কৃতজ্ঞতা জানাই, সমালোচনা করি

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: শনি, ০৫/০৭/২০০৮ - ১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমালোচনা করায় আমাদের জুড়ি নেই। কিন্তু কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের কি আছে? শুধু কি লিখে জানানো যায় কৃতজ্ঞতার কথা? পশুপাখিদের নির্দিষ্ট সংকেতে বুঝি কৃতজ্ঞতার ভাষা। কিন্তু মানুষ সেতো বহুমুখী। কেউ আনন্দ-উল্লাস করে জানায় সে ভাষা। কেউ হেসে, কেউ কেঁদে, কেউ সরবে আবার কেউবা নীরবে। এই হলো মানুষ যার কৃতজ্ঞতার ভাষা নির্দিষ্ট সংকেতে বোঝা মুশকিল।

সচলের বর্ষপূর্তিতে অনেকেই জানিয়েছেন তাদের মনের কথা। আমি জানাতে চাচ্ছি কৃতজ্ঞতার কথা। করতে চাচ্ছি কিছু সমালোচনা। সত্যি কথা বলতে কি- ইন্টারনেটে লেখালিখি আমাকে দিয়েছে নতুন জীবন। যখন একটানা পাঁচ বছর না লিখে হারাতে বসেছিলাম লেখালিখির চ্যাপ্টার তখনই পেলাম নেটে লেখালিখির সন্ধান। প্রথমে শুরু করি ইন্টারনেট ফোরাম দিয়ে। আর এজন্য যার কাছে প্রথম কৃতজ্ঞ তিনি হলেন আমার এক প্রবাসী বান্ধবী- যার অনুপ্রেরণায় কবিতা লেখায় নতুন করে ফিরে এসেছি। নতুন করে সচল হয়েছে আমার লেখনীর হাত।

ফোরামগুলোতে বাংলা লেখা দিতে হতো ফোটো ইমেজ করে। সেটা ছিলো ২০০৫ সালের প্রথমদিকের কথা। সরাসরি তখনও নেটে বাংলা লিখা যেতো না। জেপিইজি ইমেজ করে কবিতা বা ছোটোগল্প পোস্ট দিতাম ফোরামগুলোতে। আর বাংলা কথার মন্তব্য আসতো ইংরেজি হরফে। এই ছিলো আমার বাংলাভাষাভাষী ফোরামে লেখার কাহিনী। এরকম একটি ফোরাম থেকেই খোঁজ পেলাম সামহোয়্যারইনব্লগের। কৃতজ্ঞ আমি সেই বন্ধুর কাছে যে আমাকে ঐ ব্লগের খোঁজ দিয়েছিলেন। এবার শুরু হলো আমার কাঙ্ক্ষিত ব্লগিং। বাংলা হরফে নিজের লেখা কবিতা, গল্প, ডায়েরী কথন পোস্ট শুরু করলাম ২০০৬ সালের মে মাসে।

বলছিলাম সেই ব্লগের কথা। সাহিত্যামোদী এক ঝাঁক বন্ধু জুটে গেলো। মন্তব্য পেতে থাকলাম। লেখায় উৎসাহ বাড়তে থাকলো। আমার কীবোর্ড থেকে ঝরতে থাকলো নতুন ছড়া, কবিতা, গল্প, ব্লগকথন। কিন্তু মাঝে মাঝে ব্লগের অস্থিরতা আমাকে পীড়া দিতো। যদিও আমি সেসবে জড়াতাম না নিজেকে- তবুও গালাগালির পরিবেশটা আমার কাছে অসহনীয় হয়ে উঠতো। এর অনেকে ব্লগ ছেড়ে চলে যেতে লাগলো। যদিও আমি সেই ব্লগ একেবারে ছাড়িনি তবে লেখালিখির জন্য ছিমছাম একটা ব্লগ মনে মনে আশা করছিলাম। ঠিক তখনই খোঁজ পেলাম সচলায়তনের। ব্লগে ঢুকে দেখা পেলাম নতুন-পুরাতন অনেক বন্ধুর- যারা সত্যিকারেই ভালো লেখেন। সচলায়তনের পরিচয় 'অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটি ফোরাম' নামটাও পছন্দ হলো।

কীভাবে যে সচলের এই তুখোড় লেখক ভার্চুয়াল বন্ধুদের কৃতজ্ঞতা জানাই বা সমালোচনা করি বুঝতে পারছি না। আসলে সে সাধ্য বা সামর্থ আমার কি আছে? তবে কবিমনের বিক্ষিপ্ত ভাবনা বা কল্পনায় যাকে নিয়ে যতোটুকু ভাবি ততোটুকুই লিখবো আজ। কেউ আবার এটাকে সত্যিকারের সার্থক সমালোচনা ভেবে নিয়ে মাইন্ড খাইয়েন না।

অরূপ: অন্য একটি ব্লগে লেখালিখির সুবাদে অরূপকে আমি একরোখা আর গোঁয়াড় মনে করতাম। তবে সাক্ষাৎ হবার পর সে ধারণা অনেকটা কেটে গেছে। আবার এও ভাবি- এই একরোখা, জেদী, গোঁয়াড় লোকেরাই হঠাৎ করে মহৎ কিছু করে ফেলেন। যেমন অরূপ করেছেন সচলায়তন। এজন্য তাকে অভিন্দন জানাই। কবিতাপ্রেমী বলে তার লেখায় খুব একটা মন্তব্য করি না। তবে বাবাকে নিয়ে তার একটা লেখা পড়ে চোখ মুছে ছিলাম।

হিমু: লেখালেখিতে যতোই বালিকাপ্রীতি থাকুক বা দেখাক তাকে সবসময় পরিপূর্ণ লেখকই মনে হয়। তার গদ্য অসাধারণ। যদিও তার রহস্য গল্পে আমার মন্তব্য নেই তবে মাঝে মাঝে কবিতার স্ফূরণ মনে দোলা দেয় অনেক। এই মানুষটার মধ্যে সত্যিকারের দেশপ্রেম ফুটে ওঠে যখন নববর্ষে তার কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত শুনি। প্রবাসী বাঙালিদের এই মনোভাবকে আমি সবসময় স্যালুট জানাই। আর সচলের আসল উদ্যোক্তা হিসেবে তাকে সবার আগে অভিনন্দন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ: ভীষণ কাজপাগল মানুষ মনে হয়েছে- যে নীরবে মহৎ কিছু করে যায়। আইটি জগতের অনেক বড়ো কিছু তার হাতে হবে আশা রাখছি। আর কাজের ফাঁকে তার সঙ্গীতপ্রেম মুগ্ধ করে। নিরিবিলি স্বভাবের এই মানুষটি আমার খুব পছন্দের।

মুহম্মদ জুবায়ের ও তীরন্দাজ: চিরতারুণ্যের এই দুটি মানুষের সাথে দেখা না হয়ে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। দেখা হলেই জিজ্ঞেস করতাম- এতো ভালো তারা কেমনে লেখেন? একবার বুকে বুক মেলালে হয়তো কিছুটা আমারও হতো। মুহম্মদ জুবায়ের-এর অসাধারণ গদ্যের পাশাপাশি সমালোচনা ভালো লাগে। আর তীরন্দাজ তো সব্যসাচী লেখক। তার লেখা অনুবাদ, গল্পের পাশাপাশি কবিতাও অসাধারণ।

সুমন চৌধুরী ও সবুজ বাঘ: দুজনই আমার প্রিয় কবি। সুমন চৌধুরীর কবিতায় নিজস্ব ঘরানা, অপ্রচলিত শব্দের সার্থক ব্যবহার ও নিজস্ব ছন্দ অসাধারণ। আর সবুজ বাঘ(আবু মুস্তাফিজ)-এর কথা কী বলবো? আঞ্চলিক ভাষার নিজস্ব রীতির কবিতা খুবই পছন্দের। নব্বই-এর শেষের ও শূন্য দশকের কবিদের নিজস্ব ভাষা নির্মাণের পূর্ণ বৈশিষ্ট এই দুজনের মধ্যে। সুমন চৌধুরীকে অনুরোধ করবো অপ্রচলিত শব্দের সার্থক ব্যবহারের পাশাপাশি কবিতার মূল সুর এবং গল্পের দিকে খেয়াল রাখতে।

হাসান মোরশেদ, আনোয়ার সাদাত শিমুল, নজমুল আলবাব ও নিঘাত তিথি: সচলায়তনের সবচেয়ে শক্তিশালী গদ্যলেখক। অল্প কথায় কিভাবে মনকাড়া গদ্য লেখা যায় এদের কাছে শেখা যায়। এদের মধ্যে আবার শিমুলের যে কোনো লেখার উপর পর্যবেণ ও সমালোচনা অতুলনীয়। হাসান মোরশেদের কবিতায় দেখা যাই দুঃখের আরেক নাম আবুল হাসানের। দৃঢ়মনের আড়ালে এতো দুঃখবোধ, মানুষের প্রতি মমত্ব কিভাবে পুষে রাখেন হাসান? নজমুল আলবাবের কবিতা দিয়ে পরিচিত হলেও সচলে গদ্য দিয়ে তাকে পরিপূর্ণভাবে চিনেছি। অসম্ভব ভালোলেখেন এই ক’জন লেখক।

ফকির ইলিয়াস, মাহবুব লীলেন ও মুজিব মেহদী: তুখোড় কবি। স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। কবিতার পাশাপাশি ফকির ইলিয়াসের প্রবন্ধ আর মাহবুব লীলেনের গদ্য অসাধারণ। ইদানিং মুজিব মেহদীর কবিতার পোস্ট কম পাচ্ছি। তবে তার অনুদিত জেনগল্প পাঠে বেশ আনন্দ দিচ্ছে। এদের মধ্যে মাহবুব লীলেনকে আমার মনে হয় সবচেয়ে স্পিডি। একটানা গদ্য, পদ্য লেখায় তার তুলনা নেই।

ধুসর গোধুলি ও অছ্যুৎ বলাই: দুজনই আমার প্রিয় ব্লগার। বেশ ভালো গদ্য লেখেন এরা। সচলকে সচল রাখতে ধুসর গোধুলির তুলনা নাই। মাঝে মাঝে লেখায় তার কষ্টটাও টের পাই মনে। ধুসর গোধুলি না থাকলে সচল আমার কাছে অচল মনে হয়। অছ্যুৎ বলাইয়ের লেখা আগের মতো পাই না বলে আফসোস লাগে। সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী সেই 'চোর' যে কোথায় হারিয়ে গেলো মানতে পারছি না।

বিবাগিনী ও সুলতানা পারভীন শিমুল: তুখোড় গদ্যলেখক। এদের গদ্য সবসয়ই আমাকে টানে। ইদানিং বিবাগিনীর লেখা পাচ্ছি না বলে খারাপ লাগে।

কনফুসিয়াস ও সংসারে এক সন্ন্যাসী: অসাধারণ গদ্য লেখক। কনফুসিয়াসের কবিতা ও সংসারে এক সন্ন্যাসীর ছড়াও অসম্ভব ভালো।

ফারুক ওয়াসিফ ও বিপ্লব রহমান: দুজনই খুব ভালো লেখেন। সাংবাদিকদের মধ্যে ফারুক ওয়াসিফকে আমার অসাধারণ মনে হয়। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তার হাতে সাহিত্যের মহৎ কোনো কীর্তিও উঠে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। আর বিপ্লব রহমানের লাশকাটা ঘর এখনও মনে দাগ কাটে।

শমিত, শ্যাজা, অভিজিৎ, জ্বিনের বাদশা, আরিফ জেবতিক, আহমেদুর রশীদ, অমিত আহমেদ, মাশা, শাহীন হাসান, মৃন্ময় আহমেদ, থার্ড আই, দ্রোহী. প্রকৃতি প্রেমিক, ধ্রুব হাসান, ইশতিয়াক রউফ, মুশফিকা মুমু, সৈয়দ আকতারুজ্জামান, মৃদুল আহমেদ, আকতার আহমেদ, সবজান্তা, খেকশিয়াল, রায়হান আবীর, জুলিয়ান সিদ্দিকী সহ অনেকের নামই মনে আসছে। লিখারও ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু শর্করা অসহিষ্ণুতার কারণে কীবোর্ডে বেশিক্ষণ থাকা আমার শরীর পারমিট করছে না বলে ক্ষমা চাচ্ছি। আর ইচ্ছে করেই বিখ্যাত সচল লুৎফর রহমান রিটন ও মাসুদা ভাট্টিকে এ আলোচনায় আনিনি। তাঁদের কথা বলার সাহস আমার কি আছে?

ভালো থাকুন, সবাই সুস্থ থাকুন। সচলায়তনে লেখালিখি দীর্ঘজীবি হোক।

০৫.০৭.২০০৮


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

শেখ জলিল

গান পোস্ট করেন কিন্তু সেগুলো শোনা যায় না

০২
কাহিনী শুরু করেন কিন্তু শেষ হয় না (লর্জি বাড়ি ও অন্যান্য)

০৩
কিছু মানুষকে আমার দেখলে মনে হয় তাদেরকে এসি কিংবা ফ্রিজের বিজ্ঞাপন হিসেবে কাজে লাগানো যাবে
এরকম ঠাণ্ডা আর স্থির আর নির্দিষ্ট
শেখ জলিল বোধহয় তাদের মধ্যে একজন

শীতলতম লেখক

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

সব কথা বলা হলো, বাকী রয়ে গেলো শুধু বলিতে-

শেখ জলিল:অসাধারণ কবিতা আর গান দিয়ে সচলায়তনকে সাজিয়ে রাখেন সবসময়।মন ভালো করা সব কমেন্ট করেন।গল্পতেও কম যান না।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

তীরন্দাজ এর ছবি

মাহবুব লীলেনের মতো শেখ জলিলকে আমার এতোটা ঠান্ডা বা শীতল মনে হয়না। তাহলে ওনি এতো ভাল ভাল ও বিভিন্নমুখী কবিতাই লিখতে পারতেন না।

ওনি বেশ চুপচাপ বটে, নিজেকে শান্ত রেখে আত্মার ভেতরের উষ্ণ ভালবাসাকে কাব্যের ভাষায় প্রকাশ করায় তিনি সিদ্ধহস্ত।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মুশফিকা মুমু এর ছবি

শেখ জলিল ভাই:

অসাধারণ কবিতা আর গান দিয়ে সচলায়তনকে সাজিয়ে রাখেন সবসময়।মন ভালো করা সব কমেন্ট করেন।গল্পতেও কম যান না।

আমিও একমত হাসি হাসি হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

হিমু এর ছবি

জলিল ভাই, লজ্জায় ফেললেন শুধুশুধু। বালিকাপ্রীতিটাই আসল, লেখালেখি সব ঘাসের বীজ, এই আছে এই নাই :)।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ওরে খাইছে জলিল ভাই! পুরা বাইঠা হইয়া গেলাম।



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কাকু,
চমৎকার সমালোচনার পোস্ট। হাসি
সচলে চোরের অনুপস্থিতি ইচ্ছাকৃত। অছ্যুৎ বলাই হিসেবে একটা মোটামুটি নিরীহ নির্বিবাদী ভালো মানুষের চরিত্র সৃষ্টি করতে চেয়েছি। মন্তব্যের সংখ্যা কমেছে অবশ্যই, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সচল প্রকাশিত সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীদের লিস্টে তলার দিকে হলেও অছ্যুৎ বলাইয়ের না থাকাটা সচলের কারচুপির কারণেই হয়েছে। হাসি

লেখক হিসেবে আমি নিজে দুধভাত পর্যায়ের। সুতরাং লেখার সংখ্যা তো একটু কমবেই। আর ব্লগের বাইরের জীবনটাকে অনেক বেশি সময় দিতে হয়।

প্রথম দিকে আপনাকে শুধু কবি ভাবতাম। এরপরে চমৎকার কিছু গদ্য লিখে সে ভাবনার সাথে যোগ করেছেন সব্যসাচী লেখকের উপস্থিতি। এর বাইরে আপনার ব্যাকরণ নিয়ে পোস্ট ও মন্তব্যগুলোতে আমি দারুণ ইম্প্রেসড। অনেক ভালো গদ্য লেখকই ব্যাকরণ জানে না, কেউ কেউ আবার ব্যাকরণ মানি না বলে ভাব নিতে চায়, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই না জানাপ্রসূত। আমি নিজে পারফেকশনিস্ট। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার জ্ঞানও একেবারেই সীমিত। নিজে পছন্দ করি, কিন্তু পারি না - এরকম একটি গুণ হিসেবে আপনার এই যোগ্যতাটার আমি বড় ফ্যান।

ভালো থাকবেন। আপনার লেখনীতে সচল আরো সমৃদ্ধ হোক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো আলোচনা... আপনার সাথে অনেকাংশেই একমত... এঁরা আমারও প্রিয় ব্লগার। সবুজ বাঘের নাম ফাঁস করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এই ব্যক্তির প্রতি আগ্রহ ছিলো... মিটলো কিছুটা।
চোরও ধরা পড়লো...
ভালো লাগলো পোস্ট...
আপনার কবিতায় অনেক সময়ই ব্যস্ততায় কমেন্ট করা হয় না। দৌড়ের উপরে কবিতাও পড়া হয় না অনেক সময়... অবুঝ হওয়ার সুবাদে কবিতায় একটু বেশি সময় আর মনোযোগ লাগে আমার। কি আর করা...
গান কবে আসতেছে? জানায়েন। ভালো থাইকেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শেখ জলিল এর ছবি

আরে কী কাণ্ড! শুদ্ধস্বরে এতো আড্ডা, লেখায় আপনার নাম পর্যন্ত আসে নাই!! এইজন্যই বোধ হয় 'শীতলতম কবি' নাম দিয়েছেন মাহবুব লীলেন।
ধন্যবাদ নজরুল ইসলাম। গান বাজারে এলে অবশ্যই জানাবো।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

অভিনন্দন শব্দশিল্পী!
সচল হওয়ার পর কিছুদিন পরপর লম্বা বিরতি। হয়তো বা কিছু সপ্তাহও। যেমন স্পর্শ লাপাত্তা।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

শেখ জলিল লিখেছেন:
এস এম মাহবুব মুর্শেদ: ভীষণ কাজপাগল মানুষ মনে হয়েছে- যে নীরবে মহৎ কিছু করে যায়। আইটি জগতের অনেক বড়ো কিছু তার হাতে হবে আশা রাখছি। আর কাজের ফাঁকে তার সঙ্গীতপ্রেম মুগ্ধ করে। নিরিবিলি স্বভাবের এই মানুষটি আমার খুব পছন্দের।

ওরে খাইছে! হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হাসান মোরশেদ এর ছবি

নচিকেতার একটা গানে আছে-'একদিন ঝড় থেমে যাবে,পৃথিবী আবার শান্ত হবে'

কিছুকিছু মানুষকে দেখলে মনে হয় এই মানুষটা এই অস্থির সময়ে কেনো? এর তো ঝড় থেমে যাবার পরের সৌম্য সময়ে আসার কথা ।

কবি শেখ জলিলের সাথে পরিচিতির পর আমার তাই মনে হয়েছিল ।

-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নিঝুম এর ছবি

এই লেখাটি লিখতে আপনাকে কি রকম পরিশ্রম করতে হয়েছে , তা-ই ভাবছি... অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

মাহবুবুল হক এর ছবি

কিন্তু শর্করা অসহিষ্ণুতার কারণে কীবোর্ডে বেশিক্ষণ থাকা আমার শরীর পারমিট করছে না বলে ক্ষমা চাচ্ছি।

এমন একটা লেখা আপনি শর্করার চাপ নিয়ে শুরু করলেন কেন?
আসলে সচলায়তনে সচল না হলে বুঝতাম না এত ভাল ভাল লেখক , কবি, আলোচক, প্রতিভাবান, সৃষ্টিশীল বাঙালি কাজ করে যাচ্ছে। আপনি যাদের কথা লিখেছেন তারা প্রত্যেকেই এত ভাল লিখে, এত গভীর তাদের পড়াশোনা আর বিশ্লেষণী ক্ষমতা যে মাঝে মাঝে নিজের অজ্ঞতা আর কূপমণ্ডুকতার জন্য নিজকে ধিক্কার দেই।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

শেখ জলিল এর ছবি

অসম্পূর্ণ এ লেখাটিতে এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের জন্য আমি আবারও কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ সবাইকে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

এই লেখায় যে আমার নাম ধরেও টানাটানি হয়েছে, এইমাত্র জানলাম। লজ্জিত ও কিঞ্চিৎ বিব্রত বোধ করা ছাড়া কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। লইজ্জা লাগে ইয়ে, মানে...

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

শেখ জলিল এর ছবি

জুবায়ের ভাই, লজ্জিত হবার কী আছে?
লোকে যা বলে তার তো কিছুটা ঠিক। আমি কি খুব বেশি বলেছি?
আসলেই আপনি অসাধারণ গদ্য লেখেন।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।