ফেরা - ০৮

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: সোম, ০৬/০২/২০১২ - ৭:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[এইটা একটা ফাঁকিবাজি পর্ব]

১২
আবারও আগুন (চলছে)

আর কথা খুঁজে পায় না। চুপ হয়ে যায় দু'জনেই, বেশ কিছুক্ষণের জন্যে। বেশ অস্বস্তিকর নীরবতা বেশ কিছুক্ষণ। এদিকে মনে মনে অস্থির হয়ে উঠছে হেলাল। একবার ঘড়ির দিকে তাকায়। বেশী সময় আর হাতে নেই। আরও ছোটখাট কিছু কাজ এখনও বাকি রয়ে গেছে।

ভেতরের ঘর থেকে হাসিমুখে বেরিয়ে আসে শান্ত। মুখে একটা শয়তানী হাসি। হেলালের দিকে তাকিয়ে গা জ্বালানো একটা হাসি দেয়। হেলাল পাত্তা দেয় না তেমন একটা। এখন খোশগল্প জমানোর সময় নয়। অস্থির হয়ে বলে,

- ভাই, আমার যাইতে হবে সময় নাই হাতে একবারে।

- আচ্ছা ঠিকাছে মিয়া যাও কোন ঝামেলা কইর না আবার। তোমাগো মত ধুইঞ্চা পোলাপান নিয়াই সমস্যা। দরদাম নিয়া ঝামেলা কইর না।

"কোন সমস্যা হবে না ভাই, থ্যাঙ্কস আ লট", বলে মেয়েটাকে বলে, "চল, বের হই আমরা, একেবারে সময় নেই আমার হাতে"। দ্রুত হেঁটে বাস স্ট্যান্ডে পৌছে যায়। একেবারে সোজা চলে যাবে ইউনিতে।

"কোথায় যাচ্ছি আমরা?", মেয়েটা জিজ্ঞেস করে। কথা বলার ভঙ্গিটা বেশ লাগে হেলালের। কোন জড়তা নেই, অতিরিক্ত কোন ন্যাকামি নেই, একেবারে সহজ স্বাভাবিক জিজ্ঞাসা। মেয়েটাকে খারাপ লাগে না হেলালের। প্রো-গার্লদের ব্যাপারে যেরকম নাক সিটকানো ধারণা ছিল সেটা একটু একটু কমতে শুরু করেছে কি এই কয়েক মুহূর্তেই?

হেলালও বেশ সহজ হয়ে এসেছে ততক্ষণে। বেশ সহজভাবেই বলে, "এখন যাচ্ছি ইউনিতে, ওখান থেকে আমরা আসল জায়গায় যাব, আমি তোমাকে ব্রিফ করব, তোমার কী কাজ, নো ওরিস"।

"কামন ম্যান, আই নো মাই জব ভেরি ওয়েল, হুইচ জব ডু ইউ ওয়ান্ট? ইউ ডাসন্ট সিম দ্যাট নটি ফ্রম ইওর লুক, বাট, নাউ আই সি, ইও আর আ নটি নাইস গাই হা হা হা", বলে একটা চোখ টিপ দেয় মেয়েটা, থামার নাম নেই এরপর, বকেই যায় একটানা।

হেলালের এত কথা বলার সময় নেই। ওর মাথার মধ্যে রাজ্যের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। ওকে কীভাবে কী বোঝাবে সেটা ভেবে ঘাম ছুটে যাচ্ছে হেলালের। যদি মানতে না চায় মেয়েটা? যদি ঝামেলা করে, কাজের চেয়ে যদি সমস্যা আরও বেশি জট বাঁধায়? মেয়েটাকে এভাবে জড়ানো ঠিক হচ্ছে কিনা সেটাও ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। কিন্তু ওর কীইবা করার আছে?

ক্যাম্পাসে পৌছে সামান্থাকে নিজের ঘরে বসিয়ে এক দৌড়ে ল্যাবে চলে যায় হেলাল। ল্যাব থেকে কিছু ছোটখাট জিনিস, ব্যাটারী, কিছু তার, একটা ডাটা আকুইজিশান মডিউল আর একটা কম্পাস সাথে নিয়ে নেয়। ব্যাগ মোটামুটি বাসা থেকেই গুছিয়ে এনেছে। নতুন জিনিসগুলো ব্যাগে ভরে নেয়। ঘড়িতে দেখে খুব বেশি সময় বাকি নেই। আলোও বেশ কিছুটা মরে এসেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝুপ করে অন্ধকার নামবে। অন্ধকার নামার আগেই জায়গামত পৌছে যেতে চায় ও।

রুমে গিয়ে কয়েকটা দরকারী জায়গায় মেইল দিয়ে দেয়। বাসায় জানিয়ে দেয় আগামী এক সপ্তাহ ও অনলাইনে আসতে পারবে না। এরপর সামান্থাকে বলে, "চল এবার ওঠা যাক।"

একটা ভারী ওভারকোট গায়ে চাপায় সামান্থা, হেলালও ভারী জ্যাকেট পড়েছে। বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা। আর পাহাড়ের ওপর জঙ্গলের ভেতর তো দিনের বেলাতেও গা শিরশির করে। সারারাত কিভাবে কাটাবে ওখানে!

সামান্থা তখনও জানে না ঠিক কোথায় যাচ্ছে। হেলাল ইচ্ছা করেই বলেনি। ওকে নিয়ে প্ল্যান যদি এখনই বলে দেয় তাহলে কোনভাবেই রাজি হবে না মেয়েটা। কিন্তু এতক্ষণের চালচলনে মেয়েটাকে পছন্দ হয়ে গেছে হেলালের। ওকে দিয়ে কাজ হবে, কিছুটা হলেও, এটুকু ভরসা এখন মেয়েটার ওপর হেলাল করতে পারে। এখনই সব কিছু বলে দিয়ে পণ্ড করতে চায় না। সবকিছুই নির্ভর করছে হেলালের ওপর।

বের হতে হতে হেলাল মেয়েটাকে বলে,

- আমরা কিন্তু ক্যাম্পিং করব

- ক্যাম্পিং? এই শীতে ক্যাম্পিং? তোমার মাথা ঠিক আছে তো? স্রেফ জমে যাব কিন্তু বলে রাখছি।

হাহা করে হাসে হেলাল, নিজের ভেতরকার টেনশানটাকে হালকা করার একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। চোখে মুখে দুষ্টুমি ভরা হাসি নিয়ে স্বভাবসুলভ চটুল ভঙ্গিতে বলে,

- একটা রাত গরম রাখতে পারবা না আমাকে?

- নটি বয়, আমি নাহয় তোমাকে গরম রাখলাম, কিন্তু এই শীতের রাতে তাও আবার পাহাড়ের ওপর ক্যাম্পিং করার কুবুদ্ধি তোমায় কে দিল বলত? আমার এই এতদিনের ক্যারিয়ারে তোমার মত পাগল তো দেখিনি।

- কারণ তো আছেই। ওপরে গেলেই জানতে পারবে। আই সুইয়ার, ইউ উইল বি সারপ্রাইজড, বেইবি।

বিল্ডিংএর পেছন গেট দিয়ে বের হয়ে আসে ক্যাম্পাসের পেছন দিকটায়। হুহু করে ঠান্ডা বাতাস একেবারে জমিয়ে দিয়ে যায়। মনে মনে একটা চ-বর্গীয় গালি দিয়ে মাথাটা হুডির ভেতরে গলিয়ে দেয়। পকেট থেকে গ্লাভস বের করে ওটাও পরে ফেলে। সারারাত গরম থাকতে হবে সুতরাং এখন থেকেই তার প্রস্তুতি থাকা ভাল।

বেশ জোড়ে পা চালায় ওরা দুজন। শীতের মধ্যে গা গরম রাখার একটা ভাল ব্যবস্থা। কিন্তু হাঁটতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। চিকন মাটির রাস্তায় বরফ জমে শক্ত হয়ে গেছে একেবারে। একটু অসাবধান হলেই পা পিছলে যাবে।

তখনও সন্ধ্যা নামেনি। কিন্তু নামতেও আর বাকি নেই। ওপাশের পাহাড়ের আড়ালে সূর্য হারিয়ে যাবে হঠাৎ করেই। পশ্চিমের আকাশ যেন অদ্ভুত লাল রঙের ক্যানভাস।

লেকের পাড় ধরে হাঁঠতে থাকে ওরা দু'জন। দুজনের পিঠেই বেশ বড় ব্যাকপ্যাক। সকালেই এই রাস্তা দিয়ে একবার উঠেছে হেলাল, ও জানে কোথায় যেতে হবে। কোন রকম দ্বিধা ছাড়াই উপড়ে উঠতে থাকে।

এদিকে সামান্থা বেশ ভয় পাচ্ছে। হেলালের আচরণ বেশ সন্দেহজনক লাগছে ওর কাছে। এরকম শীতে পাহাড়ের ওপর ক্যাম্পিংএর আইডিয়া আর যাই হোক স্বাভাবিক নয়। হেলাল যেন ঠিক আর দশটা মানুষের মত নয়। এতক্ষণ পর্যন্ত একবারও ওর শরীরে হাত দেয়নি। ওর দিকে সেভাবে তাকায়নি পর্যন্ত। বাসায় বা হোটেলে নিয়ে যাওয়ার বদলে নিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পিংএ! আগামাথা কিছুই বোঝে না। কিন্তু ওর পেশাটাই এমন, হাজার মানুষের সাথে মিশতে হয়। কে কেমন হবে সেটা তো আগে থেকে বলা যায় না। এত ভয় পেলে এ পেশায় আর থাকা হত না ওর।

ওপরের ফাঁকা জায়গাটাতে যখন পৌছেছে তখন প্রায় সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে। সন্ধ্যার শেষ আলোটাও তখন মিলিয়ে গেছে। ঠান্ডার মধ্যে এতোটা পথ হেঁটে এসে ওরাও বেশ হাঁপিয়ে উঠেছে। কিন্তু হেলাল দেরি করে না। ব্যাকপ্যাক খুলে তাবু খাঁটানোর জিনিস পত্র বের করে ফেলে। সামান্থাও এসে হাত লাগায়।

এরকম জঙ্গলের মধ্যে একেবারে ঝকঝকে ফাঁকা জায়গা দেখে অবাক হয়ে যায় সামান্থাও। হেলালকে জিজ্ঞেস করেও কোন সদুত্তর পায় না। হেলাল শুধু বলে, আজকে রাতেই সব জানা যাবে। পাশেই একটু আড়াল দেখে একটা গাছের নিচে তাবু খাঁটায় ওরা।

মোটামুটি সন্তুষ্ট হেলাল। সব কিছু এখন পর্যন্ত প্ল্যান অনুযায়ী হয়েছে। তাবুটাও বেশ পছন্দ হয়েছে ওর। মনে মনে ভাবে, কিছু না হলেও, এরকম একটা মেয়ের সাথে এরকম নির্জন একটা রাত কাটানো খারাপ নাতো! অন্য কোন দিন হলে এরকম একটা রাতে হেলালের মত কাঠখোট্টা মানুষও দু-এক লাইন কবিতা লিখে ফেলত।

আকাশে অর্ধেকটা চাঁদ। ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশ, শীতের সময় আকাশে মেঘ টেঘেরও বালাই নেই। চাঁদের আলোয় শুভ্র বরফ ঝিকমিক করছে। এরকম অদ্ভুত সৌন্দর্য দেখার জন্য এরকম একটা অদ্ভুত রাতই ভাগ্যে লেখা ছিল ওর!

সামান্থার কিছু বলার নেই। হেলাল নিজের মত কাজ করে যাচ্ছে। আপাতত একটা মুহূর্তও নষ্ট করতে চায় না ও। কথা বলার জন্যে সারা রাত পড়ে আছে। ব্যাগ থেকে রেডিও রিসিভারগুলো বের করে। একটা রিসিভার থেকে সরাসরি ল্যাপটপে ডাটা নেয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে প্লাস্টিকের বাক্স খুলে ফেলে। অ্যান্টেনার কানেকশান পয়েন্ট থেকে ডাটা অ্যাকুইজিশান মডিউলের সাথে কানেকশান দিতে হবে। সাথে করে নিয়ে আসা ব্যাটারি পাওয়ারড সডারিং আয়রনটা বের করে সডারিং করতে থাকে।

এসব কাজ করতে করতে একেবারে নখদর্পনে হেলালের। মুহূর্তের মধ্যে গুছিয়ে ফেলে সবকিছু। একটা টেস্ট ট্রান্সমিশান করে দেখে। ল্যাবভিউ চমৎকার ডাটা কালেকশান করতে পারছে। ডাটাগুলো একটা সিএসভি ফাইলে জমা হবে। দরকার হলে অ্যানালাইসিস করা লাগতে পারে। আর যদি কোন এনক্রিপশান না থাকে তাহলে তো এত ঝামেলার দরকার হবে না। ন্যাশনাল ইন্সট্রুমেন্টের ডাটা অ্যাকুসিজিশান ডিভাইসটাতে একসাথে ষোলটা চ্যানেল ইনপুট নেয়া যায়। ওর হাতে আপাতত তিনটা ভিন্ন রেঞ্জের রিসিভার আছে। তিনটা চ্যানেলে তিনটার কানেকশান দিয়ে বসে থাকতে হবে আপাতত।

একটা কঠিন কাজ বাকি আছে, সামান্থাকে সব খুলে বলতে হবে। সামান্থার মুখ ততক্ষণে শুকিয়ে এতটুকু হয়ে গেছে। ও বুঝে গেছে বড় কোন ঝামেলায় ফেঁসে গেছে।

কাজ শেষ করে তাবুর ভেতর গিয়ে ঢোকে হেলাল। একটু রিল্যাক্স মোডে বসে। ভয়াবহ টেনশানের মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারে, মাথায় রাজ্যের চিন্তা, কিন্তু মুখে তার এতটুকু ছাপ নেই। ব্যাগ থেকে ফ্লাক্স বের করে মগে কফি ঢালে, একটা মগ এগিয়ে দেয় সামান্থার দিকে। এই ঠান্ডায় একটু পর পর কফি না খেলে একেবারে জমে যাবে। বাইরের ঠান্ডাকে ভেতরের গরম দিয়ে একটা সাম্যাবস্থায় নিয়ে আসার চেষ্টা।

সামান্থা একটু গা ঘেঁষে বসার চেষ্টা করে। হেলাল গা করে না। যদিও ওদিকে মনোযোগও তেমন দেয় না। এখন কোনভাবেই অন্যদিকে মন দেয়া যাবে না। যদিও এরকম শীতের একটা রাতে এরকম উষ্ণতার আহবান উপেক্ষা করা খুব সহজ কথা নয়, কিন্তু আজকের হিসাব আলাদা। সামান্থাকে এক হাতে ধরে রেখে আরেক হাতে কফি খেতে খেতে মনিটরের দিকে মনোযোগী চোখে তাকিয়ে থাকে। রিসিভার কোন ধরনের সিগ্ন্যাল রিসিভ করলেই মনিটরে ইন্ডিকেশান দেখাবে। এক মুহূর্তের জন্যেও চোখ সরানোর কোন উপায় নেই। ও ব্যাপারটা সামান্থাকেও একটু বুঝিয়ে দেয়, যদি ঘুম এসে যায় ও যেন ওকে জাগিয়ে দেয়। কমপক্ষে একজনের জেগে থাকতে হবে।

উল্লেখযোগ্য কোন সিগন্যাল পায় না, অনেক্ষণ বসে থেকেও। বেশিরভাগই নরমাল নয়েজ সিগন্যাল। সিগন্যাল পাওয়ার এক্সপেক্টেড থ্রেশল্ডের বেশ নীচে।

বসে থাকতে থাকতে বোধহয় ঘুমিয়ে গিয়েছিল একটু। ঠিক ঘুম না, যাকে বলে তন্দ্রা। হঠাৎ সামান্থার ধাক্কায় ঘুম ভাঙ্গে। ইন্ডিকেটর লাইটটা জ্বলছে আর নিভছে। ধরফর করে উঠে বসে। ভয়েস ডিকোডারটা অন করে দেয়, হেডফোনটা কানে তুলে নেয়।

প্রথমে কিছু হিজিবিজি নয়েজ শুনতে পায় শুধু। একটু যান্ত্রিক একঘেয়ে শব্দ; বুঝতে পারে এনকোডিং করা আছে। ডিকোডিং করতে কত সময় লাগবে কে জানে? ডিকোডিং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বরং সফটওয়ারের ট্রাকিং সিস্টেমটা অন করে। সিগন্যাল কোন দিক থেকে আসছে সেটা বোঝা গেলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।

খুব কাছে থেকেই আসছে সিগন্যাল, খুব আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে, ফাঁকা জায়গা থেকে জঙ্গলের ভেতরের দিকে। চোখের ইশারায় সামান্থাকে উঠে পড়তে বলে। দ্রুত দুজনেই ব্যাগপ্যাক গুছিয়ে নেয়। টর্চ হাতে নেয় দুজনেই। কোন প্রশ্ন করে না সামান্থা, প্রশ্ন করে তেমন লাভ নেই, তেমন কিছু জানা যাবে না হেলালের কাছ থেকে এটা এতক্ষণে বুঝে গেছে ও।

তাবু থেকে বের হয়ে দ্রুতই ফাঁকা জায়গাটা পার হয়ে আসে। হাতে রাখা ছোট নেটবুকে ট্র্যাক দেখে ফাঁকা জায়গাটা পেরিয়ে হাতের বামে ঢুকে যায় জঙ্গলে। খুব কাছাকাছি কোথাও থেকেই আসছে সিগন্যাল। হিসাবে কোন ভুল না হলে বিশ মিটারের মত সামনে আগালেই উৎস খুঁজে পাওয়ার কথা। বুক কিছুটা ধুকপুক করতে থাকে হেলালের। নেটবুকটা বন্ধ করে দেয়, ঘুটঘুটে অন্ধকারের ভেতরে আলোটা খুব বেশি চোখে লাগছে।

দ্রুত পা ফেলে সামনে আগায়, কিন্তু খুব সন্তর্পণে, পিছলে পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে, কয়েকদিনের জমাটা বাঁধা বরফের স্তুপ চারিকেকে। অবশ্য বরফ থাকার কারণে একটা সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে, অন্ধকার অতটা জমাট বাঁধতে পারেনি। চাঁদের আলো খুব হালকা হলেও চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, অন্ধকারকে একটা সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে। সবকিছুরই একটা ভাল দিক আছে তাহলে!

বেশ কিছুদূর সামনে এগিয়ে গিয়ে বেশ একটা নড়াচড়া টের পায় সামনে। পাশেই একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে ওরা দুইজন। অন্ধকারে অস্পষ্ট দুইটা ছায়ামূর্তি দেখতে পায় গাছের আড়ালে দাঁড়িয়েই অন করে নেটবুকটা, হ্যাঁ ওখান থেকেই আসছে সিগন্যালটা। গাছের আড়ালে আড়ালে লুকিয়েই দুইজন বেশ খানিকাটা কাছে চলে আসে ছায়ামূর্তি দুটার। ওদের ফিসফিস কথা টের পাওয়া যায়। ওদের আকৃতি দেখে টের পাওয়া যায়, একটা ছেলে, একটা মেয়ে।

একটু খেয়াল করলে দেখা যায় একটু দূরেই একটা ভ্যান দাঁড়া করানো। বোধহয় কাল বা গাঢ় নীল রঙের হবে। অন্ধকারে খুব খেয়াল না করলে বোঝাই যায় না। এই পাহাড়ের ওপর গাড়ি উঠল কীভাবে? নিজেকেই প্রশ্ন করে হেলাল।

যদিও এখন এত কেন, কীভাবের সময় নেই। আগে কী হচ্ছে সেটা দেখতে হবে। ঠিক সময়ে পা ফেলতে না পারকে এত কষ্ট সবই মাটি। গাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে আছে ওরা। ছেলেটাকে দেখে মনে হচ্ছে কারও সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। হাতে একটা রেডিও ট্রান্সিভার আছে বলে মনে হচ্ছে। মুখের কাছে নিয়ে ফিসফিস করে যাচ্ছে ছেলেটা।

এই সুযোগে হেলাল আর সামান্থা ভ্যানটার একেবারে কাছে চলে আসে। বেশ ঝা-চকচকে, ফোর্ড কোম্পানীর লোগোটা কাছ থেকে বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে। গাড়ির জানালা দিয়ে ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করে। উল্লেখযোগ্য কিছু দেখতে পায় না তেমন।

ভ্যানের পেছনটাও দেখতে হবে। প্রথমে সামান্থাকে উঠতে সাহায্য করে, এরপর চাকার ওপর পা রেখে একটু কসরত করে নিজেও উঠে যায় ওপরে।

দুটো বেশ বড়সড় বাক্স রাখা পাশাপাশি। দেখতে কফিনের মত। তবে এখানকার প্রচলিত কফিনগুলোর মত জাঁকজমক করা নয়, বেশ সাদামাটা। ওর আন্দাজ করতে সমস্যা হয় না, কী থাকতে পারে এর ভেতরে!

সামান্থা ততক্ষণে অবাক হওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে। হেলালের কথা অনুযায়ী ও চোখ রাখছে ছেলেমেয়ে দু'টার ওপরে। ওদের দেখে মনে হচ্ছে কারও জন্যে হয়ত অপেক্ষা করছে হয়ত ওরা।

কফিনের ডালা খুলে ফেলে হেলাল। কোন রকম তালা টালা দেয়া নেই। কব্জাও মোটামুটি বেশ মসৃন, কোন রকম শব্দ ছাড়াই বেশ ভালভাবে খুলে যায় কফিনের ডালা। মনে মনে নিজের ভাগ্যকে কিছুটা পিঠ চাপড়ে দেয় হেলাল। মোটামুটি সবকিছুই ঠিকমত হচ্ছে আজকে, কোনকিছুই পরিকল্পনার বাইরে যায়নি। কিছুটা ভরসা পায় নিজের ওপর।

ডালা খুলে অবাক হওয়ার কথা না ওর। ও জানে ভেতরে কী দেখবে। কয়েকদিন আগে মারা যাওয়া, শুকিয়ে যাওয়া লাশ থাকার কথা কফিনে।

পকেট থেকে ছোট্ট টর্চটা বের করে। মুখের ওপর আলো ফেলে। এতদিন পরেও চিনতে এতটুকু সমস্যা হয় না হেলালের। অনির চেহারা এতদিনে একটুও বদলায়নি। কিন্তু এভাবে অনিকে দেখতে হবে কোনদিন ভাবেনি হেলাল।

কিন্তু ওর ব্যাপারটা ঠিক স্বাভাবিক লাগে না। কয়েকদিন আগে মারা যাওয়া কারও লাশ বলে মনে হয় না ওর কাছে। যদিও টর্চের আলোয় খুব বেশি বোঝা যাচ্ছে না কিছু। কিন্তু কয়েকদিন আগের লাশ যে এরকম হতে পারে না এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ওর। একটু ভয়ে ভয়ে হাত দিয়ে পালস দেখার চেষ্টা করে, কিন্তু কোন পালস টের পায় না। কিন্তু বুঝতে পারে অনির শরীর এখনও উষ্ণ। বুকেহাত দিয়ে দেখে, নাহ শ্বাস নিচ্ছে না অনি। বেঁচে নেই নিশ্চিত, কিন্তু এরকম প্রচন্ড ঠান্ডায় যে কোন কিছুই জমে বরফ হয়ে যাওয়ার কথা। কোন ব্যাখ্যাই দাঁড়া করাতে পারে না নিজের কাছে।

বন্ধ চোখ দুই আঙ্গুল দিয়ে একটু ফাঁক করে ধরে, ছোট্ট টর্চটা চোখের ওপর ফোকাস করে।

এরকম কিছু দেখবে জীবনেও কল্পনা করেনি হেলাল। ওর মত প্রচন্ড সাহসী ছেলেরও ভয়ে আত্না শুঁকিয়ে যায়। কিসের মধ্যে জড়িয়ে পড়ল আসলে ও? প্রথমে ভাবে, এত সব চিন্তায় ভুল দেখছে হয়ত। সামান্থাকেও ডেকে দেখতে বলে, নিজের চোখকে ওর বিশ্বাস হয় না।

অনির চোখের কোটরের ভেতরে চোখের একটা অংশও নেই। ওখানে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, গনগনে আগুন!

(চলবে)

ফেরা - ০১
ফেরা - ০২
ফেরা - ০৩
ফেরা - ০৪
ফেরা - ০৫
ফেরা - ০৬
ফেরা - ০৭


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
সামান্থার ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য হেলাল আর সামান্থার মধ্যে আরও কিছু কথা বার্তা (প্রয়োজনে কাজকর্ম) ঢুকানো যেতে পারে। কোন কিছু একেবারে না জেনে সামান্থার হেলালকে ফলো করার কথা না, ঘুরে দৌড় দেয়া স্বাভাবিক।

তাপস শর্মা এর ছবি
ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বস কথা একদম ঠিক কইছেন। ফ্রাঙ্কলি বললে এখন আসলে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে বেশ দৌড়ের উপ্রে, সেটা লেখার ফ্রিকোয়েন্সি দেখেই বুঝতেছেন মনে হয়। কিন্তু এই লেখাটা মাথায় চাপা। সরাইতেও পারতেছি না, লিখতেও পারতেছি না। তাই চিন্তা করছি, মাঝে মাঝে ডিটেইলস বাদ দিয়ে লিখব। মেইন ড্রাফটে মার্ক করে রাখছি, এগুলাতে পড়ে সিরিয়াস এডিটিং করব। আপাতত মূল জিনিসটা নামাইতে চাই। আপনারা এখনও পড়তেছেন বলেই ভরসা পাই। ২০১৩ এর বইমেলায় প্রকাশক পাইলে ইচ্ছা আছে জিনিসটা নামানোর।

নিয়মিত আপনার গঠনমূলক মন্তব্য চাই। আর সাহিত্যিক চাই। জগাখিচুরি চাই। অন্যান্য লেখা চাই। দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

খ্যাপা পাঠক এর ছবি

আবার এক মাসের অপেক্ষা। পরের পর্ব কবে ফিরবে কে জানে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাই খ্যাপা পাঠক, আমি নিজেও জানি না, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তাপস শর্মা এর ছবি

দৌড়াইতেছে মামা। ফাটাফাটি চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা। তাপসদা ভাল আছেন? সচলে একটু অনিয়মিত হইছি বিভিন্ন কারণে, সব লেখাই পড়া হয় কিন্তু চিন্তা ভাবনা করে মন্তব্য করা হয় না এখন আরকি। একটু গুছায়ে নিতে দেন হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তাপস শর্মা এর ছবি

এই তো আছি একরকম। ভালো হচ্ছি হাসি । তাই মনে হচ্ছে সচলে আমার অনিয়মিত হবার সময় চলে এসেছে...... ব্যস্ততা আবারও ডাকছে। মন খারাপ

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

লেখক যখন নিজেই বলেন যে ফাঁকিবাজি লেখা তখন আর কি মন্তব্য করব? দেঁতো হাসি জানাতে আসলাম যে এখন গ্যালারী ছাড়িনাই এবং এখনও কেন একজন প্রো-গার্ল প্রয়োজন পড়লো বুঝতেছি না। হেলালের যে কোনও স্বল্প পরিচিত ছেলে বা মেয়ে হলেও এখন পর্যন্ত চলত। আশা করি পরের পর্বগুলোয় বুঝতে পারব। আর উদাস ভাইয়ের সাথেও একমত।

আপনি যে এতো ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে লিখছেন সেই জন্যই আপনার একটা কোলাকুলি পাওনা হয়ে গেছে। আসেন ভাই, বুকে আসেন (আপনার পড়ে লাইনে সামান্থা আছে। তাড়াতাড়ি করেন ভাই। চোখ টিপি )

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই। আসলে ফাঁকিবাজি ছাড়া উপায়ও নাই। মাস্টার্সের থিসিস লিখি, কাজও বেশ বাকি আছে, সেগুলাও গুছানো লাগতেছে। এর মধ্যে আরও কিছু ঝামেলা এসে জুটছে। আর লেখা একেবারে ছাড়তেও পারতেছি না, মাথায় চাপা, তাই ফাঁকিবাজি শেষ ভরসা। এরকম ফাঁকিবাজি লেখা কষ্ট করে যে পড়তেছেন সেজন্যে বরং আপনাকে কোলাকুলি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কাজি মামুন এর ছবি

যতই পড়ছিলাম, ড্যান ব্রাউনের কথা মনে হচ্ছিল; আপনার বর্ণনাভঙ্গি যেন প্রতিটি লাইনেই রহস্যের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চায়। ড্যান ব্রাউনের বইতেও এ ব্যাপারটি আছে; কোন একটা জায়গাতেও আমাদের স্থির থাকতে দেয় না; রহস্যের মায়াবী পর্দায় দুলতেই হবে পাঠককে। তাই আপনার পুরো লেখাতেই পাঠক স্বচ্ছন্দ গতিতে হেঁটেছে বললে ভুল হবে, বরং দৌড়িয়েছে। এমন বর্ণনা স্টাইল আশাবাদী করে তোলে, সঙ্গে অহংকারীও!

খালি 'ব্যাটারি পাওয়ারড সডারিং আয়রন' জিনিসটা বুঝিনাই! তাছাড়া সিগনাল ধরে লোকগুলোর কাছে চলে যাওয়ার ব্যাপারটা আরেকটু 'ধীর' করতে হতো বলে মনে হয়! প্রথম দিকে সামান্থাকে ম্যানেজ করার ব্যাপারে অনেক জোর দেয়া হয়েছে; তাই শেষ দিকে সামান্থা কিভাবে মোটামুটি ম্যানেজড হল, তার আরও বিস্তৃত ব্যাখ্যা দরকার ছিল বলেও মনে হয়। আর গাড়িটা পাহাড়ে কি করে উঠল, তার উত্তর নিশ্চয়ই পরের পর্বে থাকবে। লেখা ভাল লেগেছে বলেই এত কথা!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ড্যান ব্রাউন!!! আর ত্রিমাত্রিক কবি!!! অ্যাঁ শুনতে খারাপ লাগল না অবশ্য খাইছে

সডারিং আয়রন হইল গিয়া তাতাল, ঝালাই করে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডে আইসি বা অন্যান্য ডিভাইস কানেক্ট করার জন্যে, সেইটাকে ব্যাটারী দিয়ে পাওয়ার আপ করা গেলে, ব্যাটারি পাওয়ারড সডারিং আয়রন বলা যায় হাসি

সামান্থার ম্যানেজ করার ব্যাপারটা আসলে আমার মাথায়ও আছে। দেখেন উদাস ভাইয়ের মন্তব্যে লিখেছি। আপাতত মূল জিনিসটা নামিয়ে ফেলতে চাই। এমনিতেই অনেক ঝুলে গেছে।

আর ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শামীমা রিমা এর ছবি

ফাঁকিবাজি না করে পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন ।
ঝুলন্ত বাবুকে বেশিদিন ঝুলিয়ে রাইখেন না ।
চলুক

চরম উদাস এর ছবি

ঝুলন্ত বাবু !! অ্যাঁ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ঝুলন্ত বাবু!!! আমিও বুঝলাম না!! যাই হোক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ন এর ছবি

এবারের লেখাটা একটু মনে হয় তাড়াহুড়ো করে লেখা হয়েছে, তাই না? ব্যপার না.. লিখতে থাকুন..সাথেই আছি।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এইবার লেখাটা একদিকে তাড়াহুড়ায় লেখা এবং ছাড়াছাড়াভাবে লেখা। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

তাড়াহুড়ায় হোক আর ছাড়াছাড়া ভাবেই হোক, লেখা নিয়মিত হোক।
পড়লাম। ভাল লাগলো। সাথে আছি।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- সাথে থাকার জন্য।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শাব্দিক এর ছবি

ফাঁকিবাজি পর্ব ভালইসে ঃ)

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নীল ঘূর্ণী এর ছবি

যাক অবশেষে।। হাসি
আমি তো ভাবলাম "ফেরা" ফেরারী হয়ে গেছে।। পরের পর্বগুলার অপেক্ষায় থাকলাম।।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হাসি নাহ ফেরারী হবে না, দেরী হতে পারে, কিন্তু ফিরবে। সাথে থাকুন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

পরের পর্বটা প্লিজ আর একটু বড় করতে চেষ্টা করবেন। চোখে আগুন? আচ্ছা গল্পটা কোন দিকে এগুচ্ছে বলুনতো ইয়ে, মানে... । এই শেষে এসে চন্ডীশিরা মনে পড়ে গেল। হিমুদাকে তো আর বলে লাভ নাই, ‌যাই হোক আগ্রহ নিয়ে পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্যে। পরের পর্ব কোনদিকে যাবে সেটা আগে থেকে বলে দিলে কি আর মজা পাবেন??

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

 শম্পা  এর ছবি

আর কি পর্ব আসবে না? খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছিলাম মন খারাপ

কল্যাণ এর ছবি

ওই মিয়াঁ মস্করা করেন? ফেরার বাকিটা কো? রেগে টং

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।