কানাই তুমি খেইড় খেলাও ক্যানে?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/০২/২০১৫ - ১:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০১। চলচ্চিত্রঃ

বইখেকো বলেই বোধহয়, সিনেমা দেখাটা খুব নিয়মিত হয়ে ওঠে না। হিন্দি বুঝি না বিধায় (এবং সাবটাইটেল সহজপ্রাপ্য না হওয়ায়) হিন্দি চলচ্চিত্র দেখা হয় আরো কম। নইলে একমিনিট পরপর পজ করে জিজ্ঞাসা করি ঐটার মানে কি। এই ভয়ে পারতপক্ষে হিন্দিবোদ্ধা কেউ ভুলেও আমাকে হিন্দি চলচ্চিত্রের কথা বলেন না। অন্যদিকে বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র আমদানি করার সিদ্ধান্তে এই নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে সচল সহ বিভিন্ন ফোরামে। চলচ্চিত্রের সাথে সংশ্রব কম দেখে সেখানে ঢুঁ মারা হয় কমই। তারচেয়ে, সম্প্রতি দেখা একটি চলচ্চিত্রের কথাই বলি বরং।

রাজকুমার হিরানীর চলচ্চিত্রগুলো সাধারণত সুগভীর বার্তাবাহী হয়, খারাপ লাগে না। এই ধারায় আমির খান অভিনীত ‘পিকে’ ছবিটিও খারাপ লাগেনি। প্রেক্ষাপট ভারত হলেও কাহিনী যেন আমাদেরও। যারা দেখেছেন তারা কাহিনী জানেন, তাই পুনরাবৃত্তি করার আগ্রহ পাচ্ছিনা। বহুল মিডিয়া-প্রচারপ্রাপ্ত এই সিনেমা বাঙালি দর্শককুল ধুমসে দেখছে। কিন্তু, নাড়া খাচ্ছে কতটুকু? জানিনা। একই পরিচালকের থ্রি-ইডিয়টস দেখার পরেও বাঙালির ফিডব্যাক ছিল পেছনগামী। এবার মনে হয় সেটা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশে নিয়মিত মারদাঙ্গা হিন্দি ছবির পুনঃনির্মান চলে। (ব্যাপারটা স্বাস্থ্যকর নয় মোটেও।) আচ্ছা, এই ছবিটির পুনঃনির্মান করার সাহস কি কারও আছে? যদি থাকে, সে ছবিতে দেওয়ানবাগী-সাইদাবাদী-এনায়েতপুরী-আটরশি ব্লা-ব্লা-ব্লা গংদের উচ্চকণ্ঠে “রং নাম্বার” বলার সাহস কি পরিচালকের হবে? জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগীদের উচ্চকণ্ঠে “রং নাম্বার” বলার সাহস কি পরিচালকের হবে? ডাঃ জাকির নায়েক ও তার মিডিয়া হাউসকে উচ্চকণ্ঠে “রং নাম্বার” বলার সাহস কি পরিচালকের হবে?

০২। বইঃ

একবসায় “গ্রামের নাম কাঁকনডুবি” পড়লাম, মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত। টিপিক্যাল জাফর স্যারের প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা গল্প, কিন্তু কেবল গল্প নয়, পুরো মুক্তিযুদ্ধের তথ্যবহুল চিত্রও বটে। লেখকের প্রয়াত ভাই এ ধরণের বই লিখলে জোছনার প্রাবল্যে জননীর গল্পগুলো সাধারণত ঢাকা পড়ে যেত। এখানে সেটি হয়নি। একেবারে প্রান্তিক একটি গ্রামের কিশোরের চোখে দেখা মুক্তিযুদ্ধ চোখের সামনে ছবির মতন ফুটে ওঠে এ বইতে।

সেখানে উর্দু স্যারের নাম ছাগলা স্যার, রাজাকারের নাম মতিউর রহমান (তার বাপের নাম লতিফুর রহমান দেখে কনফিউজড হয়ে গেছি এইটা নিজামী না আলুমতি)। সেখানে আহত রাজাকারের নাম কাদের, সে আবার ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘের সভাপতি। জেনারেল টিক্কা খানকে নিয়ে গ্রামের সরল মানুষ মস্করা করেঃ "তামুক খাওয়ার সময় আমরা টিক্কার পিছনে আগুন দেই না? এই টিক্কার পিছনেও আগুন দিয়ে দেশ থেকে তাড়াতে হবে"। এখানে ৭০এর নির্বাচন আছে, ৭ মার্চের ভাষণ আছে। ভাষণ লাইভ টেলিকাস্ট হয়নি সেকথাটা আছে। ভাষণে ২০ লাখ মানুষ ছিল সে কথাটা আছে। সেদিন রেসকোর্স ঘিরে টহলরত সশস্ত্র হেলিকপ্টারের কথা আছে। সোয়াত জাহাজের কথা আছে। ২৫ মার্চ হামলা ও গণহত্যা (সুশীল ভাষায় পিটুনি) আছে। এখানে আকাশ থেকে কোনও শ্যামলা রঙের বিশাল পুরুষাঙ্গ খসে পড়ার রগরগে বর্ণনা নেই, তবে লুঙ্গি খুলে নুনুর আগায় মুসলমানিত্ব বের হয়ে আছে কিনা অশালীনভাবে সেটা যাচাই করার কথা আছে। (আরো মজার কথা জনসমক্ষে নুনু চেকিং এর প্রথম শিকার এক পাতি রাজাকার)। এখানে লুটপাটের কথা আছে, লাশ দাফনের সুযোগ পর্যন্ত না দেবার কথা আছে। ক্যাম্পে নির্যাতনের কথা আছে। ব্যাতিক্রমী বেলুচ সেপাই ইউসুফ শাহ্‌র কথা আছে। বীরাঙ্গনাদের কথা আছে, বীরপুঙ্গব ভরা বৃহত্তর সমাজে তাদের অপাংক্তেয় হবার কথা আছে। মা-মেয়ে দের মুক্তিফৌজের ক্যাম্পে সক্রিয় সহায়তার কথা আছে। স্বাধীন বাংলা বেতার আর চরমপত্রের কথা আছে। এভাবে পুরো বই জুড়ে জোছনার মত আবেগের পাশাপাশি জননীর মতন বাস্তবতাটুকুও আছে। আরো ভাল লেগেছে বইটির উৎসর্গপত্র দেখেঃ “বাংলাদেশের সেই কিশোরী, তরুণী আর নারীদের যারা একাত্তরে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছিলেন”।

অনেক ছোট ক্লাসে থাকতে একই লেখকের “আমার বন্ধু রাশেদ” বইটা পড়ে ফেলেছিলাম। সে বই একাধিকবার কিনেছি ও হারিয়েছি, বহুবার উপহার দিয়েছি। কিন্তু শেষ অংশ পর্যন্ত দ্বিতীয়বার আর কখনও পড়তে পারিনি, সাহস হয়নি। এ বইটি নিয়ে সে সমস্যা হবে না, বারবার পড়া যাবে। বইটিতে একমাত্র খারাপ লেগেছে মুজিবনগর সরকারের উল্লেখ না পেয়ে। তাজউদ্দিন আহমেদের নামটিও অনুচ্চারিত থেকে গেছে। কথকরূপী কিশোর মুক্তিযোদ্ধাটির দৃষ্টিকোণ থেকে সেটা স্বাভাবিক হতে পারে। তবু, কমান্ডার মাসুদের মুখ দিয়ে হলেও এটি আসতে পারত। কে জানে, পরে কোনও এক সংশোধিত সংস্করণে হয়তো এটিও থাকবে। এই আশাটুকুই করি আপাতত।

০৩। নাটকঃ

পেশাগত সূত্রে আমার বসবাস একটি মফস্বল শহরে। আর আমার নিবাস পার্শ্ববর্তী আর একটি মফস্বল শহরে। ছোট্ট সেই শহরে গত ক’বছর ধরেই আধপাগলা কিছু মানুষের উদ্যোগে একটি বইমেলা শুরু হয়েছে। সেটিকে কেন্দ্র করে প্রতি রাতেই মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। গত সপ্তাহান্তে সেখানে সৌভাগ্যবশত নাটক দেখে এলাম। মঞ্চস্থ হয়েছিল ‘অনুশীলন’ নাট্যগোষ্ঠীর “রয়েল বেঙ্গল টাইগার”। যারা দেখেননি, লিস্টে রাখতে পারেন।

এ নাটকটির প্রেক্ষাপট ১৯৭৭ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সামরিক স্বৈরশাসকের রাজত্ব এবং সেসময় রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে গোলাম আজম সহ অন্যান্য স্বগোত্রীয় বরাহদের সদম্ভ পুনরাগমন। শেষ দৃশ্যটি বাস্তবানুগ নয়, যদিও তা আমাদেরকে আশাবাদী করে তোলে, অধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ করে তোলে। নাটকের সংলাপগুলো অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ও শাণিত। এখানে বীরোত্তম খেতাব প্রাপ্তদের জানোয়ার শিকার করা বন্ধ থাকে। “জয় বাংলা বাংলার জয়” গান শুনে জানোয়ার লেজ নাড়ে। কোনও গানে কাজ না হবার পর “পাক সার জমিন সাদ বাদ” গান শুনে জানোয়ার আশ্বস্ত হয়ে নির্ভয়ে নেমে আসে। এখানে ‘পাআক সাআর জমিইইন সাআআদ বাআআআদ’ না গেয়ে অবশ্য স্টাইল করে ‘পাআক সাআর জমিইইন সাআআদ বঅঅঅঅঅদ’ গাওয়া হয়। বন্দুকমার্কায় হাঁ-না গণভোটের সময় “না বাক্স” খুঁজে পাওয়া যায় না। পুলিশ কর্তা জানোয়ারের ওপর অধৈর্য হয়ে মুখ ফস্কে বলে ফেলেন- “শাআলা রাজাকার-আলবদরের পোঁদে গুলি করে দিতে ইচ্ছে হয়”। বাকিটুকু বললাম না, মজা নষ্ট হয়ে যাবে।

জলপাই সবুজ আঁধারে ঢাকা দিনগুলিতেও আমাদের কবি-লেখক-নাট্যকারেরা লাইনে ছিলেন তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ এই নাটকটি। আচ্ছা, ভবিষ্যতের অনাগত কোনও দিনে আবার তেমন আঁধার নেমে এলেও কি তাঁরা লাইনে থাকবেন? নাকি হাসনাত আবদুল হাই ইবনে কায়কাউস বিনতে ফাল্গুনী নাম নিয়ে 'কোবিতার মায়রে বাপ/দারুন চাপ/সেভেন আপ' বলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঝোপের আড়ালে গিয়ে কোনও এক অবলা উন্মাদিনীর উন্মুক্ত স্তন মর্দন করতে করতে দুধ-চা খাবেন?

০৪। বইমেলা! বইমেলা!

এবার পেট্রলবোমা আর ককটেলে মনির পোড়ানো চলছে, হয়তো চলবে। টকশোতে মকশো করা দুর্বুদ্ধিজীবীরা জোর গলায় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নিরপেক্ষতা এইসব কিওয়ার্ড দিয়ে উদাস’দার ম্যাটল্যাব প্রোগ্রাম রান করে দিব্যি নিত্যনতুন বক্তৃতা দিয়ে একেকজন বক্তিয়ার খলজী হয়ে উঠছেন। মাঝেমধ্যে মনির পুড়ানো ডবল ফিগারে পৌঁছে গেলে চট করে কিওয়ার্ড বদলে ফুল-পাখি-মাছ-প্রেম-প্রীতি করে নিচ্ছেন। প্রথমালুর মত আলুর দোষ থাকলে অবশ্য প্রকৃতি-নদী-লতাপাতার বদলে পুরুষাঙ্গ-পায়ুপথ-অণ্ডকোষ ইত্যাদি ‘খুউল খিওয়ার্ড’ দিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে ট্রেনগুলো ইচ্ছে করে কাত হয়ে পড়ে গেলে কিওয়ার্ড বদলে ভারত-আমেরিকা-চীন হয়ে যাচ্ছে, ভুলেও রেললাইনে উঠছে না। আবার, দু-একজন বোমাবাজ হঠাৎ ধরা পড়লে সাথে সাথে কিওয়ার্ড বদলে মানবাধিকার-বাকস্বাধীনতা-৩৯ধারা ইত্যাদি হয়ে যাচ্ছে। সে যাকগে, মতিকবি তো এমনি বলেন নিঃ “বদলে যাও, বদলে দাও”, ভেবেচিন্তেই বলেছেন। বদলের দুনিয়ায় এসএসসির তারিখ পর্যন্ত বদলে গেল। ভেবে দেখলাম বদলায়নি কেবল একটা জিনিস- ‘ফেব্রুয়ারির বইমেলা’।

জানুয়ারির শেষ দিনেই ঢাকা পৌঁছেছিলাম রেলে চেপে। ফেব্রুয়ারির পয়লা তারিখে রাজধানীতে কাজ ছিল, সেটা দ্রুতই শেষ হল। তারপর আর কি, আপিসের গলাবন্ধ (আসলে দমবন্ধ) জামাকাপড় বদলে একদৌড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখাসাক্ষাৎ পর্ব শেষ করতে করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও উদ্বোধন করা শেষ। আর আমার শুরু। প্রথম দিনটা অবশ্য জমেনি একেবারেই। প্রায় প্রতি স্টলেই হাতুড়ি-বাটাল-তুলি চলমান। এর মাঝেই দু-চারটে বই কিনলুম। তারপর হাকিম চত্বরে খানিকক্ষণ কবিতা (কোবিতা নয়) শুনে চলে এলাম। পরদিন গিয়েছিলুম সকালেই। চারুকলায় একটা প্রদর্শনী চলছিল। বহুদিন পর যাওয়া, সেই সুবাদে বুভুক্ষের মত ছবি দেখলাম খানিকক্ষণ। তারপর এক বই সমঝদার সহকর্মীর সাথে হাকিম চত্বরে দুটো খিচুড়ি আর দুকাপ চা খেয়ে গেলাম টিএসসির বইয়ের দোকানটাতে। এখানে অনেকসময় কমদামে পুরনো সংস্করণের ভাল বই পাওয়া যায়, সেদিনও পাওয়া গেল। বইমেলায় ৮০০/- ছাপমারা বইয়ের আগের সংস্করণ পেলাম ৫৫০/- ছাপমারা, তার ওপর কমিশন। আরো কিছু পাওয়া গেল এমন, মাফ করার প্রশ্নই আসে না। এই করতে করতে তিনটে বাজতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দৌড়। স্টলগুলো তখনও তেমন গুছিয়ে ওঠেনি। তবে বইকেনা গেল ভালই। আগের দিন দেখে গিয়েছিলুম এমন অনেক বই অবশ্য খুঁজে পেলুম না, পুরো গোলকধাঁধার মত ঘুরপাক খেলুম কয়েকদফা। তারপর চারুকলার সামনে সিএফসি’র আলুভাজা আর মুরগিভাজা ভরপেট খেয়ে আবার কবিতা উৎসবের কবিতা আর গান শুনলাম খানিকক্ষণ। তৃতীয় দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠেই বইপত্র প্যাকেট করে দৌড়ুলাম কুরিয়ার সার্ভিস খুঁজতে। নীলক্ষেত গিয়ে তো মাথায় হাত, সেদিন মঙ্গলবার খেয়াল ছিল না। অনেক কষ্টে এক চিপায় কন্টিনেন্টালের অফিস খোলা পেলাম। পাঠাতে গিয়ে দেখি সাড়ে ছত্রিশ কেজি। অবশ্য তার মধ্যে অন্তত ৫ কেজি পুরানো বই, ১০ কেজি পাঠ্যবই আর কেজিখানেকের একটা জিন্সের পাতলুনও (গোঁজ দেবার জন্য) ছিল। সেগুলো বাদ দিলেও দু’দিনে ২০ কেজি বই একেবারে খারাপ না, কি বলেন? সেদিন বিকেলে আবার আমন্ত্রিত ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোটভাইয়ের প্রথম বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে। গিয়েছিলাম সময়মতই, শুরু হল একটু দেরিতে। তারপর আর কি বইয়ের মোড়ক না খুলেই ট্রেন ধরার জন্য দৌড়ুলাম কমলাপুর। ও হ্যাঁ, তার আগে মুক্তধারার স্টল থেকে আরো তিনখানা বই ঝোলায় পুরে ফেলেছি।

আগেই বলেছি আমার নিবাস যেখানে সেখানে আজকাল জমজমাট বইমেলা হচ্ছে ইদানীং। গত কয়েক বছর অবশ্য সব স্টলে পেটমোটা-পেটপাতলা-হার্ডকভার-পেপারব্যাক-রঙ্গিন-সাদাকালো নানা জাতের ‘জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র’ কিংবা অনুরূপ বইয়ের চাপে আসল বইমেলাই চাপা পড়ে যেত প্রায়। এবার দেখলাম উন্নতি হয়েছে, আসলেই বইমেলা হয়ে উঠেছে। একেবারে নতুন বইগুলোও এসেছে, কথিত অবরোধে কিভাবে আসল কে জানে? যা হোক, সেখানেও বেশ কিছু বই কিনে ফেললাম ছুটির দু’দিনে। কেজি পাঁচেক হবে বোধহয়। তারপর আর কি, ছুটি শেষে বইদের বাসায় রেখে আবার কর্মক্ষেত্রে। কেবলই বিরহ, হানিমুন আর হল না।

০৫। বইমেলার বুদ্ধমূর্তিঃ

এই সেই ঐতিহাসিক কার্টন, যাতে চেপে আমার সাড়ে ছত্রিশ কেজি বই ককটেল আর পেট্রল বোমা এড়িয়ে নিরাপদে বাসায় পৌঁছেছে। পাশের ঘড়িতে আমার অবস্থা নির্দেশিত।

খোলার পরে কৌটো থেকে বেরুল রাজা অদীক্ষিত ললাটের প্রাসাদ, ঐ এক কোণে তামার রাজ্য দেখা যায়। আমার ব্যাকপকেটের ছবি তুললে দেখা যেত পেছনে সোনা-রূপোর রাজ্য জ্বলছে।

সামনে আবার বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি শুরু করব, বই পেলেই কিনে ফেলি। ওপরের সারির বইগুলো সেই জন্যই কেনা। নিচে একসেট রুশ বইয়ের পুনঃমুদ্রণ পেলাম সেটার লোভও সামলানো গেল না। নিচে ডান কোনার বইটা দ্বিতীয়বারের মত কিনলাম, আগের কপিটার হদিস নাই, আবার হাতের কাছে না থাকলেও শান্তি হয়না।

সুনির্দিষ্ট কোন ছক নেই, পেয়েছি আর ঝোলায় ভরে ফেলেছি এগুলো। সব প্যান্টে যেমন বেল্ট থাকেনা, সব ঘড়িতে যেমন কাঁটা থাকে না, সব পাঞ্জাবিতে যেমন বুকপকেট থাকে না, সব লুঙ্গিতে যেমন কাছা থাকে না, সব পাজামায় যেমন ফিতা থাকে না, সব টয়লেটে যেমন পানি থাকে না, সব স্টলে যেমন বই থাকে না, সব টকশোতে যেমন আসিফ নজরুল থাকে না, গণতান্ত্রিক অধিকারের নিয়ম মেনে এই ছবিরও তেমন ক্যাপশন নেই।

ওপরের ডান কোনার বইটা সহ ক্লকওয়াইজ তিনটা বই খুউপ খিয়াল কইরা। এসো নিজে করি পড়তে পড়তে আর চতুর্দিকে নিরপেক্ষতা দেখতে দেখতে আমিও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের ভারসাম্য বজায় রাখা শিখে গেছি। ভালো তো, ভালো না?

বইমেলায় যাব আর সেবায় ঢুঁ মারব না, তা কি সম্ভব? মোটেই না। ভল্যুমের জ্বালায় অবশ্য এক বই চরম উদাসের ভাষায় হাসিমুখে দুদুবার করে কিনতে হয়েছে। মাঝের কলামের ভদ্রলোককে মাঝেমধ্যে বেলাইনে যাওয়ার উপক্রম করার জন্য যতই বকাবকি করিনা কেন, বই পেলে লোভ সামলানো দায়। নিচের কলামের তিনটে বই মিলে প্রায় ছয় কেজি। তারমাঝে একদম ডানের বইটা প্যাকেট খোলামাত্র আব্বা দখল করেছেন, মাঝের কলাম ছোটবোনের দখলে, সেবার বইগুলো আম্মা, আর শেষমেশ আমার হাতে রইল পেন্সিল। নিষ্ঠুর দুনিয়া।

ভারতীয় এই মিডিয়া মুঘল কাম স্ট্যান্ডাপ কমেডিয়ানের শো আমি প্রচন্ড উপভোগ করি। বহুদিনের স্বপ্ন ছিল তাঁর একটা রচনাসমগ্র হাতের কাছে থাকবে। আবার কিনতেও ইচ্ছা হত না। উভয় সঙ্কট বৈকি। এইবার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, ছোটবোন কিনে উপহার দিয়েছে। উপহার হিসেবে বইয়ের তুলনা নেই। তবে এটাকে ‘বই’ বলা ঠিক উচিৎ হবে কিনা বুঝতে পারছি না।

পুনশ্চঃ
সচল পরিবারের অনেকেরই বই বের হয়েছে, তাদের সকলকে শুভেচ্ছা। পাঠকদের জন্য সমবেদনা।

পুনঃ পুনশ্চঃ
রেল ঠিকঠাকমত চললে আগামী সপ্তাহান্তে আবার ঢাকায় আসব। তখন দেখা হবে নিশ্চয়। শুভ বইমেলা!


মন্তব্য

আয়নামতি এর ছবি

দেঁতো হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

আপনার শহরের বইমেলাকে কীভাবে আরো জমজমাট করা যায়?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

একটু ভেবে বলি? ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হিমু ভাই,
ভেবে দেখলাম, এ বইমেলাটা মোটামুটি জমজমাট। এবার গিয়ে দেখলাম প্রতিদিন বিকালে আলোচনাও হচ্ছে। নীরস একতরফা প্রবন্ধপাঠ না, মোটামুটি মিথস্ক্রিয়াসম্পন্ন। স্থানীয় ভাবে প্রকাশিত নতুন কিছু বইও প্রচারিত হচ্ছে। সব স্টলমালিকের সাথে কথা হয়নি, দুয়েকজন জানালেন বিক্রি-বাট্টাও ভালই চলছে। এর বাইরে শিশুদের ছবিআঁকা/আবৃত্তি/গান ইত্যাদির প্রতিযোগিতাও রয়েছে। ঐতিহ্যগত ভাবে সমাপনী বা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গত ক'বছর ধরেই প্রথিতযশা কোনও কবি/সাহিত্যিক উপস্থিত থাকছেন। প্রথম দু'বছর বইমেলাটা ১ সপ্তাহ, পরের ক'বছর ২ সপ্তাহ চলেছে (শেষবার অবশ্য পরে কয়েকদিন বাড়ানো হয়েছিল বোধহয়)। এবার সেটা পুরো মাসব্যাপীতে পৌঁছেছে।

মফস্বলের একটা বইমেলায় এছাড়া আর কি কি করা যেতে পারে? নতুন কোনও আইডিয়া থাকলে জানান। আমি বইমেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষকে পৌঁছে দেব।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

আপনার ফেসবুক ঠিকানাটা দ্যান দেখি।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সচলের ইনবক্সে দিলাম, আর এইমাত্র আপনার ফেবুতে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছি।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

০১. ইচ্ছা ছিল থিয়েটারে গিয়ে দেখা। জ্বরে পড়ে কুঁ কুঁ করায় আর হলু না। নেটে আসলে হয়ত দেখা হবে।
তবে থ্রী ইডিয়েসের ধারেকাছে নাকি যায়নি? নানামুখী মতামত পেলেম এটা নিয়ে।
আমার ধারণা বাংলাদেশের দু'একজন সাহস রাখেন হয়ত এমন মুভি বানানোর।
কিন্তু সেন্সর বোর্ডের মহাজ্ঞানীলুকেরা পুলসেরাত পার হইতে দেবেন কিনা সন্দেহ।
তবে চামে 'পিঁপড়া বিদ্যা' দেখে সীমাহীন দ্বন্দে পড়েছি। ফারুকী'র শিল্প বুঝতে পারার মত জ্ঞান আমার আসলেই নাই।
অথচ এই মুভির এমন সব প্রশংসার ফুলঝুরি দেখেছি দু'একটা রিভিউতে( রিভিউ পড়ে মুভি দেখিনা তেমন)।
কিছুই বুঝলেম না।

০২. বইটা পড়িনি মন খারাপ

০৩. নাটক টা দেখার সম্ভাবনা নাই রে বাপ মন খারাপ

০৪. এইখানে এসে পিউর ছায়েঞ্ছের মত পিউর মারফতি কর্তে মঞ্চায়।
কতশত বার শোনা গানের কথাই তাই ঝেড়ে দিলেম

খুব চাওয়া থেকে যা পেয়েছো, ক্ষুদ্র সে তো নয় গো নয়
আর যা কিছু পেলে না আজ, তাই যেন গো সবার হয়।।

আমার যাওয়া হচ্ছে না বলে মন খারাপ আছে নিশ্চয়ই।
কিন্তু আপনি-আপনাদের আনন্দ দেখে মন খারাপটা তেমন করে আর মন ধরে ঝুলে থাকে না।
বইমেলা পাবো না তো এখানে, তাই স্হানীয় বুকশপ থেকে তাই দুইখান বই কিনলেম।
যা পাইছি তাহা নিয়েই "আমি সন্তুষ্ট" চাল্লু

সাক্ষী সত্য কও, বইয়ের মডেলদের টেকাটুকা কত দিছো? শয়তানী হাসি
__________________________
এই পোস্টদাতা ইচ্ছা পূর্বক পাঠকের সূক্ষ্ণ(?) সূক্ষ্ণ অনুভূতিতে(এত্ত এত্ত বই কিনলেম; এত্ত এত্ত খেলেম(পেটুক কুথাকার খাইছে) বস্তা বস্তা হিংসা ঢেলে আগুন জ্বালাইবার হীন চেষ্টা করিয়াছেন। এণ্ড ইউ নো সামথিং ইজ বার্নিং!
পোস্টদাতার কঠোর শাস্তি হওয়া দর্কার।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১।
থ্রি-ইডিয়টস এক রকম, এইটা আরেক রকম, তুলনা অপ্রাসঙ্গিক হাসি

২।
দুঃখ পাবার দরকার নেই, দুদিন হল প্রকাশিত হয়েছে দেঁতো হাসি

৩।
হুমম... পেলে পড়ে ফেলেন (তবে এইটা আসলেই দেখার জিনিস) ইয়ে, মানে...

৪।
আরে, আমরা আমরাই তো। আর মডেল আইল কোইত্তে? চিন্তিত

_______________________________________
আগেই কইছি তো। ডিস্ক্লেইমার রিভিশন দ্যান গিয়া। খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

১. বাপু তুলনায় গেলু কে চিন্তিত
তুলনা নয়, তুলনা নয়...চাওয়ার সাথে পাওয়ার বেশ কমের কথাই বলা হয়ত।
যাইহোক মাশটরের মুখে মুখে তক্কো কর্তে নেই। মুখবন্ধ পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
২. আচ্ছা দেঁতো হাসি
৩. ইয়েছ শ্যার
৪. এই আম্রা আম্রা কিন্তু সন্দেহ বাড়াইল বৈ কমাইল না শয়তানী হাসি
________________
আপনার বাড়ির ঠিকানাটা দিলে বইগুলু লুট কর্তে সুবিধা হয়, ঠিকানা পিলিইজজজ দেঁতো হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। ইয়ে, মানে...

২। দেঁতো হাসি

৩। হাসি

৪। খাইছে

____________________
কিছু কথা থাক না গুপন শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

(০১) আমির খান অভিনীত ‘পিকে’ - ভাল লেগেছে। আপনার প্রত্যকটি প্রশ্নে চলুক
(০২) - (০৫) অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

১। এত বই ক্যামনে পড়েন বাপু? চিন্তিত

২।আপনার ব..উ..না..ই ভাগ্যকে হিংসে চোখ টিপি

৩। হিন্দি ছবি শেষ কবে দেখেছি মনে পড়ে না, নাটকও তেমন একটা দেখা হয়না এখন। আইলসা হলে যা হয় আর কি! হাসি

৪। গনতন্ত্র রক্ষার আন্দুলনের জন্যে ঢাকার বাহির থাকি বলে এখনো বইমেলায় আসা হয়ে ওঠেনি মন খারাপ । আসা রাখি আগামী ছুটির দিনে হাজির হবে, আসলে আওয়াজ দিয়েন।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

০১।
পড়ি সেকথা কে বলল? ওগুলো তো শো-পিস। আসল ব্যাপারটা হল ধরেন একটা বুকশেলফ কিনছিলাম, তারপর সেইটা ভরাইতে বইকেনা, আবার বই বেশি হয়ে গেলে আবার বুকশেলফ কেনা, ফাকা শেলফ ভরাইতে আবার বইকেনা, আবার... এই দুষ্টচক্রে পড়ে গেছি। এখন আর বাইরাইতে পারিনা, বই পড়াও হয় না। ওঁয়া ওঁয়া

০২।
হুমম... বইপড়ুয়া বউ থাকলে মন্দ হতনা অবশ্য। চোখ টিপি

০৩।
এই নাটকটা সুযোগ পেলে দেখে ফেলেন। হাসি

০৪।
আমিও তো ঢাকার বাইরে জামাতি ঘাঁটিতে বসে বসে গণতন্ত্র রক্ষা করে চলেছি, তাই বলে বইমেলা বাদ দেব? কাভি নেহী। চাল্লু আইসা পড়েন, কি আছে জীবনে?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

১। রক্ষী বাহিনীর অজানা অধ্যায় এবং ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস কোন প্রকাশনীর, কত নাম্বার স্টল জানাবেন।

২। মুসতাসির মামুনের “রাজাকারের মন” কি পড়েছেন? পড়লে সেটা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ছিলো।

৩। এ হপ্তায় মেলায় আইবেন? চিন্তা লইছি রাজাকারের মন ও আরো কিছু বিষয় নিয়ে মুনতাসির মামুনের সাথে একটু কথা কইতাম, দুইজন হইলে ভালু হয়। মেলায় আসলে আওয়াজ দিয়েন। হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

০১।
"রক্ষীবাহিনীর অজানা ইতিহাস" এসেছে অন্বেষা প্রকাশনের স্টলে। "ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস" সব খন্ডই আগামী প্রকাশনী থেকে, ৯০ পরবর্তী সময় নিয়ে এর আরেক খন্ড আসছে বলে স্টলে জেনেছি দেঁতো হাসি

০২।
হ্যাঁ পড়েছি। প্রশ্ন করে রাখতে পারেন, কমন না পড়লে এইমুহূর্তে উত্তর দেবার গ্যারান্টি দিতে পারছি না। কেননা বইটা বাসায়। ইয়ে, মানে...

০৩।
ইচ্ছা তো আছে। দেখা যাক। মুনতাসীর মামুন স্যারকে ২ ফেব্রুয়ারিতেও কলাভবনে দেখেছি। কথা কইলে প্লান-প্রোগ্রাম কইরা যাওয়া যায়। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

রাজাকারের মন বইটির ৩২ পৃষ্ঠায় মুনতাসির মামুন স্যার লিখেছেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুর রাজ্জাক ও মুজাফফর আহমদ চৌধুরে ছিলেন শাসনতন্ত্র প্রণয়ণের আওয়ামিলীগের উপদেষ্টা। এঁরা সে সময় দ্বিজাতি তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন না, ফলে পাকিস্থান ভাঙার উপকরণগুলিিই শাসনতন্ত্রে তারা সন্নিবিষ্ট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন

স্যার পন্ডিত আব্দুর রাজ্জাকের কথাই বলছেন, অথচ আব্দুর রাজ্জাক তার সাক্ষাৎকারেই স্বীকার করেছেন তিনি দ্বিজাতি তত্ত্বার পক্ষে ছিলেন এবং জিন্নাহর ভক্ত ছিলেন। তাহলে বিষয়টা সাংঘর্ষিক হয়ে গেলো না?

আপনার ফেসবুক লিংক দিয়েন, আর না হয় এই নামে ফেবুতে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন অধম কে। ছফা-রাজ্জাক-আজাদ এই তিনজন নিয়ে আমার জানার আগ্রহ আছে, সেক্ষেত্রে মুনতাসির মামুন স্যার খুব গুরুত্বপূর্ণ।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার এত রকম বই! আমি সেদিন গিয়ে মোটে কেজি দুয়েক (ছত্রিশ কেজির সাথে তুলনা করে) কিনলাম, এখন কান্না পাচ্ছে। থাকেন কোথায়? আমি বছর দুয়েক আগেও যে শহরে থাকতাম সেখানেও নতুন করে বইমেলা শুরু হয়েছে বছর কয়েক হয় আর ‘অনুশীলন’ নামে একটা দলও আছে তো তাই হাসি

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আরে ব্যাপার না, আরো একমাস আছে তো বইমেলা। আমি আবার যেতে পারব কিনা নিশ্চিত নই, তাই পয়লা রাতেই হাতি সাইজের বিড়াল মেরে রাখলাম আর কি। দেঁতো হাসি

আর... ইয়ে... কিছু কথা থাক না গুপন। চোখ টিপি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

গুপন থাক, গুপন থাক, সমস্যা নাই খালি এইবার আসলে আমাকে কেজি পাঁচেক বই কিনে দিয়েন চাল্লু

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আইচ্ছা, আমি আপনারে ৫ কেজি বই কিন্যা দিমুনে হাসি
আপনেও পাল্টা আমারে ৫ কেজি বই কিন্যা দিবেন দেঁতো হাসি

ব্যাস, এক্করে সমানে সমান, নিরপেক্ষ হইতে হবে না? শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে, মানে... ইয়ে, মানে...

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

বইমেলা একটা যাবার জায়গা হলো? আর বইই বা কেমন্ধারা কেনবার জিনিস? এগুলি করে দুষ্ট লোকে।

ভালো লোকদের তাতে কেন 'বিষ' করে, তার কারণটি একেবারেই অস্পষ্ট। যাই, কুছু অ্যান্টিডোট খেয়ে আসি রেগে টং

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ, আঙ্গুর ফল চুকা খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

প্রথম ছবিটার ক্যাপশন মজা লাগলো। কিছু বই লিস্টে তুলে নিলাম। আমি তো যেতে পারছি না মেলায়, কুরিয়ারই ভরসা। নিরাপদে থাকুন।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনিও নিরাপদে থাকুন।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

০১৷ চলুক
০২৷ পড়ি নাই।
০৫৷ ভাবছি, বইমেলায় গিয়ে আর কী হবে, সেখানে বই কি আর পাওয়া যাবে! চিন্তিত

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

০১। দেঁতো হাসি
০২। নতুন আসছে, পড়ে ফেলেন। হাসি
০৫। খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আহ বইমেলা, বাহ বইমেলা। গত ৩ বইমেলা ধরেই বই কিনে রাখছি কিন্তু পড়ে শেষ করতে পারছি না। মন খারাপ প্রাইভেট জবের কুত্তাপাগল দৌড়ানিতে সময় বের করাটাই তো সমস্যা।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ (চিপাদিয়া শুরু করেন, কি আছে জীবনে)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শিশিরকণা এর ছবি

বইয়ের নাম টোকাচ্ছি। মেলা শেষে সব অর্ডার করব। তারপর নেক্সট বছর দেশে গিয়ে বগলদাবা। পাচ-সালা পরিকল্পনা চলছে যে আগামী বছর বইমেলায় যাব। এ নিয়ে সাত বছর মেলায় যাওয়া হয়নি। মন খারাপ

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সমবেদনা মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শিশিরকণা এর ছবি

কেজির হিসাব দেখে মনে পড়লো, স্থানীয় লাইব্রেরিতে "বুক-সেল" দিচ্ছে কবে খোঁজ নিতে হবে। গেল বার প্রতি পাউন্ড বই ২৫ পয়সা দরে ৪০ পাউন্ড বই কিনেছিলাম দিশেহারা হয়ে। এখনো ধরাই হয়নি।
জাপানি একটা শব্দ আছে । Tsundoku মানে হলো বই কিনে জমিয়ে রাখা, কোনদিন পড়ার সময় হবে সেই আশায়। ( ফেসবুক লব্ধ জ্ঞান) আমি সেই রোগের রুগী

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এটা কোন দেশে? বিলেত? যেতেই হবে এখানে! ইয়ে, মানে...

হে হে হে, আমিও এই রোগের আংশিক রুগী। দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

আম্মো ম্যালা আংরেজি বই জমিয়েছি। আরামের অভাবে সময় বের করে পড়া হয় না।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

Time and tide waits for none, not even for Rifat Sanjida চোখ টিপি
চিপাচুপা দিয়া খানটুক টাইম বাইর কইরা পইড়া ফালান, ব‌্যাস চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

হু দ্য হেল ইজ দ্যাট রিফাত সানজিদা! রেগে টং
নাম ফাঁস করন ছৈলতন।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

প্রচলিত নাম, উদাহরণ হিসাবে আনলাম আরকি
কলা না খান, ভাল কথা। চেঁচান কেনে গো? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

উদাহরণ হলে ঠিক আছে। রিফাত তো কমন নাম-ই, ইউ নো।
যেমন ধরেন-- আমার নাম তকাই! আমার মামার নাম তকাই, আমার খুড়োর নাম তকাই, আমার মেসোর নাম তকাই, আমার শ্বশুরের নাম তকাই..'
এরকম আর কী। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, তাহলে বিস্কুট কার নাম? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

১। পিকে দেখেছি। সংলাপগুলো ইন্টারেস্টিং।

২। লেখার শিরোনাম ঠিক ধরতে পারিনি। পোস্টের সঙ্গে ঠিক যায় না মনে হয়েছে।

৩। সাড়ে ছত্রিশ কেজি বই কিনে সে গল্প আবার নিশঠুরের মতো গরিবঅভাগাপ্রবাসিদের নাকের সামনে সচিত্রভাবে ঝুলিয়ে বেড়ানোর অপরাধে আপনাকে তিনদিনের জেল আর সাতদিনের ফাঁসি দেয়া উচিত! মৈরা যান! রেগে টং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

০১। হ হাসি

০২। আপনার মন্তব্যে কনফিউজড হয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু ৩ নং মন্তব্য দেখে বুঝলাম আসলে শিরোনামটাকে এমন বইমেলাবিরহী পাঠক/পাঠিকাদের দৃষ্টি কোণ থেকে দেখতে হবে। শয়তানী হাসি

০৩। আহা হ-য-ব-র-ল। সামনে আবার যাইতাছি, ফিরা পোস্ট দিমুনি। দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আর ইয়ে, তিথীদি,

নিশঠুরের > নিষ্ঠুরের
গরিবঅভাগাপ্রবাসিদের > গরিব-অভাগা-প্রবাসীদের
সচিত্রভাবে > সচিত্র / চিত্র সহকারে

হিংসা করলে পেটে গেস হয়, হিংসা করবেন না দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

হলো না। মন্তব্যে বেতা, জেবন, নিশঠুর, মনপ্রাণরিদয় এগুলো দেখলে বুঝতে হবে ব্লগীয় ভাষা পেকটিশ করছি। যাতে গেস > গ্যাস না হয়।
সচিত্রভাবে ভুল-ই। ওটার জন্য কারেকশান জায়েজ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দিলাম। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম... নিপাতনে সিদ্ধ ইয়ে, মানে...

কালকে শেহাব ভাইয়ের রিভিউ পরে মনে হল, রিভিউয়ার ছাড়াও পাঠকের অনেক আগে বাঁধাই ছাড়া বই পড়ার সুযোগ হয় আরো একটা জাতের লোকের, সেটা হল প্রুফরিডার। সত্যি বলতে কি আমিও এককালে এ কাজ করেছি, বহুদিন পর আবার সুযোগ পেয়ে আবার একটু হাত মকশো করলাম আরকি। এমন রাজকপাল তো প্রতিদিন আসে না। দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার বইয়ের সংগ্রহ দেখে সত্যি হিংসা হইতাছে হাততালি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ছি ছি, হিংসা করলে পেটে গেস হয়, হার্টে পোবলেম হয়...
হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে আমাকে কেজি দুয়েক বই কিনে দেন দিকিনি দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

'জরথ্রুস্টের সন্ধানে' বইটা কার লেখা এবং কোন প্রকাশনীর স্টল থেকে কিনেছেন, জানাবেন। হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লেখক-পল ক্রিসবাসজেক, অনুবাদ- মোস্তফা আরিফ, রোদেলা প্রকাশনী
ফ্ল্যাপের লেখা দেখে ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল। কিনে ফেললাম। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বইটা আমি নেড়েচেড়ে দেখতে চাই। ভাল মনে হলে কিনতে চাই। এ বিষয়ে আমার একটি লেখাধর্মসার (৪) জরথুস্ত্র ও পারসিক ধর্ম

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দারুণ তো, সিরিজে ইটা রাইখ্যা গেলাম... রেখে গেলাম। সময় নিয়ে পড়ব।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মেঘলা মানুষ এর ছবি

" বইমেলা ও একজন বইখাদক পাঠক" নামে আপনি তো পুরা ডকুমেন্টারি বানিয়ে ফেললেন!
রেডিওতে পড়ে শোনালে আপনার এই লেখা নাটক বলে চালিয়ে দেয়া যাবে দেঁতো হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দেঁতো হাসি সিকুয়েল আসিতেছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

১. রেফারেন্স ছাড়া আমি হিন্দি ছবি দেখি না। পিকে নিয়ে ফেসবুকে দুচারজন বলাবলি করার পর ভাবতেছিলাম জিনিসটা কি? 'পিকে' শব্দটা আমরা ছোটবেলা থেকে খারাপ অর্থে শুনে এসেছি। তাই আর আগ্রহ দেখাইনি। কিন্তু কি ভাগ্যি ঘরে এসে দেখি 'পিকে' নামের এক মুভি এসে হাজির হলো আসমান থেকে। সাথে সাথে গুগল, তারপর সেই রাতেই ফিনিস। অনেকদিন পর তৃপ্তি নিয়ে সিনেমা দেখলাম নিখাদ আনন্দের সাথে। দেশে এমন সিনেমা আমি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করি না।

২. হাসি

৩. হাসি

৪. ওঁয়া ওঁয়া গুরু গুরু
তয় এই অংশে একটা কাজ ঠিক করেন নাই। হিংসা বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকতে চাইছিলাম এই মাসে। আমি এবার অনেক আশা নিয়ে বইমেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু জান বাজি রেখে সেই মেলা দেখার ইচ্ছা থেকে বিরত থাকলাম। বেঁচে থাকলে অনেক বইমেলা দেখা যাবে, টনে টনে বইয়ের ঘ্রাণ নেয়া যাবে। তাছাড়া মেলার পরে বাছা বইগুলো ঘরের কাছের বাতিঘরে চলে আসবে নিশ্চিত। হো হো হো

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। ইয়ে, মানে...

২। হাসি

৩। হাসি

৪। শয়তানী হাসি
[ চাটগাঁ গিয়ে খুব ইচ্ছে ছিল "বাতিঘর" দেখব, সময় হয়নি। ওঁয়া ওঁয়া ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

আজকের অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে পোস্ট আসুক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ, আআআআসিতেছে শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

দীর্ঘ লেখায় অনেক বেত্তান্তই চোখে পড়ল!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।