ড্যাপ (DAP) ও সেনাবাহিনী আবাসন প্রকল্প

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/১০/২০১০ - ১২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাম্প্রতিক কালে সেনাবাহিনী আবাসন প্রকল্প ( আর্মি হাউজিং স্কীম) বা AHS এর জের ধরে বাংলাদেশ  সেনাবাহিনী ও রূপগঞ্জের সাধারন মানুষের মধ্যে সংঘাত ঘটেছে। মিডিয়া মারফত প্রাপ্ত খবরে এবং সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষনে একথা স্পষ্ট যে  সেনাবিহিনী তাদের ক্ষমতা অপব্যবহার করেছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে। একটি জমির মালিকের এই স্বাধীনতা থাকা উচিৎ যে তিনি তার জমি কার কাছে বিক্রি করবেন কিংবা আদৌ বিক্রি করবেন কিনা। তবে যদি সেটা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে লাগে প্রয়োজনে সরকার তা কিনে নিতে পারে, কিন্তু সেনাবাহিনী আবসন প্রকল্প সেই ধরনের কোন প্রকল্প নয়। বাস্তবে তা হয়নি, সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় সেখানে সাধারণ মানুষের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘাত হয়েছে, হতাহত হয়েছে। অবশ্য বিবিসির সাক্ষাৎকারে এই প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গনি জানিয়েছেন  এই প্রকল্পের জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন জোর জবরদস্তি করা হয়নি, সাধারণ মানুষের আবেগকে ব্যবহার করে এই ধরনের একটি পরিস্থিতি ঘটানো হয়েছে [৪]। আসলে কোনটি সত্য বা কতটুকু  সত্য সেটি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে এবং আমার এই পোষ্টের আলোচনা সেটিকে ঘিরে নয়। আমি মূলত এই স্কীমের প্রথম প্রকল্প ( রূপগঞ্জ) এলাকা এবং বর্তমান বাস্তবায়নাধীন ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপের প্রেক্ষাপটে তার বৈধতা নিয়ে আলোকপাত করতে চাই।

আর্মি হাউজিং স্কীম কি?

শুরুতে সেনাবাহিনী আবাসন প্রকল্প নিয়ে প্রাথমিক কিছু তথ্য জানা যাক। সেনাবাহিনীর সদস্যদের আবাসনের জন্য 'সেলফ ফাইনান্সড হাউজিং স্কীম ফর দি আর্মি' নামে একটি প্রকল্পের পরিকল্পনা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ( আর্মড ফোর্স ডিভিশন বা সংক্ষেপে AFD) এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস হয়ে অনুমোদন পায় ২০০৯ সালের নভেম্বরে। এই প্রকল্পই আর্মি হাউজিং স্কীম বা AHS নামে এখন প্রক্রিয়াধীন [২] যা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় ২০০৯ এর ডিসেম্বরে। এই প্রকল্পের সাথে ডিওএইচএস এর পার্থক্য নিরূপম করা হয়েছে এই ভাবে,

"ডিওএইচএস প্রকল্প বাংলাদেশ সরকারের স্পন্সরকৃত একটি প্রকল্প যেখানে সরকার বিনামূল্যে জমি প্রদান করবে এবং উন্নয়ন খরচ সংগৃহীত হবে সেনা সদস্যদের কাছ থেকে, অন্যদিকে আর্মি হাউজিং স্কীম প্রকল্পে সকল খরচ সংগৃহীত হবে সেনা সদস্যদের কাছ থেকে এবং এক্ষেত্রে  সেনাবাহিনী শুধু বিষয়টি ত্তত্বাবধান করবে" [৩]

অর্থাৎ এই প্রকল্পে সরকারের কোন দায়ভার নেই এবং এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অলাভজনক প্রকল্প যেখানে তারা সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করবে মাত্র [১,৪]। এই তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রকল্পকে প্রাইভেট আবাসন প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে যেকোন আবাসন প্রকল্প করার জন্য রাজউকের অনুমোদন লাগে।এই প্রকল্পের খসড়া নথির [২] মাধ্যমে জানা যায় এই প্রকল্পের অনুমোদন এখনো প্রক্রিয়াধীন ( সর্বশেষ ডিসেম্বর ২০০৯ এর নথি অনুযায়ী)। সম্প্রতি রূপগঞ্জে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বিবিসি কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিলাচলক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গনি বলেছেন,

"এটি এখনো প্রক্রিয়াধীন। তবে  আমরা সরকারের কাছ থেকে নীতিগত ভাবে অনুমোদন পেয়েছি।"

তিনি রাজউকের অনুমোদন প্রসংগে বলেছেন রাজউকের নীতিমালা অনুযায়ী (তার ভাষ্যমতে) একটি আবাসন প্রকল্পের অনুমোদনের জন্য প্রথমে কিছু জমি কিনে একটি পরিকল্পনা সহকারে রাজউকের কাছে তা উপস্থাপন করতে হবে। সেই ভিত্তিতে এ পর্যন্ত তারা প্রায় ১০০০ বিঘা জমি কিনেছেন এবং তাদের মাস্টার প্ল্যানের কাজ চলছে এবং তারা ফেব্রুয়ারী ২০১১ এর মধ্যে তারা তা উপস্থাপন করার আশা করছেন।[৪]

 প্রথম প্রকল্পঃ রূপগঞ্জ

এবারে এই আবাসন স্কীমের প্রথম প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা যাক। যেকোন একটি নতুন আবাসন প্রকল্প যখন প্রক্রিয়াধীন থাকে তখন সর্বপ্রথম একটি প্রকল্প এলাকা কিন্তু বিবেচনা করা হয় যাকে ঘিরে ঐ প্রকল্পের কাজ এগুতে থাকে। একটি উদাহরন দেই, ধরুন মিঃ ক একটি নতুন আবাসন প্রকল্প করবেন। সেক্ষেত্রে তিনি আগে ঠিক করবেন ঠিক কোন যায়গার সেই প্রকল্পটি হবে। তার একটি সম্ভাব্য ম্যাপ প্রনয়ন করবেন এবং সেই আলোকে জমি ক্রয় করা শুরু করবেন। একই সাথে যারা জমি ক্রয়ের জন্য এলিজেবল তারা তাদের কাছ থেকে আবেদন পত্র বা অর্থ সংগ্রহ শুরু করবে। আর্মি হাউজিং স্কীম একই ভাবে ত্যাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। এই প্রকল্পের 'প্রায় জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন ও উত্তর' নথিটি  [৩] পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এই প্রকল্পের জন্য অনলাইন ফরম পূরন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এইভাবে,

"25. you are req to fill up the online form given in the web address: http://ahsbd.wordpress.com"

তবে আর্মি হাউজিং স্কীম বা বাংলাদেশ আর্মির ওয়েবসাইটে এই প্রকল্পের কোন ম্যাপ দেখা যায়নি ( ভুল হলে ক্ষমা করবেন, কেউ পেলে জানাবেন আশা করি)। ওয়ার্ডপ্রেসের উল্লেখিত (http://ahsbd.wordpress.comওয়েবসাইটটিতে গেলে দেখা যায় যে সাইটটি পাওয়া যায়না। ধারনা করা হচ্ছে এটি সম্প্রতি মুছে ফেলা হয়েছে [৫]। ওয়েবসাইটটি মুছে ফেলার আগে তা থেকে বেশ কিছু তথ্য ও প্রকল্প এলাকা ম্যাপ বের করা হয় যা কিনা 'ডেইলি ষ্টারে' গত ২৪ অক্টোবর তারিখে ছাপা হয় [৬]।[এছাড়া ঐ ওয়েবসাইটে লিঙ্কড একটি এলবামে প্রকল্পের বেশ কিছু ছবির সন্ধান পাওয়া যায় [৭]। [পোষ্টের শেষ  আপডেট দেখুন  ]

উপরোক্ত আলোচনা বা অনুসন্ধানের মূলে ছিল আসলে AHS এর একটি খসড়া  প্রকল্প ম্যাপ নিয়ে বিশ্লেষন করার পূর্বে তার উৎস বা  নির্ভরযোগ্যতা [পোষ্টের শেষ  আপডেট দেখুন  ] নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাঠকদের জানানো। আমি নিচে বাস্তবায়নাধীন ড্যাপের আলোকে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন বা বৈধতা কিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলব যা আদতে ঐ ম্যাপের ভিত্তিতে।

ড্যাপ ও রূপগঞ্জ প্রকল্প

গত ২২ জুন ২০১০ এ গ্যাজেট আকারে প্রকাশিত ড্যাপ বা ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানে উল্লেখ করা হয়েছে,

"স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রকল্পে ঢাকা শহরের প্লাবনভূমিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল, একঃ মুখ্য প্লাবনভূমি (Flood Flow Zone) এবং গৌন প্লাবনভূমি (Sub Flood Flow Zone) এবং নির্দেশ ছিল যে একমাত্র কৃষি, নিষ্কাশন ও রাস্তাখাট ছাড়া ঐ সব এলাকায় কোন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হবেনা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে যে গৌণ প্লাবনভূমিতে উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা দূরুহ হয়ে গিয়েছিল স্ট্রাকচার প্যানের কিছু দূর্বলতার জন্য। ফলে ড্যাপে এই দুই অঞ্চলক একত্রিত করে করা হয়েছে শুধু প্লাবনভূমি ( ফ্লাড ফ্লো জোন)" 

অর্থাৎ এই ফ্লাড ফ্লো জোনে কোন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম করা যাবেনা বা করলে তা হবে অবৈধ। রাজউকের ওয়েবসাইটে ড্যাপের আওতায় পড়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন ম্যাপ পাওয়া যায় [৮]। রূপগঞ্জের আলোচিত ঐ এলাকা ড্যাপের গ্রুপ এ (Group A) এর আওতায় পড়ে। এই গ্রুপের বিশদ ম্যাপ ও তথ্য অনুসন্ধান করে দেখা যায় বালু নদী ও শীতলক্ষ্যার মধ্যবর্তী অঞ্চল ড্যাপের পরিকল্পনায় ফ্লাড ফ্লো জোন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সেখানে কোন ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা যাবেনা। যদিও এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম দেখা যায় রাজউকের নিজস্ব প্রকল্প পূর্বাচলের বাস্তবায়নে [৯]।

 

এবারে নিচে দুটি  ম্যাপ পর্যবেক্ষণ করা যাক। প্রথমটি ড্যাপের গ্রুপ এ এর ম্যাপ পরেরটি AHS  এর খসড়া প্রকল্প ম্যাপঃ

ছবি ১- গ্রুপ এ ম্যাপ, ড্যাপ

 

ছবি ২-AHS এর খসড়া ম্যাপ

 

উপরের দুটি ছবি থেকে এটি প্রতীয়মান যে প্রকল্পিত আর্মি হাউজিং স্কীম ড্যাপের ফ্লাড ফ্লো জোনে পড়ে, ফলে রাজউকের নীতিমালায় এই প্রকল্প অবৈধ।

এখানে কয়েকটি বিষয় আলোচনার দাবী রাখেঃ

 

প্রথমতঃ রাজউকের তথ্য অনুযায়ী ড্যাপের  কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৪ সালে [১০] এবং তা গ্যাজেট আকারে প্রকাশ পায় ২০১০ এর জুনে। AHS প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গনির সাক্ষাৎকার অনুযায়ী তারা সরকারের কাছ থেকে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছেন। যেহেতু এই প্রকল্পের নথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদন পায় ২০০৯ এর নভেম্বরে  সেক্ষেত্রে ধরা যাক সরকারের "নীতিগত অনুমোদন" পেয়েছেও ২০০৯ এর নভেম্বরে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ড্যাপের কথা কি সরকার জানেনা? যদি জেনে থাকে তাহলে ২০০৯ এর নভেম্বরে এই প্রকল্পের ছাড়পত্র কিভাবে আসে ? 

দ্বিতীয়তঃ বিবিসি থেকে সাক্ষাৎকারের সময় সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী উল্লেখ করেছেন যে এই প্রকল্প ড্যাপের আওতাধীন। এর পরেও জেনারেল গনি তার সাক্ষাৎকারে দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলেছেন এই প্রকল্প অবশ্যই চলবে। আমার প্রশ্ন ড্যাপের আওয়ায় অবৈধ একটি প্রকল্প কিভাবে চলবে নাকি পূর্বাচলের মত AHS ও তথাকথিত " ওভারলে" বলে চালিয়ে দেয়া হবে?

 

আমরা আশা করি রাজউক বা সরকার এক্ষেত্রে পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রদান করবে এবং এই নিয়ে ঘটে যাওয়া সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ক্ষতিপূরণ সহ এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারন করবে। অর্থৎ এই প্রকল্পের সঠিক ম্যাপ পর্যবেক্ষণ করে যদি তা ড্যাপের আওতায় ফ্লাড ফ্লো জেনে পড়ে তা অনতিবিলম্বে বাতিল করবে।

 

আপডেটঃ 

গুগুল ক্যাশ থেকে http://ahsbd.wordpress.com সাইটটির তথ্য পুনঃরুদ্ধার করা গেছে। সাইটটির একটি স্ক্রীন শট দেখুন নিচেঃ 

 

এই পেইজের বাদিকে একটি মেনু রয়েছে "Pictures" নামে যাতে মাউস নিলে একটি পিকাসা এলবামের লিঙ্ক আসে। নিচের ছবিটিতে ওয়েবসাইটটির স্ক্রীনশটের বাদিকের অংশ জুম করে দেয়া হলো। লাল বক্সের মধ্যে লিঙ্কটির স্ক্রীনশট লক্ষ্য করুনঃ

এবারে এই পিকাসা এলবামের পূর্ন  স্ক্রীন শট ও  জুম করা অংশ দেখুন নিচের দুই ছবিতেঃ

 

 

এবারে  সমন্বয় করি। এই প্রকল্পের 'প্রায় জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন ও উত্তর' নথিটি  [৩] পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট থেকে সুতরাং তা অফিসিয়াল তথ্য। এই অফিসিয়াল তথ্যে আগ্রহীদের অনলাইন ফরম ফিলাপ করতে বলা হয়েছে  http://ahsbd.wordpress.com ওয়েবসাইট থেকে সুতরাং নিঃসন্দেহে হলা যায় এটিও একটি অফিসিয়াল তথ্য কেন্দ্র ( যদিও সাইটটি ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে করা) । সেই অফিসিয়াল তথ্য কেন্দ্র থেকে পাওয়া সব তথ্যকেও আমরা একই প্রকল্পের নির্ভরযোগ্য তথ্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। সেক্ষেত্রে এটি বলা যায় যে প্রকল্পের ছবিসহ পিকাসা এলবামটি নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র। সেই বিচারে এই প্রকল্পের যে ম্যাপের আলোকে উপরোক্ত বিশ্লেষন করা হয়েছে তা সঠিক ও নির্ভরযোগ্য।

 

বিদ্রঃ পাঠক ড্যাপ নিয়ে বিস্তারিত প্রাথমিক তথ্য ও তথ্যসুত্রে জন্য দুটি পোষ্ট পড়ে দেখতে পারেনঃ

ড্যাপ (DAP) ও ঢাকার পানিসমস্যা

সংশোধিত ড্যাপ আবশ্যক

 

তথ্যসুত্রঃ

[১] আবাসন প্রকল্প রুপায়ণে সেনা পন্থা, বিবিসি বাংলা , ২৬ অক্টোবর ২০১০

[২] Draft Army Housing Scheme, Bangladesh Army.

[৩] Frequently Asked Question, AHS, Bangladesh Army.

[৪] রূপগঞ্জে সেনা ক্যাম্প ছিলো: ব্রি. গনি, বিবিসি বাংলা, ২৫ অক্টোবর ২০১০

[৫] রূপগঞ্জে সামরিক ভুমি আগ্রাসন:“দিনরাত লেফ-রাইট করলে ক’মণ শস্য ফলে এক গন্ডা জমিতে?”, দিনমুজুর এর ব্লগ বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ়

[৬] Rupganj flies into fury , ডেইলি ষ্টার ২৪ অক্টোবর ২০১০।
[৭] AHS প্রকল্প ছবি এলবাম

[৮] গ্রুপ এ রিপোর্ট, ড্যাপ, রাজউক।

[৯] সংশোধিত ড্যাপ আবশ্যক , সচল জাহিদ, সচলায়তন।

[১০] ড্যাপ রাজউক


মন্তব্য

কাজী মামুন এর ছবি

পয়লা ইটা রাইখা গেলাম।
single-brick

লেখার উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ!

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... র জন্য ধন্যবাদ। হাসি

(×ইটা) - × ছাড়া লিখুন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সচল জাহিদ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... গ্রহন কর্লাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ বস।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

তাহলে দেখা যাচ্ছে:

১) রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই অন্তত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের ভূমিসংক্রান্ত কার্যক্রম (গৃহায়ণ বা বাণিজ্যিক বা অন্যান্য) চালিয়ে যেতে পারে। এটা সরকারের নীতিগত অনুমোদন নিয়েই কাজ চালাতে পারঙ্গম। এবং, সম্ভবত, সরকারও এক্ষেত্রে উটপাখি নীতি অবলম্বন করতে পছন্দ করে। তাহলে আর বেসরকারি ভূমিদস্যুদের দোষ দিয়ে লাভ কী?

২)

তিনি রাজউকের অনুমোদন প্রসংগে বলেছেন রাজউকের নীতিমালা অনুযায়ী (তার ভাষ্যমতে) একটি আবাসন প্রকল্পের অনুমোদনের জন্য প্রথমে কিছু জমি কিনে একটি পরিকল্পনা সহকারে রাজউকের কাছে তা উপস্থাপন করতে হবে। সেই ভিত্তিতে এ পর্যন্ত তারা প্রায় ১০০০ বিঘা জমি কিনেছেন এবং তাদের মাস্টার প্ল্যানের কাজ চলছে এবং তারা ফেব্রুয়ারী ২০১১ এর মধ্যে তারা তা উপস্থাপন করার আশা করছেন।

রাজউকের অনুমোদন পেতে গেলে আগে কিছু জমি কিনে অনুমোদন নেওয়ার ব্যাপারটা কতটুকু সত্যি। এটা তো অনুমোদনের ধারণার সাথেই সাংঘর্ষিক।

৩) সেদিন পত্রিকায় দেখলাম, প্রকল্পের আকার কমানো হবে, এবং অবঃদের স্থান দেওয়া হবে না সেখানে। এটা সত্যি হলে তো সেনাএ্যাপোলজিস্টদের কাঁদুনির অনেক জায়গাই বাতিল হয়ে যায়।

মানুষ বাঁচবে কিভাবে? সেনাবাণিজ্য থামবে কখন নাকি চলবে অপ্রতিহত গতিতে?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

সচল জাহিদ এর ছবি

রাজউকের অনুমোদন পেতে গেলে আগে কিছু জমি কিনে অনুমোদন নেওয়ার ব্যাপারটা কতটুকু সত্যি

আমি এই বিষয়ে তথ্য বের করার জন্য রাজউকের ওয়েবসাইটে খোঁজ খবর করেছি। দেখলাম কিছু তথ্য দেখার জন্য নিবন্ধন করতে হয় যাতে নাম ধাম, ঠিকুজি ও পাসপোর্ট নাম্বার সহই তা করতে হয়। সবকিছু দিয়ে নিবন্ধন করেছি এখন ইমেইলে 'শর্টলি' কনফার্মেশন পাঠানোর কথা, এখনো পাইনি ( ১২ ঘন্টা হয়েছে)। লগইন করে এই বিষয়ে তথ্য পেলে পোষ্টে মন্তব্য আকারে জানাব আশা করি।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ। নামটি জানা হলোনা।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নৈষাদ এর ছবি

চলুক

“ওভারলের’ ব্যাপারটা জানা নাই। তারমানে কি পূর্বাচলকে অলরেডি ‘হালাল’ করা হয়েছে?

আজকের এই ব্যাপারে ডেইলি স্টারের রিপোর্টে একটা ইন্টারেস্টিং লাইন পড়লাম। কি হয়েছিল তা 'ট্রায়িং টু ফিগ্যার আউট' করতে গিয়ে আর্মি অথরিটি... কনক্লুড করল 'দে শ্যুড হ্যাভ ট্রাইড দ্য সিভিলিয়্যান ওয়ে টু বাই সিভিলিয়্যান ল্যান্ডস।’ চোখ টিপি

সচল জাহিদ এর ছবি

“ওভারলের’ ব্যাপারটা জানা নাই। তারমানে কি পূর্বাচলকে অলরেডি ‘হালাল’ করা হয়েছে?

হ্যা, ওভারলের যুক্তি দেখিয়ে পূর্বাচলকে হালাল করা হয়েছে। বিস্তারিত নিচের পোষ্টে পাবেন।

সংশোধিত ড্যাপ আবশ্যক

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

টেকনিক্যাল বিষয় তেমন বুঝি না, তারপরেও পড়লাম।

ইন্ডিয়া ও মায়ানমারের কিছু অংশ দখল করে সেখানে আবাসনের ব্যবস্থা করতে কি আমাদের সেনাবাহিনীকে খুব একটা বেগ পেতে হবে? তারা যেরকম করিৎকর্মা বলে সুনাম শোনা যায় (পিলখানার ঘটনা অবশ্য একটা বিটার পিল), তাতে একাজটা করতে তাদেরকে বেশি হাঁটু ঘামাতে হবে বলে মনে হয় না। এতে ব্লাডি পাবলিকের কুৎসিত রক্তও তাদেরকে দেখতে হয় না, আমাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সেনাপুঁজোয় নিবেদিত অর্থেরও একটা আউটপুট আসে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সচল জাহিদ এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ বলাই দা।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

পোস্টে উত্তম জাঝা!, অনেক ধন্যবাদ জাহিদ ভাই, বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার বদৌলতে। সেনাবাহিনী আসলে আমাদের দেশে করে কি? বন্যার সময় ত্রান দেয়, তাছাড়া কামের কাম কি করে? যাবতীয় জায়গায় অ্যাডমিন হয়ে আসে তারা অন্যের মাঠায় ছড়ি ঘুরাইতে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মাহবুব রানা এর ছবি

আর্মি খারাপ, বুঝলাম। কিন্তু পাব্লিকরে ভালো কই কেমনে? ভূমিদস্যুর (সরকারি/বেসরকারি) দস্যুপনা, জায়গাজমি দখল করে আবাসন এইগুলাতো নতুন কিছুনা। নানা হাউজিং কম্পানি সারাদেশ জুড়ে বহুদিন ধরেই করে আসতেছে। পাব্লিকের এত আবেগ-অনুভূতি তখন কই লুকায়া থাকে? কোনোদিন কোনো বেসরকারী হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ এত আবেগ নিয়া প্রতিরোধ আর ভাংচুর করতে তো শুনিনাই।

সচল জাহিদ এর ছবি

'আর্মি বনাম সিভিলিয়ান' আলোচনার উদ্দেশ্যে এই পোষ্ট লেখা হয়নি। দূর্নীতি সে যেই করুক তার বিরুদ্ধেই মানুষ কথা বলবে। ইতিপূর্বে সরকারের পূর্বাচল প্রকল্পের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছি ড্যাপের আলোকে। আলোচনা তাই এই কেন্দ্রিক হলে ভাল হয়।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক এই লেখার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম জাহিদ ভাই। যদিও আমার প্রশ্ন অনেক তবে আপনি কেবল একটা দিক নিয়ে আলোকপাত করেছেন। অবশ্য এই একটা পয়েন্টই যথেষ্ঠ এই প্রকল্পটি অবৈধ হয়ে যাওয়ার।

আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই পুর্বাচল প্রকল্পটি ড্যাপের অনেক আগে নেয়া। তাই পুর্বাচল প্রকল্পকে কিছুটা ছাড় দেয়া যেতে পারে (যদিও উচিত না)। কিন্তু ড্যাপের পরে নেয়া আর্মির এই প্রকল্পকে কোনো ভাবেই ছাড় দেয়া যায় না। এটি এখন পুরোপুরি অবৈধ।

আজ প্রথম আলোতে লে. কর্নেল ওয়ালিউল্লাহ (অবঃ) তার কলামে এই প্রকল্পের সাফাই গেতে গিয়ে বলেছেন,

পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের প্রতিবাদ সত্ত্বেও এরই মধ্যে আবাসনসমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জলাশয় ভরাট করে প্রচুর প্রতিষ্ঠান কাজ করে চলেছে।
মজার ব্যাপার হল এই বাক্যটা হঠাৎ করেই আসে আর হঠাৎ করেই শেষ হয়ে যায়। পুরো কলামে আর কোথাও এ নিয়ে কিছু বলতে দেখি না। এখন এই কথা দ্বারা কি বোঝায়? এটাই বোঝায় যে অন্যরাও যেহেতু জলাশয় ভরাট করছে, তাই আমরাও করব। খুব সম্ভবত একটা আইন আছে যে এইসব জলাশয় ভরাট করা যাবে না। এর পরিমাণ কিন্তু ভয়াবহ। আর্মিকে একবার বেনেফিট দিলে পরে অন্যান্য ডেভেলাপাররাও এই সুযোগ চাইবে। সরকার না দিলে তাদের আদালতে যাওয়ার মত শক্ত যুক্তি থাকে।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলাতে প্রচারিত "ফৌজি বাণিজ্য" সিরিজটা যথেষ্ঠ অ্যাপলিং। রূপগঞ্জের ঘটনা এটারই একটা প্রভাব। আর এই ধরণের ঘটনা আরো ঘটবে ভবিষ্যতে। এজন্য বলাইদার প্রস্তাব আমার বেশ পছন্দ হইছে।

অনন্ত

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ অনন্ত। পূর্বাচল নিয়ে বার বার কথা বলেছি কারন যে যুক্তি দেখিয়ে পূর্বাচলকে ওভারলে ঘোষোনা দেয়া হয়েছে যেই যুক্তিতে পূর্বাচল ওভারলে হয়না। এখন দেখা যাবে এই উদাহরণকে সামনে রেখে বালু আর শীতলক্ষ্যার মাঝখানের পুরো এলাকাই আবাসন হয়ে যাবে। ( অবশ্য AHS বাস্তবায়ন হলে তার আর বেশি বাকি নেই !!!)

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কামরুল হাসান রাঙা [অতিথি] এর ছবি

পূর্বাচলসহ প্রায় সব সরকারী হাউজিং প্রকল্প নিয়ে কমবেশী অভিযোগ এই যে, সেগুলোর জায়গা নির্বাচন এবং ভূমি অধিগ্রহণ- উভয় ক্ষেত্রেই সরকার নিজের তৈরি করা আইন ভেংগেছে। আর সেনাবাহিনীর এইরকম বাণিজ্য ত নতুন নয়। বিবিসি বাংলায় একটা সিরিজ লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। লিংক দিলাম।

http://www.bbc.co.uk/bengali/in_depth/kafaujibanijjya1.shtml

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ রাঙা ভাই। চমৎকার একটি লিঙ্ক দিয়েছেন। সময় করে পড়ব।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

আহসানুল হাকিম এর ছবি

শাব্বাশ ভাই শাব্বাশ!
বিচিন্তা

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চমৎকার। সচল জাহিদ ভাইয়ার নিজস্ব ঘরানার - তথ্যবহুল লেখা...

_________________________________________

সেরিওজা

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্বাধীন এর ছবি

ড্যাপের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার জন্য জাহিদকে ধন্যবাদ। তবে ড্যাপের বিষয়টি ছাড়াও সেনাবাহিনীর এভাবে ভুমিদস্যুতায় নেমে পড়া কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। এটাকে আমি সরাসরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হিসেবেই চিহ্নিত করবো। সরকারের কার্যকলাপে প্রতিয়মান হচ্ছে যে সরকার নিজেই অসহায় সেনাবাহিনীর বিপরীতে। সেনাবাহিনী গোস্যা হয় এমন কিছু সরকার করতে সক্ষম নয়। তাই জনগণকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হলেও মনে হচ্ছে সরকারের হাত/পা বাঁধা। একটি সরকার যদি এভাবে একটি বাহিনীর কাছে অসহায় হয় তাহলে সাধারণ মানুষের নিজের রক্ত দেওয়া ছাড়া আর কোন গতি কি আছে? তাহলে এখন উচিত অন্যান্য সব ভুমিদস্যুদের কাছে সরকারের ক্ষমা স্বীকার করে নেওয়া এবং জনগণের কাছে তাঁদের অক্ষমতা স্বীকার করে জনগণের ভাগ্য জনগণের হাতেই ছেড়ে দেওয়া। সরকার না পারলেও জনগণ তাঁদের জীবন দিয়ে হলেও নিজেদের অধিকার রক্ষা করে ছাড়বে। সেখানে সেনাবাহিনী কিংবা রাষ্ট্র কোন দিন জিততে পারবে না। র‍্যাবের নামে, পুলিশের নামে, সেনাবাহিনীর নামে এই সব রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ হোক।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তানজীর [অতিথি] এর ছবি

তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ। সাইটটি একেবারে হারিয়ে যায়নি। সড়িয়ে ফেলা হলেও ক্যাশে করা সাইট এখানে পাওয়া যাবে: http://webcache.googleusercontent.com/search?q=cache:qz6mJRB4J7cJ:ahsbd.wordpress.com/eligibility/+http://ahsbd.wordpress.com&cd=4&hl=en&ct=clnk&gl=us&client=firefox-a

http://picasaweb.google.com/117696935276806248158/LOCOFAHS#
সাইটটিতে কন্টাক্ট ইনফরমেশন দেয়া আছে জিমেইলের একটি ইমেইল এড্রেস। একটি দেশের সেনাবাহিনী যদি এসব ফ্রি (জিমেইল, ওয়ার্ডপ্রেস, পিকাসা) ব্যবহার করে আমার আর কিছু বলার নেই। কোনো ঘটনা হলেই সাইট নামিয়ে নেয়া, বা তথ্য লুকানোর যে অদ্ভুত মানসিকতা সে নিয়ে আর কিছু বলার নেই।

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই লিঙ্কের জন্য। এই গুগুল ক্যাশটাই আমি খুঁজছিলাম। আমি মূল লেখাতেও একটি আপডেট দিয়ে দেই।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কালবৈশাখি এর ছবি

তারা techinal ব্যাপারেও নবিস বলে মনে হচ্ছে

অর্ক [অতিথি] এর ছবি

জব্বর দেঁতো হাসি

তবে ওয়ার্ডপ্রেস'র সাইটটা ঘোষণা দিয়েই নামিয়ে ফেলা হয়েছিল । সাইটটি ahs.org.bd তে সরিয়ে নেওয়ার কারণে ওয়ার্ডপ্রেস সাইটটি ডীজেবল করা হয় এবং তা করা হয় এই রুপগঞ্জ ঘটনা ঘটার আগেই। আর FAQ for AHS Proj টি ওয়ার্ডপ্রেস সাইটটি মুছে ফেলার অনেক আগেই সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয় ।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ অর্ক। আসলে ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইটের প্রসংগ এসেছে আর্মি হাউজিং স্কীমের একটি প্রকল্প ম্যাপ খুঁজে পাওয়া প্রসংগে। লক্ষ্য করে দেখবেন প্রকল্পের বর্তমান ওয়েবসাইট ahs.org.bd তে এই প্রকল্পের কোন ম্যাপ পাওয়া যায়না, যা ওয়ার্ডপ্রেসের সাইটটিতে পাওয়া যায়। আপনার তথ্যমতে নতুন অফিসিয়াল সাইট করার পর ওয়ার্ডপ্রেস সাইটটি ডিজেবল করা হয়ে থাকলে সেখানে পুরনো সাইটের আপডেটেড তথ্য বা ন্যুনতমভাবে আগের তথ্য থাকা উচিৎ। সেক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের সাইটটিতে প্রকল্প ম্যাপ থাকলেও ahs.org.bd সাইটটিতে প্রকল্প ম্যাপ না থাকাটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন টেনে দেয় পাঠকের কাছে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

অজানা অনেক কিছুই জানলাম... চলুক

"চৈত্রী"

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ চৈত্রী।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক আলোচনার জন্য। বেশিরভাগই দেখি এ ঘটনা নিয়ে হৈ চৈ সৃষ্টি করতে ব্যস্ত! আপনার লেখা পড়ে কিছু ব্যপার পরিস্কার হল। এখন কেন যেন মনে হচ্ছে সেনাবাহিনী দিয়ে ড্যপকে নস্যাত করার একটা চেষ্টাই ছিল এই এএইচএস! মনে হচ্ছে সরকার বা ভূমিদস্যুদের একটা অংশই তাদের এই প্রজেক্টে উৎসাহ দিয়েছিল! সেনাবাহিনী করে ফেললে বাকীদের জন্য তা হালাল হয়ে যায়।

যদিও পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়, তারপরেও বলছি।

পত্রিকা পড়ে সংঘর্ষের ঘটনার দায় আমার মনে হয়েছে মূলত কিছু ভূমিদস্যুর বা জমির দালালদের। তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। সেনাবাহিনীর উচিৎ ছিল এই পরিস্থিতি তৈরির অনেক আগেই এই প্রকল্প থেকে সরে আসা। ষড়যন্ত্রটা ধরতে পারা উচিৎ ছিল। আর তাদের জমি কেনা বেচার কোন অভিজ্ঞতা আছে বলেও মনে হল না! ড্যপ এর এই ব্যপারটা তারা জানল না কেন বুঝতে পারছি না ?!? কিন্তু তারা বোধহয় অনেক বেশি আত্নবিশ্বাসী। তাদের বোঝা উচিৎ ছিল যুদ্ধ করার থেকে কুচক্রী বাঙালীদের রুখে দেয়া আরও বেশি কঠিন কাজ! রূপগন্জবাসী আর সেনাবাহিনী নয়, ভূমিদস্যু আর সেনাবাহিনী এখানে প্রতিপক্ষ!

কিন্তু সবচেয়ে খারাপ লেগেছে কিছু লোক দেখলাম উত্তেজিত রূপগন্জবাসীর মত না বুঝেই সেনাবিদ্বেষী হয়ে উঠল। রূপগন্জ থেকে একেবারে হোটেল রেডিসন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সব ঘুরে আসল! মনে রাখতে হবে এরা কিন্তু সাধারন মানুষকে নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয়! দেশের মধ্যে একটা উত্তেজনা তৈরি করতে পারলেই এরা খুশি। দেশ জাহান্নামে যাক তাতে কি? নিজে ত হিরো হতে পারল! আমার পর্যবেক্ষন বলছে, রূপগন্জবাসী আর সেনাবাহিনী নয়, ভূমিদস্যু আর সেনাবাহিনী এখানে প্রতিপক্ষ! আর সাধারন জনগনের উত্তেজনাও স্বাভাবিক। সাধারনত জমি কেনাবেচার সময় কোনটা কার জমি এসব নিয়েও এলাকায় একধরনের উত্তেজনা থাকেই। তাতে ঘি ঢেলেছে জমির দালালরা।

আরেকটি কথা। সেনাকতৃপক্ষ এখন বলছে তারা আর জমি কিনবে না। ড্যপ এর সাথে সাংঘর্ষিক বিবেচনায় রাজউকও এর অনুমোদন দেয়ার কোন কারন নেই। প্রশ্ন হচ্ছে দুর্নীতি করে রাজউক ওই স্থানের অন্য ভূমিব্যবসায়ীদের অনুমোদন দেবে কি? সাথে আরেকটা প্রশ্ন (রাজউকের কাছেই!), তাদের যে দুর্নীতির চিত্র আমরা দেখি তাতে ড্যপ কতটুকু বাস্তবায়ন হবে? ঢাকা শহরকে রাজউক কতটুকু ভাল রাখতে পেরেছে?!?

সেনাকতৃপক্ষ যতটুকু কিনে ফেলেছে তা কি করবে? সেটাও ত রাজউকের অনুমোদন পাবে বলে মনে হয় না। কেনা জমিগুলো নিয়ে কিছু করার নেই বলেই বোধহয় রেখে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই জমি এখন কে নেবে? যেখানে এমন একটি সংঘর্ষ হয়েছে?

অবসরপ্রাপ্তদের এই জমি দেয়া হবে না বলা হচ্ছে। কিন্তু পত্রিকায় পড়লাম অনেকের কাছ থেকে টাকাও তারা নিয়েছে। তাহলে তাদের কিভাবে বোঝাবে? অবসরপ্রাপ্তদের না দেয়ার কারনটা খুব সম্ভবত, অবসরপ্রাপ্তদের অন্য জমি থাকা সত্বেও তাদের ঐ প্রকল্পে অংশগ্রহন শুধু জমি কেনা বেচা। অর্থাৎ অল্প দামে কিনে তারা বেশি দামে বেচে দেবে। ওখানে নিজেরা থেকে আবাসন গড়ে তোলা তাদের উদ্দেশ্য না!

আবারও ধন্যবাদ গঠনমূলক একটি আলোচনা করায়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।