ঐ দূর পাহাড়ের ধারেঃ পর্ব-৩

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৭/২০০৯ - ৪:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার প্রিয় কিছু উপন্যাসের মধ্যে একটি হচ্ছে ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’। আমার এক বন্ধুকে তার জন্মদিনে উপহার দেবার জন্য বইটা কিনেছিলাম এবং ওর হলে গিয়ে বলতে গেলে এক বসাতেই পড়ে ফেলেছিলাম। উপন্যাসটিতে আমার একটি প্রিয় অংশ আছে যেখানে তিতলী আর শওকত নেপালের নগরকোটে একটি হোটেলে উঠে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় যেয়ে দূরের হিমালয় দেখে অভিভূত হয় তিতলী তারপর নিচে নেমে আসে, চারদিকে মেঘলা পরিবেশ দেখে প্রথমে ঘন কুয়াশা মনে করলেও পরক্ষণে বুঝতে পারে সেটি মেঘ। এক সময় মনে হয় সে মেঘে শরীর ডুবিয়ে বসে আছে। আমি কখনো নেপাল যাইনি, কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে হোটেলের বারান্দায় গিয়ে দেখলাম এক অসাধারণ দৃশ্যঃ আকাশ মেঘলা, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে আর সামনে পাহাড়ের গা ঘেষে লেগে আছে মায়াবী মেঘ। মনে হল ইস্‌ হাত বাড়িয়ে যদি মেঘ ছুঁতে পারতাম। এক মগ কফি নিয়ে আয়েশী ভঙ্গিতে বসলাম বারান্দায়।



DSC02772


ছবিঃ জ্যাসপারে হোটেলের বারান্দা দিয়ে দেখা মেঘ।

আজ সারাদিন জ্যাসপার ঘুরে এডমন্টন পৌঁছতে হবে সুতরাং যথেষ্ট পরিমান তাড়া আছে। কাল রাতে পরিকল্পনা করেছিলাম সকালে আমরা তিনটা গ্রুপে ভাগ হয়ে যাবঃ এক গ্রুপ যাবে হর্স রাইডিং করতে, এক গ্রুপ যাবে র‌্যফটিংয়ে আর আমরা বাকীরা যাব হাইকিং করে পাহাড়ে উঠতে যেখানে থেকে গন্ডলাতে (কেবল ট্রাম) করে নিচে নামব। সকালের বৃষ্টি আর ভেজা মাটির কথা ভেবে আমরা হাইকিং এর চিন্তা বাদ দিলাম, সেই সাথে অন্যদেরও র‌্যাফটিং আর হর্স রাইডিং বিভিন্ন কারনে বাদ হয়ে যাওয়াতে আমরা সবাই মিলে ম্যালাইন ক্যানিয়নে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। সকালে পান্তা–ইলিশ খেয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করে আমরা বের হলাম ম্যালাইন ক্যানিয়নের উদ্দেশ্য। জ্যাসপার শহরের একেবারেই কাছে ম্যালাইন নদীর এক অংশে এই ক্যানিয়ন, মূলত নদী প্রবাহের কারনে লাইমস্টোন ক্ষয় হয়ে এর উৎপত্তি এবং প্রস্থে খুব বেশী নয়। আমরা কিছুক্ষন ঘুরে বেড়ালাম, যে প্রান্ত থেকে ক্যানিয়ন শুরু হয়ে হয়েছে সেখানে ছোট খাট জলপ্রপাতের মত তৈরী হয়েছে সেখানে বসে কিছু ছবি তুললাম।



DSC02811


ছবিঃ ম্যালাইন ক্যানিয়ন।

কানাডিয়ান রকির ‘রেপলিকা পিক’ থেকে বরফ গলে ম্যালাইন লেকের সৃষ্টি যা থেকেই উৎপত্তি হয়েছে ম্যালাইন নদীর। ম্যালাইন নদী আবার মাঝপথে মেডিসিন লেকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এইপ্রান্তে ম্যালাইন ক্যানিয়নে রূপ নিয়েছে। ম্যালাইন ক্যানিয়ন দেখে আমরা রওনা দিলাম ম্যালাইন লেকের উদ্দেশ্যে। এই ট্রেইলটি খুবই আঁকা বাঁকা তাই ধীরে ধীরে যাচ্ছিলাম। পথে মেডিসিন লেক পড়ে তাই সেখানে নেমে কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম।



DSC02833


ছবিঃ মেডিসিন লেক।

ম্যালাইন লেকে যাবার পথে অবশেষে আমাদের আরেকটা ইচ্ছে পূরন হল। আসার পর থেকেই ভল্লুক ভল্লুক বলে সবার মাথা খাপ হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তার দেখা মিলল, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে সে নিশ্চিন্ত মনে ঘাস খাচ্ছিল এবং ধরা পড়ল রাজিবের ক্যামেরায়। সম্ভবত ভল্লুকের ছানা পোনা হবে, কিন্তু তাতেই সবাই বেশ থ্রিল অনুভব করলাম।



DSC02836


ছবিঃ অবশেষে ভল্লুকের লেখা মিলল।

ম্যালাইন লেক থেকে রকির বেশ কয়েকটা পিক দেখা যায়, বিশেষ করে রেপলিকা পিক। এখানে নৌকা ভ্রমণের সুযোগ আছে, কিন্তু দুই ঘন্টার জন্য জনপ্রতি ৫৫ ডলার গুনতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই সাতার জানেনা তার উপর আবার ট্যুরের এক তৃতীয়াংশ বাজেট নৌকা ভ্রমনের জন্য ব্যায় করতে অধিকাংশই রাজী হলামনা। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা এখানে দুপুরের খাবার সেরে নিব এবং তার পরে গন্ডলাতে চড়ার জন্য রওনা দেব। নজু আর রাকিব নৌকা ভ্রমনের মনস্থির করলে আমরা ঠিক করলাম ওদেরকে রেখে আমরা ঘুরে আসার তারপর ফেরার পথে দু’জনকে নিয়ে একেবারে এডমন্টনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করব। পরিকল্পনা মাফিক আমরা যথারীতি খেয়ে দেয়ে দশ জন রওনা দিলাম গন্ডলার উদ্দেশ্যে।



DSC02837


ছবিঃ ম্যালাইন লেক ।

জ্যাসপার স্কাই ট্রাম নামের এই গন্ডলাতে করে এর বেস স্টেশন থেকে প্রায় ৩১০০ ফুট উপরে উঠা যায়। সর্বমোট ৬৮৯০ ফুট দৈর্ঘের এই কেবল রাইড কানাডাতে সবচাইতে দীর্ঘ ও সবচাইতে উঁচু। আমরা যখন গিয়ে পৌঁছালাম তখন খারাপ আবওহাওয়ার জন্য সেটি বন্ধ ছিল। বাতাদের বেগ সহনীয় মাত্রায় না আসলে সাধারণত এই ট্রামগুলি চলাচল করানো হয়না। জানা গেল আধ ঘন্টা পর থেকে আবার শুরু করা যেতে পারে কিন্তু সেক্ষেত্রে উপরে যার আটকা পড়েছে তাদের আগে নামানো হবে এবং পরে নতুনদেরকে উপরে তোলা হবে। আমরা অপেক্ষা করা শুরু করলাম। এক গ্রুপ যথারীতি ২৯ খেলা শুরু করল আর আমরা টিকেটের জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়ালাম। মজার বিষয় হল বেস স্টেশন থেকে এর ঊপরের ল্যান্ডিং টাওয়ারটি দেখা যায়না বরং মাঝের টাওয়ারটি দেখা যায় তাই আপাতদৃষ্টিতে এটিকে ছোট খাটো রাইড বলেই মনে হয়। ফারহান, ফয়সাল আর সৈকতের ব্যানফের গন্ডলাতে চড়ার অভিজ্ঞতা আছে তাই তারা না চড়ার সিদ্ধান্ত নিল আর হামিদ ভাই, তাজুল ও রিপন এটিকে ছোট খাট রাইড মনে করে ওদের সাথে যোগ দিল। আমি, রাজিব, ইমরান আর শাবিব টিকেট কেটে প্রস্তুত হলাম।



DSC02920


ছবিঃ জ্যাসপার স্কাই ট্রাম।

আমাদের স্কাই ট্রাম চলা শুরু করল, সে এক বিষ্ময়কর অভিজ্ঞতা। আস্তে আস্তে আমরা উপড়ে উঠে যাচ্ছি, ট্রামের ভেতরে গাইড এদিক সেদিকের অনেক কিছু সম্মন্ধে বলে যাচ্ছে যার কোন কিছুই আমাদের কানে আসছেনা। মাত্র ছয় সাত মিনিটের রাইড শেষ করে আমরা উপরে পৌছালাম। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য, চারদিকে অসংখ্য পিক দেখা যাচ্ছে, দূরে জ্যাসপার শহর, আথাবাসকা নদী সব কিছুকে যেন মডেল মনে হচ্ছে। এখানে প্রচন্ড বাতাস আর বেশ ঠান্ডা । এখান থেকে কিছু হাইকিং ট্রেইল আছে আরো উপরে যাবার কিন্তু সময়ের সল্পতার কারনে তা বাদ দিলাম। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আমরা আবার নিচে আসার ট্রামে চেপে বসলাম।



DSC02953

ছবিঃ গন্ডলাতে করে উপরে উঠার পরেঃ বাদিক থেকে রাজিব, আমি, শাবিব আর ইমরান।

আমরা ফিরে এসে সবাই মিলে আবার যাত্রা শুরু করলাম ম্যালাইন লেকের উদ্দেশ্য কারন সেখানে বাকী দূজন অপেক্ষা করছিল। সবাই একত্রিত হয়ে আমরা এডমন্টন ফিরে আসার পথ ধরলাম। কারোরই ফিরে আসতে ইচ্ছে করছিলনা কারন এডমন্টন ফিরলেই আবার সেই কাজ, কিংবা বড়জোর সপ্তাহান্তের কিছু অবসর।জ্যাসপার থেকে এডমন্টন প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘন্টার পথ, আমরা রাত দশটার দিকে ফিরে আসলাম। গাড়ি ফেরত দিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে মধ্যরাত পার হয়ে গেল, আমার চোখে তখন রাজ্যের ঘুম।দূটি দিন যেন নিমিষেই চলে গেল, সেই সাথে শেষ হয়ে গেল অসাধারন কিছু মূহুর্ত, স্মৃতির পাতায় যোগ হল নস্টালজিক কিছু কাহিনী। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে গত দূদিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে আমি একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম।

( সমাপ্তি )

ছবিঃ রাজিব


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দারুণ জায়গা...
____________
অল্পকথা গল্পকথা

সচল জাহিদ এর ছবি

শিমুল ভাই, ঘুরে যান একসময়।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ইচ্ছা তো আছেই। কবে যাওয়ার সুযোগ হবে সেটা জানি না। অনেক ধন্যবাদ। টরন্টোর দিকে আসলে অবশ্যই জানাবেন...
____________
অল্পকথা গল্পকথা

এনকিদু এর ছবি

ভালুকের ছবিতে চলুক


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সচল জাহিদ এর ছবি

থিঙ্কু থিঙ্কু । আসলে পুরো কৃতিত্ত্ব রাজিবের।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভ্রমণ কাহিনী সাধারণত একঘেয়ে লাগে, আপনারটা বেশ ভালো লেগেছে। এবারের ছবিগুলো আগের সবগুলোর চেয়ে সুন্দর হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ তো অনেক ই-বই বানালো, এবার মনে হয় ভ্রমণ বিষয়ক লেখাগুলোর একটা সংকলন করা দরকার।

সচল জাহিদ এর ছবি

পিপিদা অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভ্রমণ বিষয়ক লেখাগুলোর সংকলনের জন্য ই-বইয়ের ধারনাটা ভাল লেগেছে। কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আগেরবারও, এবারো... দেখা যাচ্ছে আমি আর আপনি পাশাপাশি ভ্রমণ সিরিয়াল ছাড়ছি। মজাই লাগতেছে। কিন্তু আপনি তো থামায়ে দিলেন, আমি মনে হয় আরো একটু রসিয়ে এক দুটো পর্ব বাড়াবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

নজু ভাই আপনার লেখার মন্তব্যেও লিখছি যে আপনাদের ভ্রমন দেইখা আমার পিন্ডি জ্বলতাছে কারন দেশের পোলা হইয়াও সিলেটটা ঘোরা হয়নাই, বড়জোড় শাহজালালে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া পর্যন্ত।

যাই হোক আপনি চালাইতে থাকেন। আমি সুপারভাইজারের দৌড়ানীতে আছি তাই তিন পর্বেই শেষ কইরা দিলাম।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

অনেক বছর আগে একবার ব্যানফ আর লেক লুইজ দেখতে গিয়েছিলাম। আপনার লেখা পড়ে সেইসব সময়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। আমার এক বন্ধু একবার বলেছিল যে ইশ্বর এই পৃথিবীর বেশীর ভাগ জিনিস বানানোর সময় সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়েছিলেন ফেরেশতাদেরকে। মাত্র কয়েকটা জায়গা তিনি নিজের হাতে বানিয়েছিলেন। লেক লুইজ নাকি সেইরকম একটি জায়গা। সেখানে যাবার পরে আমারও তাই মনে হয়েছে।
চমৎকার লেখা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সচল জাহিদ এর ছবি

জাহিদ ভাই, আমারও তাই মনে হয়। তবে আমার বিশেষ পছন্দের জায়গা হলো মরেইন লেক আর মিনিওয়াঙ্কা লেকের জায়গাতে বাঁধের উপরের সেই রাস্তাটি। এবার যদিও মিনিওয়াঙ্কা লেকে যাওয়া হয়নি।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মূলত পাঠক এর ছবি

আহা কী দুর্ধর্ষ জায়গা, আর কী ছবি!!

সচল জাহিদ এর ছবি

হ্যাঁ একেবারে ভয়ঙ্কর সুন্দর।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

আয় হায়, শেষ! আসলে ভ্রমণগুলো এমনি...খুব কম সময়ে অনেক কিছু করা হয়ে যায়...স্মৃতিতে জমা হয়ে যায় অনেক কিছু...

রিজভী

--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

সচল জাহিদ এর ছবি

হ্যা রিজভী শেষ, আর সেই সাথে স্মৃতির পাতায় আরো কিছু জমা পড়ল।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

দারুণ! দেখি একবার ঢুঁ মারার চেষ্টা করব!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সচল জাহিদ এর ছবি

মৃদুল ভাই অনেক দিন আগে মামুন ভাই ইমেইল করেছিল আপনি কানাডা আসবেন জানিয়ে, তার পর আর কোন যোগাযোগ করেননি। আপনি কি চলে আসছেন? এদিকে আসলে জানিয়েন।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মামুন হক এর ছবি

ছবি আর লেখা--এক কথায় ওয়াও!!

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ মামুন ভাই।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এইসব কী দেখান রে ভাই? মন খারাপ
দুর্দান্ত সব ছবি ! তিন নম্বরটা তো ফাটাফাটি...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সচল জাহিদ এর ছবি

শিমুল আপা সবাইরে এইখানে আসার লোভ লেখাইতেছি। ধান্দা হইলো এডমন্টনে একটা সচলাড্ডা করার। এইখানে আমি আর স্বাধীন ভাই ছাড়া আর কেউ নাই।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার! বিশেষ করে মেডিসিন লেকের ছবিটা তো পাগল করে দেয়ার মতো। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর কিছু ছবির জন্য। আর সাথে লেখাটাও ভালো লাগলো অনেক।
---------------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ ভুতুম দা

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বুঝলাম স্যারের এই লেখার আগের পর্ব গুলোও পড়তে হবে...

স্যার- পরের কোনো পর্বে স্কাই ট্রামের একটু বিশদ বর্ণনা দিয়েন।
ছবিগুলো যথেষ্ট সুন্দর হয়েছে...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।