মন্তব্য-পোস্ট: বেহুদা ধর্মবাজদের ঠেকানোর তরিকা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ১২/১২/২০০৭ - ৮:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাত পাকড়ানোর পর কী করণিয়

(কনফুসিয়াস একটা মানসিক নিপীড়নমূলক কাহিনী বলেছেন তার পরবাসে তাবলীগের বশে পোস্টে। তাবলীগের হাত থেকে তার রক্ষা মিলছে না সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েও। সে কাহিনী ও অন্যান্যদের মন্তব্য পড়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এই পোস্টের জন্ম। আরো অনেক অনেক কথা ও উদাহরণ যোগ করা যেত কিন্তু আসলে পোস্ট হিসেবে হয়তো এই লেখা কখনই লেখা হতো না। তবে প্রশ্ন করলে হয়তো মন্তব্যে আরো কিছু যোগ করা যাবে।)

তাবলীগিদের খপ্পরে পড়ে নাই এমন বাঙালি বিরল। আমাকেও এই আপাত: নিরীহ চেহারার (বাস্তবে এককালের ঘুষখোর/দুর্নীতিপরায়ণ সরকারী চাকুরিজীবি/ইঞ্জিনিয়ার/ব্যবসায়ী বর্তমানে লম্বা দাড়ির) মুসলিম বাহিনীর খপ্পরে পড়তে হয়েছে।
তবে তাদেরকে থামানোর জন্য একটা কায়দা আমার জানা ছিলো। যাকে বলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা পদ্ধতি। বাসায় একটা রেফারেন্স বই ছিলো তাবলীগের বিরুদ্ধে। তাবলীগের বাহিনী বাসায় আসলে, সেই বই খুলে বইয়ে দেয়া প্রশ্ন তালিকা থেকে প্রশ্ন করতাম (জানার ইচ্ছায় ছাত্রের ভঙ্গিতে); ইসলামের স্তম্ভ পাঁচটা এবং তবে তাবলীগের কেন ছয়টা স্তম্ভ। (তাও আবার হজ্জ্ব ও জাকাত বাদ দিয়া নতুন তিনটা যোগ করা হয়েছে)। বলা ভালো এটা একটা মারাত্মক প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উদ্দেশ্য হলো এটা প্রমাণ করা যে তাদেরটা ইসলাম না।

তাদের একটা উত্তর ছিলো সহজ-সরল পথে ইসলামের প্রচার হচ্ছে তাবলীগ।
তারপরই কঠিন প্রশ্নটা করতাম, আল্লাহ তার নবীকে সহজ পথে ইসলাম প্রচার শিখালেন না, শিখালেন আপনাদের ইমামকে। তিনি কি ওহি পাওয়া নবী-টবি নাকি? নাহলে তিনি কিভাবে আল্লাহর নবীর চেয়ে উত্তম পথের সন্ধান পেলেন?
সত্যি করে বলেন আপনাদেরটা কোন ইসলাম? সুন্নী মুসলিম ওলামারা তো বলেন ব্রিটিশ-আমেরিকানরা নাকি টাকা দিছে আপনাদের তাবলীগ বানাতে। আপনাদের ইমাম যখন তাবলীগ চালু করেন তখন যারা আসতো তাদেরকে টাকা দিতেন - এর কারণ কী?
সুন্নী মুসলিম তরিকার সাথে আপনাদের পার্থক্য কী? - প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্ন চলতে থাকতো।
তারপর গম্ভীর কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করতাম, 'কোন মসজিদে উঠছেন'।
তারা ভয় পাইতো। কথা না বাড়ায়া কাট দিতো।

ময়লা করে তারপর সাফ করার চেষ্টাময়লা করে তারপর সাফ করার চেষ্টা

লন্ডনেও একদিন পাইলাম অন্যরকম একটা গ্রুপ। এরা তাবলীগ না। বাংলাদেশের ছাত্র। আসছে নতুন মসজিদ বানানোর জন্য চাঁদা নিতে। দেখেই বুঝলাম, জামাত-শিবির সমর্থক, নতুন প্রতিষ্ঠান বানাতে চাচ্ছে। প্রথমে জিজ্ঞাসা করলাম আপনাদের প্রতিষ্ঠান কি চাঁদা তোলার জন্য রেজিস্ট্রি করছেন। আপনাদের এ্যাকাউন্ট অডিট করবে কে ? তারপর জিজ্ঞাসা করলাম আমার এলাকায় ৫০০ গজের মধ্যে তিনটা মসজিদ আছে। এইসব মসজিদের ইসলামের সাথে আপনাদের ইসলামের পার্থক্য কী?
এইসব প্রশ্নের মুখে পড়ে কোনোরকমে হু-হা করে দৌড় লাগালো ওরা।

আরেকদিন দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে দরজা খুলে দেখি এক বয়স্ক কালো মহিলার সাথে আরো বেশি বয়সের এক শ্বেতাঙ্গ ভদ্রলোক। তবে মহিলাই এখানে লিডার। জিহোবা'স উইটনেস - থেকে এসেছে। মহিলা-ই কথা বলছিলো...। তখন রমজান। মহিলা বিনীতভাবে প্রশ্ন করলো রোজার কয়দিন বাকী। তারপর বললো ইসা তো সবার নবী। কোরানেও তার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং আসো একদিন চার্চে আমরা জিহোবার দেখানো পথ নিয়া কথা বলি।
ব্যস, তার লাইন বুঝে গেলাম। বল্লাম, তুমি তো অনেক জ্ঞানী, কোরানে কি লেখা আছে সেটা মুসলিম না হয়েও খবর রাখো। তা এতো যখন খবর রাখো আমি তোমাকে আরেকটা সুসংবাদ দেই যে, কোরানে ঈশ্বর এই কথা বলে দিয়েছেন যে, ইসলাম আসার পর আগে যত নবী/ধর্মগ্রন্থ এসেছে তাদের প্রচারিত ধর্ম অকার্যকর হয়ে গেছে। সুতরাং জিহোবা'স উইটনেস নিয়ে মাথা ঘামানোর আর দরকার নাই। তুমি কোনো মসজিদে গিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো আর বিনামূল্যে একটা কোরান ঘরে নিয়া অধ্যয়ন করো। তাহলেই ঈশ্বর সর্বশেষ কি বলছেন তা জানতে পারবে।

সাথে থাকা সাদা ভদ্রলোক এতক্ষণ আমার কথা শুনে মুচকি হাসছিলো। তার প্রবল আস্থা ছিলো সেই কালো ভদ্রমহিলা তার যুক্তি দিয়ে আমাকে ঘায়েল করবে। কিন্তু আমি যখন এই অস্ত্র ছাড়লাম সে ভয় পেলো। মহিলা আমতা আমতা করে বললো, এইটা তোমার মত। আমি বল্লাম, কোরান যে ঈশ্বরের গ্রন্থ এটা তুমি বিশ্বাস করো তো। তাহলে আমি কি কোরানের আয়াতগুলো তোমাকে দেখাবো যে কেন আগের গ্রন্থগুলো বিকৃত বলে তোমার শেষ গ্রন্থেই আস্থা আনা উচিত।
তাছাড়া এটা তো সাধারণ যুক্তি যে সর্বশেষ এডিশনটাই শেষ কথা। এটা জেনেও কি তুমি আগের এডিশন নিয়ে বসে থাকবে।

ভদ্রমহিলা গাঁইগুঁই করতে করতে বিদায় হলো। সে প্রায় ছয় মাস হবে। আর তাদেরকে এদিকে দেখি না।


মন্তব্য

নজমুল আলবাব এর ছবি

শোহেইল ভাইএর প্রসেসটা আব্বার সাথে পুরা মিলে গেল। পার্থ্যক্য একটাই। আপনি বই দেখে এটাক করতেন আর আব্বা মুখস্ত। বয়েসকালে হয়ত তিনিও বই দেখেই করতেন। আর একসময় বই পড়তে পড়তে মুখস্ত হয়ে গেছে যেটা আমরা দেখেছি।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বইয়ের সাহায্য নেয়া ছাড়া তখন উপায় ছিল না।
আমার মতো চ্যাংড়া পোলার আপত্তিতে তারা পাত্তা দেবে না। তাই তাবলীগ বিরোধী ওলামাদের বইটা রাখতাম।
অন্যদিকে তাবলীগ যারা করে তারা আবার এই ছয় স্তম্ভের নামও শুনেনি। সুতরাং তাদের একখানা কিতাবও রাখতে হতো।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

দিগন্ত এর ছবি

দারুন পড়লাম। মাথায় রাখার চেষ্টা করব মূলনীতিগুলো। ধন্যবাদ শোহেইল্ভাইকে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বইয়ের নামটা দিলে আরোও কিছু লোকের উপকার হয়!! হাসি

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বইয়ের বাক্স তো চট্টগ্রাম। আর আমি বিলাতে।
ঘটনাও কমপক্ষে ৮/৯ বছর আগের। বইগুলোর নাম মনে নাই। তবে কিভাবে বইগুলো আমার হাতে এসেছিলো তার ইতিহাস মনে আছে।
নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দেখলাম সেখানকার মসজিদে তাবলিগ জামাতের লোকজনদের থাকতে দেয়া হয় না। বিষয় কী? ওখানকার সমবয়সী কয়েকজন ইসলামমনস্ক তরুণকে প্রশ্ন করার পর তারা বেশ কিছু বই ধরিয়ে দিলো। তাতে দেখলাম ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের ওলামারা শুরুতে তাবলিগের বিরুদ্ধে কি ফতোয়া দিয়েছিলেন।
একটা বইয়ের নাম বোধহয় ছিলো কেন তাবলিগ জামাতের ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়-- এরকম নামের।
তাছাড়া তাবলিগের মূলনীতি বা স্তম্ভগুলো নামে বইও আছে তাবলিগ জামায়াতের।

তাবলিগ অপছন্দ করে এরকম কোনো মাওলানাকে জিজ্ঞেস করলেই পেয়ে যাবেন গোটা ছয়েক বই।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অমিত আহমেদ এর ছবি
তানভীর এর ছবি

তাবলীগের কোরান শরীফ থুক্কু মূল গ্রন্থের নাম 'ফাযায়েলে আমল'। প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পরে কোরান তেলাওয়াত হোক না হোক 'ফাযায়েল আমল' নিয়া 'হালাকা' বা ছোট-খাট একটা ওয়াজ হবেই। তাবলীগ থেইকা আমিও নিস্তার পাই নাই, এমনকি বিদেশেও। তবে দেশে আমার এক দোস্ত সবসময় বাঁইচা যাইত। আহসানউল্লাহ হলে তাব্লীগের রেইড শুরু হইলে সে তাড়াতাড়ি প্যান্ট খুইলা জাইঙ্গা টাইপ শর্টস পইড়া বারান্দায় হাঁটাহাঁটি শুরু কইরা দিত। দূর থেইকা দেইখা তাবলীগ বাহিনী আর ওইমুখো আসত না। দেঁতো হাসি

========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ এই ফাযায়েলে আমল নামটার জন্য।
আপনার দোস্তের তরিকার জন্যও ধন্যবাদ।

তাবলিগের হুজুররা একটু শরমিন্দা গোছের।
'শর্টস তরিকাই' তাদের জন্য যথেষ্ট মনে হচ্ছে।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

দ্রোহী এর ছবি

বিঃদ্রঃ - ইহা একটি অশ্লীল প্রকৃয়া, কিন্তু তাবলীগ তাড়াতে মারাত্বক কার্যক্ষম। ঠিক যেন হিমুর ইসুবগুলের ভুষি!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠী রাজীব ছিল এক আজিব চিজ! তার উচ্চতা ছিল ৬ ফুট আর ওজন সর্বসাকুল্যে (৩০ গ্রাম টি-শার্ট, ১/২ কেজি জিন্স প্যান্ট ও ২ কেজি জুতা সহকারে) ৪০ কেজির মত। ১৯৯৭ - ২০০৫ যারাই ফজলুল হক হলে মুল ভবনে বসবাস করেছে, তাদের সবারই রাজীবের কার্যক্রম সম্পর্কে কিঞ্চিত ধারণা রয়েছে।

তাবলীগী হুজুরদের জ্বালাতন করাটাকে রাজীব খুবই গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেছিল। প্রায় দিনই বিকালবেলায় হলবাসী হুজুরদের একটা বিশাল দল রুমে রুমে ঘুরে মুসুল্লী সংগ্রহ করতো।

যখনই রাজীব টের পেত হুজুরেরা তার রুমের দিকে আসছে। কালবিলম্ব না করে রাজীব তার সেই চরম বিভীষিকা নিয়ে হাজির হয়ে যেত। রাজীবের জ্বালাতনে হুজুররা ফজলুল হক হলের তিন তলার মাঝের ব্লক থেকে মুসুল্লী সংগ্রহ করতে উৎসাহবোধ করতো না।

হুজুরদের আওয়াজ পাওয়া মাত্রই রাজীব তার প্যান্টের জিপার খুলে সেই ফাঁক দিয়ে অন্ডকোষ দুটো বের করে দিয়ে নিস্পৃহভাবে ঘুরাফিরা করতো !‍!!


কি মাঝি? ডরাইলা?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

'অন্ডকোষ এগজিবিশন তরিকা' তাহলে বেশ কার্যকর।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অয়ন এর ছবি

যেকোন ঝামেলা থিকা বাচার সবচেয়ে অশ্লীল, অসভ্য এবং কার্যকরী প্রক্রিয়াটা দ্রুহি ভাইয়ের থেইকা পাওয়া যায় হো হো হো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সেইরমের কিছু তরিকা হস্তগত হৈলো তবে। নেক্সট টাইম ঐরকম কেউ উপগত হওয়ার কৌশিশ করলেই ইস্তেমাল করোন যাইবো।
বহুত ফায়দাঅলা এই পোস্টের লাইগা বিগ সি রে একখান (বেড়াল) এবং জাঝা।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাবলীগের ষষ্ঠ স্তম্ভটি কী? জানতাম না যে তাবলীগের ৬টি স্তম্ভ !

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এসব কি আর এখন মনে আছে।
ওদের ফাযায়েলে আমল চেয়ে নিন। ওখানেই লেখা আছে।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

তাবলিগী তৎপরতামুক্ত এলাকায় আছি বলেই মনে হচ্ছে। তবু তরিকা শেয়ার করার জন্য শোহেইল মতাহির চৌধুরীকে ধন্যবাদ। কবে কাজে লেগে যায়, কে জানে!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

শামীম এর ছবি

জাঝা
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বহুত দিন পর।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমার এদের লাইন দেখলেই হাসি পাইত ,,, একবার একদল আইসা আমাগোরে বুঝানো শুরু করল, তো আমি কতক্ষণ পর আর হাসি চাপতে পারলামনা ,,, তারপর দেখি বেচারারা বিমর্ষমুখে ফিরে যাচ্ছে মন খারাপ
তবে বাংলাদেশে তাবলীগওলারা একটা ভাল কাজ করতেছে ,,, আপনার আমার অগোচরে ,,, মসজিদে যাওয়া পোলাপাইনের একটা বিরাট অংশরে এরা জামাত-শিবিরীয় ব্রেইন-ওয়াশের হাত থেকা বাঁচাইতাছে ,,, এবং উইদাউট এনি পলিটিকাল মোটিভ

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

তাবলীগের এই পলিটিক্যাল মোটিভ না থাকার পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিটাই নাকি অনুদানে প্রাপ্ত। কিন্তু তাবলীগের একটা বিরাট জনগোষ্ঠী আছে। একে অন্যরা ব্যবহার করার চেষ্টা যদিও অতীতে ব্যর্থ হয়েছে তবু একটা আশংকা থাকেই। শিবির-জামাত এদের সাথে একটা আঁতাতের চেষ্টা করেছিলো - কিন্তু তাবলীগ জামাত খুব একটা সায় দেয় নাই।
তবে জ্বিনের বাদশা অনেকদিন পর! শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

এদের ঠেকানোর জন্যে আমার পদ্ধতিটি অতি সরল: সময় নেই বলে মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া। এবং শুধুমাত্র এই দাড়ি-টুপি সম্প্রদায়ের জন্যেই এই রূঢ়তার অফুরান বরাদ্দ রাখা আছে।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।