বন্দুকটা নিজের কাছেই রাখবেন

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: সোম, ০৩/০৯/২০০৭ - ১১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বন্দুক ও ঝান্ডা

শফিক রেহমানকে বিশ্বাস করে যদি ঠকেন তবে যাযাদি'র চাকুরিজীবি সাংবাদিকরাও শান্ত্বনা দিতে আসবে না। তার চেয়ে মাও-কেই চেয়ারম্যান মানা ভালো। মাও বলেছিলেন, বন্দুকের নলই ক্ষমতার উত্স। শফিক রেহমান,সমাজচিন্তার চেয়ে প্রেমলীলার বিষয়ে বেশি আগ্রহী, রসিক মন্তব্য করেছিলেন; চামড়ার নলই সকল ক্ষমতার উত্স।

এরশাদ সরকার তখন ক্ষমতায়। শফিক রেহমানের তত্ত্বটা এরশাদের কেচ্ছা-কাহিনী শুনে বানিয়েছিলেন কিনা নিশ্চিত হওয়ার উপায় নাই। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে এরশাদ ভীষণ খাপ্পা ছিলেন শফিক রেহমানের ওপর। সুতরাং যায় যায় দিন আটকে গেলো এবং শফিক রেহমানকে দেশত্যাগ করতে হলো এরশাদের ক্ষমতার চোটে।

চামড়া, মাংস কোনো ধরনের কোনো নলের ক্ষমতাই শফিক রেহমানকে দেশে রাখতে পারেনি। এরশাদের বন্দুকের ক্ষমতাই বড় হলো। কোন্ ধরনের নলের ক্ষমতা বেশি শফিক রেহমান তখন নিশ্চয়ই চামড়ায় চামড়ায় টের পেয়েছিলেন।

তবে দুই নৌকায় পা দেয়ার মত, বন্দুকের নলটা নিজের কাছে থাকলে চামড়ার নলটাও হয়তো বাড়তি শক্তি দেখাতে পারে। আমার এই সর্বশেষ অনুমান কতটা সত্যের কাছাকাছি তা নিশ্চিত করতে হলে শফিক রেহমান আর এরশাদকে মুখোমুখি বসাতে হবে। বিকল্প তথ্য পাওয়া যেতে পারে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট পার্কে ফ্ল্যাটে ওঠা বিদিশার কাছ থেকে।

বন্দুকের নল নিয়ে আরেকজন ক্ষমতায় এসেছিলেন বাংলাদেশে। প্রেসিডেন্ট জিয়া। তারপর তিনি বিভিন্ন ভাষণে বলতে লাগলেন, বন্দুকের নল নয়, জনগণই সকল ক্ষমতার উত্স। প্রেসিডেন্ট জিয়ার নামে এই বাণী লিখে দেশের দেয়াল পূর্ণ করে ফেললো জাগদল, পরে বিএনপি। তারপর নির্বাচন হয়ে গেলে সংসদে ঢুকে সংবিধানের পাতা উল্টে সবাই জানতে পারলো এ জিয়ার কথা নয়, এ হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধানের ক্থা; "জনগণই সকল ক্ষমতার উত্স"।

দেশে এখন জরুরি অবস্থা। সংবিধানের ওপর আস্থা রাখলে অবস্থা মোটেও আস্ত থাকবে না। সস্তা দুর্নীতির মামলায় (ধরা যাক আধখানা বিয়ারের ক্যান)জেলের রাস্তা দেখায়া দেবে বন্দুকধারীরা। দুর্গতির শুরু হবে মাত্র। মা -দুর্গাও এবার একহাতে বন্দুক নিয়া সাঁজোয়া যানে করেই আসবেন, অনুমান করছি। সুতরাং মাওয়ের দাওয়া মাথায় রাখেন আর এই সত্য সবার উপরে জানবেন যে, বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উত্স।

আমি আশা করবো আপনারা সেই নিহত ব্যাংক ম্যানেজারের অভিজ্ঞতা থেকে শিখবেন। বাংলাদেশের সব ব্যাংকের মত এই ব্যাংকের শাখায়ও বন্দুকধারী দারোয়ান ছিল। ঈদের ছুটির আগে বাড়তি ক'দিন ছুটি চেয়ে দারোয়ান আবেদন করলে ম্যানেজার তা নাকচ করে দেন। দারোয়ান তার আবেদনের পক্ষে নানা যুক্তি দেয়। ম্যানেজার ঈদের আগে ব্যাংকের ব্যস্ততা আর তার ক্ষমতার দাপটে সেসব নাকচ করে দেন। শেষে ক্ষমতাহীন দারোয়ান তার অস্ত্র ব্যবহার করে। ম্যানেজার নিহত হন, আর দারোয়ান লম্বা ছূটির পলান দেয়। তাই বলছি, এই ম্যানেজারের ভাগ্য অর্জন যদি আপনার মূল লক্ষ না হয়ে থাকে, তবে ক্ষমতা নিজের কাছে রেখে অন্যের হাতে বন্দুক দেবেন না। আর নিজের ইজ্জত বাড়াতে দারোয়ানের হাতে যদি বন্দুক গুঁজে দেনও, গুলির বাক্স নিজের কাছে অবশ্যই রাখবেন।

নাজমুল হুদাকে ব্যাহুদা বলে যতই মুচকি হাসুন না কেন, সেনাপতিকে রাষ্ট্রপতি বানানোর ফর্মুলা একেবারে বেহুদা কারণে তার মাথায় আসে নাই। বন্দুক যখন দেয়া গেছে ক্ষমতা দিলে কি আর এমন বেইজ্জতি।


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পড়লাম।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

খূশ হুয়া।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সৌরভ এর ছবি

হুমমম।
বন্দুকের নল পিছনে থাকলে, ভাল্লুক বাবাজিও নিজেকে কালা বিলাই বলে পরিচয় দেবে। বটু মিয়া যেমনটা বলতেছিলেন।

আজকে খবর দেখলাম কোথায় যেন, উকিল সাহেবের ছেলে টিভি চ্যানেল বানানোর আবেদন করেছে। আবেদন পাস হয়েও যেতে পারে।

উকিল সাহেবরা যখন ভাগবাটোয়ারা শুরু করবেন আমাদের পশ্চাতদেশে বন্দুক রেখে, তখন আমরা কাকে চাইবো বিকল্প হিসেবে?



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বিদেশি উকিল চাইবো মনে হয়!
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হযবরল এর ছবি

সব লেখাই পড়ি আপনার, যদিও সাম্প্রতিক ব্যস্ততায় কমেন্ট করা হয় না।

এই লেখার মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন করে শোহেইল মতাহির চৌধুরীকে পেলাম। লেখার এই প্যাসিভ স্টাইল পাঠককে লেখায় অনেকখানি ইনভলভ করে।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ হযবরল। আমার ব্লগ সম্পর্কে এরকম একটা মন্তব্য আগেও আপনাকে করতে দেখেছি। এতোদিনে এর মাজেজা বুঝলাম।

আমার জানামতে ব্লগিং-এ, সারা পৃথিবীতে সব ভাষায়, সবচে বেশি ব্যবহৃত শব্দটি হচ্ছে "আমি"। হওয়ারই কথা। কারণ ব্লগটাতে ব্যক্তির নিজস্ব কথন।

শুধু যে আমি থাকে তা নয়। ব্লগে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি আর চিন্তাকেও ব্লগাররা তুলে ধরেন। দিনপঞ্জি হওয়ায় এর মধ্যে একরকম ব্যক্তিগত আত্মকথনের ছোঁয়াও থাকে। ঠিক এ্যাকাডেমিক নৈর্ব্যক্তিকতা নয়, জার্নালিস্টিক তথ্য সরবরাহের পদ্ধতিও নয়, নিজের সাথে নিজের বুঝাপড়াটাও সশব্দে উঠে আসে ব্লগে। আমি এরকম মনে করেই ব্লগ লেখি।

তবে আপনার শেষ কথাটা নিয়ে ভাবতে হবে। কখন পাঠক বেশি ইনভলভ্ড বোধ করে?

অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই প্রশ্নটা খুবই মৌলিক। বাংলায় ব্লগিং আগে থেকে হলেও বাংলা ব্লগিং ব্যাপারটা বৃহৎ পরিসরে আকৃতি পাচ্ছে সচলায়তনেই। এখানেই এই ব্যাপারগুলোও সমাধা হওয়া উচিত। সুমন রহমানের একটি ব্লগে এই রকম প্রশ্নগুলো নিয়ে দুর্দান্ত আলোচনা হয়েছিল একটা। সেটি এবং আপনার এই মন্তব্যগুলো যোজন করে খুব ভাবনাজাগানো ব-e হবে একটা।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বাংলা ব্লগিং। কী লেখা উচিত, কীভাবে লেখা উচিত-এসব নিয়ে একেবারে ব্লগিং-এর প্রথম দিকে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। ২০০৬ এর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে।
কীভাবে গড়ে উঠছে ব্লগ সমাজ তার একটা হালকা গবেষণাও আমি করেছিলাম। পুরনো লেখায় খূঁজলে পাওয়া যাবে অভি।

তারপর যোগ করার তো সুযোগ আছে। হয়ে যাক অভি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

প্রথম দিকের লেখাগুলোর কথা জানা ছিল না। ঘেঁটে দেখবো এখনই।

বাংলা ব্লগিং নিয়ে আসলেই অভিজ্ঞতালব্ধ প্রবন্ধ তৈরি করা যায় সচলায়তনের লেখাগুলোর সংকলনে। আপনি যদি কষ্ট করে সুপারভাইজ করেন তো আমি কাজে লেগে যাই। কাজটা সময়সাপেক্ষ হলেও জরুরী।

প্রামাণিক কিছুর খুব অভাব আমাদের। একারণেই আমরা পথ হারাই। গন্তব্য না জেনে পথে নামলে যা হয় আর কি। সচলের দর্শন, স্থিতি, এবং পরিপক্ক্বতা বাংলা ব্লগিংকে পথ দেখাতে পারে সহজেই। ফোনেটিক আর ইউনিকোড যেভাবে এগিয়েছে, তাতে একটা ব্লগ-বুম স্রেফ সময়ের ব্যাপার। তার আগেই এটা দরকার।

আপাতত মুখ্য পরিচ্ছদ গুলো নিয়ে কিছু একটা তৈরি করে আপনাকে ই-পায়রা পাঠাবো নে।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ঠিক আছে।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

দ্রোহী এর ছবি

বন্দুকের নল নয়- আরেকটু সঠিক করে বললে বলা যায়, বন্দুকই সকল ক্ষমতার উৎস। কেননা, আদ্যিকালের মরচে ধরা বন্দুকে গুলি না বের হলেও সেই বন্দুকের বাঁট দিয়ে পিটিয়েও কাজ সারা যায়।


কি মাঝি? ডরাইলা?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

উরি বাবা! বাঁট হলেই চলবে?
লাইসেন্স থাকলে চলবে না? মানে, শুধু লাইসেন্স!
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

দ্রোহী এর ছবি

লাইসেন্স থাকলে বিনা ওজর-আপত্তিতে চলবে! বাঁটতো সবার কাছেই আছে, কিন্তু দ্বিধাহীন চিত্তে ক'জনইবা সেটা ব্যবহার করতে পারে?


কি মাঝি? ডরাইলা?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মজা পেলাম। প্যাসিভ স্টাইলটাও লক্ষ্য করলাম। ভালো টেকনিক।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বন্দুকের কথায় মজা? তবে সুজনচৌধুরির কার্টুনে এসএম৩ তো আকর্ণ হাসি দিয়েই আছে....

আপনারও চোখ প্যাসিভ স্টাইলের দিকে? একটু ঝেড়ে কাশুনতো। আপনার আবার টেকনিক ফেকনিক ভালো আসে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কার্টুনটা সরালাম কালকে। রিফ্রেশ করলেই হাওয়া হয়ে যাবে।

হযবরল যেমনটা বললেন। তার রেশ ধরেই বললাম। ওই সরাসরি নিজের কথাগুলো সরাসরি না বলে, বিভিন্ন রকম উদাহরন টেনে নিজের কথা গুলো কনভে করার পদ্দতিটাই প্যাসিভ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জনাব শোহেইল ভাই,
আপনার নাম একটি লিস্টে তুলা আছে।
সেই লিস্ট অনুযায়ী এই সপ্তাহে আপনার একটি লেখা দেয়ার কথা।
লেখা না দিয়ে পোস্ট দিতেছেন যে বড়ো?
ঘটনাটা কী?

ভাস্কর এর ছবি

জেবতিক সাহেব
আপনের ফোন বন্ধ ক্যান?


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

শনিবারে আপনার বাসা থেকে গিয়ে লেখা আনা হবে।
রেডি থাইকেন।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

সম্পাদকের হাতে আর কী কী তেলেসমাতি আছে বন্দুক ছাড়া তাই দেখতাছি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আরিফ জেবতিক এর ছবি

প্রয়োজনে বন্দুক ধরতে হবে দেখছি।
ভালোয় ভালোয় লেখাটা দিয়ে দিলে হয় না?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আবারো ভাল লিখেছেন। বক্তব্যের সঙ্গে একমত।

তবে সামান্য সংশোধনী আছে; মাওসেতুং বলেছিলেন, বন্দুকের নল থেকেই রাজনৈতিক ক্ষমতা বেরিয়ে আসে। ...

গেরিলা যুদ্ধের মহানয়ক মাও এর এই বক্তব্যের মূল সুর ৭০ দশকে নকশালাইটরা বিকৃত করেছেন। আবারো তা বিকৃত হয়েছে সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমানের আমলে।

মাওসেতুং তো এ কথাও বলেছেন, অস্ত্র কোনো নির্ধারক শক্তি নয়; নির্ধারক শক্তি হচ্ছে মানুষ। সংগঠিত জনগণ অ্যাটম বোমার চেয়েও শক্তিশালী।...

তাই মাওসেতুং অপব্যাখ্যার মূল কারণ হচ্ছে,দর্শনের দারিদ্র। যেনো মৃত বেশ্যার ঠোঁটে লিপিস্টিক!

আর ফতোয়াবাজরা ধর্ম ও দর্শনকে তাদের স্বার্থে ইচ্ছে মতো ব্যাখ্যা করেন; নানা তত্বও ফাঁদেন। যেমনটি এখন করছেন, ব্যানা হুদা।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বিপ্লব ধন্যবাদ।
আপনি যেভাবে আলো ফেলছেন, শুদ্ধ মাওবাদী হিসেবে, গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে তা একটা শক্তিশালী ব্যাখ্যা অবশ্যই।
কিন্তু জনগণ বা সাধারণ মানুষের কাছে মুখে মুখে যে ব্যাখ্যা থাকে তার শক্তিও কম নয়। অনেক ক্ষেত্রে গ্রন্থের চেয়ে বেশি। ফ্রয়েড বা ডারউইনের তত্ত্ব-ই কিভাবে জনমানসে আছে ভেবে দেখেন। তাদের বইয়ের বলা কথার চেয়ে সে ব্যাখ্যা অনেক বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পেরেছে।

এরকম হয়। হয়েই থাকে। কোনো ব্যাখ্যাই আমার কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের ধারণাকে তো একেবারেই ফেলে দেয়া যায় না।

সংশোধনী হিসেবে দেয়া আপনার মন্তব্য পেয়ে খূশি হলাম। ভাবনা-চিন্তা ধ্যান-ধারণার বিস্তৃত বর্ণালীর সম্পূর্ণ অস্তিত্বকে দৃষ্টিসীমানায় দেখেই উত্তর-আধুনিক মানুষ হিসেবে তৃপ্ত হতে চাই।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অচেনা এর ছবি

শফিক রেহমান,সমাজচিন্তার চেয়ে প্রেমলীলার বিষয়ে বেশি আগ্রহী, রসিক মন্তব্য করেছিলেন; চামড়ার নলই সকল ক্ষমতার উত্স।

বস, এইটা ছিল 'চামড়ার নলই সকল প্রেমের উৎস।'

আমার খুবই পছন্দ। খাইছে

-------------------------------------------------
'অত্তাহি নাথো, কোহিনাথো পরিসিয়া'

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

প্রেম শব্দটা মনে হয় পরে যোগ করা হয়েছিল।
আগে মনে হয় বাক্যটা ফ্রয়েডিয় ব্যাখ্যা পেঁচিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
যাক শফিক রেহমানকে জিজ্ঞেস করতে হবে। অথবা কোনো যাযাদি বিশেষজ্ঞকে।
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নজমুল আলবাব এর ছবি

আপনার লেখা পড়ার সবচে বড় সুবিধা হল একাত্ব হতে পারা। অনেক কিছুই ভাবি কিন্তু তাকে ঠিক ঠাক মত লিখতে পারিনা। আপনি সেই ভাবনাগুলো লিখে দেন।

**শফিক লুইচ্চারে নিয়া আপনার স্টকে কিছু থাকলে একটু ঝাইড়েনতো বড়ভাই। হালায় একবার আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে আমারে ড্রাইভার বানাইতে চাইছিল। বদের বদ...

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

চরিত্র মানে কারেক্টার আমি পছন্দ করি। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষই মুখস্থ মানুষ। ব্যাকরণ মেনে আচার-আচরণ করেন। তাদের চেয়ে 'চরিত্রমান'-মানে যাদের চরিত্রের চোখে পড়ার মত বৈশিষ্ট আছে - লোক অনেকবেশি আগ্রহোদ্দীপক।
শফিক রেহমান সে কারণেই আমার পছন্দের লোক।
ব্যা না হুদাকেও বেশ পছন্দ হয়।

*তবে আমার লেখার প্রশংসা করবেন না। কলম আটকে যায়। একটা দায়িত্বে পড়ে যাই।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ভাস্কর এর ছবি

ড্রাইভার বানাইতে চাইছিলো...মানে বুঝলাম না...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

দ্রোহী এর ছবি

'চামড়ার নলই সকল প্রেমের উৎস।'

এইডস হলে বাঁচন নাই!
কনডম লইলে টেনশন নাই!


কি মাঝি? ডরাইলা?

নজমুল আলবাব এর ছবি

একবার সে সিলেটে আসছিল। তো খালি ভুঙভাঙ মারে। এই নিউজ এইভাবে হবে। সেইটা হবেনা। আপনারা এভাবে লিখেন, ওইভাবে লিখেন এমন আবজাব। তার কথাবার্তা এমন যে বাংলাদেশে সেই একমাত্র যোগ্য সম্পাদক। আর সবাই আবাল। পরামর্শ দিল, এখন যেভাবে লিখছি তার স্টাইল বদলাতে হবে। আমি বল্লাম তাইলেতো চাকরি থাকবেনা। তখন বলে, এখন যেমন কাজ করছি তার থাইকা নাকি তার ড্রাইভারের চাকরিটা করা ভাল... মুখে সব ভাল ভাল কথা চলে আসছিল...

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

'ধন্যবাদ, জনাব শফিক রেহমান' বলে দিতেন। এর চেয়ে বড় 'ভাল কথা' পাওয়া দুষ্কর।

অমিত আহমেদ এর ছবি

চরম লেখা! হাসতে হাসতেই বক্তব্য বুঝলাম।


ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।