কেন যামিনী না যেতে জাগালে না, বেলা হল মরি লাজে (তৃতীয় পর্ব)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৬/১০/২০১৪ - ৪:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ ১৯৭১ ভেতরে বাইরে প্রকাশের পর থেকেই ‘প্রথম আলো’ গ্রুপের অতিপ্রচার ও সত্যবিমুখ কিছু টকশোজীবিদের হেঁড়ে গলার চিৎকারে বইটি আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে রয়েছে। এখানে বাংলাদেশের সূচনামুহূর্তগুলোকে সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া বা ক্ষেত্রবিশেষে অস্বীকার করা হয়েছে যা প্রায় বাংলাদেশকে অস্বীকার করারই সামিল। এই অবস্থায় মাঠে ময়দানে কেবল সূত্রহীন গলাবাজির চাইতে এই বইয়ের অসঙ্গতিগুলো চিহ্নিত করা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সকল সময়ের স্বার্থেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।

এ কে খন্দকার পদাধিকারবলে মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেই বিবেচিত। তিনি যদি সত্যকে বদলে দেবার জন্য কুখ্যাত প্রথমা প্রকাশনের খপ্পরে পড়েন সেক্ষেত্রে তাঁর ব্যাক্তিগত অবস্থানের চাইতে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বহুগুণে হুমকির সম্মুখীন হয়। এই প্রেক্ষিতে বইটির যথাসম্ভব পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এই চলমান নিবন্ধে সেই চেষ্টাটিই করা হয়েছে।

এই পর্বে ২৩২ পৃষ্ঠাসংখ্যা সংবলিত বইটির ৫৩ থেকে ৭০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য অংশ আলোচিত হল। আসন্ন পর্বসমূহে বইটির পরবর্তী অংশ ক্রমান্বয়ে আলোচিত হবে। মন্তব্য অংশে সকল পাঠকের সক্রিয় সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ]

তৃতীয় অধ্যায়ঃ

‘স্বাধীনতা ঘোষণা ও অস্থায়ী সরকার গঠন’ শীর্ষক অধ্যায়ে খন্দকার সাহেব স্বাধীনতা ঘোষণা প্রসঙ্গে জানাচ্ছেনঃ [ পৃষ্ঠা - ৫৩ ]

খন্দকার সাহেব স্বাধীনতা ঘোষণা প্রসঙ্গে আর জানাচ্ছেনঃ [ পৃষ্ঠা - ৫৪ ]

খন্দকার সাহেব এখানে নতুন হাইপোথিসিস দাঁড় করিয়েছেন [ পৃষ্ঠা - ৫৫ ]

এবং [ পৃষ্ঠা - ৫৬-৫৭ ]


তিনি আরও দাবী করছেনঃ [ পৃষ্ঠা - ৫৭ ]

টেলিযোগাযোগ প্রসঙ্গে খন্দকার জানাচ্ছেনঃ[ পৃষ্ঠা - ৫৮ ]

খন্দকারের রেফারেন্স জ্ঞান অসাধারণ। [ পৃষ্ঠা - ৫৮ ]

২০০৪ সালের উক্ত সংশোধিত সংস্করণের বইটি পরবর্তীতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে বাতিল করা হয় এই তথ্য স্বভাবতই চেপে গেছেন।

টেলিগ্রাম প্রসঙ্গে খন্দকার জানাচ্ছেন। [ পৃষ্ঠা - ৫৮ ]

স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের কেন্দ্রের নামটিও খন্দকার ঠিকভাবে উল্লেখ করেননি। এইব্যাপারে তিনি হোম ওয়ার্ক করারও প্রয়োজন বোধ করেননি। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, আগরতলা মামলা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মত এই ঘটনাটিও তিনি তাচ্ছিল্য ভরে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু পরের মুখে ঝাল খাওয়ার কাজটিও ভালভাবে করেননি কেন তা বোধগম্য নয়। [ পৃষ্ঠা - ৫৯ ]

তিনি আরও জানাচ্ছেনঃ [ পৃষ্ঠা - ৫৯ ]

কিন্তু “মুক্তিযুদ্ধের প্রকাশ” শব্দবন্ধটি আমার কাছে পরিস্কার নয়। আগে তিনি ২৫ মার্চ রাতেই পালটা আক্রমণের কথা বলেছিলেন। ২৫-২৬ মার্চে সংঘটিত যুদ্ধসমূহ সেক্ষেত্রে “মুক্তিযুদ্ধের অপ্রকাশিত/অপ্রকাশ্য অংশ” হিসেবে গন্য হবে কিনা আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা।

খন্দকার সাহেবের ব্যাক্তিগত মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই, আবুল কাশেম সন্দ্বীপের নাম চেপে যাওয়াটাকে নিন্দা জানাই। [ পৃষ্ঠা - ৬০ ]

হুমম... গভীর জ্ঞানের কথা। [ পৃষ্ঠা - ৬০ ]

খন্দকার সাহেবের অজ্ঞতাহেতু কি “পূর্বপরিকল্পনা” নাই হয়ে যায়? [ পৃষ্ঠা - ৬১ ]

আগের অধ্যায়ে তিনি একটু আদেশের জন্য যে আহা-উহু করেছিলেন এখানে তার উল্টো কথা দেখে বিরক্ত হব কিনা ভেবে নিই। খন্দকার সাহেবের ঘোউস্ট রাইটার যদি থেকে থাকে তবে তাদের কোনও যোগাযোগ ছিলনা নাকি? একজন মানুষের পক্ষে এরকম ভেবে-ভেবে মেপে-মেপে উলটো কথা বলা কষ্টকর। [ পৃষ্ঠা - ৬১ ]

আচ্ছা, ঊনি কি বাকি ৫% এর ভেতরে? এই পরিসংখ্যান কোথায় পেলেন তা আর জিজ্ঞাসা না করি। [ পৃষ্ঠা - ৬১ ]

অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তেলিয়াপাড়া কনফারেন্স প্রসঙ্গে পরের কথা ধার করে খন্দকার জানাচ্ছেনঃ [ পৃষ্ঠা - ৬২ ]

এবং আরো জানাচ্ছেনঃ [ পৃষ্ঠা - ৬৩ ]

“সেই ঠিকানায়” যোগাযোগ করতে বলা কি পুর্ব-পরিকল্পনার অংশ নয়? খন্দকার সাহেব? [ পৃষ্ঠা - ৬৪ ]

আচ্ছা, “১৭ এপ্রিল” এবং “স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র” প্রসঙ্গে উক্ত স্থানদ্বয়ে অনুপস্থিত খন্দকার এত তাড়াতাড়ি কথা শেষ করে দিলেন কেন? “ঘোষণাপত্রের” ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে গেলে তাঁর কোনও মিথ্যাচার ধরা পরে যাবার আশঙ্কাতেই কি? [ পৃষ্ঠা - ৬৭ ]

***** ***** ***** ***** ***** *****

কর্নেল শওকত আলী রচিত সত্য মামলা আগরতলা (প্রথম সংস্করণ দ্বিতীয় মূদ্রণ, ২০১২, প্রথমা) বইটির পরিশিষ্টে সংযুক্ত মামলাটির অভিযোগনামা থেকে জানা যায়ঃ

[ পৃষ্ঠা - ১৯৪ ]

[ পৃষ্ঠা - ১৯৫ ]

[ পৃষ্ঠা - ১৯৭ ]

৭২ নং অভিযোগে উল্লিখিত ট্রান্সমিটার সংগ্রহ ও অপারেটরদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যে পুর্ব-পরিকল্পনা (খন্দকারের ভাষায় সম্ভবত ষড়যন্ত্র) এবং তা মার্চ ১৯৬৭ সালের ঘটনা তা খন্দকার বেমালুম চেপে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু আফসোস, খন্দকার বালি কেন চোরাবালিতে মুখ লুকোলেও আগরতলা মামলা মিথ্যা হয়ে যায় না, তার প্রমানাদিও হাওয়ায় মিলিয়ে যায় না। অবশ্য, খন্দকার তখনও পাকিস্তানের পশ্চিম ভূখণ্ডে দুধভাত খেয়ে নির্বিবাদে দিনাতিপাত করছেন। কোথায় কোন পুর্ব ভূখণ্ডে কোথাকার কোন শেখ মুজিব কি না কি ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছেন, এত খবর রাখার তার সময় কোথায়?

***** ***** ***** ***** ***** *****

সিদ্দিক সালাম অনূদিত গোলাম ওয়াহিদ চৌধুরী ওরফে জি. ডব্লিউ. চৌধুরী (ইয়াহিয়ার মন্ত্রী এবং জাবি’র অধ্যাপক কাম যুদ্ধংদেহী টকমারানী দিলারা চৌধুরীর স্বামী) রচিত ‘অখণ্ড পাকিস্তানের শেষ দিনগুলি’ (প্রথম সংস্করণ, ১৯৯১, হক কথা প্রকাশনী) বইটি পাকিস্তানি ভাষ্য। ইয়াহিয়ার পোষা মন্ত্রী মহোদয় এখানে আমাদের খুব আগ্রহব্যাঞ্জক কথা জানাচ্ছেনঃ

[ পৃষ্ঠা – ৯৬ ]

এবং [ পৃষ্ঠা - ৯৬ ]

এবং [ পৃষ্ঠা - ৯৭ ]

একজন পাকিস্তানি পর্যন্ত মুজিবের পরিকল্পনা জেনে ফেলছেন, অথচ খন্দকার সাহেবকে কিছুই জানানো হয়নি এ ভেবে আমারই কান্না পাচ্ছে। এখানে চৌধুরী সাহেব আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দেখিয়েছেন যেটি মুজিবের ওপর “গোয়েন্দা নজরদারীর” তীব্রতা ও সামরিক শাসনের ভয়াবহতা পরিষ্কার করে। তবু খন্দকার সাহেব যখন বারংবার প্রকাশ্য ঘোষণা চাইছিলেন তখন তাকে ডেকে একটু বলে দিলেই হত। বঙ্গবন্ধুটা যা দুষ্টু না। একজন গ্রুপ কাপ্তানের সম্মানটুকুও দিতে জানেন না। সময় মত চেপে গেলেও এত বছর পর এমন লোকের মৃত্যুতে প্রতিবাদ জানানোর আবদার খন্দকার কেন জানালেন তা ভেবে পাচ্ছি না। মানী লোকেরা বুঝি এমনই হন।

***** ***** ***** ***** ***** *****

মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া সম্পাদিত ‘২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্স কমান্ডারঃ খালেদের কথা’ (প্রথম সংস্করণ, ২০০৮, সেন্টার ফর বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ) আমাদের জানাচ্ছে ক্যান্টনমেন্টের দুধভাত খাওয়া অফিসার বাদে বাকি বাঙ্গালি অফিসারদের কেমন অবস্থা ছিলঃ

[ পৃষ্ঠা - ১৫ ]

এবং [ পৃষ্ঠা - ১৫ ]

এবং যুদ্ধে যোগদানঃ [ পৃষ্ঠা - ১৬ ]

এবং অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগঃ [ পৃষ্ঠা - ১৮ ]

খালেদ মোশাররফ বীরোত্তমের উল্লিখিত বর্ননাটি ২৫-২৭ মার্চের। স্পষ্টতই তিনি খন্দকারের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে গেছেন। তাছাড়া, তিনি জানাচ্ছেন “ওয়্যারলেস” যোগাযোগের সুযোগ তাদের কিছুটা হলেও ছিল। আহারে খন্দকার। ক্যান্টনমেন্টে বসেও তিনি একটু ওয়্যারলেসের ভাগ পেলেন না। মাঝখান থেকে ভেবে বসলেন “আমি যখন পাইনি তখন কেউই পায়নি”। মানী লোক বলে কথা!

***** ***** ***** ***** ***** *****

(অসমাপ্ত)

[ পরবর্তী অংশের জন্য এখানে ক্লিক করুন। ]


মন্তব্য

শেহাব এর ছবি

গুরু গুরু

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কোলাকুলি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

চালায়ে যান! পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

ছয় দফার ব্যাপারে একটু কনফিউজড। ছয় দফা তো জানতাম জনসমক্ষে ঘোষণা করা হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। তাহলে ১৯৭১ সালে কেন এটাকে গোপন করার দরকার হল, বুঝলাম না। নাকি এটা অন্য কোন ছয় দফা?

Emran

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইমরান ভাই,
ভাল পয়েন্ট ধরেছেন। এই পোস্টটা আসলে আরো বড় ছিল। এক পোস্টে সর্বোচ্চ ছবির সীমা অতিক্রম করায় অর্ধেক স্থগিত। লেখাটা এমন জায়গায় কেটে গেল, সব খাপছাড়া হয়ে যাচ্ছে। ঐ বইয়ের উদ্ধৃতি আপাতত সরিয়ে নিলাম। আর ঠিকই জানতেন। ৬ দফা ঘোষণা প্রকাশ্যই ছিল। ওই সময়ে ছয় দফাকে ভিত্তি করে গোপনে সংবিধান রচিত হচ্ছিল। উল্লিখিত অংশে সেই সংক্রান্ত গোপনীয়তার কথা বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ভেতর-বাহির মিলে ব্যাপক ঝামেলার মধ্যে ছিলেন তখন। পরের অংশে পরিষ্কার হবে আশা করি। শুভেচ্ছা। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

এই মন্তব্য করার জন্য আগাম ক্ষমাপ্রার্থী। লগইন না করে ঢুকলে নীড়পাতা বেশ অদ্ভুত দেখাচ্ছে (ফায়ারফক্স, ক্রোম - দুটোতেই)। মডুরা কি এ ব্যাপারে একটু নজর দেবেন?

Emran

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কোলাকুলি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মেঘলা মানুষ এর ছবি

পরিশ্রম করে এই কাজটা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বইটা পড়া হয় নি, কিন্তু আপনার ধারা বর্ণনা আর ব্যবচ্ছেদের সাথে পড়ে পড়ে এগুতে ভাল লাগছে, অনেক কিছু খোলাসা হচ্ছে।

শুভেচ্ছা হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কোলাকুলি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

এ কে খন্দকারের বইয়ের এই রিভিউ সিরিজে মন্তব্যের সংখ্যা এত কম কেন? এখন পর্যন্ত কোন কিস্তিতেই মন্তব্যের সংখ্যা ২৫-এর উপরে যায় নাই।

Emran

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন্তব্যে কি আসে যায়, ইমরান ভাই?

আজকে ঈদের দিন,
তাছাড়া, সবাই যা জানার তা জানেই।
মূলত,অন্তর্জালিক তথ্যায়নের স্বার্থে এই পোস্ট। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

সাক্ষী-দাদা, এই একখান সিরিজ যা নামছে না, ভবিষ্যতের অনেক হিসাব নিকাশ-ই এখান থেকে হবে। হাততালি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতীতের হিসাব নিকাশেই ভুল হয়, আর ভবিষ্যৎ! খাইছে
আর বড়জোর দুইপর্ব, তারপর ইনিংস ডিক্লেয়ার। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এই সিরিজ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে পড়ছি- ঠিকই বলেছেন, কেউ মন্তব্য করল কি না তাতে কি আসে যায়। তবে খন্দকার সাব জিয়ার ২৭শে মার্চের ভাষণ নিয়ে যে রকম বলেছেন যে সেই ভাষণে তিনি এবং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ ভীষণ ভাবে উদ্দীপিত হয়েছেন, এই বক্তব্যের টেকনিক্যাল দুর্বলতা সম্পর্কে কিঞ্চিত আলোকপাত করতে চাই।
সবাই জানেন, স্বাধীনতা পূর্বকালে রেডিওই ছিল বিনোদন এবং সংবাদের প্রধান উৎস, সুতরাং আমরা সে সময় খুব ছোট হলেও চান্স পেলেই রেডিওর নব ঘোরাতাম। সে সময় রেডিও স্টেশন ছিল ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং খুব সম্ভবত সিলেটে। আমরা উত্তরবঙ্গ বাসীরা ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান ভালভাবে এবং রাজশাহী কেন্দ্রের মোটামুটিভাবে শুনতে পেতাম, খুলনা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রায় শোনাই যেত না, সিলেট-চট্টগ্রামের অনুষ্ঠান একদমই শোনা যেত না। সুতরাং চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত জিয়ার ভাষণ আর যেই শুনুক, উত্তরবঙ্গ বাসীরা শোনে নি।
কিন্তু স্বয়ং জিয়ার জন্মস্থান বগুড়ার মানুষজনও তার স্বাধীনতার ঘোষণার অপেক্ষায় বসে না থেকে ২৬ তারিখ ভোর থেকেই বগুড়ায় অবস্থিত পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে(অকৃতজ্ঞ আর কাকে বলে)। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত "মুক্তিযুদ্ধের দলিল পত্র" নবম খন্ড- ৩৩৬-৩৪৭ পৃষ্ঠায়। আরও অন্যান্য যে সকল স্থানে তাৎক্ষনিক প্রতিরোধ যুদ্ধের ঘটনা এই দলিলে বিবৃত আছে, সেসবে জিয়ার ভাষন থেকে উদ্দীপনা লাভের কোন ঘটনা তো দেখা যায় না। সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ যে সব নেতা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন এবং পড়ে স্মৃতিচারণ করেছেন, তদের মধ্যে জিয়ার ঘোষণার বিষয় উল্লেখ করেছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও খুবই নগণ্য।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, আব্দুল্লাহ ভাই
আমি নিজেই ছোটবেলায় রেডিও নিয়ে অনেক নাড়াচাড়া করেছি। আমাদের কৈশোরেও রেডিও'র একটা ক্রেজ ছিল কারণ, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ আইসিসি ক্রিকেট জিতে। তখন খেলা টিভিতে লাইভ দেখাত না, তবে রেডিওতে লাইভ শোনাত। এখন যারা রেডিও বলতে মোবাইলের 'অ্যাপস' বোঝে তারা ঘুনাক্ষরেও অনুভব করতে পারবে না বাঁশের মাথায় এন্টেনা বেঁধে ম্লান ভলিউমে মোগল আমলের রেডিওতে উত্তেজনাকর ক্রিকেট খেলা "শুনতে" কেমন লাগে। যা হোক, এটা সত্য যে উত্তরবঙ্গ থেকে আমি কখনই ঢাকা কিংবা খুলনা বেতার ধরতে পারিনি। বেতারের মান অনেক উন্নত (৯২-৯৮ সালের কথা বলছি) হওয়া সত্বেও। চট্টগ্রাম তো অনেক দূরের কথা। এই জানা কথাটা আলাদা করে কখনও মাথায়ই আসে নি এটিই দ্বিমুখী আলোচনার জাদু। দেঁতো হাসি

কেউ কি কালুরঘাটে'র সেই ট্রান্সমিটারটির "ব্যাসার্ধ" জানাতে পারেন? সাদা চোখে যা দেখতে পাচ্ছি, কালুরঘাটকে কেন্দ্র করে আঁকা বৃত্তের বিশাল এক অংশ বঙ্গোপসাগর ও ভারতের ভূখণ্ডের ওপর পড়বে। এই তথ্যটুকু জানা গেলে আরাফাত ভাইয়ের এই পোস্টের প্রচেষ্টার মত করে ঐ ঘোষণাটি সর্বোচ্চ কতজন শোনার সুযোগ পেতে পারে তার একটা সাংখ্যিক আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

যতদূর জানি, একাত্তর সালে ঢাকা বেতারকেন্দ্রের শক্তি ছিল ৫০ কিলোওয়াট, সম্প্রচার ব্যাসার্ধ ২০০ মাইল। আর চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্রের শক্তি ছিল ১০ কিলোওয়াট, সম্প্রচার ব্যাসার্ধ ৫০ মাইল।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
চলবে (চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র বলতে কি কালুরঘাট বোঝাচ্ছেন?)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

না, চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র বলতে আগ্রাবাদের মূল সম্প্রচার কেন্দ্রকে বুঝাচ্ছি। আগ্রাবাদ কেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতারকেন্দ্রের সম্প্রচার ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে কালুরঘাটের বিকল্প কেন্দ্রটিকে বেছে নেয়া হয়। খুব সম্ভবত(নিশ্চিত নই) কালুরঘাট সম্প্রচার কেন্দ্রের শক্তিও ১০ কিলোওয়াটই ছিল।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সম্ভবত(নিশ্চিত নই) কালুরঘাট সম্প্রচার কেন্দ্রের শক্তিও ১০ কিলোওয়াটই ছিল।

৩০ মার্চ বোমা বর্ষণের সাথে সাথে বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁদের ১০ জনের দলটিকে ছিটকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল। সাথে ১ কিলোওয়াটের একটি ট্রান্সমিটার নিয়ে তাঁরা পটিয়ায় আশ্রয় নেন। সৌভাগ্যক্রমে পটিয়ায় একজন প্রবীণ বেতার প্রকৌশলীর সাথে দেখা হয়ে যায়। ট্রান্সমিটারটি কোথায় স্থাপন করা যায়, এ নিয়ে প্রকৌশলীর পরামর্শ চাওয়া হলে তিনি বলে ১ কিলোওয়াটের ট্রান্সমিটার থেকে প্রচারিত রেডিও তরঙ্গ সাধারণতঃ ১০ বর্গমাইল কাভার করে। সে হিসেবে এটি পুরো পটিয়া থানা এলাকাও কাভার করবে না। তদুপরি, প্রচার শুরু করার পর এখানেও বোমাবর্ষণ হবে। তার চেয়ে যদি কোন বর্ডার এলাকা থেকে যদি এটি দিয়ে প্রচার করা হয়, ভারতীয় শ্রোতারাও শুনতে পাবে এবং অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে এর অনুষ্ঠান পুনঃপ্রচার হতে পারে বা কাভারেজ পেতে পারে।

এ পরামর্শের উপর সকলে মিলে আলোচনা করে ৩ এপ্রিল তারিখ ট্রান্সমিটারটি নেয়া হয় রামগড়ে।

হিমু এর ছবি

তথ্যসূত্র যোগ করে দিতে পারেন কি?

মন্তব্যের শেষে নাম বা নিক যোগ করে দেবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভিডিও ডকুমেন্টারি Sounds of War

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
মন্তব্যকারীর নাম জানতে পারলে আরও ভাল লাগত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এই ১ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিটারটি কালুরঘাট সম্প্রচার কেন্দ্রের মূল ট্রান্সমিটার নয়। বোমা বর্ষণের কারনে ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় কিংবা অন্য কোন কারনে মূল ট্রান্সমিটারটি খুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তুলনায় ১ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিটারটি অব্যবহৃত এবং প্যাকেটকৃত অবস্থায় থাকার কারনে এটা নিয়ে দ্রুত সরে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমমম...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

কালুরঘাটকে কেন্দ্র করে ৫০ মাইল ব্যাসার্ধ নিয়ে দেখুন তো বাংলাদেশের কোন কোন জনবহুল অঞ্চল সেটার ভেতরে পড়ে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- পরের পর্বে বৃত্তসমেত মানচিত্র যোগ করে দিয়েছি হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

লেখা চলুক। পড়ছি। মন্তব্য কটা হলো, তা দিয়ে লেখার মান যাচাই হয়না। কাজেই..,। আপনার কাজ আপনি করে যান। অন্যদেরটা, যাঁর যাঁর দায়িত্ব। হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ইশ! এই ধারাবাহিক পোষ্টগুলো জাফর ইকবাল স্যারের নজরে পড়তো যদি...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চাইলে, খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে পারেন
কিন্তু, আবেগের সাথে যুক্তিতর্ক মেশাবেন না খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

আপনি একখান বেমানুষ শয়তানী হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

শয়তানী হাসি হ,
হোমো স্যাপিয়েন্স তো হইয়াই গেছি... ইয়ে, মানে...
এখন মানুষ হইলেই কি আর না হইলেই কি খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু

আপনার পোষ্টের নামকরনের ধারা কি বদলানো যায়? কিংবা লেখার সাথে সরাসরি প্রাসঙ্গিক রাখা যায়?

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

খুব অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে? চিন্তিত
আমার কিন্তু খন্দকারের বই পড়তে গিয়ে এই গানের টোনটাই বারংবার মনে বেজেছে। শিরোনাম দেখে হঠাৎ বিষয়বস্তু বোঝা কঠিন। সেজন্য ট্যাগ রয়েছে তো।

প্রথমে সিরিজের নাম খন্দকারের ভেতর বাহির দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু গানটা মাথা থেকে তাড়াতে পারলাম না। তাছাড়া দাড়িওয়ালা বুড়ার প্রতি আমার একটা আকর্ষন আছে। সব মিলিয়ে এই ফল। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

ট্যাগ দেখে বুঝা যায় লেখার বিষয় বস্তু। কিন্তু সরাসরি বিষয়ভিত্তিক পোষ্ট হলে সেটি অন্য যেকোন আলোচনায় রেফারেন্স হিসাবে উল্লেখ করার জন্যে সুবিধাজনক সেই চিন্তা থেকে বলেছি হাসি , অবশ্য আপনি যে ধারায় লেখে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন অবশ্যই সেই ধারাতে লেখবেন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সুশীলাড্ডায় এই রেফারেঞ্ছ দেবেন না, তাহলেই সমস্যা হবে না খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্ভবত ড্রামের উপর দাঁড়িয়ে থাকলে যেকোন জায়গার সম্প্রচার শুনতে পাওয়া যায় দেঁতো হাসি

আপনার এই বিশ্লেষণী লেখা জারি থাকুক।

সাইদ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আহা ড্রামতত্ত্ব! গড়াগড়ি দিয়া হাসি কেন মনে করান এসব? হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

সাড়ে সাত কোটি মানুষের নেতা হোটেলের বিদেশী সাংবাদিকদের কাছে ফোন করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন না, এই স্বাভাবিক ব‌্যাপারটা খন্দকারের মাথায় ঢোকে নাই। আর শেখ মুজিবের বাড়ি এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল যে ফোন এক্সচেঞ্জের অধীনে, সেটার নিয়ন্ত্রণও যে পাকিবাহিনীর হাতে ছিলো, এটাও তিনি কায়দা করে চেপে গেছেন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

রয়েসয়ে হিমু ভাই,
লুঙ্গিপরা মেঠো মুজিব সামরিক কেতা জানবেন না এটাই স্বাভাবিক চোখ টিপি
যাকগে, খন্দকার যে সেটা জানতেন না- তা মানরক্ষার্থে চেপে যাই খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

জলপাইয়েরা কি আর সাধে কয় **** সিভিলিায়ান! এভাবে ভদ্রনোককে পোশাক ছাড়া করছেন।
কাজটা ভালু না, ভালু না র‍্যা দেঁতো হাসি
একটাও তো পড়িনি এটার। সবগুলো শেষ করেন। রয়েসয়ে পড়া যাবে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এতদিন কুথায় আছিলেন? আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি আন্নের বইডাও বিয়াপক কাজে দিব এইহানে।

অটঃ আমি মানী লোক না তো, হঠাৎ আপনি কইরা ডাকা শুরু কর্লেঙ্ক্যা? চিন্তিত
হুদাইবিয়ার সন্ধি কিংবা ভার্সাই চুক্তি ভাইঙ্গা আবার মতিপ্পু কইয়া ডাক দিমু কিন্তু। শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

তেল মশল্লা যত পারেন দেন। যত ঝালঝোল ততোই মজা কিন্তু শয়তানী হাসি
----
ব্যস্ত ছিলেম হে! তুমি বা তুই ডাকতাম নাকি র‍্যা? এম্মা স্মৃতিশ্রুতি হারিয়ে ফেল্লেম নাকি!
ডাকলেই হলো? পিট্টা দিয়ে লাল করে দেবো না বাঘের বাচ্চা
প্রোফেসরের বর্তমান অবস্হা কেমন? তার সাথে যোগাযোগ আছে নাকি?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

০১।
বামহাত দিমু? হেলাল হাফিজ কারে জানি দিবার চাইছিল। খাইছে

০২।
এম্নে স্মৃতিভ্রষ্ট হৈলে কৈলাম খন্দমতি কইয়া ডাকুম। শয়তানী হাসি

০৩।
হুমম... আমি ভবিষ্যতে মানী লোক হমু কিনা ভাইবা লই। চাল্লু

০৪।
কোন পোফেছার? হিজিবিজি? উনি নাকি অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাঙ্গারুফাইট খেলে? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

সচলায়তনে প্রকাশিত আরেকটা পোস্টের লিঙ্ক মনে হয় এখানে প্রাসঙ্গিক হবে, সেখানে কাওরানবাজারের গান্ধী মক্সুদ কী ভাষায় চট্টগ্রামের বেতারকর্মীদের আক্রমণ করেছেন, তা নিয়ে জানা যাবে। খন্দকারের বইটা একাত্তরের ইতিহাসের ওপর আলুগোষ্ঠীর সমন্বিত আক্রমণের একটা ফ্রন্ট মাত্র, সে কথাও বোঝা যাবে।

মার্চ ২৬, ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের লিঙ্ক দিয়ে গেলাম, যেখানে মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো। স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে খন্দকারের যদি-কিন্তু-আমারমনেহয় কণ্টকিত বইয়ের চেয়ে এই লিঙ্কে বেশি সারবস্তু মিলবে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। চমৎকার সংযোজন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

২। দ্বিতীয় লিংকে ডাউনলোডানোর ব্যাবস্থা নাই?

৩। প্রথমার বিভিন্ন ইতিহাস নিয়া কাটাছেঁড়া প্রকল্পের ওপর সচলের সব পাল্টা-কাটাছেঁড়া গুলো নিয়ে একটা আর্কাইভ করা যায় না?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।