ফ্রেন্ডস্‌ অব মেহেরজান-১

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ৩০/০১/২০১১ - ১:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করে দেখানো সিনেমা মেহেরজানের শো বন্ধ হয়ে গেছে। ফারুক ওয়াসিফ এবং আরো কিছু পাকিপ্রেমী বুদ্ধিজিগালো লেখার পর লেখা ফুকে চলছেন মেহেরজানের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যাবার বিপক্ষে। ফারুক ওয়াসিফ সিনেমাটির মধ্যে যা কিছু পেয়েছেন সেটা নিয়ে চার পর্বের লেখা নামিয়েছেন সামুতে। মেহেরজানের পক্ষে জান লড়িয়ে দেয়া বুদ্ধিজিগালোদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তিনি নমস্য বিধায় তাকে একটু পরে ধরি।

ফাহমিদুল হক প্রথম আলোতে মেহেরজান নিয়ে একখানা কলাম নামিয়েছেন। প্রথম আলো দপ্তর আর মুক্তিযুদ্ধের ডিসকোর্স অধিদপ্তরের বাড়তি চাপে তাড়াহুড়ায় লেখা। ফাহমিদুল তার পাঠককে আবাল ও মূর্খ মনে করে লাইনে লাইনে ডিসকোর্স, ডিকন্সট্রাকশন, আর্টিফিশিয়াল কনস্ট্রাক্ট, রেপ্রিজেন্টেশন, গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ, কাউন্টার ন্যারেটিভ, ডিসকার্সিভ প্রসব করেছেন। তাই এই লেখাটাকে স্বাভাবিক ধারায় আলোচনা না করে আগে পরে মিশিয়ে একটা ডিকন্সট্রাকটিভ পদ্ধতিতে এগিয়েছি।

তিনি শুরু করেছেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আবেগপ্রবণ না হয়ে বিশ্লেষণপ্রবণ হওয়ার গুরুত্ব নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের যে বৃহৎ পটভূমি ( পাকিস্তানিরা বিভৎস হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন করেছে নয় মাস, মুক্তিযোদ্ধারা আপ্রাণ লড়ে দেশ স্বাধীন করেছে) থেকে চোখ সরিয়ে অন্যান্য পটভূমি কিংবা এর বিপরীত পটভূমি (যেমন, মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের নাম করে পাকিস্তানি মিলিটারিদের ওপর বিভৎস আচরণ করেছে, তাদের কষ্ট দিয়েছে)নিয়ে আলোচনা কিংবা ছবি বানানোর কথা দরকার আছে বলে তার মতামত। মেহেরজান সেই ভিন্ন পটভূমির একটা সাক্ষাৎ প্রভুখণ্ড। সুতরাং মেহেরজান সিনেমায় দেখানো (১৯৭১ সালের বনভোজন মৌসুমে ঘটা) গোলাপি গোলাপি পাকিপ্রেম ফাহমিদুল হকের মতে একটা ভিন্ন ন্যারেটিভ। উনাকে বলতে দেই বরং:

আর মুক্তিযুদ্ধের গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের ডিকনস্ট্রাকশন করতে গিয়ে রূপকথা-পরিস্থিতি পরিচালকের জন্য বিশেষ সুবিধা এনে দেয়। সেই সুবিধা বা স্বাধীনতা পরিচালক নিতেই পারেন। নয়তো মুক্তিযুদ্ধ কেবল ইতিহাসের দিন-সংখ্যা নিয়ে পাঠ্যবইতে আটকে থাকবে, নানারূপে মানুষের মনে ঠাঁই নেবে না।

পাঠক, আপনি বোধহয় ডিকন্সট্রাকশান বোঝেন না। একদম সহজ একটা ব্যাপার। বাংলাদেশের দর্শনবোদ্ধাদের কাছে দেরিতে আসা দেরিদা এই মোক্ষম শব্দ নামিয়েছিলেন। গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক এর বাংলা করেছেন বিনির্মাণ। মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ত্রিশ লক্ষ লোককে মেরেছে, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, প্রায় চার লক্ষ মেয়েদের ধর্ষণ করেছে- আর এগুলোর বিনির্মাণে আসবে গোলাপি জামা, পাকিপ্রেম, কামুক মুক্তিযোদ্ধা। প্রথম আলোর ফাহমিদুল বলছেন যেহেতু নিশ্চয় এগুলোর দরকার আছে। না হলে মুক্তিযুদ্ধ খালি খালি দিন কিংবা সংখ্যা হয়ে থাকবে। মানুষের মনে গোলাপি পাকিপ্রেম ঠাঁই নেবে না।

একাত্তরকে ভিন্ন ন্যারেটিভে দেখানো নিয়ে মেহেরজানের মতো পাকিপ্রেমের ফোক-ফ্যান্টাসিকে যারা ফোকাসে আনতে চাচ্ছেন তাদের বোঝা উচিত একাত্তরের ভিন্ন ন্যারেটিভ দেখাতে গেলে সুদূর কল্পনাতেও পাকিপ্রেম আসবে না। পাকিবাহিনী বিভৎস ধর্ষনের মুখে পড়ে একাত্তরের নির্যাতিত নারীরা পুরুষ দেখলেই আতংকে শিউরে উঠতো, প্রেম জাগার প্রশ্নই সেখানে আসে না। বীরাঙ্গনাদের নিয়ে সিনেমা করতে এসে পার্ভাট কিছু দর্শকদের উপহার দিয়ে ‘দর্শক হলে সিনেমা উপভোগ করেছে’-বলার মতো কাজ রুবাইয়াত হোসেনের মতো রেফারেন্স-সহকারে-মিথ্যাবাদীই করতে পারেন। আর একাত্তরকে ভিন্ন ন্যারাটিভে আনার অনেক কিছু আছে। সেই সময়ে বামপন্থীদের আচরণ, ভারতের আশ্রয় শিবির, ভাসানীর ভূমিকা, ভারতের মাটিতে তাজউদ্দিন সরকার থেকে শুরু করে ভারতের জয় বাংলা চটি। কিন্তু পাকিপ্রেমকে মানবতার মোড়কে চালিয়ে ‘বদলে যাও, ভুলে যাও’ শ্লোগানের কোনো মানে নেই।

ফাহমিদুল প্রচার মাধ্যমে লিখেছেন। তাই তার ভাষা সংযত। মেহেরজানকে বর্জন করার পক্ষে (এখানে একটা কথা স্পষ্ট করি: ব্লগে মেহেরজান বর্জনের পক্ষে কথা বলা হয়েছিল, নিষিদ্ধ করার কথা কখনোই ওঠেনি। হলে মেহেরজান চলবে, কিন্তু দেখার জন্য একজন দর্শকও নেই। রুবাইয়াত গং-দের জন্য এটাই সঠিক সাজা হতো।) দাঁড়ানো লোকজনকে ফ্যাসিবাদি কিংবা ব্লগমাস্তান অথবা অনলাইনের নারায়ে-তকবির বাহিনী না বলে একটু আবেগ মিশিয়েছেন:

কিন্তু মেহেরজানবিরোধী বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখে আমার ভয় হয়, ঐতিহাসিক বা জাতীয়-আন্তর্জাতিক যেকোনো ঘটনাক্রম নিয়ে নানামুখী বা ডিসকার্সিভ আলোচনার পথ বুঝি ক্রমশ রুদ্ধ হয়ে পড়ছে। মুক্তিযোদ্ধা বনাম রাজাকার/পাকিস্তানপন্থী ডাইকোটমির বাইরে বুঝি আর কিছু থাকতে নেই এই ভুবনে।

মানে মেহেরজানের পক্ষে কথা বলতে হবে। বিপক্ষে বললে মুক্তচিন্তার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মুক্তচিন্তার দরকার কোন জায়গায় আছে জানি না। ১৯৭১ সালের নয়মাস দোজখ বানিয়ে রাখা শত্রুদের ঘৃণা করার মধ্যে মুক্তচিন্তা আটকে থাকে না। ফাহমিদুলের মতো লোকেরা রাজাকার/আলবদরদের ডিকন্সট্রাকশন ঘটিয়ে প্রেমময় দরদী নানাজান হিসেবে দেখতে পারেন। কিন্তু আমরা দেখবো কেন?

লেখার শুরুর দিকে তাকাই। বেশ চওড়া সাইজের লাইন।

জাতি-রাষ্ট্র যদি বেনেডিক্ট এন্ডারসনের ভাষায়, একটি ‘কল্পিত সমাজ’ (ইমাজিনড কমিউনিটি) অথবা গায়ত্রী স্পিভাকের ভাষায়, ‘কৃত্রিম নির্মাণ’ (আর্টিফিশিয়াল কনস্ট্রাক্ট) হয়ে থাকে, তবে তার ‘কল্পিত’ ঐক্য ও সংহতির জন্য লাগাতারভাবে একটি আদর্শ জাতীয়তার অবয়ব বা বৈশিষ্ট্য গড়ে তুলতে হয় এবং কিছু ‘রেপ্রিজেন্টেশন-পদ্ধতি’র (স্টুয়ার্ট হলের মতে) মাধ্যমে এই নির্মাণের কাজটি করতে হয়, সেই অবয়ব বা বৈশিষ্ট্য ধরে রাখার জন্যও।

আরে বেনেডিক্ট এন্ডারসনকে চেনেন না তো কি হয়েছে, বিনয়ের ‘ফিরে এসো চাকা’র চাকা বা স্পিভাককে চিনেন নিশ্চয়। ওহ্, তাও চেনেন না। আচ্ছা বাদ দেন। বরং হযরত ফারুক ওয়াসিফের কাছ থেকে কিছু কথা শুনে নেই:

কিন্তু স্মৃতি, যন্ত্রণা, ভয় ও ঘৃণা দ্বারা ভারাক্রান্ত একটি গ্রামে কীভাবে তা সম্ভব? সম্ভব নয় বলেই ভালবাসাটা হয় অপরাধী এবং পাত্রপাত্রীদের হতে হয় অভিযুক্ত। তারা হারিয়ে যায় এবং প্রত্যাখ্যাত হয়। সেই নিষিদ্ধ প্রেম হওয়ার আরেকটি পথ হলো, সময়কে উল্টোদিকে প্রবাহিত করে খোদ নির্যাতনের ঘটনাটিকে অতীতেই রদ করা, ঘটতে না দেওয়া। কিন্তু এ দুটোর কোনোটাই সম্ভব নয়। সম্ভব একমাত্র ভবিষ্যতে, যখন উভয় পক্ষ একটা রিকনসিলিয়েশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গিয়ে নতুনভাবে মানবিক বন্ধন নির্মাণ করবে, সৃষ্টি করবে নতুন ইতিহাস এবং নতুন বাস্তবতা। তখন হয়তো তা সম্ভব। তার জন্য গত আড়াইশ বছরের ইতিহাসের ভুল ও বিকৃতি সংশোধন করতে হবে। কিন্তু উপমহাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তানের অধপাতি চরিত্রে যা আদতে এখনো অসম্ভব ও অবাস্তব।

একটু আটকে যেতে পারেন রিকনসিলিয়েশন শব্দটাতে। এই শব্দের মানে পুনর্মিত্রতা। ও, এটার মানে ঠিকই জানেন। তাও বলি, অনেকটা মেরেছিস কলসির কানা তাই বলে কি প্রেম দিব না টাইপের ব্যাপার। পলিটিকস অফ রিকনসিলিয়েশন নামে এক ধরণের নতুন রাজনীতি ইদানীং মাথাচাড়া দিচ্ছে। সামনে এগিয়ে যাবার জন্য অতীতের সমস্ত ইতিহাস ক্ষমা নামক ইউফোরিয়া দিয়ে মুছে দেয়ার আহ্বান থাকে এই নতুন রাজনীতির বলয়ে। ফারুক ওয়াসিফ ও ফাহমিদুল হক এই ইউফোরিয়াকে বাস্তব করার কথা বলছেন। দুইজনের কথার তাই একটাই পরিণতি: একটা কল্পিত অবাস্তব ভবিষ্যতে ইতিহাসের যাবতীয় এন্ডাগান্ডা ভুল সরিয়ে পাকিদের ঘৃণ্য অত্যাচারের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আমরা পাকিসঙ্গমের স্বপ্নে বিভোর হবো। এরই সার্থক চিত্রায়ণ ঘটেছে রুবাইয়েত হোসেনের সিনেমায়।

ওয়াসিফকে ছেড়ে ফাহমিদুল হকে আসি। তিনি আমাদের জানাচ্ছেন- একাত্তরের গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের বাইরেও অনেক ছবি বানানো হয়েছে। কই তখন কেউ কোনো হাউকাউ করে নাই। তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’, ‘নরসুন্দর’, তৌকিরের ‘জয়যাত্রা’-র মধ্যে লুকিয়ে আছে কিছু ভিন্ন ন্যারেটিভ। অথচ কারো কোনো রা নেই, অথচ রুবাইয়াতকে কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এগুলো পুরুষ সমাজের ধর্ষকাম। ধিক এসব ধর্ষকামীদের!

একটু নাইন-ইলেভেন না ঢোকালে কি চলে! একফোঁটা আধফোঁটা ইরাক-আফগানিস্থান। মূর্খ পাঠক এগুলো অন্তত বোঝে। ফাহমিদুল, আপনি বলুন প্লিজ:

লক্ষ করার বিষয় হলো, এর মধ্যে নাইন-ইলেভেনের ঘটনা ঘটে গেছে, আফগানিস্তান-ইরাক আগ্রাসন ঘটেছে। মুসলমানদের আত্মপরিচয়ের নতুন নতুন ব্যাখ্যা আসছে। আমাদের বেশির ভাগ আর্ট সিনেমা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, তাতে ইসলামি দলভুক্ত রাজাকার চরিত্র থাকছে এবং বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়ের জিজ্ঞাসায় ‘প্রথমত বাঙালি না মুসলমান’ প্রশ্নটি অমীমাংসিত থাকছে—এই পরিপ্রেক্ষিতে খোদ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রেই নানা বিনির্মাণ বা ডিকনস্ট্রাকশন শুরু হয়েছে বিগত এক দশকে। মেহেরজান সেই ডিকনস্ট্রাকশন-প্রক্রিয়ায় একটা উল্লম্ফন। আগের ডিকনস্ট্রাকশনগুলোয় কিন্তু আজকের মতো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

এর সাথে হযরত ওয়াসিফের কথার অনেক মিল। ওয়াসিফ ছফাকে টেনেছেন। আহারে ছফা, আপনার জন্য দুঃখই লাগে। বেঁচে থাকলে এদের কথার প্রতিবাদে আপনি সরব হতেনই।

নানাজান এককথায় ইতিহাসের প্রতিনিধি। উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির আবহে সৃষ্ট এক আইডিয়ার জীবন্ত মূর্তি। কোন আইডিয়ার? বাঙালি মুসলিম জাতীয়তাবাদের। কতগুলি ঐতিহাসিক-মতাদর্শিক ধারণা দিয়ে গড়া তাঁর চরিত্র। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের একটা ক্রাইসিসের একধরনের সমাধান হিসেবে নির্মিত হন। ছবিতে তাঁর বাঙালি মুসলিম জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশী বাঙালি জাতীয়তাবাদের এক ঐতিহাসিক সংকটের আপাত সমাধান হিসেবে আসে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমাজে বাঙালিত্ব আর মুসলমানত্ব পরস্পরের বিপরীত হিসেবে দেখার শক্তিশালী ধারা আছে। একাত্তরের একটা ব্যাখ্যান এটাও বলে যে, মুক্তিযুদ্ধ ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে। সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ও সংখ্যাগরিষ্ঠের আত্মপরিচয়ের এই ফাঁকের মাঝখানে সেতু হিসেবে আবির্ভূত হন নানাজান। বাংলাদেশের বাঙালি জাতীয়তাবাদের মধ্যে আবশ্যিকভাবে বাঙালি মুসলমানের মনও থাকবে, ছফা বলেছিলেন। শেখ মুজিবের বাঙালি জাতীয়তাবাদ এভাবেই নিজেকে ভারতীয় হিন্দু বাঙালিদের থেকে রাজনৈতিকভাবে নিজের বিশেষত্ব চিহ্নিত করেছিল। করতে হয়েছিল।

পাকিসঙ্গমকে বৈধ ও পবিত্র দেখানোর জন্য বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়ের সংকট টেনে এনে (বৃহত্তর ইসলামিক জোশে লোকজনকে কাবু করে) সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আস্তে করে ঢুকিয়ে দেন একালের ওয়াসিফেরা। বাঙালি মুসলমান একটা সময় পর্যন্ত পিছিয়ে ছিল। আস্তে আস্তে সেটা চুকে গেছে। বাঙালিত্ব একটা বিশেষ কোনো ধর্মের দখলে যায়নি। মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান বাংলা-ভাষী সবার মধ্যেই বাঙালিত্ব সমানভাবে থাকবে। ছফা পিছিয়ে পড়া বাঙালি মুসলমানের মানসপট বোঝার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেটাকে সবার কাছ থেকে সরিয়ে একচ্ছত্র মুসলমানদের বানিয়ে দিতে তার সায় ছিল না। বাঙালি মুসলমান নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের জাতীয়তাবাদ তৈরির চেষ্টা করেছে, কিন্তু বাঙালিত্বকে কবজা করার কোনো প্রণোদনা সেখানে ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ দাদাগিরি ফলায়, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। কিন্তু এগুলোর জবাব দেয়ার জন্য সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করার প্রয়োজন পড়ে না।

মেহেরজান নামের পেছনেও সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে। এবাদুর রহমান বেছে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মুসলমানীর গল্প’ থেকে একটা নাম ‘মেহেরজান’। সেটা আবার প্রথম উচ্চারিত হয় পাকিপ্রেমিকের মুখে। মেহেরজান। মেহের মাই ডার্লিং। ফরহাদ মজহার দাড়িবাবুকে একহাত নিতে চেয়েছেন তাঁর ‘এবাদতনামা’ কবিতায়।

তেনার কলমে
বহু পয়গম্বর সাধক ও মনীষীর নাম
হয়েছে স্মরণ কিন্তু ঘুণাক্ষরে নবী মুহম্মদ আকারে ইঙ্গিতে ভাবে দিলে কিম্বা নিবের ডগায়
একবারও আসে নাই, তাঁকে তাই মাফ করি নাই

সাম্প্রদায়িকতা আর প্রতিক্রিয়াশীলতার চক্রান্তে ডুবে থেকে ফরহাদ মজহার আর তার এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী ধর্মভিত্তিক হেজিমোনি প্রচার করছে। তাদের চেলারা বুঝে না বুঝে গুরুবাণী মনে করে মাথা নাড়ছে। এবাদুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পের মেহেরজান নাম রুবাইয়াতের সিনেমায় পাকিপ্রেমে কাতর করিয়ে শোধ নিয়েছেন। টিট ফর ট্যাট।

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ট্যাগিং থেকে বাঁচার জন্য ফাহমিদুল হক মেহেরজানের একটু আধটু ভুলভাল ধরিয়ে দিয়ে কিছু এটাসেটামিক্স করেছেন। সেদিকে আর না যাই। ও হ্যাঁ, শিরোনাম বেশ খাসা। বিনির্মাণের বিপত্তি ও জাতীয়তাবাদী আবেগ। মূর্খ পাঠকদের বলেছেন, এবার একটু সামলে এইসব তথাকথিত জাতীয়তাবাদী আবেগ ফাবেগ সরিয়ে একাত্তরের গোলাপি বিনির্মাণকে কিবলা মানুন।

শেষে একটু রুবাইয়াত সমাচার। এই ভদ্রমহিলা একজন আপাদমস্তক মিথ্যাবাদী। তাঁর বিশেষ যোগ্যতা রেফারেন্স সহকারে মিথ্যা কথা বলাতে। প্রথম আলোতে তিনি লিখেছেন:

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখন ও মুদ্রণ প্রকল্পের অধীনে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে সংগৃহীত ও প্রকাশিত হয় আট খণ্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও দলিলপত্র। এটিই মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র আনুষ্ঠানিক তথ্যকোষ, যাতে এই নারীদের বিবৃতি আছে। মোট ২২৭ জনের মৌখিক জবানবন্দির মধ্যে ২৩ জন নারী। তাঁদের মাত্র ১১ জন যৌন নিপীড়নের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। এসব দলিলে একাত্তরে মেয়েদের ওপর ধর্ষণের নৃশংসতার কিছুটা আভাস পাই, কিন্তু তাঁদের প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না। সেনাশিবিরে সংঘটিত যৌন দাসত্বের পুরো চিত্রটিও এতে অনুপস্থিত। ফলে ১৯৭১ সালের নিপীড়িত নারীদের নির্ভরযোগ্য ইতিহাস লিখতে গিয়ে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের সংখ্যার ব্যাপক তারতম্য।

গণনায় ২২৭ ঠিক আছে(স্বাধীনতা দলিলপত্র কিছু সংখ্যার এদিক সেদিক আছে, সেগুলো ঠিকভাবে গুণলে ২২৭ ই আসে)। তবে ২৩ আর ১১ সংখ্যা সঠিক নয়। ২৯ জন নারী তাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন। পাশবিক অত্যাচারের কথা স্বীকার করেছেন ১২ জন। বাকি সতের জনের মধ্যে একজন তাঁর নিজের মেয়ের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন, অন্য আরেকজন তাঁর দুইজন মেয়ের ধর্ষণের কথা বলেছেন। ২৯ জনের প্রায় সবাই তাদের আশেপাশে ঘটা অজস্র পাশবিক ধর্ষণের ও অমানুষিক নির্যাতন ও হত্যার কথা ফিরে ফিরেই বলেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী পুরুষদের সবাই তাদের চোখে দেখা অজস্র ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের কথা বলেছেন।

ঊনত্রিশ পর্যন্ত ঠিকঠাক গণনা করতে শিখেন নাই যিনি তাকে নিয়ে এতোসব আলোচনা করতেও অস্বস্তি হয়।

---

শেষ রজনী সিনেপ্লেক্সে-১ শিরোনামটা পালটে দিলাম। আংশিক সম্পাদিত।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

এই ফাহমিদুল হক লোকটা দীর্ঘদিন ধরে সামুতে ছদ্মছাগুপনা করে আসছে। পরিসংখ্যান সম্পর্কে হাঁটুতে জ্ঞান নিয়ে এই লোক কোয়ালিটেটিভ আর কোয়ানটিটেটিভ অ্যানালিসিস কপচাতে থাকে। এই ব্যাটা আবার ঢাবির শিক্ষক। অবশ্য আসিফ নিজামরুলের মতো লোক যদি ঢাবিতে পেপেচোর হতে পারে, ফাহমিদুলের মতো পণ্ডিতচর্মাবৃতখ্যাপলেখক কেন অন্তত সহকারী পেপেচোর হতে পারবে না?

কিছু শব্দ এরা রীতিমতো চিচিং ফাকের মতো জাদুকরী মনে করে। বিনির্মাণ, ডিসকোর্স, কাউন্টার-ন্যারেটিভ। সব চোদনামি এইসব বকে বকে হালাল করার খ্যাপে নেমেছে। জনগণ যেহেতু স্বতসিদ্ধেই মূর্খ, যা কলমের আগায় আসে বলতে থাকে।

ফারুক গুয়েবাড়া তার রেটটা জানালে বাংলাদেশের বাকি বাটপাররা উপকৃত হইতো। ধর্ষণশতকী মানিককে কেউ হাতের কাছে পাইলে বইলেন, জাহাঙ্গীরনগরের ফারুক গুয়েবাড়ার রিকনসিলিয়েশনের দোকানে মুড়ি কিনতে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

উনি কোন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক?

ওকে, পেয়েছি। আরেফিন সিদ্দিক সাহেবের ডিপার্টমেন্ট।

চন্দন-1 এর ছবি

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ফারুক-ফাহমিদুল এর অন্তঃসারশুন্য, বায়বীয় লেখা বিশ্লেষণ করে জারিজুরি ফাস করার জন্য। আমি ফারুক ওয়াসিফ এর ব্লগ এ ভদ্রভাষায় মন্তব্য করে যাচ্ছি, বেটা কোন রেসপন্স করে না। শুধু যারা সাধু সাধু বলে প্রশংসা করে তাদের মধু মধু বলে জবাব দেয়।

চন্দন-1 এর ছবি

শেষ কমেন্ট টা ছিলো এরকমঃ

'অতি ঘৃণা ও অতি ভালবাসা দৃষ্টিকে অন্ধ করে দেয়, অতি লোভ ও মানুষকে অন্ধ করে দেয়। আগের লেখাগুলো তে ইনিয়ে বিনিয়ে নানান রকম ভাসা ভাসা কথা বার্তা দিয়ে মেহেরজান কে কালজয়ী প্রমান করার চেষ্টা ছিলো, এইটায় তার সাথে এক চিমটি সমালোচনা যোগ করে ব্যাপারটা ব্যালান্স করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ কোন সাবস্ট্যান্স নেই লেখায়, নানান রকম তত্ত্বকথা/বায়বীয় যুক্তি দিয়ে মেহেরজানের সকল বিষয় কে পসিটিভ করে ব্যাখ্যার চেষ্টা। শুধু আপনার স্ত্রী ছবিটির নির্মানের সাথে যুক্ত ছিলেন অথবা বিশেষ কোন গোষ্ঠীর হয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন, ভাবতে মনটা খারাপ হয়ে যায়। আর যেসমস্ত ব্যাখ্যা আপনি বের করেছেন, ছবির কাহিনীকার/পরিচালক ও আমার বিশ্বাস এসব কিছু চিন্তা করে ছবি বানাননি।'

এই লোক একটা জবাব ও দেয় না।

হিমু এর ছবি

ফারুক গুয়েবাড়ার অ্যানালাইসিস পড়লে মনে হবে, ছাগল লাদি ছাড়ার আগে মাটির নাইট্রোজেন কনটেন্ট, বাতাসের আর্দ্রতা, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব, গত এক সপ্তাহে কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলো, এইসব হিসাব করে তারপর হড়াশ করে লাদে। লাদি ছাড়াই যে ছাগলের বেসিক ইনস্টিংট, এটা গুয়েবাড়াদাকে বোঝানো যাচ্ছে না। উনি লাদি দিয়ে অক্ষর সাজিয়ে মহাভারত বা মহাপাকিস্তান লেখার কাজে নেমেছেন যুগপৎ বুদ্ধিজিগোলোপনার মজুরি আর ঘরে মেহেরজানের অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টরের রক্তচক্ষুর চাপে।

গুয়েবাড়াদা, ধর্ষণশতকী মানিকের জন্য এমন চার সিরিজের একটা লেখা কবে লিখবেন, আমাদের জানায়েন প্লিজ।

পল্লব এর ছবি

ব্যাটা আমারেও কোন জবাব দেয়নাই, একবার রিকন্সিলিয়েশন নিয়ে জিগাইলাম, বলে "পরেই তো বললাম, পাকিস্তানকে দিয়ে সম্ভব না", সেটার পাশেই আবার পোস্টে লিখা, তাই "ইতিহাসের ভুল ও বিকৃতি সংশোধন" করতে হবে। সেটা নিয়ে জিগেস করলাম, ওর পর থেকে "সবাই খালি আমাকে খ্যাপায়" টাইপ কথা ছাড়া আর উত্তর নাই।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

হিমু এর ছবি

আরেকটা কথা শিখেছে গুয়েবাড়াদা, "চরিত্রহনন"। আরে ভাই তোমার চরিত্র বলে কিছু আছে? তুমি মায়ের ধর্ষণকারীর সাথে রিকনসিলিয়েশনের মুদি ব্যবসায় নামসো, তোমার আবার চরিত্র কী? তুমি তো জাহাঙ্গীরনগরে তোমার ধর্ষিতা বোনদের সাথে রেপিস্ট মানিকের দোস্তির রাস্তায় মাটি কোপাচ্ছো। তোমার বউ এক বালছাল সিনেমার কামলা খেটেছে দেখে তুমি চার পর্বের সিরিজ চোদাচ্ছো ধর্ষণকারীর সাথে রিকনসিলিয়েশনের কথা বলে। তোমার মতো মতিমার্কা বামচিকিবামচিকিচিবামবামদের আবার কীসের চরিত্র?

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

এইটাতে বাতিল্দার কপিরাইট ভাঙা হইসে


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

দ্রোহী এর ছবি

বাংলার ফুকোদের "ফুকো" দেখা যায়।

kichuna এর ছবি

ভদ্রলোকের (ফাহমিদুল মিঞা) ভাষা তো পুরা পাঞ্জেরী গাইড বই এর লাহান ....শালা বাটপাড়

নাদির জুনাইদ এর ছবি

সবসময়ের মতোই দারুণ লেখা, শুভাশীষ দা। অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

জাতীয়তাবাদী-আবেগ আক্রান্ত মেহেরজান-এর বিরোধিতাকারীরা মুক্তিযুদ্ধ বনাম পাকিস্তানী ডাইকোটমির বাইরে আর কিছু বোঝে না নানাবিধ শব্দ ব্যবহার করে তার কলামে সেই ইঙ্গিত করলেন ফাহমিদুল হক। এই ছবির টেক্সট কেউ তলিয়ে দেখছে না এই কথা বলে নিজে মেহেরজান-এর ত্রুটিতে ভরা, মিথ্যা বর্ণনাগুলির ব্যাপারে চুপ থাকলেন। মুক্তিযুদ্ধ তার কাছে শুধুই তো গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ, তা আর ইতিহাস নয়। পত্রপত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের কথা বার বার বলে ও মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী নির্মমতার বিচার দাবী করার প্রয়াসে ছবি নির্মাণের কথা বলে এই ইতিহাসভিত্তিক ও বাস্তবধর্মী চলচ্চিত্রে পরিচালকের মুক্তিযুদ্ধের সময় ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ভিত্তিহীন, গাঁজাখুরি ও নেতিবাচক বর্ণনা প্রদানের চেষ্টা হচ্ছে কাউন্টার ন্যারেটিভ নির্মাণ, তাই হচ্ছে ডিকনস্ট্রাকশন! এইভাবে এই শব্দগুলির ব্যবহার দেখা খুব পীড়াদায়ক।

ফাহমিদের কথা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন প্রজন্মের আবেগ ভিন্ন, তারা নানা দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখতে চাইবে মুক্তিযুদ্ধকে। আর তাই এক নতুন প্রজন্মের পরিচালক মুখে মুক্তিযুদ্ধের গ্র্যান্ড ন্যারেটিভকে শ্রদ্ধা করার কথা বলে নিজ ছবিতে উন্নত চরিত্রের পাকিস্তানী সেনার বিপরীতে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখাবে দায়িত্বহীন, ভীরু, বিয়েপাগল হিসেবে, আর নতুন প্রজন্ম সন্তষ্ট চিত্তে পরিচালকের দেখানো সেই নতুন দৃষ্টিকোণ মেনে নেবে আর তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাহ্বা জানাবে! বিভিন্ন সময় নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার অপচেষ্টাটির বিরুদ্ধেও তো তাহলে আমাদের কিছু বলার দরকার নেই আর, ফাহমিদ বর্ণিত নতুন প্রজন্ম যখন নিজ অতীত নিয়ে এতোই আবেগহীন, আর যেকোন বর্ণনা বা বক্তব্য নিয়েই ডিসকার্সিভ আলোচনা চালাতে এতো আগ্রহী! নতুন প্রজন্ম সম্পর্কে ফাহমিদের যথেষ্ট ধারণা নেই আমি শুধু এই কথাই বলবো।

আর চলচ্চিত্র গবেষক ফাহমিদুল হক আমাদের কিছু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে মৌলভি এবং বিহারী চরিত্রকে প্রশংসনীয়ভাবে দেখানোর কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সহ বিশ্বের যে কোন স্থানে নির্মিত এমন কিছু চলচ্চিত্রের নাম আমাদের জানান তো যেখানে সেই সব দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে নির্মিত ছবিতে সেই সব দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নেতিবাচকভাবে দেখানো হয়েছে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সবার আগে বিরক্ত হলাম এই ব্যাটার ইংরেজি ফলানোয়! এই লোক কি বাংলা জানেনা?!
ইংরেজিতে লিখে বিদ্যা জাহির করার শখ হলে সবটা লেখা ইংরেজিতেই লেখ! দেখি তোর দৌড় কতদূর!!! বাংলাদেশের কিছু গণ্ডমূর্খ দুয়েকটা ইংরেজি শব্দ বলতে পারাকে এখনো তাদের উঁচু সামাজিক শ্রেণী প্রকাশের অস্ত্র মনে করে!

লেখার জন্য সালাম নেন শুভাশীষ'দা।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

পুতুল এর ছবি

গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে অনেকেই আত্মহত্যার মাধ্যমে নিজেদের রক্ষা করেছেন পাকিস্তানী আর রাজাকারদের ধর্ষণ থেকে। পাকি এবং রাজাকাররা এর পর মেয়েদের উলঙ্গ রাখতে শুরু করে। তাতে দেখা যায় মাথার চুল গলায় পেঁচিয়ে অনেকে আত্মহত্যা করে। এর পর মেয়েদের চুল কেটে রাখতো পাকি আর রাজাকাররা।

এই সব ঘটনা জানার পর স্বাভাবিক বিবেক-বুদ্ধির মানুষ ঘটনাটা দেখতে হয় না। কিন্তু কিছু মানুষের রোমান্টিক খাউজানী তাতে কমে না। পাকিরা মেয়েদের মাথার কেশ কেটে তাদের জীবন রক্ষা করেছে, এই মানবিক দৃষ্টিতে তাদের হিরো বানায়। এই পথে রুবাইয়াত হোসেন আগে আছেন। কিন্তু একা নন।

রুবাইয়াত হোসেন দৈনিক চল্লিশ বার পাকিদের দ্বারা ধর্ষিতা হলে চিত্রনাট্য অন্যরকম হতেও পারত। কিন্তু যে রোমান্টিকতায় পাকি প্রেম প্রদর্শিত হচ্ছে তাতে তিনি পাকি ধর্ষণে হয়তো পুলকিত-ই হতেন।
কিন্তু সব বীরাঙ্গনা রুবাইয়াত হোসেনের মতো নন। তাঁদের প্রতিনিধি সেজে এই পাকিপ্রেম প্রদর্শন তাঁদের (বীরাঙ্গনাদের) অপমান। হয়তো অপমান করার জন্যই ছবিটি তৈরী।

ছবিটির পক্ষে যে সকল মহান বুদ্ধিজীবিরা কলম ধরেছেরন, তাদের মুখে মুতে দিতে ইচ্ছে করে। কারণ তাঁরা ইচ্ছে করে, তাদের পরিচিতি এবং জ্ঞান খাঁটিয়ে তিরিশ লাখ শহীদ আর চার লাখ মা-বোনের কষ্টের কথা ভুলে পাকি প্রেমের জন্য রচনা করে চলেছেন কলামের পরে কলাম।

অবশ্য এর যে কোন প্রাপ্তি নেই তা নয়। পাকি প্রেমী আর রাজাকার চেনা গেল।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একটু হালুয়া রুটির লোভ সামলাতে পারছেনা বোধ হয়। পরিচালক নাকি কোন এক মন্ত্রীর সন্তান।

ইয়র্কার এর ছবি

ফাহমিদুল হক আগেও জামাতপন্থী উত্তরাধুনিকদের পক্ষে কলম ধরেছেন। পিএইচডি মিরাজের সামুব্লগিং জীবন খতমের জন্য এই অধম দায়ী। ফাহমিদুল হক তাকে শেষ রক্ষা করতে পারেন নি। আশা করা যায় মেহেরজানকেও তিনি সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবেন না।

সচল জাহিদ এর ছবি

ফাহমিদুল হকের লেখাটা কালকে পড়েই মেজাজ চরমে চলে গিয়েছিল। বঙ্গানুবাদের (!!) জন্য ধন্যবাদ।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

হিমু এর ছবি

হাওয়ার উপর তাওয়া ভাজা এই জ্ঞানপাপীদের কথাবার্তার ছিরিটা দেখেন।

আর মুক্তিযুদ্ধের গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের ডিকনস্ট্রাকশন করতে গিয়ে রূপকথা-পরিস্থিতি পরিচালকের জন্য বিশেষ সুবিধা এনে দেয়। সেই সুবিধা বা স্বাধীনতা পরিচালক নিতেই পারেন। নয়তো মুক্তিযুদ্ধ কেবল ইতিহাসের দিন-সংখ্যা নিয়ে পাঠ্যবইতে আটকে থাকবে, নানারূপে মানুষের মনে ঠাঁই নেবে না।

আঁশটে কথাটাকে ভাঙলে আমরা যা পাই, সেটা হচ্ছে, পরিচালকের সুবিধানুযায়ী আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে মনে ঠাঁই দিতে হবে। সেইটা রূপকথা হলেও।

মুক্তিযুদ্ধ কি এতই দূরবর্তী ঘটনা যে একে রূপকথার মোড়কে মানুষের মনে ঢোকাতে হবে? ইতিহাসের বর্ণানুক্রমিক দৃশ্যায়ন তো কেউ সিনেমায় চায় না, কিন্তু ইতিহাসের ট্র্যাক থেকে সরে গিয়ে একটা পরিকল্পিত মিথ্যাকে ইতিহাস ছাপ্পা মেরে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করাকে কাউন্টার-ন্যারেটিভ নাম দিয়ে হালাল করা যায়? তাহলে কি ফাকমিদুলরে ছাগলের বাচ্চা বলাও এক ধরনের কাউন্টার ন্যারেটিভ না?

আর আরেকটা উপরচালাকির নমুনা দেখেন, এদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে "পাঠ্যবইয়ের সাল-তারিখ"। মানুষের জীবনের ওপর এর অভিঘাতটাকেই এরা ঢেকে দিতে চায় সালতারিখের কথা বলে। সবাই ফাকমিদুলের মতো মুক্তিযুদ্ধকে পাঠ্যবইয়ের সালতারিখ ভেবে মুখস্থ করে নাকি?

মেহেরজানকে নিয়ে আপত্তির জায়গাটাকে এরা ক্রমাগত "জাতীয়তাবাদ"-এর কার্পেটের নিচে ঢুকাতে চাচ্ছে। নিজেদের ইতিহাসের মিথ্যা দৃশ্যায়নের প্রতিবাদ করা জাতীয়তাবাদ হোক আর বাহাদুরাবাদ হোক, সবসময়ই কর্তব্য।

বালক এর ছবি

আজ প্রথম আলো তে এই মানুষটার লেখা পড়ে মনে হলো ছাই দিয়ে গু ঢাকার চেষ্টা করছেন তবে গুয়ের গন্ধ ঠিকই বের হচ্ছে। হাস্যকর একটা লেখা এইটা

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

শুভাশীষ, গায়ত্রী স্পিভাক ডিকন্সট্রাকশনের অনুবাদ করেছেন অবিনির্মান, বিনির্মান নয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনার কথা মনে হয় ঠিকাছে।

তবে নাশ>বিনাশ>অবিনাশ/অবিনাশি-এর মতো নির্মাণ>বিনির্মাণ>অবিনির্মাণ করলে ঠিকঠাক মানে আসে না।

স্পিভাক কি পরে বিনির্মাণ শব্দটা মেনে নিয়েছিলেন, নাকি অবিনির্মাণে স্থির ছিলেন সেটা জানি না। আপনি জানলে জানাতে পারেন।

জুলিয়েন সোরেল  এর ছবি

আপনারা জানেন কি না জানি না, এই নামকরণ নিয়ে বেশ একটা তর্ক হয়েছিল. শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যা নামকরণ করেন "বিনির্মান" , এখানে "বি" তে নির্মান ও তার ধংস দুই-ই নিহিত আছে, এই যুক্তি তে. শিবাজি নিজে এই অনুবাদ ব্যবহার করলেও এর যুক্তি নিয়ে কখনো লেখেন নি. গায়াত্রী-র যুক্তি কিন্তু খুব অনুপুন্খা আছে তার (সম্ভবত) একমাত্র বাংলা লেখা "অবিনির্মাণ অনুবাদ"-এ. এই লেখাটি এবং শিবাজীর "deconstruction " বিষয়-এ একটি বড় লেখা আছে খুব জরুরি "বাংলায় বিনির্মান অবিনির্মান" এই সংকলন-এ, সম্পাদক অনির্বান দাস যিনি কলকাতায় দের্রিদিয়ান ভাবনাচিন্তার গুরুত্বপূর্ণ তাত্বিক. চলুক

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

জনগন, অপেক্ষা করেন ... আরো এমুন ভাড়ায় লেখা আসিতেছে বলে ... ... চোখ টিপি

সুন্দর উপস্থাপনা আর বালি দিয়ে এইসব জ্ঞানপাপী শিঙ্গিমাছ গুলাকে ধরে ফেলার জন্য শুভা'দা কে অনেক কুর্ণিশ ...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সাফি এর ছবি

"রুবাইয়াত হোসেনের মতো রেফারেন্স-সহকারে-মিথ্যাবাদীই করতে পারেন।" --- এই লাইনটাকে লিঙ্কায়ে দিয়েন।

বাবুবাংলা এর ছবি

ফাহমিদুল হকের লেখাটা পড়লাম। কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করে লেখাকে “আশরাফ” শ্রেনীভুক্ত করে গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানো তো মান্ধাতার আমলের টেকনিক!

একবার মফস্বলের এক কাজী অফিসে গিয়েছিলাম এক বিয়ের দলিলনামা অফিসিয়ালী ইংরেজী অনুবাদ করাতে।
কাজী সাহেব ১৮০০০ টাকা চেয়ে বসলেন। আমার অবাক দৃস্টি দেখে কাজী সাহেব বললেন, “এগুলো খুব দাঁতভাঙ্গা ইংরেজী, তাই টাকাটাও লাগে বেশী”। আমি সেদিন আর কথা না বাড়িয়ে হাসি চেপে বেরিয়ে এসেছিলাম।

তবে ফাহমিদুল হক সাহেব চাইলে আমি অনায়াসে ১৮০০০ টাকা দিয়ে দিতে রাজী।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

আর একাত্তরকে ভিন্ন ন্যারাটিভে আনার অনেক কিছু আছে। সেই সময়ে বামপন্থীদের আচরণ, ভারতের আশ্রয় শিবির, ভাসানীর ভূমিকা, ভারতের মাটিতে তাজউদ্দিন সরকার থেকে শুরু করে ভারতের জয় বাংলা চটি। কিন্তু পাকিপ্রেমকে মানবতার মোড়কে চালিয়ে ‘বদলে যাও, ভুলে যাও’ শ্লোগানের কোনো মানে নেই।

হ । চিনাবাদাম,মোশতাক, শেখ মনি ইত্যাদি থাকতে ফাকিং ফ্যান্টাসি করে কাউন্টার ন্যারাটিভ দরকার কি ?

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

হিমু এর ছবি

ফাকমিদুলের "ডিকনস্ট্রাকশন"বিদ্যা বিআইডব্লিউটিএর নদী দখলকারী অবৈধদালান উচ্ছেদশ্রমিকের ডিকনস্ট্রাকশন বিদ্যার চেয়েও দুর্বল। আরো পাঁচজনকে দেখসে, "ডিকনস্ট্রাকশন" শব্দ বলে লোকজনকে ঘাবড়ে দিতে, দেখাদেখি সে-ও শুরু করেছে আওড়ানো। এই ব্যাটা ধান্ধাবাজ ডিকনস্ট্রাকশনের আদৌ কিছু বোঝে? পারলে ডিকনস্ট্রাকশন নিয়ে একটা পোস্ট লিখে দেখাক দেখি, কী বোঝে? ফেসবুকে দেখলাম, তার কাছে ডিকনস্ট্রাকশনের অর্থ এমন:

"একজন মৌলবি অন্যের ধর্মচর্চায় সাহায্য করলে ডিকনস্ট্রাকশন হয়। কারণ আগের ছবিতে (যেমন 'নদীর নাম মধুমতি', ১৯৯৫) মৌলবি/রাজাকার মুক্তিযুদ্ধকালে অন্য ধর্মের মানুষকে খুন করে ও তার বোনকে দখলে নেয়।"

[সূত্র]

এ তো দেখি হযবরল-র কাক্কেশ্বর কুচকুচে, ফিতায় শুধু মৌলবি লেখা। মৌলবি দিয়ে সে দুনিয়া মাপে, ডিকনস্ট্রাকশন মাপে, নিজের টাকমাথার পরিধি মাপে। এই লোক কী যোগ্যতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছে? এই লোক তার মূর্খতা ছড়িয়ে দেবে পরবর্তী ছাত্রদের মধ্যে। দেখা যাবে এরেই দেয়া হয়েছে ডিকনস্ট্রাকশনের উপরের ক্লাস। ছাত্ররা তখন শিখবে, মৌলবি অন্যের ধর্মচর্চায় সাহায্য করলে "ডিকনস্ট্রাকশন হয়"!

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক নিয়োগগুলোর দীর্ঘমেয়াদী বিষক্রিয়া বুঝতে চাইলে স্টাডি স্পেসিমেন হিসাবে এই মুরুক্ষুকে নেয়া হোক। না জানে স্ট্যাটিসটিক্স, না বোঝে ডিকনস্ট্রাকশন। প্যাথেটিক!

ওডিন এর ছবি

গুরু সুকুমার রায় একশো বছর আগে একখানা নাটক লিখে গেছিলেন চলচিত্তচঞ্চরি নামে চোখ টিপি

রানা মেহের এর ছবি

আসিফ নজরুল কোথাও কিছু বলছেন না?
এই ভদ্রলোক চুপ করে আছেন কেন?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

অতিথি লেখক এর ছবি

বস

dark lord

কে পেলে ফারু পটার কি প্যান্ট খুলে দিয়ে বলবেন, "নিন আমাকে মেরে ফ্যামিলি কম্পলিট করুন।

মাহফুজ খান

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো
------------------------
Sad Stories

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এই লেখাটার শিরোনাম পালটে দিলাম। মেহেরজানের মতো গার্বেজ নিয়ে প্রথমদিকে আনহিয়ারড্‌ ভয়েস ব্লগ, ফাহমিদুল, ফারুক ওয়াসিফেরা বেশ কাউন্টার ন্যারেটিভ আর রিকন্সিলিয়েশান চর্চা করেছে। এর পরে আরো কয়েকজন মেহেরজানের পক্ষে লিখতে থাকেন। আরো কিছুদিন পরে বিডিনিউজ২৪ মেহেরজানের পক্ষে নানারকম লেখা নামাতে থাকে। গৌতম দাস নামের একজন নতুন হরিদাস্পালের আবির্ভাব হয়। সে মেহেরজানের পক্ষে কলম নিয়ে নামে। ফাহাম আব্দুস সালাম বলে একজন লেখক গণ্ডমূর্খের মতো মেহেরজানের পক্ষে জান লড়িয়ে দেয়।

রুবাইয়াত ধারণা দিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক বোদ্ধারা তার ছবির পক্ষে মত দিবে। সেটার নমুনা দেখা গেছে। নয়নিকা মুখার্জি ভারতের Economic and Political Weekly তে (মার্চ ১৯, ২০১১) ছবিটির সমালোচনার পাশাপাশি প্রশংসা করতে ভুলেন নি।

In light of the brilliant (yes, flawed too) attempt made by this young female director, the film should be re-released in cinema halls in Bangladesh.

তাঁর লেখাটার টোন ফ্রেন্ডস অব মেহেরজান ঘরানার। এদেরকে ছাড় দিয়ে লাভ নেই। অন্তত আমি দিব না। তাই এদের লেখার ফাঁকা দিকগুলো নিয়ে আমার নিজের চিন্তা লিখতে আগ্রহী।

অট: আমাদের বিপ্লবী ফারুক ওয়াসিফ মেহেরজান নিয়ে এঁড়ে তত্ত্ব দিতে গিয়ে নানাজনের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। মান বাঁচাতে তিনি শর্মিলা বোসকে মন্দ বলে পোস্ট দিতে শুরু করেছেন। তবে আমার মনে পড়ছে হোজ্জার গল্প। হোজ্জাকে একজন চিঠি লিখে দিতে বললে সে বলে- পায়ে ব্যথা, লিখতে পার্বো না। লোকটা রেগে কয়- চিঠি লিখবে হাতে, পায়ে ব্যথা তাতে কি? হোজ্জা উত্তর দেয়- আমার যা হাতের লেখা, সেখানে গিয়ে তো পড়ে দিয়ে আসতে হবে, নাকি? ওয়াসিফ সাহেবের পাদটীকা দেখে এই গল্প মনে পর্লো। দেঁতো হাসি

প্রবাল আহমেদ এর ছবি

মেহেরজান দেখার আগেই প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে গেল। সুতরাং না দেখে অযাচিত মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

ফাহমিদুল হক বা ফারুক ওয়াসিফের দৃষ্টিভঙ্গী হয়ত ভুল এবং আপনাদের অবশ্যই অধিকার আছে তাদের মতের বিরোধীতা করার। কিন্তু যে ভাষায় আপনারা তাদের গালিগালাজ করছেন সেটা শুনতে খুব খারাপ লাগছে। বিরোধীতা করতেই পারেন কিন্তু সাধারন ভদ্রতাটুকু বজায় রাখা উচিত।

ছবিটার প্রদর্শনী যে কে বন্ধ করলো তাও ঠিক মত বুঝলাম না।

হাসিব এর ছবি

পুরান কিন্তু প্রাসঙ্গিক আলাপ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।