দারুচিনি দ্বীপ আর আমরা

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০১/২০১২ - ১২:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ রাতে আমাদের গলা খুলে গান গাইতে গাইতে ভলভো বাসে উঠবার কথা ছিলো, গন্তব্য সেই সেন্ট-মার্টিন, হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ। আমরা আশা করেছিলাম দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসের শেষ দৃশ্যের মতই অত্যন্ত নাটকীয় পরিস্থিতি দেখা দেবে আজ রাতে। আমাদের বার্মা হয়ে উঠবে উপন্যাসের বল্টু চরিত্রটি- শেষ মুহুর্তে দৌড়ে বাসে উঠতে হবে তাকে। বার্মাকে নিয়ে মজা করতে তাকে বাসে উঠানোর ব্যাপারে আমরা ব্যাপক গড়িমসি করবো, শেষমেষ নিতান্ত অনিচ্ছায় তাকে বাসে উঠতে দেবো। এরপর অম্লান গান ধরবে। তার অটিস্টিক আর্টিস্টিক গলা শুনে গালিগালাজ করতে করতে আমরা ভলভোর আরামদায়ক গদীতে হেলান দিয়ে উত্তুরে বাতাস খাবো। মিথ্যা ভাবালুতায় আক্রান্ত হয়ে বলবো- নাহ, জীবন তো খুব একটা মন্দ না !!

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবচেয়ে রঙিন অংশ যেটা, সেই র‍্যাগ অনুষ্ঠানের পরে এরকম একটা দারুচিনি দ্বীপ সফরে যাবার ইচ্ছে আমাদের ছিলো। এরকম ইচ্ছে ছিলো আরো অনেক বন্ধুর। কেউ যেতো সুন্দরবন, কেউ কক্স সাহেবের বাজার, কেউ একটু দূরের দীঘা কি দার্জিলিং। আমাদের ইচ্ছেটা পূরণ হয়নি আজরাতে।

কারণ আমাদের সাথী ঈশানের উপর এসেছিলো একটি বর্বর আক্রমণ। ব্লগে-ফেসবুকে-ফোনে-মুখে সবাই জেনে গেছে এতোদিনে, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশ আর অস্ত্রের শক্তি কতটা টেনে নামায় কাউকে।

এই ঘটনার পরেই বুকে শুধু আশা আর সাহস নিয়েই ক্যাম্পাসে নেমে পড়েছে বুয়েটিয়ানেরা। একত্রিত হয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলে। কেউ তাদের কানে মন্ত্র দেয়নি, কেউ তাদের পেছনে অস্ত্র ধরেনি, কেউ তাদের দেয়নি সাহায্যের কোন নিশ্চিত আশ্বাস। কিন্তু রবোনগরী গল্পের সেই ক্যাপসুলের মানুষটির মতই মানুষের উপরেই বিশ্বাস রেখে গেছে বুয়েটের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। গান গেয়েছে, করেছে মিছিল।

ভাসমান এই মিছিলের অগণিত মুখের মাঝে ক্ষুদ্র,অকিঞ্চিৎ আমাদের ঘুরে বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে। অবাক হয়ে আমরা দেখেছি কী অসাধারণ শৃঙ্খলা আর একতার পরিচয় দিয়েছে ছেলেমেয়েরা। কোন গোলমাল নেই, কোন অসহিষ্ণুতা নেই। আমরা দেখেছি এমনকি তীব্র শীতের বাতাসে সারিবেঁধে মেয়েরা বসে আছে রেজিস্টার ভবনের করিডোরে, আমরা দেখেছি রাত জেগে ফটক আগলে রেখে ক্যাম্পফায়ার করেছে ছেলেরা।

সময়ের সাথে সাথে বেড়ে যাবার কথা অনিশ্চয়তা। কিন্তু ক্যাফেতে চলেছে হরদম টুয়েন্টিনাইন, রাত চারটায় ছেলেদের দেখেছি ক্যাফের প্রাঙ্গনে ফুটবলে লাথি মারতে, বুয়েটের বিশাল অডিটোরিয়ামের মঞ্চে সারি বেঁধে ঘুমিয়ে পড়েছে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়া ক্লান্ত ছাত্রের দল। কী অদ্ভূত, কী অবিশ্বাস্য !!

নববর্ষের রাতে লোকজনে কত আনন্দ করে। পটকা ফুটায়, প্রমোদ ভ্রমণে যায়, রাতজাগা পার্টিতে গান শুনে নাচে। আর বুয়েটের বেকুব পোলাপান নববর্ষ উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে, শীতে কাঁপতে কাঁপতে জাগরণের গান গেয়ে। নতুন বছরের সূর্য উঠেছে, নতুন আশা নিয়ে।

সকল কাঁটা ধন্য করে রায় এসেছে, অভিযুক্তরা শাস্তি পেয়েছে। বুয়েটের শিক্ষকদের স্যালুট !! স্যার, আপনারা সাধারণ ছাত্রদের জানান দিলেন এখনো কেবল আপনারা আছেন বলেই বুয়েট অনন্য আছে, কেবল আপনারা আছেন বলেই আমরা আশ্বস্ত হতে পারি- এটি দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসনেই আছে !! আপনাদের প্রতি সাধারণ ছাত্রেরা আস্থা হারায়নি কখনো, কখনো হারাবেও না।

মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিলো চৌরিচৌরা গ্রামবাসীদের আকস্মিক হঠকারিতায়। কিন্তু কই, বুয়েটের একটা কাঁচও তো ভাঙ্গেনি কোথাও !! গান্ধীর আদলে মুন্না ভায়ের মতোই হাসিমুখে গান-কবিতা-কার্ড চলেছে সমানে, কিন্তু ঘূর্ণাক্ষরেও বুয়েটের ছেলেপিলেরা একবারের জন্যেও অসহিষ্ণু হয়নি, গায়ের জোরও দেখায়নি।

হাসিমুখে একাকার প্রতিটা মুখের দিকে তাকিয়ে, প্রতিটি গর্বিত ফেসবুক স্ট্যটাস প্রত্যক্ষ করে, শান্তিপূর্ণ অবস্থানের প্রতিটা টুকরো ছবির দিকে তাকিয়ে আজ আমাদের বড় ভালো লাগে।

দারুচিনি দ্বীপ, তুমি মুড়ি খাও। আর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থনে এই অনন্যসাধারণ তিনটি দিনকে আলো করে রাখা প্রতিটি বুয়েটিয়ান নাও টুপি খোলা কুর্ণিশ !!


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি

মন্তব্যটা এই লেখাটা ঈশানের জন্য তে করেছি, এখানেও করছি।

সাবাশ বুয়েটের সাহসী ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই সাথে বুয়েট প্রশাসনকেও ধন্যবাদ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের জন্য। কিন্তু হাইকোর্টে রীট করে এই অপরাধীরা যেন আইনের ফাঁক গলে বের না হয়ে যায় যেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে যা হয়, এই দোষী ছাত্ররা এখন হাইকোর্টে রীট করবে। ফলে হাইকোর্ট বুয়েট প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সেক্ষেত্রে স্থগিত করবে। এর পর এই দোষীরা আবার ক্লাস করতে পারবে আর সেই সাথে কেইসও চলবে। তারপর একসময় রাজনৈতিক ফায়দা নিয়ে এই কেইসগুলোতে ওরা জিতে যাবে। কিছুই হবেনা ওদের। সনি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটিই ঘটেছিল।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ছাত্ররা আশা রাখি ঐক্যবদ্ধ থেকেই সব করবে ভাইয়া হাসি

এমিল  এর ছবি

ভালবাসি ক্যানভাসকে.........ভালবাসি বুয়েটকে..... হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো লেখাটা সুহান। যাবার খুব ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু একবারের জন্যেও যেতে পারলাম না, নানা ঝামেলায় পড়ে। সাধারণ ছাত্ররাই সবসময় প্রমাণ করে এসেছে, সবকিছু এখনও নষ্টদের অধিকারে চলে যায়নি!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তানিম এহসান এর ছবি

স্যালুট! সচল জাহিদ ভাইয়ের মন্তব্য ধরে বলতে চাই - চূড়ান্ত বিচার হউক।

আপনারা বেরিয়ে যাবেন ক্যাম্পাস থেকে কিছুদিনের মধ্যেই, তারপর হয়তো আস্তে আস্তে এটা চাপা পড়ে যাবে - আমার এই কথা মিথ্যে হউক!

অরফিয়াস এর ছবি

তোদের শান্তিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক... তোরাই ... "অরুনোদয়ের তরুণদল" ...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

শাস্তিপ্রাপ্তদের অপরাধ 'সন্দেহাতীতভাবে' প্রমাণের পরেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের 'আপিল' করার ব্যবস্থা রেখে দিয়েছে দেখলাম। এইটা ভালো কথা না। আপনাদের চূড়ান্ত বিজয় এখনও অর্জিত হয়নি সুহান। সেদিনই আপনারা নির্ভার হবেন যেদিন আপিল বিভাগ থেকেও আজীবন বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে সুজিত সাহা আর সাইফুল্লা শিকদার মিথুনের। তার আগ পর্যন্ত বিজয় নিশ্চিত হয়েছে মনে করে আনন্দোল্লাস না করাটাই ঠিক হবে মনেকরি।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

একদম সত্যি কথা। তারপরেও সাধারণ ছাত্ররা এই কয়দিন খাবার সরবরাহ থেকে শুরু করে সমস্ত ছোটবড় কাজে যে একতা দেখিয়েছে, তার জন্যে অবশ্যই তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে না কেন? যেকোনো সাধারণ নিয়মে?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এটা ভাবছিলাম অবশ্য। কিন্তু যদি আত্মপক্ষ সমর্থনের কথাই আসে, তাহলে তো বলতে হয়, অভিযুক্তদের সাথে কথা বলেই তবে ডিসিপ্লিনারি কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা সেখানে আত্মপক্ষ অবশ্যই সমর্থন করেছে। এবং তাদের অপরাধ 'সন্দেহাতীত'ভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

আর (সাধারণ নিয়মে) আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ থাকে কোনো মামলার রায়ের আগে। রায় হয়ে যাওয়ার পরে আর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকে না। তখন রায়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, যেটাকে (রায়ের বিরুদ্ধে) আপিল বলে।

তো এইক্ষেত্রে, সমস্যাটা হলো আপিলে রায়টাকে বদলে দেয়ার একটা সুযোগ রয়ে গেছে অমুক, তমুক কিংবা বালছাল কোনো একটা গ্রাউন্ডে!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপিল জিনিসটা আসলে বেসিকালি আত্মপক্ষ সমর্থনের আরো একটা সুযোগ। আমি সেই অর্থে বুঝাইছিলাম। আসল বিষয়টা হইল কোর্টে যাওয়া নিয়া। বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের আমলযোগ্য ফৌজদারীর বিচারের জায়গা হইতে কোনোভাবেই পারে না। তারা বড়জোর মিমাংসা করতে পারে। বিচারের এক্তিয়ার তাদের নাই। থাকা উচিতও না। আমার ক্ষুদ্র পয়েন্ট হইল এইটা।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় ফৌজদারী বিচারের জায়গা হতে পারে না বলেই অভিযুক্ত শুয়োরদের বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ফৌজদারী শাস্তি দিতে পারে নাই, দেয় নাই। দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যে শাস্তি দেয়া সম্ভব সেটাই। এবং এইটাই মীমাংসা, উভয়পক্ষের সাপেক্ষে।

তবে, যেহেতু ফৌজদারী আদালতের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য আছে, সেহেতু ফৌজদারী আদালতের ন্যায় 'আপিল' ব্যাপারটার ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয় পার্থক্যটুকু বজায় রাখতে পারতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত ফৌজদারী না বিধায় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের (ফৌজদারী সিদ্ধান্তের অনুরূপ) ব্যবস্থা রাখাটা শুভঙ্করের ফাঁকির মতোই অনুভূত হচ্ছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ঠিক। সংঘটিত ঘটনাটি আদালতে আমলযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ডিসিপ্লিনারি কমিটি দায়ী ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড করতে বা বহিষ্কার করতে পারে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ যা করেছেন সেটা তাদের অবস্থান থেকে ঠিকই আছে। কিন্তু তার মানে এই না যে সংঘটিত ফৌজদারী অপরাধটির মীমাংসা হয়ে গেছে। সেটির ফয়সালা আদালতেই করতে হবে। সেখানে সকল পক্ষ নিজ নিজ বক্তব্য ও প্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন। বিজ্ঞ আদালত সেগুলো বিচার করে যা রায় দেবেন সেটি কার্যকর হবে। কোন পক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করতে চাইলে উচ্চতর আদালতে যাবার সুযোগও খোলা আছে।

ডিসিপ্লিনারি কমিটির রায়কে চূড়ান্ত মনে করে আনন্দিত হয়ে চুপ করে গেলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ আরো হবার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যাবে। বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে সংঘটিত ফৌজদারী অপরাধগুলোর বিচার আদালতে সমাপ্ত না হওয়ায় ক্যাম্পাসগুলো অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আর অপরাধীরাও এক প্রকার ইনডেমনিটি পেয়ে গেছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সবকিছুই ত্যাগ করে তবু আমরা ছিনিয়ে এনেছি সত্যসূর্য!!!


_____________________
Give Her Freedom!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অভিনন্দন তোমাদের সবাইকে হাততালি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রু (অতিথি) এর ছবি

অভিনন্দন জানাই। খুব ভালো লাগলো আপনাদের প্রাথমিক সাফল্যের কথা জেনে। প্রাথমিক বলার কারণটা উপরে অনেকেই বলে দিয়েছেন। তবে এই সাফল্য কোনভাবেই ছোট করে দেখার নয়। খুব অবাক লাগছিলো শিক্ষকদের মৌন অবস্থান দেখে। সবাই নিশ্চয়ই রাজনীতির সাথে জরিত নয়, তাহলে এই নির্মম ঘটনার প্রতিবাদে সেই শিক্ষকরা পিছিয়ে ছিলেন কেন?

ছোট থেকে শুনে এসেছি, পিতামাতার পরে শিক্ষকের স্থান। এই সমীকরণে কি দাঁড়ায় না যে নিজের সন্তানের পরেই স্নেহের স্থানটা ছাত্রদের? সেই ছাত্রের উপর যখন এই অমানুষিক নির্যাতন চলে, তখন একজন শিক্ষক কীভাবে চুপ করে থাকেন?

তাপস শর্মা এর ছবি

অভিনন্দন এবং গুরু গুরু

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে দাবী আদায় করাতে অংশগ্রহনকারী সকলকে অভিনন্দন। চলুক
নতুন বছরে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসমুক্ত হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।.. হাসি

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

স্যালুট তোমাদের সবাইকে সুহান!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

অভিনন্দন। এবং ঈশানের জন্য অনেক শুভকামনা, সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।

উচ্ছলা এর ছবি

কিন্তু ঘূর্ণাক্ষরেও বুয়েটের ছেলেপিলেরা একবারের জন্যেও অসহিষ্ণু হয়নি, গায়ের জোরও দেখায়নি।

চলুক গুরু গুরু

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

অভিনন্দন। তবে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। বরাহরা যেন আবার ফিরে আসতে না পারে।

সাজ্জাদ সাজিদ এর ছবি

বাধা দিও না ওদের।
বাধা পেলে শক্তি নিজেকে নিজে চিনতে পারে,
চিনতে পারলেই আর ঠেকানো যায় না।
--রবীন্দ্র কাব্যনাট্য(কালের যাত্রা)

নাশতারান এর ছবি

তোমাদের সবার প্রতি রইলো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

তোমাদেরকে অভিনন্দন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দ্রোহী এর ছবি

সিরাম ভাল খবর! হাসি এখন হাইকোর্টে আপিল করে যেই লাউ সেই কদু না হলেই হলো।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু 'কুয়েট' নিয়ে নতুন দুশ্চিন্তায়...।

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

চলুক

স্বাধীন এর ছবি

অভিনন্দন তোমাদের সকলকে। ভালো একটি দৃষ্টান্ত হলো। হ্যাটস অফ সংশ্লিষ্ট সকলকে। এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল অহিংসতা এবং একতা। আশা করি এই ধারাটা বহাল থাকবে পরবর্তীতেও। বুয়েট বসন্ত জারি থাকুক সব সময়। জয় হোক, ডিরেক্ট ডেমোক্রেসীর। আশা করবো পরবর্তীতেও যে কোন সমস্যায় সাধারণ ছাত্রদের মতামতই সব সময় যেন গ্রহণ করা হয়।

এখন সবাইকে একটি অনুরোধ, দয়া করে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনটা বন্ধ হোক। সকল ছাত্র/শিক্ষক মিলে বছরের শুরুতেই কয়দিন পর পরীক্ষা, কয়দিন পিএল, কয়দিন গ্যাপ দরকার সেগুলো নির্ধারণ করুক এবং সেটাতে স্টিক থাকুক। এই বার বার পরীক্ষা পেছানোটা একজন বুয়েটিয়ান হিসেবে মানাটা কষ্টকর।

খালিদ এর ছবি

এখন সবাইকে একটি অনুরোধ, দয়া করে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনটা বন্ধ হোক। সকল ছাত্র/শিক্ষক মিলে বছরের শুরুতেই কয়দিন পর পরীক্ষা, কয়দিন পিএল, কয়দিন গ্যাপ দরকার সেগুলো নির্ধারণ করুক এবং সেটাতে স্টিক থাকুক। এই বার বার পরীক্ষা পেছানোটা একজন বুয়েটিয়ান হিসেবে মানাটা কষ্টকর।

চলুক সর্বাংশে সহমত!

চরম উদাস এর ছবি

অভিনন্দন গুরু গুরু

খালিদ এর ছবি

আন্দোলনে থাকা সবাইকে, বুয়েটের সব সাধারণ স্টুডেন্টকে টুপি খোলা স্যেলুট!
এই বিজয়টা যেন হারিয়ে না যায়, সেই দোয়া করি...

সাজ্জাদ সাজিদ এর ছবি

চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।