্কর' এই নামের উপরে আসলে নামই হতে পারেনা ! ইয়ে, মানে...

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সুলতান এর ছবি

জাফর ইকবালের একটা বই আছে "বাচ্চা ভয়ঙ্কর কাচ্চা ভয়ঙ্কর" এই নামে।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

জি ভাই, জানা আছে। সেই কারনেই নিচের কথাটি বলেছিলাম।

'বাচ্চা ভয়ঙ্কর কাচ্চা ভয়ঙ্কর' এই নামের উপরে আসলে নামই হতে পারেনা !

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

পুরাই দৌড়াবে। মাহিনাত্মক ব্যাপার স্যাপার দেখা যায়

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মাহিনাত্মক ব্যাপার স্যাপার দেখা যায়

সেই পুরাই মাহিনাত্মক ব্যাপার ! চোখ টিপি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অবনীল এর ছবি

এই সিরিজের নাম রাখা যেতে পারে 'পিচচি ভয়ঙ্কর কিচচি ভয়ঙ্কর'

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আইডিয়া পছন্দ হয়েছে। হাসি
পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ধুসর জলছবি এর ছবি

এরই মাঝে হঠাৎ একদিন এক বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ একটা বাক্য বলে সবাইকে পুরাই চমকে দিল। কিন্তু আজকে আর সেই গল্প বলবনা। অন্য কখনও, অন্য কোনদিন সেই গল্প বলা যাবে।

সেই অন্য দিনটা যেন তাড়াতাড়ি আসে বলে দিলাম কিন্তু। শয়তানী হাসি বেড়ানো শেষ করেই লিখে ফেলবে। হাসি
তোমাকে গতকালই বলতে চেয়েছিলাম মাহিনের ছবিটাও দিয়ে দিও পোস্ট এর সাথে। পরে ব্যস্ততায় ভুলে গেছি। এখন দেখি আমার কথা স্যামদা বলে দিয়েছে। হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

কার গল্প কে লেখে??? খাইছে
দেখি ইট্টু ঝিমাই টিমাই কবে লেখা যায়।
অপেক্ষার ফল মাহিনাত্মক হয় জানো তো? চোখ টিপি শয়তানী হাসি

ওকি টকি নেক্সট টাইম, মাহিনের ছবিটা দিব। কোনটা দিব বলত?

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রংতুলি এর ছবি

আরজু, বলছিলাম না, দেখলে তো এবার... চোখ টিপি

মাহিনের গল্প পড়তে পড়তে মনটা পুরাই ভালো হয়ে গেলো। বাবুটাকে অনেক অনেক অনেক আদর! হাসি

মাহিনকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছে, এরপর অবশ্যই ওর একটা ছবি দিও কিন্ত... পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

বাবুটাকে অনেক অনেক অনেক আদর!

চলুক
তোমাকেও অনেক অনেক অনেক থাঙ্কু আপু। মাহিনের গল্প মনে পড়লে আমারও মন ভালো হয়ে যায়। দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আলতাইর এর ছবি

হাহাহা বাঘের বাচ্চা বাঘের বাচ্চা
আমার ভাগ্নিও হইলো কামড় এক্সপার্ট। তবে ভাগ্য ভালো ছোট বেলা থেকে মাত্রাতিরিক্ত আস্কারা(পড়ুন ঘুষ) দেয়াতে আমাকে কামড়ের তালিকার বাইরেই রাখছে! আর আমি শুধু মুখ ফুটে বললেই হয়-'মা যাও তো, অমুককে ১টা কামড় দিয়ে আসো' বাস, আর কিচ্ছুর দরকার নাই। তার চিৎকার শোনা সময়ের ব্যাপার মাত্র। একদম গ্যারান্টি সহকারে!! শয়তানী হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হো হো হো
বাচ্চাগুলা আসলেই এত বেশী কিউট হয়। আপনার ভাগ্নির জন্য অনেক আদর রইল। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নীপবন এর ছবি

তোমার কথা আর কি লিখব আপু, মাহীন রকস,তুমি রকেসট।
হো হো হো গুরু গুরু
মাহীন বাবু তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক, অপেক্ষায় থাকলাম।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আসলেই মাহীন রকস ! দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অদ্ভুত মেয়েটি এর ছবি

বাড়িতে একটা বাবু থাকার খুব মজা। কত কি যে ঘটে। সত্তিই মজা লাগল পড়ে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আসলেই বাড়িতে একটা বাবু থাকলে দিন এমনি ভালো কেটে যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্বের জন্য। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আশালতা এর ছবি

এই যে দেখুন আরেকজন কামড় এক্সপার্ট। ইনিও ভীষণ পপুলার।
http://www.youtube.com/watch?v=_OBlgSz8sSM

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
লতাপু, ছোটবেলার মাহিন আর তার কামড়সহ আমাদের চিৎকারের কথা মনে করিয়ে দিলেন।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

বন্দনা এর ছবি

আমার ভাগ্নে যাবার আগে গুনেগুনে আমাকে ৬খানা কামড় দিয়ে গেছে।ভাগ্নে চলে গেছে শুধু কামড়ের দাগ রয়ে গেসে । বাচ্চকাচ্চাগুলা এত মায়াকাড়া, কামড়ালে ও মন্দ লাগেনা।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

৬খানা কামড়-- তাইলে ঠিক আছে আপু। খাইছে
মাহিন একবার আমার ছোটবোনের ঠোঁট কামড়ে রক্ত বের করে দিয়েছিল, কোনভাবেই ওকে ছাড়ান যাচ্ছিল না।

বাচ্চকাচ্চাগুলা এত মায়াকাড়া, কামড়ালে ও মন্দ লাগেনা।

চলুক
আসলেই বাচ্চাগুলা খুব আদর আদর হয়। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অমি_বন্যা এর ছবি

মাহিন তুমি এগিয়ে যাও আমরা আছি তোমার সাথে। হাসি ভালো লাগলো লেখা।
চলুক আপু।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মানে কি অমি ভাই? আপনিও কামড়ের সমর্থনে অ্যাঁ
অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আপনাকে সবসময় সাথে পাই। দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রাজীব মাহমুদ এর ছবি

খুব সাবলীল লেখা। ‘নীরব ঘাতক’ নামটা সওয়ার মত জোর বোধ করি মাহিনের হয়নি। এত ভারী আর গম্ভীর সম্বোধনটা ভদ্রলোককে না দিলেও পারতেন। হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ভদ্রলোক নারে ভাই। আপাতত বাচ্চা আর ভবিষ্যতের ভদ্রমহিলা। কামড় খেয়ে আর সরব তো আর হননি তাই বুঝতেছেন না। চোখ টিপি শয়তানী হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

কুমার এর ছবি

চলুক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দেঁতো হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

শাব্দিক এর ছবি

বাচ্চা কাহিনী ভালু পাই। চক্ষু খুইল্যা গুট্টি খেলুম, গুট্টি...

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!
ইয়ে, মানে... সত্যি ভালু পাইছ তো আপু?

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার মেয়ে নিধি যখন কামড় বয়সে ছিলো, তখন প্রতিমাসেই আমাদের নতুন ফোনসেট কিনতে হতো। তার শুধু কামড়ের রোগ না, ফেলে দেওয়ার রোগও ছিলো। তখন আমরা থাকতাম নয়তলার উপর, সে মনের আনন্দে জানালা দিয়ে প্রচুর জিনিস ফেলে দিতো।
এক সপ্তাহে তিনটা ফোনসেট নষ্ট এবং হারানোর পর পৃথিবীর সবচেয়ে কমদামের সেলফোনসেট নিলাম... আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, তারপর থেকেই সেলফোনের উপর অত্যাচার থেমে গেলো। সেই আঠারোশো টাকা দামের নোকিয়া প্রায় ছয়মাস ব্যবহার করার পর নিরাপদ ভেবে নতুন সেট কিনলাম...
এখন আমার মেয়ে মোবাইল কামড়ায় না, ফেলে না, তবে সারাদিন খেলে। আমি ফোন সেটে খেলা রাখি না বলে অত্যাচারটা মায়ের স্মার্ট ফোনের উপর দিয়ে যায়।
এখন নিধির নিজেরও একটা ফোনসেট হয়েছে হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সচলের অনেকের কাছেই নিধির গল্প শুনেছি। দেশে এলে দেখার ইচ্ছে থাকল নজরুল ভাই। নিধিকে আমার অনেক অনেক আদর দিয়েন।
নিধির গল্প মজা লাগল, মাহিনের মতই। বাচ্চাগুলা মনে হয় এমনি হয়। দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আমার ভাই, তোমার ভাই, মাহিনভাই মাহিনভাই।

এই রকম একটা কামড়া কামড়ির ডিভাইস আমার দরকার। সারাদিন সাথে নিয়া ঘুরলেও শান্তি লাগে।
আমি আগে বাচ্চা কাচ্চা দেখতে পারতাম না। ইদানিং দেখি বাচ্চাকাচ্চা ভালই লাগে। নিন্দুকেরা বলে আমার নাকি সময় হইছে।
নিন্দুকেরা তো কত কথাই বলে।
মাহিনের কাহিনী শুনে আমার ছোট ভাইয়ের কথা মনে পড়ল। একদম এইরকম ছিল। সারা ঘর টুকটুক করে হাঁটত আর ইধার কা মাল উধার করত। শুধু ভাইয়ার জিনিস ধরত না। ও যখন কথা বলা শিখল, তখন তাকে অংকের বিভিন্ন সূত্র শিখিয়ে দিলাম, যা আমার মনে থাকত না। তখন অংক করার সময় ওকে পাশে নিয়ে বসতাম আর দরকার হলে সূত্র জিজ্ঞেস করতাম। সে নির্ভুলভাবে সব সূত্র আমায় বলে দিত। ভাইটা দেখতে দেখতে সবার কাছে বড় হয়ে গেলেও আমার কাছে এখনও সেই পিচ্চিই আছে। এখনও আমার কাছে তার চাওয়ার জিনিস হচ্ছে "তক্কেত"।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আরে বাউল ভাই যে, আসেন বসেন। ঐ বুলেট চা পাত্তি আন --

নিন্দুকেরা বলে আমার নাকি সময় হইছে।

হইছে নাকি সময়, বুলেটরে কন দেখি কিছু মিস্টি দিতে। চোখ টিপি
শুভকামে দিরং করতে নাইক্কা। শয়তানী হাসি

বাপরে আপনের মাথায় মেলা বুদ্ধি, পিচ্চি মানুষরে দিয়া সূত্র মুখস্ত করান।
আফসোস আমি শুধু কামড় খেয়েই থেকে গেলাম। চিন্তিত

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ফাহিম হাসান এর ছবি

আগে বাউলরে বিয়া দিয়া সংসারী বানান

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ফাহিম ভাই, আপ্নেরা গর্তে ঢোকা বাউলের কাছের লোক, উনার গলায় ঘন্টা শক্ত করে বেন্ধে দেন তাইলেই কামড় দিয়া ডিভাইস ফ্রি। ঘণ্টা বাঁধলে ডিভাইস ফ্রি। শয়তানী হাসি চোখ টিপি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

কৌস্তুভ এর ছবি

আমার তো সন্দেহ হয় আপনিও কম খতরনাক না! ইয়ে, মানে...

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ইইসসরে এইডা আমি সন্দ করছিলাম কৌদা, যে আপনি আমারে সন্দ করবেন। ওঁয়া ওঁয়া
আমি তো পুরাই নাদান। লইজ্জা লাগে

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

দীপ্ত এর ছবি

এইসব পিচ্চিপাচ্চার কাহিনী আছে বলেই তো চারপাশ এতো আলো-ভালো লাগে।
চলবে মানে, অবশ্যই। দেঁতো হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

এইসব পিচ্চিপাচ্চার কাহিনী আছে বলেই তো চারপাশ এতো আলো-ভালো লাগে।

চলুক
জয়তু পিচ্চি পাচ্চা ! দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

মর্ম এর ছবি

কামড় দেয়া পিচ্চি সামলানো মুশকিল, কিন্তু এদের কর্মকান্ড পড়াটা নিঃসন্দেহে আনন্দময়! কামড়-টামড় যা আছে আপনারা খেতে থাকুন, আর সে কাহিনী আমাদের জানিয়ে যান, এর জন্য অপেক্ষা থাকবেই পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মন খারাপ কামড়ের যন্ত্রণায় কাঠ ফাটা গরমে কম্বল গায়ে দিয়া ঘুমাইতে হইছে ওঁয়া ওঁয়া

অপেক্ষার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

হা হা

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হি হি দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ফাহিম হাসান এর ছবি

ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসল!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আমারও আসত, বাপরে মাহিনের দাঁতের কি ধার। মন খারাপ

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নীলম এর ছবি

হাহাহা! পুরো পরিবারকে মাতিয়ে রাখতে একটা বাচ্চাই যথেষ্ট। তাও যদি আবার হয় আপনাদের মাহিনের মত! দেঁতো হাসি

আমার খালাতো বোনের ছেলেটা বয়স তিন বছর। ওর টানেই কিছুদিন পরপর ছুটে যাই ওখানে। সে আবার এবার ভর্তি হয়েছে স্কুলে। কি যে অবস্থা!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মাহিনের মত একটা বাচ্চাই বড় মানুষগুলোকে টাইট করার জন্য যথেষ্ট। আপনাদের পিচ্চিটার অনেক আদর রইল। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

guest_writer এর ছবি

হাততালি মাহির জন্য।
এত সুন্দর করে ক্যামনে কামড়াও তুমি বাবু!
টেস্ট নিতে চাই না তবে কৌতূহল বড়ই দেঁতো হাসি

আলসেমির কারণে কতকিছুই লেখা হয় না, আনন্দ ভাগাভাগিও হয় না। আপুকে তাই ধন্যবাদ আনন্দ ভাগ করার জন্য! ভাল থাকুন।

(তানিট)

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

বাচ্চাদের কামড়াত্তক বিষয়গুলো ও ভীষণ আনন্দময় হয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাবেকা এর ছবি

মজা পাইলাম হাসি বাচ্চাগুলো আসলেই মজার হয়, এরকম এক্টা বাসায় থাক্লে সময়্টা অনেক আনন্দে কাটে ।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

বাচ্চারা আসলেই সময়টা অন্যরকম করে দেয়। চোখ টিপি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

পড়তেতো মজাই লাগলো। কামড় খেতে অবশ্য ভাল লাগবেনা। চলুক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সেই। কামড় খাওয়া খুব কষ্টের, আর একবার কামড়ালে সহজে ছাড়তে চায়না। ইয়ে, মানে...

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

পিরিয় ভইন, তোমার জাপানী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে তো আমি আর পারছি না । করণিকের কামলা খাটা, পুলার ইশকুলের বাড়ির কাজ, উইক এন্ডের “সামাজিক”তা সেরে একটু আধটু সুমায় পাই এই সচলায়তনে ।

তুমি দুই হাতে লেখতে আছো ...আমি পড়ে কুলিয়ে উঠতে পারছি না যে ! তয় এইটা মনে রাইখো, পড়তাছি কইলাম চোখ টিপি

মুক্তিযোদ্ধা খালুটিকে আমার সালাম পৌঁছে দিও । আর এই মাহিন বাবুর গল্পটা আজ রাতের জন্য জমিয়ে রাখলাম । পরে এসে জানিয়ে যাব ।

লিখতে থাকো ভইন, রকেটের গতিতে লিখতে থাকো দেঁতো হাসি

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

লিখতে থাকো ভইন, রকেটের গতিতে লিখতে থাকো

নাহ আর লিখতাম না আপুনি। এবার নাহয় যাত্রাবাড়ীর গাড়ির গতিতে লিখব যেন তুমি পড়তে পার ঠিক সময়ে।
তোমার লেখার যে কতবড় পাঙ্খা আমি যদি জানতে। খাইছে

মাহিন বাবুর গল্প কেমন লাগল বললে না যে আপুনি। চিন্তিত
খালুকে বলব তোমার কথা। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

তারপরে দেখা গেল মাহিন সবার দিকে কোলে নেবার জন্য হাত বাড়ায় কিন্তু ওর দাঁতের ভয়ে কেউ আর ওকে কোলে নেয় না !

মাহিন বাবু তাই ওর সেই পিচ্চি কালে জ্ঞানী জ্ঞানী একটা ভাব ধরে মুখে একটা ফিচকে হাসি ঝুলিয়ে রেখে টুকটুক করে সারা বাড়ি ঘুরে ওর শিকার খুঁজে বেড়াত। আমরা তিন ভাই বোন ও কম দুষ্টু ছিলাম না। যখন একজনের অন্য জনের সাথে ঝামেলা হত তখন মাহিন কে ডেকে এনে শুধু বলতাম- মাহিন অ্যাটাক, আর অমনি মাহিন ছুটত অ্যাটাক করার জন্য। তিনজনের কারো নির্দেশে মাহিন বাকী দুইজনের কারো পিছনে ছুটছে এটা ছিল আমাদের বাসার খুবই কমন একটা দৃশ্য।

আরজুমান্দ বানু, মাহিন বাবুর পরের পর্বের জন্য হাত পাতিলাম । শিগগীর লেখো । এই “কামড়ানো” দস্যিটার ছবি দিও লগে ।

আমার বোনরা তখন থাকে মহাখালীতে পাঁচ তালা বাসায় । আমার ভাগ্নীর বয়স বোধহয় দেড় । জানালা দিয়ে সব নিক্ষেপ...বুঝতে বুঝতে বেশ সময় লেগেছিল, কারুর সামনে ফেলতো না তো ! বাবার ঔষধ, ঘরের চাবি, মায়ের কানের দুল, খুচরা পয়সা...

কুন কতা নাই রকেটের গতিতে চলবে এই লেখা । এক্কেরে পাঁচ তারকা ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

এক লহমা এর ছবি

আরজু, আমাদের ফেলে রেখে গেলা কই?????

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মন মাঝি এর ছবি

আমারও একই প্রশ্ন!! চিন্তিত

****************************************

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।