আমার বন্ধু নরজুল

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৯/০৭/২০১৩ - ৭:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা বৈদ্যুতিক প্রবাহ বয়ে গেল যেন! বিয়ে, আবার দুই দুইটা বিয়ে একসাথে, একই বাড়ীতে! অস্থির খুশী’তে কি করবো বুঝতে না পেরে আমি আর আমার ছোট বোন একদম বোবা হয়ে গেলাম! এদিকে বাবা-মা চিন্তায় পড়ে গেলেন, এতদিন থাকতে হবে, আমাদের পড়ালেখা’র কোন সমস্যা হয় কিনা এই নিয়ে তাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। বড় হলে মানুষ-যে শুধু শুধু চিন্তা করে সেটা আমি আরও আগেই বুঝে গেছি। যাই হোক, কয়েকটা দিন একদম নাওয়া-খাওয়া ভুলে আমি আর আমার ছোটবোন পড়ালেখা করলাম, কোনরকম ঝগড়া-ঝাটি করলাম না, বাবা-মা যা বলেন তাই মন দিয়ে শুনি। কিন্তু বড়’রা ছোটদের ভাল-মন্দ চিন্তা করতে যেয়ে কেবলই মন্দ’টা কেন দেখেন তাই নিয়ে সন্দেহ ততদিনে জেঁকে বসেছে, আমি আর আমার বোন কয়েকটা দিন বলতে গেলে একেবারে মাটির মানুষ হয়ে থাকলাম। আমাদের এহেন তৎপরতায় মুগ্ধ হয়েই মনে হয় বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিলেন যাবার ব্যাপারে। মোটামুটি প্রায় দুই সপ্তাহের যাত্রা -- ছেলেবেলায় কখনো কখনো খুশীতে সারারাত জেগে বসে থাকতে হয়, আমরা দুই ভাই-বোন কয়েকটা রাত জেগে জেগে ঘুমাতে লাগলাম।

আমার ছিল চিঠি লিখার অভ্যাস, যাবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার সাথে সাথে সমবয়সী দুই খালাত ভাই, মামাত ভাই’কে চিঠি লিখে চলে আসতে জানিয়ে দিয়েছি ফুপুর বাড়ী’তে। আমার চাচা-বন্ধু’র চিঠি চলে এসেছে, সে আমাদের আরেক বন্ধু’কে (ছোট ফুপু’র দেবর) চিঠি পাঠিয়েছে, সেও আসবে। একটা হৈ হৈ আবেগের উপর ভর করে চলে গেলাম ফুপু’র বাড়ী। এই ফুপু’র বাড়ীতে আগে যাইনি কিন্তু ফুপা, ফুপু আমাদের ঢাকার বাসায় বেড়াতে এসেছেন। এই ফুপা এলেই আমাদের দুই ভাই-বোনের বিরাট আনন্দ, তিনি এসেই একটা হুল্লোড় বাধিয়ে দেন; সকাল-বিকেল তাঁর আইসক্রিম আর চকলেট না খেলে ভাল লাগে না বলে তিনি আমাদের নিয়ে সেগুলো কিনতে যান কিন্তু কেনা হয়ে গেলে আর তাঁর সেগুলো খেতে ভাল লাগে না। আমরা তাঁর এইসব আশ্চর্য কাণ্ডকারখানায় রীতিমত মুগ্ধ! তখনকার নামকরা বিস্কিট ছিল নাবিস্কো বিস্কিট, সেই বিস্কিটের প্যাকেটের ভেতর নানান-রঙের ফালি-ফালি করে কাটা কাগজের স্রোত, সেইসব আমার খুব পছন্দ জেনে তিনি একবার একটা ছোট বস্তা ভরে বিস্কিট কিনে এনেছিলেন আমার জন্য। সেই ফুপা’র কাছে যাব! গেলাম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে, আমাদের দেখেই মানুষ’টা জোরে জোরে ‘কে আসছে দেখ, কে আসছে দেখ!’ চিৎকার করতে করতে হাসি মুখে এগিয়ে এলেন...

বাড়ী’র চারপাশ দেখে আমার দমবন্ধ হয়ে এলো! বাড়ী’র পেছনে বৃহৎ খাল, দূরে নদী, তার দুইপাশে ধানক্ষেত নেই আছে প্রাকৃতিক-ভাবে বাড়-বাড়ন্ত অগুন্তি ঝোপ-ঝাড় আর কাশবন, আরও দূরে ছাড়া-ছাড়া ঘরবাড়ী, তারপর শুধু ফাঁকা আর ফাঁকা...আর একটা সুবিশাল বিস্তৃত চরাচরের একদম বুক চিড়ে চলে গেছে রেললাইন, সেখান দিয়ে দিন-নেই-রাত-নেই-চল-বাড়ী-যাই-চল-বাড়ী-যাই ট্রেন চলে! বাড়ীর ভেতর একটা কুয়া আছে, সেখানে যেয়ে যা বলা হয় তাই ফিরে ফিরে আসে হুমহাম শব্দ করে! ফুপা দারুণ সৌখিন মানুষ, তিনি ব্যাটারি দিয়ে টিউব-লাইট জ্বালিয়ে রাখেন, টিভি চলে আরও নানানরকম কাণ্ডকারখানা। তিনি হুকুম জারি করলেন, আমি যা করতে চাইবো তাই হবে, কেউ কোনকিছু’তে বাধা দিতে পারবে না, কিছু বলতে পারবে না। বাবা গম্ভীর মুখে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু ফুপা’র ছোটভাই এর সাথে -- দুই গম্ভীর মানুষ’কে সবাই খুব ভয় পায়, কিছু একটা করতে গেলেই তাঁরা দু’জন মিলে বড়দের মত নানান নিয়ম-কানুন তৈরি করেন। কিন্তু ফুপা’র কারণে সব নিয়ম আবার আমাদের পক্ষে চলে আসে। প্রশ্রয় পেয়ে আমরা স্বাধীনতার নতুন সংজ্ঞা সংজ্ঞা বানাতে শুরু করলাম।

সবাই চলে এলো পরদিন, আমার সমবয়সী ফুপাত ভাই আছে একটা, তার বন্ধু’দের সাথে আমাদের দল মিলে একটা পঙ্গপাল, সেই পঙ্গপালের পাগল-পারা আনন্দে পুরো গ্রাম ঝকমকিয়ে হাসতে লাগলো যেন! খালের জলে নতুন কিছু উভচর প্রাণী জুটে গেল, মাছগুলো সব পালিয়ে গেল, জলের বুকে হরেক-রকম ছন্দ তুলে যখন-তখন নাইতে নামে দস্যি-ছেলে’র দল! খালের পাশেই প্রাইমারি স্কুল, স্কুলের মাঠ বিশাল, সেখানে হরদম ফুটবল খেলা হয়, বৃষ্টি’র দিন বলে সেখানকার কাঁদা-মাটি’র সাথে আমাদের সখ্যতা হয়ে গেল সবচাইতে বেশি। গ্রামের ছেলে’দের সাথে মিলেমিশে তাদের বাড়ী’তে যাই, সবাই সবার আত্মা’র আত্মীয় হয়ে গেলাম যেন। গাছ থেকে ঢিল ছুঁড়ে ফল পেড়ে খাওয়া, স্কুলের পাশে’র দোকানে হামলা, দূরে কৈবর্ত-পাড়া ঘুরে গেলেই ‘কালী’ নদী, সেই নদী’র কাছাকাছি একটা বিরাট বটগাছ, তারপর শুধু থৈ-থৈ জল, সেই বটগাছে ছমছমে একটা অনুভূতি নিয়ে আমরা জোছনা দেখতে যাই... নজরুল, গ্রামে যাকে ডাকা হতো কিংবা এখনো ডাকা হয় নরজুল, নরজুলের সাথে আমার পরিচয় সেখানেই। এখনো মনে আছে, নাম জানতে চাইলাম, বললো, ‘নরজুল!’

ছেলেবেলা থেকেই একটু দূরত্ব নিয়ে চলা মানুষের বেলায় আমার ভেতর একটা আলাদা টান কাজ করে। এই ছেলেটা শুধু দূরে দূরে থাকে, পোশাক-পরিচ্ছদ জীর্ণ, দ্রুত কথা বলতে গেলে জিহ্বায় জড়িয়ে যায়, আমার সাথে কিভাবে কিভাবে যেন তাঁর একটা দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গেল। একদিন তাকে নিয়ে গিয়েছি ফুপু’র বাড়ীতে, সে যাবে-ই না, জোর করে নিয়ে গেলাম, একসাথে ভাত খেলাম দুপুরে। বিকেলে বড় বোন ডেকে নিয়ে জানালেন যে এটা নিয়ে সমস্যা হতে পারে কারণ নজরুল গ্রামের সবচাইতে বাউণ্ডুলে ছেলে, পড়ালেখা করে-না এবং চুরি করে! আমি কোনভাবেই বিশ্বাস করতে রাজি নই, তর্ক বেধে গেল, সবশেষে জানা গেল যে চুরি মানে সবরকম চুরি নয়, নজরুলের স্বভাব হচ্ছে শুধুমাত্র গাছের ফল চুরি করা। আমার মনটাই খুব খারাপ হয়ে গেল, একা একা ঘুরতে লাগলাম; ফুপা তাই দেখে কথা বলে বলে সব ঘটনা শুনলেন; তারপর জানালেন যে নজরুলের বাবা মারা গেছে নজরুলে’র ছোটবেলাতেই, মা সবসময় অসুস্থ থাকে, কিন্তু তাদের পরিবার ভাল, শাসন না পেয়ে সে এরকম হয়ে গেছে; আর ফল চুরি একটা বয়েসে তিনি-ও করেছেন, নিজের গ্রামের ফল মানে সবার-ই ফল! ফুপা খুব খুশী হয়েছেন সে কথা-ও আমাকে জানালেন। আমার মনের সব দ্বিধা কেটে গেল।

একটা বিয়ে হয়ে গেল, নৌকায় করে আমার সেই প্রথম বরযাত্রী আসতে দেখা, পটকা ফাটানো আর শুধু রঙ আর রঙ! সেই গল্প আরেকদিন বলা হবে হয়তো। কিছুদিন পর। নজরুল একদিন রাতের বেলা চুপিচুপি আমাকে একা ডেকে নিয়ে গেল স্কুল-ঘরের বারান্দায়, সেখানে যেয়ে দেখি কলাপাতায় মুড়িয়ে নারিকেলে’র বরফি নিয়ে এসেছে সে। একদিন মুখ ফুটে বলেছিলাম যে সে জিনিস আমার খুব পছন্দ, তাই সে বানিয়ে নিয়ে এসেছে আমার জন্য। আমি খাচ্ছি না দেখে সে বলল, ‘চুরি করি নাই, খাও, মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়া একটা নারিকেল কিনছিলাম আজকে সকালে!’ আমরা দুই বন্ধু কয়েকটা খেলাম, বাকিগুলো নিয়ে রওনা দিলাম সবার সাথে খাওয়ার জন্য।

উপরে দারুণ একটা আকাশ, প্রায় ঘুমিয়ে থাকা রাত, গ্রামের পথে আলো নেই বলে রাতের নিজস্ব আলোর একটা অনাবিল ছায়া সঙ্গী করে আমরা দুই বন্ধু হাঁটছি কিন্তু মনে হচ্ছে কোথাও পথ নেই, কেবলমাত্র বন্ধুত্ব আছে, আর আছে সীমাহীন ভালোলাগা’য় বুকের ভেতর আশ্চর্য চাপ ধরে রাখা বাঙময় একটা প্রশান্ত নীরবতা...

উৎসর্গ: নজরুল ইসলাম সাহেব, স্বপ্ন নিয়ে কথা হয় যার সাথে প্রতিবার...


মন্তব্য

অন্যকেউ এর ছবি

স্বাপ্নিক বর্ণনা, তানিম ভাই। লেখা -গুড়- হয়েছে লেখা -গুড়- হয়েছে

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ অন্যকেউ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

"উপরে দারুণ একটা আকাশ, প্রায় ঘুমিয়ে থাকা রাত, গ্রামের পথে আলো নেই বলে রাতের নিজস্ব আলোর একটা অনাবিল ছায়া সঙ্গী করে আমরা দুই বন্ধু হাঁটছি কিন্তু মনে হচ্ছে কোথাও পথ নেই, কেবলমাত্র বন্ধুত্ব আছে, আর আছে সীমাহীন ভালোলাগা’য় বুকের ভেতর আশ্চর্য চাপ ধরে রাখা বাঙময় একটা প্রশান্ত নীরবতা..."
এর পরে আর কি-ই বা বলার থাকতে পারে, নরজুলের হাতে হাত রেখে হেঁটে যাওয়া ছাড়া!
গুরু গুরু
- একলহমা

তানিম এহসান এর ছবি

নজরুল প্রায়ই ফোন করে। কিছুদিন আগে বিয়ে করেছে, দেখা হয় না প্রায় ১৮ বছর।

ধন্যবাদ একলহমা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার, স্বপ্নের মত লেখা
ইসরাত

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ ইসরাত। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

মিলু এর ছবি

উত্তম জাঝা!

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ মিলু। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

ড্রিম মার্চ্চেন্ট। হাসি

নরজুল নামের লুক্রা ভালু বন্ধু হয়

তানিম এহসান এর ছবি

মার্চেন্ট কইলেন ক্যা? মার্চেন্ট শব্দটাতে বিটিশ বিটিশ গন্ধ করে ইয়ে, মানে...

হ, নরজুল নামে খ্রাপ লুক পাই নাই এখনও, খালি নজরুল ইসলাম সাহেব ছাড়া খাইছে

টোকাই এর ছবি

(গুড়)
সেই শৈশব, সেই বন্ধুত্ব, যদি কোনোক্রমে আবার ফিরে পাওয়া যেত!

তানিম এহসান এর ছবি

এই যে ফিরে পেলাম। শৈশবের রঙ আমরা ধুসর করে ফেলি, না করলেই হয়!

ধন্যবাদ টোকাই। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

কোথাও পথ নেই, কেবলমাত্র বন্ধুত্ব আছে, আর আছে সীমাহীন ভালোলাগা’য় বুকের ভেতর আশ্চর্য চাপ ধরে রাখা বাঙময় একটা প্রশান্ত নীরবতা...

এই ভালোলাগার কোনো তুলনা হয় না!

তানিম এহসান এর ছবি

এই ভালোলাগার কোনো তুলনা হয় না! চলুক

আপনার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ, নজরুল নামের মানুষগুলো খুব ভালো হয় চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানিম এহসান এর ছবি

কইছে আপ্নেরে, নজরুল ইসলাম নামের সাহেব-সুবো’রা খুউউউপ খ্রাপ লকু খাইছে

লেখার নিচে ঠিকমত দেখেন হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

লইজ্জা লাগে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানিম এহসান এর ছবি

মডু’রা এর আগের লেখা ছাপে নাই। তাগো উপ্রে রাগ করতে করতে নজরুলের কথা মনে পড়লো, সেই রাতের কথা মনে পড়লো- সব রাগ জল!

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

নজরুল না তো - নরজুল!!

তানিম এহসান এর ছবি

হ! দেঁতো হাসি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

দারুন কাব‌্যিক বর্ণনা তানিম ভাই।

নৌকায় করে বরযাত্রী আসার গল্প বলবেন কবে?

তানিম এহসান এর ছবি

বলে ফেলবো মুড থাকলে। ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

মর্ম এর ছবি

সকাল সকাল লেখাটা পড়ে মন ভাল হয়ে গেল তানিম ভাই! ঐ যে কে বলেছিলেন, কবি মানুষদের গদ্যের স্বাদ আলাদা! হাততালি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তানিম এহসান এর ছবি

আপনি নিজেইতো কবি! হাসি

ধন্যবাদ মর্ম। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

লগইন করতেই হলো। খুব সুন্দর একটা লেখা।

স্বয়ম

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ স্বয়ম। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

নীলম এর ছবি

মন ভালো হয়ে গেলো, তানিম ভাই। হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ নীলম। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চমৎকার হাততালি ( মন খারাপ )

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

মন খারাপ হইলো ক্যান? শৈশবের কথা মনে করে? চোখ বন্ধ করেন, সব ফিরে আসবে, যত্ন করেন সেসব স্মৃতি, নাইলে বুড়া হয়ে যেতে হবে চোখ টিপি

ধন্যবাদ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমমম... হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি
তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ প্রিয় উড়ন্ত ঘুড়ি! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

বর্ণিল এবং স্বাপ্নিক বর্ণনা- ভালো লেগেছে খুব।

--এস এম নিয়াজ মাওলা

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহ্, আবার গ্রামবাংলার কথা মনে করিয়ে দিলেনতো ! শহরের ইট-কাঠ আর ভাল্লাগ্ছেনা। শীঘ্রই কোথাও বেরিয়ে পড়বো। সাঁকো নাড়াবার কথা মনে করিয়ে দিলেনতো !
লেখা ভাল লেগেছে। অনেক, অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম। চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক চমৎকার !

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

খায়রুল মাসুদ  এর ছবি

সব সময় বর্ষা কালে মনে মনে দোয়া করতাম আল্লাহ এবার যাতে বন্যা হয় , তার মানে বন্যা হলে আব্বা নৌকা ভাড়া করতেন ফুফুর বাড়ী বেড়াতে যাওয়ার জন্য, যাওয়ার সময় অনেক আনন্দ হত আনেকটা পারিবারিক পিকনিক এর মত,খালথেকে শাপলা ফুল সংগ্রহ করা ছিল প্রধান কাজ । বাড়ীটা ছিল হুবুহু আপনার বর্ননামত প্রার্থক্য হচ্ছে তখন বন্যা হওয়ার জন্য বাড়ীর চারদিকে থৈ থৈ পানি থাকত আর আমরা কলাগাছের ভেলা বানিয়ে ঘুরতাম অথবা মাছ ধরতে যেতাম।আপনার বর্ণনাটা ভাল লেগেছে , ধন্যবাদ আপনাকে আনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ।

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

হুমম ! নষ্টালজিক লেখা !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ দাদাভাই। আমি মানুষটা’ই মনে হয় খুব বেশি স্মৃতিকাতর! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

অর্ক রায় চৌধুরী এর ছবি

নাবিস্কো বিস্কুট এখনও ভালো আছে খাল ঐ প্যাকেটের ভেতর এত্তগুলান ঝুড়ি ঝুড়ি কাগজ নাই মন খারাপ

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

চলুক

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ হে গল্পকার! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

তিথীডোর এর ছবি

নজরুল ইসলাম লুক ভালাই। আমারে মালাকাইটের ঝাঁপি বইটা দিসিল। ভুলিনি, ভুলবনা। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তানিম এহসান এর ছবি

নজরুল ইসলাম লুক ভালাই। হ!

আয়নামতি এর ছবি

তিথীরে বই দিছেন তাই নজরুল ভাই ভালু। শয়তানী হাসি
তবে কথা সত্য, এই নামের লুকেরা ভালু হন।
লেখাটাও সেইরাম ভালু আর স্মৃতি জাগানিয়া চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ বায়নামতি খাইছে

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ছোটবেলার বন্ধুত্ব, হোক না সেটা কয়েক দিনের, থেকে যায় আজীবন!

আব্দুল্লাহ এ এম

তানিম এহসান এর ছবি

সেটাই। নজরুল একসময় ফল চুরি ছেড়ে ভাল হয়ে গিয়েছিল। আমরা সাথে থাকি না আসলে!

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কৈশোরে ফিরে যেতে ইচ্ছে হয় বারবার কিন্তু ফেরা হয়না। অনেক স্মৃতি মনের দরজায় কড়া নেড়ে গেলো আপনার লেখাটি পড়তে পড়তে, দারুন লিখেছেন (লেখেন) আপনি দাদু।

আমার একটা ফুফাতো ভাই আছে নজরুল নামে। বরিশালের আঞ্চলিক উচ্চারণে ওকে সবার ডাকে নরজুইল্যা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ হে রাতস্মরণীয় রাতের পথিক! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লইজ্জা লাগে

নীড় সন্ধানী এর ছবি

পড়তে পড়তে ভিন্ন আরেক সমীকরণের স্বপ্নে ডুবে গিয়েছিলাম। খুব ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

রাত-প্রহরী এর ছবি

অমন কোন ফুপা আমার ছিলোনা। কিন্তু আমি অমন ফুপা না হলেও কাছাকাছি।
তাইতো ভালো লাগলো পড়তে। ফুপাকে নিয়ে আরো বড় করে কিছু একটা লিখবেন পড়ে আশা করছি।
হাততালি
আর দু'টো বিয়ের কথা বললেন, কিন্তু জানলাম একটার কথা।

---------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

তানিম এহসান এর ছবি

কোনটার কথাই বলি নাই আসলে, লেখাটা নজরুল কেন্দ্রিক। লিখবো হয়তো একদিন।

ধন্যবাদ কামরুজ্জামানা পলাশ! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।