গাধা

সবজান্তা এর ছবি
লিখেছেন সবজান্তা (তারিখ: শনি, ১৪/০৩/২০০৯ - ২:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুবাদ করার দুঃসাহস মাথায় নিয়ে ঘুরছিলাম বহুদিন ধরেই, তবে অনুবাদযোগ্য গল্প ( কলেবর এবং কাহিনী- দু'দিক দিয়েই) পাওয়াটা বেশ সমস্যা হয়ে গিয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত এই শখপূরণে সাহায্য করেছেন প্রিয় সচল সংসারে এক সন্ন্যাসী। তাঁর ঝোলা থেকেই তিনি এই ভিনদেশি গল্পটি বের করে দিয়েছেন। এ'ছাড়া তাঁর মতামত দিয়েও সাহায্য করেছেন আমার প্রথম অনুবাদ প্রচেষ্টাকে আলোর মুখ দেখাতে। তাই কৃতজ্ঞতা রইলো তাঁর প্রতি।

গাধা


-অ্যালান মার্শাল


প্রায় বছরখানেক পর কোন সার্কাস দল সে’দিন শহরে এলো। বিশাল বড় এই শহরের এক প্রান্তের এক টুকরা সবুজ জমিতে ওরা তাবু টাঙিয়ে বেশ জাঁকিয়ে বসলো। আর এই তাবুতে ঢোকার মুখেই দাঁড়িয়ে ছিলো জীর্ণশীর্ণ, ধূসর রঙের নিরীহ সাদামাটা গাধটা।

এতোদিন পর কোন সার্কাসদল আসায় স্বাভাবিকভাবেই শহরে সবার মধ্যে বেশ আগ্রহ ছিলো, ফলে তাবুর আশে পাশের রাস্তাগুলিতে ভীড় ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিলো। প্রচণ্ড ভীড়ের মধ্যে অনেকেই ঘাড় উঁচু করে চেষ্টা করছিলো একটু ভালো করে দেখার জন্য। তবে সম্ভবত সবচেয়ে করুণ অবস্থা হলো একদম ছোট বাচ্চাদের। তাদেরকে হয়তো তাদের বাবা-মা’রা নিয়ে আসলো, কিন্তু এত লোকের ভীড়ে বেচারারা “রঙিন ওয়াগান” কিংবা “হাতি” - কিছুই দেখতে পেল না, শুধু চোখের সামনে কতগুলি পা ছাড়া। কপাল ভালো হলে হয়তো কেউ তাদের একটু উঁচু করে তুলে ধরে আর তখনি তারা চোখের সামনে দেখতে পায় সার্কাসের সব বিস্ময়কর জিনিসগুলিকে, এবং অবশ্যই সবার শুরুতে সেই গাধাটিকে।

সার্কাসদল এরই মধ্যে শহরের রাস্তায় রাস্তায় পোস্টার মেরে ঘোষণা করলো, তারাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সার্কাস তাবু যার মধ্যে কিনা প্রায় হাজার চারেক লোক অনায়াসে এঁটে যায়। প্রতিদিনই প্রচুর লোক টিকিট কেটে খেলা দেখার জন্য তাবুতে ঢুকতে থাকে, আর ঢোকার মুখেই সবাই দেখতে পায় খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা সেই গাধাটিকে।

প্রতি শনিবার তিনটে করে শো হবে বলে ঠিক করা হল, ফলে প্রায় হাজার বারো লোক সে’দিন গাধাটার পাশ দিয়ে হেঁটে যায়। এই বিশাল সংখ্যক লোকের কমপক্ষে তিন চতুর্থাংশ পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গাধাটার পিঠে চাপড় দিয়ে যায়। মোটামুটি হাজার নয়েক চাপড় গাধাটাকে খেতে হয়, এক শনিবার দিনই, আর সারা সপ্তাহের হিসাব করা তো সে’খানে এক দুরূহ ব্যাপার।

এই চাপড়েরও নানা রকম আছে- অধিকাংশই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার জন্য চাপড় মারে; আর বাকিগুলো সাধারণত গর্বিত ভঙ্গিতে মারে বাবারা, তাদের সন্তানদের মুগ্ধ করার জন্য। মায়েরা গাধাটার সামনে এসে অপেক্ষা করে আর তাঁদের বাচ্চারা ভীরু চিত্তে গাধার কাঁধের উপর তাদের হাতটা রাখে। অনেক বাবা প্রায়ই তাদের একদম ছোট বাচ্চাগুলিকে গাধাটার পিঠে দাঁড় করিয়ে দেয়- তারা পিঠের উপর দৌড়ায়, মাথায় খামচি দেয় কিংবা কান ধরে টানাটানি করে। অনেকেই আবার দরদ দেখিয়ে গাধার মুখের মধ্যে জোর করে বাদাম গুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশ্য এতে বিশেষ লাভ হলো না কারণ মুখের মধ্যে কারো হাতের স্পর্শ পেলেই গাধাটা জোরে জোরে মাথা নাড়তে শুরু করে আর মুখ শক্ত করে বন্ধ করে রাখে।

এ’দিকে প্রতি দশ মিনিট অন্তর একজন গাধা বিশেষজ্ঞের আবির্ভাব ঘটতে থাকে, সে এসেই বলা শুরু করে, “আহ ! গাধা...” । নিমিষেই জটলার সবাই তার দিকে ঘুরে তাকায়। গাধা বিশেষজ্ঞ তার হাতটা রাখে গাধার গলাতে, উদাস কণ্ঠে বলতে শুরু করে-

“শেষ পর্যন্ত এই অবস্থা হয়েছে তোর ! এখন আর কোন ভারী কাজ করতে হয় না ... এরকমই হয় রে !”

গলার স্বরে কিছুটা নাটকীয় পরিবর্তন এনে জটলার দিকে তাকিয়ে সে আবার বলা শুরু করে,

“আপনারা বোধহয় জানেন, প্রাচ্যের দেশগুলিতে গাধাগুলি নিজের ওজনের চেয়েও বেশি ওজন টেনে থাকে। ভারবাহী পশু যাকে বলে আর কী ...”

মুহূর্তের মধ্যেই জটলার সবার মন সহানুভূতিতে দ্রবীভূত হয়ে যায়, সবাই বিষণ্ণচিত্তে ঘাড় নাড়তে নাড়তে গাধার পিঠ আরো একবার চাপড়ে তাবুর দিকে হাঁটা শুরু করে। অবশ্য মানুষের এই মনযোগে গাধার বিশেষ কিছু যায় আসে না, সে নির্বিকার চিত্তে দাঁড়িয়ে থাকে আগের মতোই। এমনকি কোন কোন সময় কিছুটা বিরক্ত বোধ করলেও সে’টা কখনো প্রকাশ করে না। ভাবলেশহীন গাধাটা দাঁড়িয়ে ঝিমাতো, এবং একটু লক্ষ্য করলেই হয়তো বোঝা যেত যে, কোনকিছুই আসলে তার স্বপ্নে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনা।

দেখতে দেখতে সার্কাসের দিনগুলি প্রায় শেষ হয়ে এলো। একদম শেষদিনে নীল রঙের স্যুট পরা এক গাট্টাগোট্টা লোক বেশ আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে হেঁটে যাচ্ছেন তাবুর দিকে। হঠাৎ করে গাধাটার দিকে চোখ পড়ায় তিনি থমকে দাঁড়ালেন। একটু পিছিয়ে যেয়ে গাধাটাকে ভালোমত দেখলেন, এরপর ওপাশে যেয়েও গাধাটাকে ঘুরে ঘুরে দেখলেন। তারপর আবার এগিয়ে এসে গাধটার মাথায় কী যেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন। দেখা শেষ করে হেঁটে চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ কী মনে করে যেন গাধাটার পিঠে বেশ জোরে, রীতিমত একটা বিরাশি সিক্কার চাপড় মেরে গেলেন। বলা বাহুল্য, এ’টা ছিলো দিনের আট হাজার নম্বর চাপড়।

এতক্ষণ গাধাটা আধা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলো, আচমকা এই বিশাল হাতের চাপড়ে সে যেন চমকে উঠে বহু প্রতীক্ষিত কোন সংকেত পেয়ে পেল । নিমিষের মধ্যেই ক্ষিপ্রগতিতে ঘাড়টা তুলে কামড়ে ধরলো সেই লোকের হাত। একটানে কোটের নীল রঙের কাপড়টুকু ছিড়ে নিজের মুখের মধ্যে এনে আবার ঘাড় ঘুরিয়ে চোখ বুঁজে প্রশান্তচিত্তে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিলো গাধাটা।

আতংকিত লোকটা দ্রুত পিছিয়ে এসে হাতের দিকে তাকিয়ে থাকলো। সে তখনো বুঝে উঠতে পারেনি যে ঠিক কী হয়ে গেল। বিস্ফোরিত চোখে অবিশ্বাসের গলায় সে বলে উঠলো, “ও আমাকে কামড়ে দিয়েছে !!! ” একটু থেমে ঘৃনার সাথে বলে উঠলো, “একটা বদমাইশ জানোয়ার এ'টা !”

এ’দিকে আশেপাশে জটলা করে থাকা মানুষজনও এখনো ঠিক ঘটনায় ধাতস্ত হয়ে উঠতে পারে নি, তাদের চোখ এখনো ছেড়া স্যুটের সেই ভদ্রলোক আর স্যুটের ছেড়া অংশটুকু মুখে নিয়ে চোখ বুঁজে থাকা গাধাটার দিকে। সেই লোকের ঘৃনাভরা গলার স্বর শুনে সবাই এ ব্যাপারে একমত হলো যে, এ’টা আসলেই একটা বদমাইশ জানোয়ার । ভদ্রলোক কিছুই করেননি, শুধু জানোয়ারটার পিঠটা একটু চাপড়ে দিয়েছেন আর জানোয়ারটা তাতেই কিনা তাঁকে কামড় দিলো ! কী অকৃতজ্ঞ জানোয়ার রে বাবা...

এরপর পুরো পাঁচ মিনিট আর কেউ গাধার পিঠ চাপড়ে দেয় নি। গাধার জন্য সেটুকুই প্রথমবারের মত পাওয়া স্বাধীনতা ...


মন্তব্য

খেকশিয়াল এর ছবি

হা হা হা.. মজা পাইলাম হেভি। দারুণ গল্পের দারুণ অনুবাদ! চলতে থাকুক, আরো চাই হাসি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি
হিমু এর ছবি

একটা পাঁচতারার চাপড় দিয়া গেলাম হো হো হো



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সবজান্তা এর ছবি

একটা পাঁচ দাঁতের কামড় চলবে ? হো হো হো


অলমিতি বিস্তারেণ

নিরিবিলি এর ছবি

গাধার দেখি বুদ্ধি আছে হাসি খুব ভালো...

সবজান্তা এর ছবি

এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ ছাড়া আর সবারই বুদ্ধি আছে...


অলমিতি বিস্তারেণ

রানা মেহের এর ছবি

খুব চমতকার হয়েছে অনুবাদ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সবজান্তা এর ছবি
মাহবুব লীলেন এর ছবি

দারুণ গল্প আর দুর্দান্ত অনুবাদের জন্য নিরাপদ দূরত্ব থেকে একটা পাঁচ আঙ্গুলের দাগ বসানো চাপড়

সবজান্তা এর ছবি

কামড় দেওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম... চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

ফাটাফাটি একটা গল্প। থিমটা মারাত্মক।

অনুবাদও হয়েছে খুব ভালো। খুবি ভালো...

=============================

সবজান্তা এর ছবি

মূল গল্পটা আসলেই অসাধারণ।


অলমিতি বিস্তারেণ

আনিস মাহমুদ এর ছবি

দারুণ গল্প আর চমত্কার অনুবাদ। চলতে থাকুক।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

সবজান্তা এর ছবি

এত ব্যস্ততার মধ্যেও যে সময় করে পড়েছেন, সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।


অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

গাধার জন্য সেটুকুই প্রথমবারের মত পাওয়া স্বাধীনতা ...

দারুণ!!
------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

সবজান্তা এর ছবি
আহমেদুর রশীদ এর ছবি

সবজান্তা দেখছি আসলেই সব জানে। চলুক।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সবজান্তা এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

চালিয়ে যান। এখন তো পরীক্ষা শেষ। এই দফা একটা অনুবাদ গল্প সংকলন নামিয়ে ফেলুন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সবজান্তা এর ছবি

আমিও সেই প্ল্যানেই আছি। অবসরের এই সময়ে কিছু করা যায় কিনা !

সংকলন নামানোর মত মানসিক স্থিরতা এবং ধৈর্য্য আমার আদৌ নেই, আরো গোটা দুই-তিনেক লিখতে পারলেই খুশি।


অলমিতি বিস্তারেণ

এনকিদু এর ছবি

দারুন হয়েছে । চলুক ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সবজান্তা এর ছবি

চলবে এমন গ্যারান্টি দেওয়াটা ঠিক হবে না, তবে ভালো লাগলে আরো গল্প হয়তো চেষ্টা করে দেখবো।

তুই যেই অনুবাদটা করতে চাস, সেইটা শুরু করে দে।


অলমিতি বিস্তারেণ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চমৎকার অনুবাদ।

চালিয়ে যান...

সবজান্তা এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ গল্প, চমৎকারানুবাদ...

চালায়া যান...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সবজান্তা এর ছবি

চালায়া যান...

কতদূর যাইতে বলেন ? দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমাদের পশুপ্রীতির প্রকাশভঙ্গিটি খোদ পশুদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হতেই পারে। আমার ধারণা, পশুপ্রীতির নামে আমাদের করা আদিখ্যেতা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পশুরা নীরবে সহ্য করে অথবা তাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে বাধ্য হয়।

এই সত্যটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার কারণে গল্পটি আমার বিশেষ প্রিয়।

অনুবাদ বিষয়ে সবজান্তাকে যা লিখেছিলাম জি-টকে, তারই প্রতিধ্বনি দেখতে পাচ্ছি পাঠকদের মন্তব্যে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সবজান্তা এর ছবি

এইখানে বেশ চমৎকার একটা চাম নেওয়া গেল।

সবাই আমার প্রশংসা করছে, কিন্তু আমার ধারণা, গল্পটা এতোই চমৎকার, অনুবাদ যেমনই হোক, পড়তে দারুন লাগতো।

এ'রকম সেফ শট অনুবাদযোগ্য গল্প আরো থাকলে দিতে পারেন চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

শিক্ষানবিস এর ছবি

চমৎকার অনুবাদ। গল্পটাও খুব ভাল লেগেছে। চলুক


অন্ধকারের উপর লাঠিপেটা করে লাভ নেই, আলোক জ্বালালেই অন্ধকার দূর হবে

সবজান্তা এর ছবি
মুশফিকা মুমু এর ছবি

দারুন হয়েছে, খুব ভাল লাগল, এমন অনুবাদ আরো করেন। চলুক

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সবজান্তা এর ছবি

আমি তো করতেই চাই, কিন্তু এতো সহজপাঠ্য আর সুন্দর গল্প যে রোজ পাই না, এ'টাই সমস্যা...


অলমিতি বিস্তারেণ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হেব্বী লাগলো। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সবজান্তা এর ছবি

"আপনার এই দাঁত ( দেঁতো হাসি ) দেখাতেই আনন্দ..."


অলমিতি বিস্তারেণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গাধাটা ওকে কামড়িয়ে দিয়েছে বলে আমি বেজায় খুশি। তবে আপনাকে আমি পিঠচাপড়ানি দিবনা, দিব গুল্লি

সবজান্তা এর ছবি

আপনি কি বিদ্রোহী বিডিআর ? দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সবজান্তার আত্মকাহিনী ভাল লাগলো। চোখ টিপি

[থামে না যেন। প্রতিভার অপচয় করা অপরাধ।]

সবজান্তা এর ছবি

কামড়টা কেমন লাগলো তা কিন্তু বললেন না চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

পুতুল এর ছবি

দেখা শেষ করে হেঁটে চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ কী মনে করে যেন গাধাটার পিঠে বেশ জোরে, রীতিমত একটা বিরাশি সিক্কার চাপড় মেরে গেলেন।

"বিরাশি সিক্কার চাপড় "

শব্দটা খুব ভাল লাগল। নিজের সামান্য অনুবাদের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি অনুবাদককে এমন শব্দের আবিষ্কারক হতে হয়। অনুবাদটা পড়ে মুগ্ধ হলাম।
আমার মত বোকা পাঠকের সুবিধার জন্য মুল লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি থাকতে পারতো। আর কোন ভাষা থেকে অনুবাদ হল সেটাও থাকলে ভাল লাগে।
আশা করি আরো অনুবাদ পাব।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সবজান্তা এর ছবি

অ্যালান মার্শাল অস্ট্রেলীয় লেখক। তাঁর সম্পর্কে উইকি নিবন্ধ পাওয়া যাবে এখানে।

মূল গল্প ছিলো ইংরেজীতে ( অন্য কোন ভাষা থেকে করা আমার পক্ষে সম্ভবও না)।

আপনার প্রশংসায় বেশ নুয়ে পড়লাম, ধন্যবাদ।


অলমিতি বিস্তারেণ

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

পরথম অনুবাদেই দেখি বাজিমাত কইরা দিলা !
অনেক ভাল লাগল ।
--------------------------------

--------------------------------------------------------

স্নিগ্ধা এর ছবি

আচ্ছা সবজান্তা, এবার ঢাকাতে তোমার সাথে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সময় একটা জিনিষ খেয়াল করে তোমাকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করতে করতেও করা হয় নাই - তুমি নীল স্যুট পরা কাউকে দেখলেই ওরকম ক্ষিপ্তমতো হয়ে যেতা কেনো??!!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আরে এইসব অনুবাদ এদ্দিন পড়ি নাই। কি মিস্‌।

এক লহমা এর ছবি

দারুণ গল্প, দারুণ অনুবাদ!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।