জায়গীরনামা- এক

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/০৩/২০০৮ - ৪:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঊনিশ শ' পচাত্তর সাল। সবেমাত্র ক্লাস সিক্সে উঠেছি। বাড়িতে ভাতের অভাব। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের রেশ এখনও কাটেনি। অনাহারে, অর্ধাহারে আমার পড়ালেখার ব্যাঘাত হয়। বাবা ঠিক করলেন-আমাকে জায়গীর করে অন্যের বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন। আমাদের গ্রামদেশের ভাষায় জায়গীর মানে লজিং থাকা। স্কুল থেকে যতোটুকু দূর আমাদের বাড়ি তার তিনগুণ দূরে চলে গেলাম লজিং থাকতে। হাটকয়েড়া গ্রামের মাজম মেম্বারের বাড়ি। বড়ো গেরস্থ, খাবারদাবারের অভাব নেই। তার উপর নামী দামী লোক, গ্রামের মেম্বার।

দশ-এগারো বছর বয়সের আমি অন্যের বাড়িতে জায়গীর থাকি। তিনবেলা পেট ভরে খাবার খেতে দেয় আমাকে। বিনিময়ে মাজম মেম্বারের মেয়ের ঘরের নাতিনাতনিদের পড়াই। প্রথমদিকে পেট ভরে খাবার সহ্য হতো না। রাতবিরেতে পায়খানা আসতো খুব বেগে। কাঁচা ঘুমে ব্যাঘাত হওয়ায় মাজম মেম্বার বিরক্ত হতেন। তবে মাজম মেম্বারের বউ বেশ ভালো ছিলেন। রাতে অন্ধকারে বাইরে যেতে আমি ভয় পেতাম। তিনি কূপি বা হারিকেন হাতে আমাকে পায়খানার কাছে নিয়ে যেতেন। এ ঝামেলা অবশ্য বেশি দিন সহ্য হয়নি মাজম মেম্বারের। তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন বাড়ির বারোমাসি কামলার সাথে থাকতে।

তখনকার দিনে জায়গীর থাকার আরও কিছু বাড়তি ঝামেলা ছিলো। শুধু যে কামলাঝামলাদের সাথে থাকতে হতো তা নয়, রীতিমতো তাদের মতোন কাজ করতে হতো প্রতিদিন। ভোরবেলা গরুছাগল গোয়াল থেকে বের করে খড়-ঘাস কেটে খেতে দেয়া, তারপর মাঠে চরাতে দেয়া, কামলাদের খাবার নিয়ে যাওয়া। এমন কি প্রথমবার জমিতে লাঙল দেয়ার পর বড়ো বড়ো ইটা-ঢেলা পিটানো, ধান-পাট-গম কাটা, বোরো-ইরি-রোপা ধান লাগানোর শক্ত কাজও করতে হতো। এর জন্য মাঝে মাঝে স্কুল কামাই দিতে হতো আমাকে। সারাদিনে এক কামলার কাজও করে ফেলতাম সে সময়।

মাজম মেম্বার সে সময়কার তিন নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার ছিলেন। তিনি নিজ হাতে গ্রামের মানুষদের মাঝে সরকারি রিলিফ বিলি করতেন। মাঝে মাঝে মেরে দেয়া আটা, চিনি, দুধ নিজের বাড়িতে নিয়ে আসতেন। ছোটোবেলায় চিনি বা মিষ্টি জিনিসের প্রতি আমার লোভ ছিলো খুব। আর রিলিফের গুড়োদুধটা খেতে ছিলো বেশ মজার। হাতে নিয়ে চেটে খেতে খুব মজা হতো। আমরা সেই দুধকে বলতাম বিলেতি দুধ। আমাদের স্কুলের টিফিনেও মাঝে মাঝে এরকম দুধ দেয়া হতো।

একবার সাইটশৈলা গ্রামের রিলিফ বন্টন শেষে মাজম মেম্বার আমাকে কিছু বাড়তি মাল বাড়িতে নিয়ে যেতে বললেন। সাথে ছিলো তার মেয়ের ঘরের বড়ো নাতি আনিস। নিয়ম মাফিক আমার মাথায় উঠলো আটার বস্তা আর আনিসের হাতে চিনি,দুধের ব্যাগ। আমাদের দুজনকে প্রায় দেড় মাইল হেঁটে আসতে হবে হাটকয়েড়া গ্রামে। মাঝে শুকিয়ে যাওয়া খালের মতো নদী। নদীতে পানি বেশি ছিলো না, হেঁটে পার হওয়া যায়। নদী পর্যন্ত আসতেই বেশ হাঁপিয়ে গেলাম। মাথা থেকে বস্তা নামিয়ে ধপাস করে বসে পড়লাম নদীর পাড়ে। পেটে বেশ ক্ষুধাও ছিলো। মিষ্টি চিনির লোভে আমার জিহ্বায় পানি ঝরতে লাগলো। বুদ্ধি খাটিয়ে আনিসকে পটিয়ে দুজন মিলে আরাম করে চিনি খেলাম। ধারেকাছে টিউবওয়েল না থাকায় কোনোমতে মুখ মুছে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

আমার ভাগ্য খারাপ। বাড়িতে পৌঁছেই ধরা খেতে হলো চিনিচোর হিসেবে। কারণ মুখে তখনও কিছুটা চিনি লেগেছিলো দুজনের। চোরের সাক্ষী হলো আনিস, যে নিজেও আমার সাথে চিনি চুরি করে খেয়েছিলো। সে বললো- আমি চুরি কইরা খাই নাই, জাগীর ভাই আমারে জোর কইরা খাইতে দিছে।
বিচারে শাস্তি হলো আমার। অবশ্য শারীরিক কোনো শাস্তি নয়। তবে বাড়িশুদ্ধ লোকের সামনে মাজম মেম্বার আমাকে যে অপমানসূচক কথা বললেন মনে খুব আঘাত লেগেছিলো সেদিন। বকার ভাষা প্রকাশের মতো ছিলো না। রাগে, অপমানে আমার চোখ ছলছল করতে লাগলো। সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম- কোনেদিনও আর পরের জিনিস চুরি করে কিছু খাবো না।

আমাদের বাড়ির একেবারে কাছের স্কুলে ক্লাস করতে যাই প্রতিদিন। আমার বাড়ির জন্য মন পোড়ে। ধারেকাছে বাড়ি হলেও বাড়িতে যেতে আমার মানা। পাছে বাড়ির প্রতি মায়া জন্মে যায়। তবু মাঝে মাঝে বাবার চোখ এড়িয়ে মাকে দেখে আসি। জায়গীর বাড়িতে পেট ভরে খেতে পেলেও আমার মন ভরে না। কারণ দুনিয়ার কাজ, ফুটফরমাস আর মাজম মেম্বারের নাতিনাতনিদের পড়ানোতে আমার মন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। বাবার প্রতি আমার ভীষণ রাগ হয়। আর শুধু মরে যেতে ইচ্ছে করে। আমাদের কেন অনেক জমিজমা হলো না! তাহলে তো আর ভাতের অভাব হতো না।

সম্ভবত সেদিন স্কুল বন্ধ ছিলো। একদিন নদীর পাড়ে মাজম মেম্বারের জমিতে মুগুর দিয়ে মাটির ঢেলা পিটাচ্ছি। ঢেলাগুলো ছিলো বেশ বড়ো বড়ো। আর আমি ছিলাম হাড় লিকলিকে ভাতেমরা ছোট্ট বালক। তাছাড়া মুগুরের সাইজ ছিলো আমার চেয়েও লম্বায় বড়ো। সেটা মাথার উপরে তুলে ঢেলার উপর ফেলতে খুব কষ্ট হচ্ছে তখন। সকালবেলা যেটুকু নাস্তা খেয়ে এসেছি পেটে তার একটুও অবশিষ্ট নেই। পেট মোচড়াতে লাগলো আমার। সূর্য প্রায় মাথার উপর উঠে এসেছে। সকালের মিষ্টি রোদ হারিয়ে গিয়ে কড়া রোদ দিচ্ছে। হাঁপাতে হাঁপাতে হাতের মুগুর ফেলে দিয়ে আমি বসে পড়লাম ক্ষেতের আইলে।

হঠাৎ করেই আমার নাম ধরে ডাক। মিষ্টি একটা কোমল ডাক শুনতে পেলাম পাশের ক্ষেত থেকে। আমাদের গ্রামের স্কুলের গণি মাস্টার। পাশের জমিতে লাঙলে জমি চাষ করছেন। হায়রে, সেদিকে এতোক্ষণ আমি খেয়ালই করিনি।
স্যার বললেন- গ্যাদা, তুই এখানে কী করিস? এইটা কার ক্ষেত? তোদের তো কোনো ভাইদের জমিতে কাজ করতে দেখি নাই!
আমি বললাম- স্যার আমি মাজম মেম্বরের বাড়িত জাগীর থাকি। এইডা তার জমি। আমি ইটা পিটাইতে আইছি।
গণি স্যার অবাক হয়ে আমার দিকে চেয়ে রইলেন। চেয়ে দেখলেন বিশাল সাইজ মুগুরটার দিকেও। তারপর কাছে এসে আমার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললেন-আহারে, কস্ কি? তোর না বৃত্তির রেজাল্ট বার অইছে। তুই তো আমাগো অবাক কইরা দিছস। সারা টাঙ্গাইল জেলায় তুই ফার্স্ট অইছস। এতো খুশির খবর আর তুই এখনও বইসা রইছস? যা বাড়ি যা।

স্কুল বন্ধ থাকলেও জায়গীর হিসেবে সারাদিন মাজম মেম্বারের বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আসলেই আমি প্রাইমারি বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্টের খবর জানতাম না। গণি মাস্টারের কাছেই প্রথম শুনলাম খুশির খবরটা। আমার কী যে আনন্দ হচ্ছে তখন! মা-ও কাছে নেই যে আনন্দে তার গলা জড়িয়ে ধরবো কতোক্ষণ। আমার ভীষণ কান্না পেতে লাগলো। দুচোখ বেয়ে টপটপ করে জল পড়তে লাগলো। সে জল শুকিয়ে যেতে লাগলো জমির শুকনো ঢেলার উপরে পড়ে পড়ে। আমার বাড়ির কেউই দেখলো না আমার চোখের জল! আশেপাশের উষ্ণ হাওয়া আর মাটির ঢেলা শুষে নিলো চোখের সব জল। আমার আর নিজের বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করলো না। মুগুর কাঁধে নিয়ে রওনা হলাম মাজম মেম্বারের বাড়ির দিকে।

এর বেশ ক'বছর পর আমাদের সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরে আসে। গণি মাস্টার তখনও ঐ স্কুলের টিচার। আমি অন্য স্কুলে ভর্তি হই। পুরনো স্কুলে আমার ভাই-ভাতিজারা পড়ে। পড়াশোনায় তারা অমনোযোগী হলে গণি স্যার গল্প শোনায় কষ্ট করে আমার পড়ালেখার কথা। আর সে খুশির খবর, অবাক করা ভালো রেজাল্টের কথা।
০৫.০৩.২০০৮


মন্তব্য

নজমুল আলবাব এর ছবি
শেখ জলিল এর ছবি

গল্পটি লেখার আগে শুনেও একজন কেঁদেছিলো।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

অতিথি লেখক এর ছবি

অসম্ভব অসম্ভ রকমের ভালো
মন খারাপ করা
আর মন ভালো করা কাহিনী
_ ক্যামেলিয়া আলম

শেখ জলিল এর ছবি

অন্তত আমার কাছে এটা মন ভালো করার কাহিনী।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

মানুষের জীবন কতো বিচিত্র বাঁক নেয়। বিষাদ, আনন্দ ও স্বপ্ন সেখানে মিলেমিশে থাকে।

লেখাটা ভালো লাগলো খুব।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

শেখ জলিল এর ছবি

জীবনের এ বিচিত্র বাঁকই আমার নিত্যসঙ্গী।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

এরকম নির্ভেজাল আত্মচরিত...সালাম ভাই আপনাকে।
অন্য পাঠকদের জানাতে ইচ্ছা করছে তাই বলি : ভাবুন তো পুরোটা একটা গল্প যার শেষ এই বাক্যটাতে, ‌'মুগুর কাঁধে নিয়ে জলিল রওনা হলো মাজম মেম্বারের বাড়ির দিকে।'
গল্পটার মধ্যে শক্তি আছে। জলিল ভাই একে কি গল্প হিসাবে লিখবেন?
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

শেখ জলিল এর ছবি

লেখাটি গল্প হিসেবেই লিখেছি। কারণ নতুন প্রজন্ম কি এটা বিশ্বাস করবে?

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

ধূপছায়া এর ছবি

ভীষণ টাচি! অসাধারণ।

শেখ জলিল এর ছবি

ধন্যবাদ।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

ধ্রুব হাসান এর ছবি

--------------------------
--------------------------

শেখ জলিল এর ছবি

ধন্যবাদ ধ্রুব হাসান।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এ এমনই একটি লেখা যার কথা বারবার মনে পড়ে। শেষে আপনার বিজয়ের কথা জেনে ভাল লেগেছে।
এমন লেখা আরো বেশী করে লেখা উচিত্ ।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

শেখ জলিল এর ছবি

আরও দু'টো ছাড়ার ইচ্ছে আছে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

হিমু এর ছবি

জলিল ভাইয়ের গল্প পড়ে ভালো লাগলো। একেবারে নিকষিত হেম, সারল্যেই সুন্দর।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শেখ জলিল এর ছবি

গদ্যে আপাতত সারল্যেই আছি। ধন্যবাদ।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো জলিল ভাই।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

শেখ জলিল এর ছবি

ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

রাগিব এর ছবি

ইশশ ...

আমার চোখে পানি চলে আসলো লেখাটা পড়ে ... অসাধারণ।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শেখ জলিল এর ছবি

আসলে কাঁদানোর ইচ্ছেয় নয়, বর্তমান প্রজন্মকে জানানোর জন্য গল্পটি লিখেছি।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

হযবরল এর ছবি

ভীষণ ভালো লাগলো জলিল ভাই। আমার বাবাও জায়গীর ছিলেন, এতদিন বুঝবার চেষ্টা করতাম, আজ একটা পূর্ণ উপলব্ধি হলো।

শেখ জলিল এর ছবি

যাক, আমি সফল। জায়গীরনামায় আপনার মতো একজনের অন্তত পূর্ণ উপলব্ধি আনতে পেরেছি।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

গত কয়েকদিন একদম লগ-ইন করিনি। মাঝে-মধ্যে শুধু পড়ে গেছি সব লেখা। কিন্তু কী দুর্ভাগ্য আমার! আপনার এই লেখাটি কীভাবে যেন আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল।

এখন পড়লাম এবং লগ-ইন করতে বাধ্য হলাম।

অসাধারণ!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

জলিল ভাই, খুবই ভালো লাগল, খুবই
- খেকশিয়াল

রাশেদ এর ছবি

মনটা খারাপ করে দিলেন!

ফারুক হাসান এর ছবি

দারুণ লেখা! গলার কাছে কষ্ট এসে দানা বাধে।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

অতিথি লেখক এর ছবি

কষ্ট তো অবশ্যই ছিল সে সময় যখন আপনি ঐ কষ্টের সময়গুলো পার করছিলেন। তবে, আমি বলবো কোন না কোন ভাবে আপনার জীবনের সবচেয়ে শক্ত ভীত আপনি তখনই তৈরী করেছিলেন যা আপনাকে এখনো শক্তি দেয়, সাহস ও প্রেরণা যোগায়।

জীবনের অনাগত সকল যুদ্ধে জয়ী হন এই কামনা করি।

কল্পনা আক্তার

...........................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অসাধারণ...
স্যালুট বস...
পরের দুইটা ছাড়েন তাড়াতাড়ি...
পরের প্রজন্ম বিশ্বাস করবো না কেন? করবো... অবশ্যই করবো।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখাটার সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো বিষয় হলো এর সাবলিল রচনা ... মনছোঁয়া ...

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

একদিন আপনার পায়ের ধুলো নিতে যাইতে হবে ,,,, আমার বাবার জীবনের কার্বন কপি, শুধু জায়গাটা বরিশাল
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সবাই সব বলে দিয়েছে... আসলেই চোখে পানি আনার মত জীবনকথন।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অনেক পরে পড়লাম বলে আফসোস হ্চ্ছে।
গল্প যতো সরল ততো গভীর - এটা আমার ব্যক্তিগত মত। আমি বিশেষজ্ঞ নই।

আপনার জীবনের গল্প বুকে একেবারে আঁচড় কেটে গেল, এবারে বাকিগুলো মনে হচ্ছে পড়তেই হবে .... .. ..।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অমিত আহমেদ এর ছবি

অসাধারণ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।