পাণ্ডবের চীন দর্শন-০৭

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: রবি, ০৮/০৩/২০০৯ - ১১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চীনের ভিখারি, চীনের বারবনিতা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের পরিচয় “মিসকীন” বলে। দুনিয়ার অন্য দেশগুলোতেও আমাদের পরিচয় সাধারণতঃ এর চেয়ে খুব বেশি উঁচু না। আমাদের পরিচয় - বাংলাদেশ বন্যা, সাইক্লোন, দুর্ভিক্ষের দেশ। যদিও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন কথা বলে। আর বিদেশের অনেক জায়গাতে অনেক সময়ই আমাদের পারফরমেন্স গর্ব করার মত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ছাড়া অন্য সব দেশের ব্যাপারে আমার পূর্ব ধা...চীনের ভিখারি, চীনের বারবনিতা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের পরিচয় “মিসকীন” বলে। দুনিয়ার অন্য দেশগুলোতেও আমাদের পরিচয় সাধারণতঃ এর চেয়ে খুব বেশি উঁচু না। আমাদের পরিচয় - বাংলাদেশ বন্যা, সাইক্লোন, দুর্ভিক্ষের দেশ। যদিও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন কথা বলে। আর বিদেশের অনেক জায়গাতে অনেক সময়ই আমাদের পারফরমেন্স গর্ব করার মত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ছাড়া অন্য সব দেশের ব্যাপারে আমার পূর্ব ধারণা ছিল যে সেখানে ভিক্ষাবৃত্তি প্রকট নয়। পরবর্তীতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের কিছু দেশ দেখার সুযোগ হওয়ায় আমার সে ধারণা পাল্টেছে। তবে চীনে এ’ধরণের প্রাচীন পেশাগুলো দেখে বেশ ধাক্কা খেয়েছিলাম।

চীনের বাস ষ্টেশন, রেল ষ্টেশন, শপিং মলগুলোর বাইরে আর পাবলিক স্কয়ারগুলোতে মোটামুটি অবধারিতভাবেই ভিখারীদের দেখা মেলে। অবশ্য এয়ারপোর্টের বাইরে আর পাতাল রেল ষ্টেশনগুলোতে ভিখারীদের দাঁড়াতে দেয়া হয় না। ভিখারীদের বেশির ভাগ হয় বৃদ্ধ নয়তো শারিরীক ভাবে প্রতিবন্ধী। অল্প বয়ষ্ক প্রতিবন্ধীদেরকেও একই পেশায় দেখা যায়। তবে চীনের ভিখারীরা আমাদের দেশের ভিখারীদের মত নোংরা অবস্থায় থাকে না, যদিও তাদের পোষাক মলিন বা জীর্ন। রাস্তা-ঘাটে এখানকার মত পাগলদেরও দেখা মেলে না।

প্রথম বার ভ্রমণের প্রথম দিন রাতে কুয়াঙচৌ-এর হোটেলের জানালা দিয়ে দেখি রাস্তার উলটো দিকের ডাস্টবিনে শারিরীক সামর্থ্যসম্পন্ন দুই তরুন-তরুনী খাবার খুঁজছে। দৃশ্যটা দেখে অবাক হলাম। পরদিন ব্যাঙ্কে যাবার পথে, রেস্তোরাঁর সামনে, রেল ষ্টেশনে, ফুটপাথে সর্বত্র ভিখারী আর খাবার সন্ধানীদের দেখা পেলাম। আমার অবাক হওয়া আস্তে আস্তে কমে গেল।

সব দেশেই সরকারী চাকুরী করলে অবসরে গেলে পেনশন মেলে। একটু বড় বেসরকারী কোম্পানী হলেও অবসরকালীন ভাতা মেলে। কিন্তু দুনিয়া বেশির ভাগ দেশে ছোট-মাঝারী সব কোম্পানীতে অবসরে গেলে সচরাচর কিছুই মেলে না। গত এক যুগ ধরে চীনে হাজারে হাজারে যে ছোট-মাঝারী কোম্পানী গড়ে উঠেছে সেগুলোতেও অবসরে গেলে কপালে মোটামুটি ঢুঁ ঢুঁ। তাই সবাই চেষ্টা করে শারিরীক সামর্থ্য যতদিন থাকে ততদিন কাজ করে যাবার। অনেক কারখানায় দেখেছি অতি বৃদ্ধদের শারিরীক শ্রম দিতে। যখন তারা অসমর্থ্য হয়ে যান তখন তাদের সন্তানদের উপর নির্ভর করা ছাড়া গতি থাকে না। নিজের জমানো টাকা যথেষ্ঠ না হলে, সন্তানেরা দরিদ্র হলে, বৃদ্ধদের ভিক্ষা করা ছাড়া গতি থাকেনা।

যদি সব বৃদ্ধের জন্য বৃদ্ধাশ্রম থাকতো তাহলে চীনের হাটে-মাঠে-ঘাটে এত বৃদ্ধ ভিখারীর দেখা মিলত না। একই কথা শারিরীক প্রতিবন্ধীদের জন্যও প্রযোজ্য। ভিক্ষাবৃত্তি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হলে পাবলিক প্লেসগুলোতে ভিখারীদের দেখা মিলত না, পুলিশরাও এদের দেখেও না দেখার ভাণ করত না। স্বগের ফুলরাও যখন ভিক্ষার জন্য হাত বাড়ায় তখন বোঝা যায় সামাজিক সুরক্ষা বা মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তার ব্যাপারগুলো চীনে এখনো সবার কাছে পৌঁছাতে পারেনি। আর আমার অভিজ্ঞতা তো প্রধাণতঃ ছোট-বড় শহরগুলোকে ঘিরে, সেক্ষেত্রে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর মানুষের অবস্থা কী?

একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি, চীনসহ এশিয়ার আরো কিছু দেশে (ভারত ছাড়া)। যেসব দেশে মুসলিমরা সংখ্যালঘু সেখানে মুসলিম মহল্লা মানেই নোংরা, ভিখারীতে পূর্ণ, অনিরাপদ। এই মন্তব্যটিকে অগভীর ও একপেশে মনে হতে পারে। কিন্তু যদি একটু ভালভাবে মনে করার চেষ্টা করেন তাহলে সম্ভবতঃ সব পাঠকই একই ধরণের অভিজ্ঞতার কথা মনে করতে পারবেন। সংখ্যালঘুদের জীবনে বিদ্যমান বঞ্চনার হাজারোটা কারণ আমরা জানি। তবু এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে সংখ্যালঘু খৃষ্টান বা বৌদ্ধদের মহল্লায় এই দুরবস্থাগুলো এমন প্রকট আকারে দেখিনি।

এখনকার চীনে গোটা দুনিয়ার খুব কম জাতি-গোষ্ঠী আছে যাদের এথনিক খাবারের রেস্তোরাঁ নেই। চীনে অমন ভারতীয়, থাই, আরব, পশ্চিম ইউরোপীয়, রুশ, জাপানী, ব্রাজিলীয়, আফ্রিকান রেস্তোরাঁ দেখতে পাবেন ভুরি ভুরি। আশ্চর্য হয়ে দেখবেন এদের মধ্যে সবচে’ নোংরা রেস্তোরাঁ হচ্ছে মুসলিম রেস্তোরাঁগুলো। তা আরব হোক, মিশরীয় হোক, লেবানিজ হোক আর পাকিস্তানীই হোক। এইখানে সমস্যাটা অবশ্যই সংখ্যালঘু হবার দরুন নয়, সমস্যাটি মানসিকতায়। ব্যাপারটিকে অতি সরলীকরণ বলে মনে হলেও আমার অভিজ্ঞতা এমনটাই।

আপনি আবার অবধারিতভাবে ঐসব রেস্তোরাঁর বাইরে ভিখারীদের দল দেখতে পাবেন, যারা আপনার কাছে আল্লাহর নামে ভিক্ষা চাইবে। ম্যাণ্ডারিন, আরবী আর ইংরেজীতে লেখা ল্যামিনেট করা সাহায্যের আবেদনও চোখে পড়ে। এর পিছনে আমি চীনা সরকারের বিশেষ দোষ দেখতে পাই না। সরকারের আর্থিক সামর্থ্য কম হলে দেশের সব মানুষকেই কষ্ট ভোগ করতে হয়। কিন্তু সংখ্যালঘুদের মধ্যে একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে তা একটু ভাবার বিষয় বই কী, যেখানে রাষ্ট্র আবার পুরোপুরিই সেক্যুলার চরিত্রের।

প্রথমদিকে একবার দক্ষিণাঞ্চলের এক শহরে গেছি এক বাণিজ্যমেলায় অংশ নিতে। অনভিজ্ঞতার দরুন আগে হোটেল বুক করিনি। গিয়ে দেখি ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই এমন অবস্থা। বহু কষ্টে একটা হোটেলে ঠাঁই মিলল যার বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য নেই। অবশ্য হোটেল কর্তৃপক্ষ হোটেলটিকে তিন তারকা দিয়ে বসে আছেন। সন্ধ্যায় চীনা সহকর্মী জিজ্ঞেস করলেন কোন হোটেলে উঠেছি। হোটেলের নাম বলতে সহকর্মী ভ্রূ কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন, ওখানে কেন? বললাম অন্যত্র ঠাঁই পাইনি, আর ওখানে সমস্যাই বা কী? বিব্রত সহকর্মীর উত্তর, হোটেলটা পতিতাবৃত্তির জন্য কুখ্যাত। সেদিন রাতেই হোটেলে ফিরে তার কথার সত্যতা মিলল। যেই ফ্লোরে ছিলাম, সেই ফ্লোরের হাউস কিপিং-এর ডেস্কের সামনে দুই ললনা। তাদের সাজ-গোজ, দাঁড়ানোর ভঙ্গী আর কটাক্ষ দেখে অর্বাচীনও বুঝবে এরা আদিম পেশার মানুষ। হাউস কিপিং-এর ডেস্কই বোধহয় তাদের অস্থায়ী অফিস। তবু ভাল “দ্বারে দ্বারে করাঘাত করে” তারা হোটেলের বাসিন্দাদের ভাল-মন্দ খোঁজ নেবার চেষ্টা করেনি।

পূর্বাঞ্চলের আরেক শহরের এক হোটেলে দেখলাম রূপাজীবারা বেশ উদ্যোগী। তারা “দ্বারে দ্বারে আঘাত করিয়া” সেবাদানের উদ্যোগ নিয়েছেন। সেখানে এক রাতে আমার কাজের চাপে পাগল হবার দশা। বিছানা আর টেবিল জুড়ে ক্যালকুলেশন শীট, একটু পর পর দেশে সহকর্মীদের ফোন করে নানা বিষয় জেনে নিচ্ছি, আবার স্থানীয় সহকর্মীদের ফোন করে পরদিনের কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনছি। এমন সময় “দ্বারে আঘাত হইল”। অন্যমনস্ক থাকায় কিছু জিজ্ঞেস না করেই দরজা খুলে দিলাম। দেখি খুব ছোট একটা ভ্যানিটি ব্যাগ হাতে এক চৈনিক ললনা। ম্যাণ্ডারিনে খুব দ্রুত কিছু বললেন যার মাথা-মুণ্ডু বোঝা গেল না। তবে ম্যাণ্ডারিন শব্দগুচ্ছের মধ্যে একটা ইংরেজী শব্দ বুঝলাম - massage। শরীর দলাই-মলাইয়ের অভিজ্ঞতা যাদের আছে তারা জানেন এই কলা চর্চার জন্য নানা উপকরণের দরকার হয়। কোন উপকরণবিহীন এই ললনা যে কোন ধরণের দলাই-মলাই করতে এসেছেন তা বুঝতে আমার আর সময় লাগলো না। বিনয়ের সাথে বললাম, no, thanks। তিনিও সুবোধ বালিকার মত “শিয়ে-শিয়ে” (ধন্যবাদ) বলে বিদায় নিলেন।

সার্সের প্রাদুর্ভাবের সময় মধ্যাঞ্চলের এক শহরে গেছি। সার্সের ভয়ে রাস্তা-ঘাটে-শপিং মলে অযথা ঘোরাঘুরি করিনা। খাওয়া-দাওয়াও করি ভয়ে ভয়ে। কর্মস্থল আর হোটেলের মধ্যে আমার গতি সীমাবদ্ধ। এমন সময় এক রাতে বেল বয় হোটেল রুমে পানি, খাবার-দাবার ইত্যাদি দিয়ে যাবার পরও দেখি দাঁড়িয়ে থেকে কী যেন বলে। আমি ভাবলাম বখশিশ চাইছে। বখশিশ দেবার পর দেখি সে দ্বিগুণ উৎসাহে বিছানার দিকে ইঙ্গিত করে আরো কী যেন বলছে। এবার তার কথা খেয়াল করতে একটা ইংরেজী শব্দ বুঝলাম, miss। আমি প্রবল বেগে মাথা নেড়ে বললাম, no miss। সে মুখ কালো করে চলে গেল।

একবার রাতে পূর্বাঞ্চলের এক হোটেলে শুয়ে শুয়ে বই পড়ছি। এমন সময় প্রবল শীৎকারের শব্দ কানে এল। আমি জানি যে চীনের কোন টিভি চ্যানেল সামাজিক ছবি দেখায় না। তাই নিশ্চিত হলাম এটা টিভির শব্দ নয়। হোটেলটিতে হোম ভিডিও জাতীয় কিছুও ছিলনা, সুতরাং বুঝলাম এটি কোন মুভি নয়, বরং লাইভ শো চলছে। শব্দের উৎস সন্ধান করতে দেখলাম তা আমার প্রতিবেশীর রুম। কিছুক্ষণ পর গোঙানীর শব্দ, তারপর “অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট”। তারও মিনিট পনের পর দরজা খোলার শব্দ, দুইজন নারী-পুরুষের উচ্ছ্বসিত কলরব, পুরুষের পক্ষ থেকে নারীকে বিদায় সম্ভাষন। বুঝলাম হোটেলের ব্রোশিওরে যত নীতি কথাই থাকুক না কেন এখানে সবই লভ্য, সবই চর্চিত। অবশ্য চীনের সব শ্রেণীর হোটেলগুলোর বাথরুমে ঢুকলে যেসব ঔষধ-পত্র, মাল-সামান দেখা যায় তাতে হোটেলগুলোর চরিত্র কী প্রকার তা বুঝতে বিশেষ এলেম লাগে না।

চীনে কোন জেলার নাম লালকুপি বলে শুনিনি। অমন কোন বিল্ডিংও চোখে পড়েনি। তবে ডিসকো-ক্যারোকে-নাইট ক্লাবে প্রকাশ্যে দরাদরির দৃশ্য দেখেছি। উত্তরের প্রচণ্ড শীতে সবাই যখন ওভারকোট-মাঙ্কি ক্যাপে শরীর ঢেকে পথ চলছে তখন রাস্তায় দেখেছি স্লীভলেস টী-শার্ট আর জীনস পরিহিত চীনা তরুনী। আমার মত বিদেশী কাউকে দেখলেই hello! hi! বলছে। সুবেশধারী চীনা পুরুষেরও মনযোগ আকর্ষন করার চেষ্টা করছে। দুনিয়ার কোন দেশেই সম্ভবতঃ এমন দৃশ্য বা অভিজ্ঞতাগুলো বিরল নয়। তবু চীনে এসব দেখলে আমার মন খারাপ হয়ে যায়।

আমার মন খারাপ হওয়া হয়ত উচিত নয়। তবু চীনের রাস্তায় অতিবৃদ্ধ-শিশু-শারিরীক প্রতিবন্ধী ভিখারী, হোটেলে-রেস্তোরাঁয়-পথে রূপাজীবাদের দেখলে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। নিঃসন্দেহে চীন কোন ধনী দেশ নয়, এবং সেখানে পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশ মানুষ বাস করে। দেশের সব মানুষের জন্য মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানো হয়তো বিপ্লবের ষাট বৎসরে পরেও সম্ভব হয়না। কিন্তু পৃথিবীর সেরা ধনীদের তালিকায় যখন শত শত চীনার নাম দেখতে পাই, চীনের রাস্তায় যখন অসম্ভব দামী গাড়ি দেখতে পাই, দামী হোটেল-রেস্তোরাঁয় সুবেশধারী চীনা নারী-পুরুষের মেলা দেখতে পাই, শপিং মলের ব্রাণ্ডশপগুলোর মিছিলে ধনী চীনাদের ভীড় দেখতে পাই তখন কিছুতেই এসব মেনে নিতে পারিনা।

দুনিয়ায় টিকে থাকা যে পাঁচটি মাত্র দেশ সাম্যের পথ ধরে বিপ্লবের গান শুনিয়ে “গণপ্রজাতন্ত্র” প্রতিষ্ঠা করেছে চীন তাদের মধ্যে সর্ববৃহৎ, সবচে’ আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন। কোন বিবেচনায়ই চীনকে দারিদ্রসীমার নিচের দেশ বলা যাবে না। তাই পাশাপাশি বিদ্যমান এই অসঙ্গতিগুলোকে বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তবতা বলে মানতে পারি না। শত ফুল ফুটে ওঠার দেশে কোন ক্ষুধার্ত না ফোটা কলি বা অথর্ব বৃদ্ধ যখন ভিক্ষা না পেয়ে কেঁদে ওঠে, স্বল্প পোষাকের রূপাজীবা যখন হাড়-কাঁপানো শীতে কেঁপে ওঠে তখন তেত্রিশ বৎসর ধরে গ্রেট হলে শায়িত চেয়ারম্যান কি তাঁর প্রিয় জনগণের দুর্দশায় কষ্টে কুঁকড়ে ওঠেন না!


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

জয় হোক পাণ্ডবের।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দেশটা বানালো, চেনালো চীনারা আর জয় হবে বহিরাগত পাণ্ডবের!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই হইলো ঘটনা।

ইহার নাম সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতি।



অজ্ঞাতবাস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কিছুদিন আগে বড় রাজনৈতিক দল করা একজন ছোট রাজনৈতিক মতের দুইজনকে বলল, "তোরা হইলি গিয়া বুর্জোয়াঁ লেফটিস্ট"। কথাটা বকচ্ছপ বা হাঁসজারু-র মত শোনা গেলেও খুব মন্দ বলেনি সে। আপনিও এখানে একটা যুতসই সুকুমারীয়/এডওয়ার্ড লিয়ারীয় শব্দবন্ধ বের করে ফেললেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বরাবরের মতোই খুবই সুখপাঠ্য। ভবিষ্যতে কখনো এক মলাটে "পাণ্ডবের চীন দর্শন" দর্শন করতে চাই।

গুলশানের বিভিন্ন সিগন্যালে গাড়ি থামলে যখন ভিক্ষুকরা এসে গাড়ির জানালায় টোকা দেয়, সাথের চাইনিজ সহকর্মীদের দেখেছি বেশ অবাক হয়ে প্রশ্ন করতে যে- বাংলাদেশ এত গরীব কেন। ভাবটা এমন যেন ওদের দেশে ভিক্ষুকের অস্তিত্বই নেই। এবার আমিও মোক্ষম এক হাতিয়ার পেয়ে গেলাম।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই চীন কথন কখনো বই হতে পারবে কিনা বলতে পারছিনা। কারণ প্রথমতঃ আর কত পর্ব লিখতে পারবো জানিনা। দ্বিতীয়তঃ গল্প/কবিতা/উপন্যাস/নাটক/ভ্রমণকাহিনী ঠিক এমন কোন দলে পড়ে না এই লেখা, সুতরাং কোন প্রকাশকের দায় পড়েছে এই লেখা ছাপানোর! তৃতীয়তঃ এককালে বই বের করলে প্রকাশক লেখককে টাকা দিত, আর এখন শুনেছি প্রকাশককে আগাম টাকা দিয়ে বই বের করে দেবার জন্য ধর্ণা দিতে হয়। আগাম দেবার মত টাকা এবং ধর্ণা দেবার মত সময় কোনটাই আমার নেই।

বাংলাদেশে এসে ভিখারী-নোংরা-ট্রাফিক জ্যাম-দূষন-ছিনতাই-মানুষের ভীড় ইত্যাদি নিয়ে এই ধরণের ফুটানী অনেকেই মারে। আমরা এর যথাযোগ্য উত্তর দিতে পারিনা তার পুরোপুরি কারণ অজ্ঞতার নয়, বরং আমাদের মনোভাবও এর জন্য দায়ী। একবার এ'নিয়ে বলেছিলাম এখানে



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি হয়ে গেল অনেক। দুঃখিত।

সবকিছুর পরও বইয়ের ব্যাপারে চেষ্টা করে দেখবেন প্লিজ। কারণ এই সিরিজটা কিন্তু অসংখ্য সচলের প্রিয়। বই আকারে বের হলে এটা পাঠকপ্রিয়তা পাবে, এমনটাই আমার বিশ্বাস। অন্যদের কথা বলতে পারব না, আমি অন্তত আপনার চোখ দিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে অদেখা চীনকে দেখছি।

আপনার "নতজানু মনন, অপচিত মেরুদন্ড" পোস্টটা পড়লাম। বেশ ভাল পর্যবেক্ষণ, আর দরকারি কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। তবে আমার উপরের মন্তব্যে যেটা উল্লেখ করেছি, সেটা এরকম কোন ব্যাপার না। অফিস বা অন্যান্য জায়গায় যেসব বিদেশির সাথে আমি মিশেছি, এটুকু অন্তত বলতে পারি, 'বিদেশি' হিসাবে তাদের কখনো দেখিনি, বা পুতুপুতু আচরণ করিনি। আমি তো আমার ডিপার্টমেন্ট হেডকে পর্যন্ত নাম ধরে ডাকি, মিঃ/ডঃ/স্যার বলিনা। এটা অবশ্য ওঁর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই সম্ভব হয়েছে। যাই হোক, বিভিন্ন সময়ে চারপাশে অনেকের মধ্যেই আপনার পোস্টে উল্লেখ করা বিষয়গুলোর প্রতিফলন দেখেছি অবশ্য।

সিরিজটা আরো এগিয়ে নিয়ে যান, এই প্রত্যাশা করি। ভাল থাকুন।

বকলম এর ছবি

এত কিছুর পরও আশা ছিলো, দেশটা এগিয়ে যাবে। আর আশা করতে পারছি না।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দেশটা এগিয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিছু মানুষ হয়তো সেই এগিয়ে যাওয়াতে তাল মেলাতে পারবে না, কিছু মানুষ হয়তো তা চোখে দেখার সৌভাগ্যও পাবে না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

হের চৌধুরী অনেক রেখে-ঢেকে বলেছেন, নিজের চোখে দেখলে অনেক সময় যা মনে হয় তা কলমে বা কী-বোর্ডে লিখতে পারবোনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাজেদ এর ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ও বিকট আমলাতন্ত্র চীনের অর্থনীতি আর রাজনীতিকে চালিত করছে গত প্রায় ৫০ বছর ধরে। যার উপসর্গ সহজে প্রতিয়মান সমাজের উপরিভাগে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণ যৌক্তিক, তাই মানা যায়। কিন্তু মন থেকে সায় দিতে পারিনা কারণ, এরা রাষ্ট্রকে "গণপ্রজাতন্ত্র" বলে দাবী করে, নিজেদেরকে একটি লং মার্চ ও একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ফসল ও উত্তরাধিকার বলে দাবী করে, ক্ষমতাসীন পার্টি নিজেদেরকে কম্যুনিস্ট বলে দাবী করে। বাস্তবতার নিরিখে আপনার কাছে আমাকে যদি আবেগপ্রবণ বলে মনে হয় তাহলে আমার বলার কিছু নেই। একজন মুসলিম যদি মদ পান করেন তাহলে হয়তো আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু সে যদি তার স্রষ্টার নাম নিয়ে মদ পান করে তবে তা অবশ্যই তার ধর্ম বিচারে আপত্তিকর।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনে এতোবার চীন্দেশে গেছেন, আপনার তো দেখি অনেক জ্ঞান হইছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অ্যাতো দিন আপনার সাথে দেখা হল তাও আমার জ্ঞানের বহর টের পান নাই! আফসোস!!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হাসিব এর ছবি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের পরিচয় “মিসকীন” বলে। দুনিয়ার অন্য দেশগুলোতেও আমাদের পরিচয় সাধারণতঃ এর চেয়ে খুব বেশি উঁচু না।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আমাদের মিসকীন বলে যে ঘেন্নাপিত্তি করে তার কাছাকাছি কিছু ইন্ডিয়ানকে দেখেছি যারা বাংলাদেশকে নিয়ে এর কাছাকাছি অবজ্ঞার চোখে দেখে ।
কিন্তু ইউরোপে আমাদের এইরকম করে দেখা হয় বলে মানতে পারি না । এরা জানে আমরা গরিব, আমরা স্মেলি রান্না করি, আমরা দেখতে কালো, স্ট্রেঞ্জ ইত্যাদি । কিন্তু এরা কখনো ঐ মিসকীন টাইপ কোন শব্দ আমাদের দেখে বলে না ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি কিন্তু বলিনি যে দুনিয়ার সর্বত্র আমাদেরকে মিসিকীন বলে। অন্যত্র আমাদেরকে এমন কথা বলে না ঠিকই তবে আমাদের প্রতি আচরণ যে খুব ভালো করে তা নয়। আপনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে আছেন তাই আপনার অভিজ্ঞতা অবশ্যই আমার চেয়ে বেশি। তবে আমার স্বল্পকালীন প্রবাস জীবনে (মোট হিসাবে) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে যে আচরণ আমি পেয়েছি বা অন্য বাঙালীকে পেতে দেখেছি তা মোটেও সুখকর বা সম্মানজনক নয়। সেই সাতকাহন বলতে বসলে চীনের গল্প চাপা পড়ে যাবে।

রেনেসাঁর আলোকপ্রাপ্ত দেশগুলোতে আমাদেরকে মুখে মিসকীন বলেনা ঠিকই, কারণ তা বোধহয় তাদের সহজাত ভদ্রতায় বাধে, কিন্তু আসলে মিসকীনই মনে করে। বিশেষতঃ আমরা যখন স্যুট-টাই পরে তাদের কাছে গিয়ে এই প্রকল্প সেই উন্নয়ন বা অমুক বিপর্যয় তমুক দুর্যোগের কথা বলে কারণে-অকারণে সাহায্যের হাত পাতি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

যথারীতি অতিশয় সুখপাঠ্য ও উপাদেয়।

তবে ভিক্ষুক আর বারবনিতা সংশ্লিষ্ট চিত্রটি পৃথিবীর অধিকাংশ ধনী দেশেও কি প্রায় একই রকম নয়? সেই দেশগুলোতেও সংখ্যালঘু অতি ধনীদের সঙ্গে বাকিদের অর্থনৈতিক দূরত্ব কি বহু আলোকবর্ষের নয়?

পুনশ্চ.
একটা pun fun: মিসকিনের দেশ থেকে গিয়ে miss-কে মিস করাটা মিস করেন না চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ভিক্ষুক আর বারবনিতা সংশ্লিষ্ট চিত্রটি ধনী-নির্ধন সব দেশেই কম-বেশি এক প্রকার এই সত্য আমি জানি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমার আপত্তিটি কোথায় তা উপরে সাজিদের মন্তব্যে বলেছি।

পুনশ্চঃ "মিসকিনের দেশ থেকে গিয়ে miss-কে মিস করাটা"ই সঙ্গত। পাণ্ডবদের সকলের চরিত্রই কম-বেশি রমণীমোহন, ইতিহাস এর সাক্ষ্য দেয়, তবে তারা যত্রতত্র ঘাসে মুখ দেয় না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফকির লালন এর ছবি

'এক দম্পতি -এক সন্তান' নীতির কারনে জেনারেশনের পর জেনারেশন চীনারা জানবেই না ভাই/বোন থাকলে কেমন লাগে। প্রকৃতির এমন একটা দান/অনুভূতি থেকে বঞ্চিত
হওয়া জাতির জন্য দুঃখই লাগে। সে অর্থেও তারা ভিখারী বটে।

বড়লোক হওয়াই কি একমাত্র মোক্ষ হতে পারে?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধনী হওয়া জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না, তবে বড় মানুষ হওয়া অবশ্যই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে।

ভাই-বোন না থাকা সংক্রান্ত আপনার পর্যবেক্ষণ অসাধারণ। পরের বার চীন গেলে এব্যাপারে চীনাদের অনুভূতি জানার চেষ্টা করব।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সচল জাহিদ এর ছবি

চমৎকার অভিজ্ঞতা হল ভাইয়া। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে কিছুটা যোগ করতে চাই। ইউরোপ-আমেরিকায়ও ভিক্ষাবৃত্তি আছে তবে তার রূপটা ভিন্ন। আমি কিছুদিন হল্যান্ডে ছিলাম ।সেই সুবাদে ডেলফটে, রটরডেম, বেলজিয়াম এর ব্রাসেলস ঘুরে বেরিয়েছি। সেখানেও দেখতাম রেল স্টেশনের ধারে কিংবা সপ্তাহান্তে 'খোলা বাজারে' অনেক মানুষ ভিক্ষাবৃত্তি করছে, তবে আমাদের দেশের মত এইভাবে নয় বরং কেউ গান শুনিয়ে, কেউবা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আবার কেউবা খেলা দেখিয়ে।

একই দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি কানাডাতে। এখানে তার সাথে যুক্ত হয়েছে এখানকার আদিবাসীদের ভিক্ষাবৃত্তি। এরা গান শুনানো বা বাজনা বাজানের ধার ধারেনা, সরাসরি চেয়ে বসে।অবশ্য এদের জীবনও অনেক কষ্টকর। নির্দীষ্ট কোন আবাস নেই বলে এরা সারা দিন ঘুরে বেড়ায়। কিছু টাকা পয়সা পেলে মদ খেয়ে বুদ হয়ে পড়ে থাকে।আর সন্ধ্যে বেলা লাইন দেয় সরকারী আবাসস্থলে একটু ঠাঁই পেতে।আর ঠাঁই না পেলে এই শীতের মধ্যেও ( হিমাঙ্কের ২০ ডিগ্রি নিচে) আমি দেখেছি রাস্তার ধারে যেখান দিয়ে কোন বাসার হিটিং ব্যবস্থার গরম হাওয়া বের হয় সেখানে কিছু একটা মুড়ি দিয়ে পড়ে আছে কয়েকজন জড়াজড়ি করে যেন শীত কম লাগে। না দেখলে বিশ্বাস করার উপায় নেই। ইচ্ছে আছে এদের জীবন নিয়ে একটা লেখা দেবার।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।