ডিটেকটিভনামা

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০১/২০১২ - ৫:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গোয়েন্দা গল্প দিয়ে বইপড়া শুরু হওয়া অন্তত আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন পর্যন্ত একটা নিয়মিত ঘটনা ছিল। গত দেড়দুই দশকে মিডিয়াবাজারের বিবর্তন অনেক কিছুকে পাল্টে দিয়েছে। তাই হয়তো এখন আর গোয়েন্দা গল্পকে মোটাদাগে নিয়মিত ঘটনা বলা নাও যেতে পারে। তবে বাজারে, মানে বইয়ের বাজারে তারা আছেন এখনো বহাল তবিয়তে। সিনেমার বাজারেও। গোয়েন্দা সিনেমা বাংলাদেশে সেভাবে হয় না। সেই সত্তর দশকের শুরুতে মাসুদ রানা, দস্যু বনহুর, কুয়াশা হয়েছিল। তারপর ফুলস্টপ। পশ্চিমবঙ্গে ফেলুদা হচ্ছে নিয়মিত বিরতিতে। কিছু কাকাবাবু হয়েছে। মাঝেমাঝে দুএকটা ব্যোমকেশও হচ্ছে। অর্থাৎ বাজারে গোয়েন্দা গল্পের চাহিদা আছে। পরিসংখ্যানে গ্রাহ্য হবার মতো সংখ্যায় কিছু ক্রেতা গোয়েন্দা গল্প পড়েন এবং গোয়েন্দা গল্প থেকে বানানো সিনেমা দেখেন।

সমস্যা হলো এই চাহিদাগুলি পুরণ করছে গত সত্তরআশি বছরের কালোত্তীর্ণ লেখাগুলি। নতুন গল্প আর আসছে না। তাই ফেলুদার হাতে মোবাইল উঠছে, তাকে সাঁইবাবার ক্যাফেতে যেতে হচ্ছে, জটায়ূ অ্যাম্বাস্যাডারের বদলে টয়োটা/মারুতিতে চড়ছেন, বিশেষভাবে বাজে অভিনয় করা লাল্টু মার্কা পোলাপান তোপসে হচ্ছে। সত্তর দশকের ফেলুদাতোপসেজটায়ূদের এসব করতে হচ্ছে আমার মতে বাঙ্গালী গোয়েন্দার নতুন কোন ব্র্যাণ্ড তৈরী না হওয়ায়। অন্যদিকে অপরাধ জগত থেমে থাকছে না। আজকের বাস্তব ভিলেনদের কাছে মগনলাল মেঘরাজরা রীতিমতো ভ্রান্ত ধারণা। প্রতিদিনকার ক্রাইম রিপোর্টগুলিতে গোয়েন্দা গল্পের প্লট কিলবিল করছে। কিন্তু নতুন করে আর কেউ লিখছে না।

এইসব বলার সমস্যা হচ্ছে তখন লোকে ফট্ করে বলে বসে, তা তুমিই কেন লিখছো না বাওয়া? ‌এর কিছু জবাব হতে পারে এইমানে আমার লেখার হাতটা ঠিক ইয়ে না কিম্বা টাইম নাই কিম্বা এখন এগুলা কেউ খাইবো না কিম্বা আমাকেই কেন লিখতে হবে ইত্যাদি। এই অবস্থায় যদি কেউ সাতপাঁচ ভেবে রাজিও হয়ে যায় তখন অন্য কতগুলি প্রশ্ন সামনে আসে, যে ঠিকাছে আমি লিখবো কিন্তু বাংলাদেশে কি প্রাইভেট ডিটেকটিভ বস্তুটার কোন বাস্তব উদাহরণ আছে? একটা লোক ফট্ করে প্রাইভেট ডিটেকটিভ বলে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে ফেলতে পারলেও প্র্যাক্টিসের লাইসেন্স পায় কী না সেই বিষয়ক আইনকানুন অস্পষ্ট। রাষ্ট্রের বেতনভুক গোয়েন্দারা যেসব রহস্যের সমাধান করছেন তার খুব বেশী ডিটেলস জনগণ জানতে পারছেন না। সেখানে আমলাতন্ত্র আর চলমান রাজনীতির দৌরাত্ম্য ছাপিয়ে নতুন করে কোন ফেলুদাটেলুদা হালে পানি পাবে না বা পাওয়ানো মুশ্কিল। এই সমস্যাগুলি ফেলুদা-ব্যোমকেশদের আমলে ছিল না এমন না। কিন্তু শরদিন্দু বা সত্যজিত রায়রা সৃষ্টিশীল লেখনীতে সেগুলি ম্যানেজ করেছেন। এখন পরিস্থিতি এমন যে, যেই উড়ে মালি এইসব মুস্কিল আসান করতে যাবেন ঠিকঠাক মতো, তার প্রাণসঙ্কটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এইসব আবোলতাবোল ভাবছিলাম মনিটরের সামনে বসে বসে। আটমাস ধরে সচলে নো এন্ট্রি। ক্রিসমাসের ছুটি ফুরাতে চলল। কোন কাজে সেভাবে মন বসছে না। সপ্তাহ দেড়েক টানা দেখলাম সব কয়টা ফেলুদা আর ব্যোমকেশ। মাথায় একেকটা গল্পাংশের সম্ভাবনা ফাল দিয়ে উঠেই ফ্লোরে আছড়ে পড়ে অক্কা পাচ্ছে। রহস্য টহস্য সব ঠিকাছে। কিন্তু যেই বেকুব আজকের ফেলুদা হবে তাকেই খুঁজে পাচ্ছি না। যেই বেকুব ডিবি অফিসের পানির ট্যাঙ্কে ডিবির সোর্সের লাশের রহস্যের কিনারা করবে, হালের গুপ্তহত্যাকারীদের মুখোশ খুলবে, গতকাল ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের সেই শিশু হত‌্যাকারীকে খুঁজে বার করবে।


মন্তব্য

শিশিরকণা এর ছবি

হিরু কে প্রাইভেট ডিটেক্টিভ হতে হবে কেনু? পুলিশ/ র‍্যাবের ইউনিফর্ম গায়ে চাপিয়ে দিন।
সত্যি, হাল আমলের গোয়েন্দাকাহিনীর বড় অভাব বোধ করি।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কেনো, আমাদের দেশে 'সার্চ- ‌দ্য খোঁজ' তো এই সেদিনই হলো। জলিল ভাই জিন্দাবাদ।
[ভদ্দাহ্, ক্ষুদা পেয়েছে, খেয়ে আশি।]

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

১. 'চিড়িয়াখানা' দেখছেন? সত্যজিতের ব্যোমকেশ। অবশ্য ডিরেকশন নাকি আরেকজনের দেয়ার কথা ছিল।

২. রাষ্ট্র টাকা দিয়া কয়েক হাজার ডিটেক্টিভ পুষে। তার কৈ? আমিও জানি, আপনেও জানেন। তারপরও প্রশ্ন, তারা কৈ। তোরা কৈ?

৩. আপনারে সচল করার জন্য মডুদের প্রতি তেব্র আহ্বান জানাইলাম হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

তারাপ কোয়াস এর ছবি

একটু অন্যধরনের ডিটেকটিভ হিরুর কথাও ভাবা যেতে পারে যেমন কোনো সিরিয়াস সেমিনারে বিবর্তন এর উপর বক্তৃতায় মাঝে হঠাৎই শার্লক হোমসের নাম ভূমিকায় জোকার নায়েক এসে 'মায় ফ্রেণ্ড.." দিয়ে শুরু করে পাইটুপাই "ডারউইন থিউরি" ভুল প্রমাণ করে দিবে, পরবর্তী পর্বের টাইটেল এর ঘরে প্রকাশক বিজ্ঞাপন দিবেন ডাঃ জোকার নায়েক আর নাসা নামা! টানটান উত্তেজনার ভয়াবহ সহী বুক চোখ টিপি


love the life you live. live the life you love.

নিলয় নন্দী এর ছবি

এক কাজ করলে পারেন- হেমেন্দ্রকুমারের জয়ন্ত পড়েছেন তো? পুলিশ ইন্সপেক্টর সুন্দরবাবু কোন সমস্যায় পড়লেই জয়ন্তর কাছে আসত। ওই ভাবেই র‍্যাবের কর্মকর্তা সুন্দরবাবু আপনার প্রাইভেট গোয়েন্দা জয়ন্তর কাছে আসবে।
সাপও মরল লাঠিও অক্ষত রইল। হাততালি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গবেষক টাইপ লাইনে ভাবা যায় না? পারসোনাল ইন্টারেস্টে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই মনে করেন ক্রাইম ফরেন্সিক বা এই বিষয় নিয়ে আগ্রহ থাকে। সে গোপনে এটা করে, এটা তার প্যাশান মনে করেন। তারপর ফরেন্সিক ডাটা কালেকশান বা এই টাইপ কিছু থেকে কেসের সাথে জড়ায়ে যায়। আরও ঝামেলা লাগে, কারণ তার আইনগত ভিত্তি দূর্বল, পুলিসের সাথেও গ্যাঞ্জাম বাঁধে। কিন্তু তার যেহেতু প্যাশান, কিছুই তারে আটকাইতে পারে না। এই টাইপ কিছু আমি ভাবছিলাম এক্সময় ফেরা লেখার টাইমে। পরে অনেক গ্যাঞ্জাম পাইকা গেছে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বিবিসির শার্লকের নয়া সংস্করণটা পারলে দেইখেন, এদ্দম কোপানি...

হ, নতুন কোন গোয়েন্দা নাই- কেউ চেষ্টাও করে না।

তুচ্ছ এর ছবি

লেখাটা বেশ ভালো লাগলো হাসি
কুয়াশা আমার খুব ভালো লাগতো...তবে কুয়াশা আমি পড়া শুরু করি ক্লাস এইট এ থাকতে ১৯৯৮ সালের দিকের কথা..কুয়াশার অধিকাংশ কাহিনীর পটভূমি দেশের বিভিন্ন অংশ ছিল বলেই হয়ত কুয়াশা এত ভালো লাগতো...ফেলুদা পড়েছি আবার টিভিতেও দেখেছি,কাকাবাবু টিভিতে এসেছে জানতাম না...

সাজ্জাদ সাজিদ এর ছবি

সত্যি তাই, পরিবেশটা অনুকূল না।

নিটোল এর ছবি

আমারো গোয়েন্দা কাহিনী লিখিতে মন চায় নিজেরে নায়ক রাখিয়া! দেঁতো হাসি

_________________
[খোমাখাতা]

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রাইভেট ডিটেকটিভ ব্যাপারটা বাংলাদেশে গল্প-উপন্যাস-নাটক-সিনেমাতেই মানায়, বাস্তবে নয়। বাস্তবের ডিটেকটিভরা সবাই সরকারী লোক। তাই এখানে ক্রাইমটাকে বাস্তবোচিত ভাবে দেখানো গেলেও গোয়েন্দাকে ফ্যান্টাসি জগতের মানুষই বানাতে হবে। হয়তো সুপারম্যান নয়, তবে তারচেয়ে খুব কমও নয়। পুলিশের কর্মকর্তাকেও নায়ক বানানো যেতে পারে - তবে পাবলিক খাবে বলে ভরসা হয় না।

তবে আমি চাই আমাদের দেশ থেকে অন্তত একজন সুপার হিরোর উদ্ভব হোক যে হনুমান, স্যুন উখোঙ, হারকিউলিস, রুস্তমদের মতো দুনিয়া জোড়া পরিচিতি পাবে হাজার হাজার বছর ধরে। যার নাম আর কর্মকাণ্ড দুনিয়ার সব ভাষার বাগধারা-phrase -এ ঢুকে যাবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পুলিশকে নায়ক বানালে কেন যেন, ক্লিশে হয়ে যাওয়া বাংলা আর হিন্দী সিনেমার ফ্লেভার চলে আসে। হলিউডি মুভিতে আমরা পুলিশের নায়কত্ব দেখতে রাজি আছি, কিন্তু বাংলাদেশে এটা বোধহয় এখনও সম্ভব না। এমনকি বাংলাদেশে পুলিশ/র‍্যাব নিয়ে কিছু নাটক করার চেষ্টা দেখেছিলাম। কোন্টাই ঠিক জমেনি।

তবে একুশে টিভিতে একসময় লোহার চুড়ি নামে একটা ধারাবাহিক হয়েছিল। ওটা কিন্তু বেশ লেগেছিল আমার।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নিলয় নন্দী এর ছবি

লোহার চুড়ি বানিয়েছিলেন মোহাম্মদ হোসেন জেমি। উনি নাকি হলিউড থেকে কাজ শিখে এসেছেন। অ্যাঁ তখন আর দশটা বিটিভির নাটকের তুলনায় একুশের ওটা বেশ লেগেছিল। যদিও এখন ফারুকী আর অমিতাভ রেজার পাশে ওনার কাজ নস্যি বলে মনে হয়।
জেমি এখন পুরা দমে ঢাকাই ফিল্ম বানানো শুরু করেছেন। রেগে টং

তাপস শর্মা এর ছবি

তা আর বলতে। সত্যজিতের ইয়ে টা ফেলুদার ইয়ে ইয়ে করে দিচ্ছে... অঞ্জনকে তবুও খানিকটা তথাস্তু বলা চলে।

হাবাছেলে এর ছবি

ছোটবেলায় তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা আর কুয়াশার একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলাম। সারাদিন কাটতো এইসব গোয়েন্দা কাহিনী পড়ে আর বাবা মার বকুনি পিটুনি খেয়ে। "এইসব বই পড়া মানেই ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার" এইরকম একটা আশংকায় সেইসময়কার প্রায় সব অভিভাবকরাই অল্পবিস্তর ভুগতেন, তাই বইগুলো নিরাপদে পড়া এবং সংরক্ষণের জন্য নানান রকম কৌশলের আশ্রয় নেয়া লাগতো।

আমার গোয়েন্দাকাহিনী পড়ার অন্যতম নিরাপদ স্থান ছিল আমার বাথরুমের প্যান। প্যান এ বসে থেকেও যে বই পড়া যায়, শুনে হয়ত অনেকেই অবাক হচ্ছেন কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে ওই প্যানটাকেই আমার মনে হতো গোয়েন্দাকাহিনী পড়ার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। ওই প্যান এ বসে থেকেই আমি যে কতবার মাসুদ রানার জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে চলে গিয়েছি সাহারায়-বেদুইনদের উটের কাফেলায়, কখনোবা ইসরায়েলের গোপন সামরিক ঘাটিতে বসে যুদ্ধের নীলনকশা তৈরিতে মগ্ন থেকেছি আবার কখনো কিশোর, মুসা আর রবিনের সাথে রকিবীচে, ওদের গোপন আস্তানায় বসে বসে সমাধান করেছি জটিল থেকে জটিলতর সমস্যার। হয়ত কখনো সোহানাকে নিয়ে আমি ফ্লোরিডার সমুদ্রসৈকতে রৌদ্রস্নান এ ব্যস্ত, পরোক্ষনেই বাথরুমের পেছনে জুতারবাক্স সদৃশ জানালা দিয়ে মাসুদ রানাকে বাইরে ছুড়ে ফেলে তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে আসতে হয়েছে দরজায় মায়ের ধাক্কাধাক্কি আর ক্রমাগত চিল্লাচিল্লি কারনে।

যাই হোক, এতসব ছাইপাস লেখার পেছনে কারন একটাই, আমাদের বাংলা সাহিত্যে এখন আর নতুন কোনও গোয়েন্দা চরিত্রের সৃষ্টি হয়না আর হলেও তারা মাসুদ রানা আর ফেলুদার মতন পাঠক মনে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে না। গোয়েন্দাকাহিনীর পাঠকসংখ্যার ক্রমবর্ধমান হ্রাসই এরকম পরিস্থিতির অন্যতম কারন আর এর জন্য দায়ী একশ্রেণীর অভিভাবক, যারা নাকি তাদের সন্তানদের গোয়েন্দাকাহিনী পড়তে নিরুৎসাহিত করে।

মুস্তাফিজ এর ছবি

লাল্টু মার্কা পোলাপান হো হো হো

...........................
Every Picture Tells a Story

দ্রোহী এর ছবি

"অন্ধকারে চিকা" খ্যাত মেজর মনির হোশেন থাকতে আপনে হিরু সমস্যা ভুগেন ক্যামনে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নাইকা কারে দিবেন? আঞ্জুমানারাজুলি হইলে রাজী আছি। আর, আমার ডাবল পাট থাকতে হবে। নায়কও আমি, ভিলেনও আমি। [মেম্বরের প্রিয় কোনো পাখি চরিত্র এইখানে বরদাশত করা হবে না!] প্রতি ৫ মিনিটে আঞ্জুমানারাজুলিকে একবার ভিলেন আরেকবার নায়কের সাথে ভালোবাসা তৈরীতে তৈয়ার রাখতে হবে, এইটা আমার না- জনগণের দাবী।

তাপস শর্মা এর ছবি

ওরে এই তো দেখি চ্রম অবস্থা। আমি চিনিমার অফার রাইখা গেলাম। মেম্বর সাহেব মেজর মনির হোশেনকে রেডি করা হোক। আর তারপর শট রেডি...

প্রথম দৃশ্যঃ মেজর মনির হোশেন দ্বারা নায়িকা পাজামাখান'কে ( চিনিমায় নায়িকার নাম) দস্যু ধুগুরাম থেকে উদ্ধার পর্ব। এবং উদ্ধার শেষে আকাশ, ভেঙে বৃষ্টি। এবং ক্লোসাপ শটে একটু বৃহৎ চুম্বন।

রাজি অইলে কন? কপিরাইটতো আবার আপনাদের দেঁতো হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

প্রতি ৫ মিনিটে পেম হইলে কেম্নেকী! পেমের স্থায়ীত্ব তো সুবিধার্লাগ্তাছেনা! নায়ক ভিলেন দুইজনরেই তো ডাক্তার দেখানো দর্কার মনইতাছে! চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

খালি ভ্যাজাল ধরে পুলাপাইন। আবে, এই ৫ মিনিট পর্দার ৫ মিনিট, শ্যুটিং এর ৫ মিনিট না। শ্যুটিং-এ সময় অনেক বেশি পাওয়া যায়রে চাঁদ। চোখ টিপি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি বড় হয়া লেখুম যান। শ্যালক হাশেম। দেঁতো হাসি

একটা ইউনিক নায়ক আসলেও এই সময়ে থাকা দরকার ছিলো বদ্দা! আমাদের নায়কগুলা তো দিন দিন আরো প্রাগৈতিহাসিক হচ্ছে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশালতা এর ছবি

আট মাস এবসেন্ট ! যাক ভরসা পাওয়া গেল আমার বেলায় তাইলে নাম কাটা যাবেনা। লেখা দারুন।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আকামের আবদুল এর ছবি

সত্তর দশকের শুরুতে নয়, অন্ততঃ মাসুদ রানার শুরু ষাট দশকের মাঝামাঝি। বাকি গুলোও বোধ হয় কাছাকাছি।

সাদরিল এর ছবি

ফেলুদা,মাসুদ রানা বা বোমক্যাশ পড়া হয়নি।তবে তিন গোয়েন্দা পড়েছি প্রচুর।এখন ডিটেকটিভ বইয়ের জন্য বিদেশী অনুবাদের উপর নির্ভরশীল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।