আবারো পিছিয়ে গেল তিস্তা পানিবন্টন চুক্তির সম্ভাবনা

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: শনি, ০৯/০১/২০১০ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের যেকোন পানিসম্পদ প্রকল্পের মধ্যে তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প আমার কাছে অন্যরকম গুরুত্ত্ব বহন করে মূলত দুটি কারনেঃ এক, ছাত্রজীবনে এটি আমার দেখা প্রথম বড় মাপের পানিসম্পদ প্রকল্প আর দুই, আমার একসময় স্নাতকোত্তর ক্লাসের সহপাঠীগন ( পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ডেপুটেশনে পড়তে আসা অভিজ্ঞ ও প্রবীণ প্রকৌশলীবৃন্দ ) গর্বের সাথে জানাতেন যে দেশী প্রকৌশলীরাই এই প্রকল্পই পূর্নাংগ নকশা প্রণয়ন ও নির্মান কাজে যুক্ত ছিলেন এবং যা ছিল তাদের জন্য এক বড় সাফল্য। কিন্তু বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের গর্বের এই প্রকল্প প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে তিস্তা নদী নিয়ে কোন পানি বন্টন চুক্তি না থাকার কারনে। আশা ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে এটি নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে কিন্তু সেই আশারও মৃত্যু হয়েছে সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে বক্তব্য দেখে,

'অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন, বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হলেও এই সফরে এ ব্যাপারে কোনো চুক্তি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে সফরে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে।'[১]

সাম্প্রতিক ইন্দো-বাংলাদেশ যুক্ত নদী কমিশনের বৈঠকঃ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান আন্তঃসীমান্ত নদী বিষয়ক বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে ইন্দো-বাংলাদেশ যুক্ত নদী কমিশনের দুই দিন ব্যাপী সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়েছে ৫ জানুয়ারী ২০১০। পত্রিকা মারফত[২] জানতে পেরেছি সেখানে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছেঃ

  • ইছামতি নদী খনন প্রকল্প
  • ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলন
  • তিস্তার পানি বন্টন

এর মধ্যে ইছামতি নদী খনন প্রকল্প ও ফেনী নদী থেকে পান উত্তোলন নিয়ে বাংলাদেশ ভারতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে কিন্তু তিস্তার বিষয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি।

ইছামতি নদীতে পলি সমস্যার কারনে উজানে বিশেষ করে ভারতীয় অংশে বন্যা সমস্যা দেখা দিয়েছে, কমে গিয়েছে শুষ্ক মৌসুমের প্রবাহ সুতরাং বাংলাদেশ ভারত যৌথ উদোগে ইছমতি মদী খনন করলে ভারতের বন্যা সমস্যা দূর হবে। অন্যদিকে ফেনী নদী থেকে ভারত ১.৮ কিউমেক পানি উত্তোলন করবে খাবার পানি প্রকল্পের জন্য এবং সেই বিষয়েই ঐক্যমতে পৌঁছেছে যুক্ত নদী কমিশন। সুতরাং সহজ করে বলতে গেলে সর্বশেষ যুক্ত নদী কমিশনের বৈঠক থেকে বাংলাদেশের জন্য কিছুই আসেনি। যদিও হাস্যকর হলেও সত্য এই বৈঠক শেষ বাংলাদেশের পানিসম্পদ সচিব বলেছেন,

'বাংলাদেশের জন্য তিস্তার পানি বন্টন খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ এবং এই বৈঠক সেই সমস্যা সমাধানের পথে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে'[২]

আত্মবিশ্বাস কিসে বাড়ে আর কিসে কমে সেটা বুঝার সামর্থ আশা করি বাংলাদেশের জনগনের রয়েছে।

কেন তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি প্রয়োজনঃ

ভারত ও বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর মধ্যে তিস্তাই মনে হয় সবচাইতে কাঁটাছেঁড়ার সম্মুখীন হয়েছে।তিস্তার উপরে ভারতে নির্মিত হয়েছে একটি ব্যারেজ, দুইটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ আর বাংলাদেশে নির্মিত হয়েছে তিস্তা ব্যারেজ।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে তিস্তা ব্যারেজ নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯৮৩ সালে যা ১৯৯০ সালে শেষ হয়। প্রায় সমসাময়িক কালে (১৯৮৩) একই সাথে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের গজলডোবাতে আরো একটি ব্যারেজ নির্মান শুরু হয় যা কিনা শেষ হয় বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজ নির্মান শেষ হবার অনেক আগে।ব্যারেজের মূল কাজ যেহেতু পানি সরানো ফলে বাংলাদেশ তিস্তা ব্যারেজে স্থলে যতটুকু প্রবাহ আশা করেছিল ভারতের প্রত্যাহারের কারনে তা কমে গিয়েছে আর সেই সাথে উজানে বাঁধ নির্মানের হলে জলাধারের কারনে পানি সঞ্চিত থাকার কারনেও প্রবাহ অনেক কমে গিয়েছে।

ব্যারেজ নির্মানের শুরু দিকে এই সমস্যা প্রকট না হলেও ইদানিং তিস্তাতে পানি প্রবাহের অবস্থা খুবই নাজুক। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্যমতে তিস্তা ব্যারেজের স্থলে পানির ন্যুনতম প্রবাহ ১৯৮০, ১৯৯০, ২০০০ ও ২০০৫ সালে রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ৪৪৯৪, ৪৭৩২, ৫২৯ ও ৮ কিউমেক ( এক সেকেন্ডে এক ঘনমিটার প্রবাহ=১ কিউমেক) [৩]। এই উপাত্তই প্রমান করে সময়ের সাথে তিস্তাতে শুষ্ককালীন প্রবাহ কি হারে কমে যাচ্ছে।

তিস্তা ব্যারেজ বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে এক সময় অনেক আশার সঞ্চয় করেছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের ২০০১ সালের তথ্য মতে এই দেশের মোট জনসংখ্যার ৮.৫% এর আবাসস্থল তিস্তা অববাহিকায় রয়েছে মোট আবাদী জমির শতকরা ১৪ ভাগ। এই অববাহিকার শতকরা ৬৩ ভাগ আবাদী জমি সেচের আওতাধীন যেখানে দেশের গড় সেচ-আবাদী জমির শতকরা হার ৪২ । সেচের পানির প্রাপ্যতা এই অঞ্চলে বছরে দু'টি ফসল ঘরে তোলার সুযোগ করে দিয়েছিল যা অত্র এলাকার শ্রমিকদের মুজুরী বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে এই প্রকল্প এলাকায় শ্রমিকদের মুজুরী বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ [৪]. কিন্তু তিস্তায় পানির প্রবাহ ধীরে ধীরে হ্রাস পাওয়ায় এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উত্তরবঙ্গের মানুষ।

শুরুতে পরিকল্পনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের দুটি ফেইজ ছিল যার মধ্যে ফেইজ ১ সম্পন্ন হয়েছে যা মূলত রংপুর ও নীলফামারী জেলায় সেচের সুবিধা দিচ্ছে। দ্বিতীয় ফেইজে পরিকল্পনা ছিল দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও জয়পুরহাটকে অন্তর্ভুক্ত করা কিন্তু তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে যাওয়াতে সেই পরিকল্পনা এখন হুমকীর সম্মুখীন।

শেষ কথাঃ

বাংলাদেশের মঙ্গাপীড়িত উত্তরবঙ্গের জন্য তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প যেমন প্রয়োজনীয় ভারতের গজলডোবার ব্যারেজ প্রকল্প বা আরো উজানে জলবিদ্যুৎ বাঁধ প্রকল্প হয়ত তাদের জন্য প্রয়োজনীয়। প্রযুক্তির ছাত্র হিসেবে আমি আবেগের থেকে যুক্তিকে আগ্রধিকার দেই এই সব ইস্যুগুলিতে। যেখানে অধিকার সমান সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের এই আন্তঃসীমান্ত নদীর পানির সুষম বন্টন নিয়ে আলোচনা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। সুতরাং সেই আলোচনার জন্য এই কালক্ষেপন এবং সেই সাথে ভারতের অন্যান্ন দাবী মেনে নিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ যেখানে জড়িত সেই খানটাতে ছাড় দিয়ে আসাটা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়নি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিদ্যমান গঙ্গা চুক্তির একটি ধারা হচ্ছে,

'পক্ষপাত বিহীন ও সাম্যতা প্রসুত এবং কোন পক্ষেরই ক্ষতি না করে দুই সরকারই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহমান অন্যান্য আন্তসীমান্ত নদীসমুহের চুক্তির ব্যাপারে একক সিদ্ধান্তে উপনীত হবার ব্যাপারে একমত' [অনুচ্ছেদ ৯ গঙ্গা চুক্তি]

সেক্ষেত্রে তিস্তার ব্যপারে একটি চুক্তিতে আসার বাধ্যবাধকতা কিন্তু গঙ্গা চুক্তিতেই রয়ে গেছে। সরকারের উচিৎ বিষয়গুলি যুক্তি তর্ক সহ উপস্থাপন করা।

তথ্যসুত্রঃ

[১] 'প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে তিনটি চুক্তি হতে পারে', দৈনিক প্রথম আলো, ৮ জানুয়ারী ২০১০।
[২] Teesta differences 'narrowed down', The Daily Star, January 6, 2010.
[৩] 'Damed River, Dead River; A Case Study on Teesta', Nazrul Islam, The Daily Star, November 03, 2006.
[৪] 'Teesta water sharing: a case study in teesta barrage project', Md. Nurul Islam, Md. Ashfaque Alam and Dr. Q R Islam.


মন্তব্য

শেখ নজরুল এর ছবি

কারণটি হয়তো রাজনৈতিক। এর বেশি কিছু জানা নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই। কারন অবশ্যই রাজনৈতিক কিন্তু সরকারকে দেশের স্বার্থ ভেবে চিন্তে এগুতে হবে এইটাই আমাদের দাবী। আর এই সমস্যাগুলোর রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানা হলো। সত্যি বলতে কি এ বিষয়ে আজই এত কিছু জানলাম। তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির যৌক্তিকতাও বুঝতে পারলাম।

জাহিদ ভাই, আপনি খুব সুন্দর করে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে লেখা/প্রবন্ধ দিয়ে ভালো একটা কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার এধরনের লেখায় প্রায়ই মন্তব্য করা হয়না, কিংবা বেশী পাঠকের মন্তব্যও হয়তো পাবেননা তবুও এই লেখাগুলো সময়ের বিচারেই গুরুত্বপূর্ণ। এর মূল্য অনেক বেশী। আপনি লিখতে থাকুন। চলুক

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ পিপিদা আপনার অনুপ্রেরনার জন্য। আসলে বর্তমানে এই ইস্যুটি দেশীয় প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ। সচলে এই ধরনের লেখার বোদ্ধা পাঠক আছে বলেই লেখার আগ্রহ থেকে যায় সবসময়।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নৈষাদ এর ছবি

তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে বেশি কিছু জানতাম না। আপানার লেখায় ব্যাপারটা জানা হল। ধন্যবাদ সেজন্য।
সচিব পর্যায়ের বৈঠকের ফলাফলটাও পড়া হয়নি, জানা হল আপনার লেখা পড়ে। জানিনা এধরনের বৈঠকের ব্যাপারে কী ছাড় দেয়া হবে আর এর বিনিময়ে কী পাওয়া চেষ্টা করা হবে এবং এরজন্য নেগোসিয়েশন স্ট্রেটেজি ইত্যাদির ব্যাপারে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয় কিনা? অথবা এগুলি আগেই ঠিক হয়ে থাকে বৈঠকটা একটা ফর্ম্যালিটি…? লেখার জন্য ধন্যবাদ।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ নৈষাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আসলে যেকোন আপস আলোচনায় দুই পক্ষেরই মূল লক্ষ্য থাকে নিজেদের ভাগটাকে বাড়িয়ে নেয়া। বৈষম্য মূলক পক্ষের ক্ষেত্রে ( যেমন ভারত বাংলাদেশ ) যতক্ষন না কোন এক পক্ষ কিছুটা ছাড় না দেয় ততক্ষণ পর্যন্ত কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়া খুব কঠিন। তবে ছাড় এমন ভাবে দিয়ে হবে যেন তা দেশের স্বার্থে আঘাত না হানে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চলুক

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ শুভাশীষ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জাহিদ, অনেক ধন্যবাদ এতো চমৎকার একটা লেখা দেওয়ার জন্য। ফেসবুকে শেয়ার করলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ নজু ফেইসবুকে শেয়ার করার জন্য। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি একটি গুরুত্ত্বপূর্ন ইস্যু।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নানা কারণে দেশের পানিসংক্রান্ত প্রকল্পগুলো মারা যাচ্ছে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ, মেঘনা-ধনগোদা, বিল ডাকাতিয়া, দেশজুড়ে ডাচ-সুইডিশ উদ্যোগে করা স্বল্প কালীন বাস্তবায়ন প্রকল্পগুলো....। তিস্তাই বা বাদ যাবে কেন? এগুলো যে কার মাথাব্যথা আর কে যে সারাবে বুঝে উঠতে পারি না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সচল জাহিদ এর ছবি

পান্ডবদা এই প্রকল্পগুলো মুখ থুবড়ে পরার কারন একটাই আর তা হলো পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া। গঙ্গায় পানি কমে যাওয়ায় জি-কে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ) প্রকল্প, তিস্তায় পানি কমে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প অকার্যকর হয়ে পড়ছে। আর পোল্ডার ভিত্তিক কিছু প্রকল্প অকার্যকর হয়েছে দূর্বল পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্বাধীন এর ছবি

হাসি
মন খারাপ

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে, চুক্তি হবে না দেখেছি কাগজে, কিন্তু কেন চুক্তি এতোটা দরকার ছিল, এটা জানা ছিল না। খুবই তথ্যবহুল লেখা।

###তাসনীম###

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

আলমগীর এর ছবি

লেখার জন্য ধন্যবাদ।

বোকার মতো একটা প্রশ্ন করি:
একাধিক দেশের মধ্যে অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগির কোন আন্তর্জাতিক আইন আছে কি? আরও স্পষ্ট করে বললে, ভারতের সদিচ্ছা/কৃপা ছাড়া পানি পাওয়ার আর কোন উপায় আছে কি?

সচল জাহিদ এর ছবি

দুঃখিত আলমগীর ভাই উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল, দৌড়ের উপর ছিলাম।

আসলে আন্তঃসীমান্ত নদীর পানিবন্টনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন বলে যে এক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে একটি চুক্তি থাকতে হবে। চুক্তি না থাকলে আইনগত কোন বাধ্য বাধকতা কাজ করবেনা। এবং আই আইনে নিজেদের সমস্যা গুলি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার কথা বলা হয়েছে। আপনি এই লিঙ্কে সব পাবেন।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অপরাজিতা এর ছবি

আমি সচলের অনেক নীরব পাঠকদের একজন, লেখা ভালো লাগলে ফেসবুকে লাইক আর শেয়ার দেয়া ব্যতীত কিছু করা হয়ে ওঠে না, এ সম্পর্কিত সচলের সাম্প্রতিক শীর্ষে আসা একটি পোস্টে আসা কারণগুলো আমার ক্ষেত্রেও কাজ করে, মন্তব্য করার অনেক হ্যাপা, একই সাথে অনেক বিষয়ে নিজের অজ্ঞতাও কাজ করে প্রভাবক হিসেবে।

কিন্তু আজকে আপনাকে ধন্যবাদ দেয়াটা দায়িত্ব মনে করছি, যখন গঙ্গাচুক্তি হয় আমি তখন মাত্রই ক্লাস ফাইভে পড়ি, সেই থেকে এতদিন পর্যন্ত এই ব্যপারটা নিয়ে একটা ঘোলাটে ধারণা ছিল, জানার আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় রেফারেন্সের অভাবে জানা হয়ে উঠে নাই, গতকাল তিস্তা চুক্তি হল না দেখে আবার মাথাচাড়া দিল, ব্যাপারটা নিয়ে গুতোগুতি করতে করতে আজ আপনার এই পোস্টে এসে হাজির হলাম...

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এরকম ইনফর্মেটিভ রেফারেন্স সহ পোস্টটি দেবার জন্য, ভবিষ্যতে নজর থাকবে আপনার পোস্টের দিকে।

ভাল থাকবেন।

শ্রদ্ধা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।