শকুনের বদদোয়া এবং কিছু মৃত গরু

তারপর ও কি বৃষ্টির উপর বিরক্ত হননি?
আমি তো ভাই কাজে বাইরে যাওয়ার সময় বৃষ্টি একদম পছন্দ করি না।
আমার পছন্দ রাত ভর বৃষ্টি, আর ঝলমলে সকাল।
কিন্তু বৃষ্টি তো আমার পছন্দ মত আসে না।

লেখার এক্সপেরিমেন্ট ভাল্লাগল (যদি বুঝতে ভুল না হয়ে থাকে)

ভালোই এক অ্যাডভেঞ্চারাস দিন কাটালেন তাহলে! ব্যাগে করে একটা এক্সট্রা শাড়ি নিয়ে গেলেই তো পারতেন। স্কুলে গিয়ে চেঞ্জ করে ফেলতেন

ঢাকাতেও তো একটু আগেই বৃষ্টি হয়ে গেল। বেশ ভালোমতোই। অনেক রাস্তাই ডুবসে। আপনি তো দেখা যায় শকুন বাহিনীর সর্দার। বগুড়া বসেই ঢাকায় বৃষ্টি নামায়া ফেললেন!

নেন, আবার একটা গান, আপনার জন্য:

মাতবার সাহেবান কেমন আছেন ? শরীলডা ভালা ? তোমার তো বৃষ্টি এতো পছন্দ এইবার ঠ্যালা সামলাও ! এইসব কারণেই বৃষ্টি আমি দুই চোখে দেখতে পারিনা। বিশাল হল্লা করে কাজকাম করা লাগে। চরম বিরক্তিকর ব্যাপার-স্যাপার।
--------------------------------------------------------

পরিষ্কার দেখতে পেলাম সব ....

আমার লেখা তো প্রতি সপ্তায় বের হচ্ছে ম্যাম... একদম রুটিন করে ঠিক ৩ ঘন্টা ধরে ! এইতো সেদিন ই লিখলাম কায়কোবাদ স্যারের জন্য ! সব শিক্ষকরা এমন করে ধরেছেন যে না লিখে পারছিনা ৷ আর ওনাদের এতো হিংসা (!) নিজেরা ছাড়া আর কাউকে পড়তে দিবেন না !

তো কি আর করা, আপাতত ওনাদেরকে ঠান্ডা করি ...

আর আপনি এমন ঘন ঘন লিখুনতো ...

------------------------------------------
যাহা চাই যেন জয় করে পাই ... গ্রহণ না করি দান ...

কেন জানিনা আপু এরপরেও আমার বৃষ্টি ভালোলাগে...

---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...

মাতব্বন্নির পাটে ভালাই করবেন আফামনি। তয় বৃষ্টিরে একটু ভালবাসিয়েন।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

এক জায়গায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলে তো পোলাপান নকল করার সুযোগ পাবে ।

খুব খুশী হলাম আপনার বৃষ্টিতে নাকাল হবার গল্প শুনে৷
-------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

ধুরো... বৃষ্টিরে পচাইসে...মাইনাস ! মাইনাস !!

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

আপনার লেখায় 'সেন্স অফ হিউমারের' ব্যাপারটা ভালো লাগে।
চমৎকার লেখার হাত।

মাতবর না হয়ে খালেদা জিয়া হইতে পারেন, দেশ নেত্রী হবার ভাব অন্যরকম

- ঢাকায় ধুমায়া বৃষ্টির কথা শুনলেই আমার ঝট করে একদিনের ঘটনা মনে পড়ে যায়। শেরে বাংলানগর, রোকেয়া স্মরণীতে ঘটনাটা। তুমুল বৃষ্টির মধ্যে আমরা কয়েকজন টং দোকানের চা গিলছিলাম। হঠাৎ একজনের মনে খেয়াল চাপলো, চা খেতে হয় ঝুম বৃষ্টিতে রাজপথের মাঝে আসন পেতে বসে, তাইলে গরম গরম চা'য়ের আসল তৃপ্তি! ব্যস, হয়ে গেলো। ঝপাঝপ করে চার-পাঁচটা দামরা পোলা হাতে চায়ের কাপ নিয়ে নেমে গেলো রাস্তায়। মাঝে গোল হয়ে বসে চা খেলো বেহেশতি তৃপ্তি নিয়ে। তারপর একটা ভ্যান ভাড়া করে তাতে পা ঝুলিয়ে গাইতে গাইতে (পড়ুন চিল্লাতে চিল্লাতে) ফার্মগেটের দিকে এলো। ভ্যান চালের এতোগুলা দামরাকে বয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিলো দেখে পালা করে একজন একজন করে 'হেইও হেইও' বলে ভ্যান ঠেলছিলো...।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আবু হাসান শাহরিয়ারের একটা কবিতার লাইন মনে পড়ে গেলো-

গতকাল সপরিবারে আমাকে ভিজতে হয়েছিল । পুত্রধন অবশ্য হাটু পানিতে হাটা বেশ এনজই করেছে ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

পর পর লেখা দেখে বিস্মিত, আনন্দিত ও বটে।

আমাদের শকুন বলায় তীব্র দিক্কার!

.......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

বৃষ্টির অভিজ্ঞতা নজু ভায়ের সেদিন সেইরকম হইছে। সারারাত নৌকার ছাদে জিন্স প্যান্ট পইরা বৃষ্টির মধ্যে ঘুমাইছে, জিন্স না পড়লে নাকি বৃষ্টির মজা টের পাওয়া যায় না (অবশ্য উনি নর্মাল ছিলেন)।

হে হে হে আমাগো কষ্টটা এইবার একটু টের পাইসেন আপামনি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

বৃষ্টি আমাদের অনেক বিরক্তি ঘটায়। তারপরও আমরা বৃষ্টিকে ভালোবাসি, বৃষ্টিকে চাই। প্রচন্ড গরমে বৃষ্টি আমাদের শান্তির পরশ বুলায়।

না, আমি কিন্তু বদদোয়া দিইনাই একদম!

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

শকুনডা কিডা আর গরুগুলান কারা? ঝানতে ছাই !

আপনার বৃষ্টি কাহিনী পড়ে ভাল লাগলো...
বর্ষার লেখা পড়লাম এই শরতে...
তারপরও বেশ ভাল...
ধন্যবাদ অপনাকে।

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন