শ্মশান পাখিরা, সন্ধ্যায় ( শেষ অধ্যায় )

সুমন সুপান্থ এর ছবি
লিখেছেন সুমন সুপান্থ (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৬/২০০৮ - ৭:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

<<আগের পর্ব>>

বিলেত ফেরত্ কামরুল ভাই ব্যবসা করবেন ঠিক করেছেন । একটানা প্রায় এক যুগ সাদা সাদা মানুষের দেশে কাটানোর পর তার বোধ-বিশ্বাসে নড়চড় হয়, ভাবেন যে, যতসামান্য টাকাপয়সা তিনি সঞ্চয় করেছেন সেটা দেশে বিনিয়োগ করাই উত্তম ( হয়তো মহত্তম ও ) । বিশেষত : এমন কোন ব্যবসায়,যাতে কিছু বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান হয় । সেই আশির দশকে উর্দিপরা রাস্ট্রপতির দলে যোগ দিয়ে কামরুল ভাই যে ধরণের প্রতিজ্ঞা বিলিয়ে গেছেন ক্লাসে ক্লাসে,কলেজ মাঠে-- এই বোধ সে সব কিছু থেকেই আলাদা, একান্তই মনোঙ্খাক্ষা থেকে উত্সারিত । কামরুল ভাই এরকমই ব্যাখা দেন তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের । আর লোকেরা,কামরুল ভাই বলেন নিন্দুকেরা, ভিন্ন তথ্য ছেড়ে দেয় হাওয়ায় ! তারা বলে যে,বিলেতে কামরুল ভাইদের পৈত্রিক যে ভাতের হোটেল,'ইন্ডিয়ান তান্দুরি হাউস' বলে অভিজাত একটা ভূষণ দেয়া হয়; তা নিয়ে কামরুল ভাইদের দু'ভাইয়ে ঝগড়া চলছে তুমুল । আর আশ্চর্য, কামরুল ভাইয়ের ভ্রাতৃবধু আছেন তারই পক্ষে ! নিন্দুকেরা তাই ফোড়ন কাটে, ' !! ছোট ভাইয়ের স্ত্রী র সঙ্গে পরকীয়া বিষয়টা গড়িয়েছে কোর্ট-পুলিশ পর্যন্ত । জেল থেকে বাঁচতেই তাই কামরুল ইসলাম পালিয়ে এসেছেন দেশে । আর দেশে এসে মহান সব বুলি আওড়াচ্ছেন । যে টাকা-পয়সার গরমে শহর উষ্ণ করে তুলছেন,সরকারী ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বলে আসন পোক্তের অভিপ্রায়ে আলো ছড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠে; সেই টাকা ও তছরুপ করেছেন ছোট ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট থেকে ! শুধু তাই নয়, তাকে তাড়া করে তার ছোট ভাইও এখন দেশে ! খেলা জমলো বলে !

কামরুল ভাই ভালো খেলেন বলে এইসব শুনেও তার নির্বিকার থাকতে হয় । থাকেন । বলেন, কে কি বললো,তাতে আমার কিছু আসে যায় না । আমি তরুণদের নিয়ে কাজ করতে চাই । সেইসব তরুণ - যাদের শক্তি আছে,সাহস আছে । কাজ করার স্পৃহা আছে । কিন্তু কাজ নেই । কাজ দেবার দায়িত্ব আমার । আমি এদের দিয়ে শহরের রূপ পাল্টে দিতে চাই । আমার কোনও ধান্দা নেই - সেটা প্রমাণ করতে চাই । প্রমাণ করতে চাই আসলেই আমি এই শহরের তরুণদের জন্য কিছু করতে চাই ।

তা ঠিক,ব্যবসা কি, শহরের রূপ পাল্টে দেবার ক্ষমতা কামরুল ইসলাম ভালোই রাখেন । শহরবাসী দু'একবার তার প্রমাণ ও পেয়েছে এরই মধ্যে । পৌর কর্তৃপক্ষের পুঁতে রাখা সীমানাস্তম্ভ উপড়ে ফেলে নিজের নামে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে, সেখানে লিখে রেখেছেন
"এই জমির সত্বাধিকারী
কামরুল ইসলাম
২৩/ক, শান্তিবাগ "

পৌর চেয়ারম্যান কিংবা কর্তৃপক্ষ তখন কেবল আঙুল চুষেছেন,না কি কেবল মাথার চুল ছিঁড়েছেন শহরবাসী জানতে পারেনি । তারা শুধু জেনেছে তাদের শহরে আরও একজন নতুন ক্ষমতাবানের আবির্ভাব হয়েছে । আর আমরা, আমদের সেই চালাক করিত্ কর্মা বন্ধুটির কথায় সম্মোহিত হয়েই, অথবা কামরুল ইসলামের ক্ষমতাকে সম্মান জানাতেই কি না কে জানে, নিজেদের কে কামরুল ভাইয়ের সেই কাঙ্খিত শক্তি,তারুণ্য বলে সনাক্ত করি !

আমরা আবার এক হয়ে বসে যাই । পুরোনো বিন্দুগুলো মিলে বৃত্ত ! কামরুল ভাই উদ্যোক্তা । মনে মনে তাকে ধন্যবাদ জানাই আমরা । তার বদলেই তোআমরা আবার ফিরে পাই আমাদের চেনা মুখগুলো,বিগত আড্ডা । কিন্তু আমাদের কাজটা কি, সেটা আমরাকেও জানি না ! আমাদের নেতা গোছের বন্ধুটি ও না । কামরুল ভাইয়ের ঠিকাদারি ব্যবসা আছে । মাঝে মাঝে আমরা তার সাথে আমরা সেসব কাজের জায়গাগুলো ঘুরে আসি । কামরুল ভাই কাজকর্মের অগ্রগতি দেখেন । আমরা দেখি কামরুল ভাইকে । আর বাকিরা সব আমদের দু' পক্ষকে ই দেখে । দেখে, ভয় পায় । আর তার বদলে মাস ঘুরে এলে আমরা পাই একটা করে খাম । তাতে অনেকগুলো টাকা থাকে । কিন্তু এই টাকাগুলো দিয়ে আমরা কি করতে পারি - সেটা আমরা জানি না ! আমাদের ভাই অমল এরই মধ্যে মারা গেছে । বাবা হরিহর ও
আর ফিরে আসেন নি ! আমাদের মা সর্বজয়া গ্রামীন ব্যাংক কি ব্রাকের ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগি পালন করতে শুরু করেন । তবু আমরা আর গ্রামে যাই না । কিন্তু মাঝখানে কতোগুলো দিনের দুরত্ব,তা বোধ করি । মনে মনে মাপার চেষ্টা করি কেউ কেউ । শেষবার যখন আমরা এই শহর ছেড়ে যাই ; তার আগে এই শহের হাওয়া ছিলো অন্য রকম, ধুলোর গন্ধ আলাদা । বাতাসে হ্যালোজেন আলো মিশে যে রং তৈরী করে আজ, তার সঙ্গে সেই শহরের কোনও রঙের মিল নেই ! সেই ঝুপরি ঘরে চা-সিঙাড়া-বিকেল আজ উঠে এসেছে । উঠে এসে,থমকে গেছে দামী হোটেলের এই কর্ণার কেবিনে ! এমত বোধে আমরা যখন স্মৃতিতাড়িত হয়ে উঠি, নষ্টালজিক ও -- তত্ ক্ষণাত আমরা সচেতনও হয়ে ওঠি । ধ্যুত্ বলে তাড়িয়ে দিতে চেষ্টা করি সেসব ।

কিন্তু অভ্যাস যেহেতু নিকট অতীতের, আমরা আবারও গোল হয়ে আসতে চাই । ঘন হয়ে হাটি । রাতের গভীরতা মাপতে চাই । রাস্তার পাশের দোকানগুলো তখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একে একে । দোকানীরা বাড়ি ফেরার প্রাক-প্রস্তুতি কালে তাজ হ্যারিকেনগুলো নেভালে, চৌমুহনার রাস্তা-ঘাটও নিঝুম হয়ে আসে । তার ও আগে আশেপাশের অনেক বাড়ির আলো নিভে গেছে । কচিত্ কোন ধাবমান গাড়ির হর্ণ; শীতার্ত কুকুরের কাতর ডাক কিংবা আমাদের কারো দু' ঠোঁট উত্ সারিত শি্সের শব্দ ছাড়া রাতের নিস্তব্ধতা ভাঙার মতো অন্য কোন আওয়াজ নেই । এমনি এক সন্তর্পণ ভেঙে আমাদেরই কেউ একজন সাবাইকে কাঁপিয়ে তুলে ! তার পরিবেশিত তথ্যে আমাদের ভেতর বোবা হয়ে আসে । আমরা আনন্দ ও বিস্ময়ের যূগপথ ধাক্কায় নিজেদের কাছেই অজ্ঞাত হয়ে উঠি । স্নিগ্ধা ! স্নিগ্ধা কি সেই স্নিগ্ধা....!

- হ্যাঁ, আমি নিজে দেখলাম আজ দুপুরে ।আমদের স্মৃতিগোলক তখন পিংপং বলের মতো লাফাতে লাফাতে সামনে এসে যায় । আমরা তখন তথ্য সরবরাহকারী বন্ধুটির কথা নিজেদের মতো সাজাই । সাজিয়ে, বুঝি যে, আজ দুপুরে আমাদের সেই বন্ধুটি স্নিগ্ধাকে শহরের সবচেয়ে দামী ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে শপিং করতে দেখেছে । স্টোরের কোনায়, মেয়েদের সেকশ্যানে দাঁড়িয়ে স্নিগ্ধা তখন ব্রা কিনতে যাচ্ছিলো । আর ছোকরা সেল্সম্যান রঙ-বেরঙের অনেকগুলো ব্রা স্নিগ্ধার সামনে স্তুপ করে রাখছিলো । কিন্তু তার কামকাতর চোখ দু'টি গেথেঁছিলো স্নিগ্ধার দুধসাদা বাহুতে, যা কি না হাতকাটা ব্লাউজ আর পিনপিনে শিপন শাড়ির আবরণ ডিঙিয়ে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতরো হয়ে ফুটে উঠছিলো !

কিন্তু বিলেতে এতোসব নামী দামী ব্রান্ড এবং ডিজাইনের বক্ষবন্ধনী থাকতে স্নিগ্ধা কেন দেশে ফিরেই এম বি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ব্রা কিনতে এলো ? - এমন প্রশ্ন আমাদের মনে উঁকি দিলে আমরা নিজেরাই আবার এটা ভেবে একটা যুতসই উত্তর তৈরি করে ফেলি যে, স্নিগ্ধার সবগুলো ব্রা-ই হয়তো সিন্থেটিকের,এই গরমের দেশে যা খুবই অস্বস্তিকর । যা তার পিনোন্নত বুকে চুলকানোর উদ্রেক ঘটাতে পারে ! তাই হয়তো সে সূতি কাপড়ের ব্রা কিনতে এসেছিলো । স্নিগ্ধার মাখনকোমল বাহু...সুডৌল বক্ষজোড়...ব্রা - এমন সব শব্দমালা, এই মধ্যরাতে অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে আমাদের মগজে । প্রথম যৌবনের প্রার্থিত নারী ; তার শরীর কে কল্পনায় ভেবে ভেবে আমরা এক আশ্চর্য যৌন পুলক অনুভব করি ।

আমরা পরষ্পরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে আমাদের ভয় এবং অনভিজ্ঞতার চিহ্ন প্রকাশ করলে, কামরুল ভাই আমাদের আশ্বস্ত করেন, ' আমি আছি না ! মূল দায়িত্ব যে নেবে, মানে যে মূল কাজটা করবে, অই মহিলা তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে । আর বাকিরা প্রত্যেকে দুই লাখ করে পাবে । আজকাল এরকম কাজ একটা ব্যাপার হলো ! থানা পুলিশ আমি দেখবো ..... , আমরা কেউ কথা বলি না । বলতে পারি না আসলে ।এক অনির্বচনীয় উত্তেজনা ঘিরে ধরে আমাদের । আমরা নিজেদের আয়ত্বে রাখতে পারি না । গাছের পাতার মতো তিরতির করে কাঁপতে থাকে আমাদের হাত পা । আমাদের নেতা গোচের বন্ধুটি শুধু বলে, ' চিন্তা করবেন না কামরুল ভাই , সব ঠিক মতোই হবে । আপনি শুধু ওদিকটা দেখবেন । বুঝেনই তো, আমাদের প্রথাম কাজ .... ! '
পুরো শহরটাই ছোট ছোট পাহাড়ের মাথায় । ভাঁজে ভাঁজে খুলে পাহাড় মিশে গেছে সমতলের জনবসতিতে । আর অন্য প্রান্ত শহরের, আচমকাই মাঝ পথে নষ্ট হয়ে যাওয়া বাসের মতো থেমে গেছে ঠিক মনুর তীরে এসে । তারপরই বিস্তীর্ণ চর । সেখানেই কারা যে কবে থেকে মানুষ পোড়াতে শুরু করেছে, আমরা জানতে চাই নি কোনও দিন । কেবল নিবিড় নির্জনতার ভেতর ঢুকে যেতে যেতে আমরা এই সন্ধ্যায় সেখানে এসে দাঁড়াই । আমাদএর পেছনে হু হু হুংকার দিয়ে আসে প্রভাবশালী বাতাসের তোড় । এতোটাই নিকটে, ঘাড়ের পাশটা ছুঁয়ে যাবে এমন দূরত্বে ! দু:সহ আতংকবোধে আমাদের নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে ! পায়ে খিল পড়ে । বাতাস কে এর আগে আমরা এতো ভয় পাই নি কভু । এমন ক মক্তব ফেরত্ এক সকালে রাগী কালবৈশাখীর মুখে পড়লেও না ।

আমরা স্থানুর মতো পরষ্পরকে জড়িয়ে ধরে দাড়িয়ে থাকি । থেমে থেমে কেঁপে উঠি । আর এক প্রবল অবিশ্বাস নিয়ে একে অপরের দিকে তাকাই । দেখি, দূরে - চিতার আগুনে, চারদিকের অন্ধকার ছিঁড়ে ফেটে যাচ্ছে ঠিকই; আবার নদীতীর ভরে আধাঁর নামছে ঘন হয়ে ! আমরা শুকনো চরের উপর পা রেখে অনুভব করি, অনতিদূরে নদীময় আতংকের কলধ্বনি শুরু হয়েছে ! আর শ্মশান যাত্রীরা বুঝি চিতার আগুন উসকে দিলো আরেকটু ! এক অদ্ভুত ঘূর্ণি হাওয়া কোত্থেকে উড়ে এলো শ্মশানের নি:সীমতায় । সে হাওয়া কি ভয়ানক শক্তিশালী ! বিধ্বংসী ! মুহুর্তে হাওয়ার ঘূর্ণি পরিনত হয়ে যায় ঝড়ে । এর আগেও আকাশে মঘ ছিলো না কোথাও, এখন আমাদের মাথার উপর ঘন কালো নিশ্ছিদ্র চাঁদোয়া ! দাপুটে বাতাস হঠাত্ চিতার উপর থেকে আগুনের আঙড়া তুলে এনে আমাদের দিকে ছুঁড়ে মারতে থাকলে আমরা দোররা-দন্ড প্রাপ্ত আসামিদের মতো দু'হাত তুলে নিজেদের বাচাঁতে চেষ্টা করি । পারি না ! আমরা ভয় পেতেই থাকি । কেননা শ্মশানঘাটের এমন ভয়ংকর রূপ আমরা এর আমরা দেখিনি কোনওদিন । মানুষ পুড়ানোর দৃশ্যও না । আমাদের ভেতরসুদ্ধ কি এক তোলপাড় বিষাদ বেদনার দিকে টেনে নিয়ে যায় !
অথচ ধারণা এমন ছিলো না । এই সন্ধ্যাবেলা ...বিগত রাতের ঘটনা...,গুলি...কামরুল ইসলামের ছোট ভাইয়ের খুন হয়ে যাওয়া ! আর খুন হওয়া স্বামীর এই লাশ ফেলে স্নিগ্ধার উড্ডয়ন, আর বেচেঁ থাকবার আকাঙ্খা নিয়ে আমাদের পালাতে যাওয়া -- এমতো অপরিসীম উত্ কন্ঠায় ডুবে যেতে যেতে আমরা মূমুর্ষ হয়ে উঠি। আর তখনই কে যেন বলে উঠে, না কি আমাদেরই কোন একজনের স্বগতোক্তি 'আকাশে তাকাও' আমরা তাকাই। কিন্তু চিতার ধোঁয়ার ফাঁকে আমরা কিছুই দেখতে পারিনা। পেছনে মনুর গর্জন আরো বাড়ে। আমরা পালাতে চেষ্টা করি। কিন্তু চিতার ধোঁয়া আরো সর্বগ্রাসী হয়ে উঠলে আমরা আন্দাজ করতে পারিনা কোন পথ ধরে আমরা দৌড়াবো !


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

কিছু কিছু গল্প থাকে যার কাহিনীটাই মুখ্য, পড়িয়ের আগ্রহ ধরে রাখে শেষ পর্য্যন্ত, পড়া শেষ করার পর সেই চমকটার রেশ রয়ে যায়। আর কিছু কিছু গল্প থাকে যার মূল আকর্ষণ তার লেখার ভঙ্গি, অতুলনীয় ভাষার ছন্দ, পড়া শেষ করার পরও পড়ার সেই ভালো লাগাটার রেশ রয়ে যায়। এই গদ্যটা - হ্যা, গদ্য, অবশ্যই - পড়ে সেই দ্বিতীয় দলে। তাতে খুব অবাক হই নি, কারণ আপনার লেখার ভঙ্গির সাথে পরিচিত বলে, সেরকমটাই হবে বলে ধারনা করছিলাম।

তবে, একটা ছোট্ট সমালোচনা আছে। স্নিগ্ধার শহরে ফেরার কথাটা আরো একটু কি বলবো tangentially বা খুব আল্‌তো করে জানিয়ে দিলে বোধহয় ভালো হত স্মৃতিকাতরতার খুব বেশী বর্ণনা না দিয়ে। কারণ পড়তে পড়তেই বুঝতে পারছিলাম যে স্নিগ্ধা কামরুলের ছোট ভাইয়ের বউ হবে, কাহিনীর অভিঘাত এ ছাড়া আর কোন ভাবেই বা এত প্রবল হতে পারে? সেজন্যই আরেকটু অস্পষ্টতা থাকলে ভালো লাগতো বলে আমার, একান্তই ব্যক্তিগত, ধারনা।

আর একদম শেষের প্যারাটা - লাইনটা নয়, সেটা একদম যথাযথ - জানি না কিভাবে কিন্তু অন্যভাবে হলে ভালো হতো বলে মনে হয়।

তবে 'সফল', নবীন গদ্যকারকে অভিনন্দন - অবশ্যই হাসি

সুমন সুপান্থ এর ছবি

# আপনার মন্তব্যের শেষ থেকেই শুরু করি স্নিগ্ধা । অতি বিনয়ের সহিত গল্পকার আপনার অভিনন্দন গ্রহণ করেছেন ।

#
আর একদম শেষের প্যারাটা - লাইনটা নয়, সেটা একদম যথাযথ - জানি না কিভাবে কিন্তু অন্যভাবে হলে ভালো হতো বলে মনে হয়।
গল্পটা লেখা বা শেষ করার সময় সেটা মনে হয় নি । গল্পকার বরং এইসব ভ্রান্ত ,ভুলপথযাত্রী তরুণদের কি, আরও রূপকে গেলে পুরো একটা প্রজন্মের দিকচিহ্নহীনতা কে শনাক্ত করতে চেয়েছিলেন । ( পারেন নি যে, লেখাই বাহুল্য ) হয়তো এর চেয়ে ভালো ভাবে বা আপনার ভাষায় অন্যভাবে শেষ করবার শক্তিই নেই কব্জির মূলে, নবিশ এই গল্পকথকের !

‍# গল্পে অতিকথন, পাঠককে শিক্ষার্থী ভেবে সব কিছু ভেঙ্গে ভেঙ্গে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখিয়ে দিতে গিয়ে সবটাই স্পষ্ট করে তোলা, আমার নিজের ও দু' চোখের বিষ ! আপনার মন্তব্যের পরে তো বটেই, এর আগে ও দু' একবার গল্পের এই অংশের বিষয়টা ধরতে পেরেছিলাম । কিন্তু অনেক আগের লেখা, কেন জানি আর কাটাকুটি করা হয় নি । তবে এরপর কিছু কাজ করবোই এই অংশে ।

আপনার পাঠ-ক্ষমতার প্রতি আমার সশ্রদ্ধ অভিবাদন ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের তখন বেড়ে উঠার বয়স। ক্রমশ এক ক্লাস ডিঙিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছি। হঠাত্ একদিন আমাদের স্কুলে আসে কলেজের পলিটিক্যাল পার্টির নেতারা। একজনের দেখাদেখি আরেকদল। আসে আর আমাদের স্বপ্ন দেখায়। বন্ধু আর বড় ভাইদের অনেকেই নাম লেখায় তাদের দলে। তারা স্বপ্ন দেখে নিত্যদিন। তারপর অনেকদিন পরে দেখি সেইসব বন্ধু আর বড়ো ভায়েরা - ক্ষমতা আর প্রতিপত্তির লড়াইয়ে কী অমানুষ হয়ে গেছে। হায় সেই অমানিশার অন্ধকারের গল্পটিই কী সুমন সুপান্থ দা আমাদের শোনালেন।

পান্থ রহমান রেজা

সুমন সুপান্থ এর ছবি

গল্পগুলো সবারই এক কি না, পান্থ ! এইসব প্রতারনাময় ডিগবাজি দেখতে দেখতে পার্টির এক ছাত্র-কমরেড, আমার বন্ধু সত্যি সত্যি পার্টি ছেড়ে দিয়ে মোমবাতি ব্যবসা শুরু করে দিলে, এক ভয়াবহ অন্ধরাতে লেখা হলো এই গল্প নামের কর্মটি ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

গল্পটি পড়ে শেষ করলাম। বিত্ত , প্রেম , দ্রোহ ও হিংসা র আবহে
একটি চমৎকার গল্প লিখেছেন সুমন সুপান্থ।
গল্পে আন্চলিক শব্দের ব্যবহার নতুন নয়। এই সময়ে কথ্যভাষায় লেখার জনপ্রিয়তা বাড়াবার চেষ্টা করছেন আনিসুল হক রা। মিলন ও হূমায়ুন রা ও ব্যবহার করেন মাঝে মাঝে।হাসান আজিজুল হক চমৎকার ব্যবহার করেছেন তার ''আগুনপাখি'' উপন্যাসে।
ইংল্যান্ড কেন্দ্রিক ক'জন তরুন কবি -লেখক এর চর্চা করছেন সফলতার সাথে।
মুজিব ইরম, দেলোয়ার হোসেন মন্জু , সুমন সুপান্থ তাদের অন্যতম।
নিজেরা সিলেটি বিধায় তারা খাঁটি ''ছিলটি'' ভাষার প্রমোটে শক্তি যুগিয়ে যাচ্ছেন। ব্রাত্য রাইসু , সাখাওয়াত টিপু, এবাদুর রহমান , কামরুজ্জামান কামু সহ নব্বই / শূণ্য দশকের আরো অনেকেই এ সময়ে কথ্য ভাষার প্রবক্তা।
প্রশ্ন হচ্ছে , কথ্যভাষার ব্যবহার আমরা বিশ্ব সাহিত্যে ও দেখছি।
কিন্তু মহাকালিক বিবেচনায় , বৃহত্তর পাঠক-পাঠিকার চাহিদা বিবেচনায় কথ্যভাষা কতোটা সিদ্ধি পায় ?
এ বিষয়ে একটা আলোচনা/ বিতর্কের উৎসমুখ শুরু করলে কেমন হয় ? সবাই মুক্ত আলোচনায় অংশ নিলে বাধিত হবো ।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

গল্পটা পড়া,পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ফকির ইলিয়াস ।
এই গল্পে আঞ্চলিক শব্দের অতোটা ব্যবহার আছে কি, আদৌ, সংলাপ ছাড়া ? আঞ্চলিক শব্দ, তার প্রয়োগ নিয়ে আলাদা একটা পোস্টে আলোচনা হতে পারে । সচেতনভাবে আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার করে লেখা আমার একটা গল্প আছে । এতো দীর্ঘ যে, আন্তর্জালে পড়ার জন্য বিরক্তিকর হবে, না হয় পোস্ট করা যেতো । আপনার বা অন্যান্যদের মন্তব্য পাওয়াটাও অনেক হতো আমার জন্য । আজকের কাগজে ছাপা হয়েছিলো । কাগজটার প্রকাশনা যেহেতু বন্ধ, লিংক দেয়া যাবে কি না বুঝতে পারছি না ।
ভালো থাকুন ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

তারেক এর ছবি

গল্পটা এখানে দিয়ে দ্যান, আমরাও পড়ি...ভাষা কি সিলেটি নাকি?
আপনি তো আছেনই, না বুঝলে বুঝে নেবো আপনার কাছ থেকে খাইছে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সুমন সুপান্থ এর ছবি

না না, সিলেটি ভাষায় লেখা কোন গল্প নয় । সংলাপে কিছু সিলেটি কথা-বার্তা আছে আর কি ! কিন্তু মুশকিল হলো বেশ দীর্ঘ এই লেখা কম্পোজ করতে হবে, ভাবলেই জ্বর আসবে নিশ্চিত ! আমার কম্পোজ করা,করতে যেয়ে যে কসরত্ , সেটা যদি একবার দেখতেন ! ( হাসান ) মোরশেদ জানে কিছুটা । দয়া করে তাই মাঝে মাঝে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় ।
দেখি .....

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লেখাটার পিডিএফ ভার্সন কিংবা অন্যকোনো ফরমেটে থাকলেও কিন্তু আপনি ইউনিকোডে কনভার্ট করে এখানে দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে অরূপ এবং মুর্শেদের কনভার্টারটা কাজে লাগাতে পারেন।

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ধন্যবাদ ধুসর গোধূলি । দেখি !
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

গল্পের প্রবাহটা আসলে কাহিনী ধরে এগয়নি মনে হয়, এগিয়েছে কথকদের মনের সূত্র ধরে। সেই সূ্ত্রের একটা হলো, যারা ছিল একসময় নায়িকার প্রেমের আবহে বন্দি, তারা সেই বন্দিত্বের মধ্যেই প্রেমিক থেকে পরিণত হয় তার ভাড়াটে মজুরে। কামরুল এখানে স্নিগ্ধারই প্রতিনিধি আর সে ভাড়া করে স্নিগ্ধার ঘোরে আটকে থাকা তরুণদের। এটা এক দারুণ রূপান্তর! এখানে সবাই বিরাট এক মেটামরফসিসের মধ্যে বদলে যাচ্ছে, কিন্তু অতীতের শর্তগুলো ভাংতে পারছে না। এভাবে তাদের জীবন যেন এক জীবন নয়, হয়ে যায় দুটো জীবন। একটায় তারা যেভাবে নিজেদের দেখতে চায় তা, আরেকটায় তারা যা হয়ে ওঠে তা : কামরুল, স্নিগ্ধা, কথকেরা কিন্তু প্রত্যেকেই তাদের পূর্বজীবনের খোলস মাত্র। কিন্তু বিষয়টা আভাসের মধ্যে ডুবে গেছে! স্নিগ্ধার কমেন্টেও তা এসেছে।

আর কিছু কিছু গল্প থাকে যার মূল আকর্ষণ তার লেখার ভঙ্গি, অতুলনীয় ভাষার ছন্দ, পড়া শেষ করার পরও পড়ার সেই ভালো লাগাটার রেশ রয়ে যায়। এই গদ্যটা - হ্যা, গদ্য, অবশ্যই - পড়ে সেই দ্বিতীয় দলে।

আমারও তাই ধারণা।
গল্প তো গল্পই। দর্শনও নয় বিবরণও নয় এবং নিছক আত্মকথনও নয়। সেকারণে এখানে দেখা যায়, গল্পের আবহই বেশি বেজেছে, গল্পের ধাক্কাটি বেশি লাগেনি গায়ে।
তাই বলব, এখানে যে গল্পের ভাব লেখককে বেশি দখল করেছিল এবং উনিও গল্পকে বেশ জাপটে ধরে রেখেছেন। তবে আমাদের গল্পে কাব্যময়তা লোপ পাওয়ার সময়ে এর কাব্যিকতার প্রতি সপ্রশংস না হয়ে উপায় নাই।
আরো অনেক কথা মনে আসছে। ভাল লেখার গুণই তাই, তা ভাবায় এবং পাঠকের মনে কথা তৈরি করে। ধন্যবাদ সুমন সুপান্থ। চালিয়ে যান।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

গল্প তো গল্পই। দর্শনও নয় বিবরণও নয় এবং নিছক আত্মকথনও নয়।
শ্রদ্ধাষ্পদেষূ ফারুক ওয়াসিফ, এক কি দুই শব্দের প্রতিক্রিয়া জানানোর জমাট সময়ে আপনারা সবাই যখন এমন নিখুঁত বিশ্লেষনের দিকে যাচ্ছেন, অপরিসীম কৃতজ্ঞ এই গল্পকারের দুর্বলতা ও তো তখন হাড়হাড্ডিসহ দেখা যাচ্ছে ! আপনার এমন প্রতিক্রিয়া দেখে ভালো লাগলো । হ্যাঁ, গল্প নিয়ে আমার ধারণা ও আপনার কথার সঙ্গেই যায় । গল্প শেষ বিচারে গল্পই, না আত্মকথন , না দর্শন-ভাষ্য ।
ভালো থাকুন , আর লিখুন গল্প ।

[ অপটপিক : প্রতিকাগজ এ আপনার এই আমাদের উড়ো কথার ছড়ানো খই পড়লাম । ]

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ঐটা প্রায় এক যুগ আগের লেখা এবং ছাপা হয়েছে ভুলের মিছিল সমেত। হয়তো কোনো ভাবে পিন্টু ভাইয়ের কাছে ওটা থেকে গিয়েছিল এবং উনি যতোটা পাঠোদ্ধার করতে পেরেছেন, তা-ই ছাপিয়েছেন। এই হলো অবস্থা।
না আমি গল্পের হাড়হাড্ডি আবিষ্কারের চেষ্টা করেছি। এবং করে দেখি সেখানে ধুন্ধুমার শক্তি লুকিয়ে আছে। আমার মনে হয়ে আপনার ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে সেই শক্তিকে আপনি কিছুটা আবেগের বাষ্পে ঢেকে রেখেছেন। নির্মোহ স্ব-সম্পাদনার রোদে সেই বাষ্প সরে গেলে জিনিষটা অপূর্ব হবে। ভেবে দেখবেন?
আর আলাদা করে আপনার গদ্যের প্রশংসা না করলেই নয়।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

পুতুল এর ছবি

আমাদের বেদিশা গুলো দেখলাম।
লেখা পড়া থেকে আমার অনেক দিনের বিরতির পর বর্তমান লেখা কেমন হয় বা হওয়া উচিৎ তা বলতে পারবনা। কখনো কি বলা সম্ভব?
গল্পের ১ম অংশে একটা কাব্যিক স্ফুরণ, ২য় অংশের শুরুর দিকে একটু শিথিল হয়। ২য় অংশের মাঝা মাঝি আবার কাব্যময়তায় ফিরে গিয়ে শেষটা আবার একটু শিথিল হয়। হয়তো কবি/লেখকের বোধের সাথে পাঠকদের মিলনের সুযোগ করে দিতেই।
গল্পের বিষয়-বস্তু আমাদের আরো কিছু লেখার কাঁচামাল যোগানদিয়ে যাবে। এক সময় আমরা অনেকটা অন্ধ ভাবেই আদর্শ ধারণ করে এমন কিছু মানুষের পেছনে ছুটেছি। আদর্শ শিখতেই হয়তো। অনেক কাছে এসে দেখেছি আসলে আদর্শ বলে কিছু নেই। যে যেভাবে পারছে বেঁচে থাকার সুযোগগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছে। আমারা শুধু পারঘাটাতে বসে ভাবছি কোন কূলে যাব!
আমাদের সংস্কৃতির দুটো ধারার ব্যবহৃত আঞ্চলিক শব্দগুলো আমার বিবেচনায় যুৎসই ছিল।

মহাকালের আবর্তে বেঁচে যাওয়া অনেক সাহিত্যের শব্দ আমরা শব্দকোষে খুঁজি। আমার মনে হয়: গল্পের বিষয় সার্বজনীন হলে তা আঞ্চলিক শব্দ নিয়েও কালের ব্যাপ্তি উৎরে যাবে।
খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারলাম, এমন একটা গল্প উপহার দেয়ার জন্য লেখককে ৫ তারা দিতে পারি।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সুমন সুপান্থ এর ছবি

প্রথম যখন লিখতে শুরু করি এই গল্পটা, খুব দ্বিধায় ছিলাম - কেউ পড়বে কি না ! নেটে পড়ার জন্য একটু দীর্ঘ আর বিরক্তিকর যে হবে, জানাই ছিলো । তারপর ও গল্পের দুইপর্বেই আপনার/ আপনাদের মন্তব্য গল্পলেখক কে নিশ্চিত প্রাণিত করছে ।
আপনার মনযোগ অর্জন করতে পারাকে ও ভাবছি সর্বোচ্চ ভালোবাসা প্রাপ্তি বলে । ভালো থাকুন,পুতুল ।
ও হ্যাঁ, আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার নিয়ে আমার নিজের একটা ও মত রয়েছে, অন্য কোনও সময় শেয়ার করা যাবে ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

দ্রোহী এর ছবি

প্রথম পর্ব আগে পড়া ছিল না, তাই দ্বিতীয় পর্ব পড়ার পর প্রথম পর্বের হাতছানি এড়াতে পারলাম না।

বিঃদ্রঃ —শুরুতে প্রথম পর্বের যে লিংকটি দিয়েছেন ওটা কাজ করছে না।


কি মাঝি? ডরাইলা?

সুমন সুপান্থ এর ছবি

দ্রোহী ভাই
আপনি পড়তে পারছেন না ! সে কি হয় !? ভয়ে তো আমার গলা কাঠ ! কোন না কোন দিকে বীরাপ্পনের গুলি ছুটে আসে ! বন্ধু হাসান মোরশেদের কৃপায় প্রথম পর্বের লিংকটা তো এসেছে এখন । পড়তে পারছেন ?
অধমের গল্পটা পাঠ ও মন্তব্য প্রদানের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

দ্রোহী এর ছবি

পড়েছিলাম! আমি তখুনি পড়েছিলাম। ডানদিকের কলামের সাম্প্রতিক লেখার লিংক থেকেই পড়েছিলাম।

আসল ঘটনা হল আমি প্রথমে পড়লাম দ্বিতীয় পর্ব। পড়ে ভাল লাগল। তখন উপরে গিয়ে আগের পর্বের লিংকে ক্লিক করলাম। লিংক কাজ করলো না। তখন সাম্প্রতিক লেখার লিস্ট থেকে গিয়ে পড়ে নিয়েছি।

নষ্ট লিংকের কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম পরবর্তী পাঠকদের কথা মাথায় রেখে। এখন লিংক ঠিক হয়েছে। ধন্যবাদ।


কি মাঝি? ডরাইলা?

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আমি কিন্তু ডরাইছিলাম !

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমাদের স্মৃতিগোলক তখন পিংপং বলের মতো লাফাতে লাফাতে সামনে এসে যায়।
-
অনেক ক্ষুধার্ত অবস্থায় এক বাসন সুস্বাদু পোলাওএর মধ্যিখানে একটুকরা দেশিমুরগীর থানের মতো লাগলো আমার কাছে।

চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ধু: গো : দা '

আপনার অসাধারণ উপমাটা তো আরো জটিল , গল্পের চেয়ে ও ।
ভালো থাকুন

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

আমি সাহিত্যের মুর্খ পাঠক হিসেবে এটুকুই বলতে পারি
ভাল লেগেছে

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সুমন সুপান্থ এর ছবি

গল্পটা ''সাহিত্যের মুর্খ পাঠক (!!! ) ' র ভালো লেগেছে বলে ততোধিক মুর্খ এক গল্পকথকের ও কি যে ভালো লাগছে !!

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

তারেক এর ছবি

এ পর্ব পড়া হল আজ দুপুরেই হাসি
সচলায়তনের এ ব্যাপারটা খুব মজার। চমৎকার সব বিশ্লেষণ হয়... ভাবায় বিভিন্ন প্রেক্ষিতে... দারুন গল্পের দারুন সব সমালোচনা! ভালো লাগলো পড়তে ভীষণ

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সুমন সুপান্থ এর ছবি

গল্পটা দারুন কি না, জানি না তারেক । কিন্তু আমার ও ভালো লাগছে অসাধারণ সব মন্তব্য / আলোচনা পেয়ে । ( আত্মশ্লাঘা !!! )
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য,পড়ার জন্য তো বটেই ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ধন্যবাদ সুমন।
এই ধরনের আত্মকথন , আত্ম রিরংসা কাছাকাছি সময়ে বেড়ে ওঠা আমাদের কাছে খুবই প্রিয় এবং আরামপ্রদ। আমাদের পরাবাস্তব স্বপ্ন,বাস্তব সংঘাত, তলানিতে পরে থাকা লাল নীল নস্টালজিয়া-সবই আজো আমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়-আমরা যা হতে চেয়েছিলাম কিন্তু হতে পারিনি-সেখানে। কিন্তু এই আত্মবিবরণকে গল্প বলতে আমি এখন আর ভেতর থেকে সায় পাই না।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সুমন সুপান্থ এর ছবি

সেই একদিন গেছে ! সবারই । একটা পুরো প্রজন্মেরই ।
ঠিক, অনেক কিছুকেই এখন আর সায় দেয়া মুশকিল ।
এই গল্প তো নস্যি !
আপনাকে ও ধন্যবাদ ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

s-s এর ছবি

সুপ্রিয় সুপান্থ: আপনার এই লেখার প্রতিক্রিয়া পোস্টে প্রতিমন্তব্য লিখতে লিখতে দেখি পোস্টে মন্তব্য করা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই প্রতিবাদটি এখানে জানালাম। আপত্তি থাকলে মুছে ফেলতে পারেন।
বিনীত
ss
****************************************
"সুমন সুপান্থ যখন ভদ্রতা বজায় করতে গিয়ে আপনাকে ব্যক্তিগত মেসেজ দিয়েছিলো সেটা আপনি ব্যক্তিগতই রেখে দিতে পারতেন। "
**পাঠিকা কি করতে পারতেন অথবা না পারতেন সেটি ডিক্টেট করার ভার আপনি নিচ্ছেন কেন? আর পাঠিকা ও লেখকের মধ্যে উন্মুক্ত আলোচনা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি, তার মধ্যে আপনি হঠাৎকরে নিজের অশোভন মন্তব্য দেয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন কেন, গায়ের ঝাল মেটাতে?
**আপনিও তো পারতেন এটি ব্যক্তিগত মেসেজের মাধ্যমে ঠিক এই কথাগুলোই পাঠিকাকে বলতে - আপনি তা করলেন না কেন- "নায়ক" হবার লোভে?

সচলায়তনে নাম নিয়ে বিশেষতঃ নারী নাম নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছি আমি নিজেই এবং ব্যক্তিগত অভিরুচি অনুযায়ী আমার পরিচিতজনদের তা জানিয়েছিও, সুতরাং স্নিগ্ধা বা মন্তব্যকারীদের এই আশঙ্কা অমূলক নয় যে, বিদ্বেষ, ঘৃণা রাগ বা নিছক পুরুষালী মনোভাব থেকেও নাম নিয়ে কটাক্ষমূলক কিছু লেখা লিখে অনেকেই একটা ছেলেমানুষি হিংস্রতা নিয়ে "প্রতিশোধ নিলাম" জাতীয় কিছু ভেবে আত্মশ্লাঘা অনুভব করতে পারেন। এই লেখক যে তা করেননি, এবং তাঁর লেখার উদ্দেশ্য যে সাধু, সেটি তাঁর জবানিতেই স্পষ্ট, আপনি ধামাধরা হয়ে সেটিতে আরও কিছু বাতাস দেবার জন্য কি কারণে উঠে পড়ে লাগলেন, তা ঠিক বুঝতে পারলাম না। অশিক্ষিত মানুষের সাথে তর্ক করাই বৃথা, কিন্তু আপনার মত অশিক্ষিত ও একই সাথে অশোভন ও লিঙ্গবৈষম্যবাদী কলমবাজকে থামানো খুবই প্রয়োজন, তাই এই মন্তব্য লিখতে বসলাম। সচলায়তনে অভদ্রতার চাষবাস ইদানিং একটু বেশি হচ্ছে বলেই মনে হয়।

আমি আশা করছি আপনি আমার মন্তব্যে আহত বোধ করবেন, ঠিক যেমনটি আমরা সবাই করেছি আপনার মন্তব্যে - এবং সেই সাথে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানালাম আমার প্রিয় একজন বন্ধুকে / লিখিয়ে কে এই ভাষায়, এই টোনে "উপদেশ" বিতরণের জন্য।

বিনীত

ss

সুমন সুপান্থ এর ছবি

সুপ্রিয় s-s,
বুঝা গেলো না লেখাটা কার উদ্দেশ্য ? আমি একটা গল্প লিখেছিলাম, সেই সুত্রে সচল স্নিগ্ধা তার মতামত এবং আর ও একটি প্রতিক্রিয়া পোস্ট দিয়েছেন । সেই পোস্টের অনেকগুলো মন্তব্যের মাঝে আপত্তিকর একটা মন্তব্য ও এসেছে । তার দায় ও কি আমাকে বহন করতে হবে ! বুঝলাম না !
আমি তো কেবল গল্পই লিখেছিলাম ! অই মন্তব্যটা নয় ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

s-s এর ছবি

সুপ্রিয় সুপান্থ
আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলা নয়, তা তো আগেই বললাম। এটি প্রতিমন্তব্য, আবারও স্পষ্ট করছি। আপনার লেখা নিয়ে নয়, প্রতিক্রিয়ার প্রতিমন্তব্য এটি, দায় আপনার উপর নয় কোনোভাবেই। ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা।
ss

ধুসর গোধূলি এর ছবি

অশিক্ষিত মানুষের সাথে তর্ক করাই বৃথা, কিন্তু আপনার মত অশিক্ষিত ও একই সাথে অশোভন ও লিঙ্গবৈষম্যবাদী কলমবাজকে থামানো খুবই প্রয়োজন, তাই এই মন্তব্য লিখতে বসলাম। সচলায়তনে অভদ্রতার চাষবাস ইদানিং একটু বেশি হচ্ছে বলেই মনে হয়।

ভাইরে, একজন মন্তব্যকারীকে 'সাইজ' করতে গিয়ে পুরা সচলায়তনকেই সাইজ করে ফেললেন?

সচল স্নিগ্ধা'র লেখা পড়ে তাকে যতোটুকু এই অধম চিনতে পেরেছে তাতে তাঁকে শ্রদ্ধার পাত্রী তো বটেই একজন যথেষ্ট স্মার্ট ব্যক্তিত্বেরই মনে হয়েছে। তাঁর পোস্টে কিংবা কথার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত যেকোনো প্রাসঙ্গিক কিংবা অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা নিজেই সামাল দেয়ার যোগ্যতা রাখেন তিনি, আমার এমনটাই বিশ্বাস ছিলো এবং আছে। এটা নিয়ে আমাদের অন্যকারো কনসার্ণড হয়ে যাবার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব অন্ততঃ হয়নি সেখানে।

প্রসঙ্গক্রমে জানাই, সুমন সুপান্থ'র এই লেখাটি পড়ে কেনো জানি আমার একবারও সচল স্নিগ্ধার সঙ্গে নামের সঙ্গতির কথাটি মনে হয় নি, যেখানে অনেকেই নাকি সঙ্গতিটি বেশ ভালো করেই টের পেয়েছেন। কে জানে আমিও হয়তো অশিক্ষিত পড়ুয়াদের দলেই পড়ি কী না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

s-s এর ছবি

ধীমান ধূসর
সচলায়তনে মাঝে মাঝে কিছু অর্বাচীন মন্তব্য আমি আপনি সবাই পড়ি, এটা নিয়ে খুব চিন্তাও করিনা, ভুলে যাই, ছাড়ও দেই মাঝে মাঝে তাই না? হালকা রসাস্বাদনে তাতে ব্যাঘাত ঘটেনা বলেই, খুব 'কনসার্নড' হবার মত সেগুলো নয়। আর তাছাড়া, সচলায়তন কোনো বদ্ধ জলাশয় নয়, আমাদের সবার মত অমত নিয়েই এর পথচলা।একজন নারী হিসেবে 'কনসার্ন' এর কারণ ঘটে তখনই যখন লিঙ্গবৈষম্য কারো কলমের ডগায় স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় এবং সেটির সাথে শুধু ওই মানুষটিই নন, অন্য পাঠিকারাও রিলেট করতে পারেন । আমি রিলেট করতে পেরেছি বলেই বলা, আর কিছু নয়। সন্ন্যাসীর অনেক কবিতাতেই নারীর কামজ বিশেষণের ছড়াছড়ি, কিন্তু তা প্রতিবাদযোগ্য নয় উপস্থাপনার গুণেই। অশিক্ষিত হওয়া যতনা লজ্জার, তার থেকেও অনেক বেশি লজ্জার বিষয় হচ্ছে শিখতে না চাওয়া, তাই না? খুবই পুরুষতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্মে এ কথাগুলো বলা কঠিন, সচলায়তনকে আমার ততটা রিজিড মনে হয়নি, তাই অন্যের সমর্থন করাকে আমি পজিটিভলি ই নিয়েছি। ধরে নিচ্ছি, আমি অপমানিত হলেও অন্য সুহৃদ সচলরাও এভাবেই এগিয়ে আসবেন, না'কি?
ভালো থাকুন, সচল থাকুন।

ভালোবাসা ও শুভাশীষ সহ

ss

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লিঙ্গ বৈষম্যের জন্য যে কাকে কী বলবো সেটাই বুঝিনা অনেক সময়! আপনার উল্লিখিত "একজন নারী হিসেবে..." কিংবা "অন্য পাঠিকারাও..." - আমার কাছে কেনো জানি কনফিউজিং ঠেকলো।
সে যাকগে, আপনার সঙ্গে আলোচনা চালানো যায়। কিন্তু সেদিক আপাততঃ মাড়াচ্ছি না কিছু সামষ্টিক সীমাবদ্ধতার কারণে।

ফিরতি ভালোবাসা ওশুভাশীষ সহ,
সচল থাকুন, ভালো তো থাকবেনই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৌরভ এর ছবি

(শ্রদ্ধাস্পদ সুমন সুপান্থের কাছে ক্ষমা চাইছি, এই মন্তব্যটি এখানে করবার জন্যে)

প্রিয় s-s,
আমি লেখক হিসেবে অন্ত্যজ একজন। সাহিত্য সমালোচনার যোগ্যতা রাখি না সামান্যও। সেজন্যে হয়তো আপনার সাথে খুব একটা মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ হয় নি কখনো। তারপরও এই মন্তব্যটি আমি করবো।

সচল পরিবারের একজন হিসেবে আমি খুব অস্বস্তি বোধ করছি বিভিন্ন পোস্টে করা আপনার মন্তব্যে। কোন কোন মন্তব্যে আপনি ঢালাওভাবে সচলায়তনকে দায়ী করেছেন লিঙ্গবৈষম্য অথবা অশালীনতার জন্যে। (আপনার মন্তব্যগুলো অন্য কোন ভাষায় করা হতে পারে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল ভাবটা এরকমই মনে হয়েছে আমার কাছে)

আপনার সব মন্তব্য এমনভাবে করা, যেন আপনি সচলায়তনের বাইরের কেউ। কেনো জানি না, তবে মনে হচ্ছে, আপনি নিজেকে সচল পরিবারের একজন ভাবতে পারছেন না।

আমি বলবো, আপনার এই মন্তব্যগুলো অন্যভাবে করা যায়। অন্য ভঙ্গিতে বলা যায় এই একই কথা।

--
(আপাতদৃষ্টিতে রূঢ় মনে হতে পারে এই মন্তব্যটি। কোন মডারেটর কাঁচি চালানোর আগে আমাকে জানাবেন প্লিজ। আমি আমার স্কুলজীবনে নিজের পশ্চাতদেশে স্যারদের বেতের বাড়ি কখনো পছন্দ করি নি)


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি

সৌরভের মন্তব্যটির প্রতিধ্বনি করছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ক্ষ্যাপা এর ছবি

সচলায়তনে অভদ্রতার চাষবাস ইদানিং একটু বেশি হচ্ছে বলেই মনে হয়।

কেমনে কি? সচলয়াতনে যদি অভদ্রতার চাষ হয় তাহলে তো অন্য সব বাংলাব্লগ অভদ্রতার গোলাভূমি হয়ে আছে ম্যাডাম ।
একজন মন্তব্যকারী যিনি সচল নন তিনি একটা বাজে মন্তব্য করলেন- তার মন্তব্য সকল সচল মিলে প্রতিবাদ করলেন,লেখক সুমন সুপান্থ নিজেও । তারপর মডারেটর এ বিষয়ে নিস্পত্তি ও করলেন ।

কিন্তু মন্তব্যকারীর মন্তব্যের জের ধরে আপনি যে বানী ছাড়লেন তাতে মনে হল লেখককেই তুলোধুনা করলেন,এটা তো বেচারা লেখকের উপর অবিচার হয়ে গেলো ।

আর সচলায়তন নিয়ে যে মন্তব্য করলেন তার তো কোন তুলনাই হয়না । আরো দু একটা বাংলা ব্লগ সাইটে একটু ঘুরাঘুরি করেন তাহলে বুঝতে পারবেন অভদ্রতার চাষবাস কারে বলে

s-s এর ছবি

আমি এর উত্তর/ ব্যাখ্যা আগে ধূসর গোধূলির মন্তব্যেই দিয়ে দিয়েছি,
তাই আর কথা বাড়ানোর প্রয়োজন বোধ করছিনা। আপনার কথার টোনটি কিছুটা belittling. আমি কি বলতে চেয়েছি, তা আগের বক্তব্যেই স্পষ্ট বলে মনে করি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুব অসাধারণ আপনার লেখার হাত। ভাষা এত প্রাঞ্জল যে তা সহজেই হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
তবে মন্তব্যগুলো পড়তে গিয়ে বুঝতে পারলাম না কি ঘটেছিল। s-s কি বললেন, কাকে বললেন বুঝলাম না কিছুই। তবে যাই হোক, আপনার কাছ থেকে এরকম লেখা আরো আশা করি।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

সহজেই হৃদয় ছুঁয়ে যায়
হৃদয় ছুঁয়ে ফেলাই অনেক কিছু ,পাঠকের - লেখকের পার্থিত লক্ষ্য !
ভালো থাকুন ।
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সৌরভ এর ছবি

এইসব লেখায় কমেন্ট করার যোগ্যতা রাখি না।
তাই শুধু পড়েই যাই।

ভোকাপাফোর জন্যে কৈশোরের ভালো লাগার অনুভূতি আবার ফিরে পাচ্ছি সচলায়তনে আপনার আসার পর। মোরশেদ-আলবাব-জেবতিক আরো অন্যদের পর আপনি।

-
মুগ্ধ পাঠক


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সুমন সুপান্থ এর ছবি

পুরোনো দিনের গান !!
ভালো লাগলো সৌরভ ! এক সৌরভের গল্প মনে আছে, জানি না আপনিই সে-ই কি না !

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সৌরভ এর ছবি

না না, আমি কখনো লিখি নি।
বড় বোনের সাথে পাঠকফোরামের পাতা কাড়াকাড়ি করে পড়া মুগ্ধ কিশোর পাঠক ছাড়া আর কোন পরিচয় নেই আমার।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।