Warning: Creating default object from empty value in theme_img_assist_inline() (line 1488 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/img_assist/img_assist.module).

'ডিজিটাল বাংলাদেশ'

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: শনি, ২৫/০৪/২০০৯ - ১১:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এ সরকার বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বানাতে চায়। বড়ই আনন্দের কথা। শুনলেই মনটা ফুরফুর করে ওঠে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে মানুষ পেট ভরে খেতে পারবে কিনা জানি না, তবে বাংলা নিশ্চিতভাবেই ডিজিটাল হবে। মুনির হাসান ভাই দেখি এখনই ফেইসবুকে গান গায়- ‘একটাই সুর, একটাই তাল; বাংলা হবে ডিজিটাল’।

সেদিন দেশে থাকা এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে দেখলাম লেখা আছে - আমরা এমনই সৌভাগ্যবান যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’র জন্য আমাদের ২০২০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোন দরকারই নেই। বাংলাদেশ নাকি এখনই ডিজিটাল হয়ে গেছে!

দেশে বিদ্যুৎ-এর অবস্থা এখন চরম। পত্রিকা খুললেই দেখি বেরাছেড়া অবস্থা। বাসায় ফোন করলে কমপ্লেন- গরমে লোডশেডিং-এর যন্ত্রণায় রাতে কারো ঘুম হয় না। আমাদের বাসায় অবসরে যাওয়া লোকের সংখ্যা বেশি, তাদের না হয় এখন শুধু ঘুমটাই হারাম হয়েছে। কিন্তু যারা কাজকর্ম করে তাদের কী অবস্থা সেটা উপরওয়ালাই মালুম।

তো বন্ধুবর হিসাব করে দেখালো আর কিছু না হোক বাংলাদেশে ডিজিটাল যুগ এখনই উপস্থিত—

বিদ্যুৎ আছে => লজিক ১
বিদ্যুৎ নাই => লজিক ০

দেশে ২৪ ঘন্টার অবস্থা এখন এইরকম-

000010000001000000001001............

বাংলাদেশকে এত দ্রুত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত জন্য সরকারকে অভিনন্দন।


মন্তব্য

এনকিদু এর ছবি

দিনে খাই দাই ঘুমাই আর নয়তো ঘুরে বেড়াই ভবঘুরে হয়ে, কাজ কর্ম সব করি রাতে ।
চোরের মত রাতমজুরী না করলে লোডশেডিং এর এই যুগে, প্রকোশলী মরবে ভাতে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মুস্তাফিজ এর ছবি

সমালোচনা বলেন আর খোঁচা বলেন, একটু আগে ভাগেই হয়ে গেলো না?

...........................
Every Picture Tells a Story

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হতাশাজনক পরিস্থিতি তো অবশ্যই, কিন্তু এর জন্য ১০০ দিনের পুরনো সরকারকে দায়ী করে কী লাভ? বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কী পরিমাণ বিনিয়োগ লাগে, জাতীয় গ্রিডে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাড়াতে কতটা সময় লাগে, এই বাস্তবতাগুলো আমরা সবাই জানি।

ফেসবুকে ইদানিং বিদ্যুৎ নিয়ে কান্নাকাটির পরিমাণ দেখে আমি এই কারণেই বিরক্ত। এতে আমার বন্ধুতালিকার যারা হাসিনাকে দায়ী করছে, দুঃখজনক সত্য হল তাদের অনেকেই চিহ্নিত বিএনপি সমর্থক। ফেসবুকে এই মাছের মায়ের পুত্রশোক তাই আমার কাছে বিরক্তিকর রকম ভণ্ডামি মনে হয়। ক্ষোভ, ঝাল, রাগ, ইত্যাদি তাই ম্যাডামের দিকেই যাওয়া উচিত।

গত ৫+২ বছরে বিদ্যুৎ খাতে তিল পরিমাণ বিনিয়োগ তো হয়ই নি, বরং চলেছে চুরির মোচ্ছব। আজকের এই দুর্দশা সেটারই ফলাফল। বিদ্যুৎ তো টিএসপি সার কিংবা কোরবানির গরু নয় যে সরকার আমদানি করছে না দেখে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

সেচ মৌসুম কেটে গেলে হয়তো এই সংকট কমবে। আমার মতে, এই মুহূর্তে সেচকাজের জন্য বিদ্যুৎ দেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। নয়তো এবারের গরম ঠেকাতে গিয়ে আগামী বছর দুর্ভিক্ষে পড়বে দেশ। দেশের খোলটা অনেক যত্নে খালি করা হয়েছে ৫ বছর ধরে, এরপর ২ বছর সব স্থবির ছিল। সে-সময় কিছু না বলে ১০০ দিনের সরকারকে দোষ দিয়ে কী লাভ?

তানভীর এর ছবি

খালেদার আমলে শেষ দিকে বিদ্যুৎ নিয়ে বড়সর আন্দোলন হয়েছে। ফখরু আমলে বিদ্যুৎ নিয়ে এই কান্নাকাটি তেমন শোনা যায় নি। শুনেছি তারা দু'বছরে গ্রীড লাইনে বাড়তি বিদ্যুৎও যোগ করেছে। এখন হঠাৎ অবস্থা খারাপ হয়ে গেল কেন, সেটা হয়তো দেশে যারা আছেন আরো ভালো বলতে পারবেন।

সবজান্তা এর ছবি

পরিপূর্ণ সহমত।

আমি জানি না আজ থেকে পাঁচ বছর আগের সরকারের সময় ফেসবুক থাকলে কী স্ট্যাটাস মেসেজ দেখলাম, তবু মনে হয় একদল লোক ফেসবুকে ওত পেতে বসে আছে সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য। একশ দিনের এই সরকারের অনেক ব্যর্থতা আছে বিশেষত ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কিন্তু বিদ্যুত খাতের জন্য এখনো এরকম ঢালাওভাবে দায়ী করার দিন আসে নি।

কয়েকদিন আগেও ফেসবুকে , এমনি এক নব্য-ফেসবুকীয়-প্রগতিবাদীকে ঝাড়লাম। ডিজিটাল বাংলাদেশকে কটাক্ষ করার আগে মনে হয় সবার প্রিয় চোর 'তারেক ভাইয়াকে' একটু কিছু বলা দরকার, এ কথা মনে হয় আমরা সবাই ভুলে গেছি। বাঙালি যে পরিমাণ বিস্মৃতিপ্রবন জাতি তাতে বছর পাঁচেকের মাথায় তারেকের যাবতীয় অপকর্মের কথা ভুলে যেয়ে মাথায় করা নাচার ভালো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।


অলমিতি বিস্তারেণ

তানভীর এর ছবি

হু। 'তারেক চুর ভাইয়ার' 'বিটিশ জীবনকাহিনী'ও এখন আর পত্রিকায় দেখি না। তবে বিদ্যুৎহীন, ক্ষুধাপীড়িত দেশে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' আমার কাছে হাস্যকর প্রচারণাই মনে হয়।

রেজওয়ান এর ছবি

দারিদ্র বিমোচনে প্রযুক্তির বিকল্প নেই। আমরা পরিকল্পনার খুটি নাটি বা প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি কিন্তু আমরা দরিদ্র বলে প্রযুক্তি আপন করতে পারব না এমন যুক্তি হাস্যকর। বাংলাদেশে মোবাইল প্রযুক্তির কারনে দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট সহজলভ্য। সেদিন এক ইরানীর সাথে আলাপ হলো। তাদের মোবাইল ইন্টারনেট খুবই স্লো এবং ব্যয়বহুল। এই কাঠামোগত সুবিধাকে আমরা কিভাবে দারিদ্র বিমোচনে ব্যবহার করছি বা করব (কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে) সেটা আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে।

বিদ্যুতের এই অবস্থা হবে এটি অনেক আগেই ভবিষ্যৎবাণী করা। জার্মান সাহায্যে একটি বিদ্যুৎ প্লান্ট হওয়ার কথা ছিল ৪ বছর আগে। তবে দাতারা একটি শর্ত দিয়েছিল - প্রকল্পের কার্যক্রম ও আর্থিক ব্যায়ের অডিট হবে তাদের নিজস্ব অডিটর দ্বারা - এতে বাধ সাধে দুর্নীতিপরায়ন আমলা গোষ্ঠী। তখন এক জার্মান বিশেষজ্ঞ বলেছিল তোমরা এখন বুঝতে পারছ না, তিন বছর পর তোমাদের চাহিদা কত হবে। নিজেদের পায়েই কুড়োল মারছ। বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানো মুখের কথা না যে কয়েক মাসেই ইচ্ছে করলে বসানো যায়।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

তানভীর এর ছবি

দারিদ্র বিমোচনে প্রযুক্তি খুব সফলভাবেই ব্যবহার করা যায়। ভারতসহ অনেক দেশেই সে কাজ অনেক আগে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও যদি বলেন এ কাজ বেসরকারী উদ্যোগে এখন 'গ্রামীণ' করছে। বিগত সরকারগুলো 'ই-গভর্মেন্ট' চালুর কথা বলে প্রাইভেট কোম্পানীকে দিয়ে শুধু কয়েকটা ওয়েবসাইট তৈরী করেছিল। এ সরকারের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' তারই বর্ধিত সংস্করণ ছাড়া ভিন্ন কিছু হলে খুবই আশার কথা। এখন পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জনসভা আর ইউটিউব ব্যান করা ছাড়া আর কিছু দেখি নি।

বিপ্রতীপ এর ছবি

এ অবস্থা একদিনে হয়নি, আর একদিনে সমাধানও নিশ্চয়ই সম্ভব নয়। নতুন পাওয়ার প্লান্ট তো দীর্ঘস্থায়ী বিষয়। এখন সরকারের যেটা করা উচিত সেইটা হলো যতোগুলো পাওয়ার প্লান্ট আছে সেগুলোতে মোটামুটি সর্বোচ্চ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা...

*এখন পর্যন্ত এই সরকারের বড় ব্যর্থতা হচ্ছে সঠিক সময়ে ছাত্রলীগের লাগাম ধরতে না পারাটা...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি ব্যক্তিগতভাবে রিনিউএবল এনার্জির পক্ষে। গ্যাস দিয়ে বিদ্যুত কয়দিন পাওয়া যাবে? বড় বড় শহরে হাইরাইজের অভাব নেই, আর সূর্যের আলোরও কমতি নাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে সরকারের হিসাব-নিকাশ আরো কিছুদিন পরে নিতে চাই। তবে হাসিনা যে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন বা করতে চেয়েছিলেন সরকারের দুই একজন মন্ত্রি-উপমন্ত্রীর "আগের ধাঁচের" কথাবার্তা সেই উদ্দেশ্যকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে। আশার কথা হাসিনা সত্যিই অনেক পরিবর্তিত। একটা কথা আমি আ.লীগের সমর্থক না হয়েও বিশ্বাস করি-- আ.লীগ যদি পরিবর্তন না আনতে পারে, তাহলে আর কারো দ্বারা পরিবর্তন সম্ভব নয়।

সরকারের কাছে বিনীত নিবেদন-- দয়া করে আপনারা যে পরিবর্তনের কথা বলেছেন সেটা এখনপর্যন্ত বজায় আছে বলেই মনে হয়, অন্তত আপনাদের কথা-বার্তায় সেটা ভঙ্গের সুর যেন না শুনি।

রণদীপম বসু এর ছবি

আজ থেকে ক'বছর আগেও অনলাইনে এরকম লগইন করার কথা আমার মতো হ্যাবলারা যদি কল্পনাও করতে পারি নি, সেখানে ২০২১ সাল তো ১২ বছর বাকি ! তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়াটাকে এতো অসম্ভব ভাবছি কেন ? না কি সত্যি সত্যি হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা যাওয়ায় কারো কারো ঘুম নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে, ঠিক বুঝতে পারছি না।
তবে আমি বিশ্বাস করি যে, কিছু করতে বা অর্জন করতে হলে আগে স্বপ্ন দেখতে হয়। যে স্বপ্ন দেখতেই জানে না, সে পাবে কী করে !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তানভীর এর ছবি

ঠিকই বলেছেন। যে দেশে এখনই অনলাইনে বিশাল জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে সরকারকে ইউটিউব ব্যান করতে হয়, সেখানে ১২ বছরে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। এখন ভালোয় ভালোয় তা হলেই মংগল। তবে পনের কোটি লোকের কয় কোটির জন্য 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' হবে, আর কত কোটিকে চিরকাল 'এনালগে'ই থাকতে হবে, তাদের জন্য 'কোন বাংলাদেশ' হবে- সে প্রশ্নও মনে মাঝে মাঝে উঁকি দেয় আর কী।

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা ! আপনার প্রশ্নটা উড়িয়ে দেয়ার মতো না...!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

স্পর্শ এর ছবি

তবে আমি বিশ্বাস করি যে, কিছু করতে বা অর্জন করতে হলে আগে স্বপ্ন দেখতে হয়। যে স্বপ্ন দেখতেই জানে না, সে পাবে কী করে !!

রণদা, আপনার এই স্পিরিটের কারণে আমি আপনার একজন বড় ফ্যান। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জিজ্ঞাসু এর ছবি

রণদা, আমাদের ইন্টারনেট কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে বা রায়পুর বাজারের উত্তরা ব্যাংকের কম্পিউটারে তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগের কারণে যেটুকু ডিজিটাল হয়েছে বাঙলাদেশ তা হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে এবং সময়ের বিবর্তনে। সরকারি উদ্যোগে কিছুই হয়নি। গত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সন্তানেরা দেশের 'ভাই'। তাদের ডিজিটাল অগ্রগতির খবর তো জানেন। দেশে সরকারের মন্ত্রীদের কাজ কী!
তারা ১০০ দিনের মন্ত্রী হোন বা ১০০০ দিনের হোন। তারা কাজ পারছেন কতটা, সেটা বিবেচ্য বিষয়। জনসমক্ষে, মিডিয়ায় তাদের কথাবার্তায় তারা যে খুব কাজের লোক এবং ১০০ দিনের হলেও কিছু করে দেখাতে পারবেন তা প্রমাণিত হয়নি। ছোটবেলায় কবিতা পড়েছিলাম "কথা যার পাকা নয়, কাজে তার ঠনঠন"। তাদের চেয়ে স্কুলের এসএসসি পাশ ছাত্রও সাংবাদিকের "তুমি কীভাবে এত ভাল ফলাফল করেছ?" জাতীয় প্রশ্নের উত্তর কেমন গুছিয়ে দেয়। আপনার আমার হিসেবে তো দেশ চলে না। তাদের কথাবার্তায় দেশের সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হতে পারছে না আর। বিএনপি এসব মানুষকে পথে নামিয়ে আনতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না এখন।
আর বিদ্যুতের ব্যাপারে যত যুক্তিই দিন সবই মানলাম। কিন্তু আমাদের দেশের মন্ত্রীরা আসলে দেশের জন্য মন্ত্রী কখনও হয় না। তারা মন্ত্রী নাম-ধামের জন্য হয়। আমরা দরিদ্র এবং হতভাগা দুইই। যোগাযোগ মন্ত্রী এসেই কোটিকোটি টাকায় অফিস সাজায়। কি আজব দেশ। ইচ্ছা থাকলে, আর কাজ পারলে ১০০ দিনে মানুষকে অন্তত এটুকু তো দেখানো যায় - "মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে"। আমাদের মন্ত্রীদের লর্ড-ব্যারন টাইপের কথাবার্তা আর আচার আচরণে সেটুকু আশ্বাসও পাওয়া যায় না। শুধু মন্ত্রীএমপি না আমাদের দেশের যে কোন অফিশিয়ালের কথা যদি শোনেন, রেডিও, টিভিতে তাতে আপনার সালাম, বরকত, রফিকদের জন্য মায়া হবে। নিজের ভাষাটা অন্তত মিডিয়ার সামনে প্রমিত উচ্চারণে বলা উচিত। হয়তো ভাবছেন- দেশে বিদুৎ নাই, পানি নাই, তুমি পড়ে গেলা প্রমিত উচ্চারণ নিয়া। আমার মনে হয় কোন বিষয়েই এই জাতির নেতারা সিরিয়াস না। প্রমিত উচ্চারণ নিয়া যদি সিরিয়াস হত, তাহলে পানি, বিদ্যুৎ নিয়াও হতে পারত। যাই হোক, মন্ত্রী যখন হয়েছেন তারা - তাদের পক্ষে সম্ভব না, পারা যায় না, এমন কিছু মনে হলে মন্ত্রীত্ব ছাড়া উচিত। যে পারবে, যার পক্ষে সম্ভব তাকে মন্ত্রীত্ব দিবে সরকার।

আর ১২ বছরে বাধ্য হয়েই কোন কোন ক্ষেত্রে ডিজিটাল হতে হবে। এটাও সময়ের ব্যাপার। এক বছরের মধ্যেই পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ডিজিটাল হতে বাধ্য আমরা। 'ডিজিটাল বাঙলাদেশ' কথাটা ঝোপ বুঝে কোপ মারার মত কথা। এটা নিয়ে তর্ক করার কিছু নাই। আগামী ১২ বছরে অনেক পরিবর্তন তো হবেই। কিন্তু কতটা হবে, আর কতটা করা যেত, বা কতটা করা যায় - সেগুলোর মধ্যে থাকবে বিস্তর ফারাক। তখন অন্যান্য দেশের সাথে না হয় আমরা নিজেদের যাচাই করে নেব!!

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

হিমু এর ছবি

প্রথম আলোয় গতকাল এক প্রকৌশলীর লেখা পড়লাম, তিনি এক দারুণ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। সরকারী ও বেসরকারী, উভয় ক্ষেত্রেই উৎপাদন ব্যবস্থা মূলত গ্যাসভিত্তিক বলে গ্যাসের স্বল্পতার কারণে সরকারী উৎপাদন কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে বা কম মাত্রায় চালিয়ে বেসরকারী কেন্দ্রগুলোকে প্রায় পূর্ণমাত্রায় অপারেট করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

গ্যাস হোক বা তেল, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে ব্যবহৃত কেন্দ্রগুলোকে একটি ন্যূনতম প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে (উৎপাদিত মাত্রা/প্ল্যান্টের সর্বোচ্চ মাত্রা) চালাতে হয়। ছোট পরিসরে উদাহরণ দিলে, একটি গ্যাস এঞ্জিন বছরে অন্তত কয়দিন পূর্ণ মাত্রায়, কয়দিন ৯০% মাত্রায়, কয়দিন ৮০% মাত্রায় (এভাবে ন্যূনতম ৬০% পর্যন্ত) চলবে, তার একটি তালিকা ম্যানুফ্যাকচারার ক্রেতার কাছে ডকুমেন্টেশনে উল্লেখ করে। সেটি মেনে না চললে যন্ত্রটির আয়ু স্বাভাবিকভাবে হ্রাস পায়।

বেসরকারী কেন্দ্রগুলির কাছে চুক্তি মোতাবেক গ্যাস সরবরাহের জন্যে গ্যাস কর্তৃপক্ষ বাধ্য। কিন্তু তাদের খোরাক যোগাতে গিয়ে সরকারী কেন্দ্রগুলো উপোস করতে বা কম খেতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে এর যান্ত্রিক মানহ্রাস হচ্ছে, সেটিকে একেবারে নগদে হিসাব করা সম্ভব। বেসরকারী কেন্দ্রের কাছে সস্তায় গ্যাস সরবরাহ করে বেশি দামে কিনে কম দামে আবার ক্রেতার কাছে গছাতে হয়, ফলে সেখানেও লস আছে। তাই বর্তমান উৎপাদন ব্যবস্থার ভেতরেও চৌক্তিক দুর্বলতার ফাঁক দিয়ে বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার মতো গচ্চা দিতে হচ্ছে গোটা বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে।

আর নতুন বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কমপক্ষে দুইবছরের আগে এটি করা সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি কাজ করতে পারতো, সব রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে একজন করে প্রতিনিধি চেয়ে চিঠি পাঠিয়ে তাদের উপস্থিতিতে এই প্ল্যান্ট স্থাপনের কিছু আমলাতান্ত্রিক কাজ এগিয়ে রাখতে পারতো। জোট সরকার দেশটার পুটকি মারতে এতো বেশি ব্যস্ত ছিলো যে তাদের কাছ থেকে চাওয়ার কিছুই ছিলো না। তাদের রাজপুত্র এখন লোডশেডিংমুক্ত লন্ডনে ঠিকই ফুরফুরে বাতাস খাচ্ছে, ভুগছে দেশের লোকে।

তবে বর্তমান সরকারের উচিত এই কাজের দায় নিয়ে পিলোপাসিং বন্ধ করে অতি দ্রুত কিছু জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সম্ভব হলে বার্জ মাউন্টেড অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন। মায়ানমারের সাথে সম্প্রতি কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ অবনত হচ্ছে, ভবিষ্যতে মায়ানমারের সাথে গ্যাস আমদানি নিয়ে চুক্তি করতে হতে পারে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলিতে গ্যাসনির্ভর যে ক্যাপটিভ পাওয়ার অবকাঠামো গড়ে উঠেছে, তার চাহিদার গ্যাস যোগাতেই বাংলাদেশকে অদূর ভবিষ্যতে বার্মার সাথে এ জাতীয় চুক্তি করতে হবে।

ফসিলফুয়েল ভিত্তিক শক্তিব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্যে গ্যাসের অনুপস্থিতিতে অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে লোকে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পেছনে অঢেল পয়সা খরচ করছে। উদাহরণ দিতে পারি একজন সচলের কথা, যিনি ষাট হাজার টাকা দিয়ে একটি তেলখোর জেনারেটর কিনেছেন বাসায় লোডশেডিঙের জন্যে, যেটি প্রতিঘন্টার জন্যে বর্তমানে ৭৫ টাকার তেল খায়। সারা দেশের মানুষ এরকম কিছু বিচ্ছিন্ন বিনিয়োগ করছেন বিকল্প বিদ্যুতের জন্যে। স্বাভাবিকভাবে কস্ট অব আউটেজ গ্রিড বিদ্যুতের মূল্য থেকে প্রায় ছয় থেকে দশগুণ বেশি হয় বাংলাদেশে। এই বিনিয়োগ যদি বিদ্যুতের মূল দামের সাথে সমন্বয় করে বিদ্যুৎখাতে করা যেতো, তাহলে কিন্তু রুগ্ন বিদ্যুৎখাত কিছুটা হলেও সবল হতো। চিত্রটা দাঁড়িয়েছে এমন, আমরা এক ইউনিট বিকল্প বিদ্যুতের মূল্য চার থেকে আট গুণ দিতে রাজি আছি, কিন্তু সরকার যদি এক টাকাও বাড়াতে চায়, আমরা রাস্তায় নেমে তাদের হোগার চামড়া তুলে নেয়ার জন্য চিৎকার করবো। আমাদের বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নের জন্য পয়সা আমরা না দিলে কোন মায়ের ছেলে এসে দিবে? তার ঠ্যাকাটা কী?

বাংলাদেশে অবিলম্বে সৌর ও বায়ুশক্তি প্ল্যান্ট স্থাপন প্রয়োজন। উত্তরবঙ্গ এবং উপকূলীয় এলাকার বায়ুশক্তি সম্ভাবনা যথেষ্ঠ, আমাদের এখন প্রয়োজন সাহসী বিনিয়োগ। কুড়ি বছর অ্যামরটাইজেশন পিরিয়ড ধরলে এই বায়ুবিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট পাঁচ থেকে ছয় টাকার মধ্যে রাখা সম্ভব। কুতুবদিয়ায় ভুলভাবে বিন্যস্ত করা উইন্ড পার্ক আর মুহুরি ভ্যালিতে বিকল করে রাখা একটি প্রকল্প দেখিয়ে বাংলাদেশে বায়ুশক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা জিইয়ে রাখা হয়েছে বলে আমি মনে করি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কিন্তু হিমু, সৌরশক্তির কি কোন ভবিষ্যত নেই? এটা জনপ্রিয় করা গেলোনা কেন? খরচ?

হিমু এর ছবি

সৌরশক্তি নিয়ে কর্তাব্যক্তিরা অনেক বড় বড় সাংখ্যিক বুলি আওড়াচ্ছেন, কিন্তু সেগুলোর সাথে সম্পৃক্ত খরচের ছবিটা কাউকে দেখাচ্ছেন না।

জার্মানীতে প্রতি কিলোওয়াট (পীক) ক্ষমতার একটি সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করতে খরচ পড়ে প্রায় পাঁচ হাজার ইউরো। বাংলাদেশে হয়তো কিলোওয়াট (পীক) পিছু ক্ষমতার জন্যে চার লক্ষ টাকার মধ্যে কাজ সারা যাবে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, মেগাওয়াট প্রতি চল্লিশ কোটি টাকা। একটা থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইরেকশন কস্ট মেগাওয়াট প্রতি তিন থেকে চার কোটি টাকা, একটা উইন্ড টারবাইনের ইরেকশন কস্ট মেগাওয়াট প্রতি এগারো থেকে বারো কোটি টাকা।

ফোটোভোল্টায়িক প্ল্যান্টের উপাদানগুলো দেখুন

১. সোলার জেনারেটর (সেল)
২. ইনভার্টার
৩. ব্যাটারি
৪. লোড রেগুলেটর

দেশে ব্যাটারি, ইনভার্টার আর লোড রেগুলেটর ইন্ডাস্ট্রি যদি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে হয়তো খরচ কিছুটা কমে আসবে, কিন্তু তারপরও সোলার সেল আমদানি করতে হবে (পত্রিকায় লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, ব্যাটারির ওপর শুল্কের বোঝা সরানোর ব্যাপারেই বরং কিছু লোকের আগ্রহ বেশি, দেশের ইন্ডাস্ট্রিকে বাড়ানোর চিন্তা তাদের নেই)। কর্তারা লাফাচ্ছে কারণ এই সৌরবিদ্যুতের ভূত মানুষের মাথায় ঢোকানো গেলে আমদানিনির্ভর বাণিজ্য আরো একটা বাড়বে। তাতে কিছু লোক মুদিগিরি করে ফুলতে পারবে। সোলার জেনারেটর যথেষ্ঠ পোক্ত জিনিস, ঠিকমতো মেইনটেইন করলে কুড়ি বছর হেসেখেলে চলবে, যদিও পাঁচ বছর পর পর ব্যাটারি আর দশ বছর পর পর ইনভার্টার আর লোড রেগুলেটর বদলাতে হবে, কাজেই অ্যামরটাইজেশন পিরিয়ড কুড়ি বছর ধরলে গ্রাহককে ইউনিট পিছু তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকার মতো খরচ করতে হবে। পক্ষান্তরে বায়ুশক্তির ওপর জোর দেয়া হলে দেশের নির্মাণখাতে অন্তত কিছু টাকা থেকে যাবে, সমস্তটা আমদানীর জন্যে দেশের বাইরে চলে যাবে না।

সৌরশক্তির সাপ্লাই আমাদের দেশে যথেষ্ঠ থাকলেও অঢেল নেই। বিকল্প বিদ্যুতে বিনিয়োগ করতে চাইলে দেশে সবচেয়ে প্রথমে বিনিয়োগ করা উচিত কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বন্ধ ইউনিটগুলি চালুর ওপর, তারপর বায়ুশক্তির ওপর। সৌরশক্তি প্রকল্প করা উচিত ক্যান্টনমেন্টে, যেখানে কারেন্ট যায় না কখনো। বড় বড় কিছু সোলার প্ল্যান্ট তাদের ছাদে বসিয়ে বলা উচিত, বাকিটা আল্লাহর উপর, রৌদ্রের মালিক তিনি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

তানভীর এর ছবি

অনেক আগে এলজিইডি থেকে বায়ুশক্তি প্ল্যান্ট বসানোর সম্ভাব্যতা নিয়ে একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছিল। যতদূর মনে পড়ে রিপোর্ট নেতিবাচক ছিল। শুনেছি যত উচচতায় মাপজোক করা প্রয়োজন ছিল, উজবুকেরা সেটা করে নি! এরপর মনে হয় আর কিছু আগায় নি। সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। পারমাণবিক প্রকল্প ছাড়া বোধহয় বিকল্প নেই। কিন্তু রূপপুরের সেই প্রকল্পের কথাও তো সে-ই ফাকিস্তান আমল থেকে শুনে আসছি। আর এখন যদি হয়ও তবে পরিবেশ নিয়ে নতুন আরেক ঝামেলা হবে। আমরা তো আর সোমালিয়া গিয়ে বর্জ্য ডাম্প করে আসতে পারবো না। সমস্যার শেষ নাই, সাথে কারো কোন সদিচ্ছাও নাই।

হিমু এর ছবি

উচ্চতার জন্যে একটা কারেকশন সব জায়গাতেই করা হয়, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যেখানে বসাবেন তার আশপাশটা বেশ বড় খোলা জায়গা হতে হবে, অনেকটা মিডল অব নোহোয়্যারের মতো জায়গায় মাস্ট বসাতে হয়। তা না হলে ঠিক রেজাল্ট আসবে না। যে অ্যানেমোমিটার ব্যবহার করা হয়েছে, সেটারও কিছু নিজস্ব মার্জিন আছে।

একটা সামান্য ঝোপ পুরো একটা পার্কের বায়ু পোটেনশিয়ালকে প্রভাবিত করতে পারে। আর সে জায়গায় বাড়িঘরের মধ্যে মাস্ট বসালে তো হাবিজাবি রেজাল্ট আসবেই।

এখন ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড পৌঁছে গেছে ৯০ মিটার হাব হাইটে। আমাদের এক্সপার্টরা ৫০ মিটার টার্গেট পর্যন্ত মাপজোক করেছিলেন বলে শুনেছিলাম। উপকূলীয় কিছু খোলা এলাকায় পার্ক করা গেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে আমি হিসেব করেছিলাম। তবে বিচ্ছিন্ন এখানে ওখানে বিষফোঁড়ার মতো করে নয়, গোটা দেশে পরিকল্পিতভাবে কিছু সংরক্ষিত উইন্ডপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া উচিত। কারণ এদের চালনাখরচ তুচ্ছ হলেও মেইনটেইন্যান্সের জন্যে বিশেষ কিছু ফ্যাসিলিটি পালতে হয় (যেমন বিশেষ ধরনের ক্রেইন)।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি


বাংলাদেশকে এত দ্রুত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত জন্য সরকারকে অভিনন্দন।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আলমগীর এর ছবি

এ সরকারের কাছে আশা বেশী বলেই একটা কিছু হতে না দেখলে কষ্ট লাগে। কাজেই তানভীর ভাইয়ের মনোঃকষ্টের কারণ অনুমেয়। শহরে বিদ্যুৎবিহীন জীবন অসহনীয়। তার সাথে যুক্ত আছে পানি। সাধারণ মানুষ এত হিসাবের ধার ধারে না। তত্ত্বাবধায়কের সময় যত সমস্যা হয়নি, তার চেয়ে বেশী কেন হবে? বিদ্যুৎব্যবস্থার রাতারাতি কোন উন্নতি না হোক, অবনতির কথা তো শোনা যায় নি।

পত্রিকার খবর মতে, চট্টগ্রামে অন্তত তিনটি উৎপাদন কারখানা বন্ধ। কারণ অজানা, তবে হিমু যা বলছে তা হওয়ার ভাল সম্ভাবনা। কারণ, বিদ্যুতের বেসরকারীকরণ আলীগই করেছে। (তারাই গত টার্মে বেশ কিছু বার্জ মাউন্টেড প্লান্টের অনুমতি দিয়েছে)। এসব বেসরকারী উৎপাদনকারীরা সরকারের সাথে অসাধু সম্পর্ক রাখবে এটা অনুমান করা যায়। গতবছরই বোধ হয়, রিপোর্ট বেরিয়েছিল, ভুল হিসাব দেখিয়ে এক কোম্পানি পিডিবি থেকে ১০কোটির মতো বেশী অর্থ নিয়েছে। এ নিয়ে মামলাও চলছিল।

নবায়নযোগ্য শক্তি সম্পর্কে এখানো ওখানে যা জানা/শোনা যায় তাতে আমারদের দেশে চলবে কিনা বিশাল সন্দেহ। একজন বলেছিল, যে একটা সোলার প্যানেল উৎপাদন করতেই যে সিও২ হয়, সেই প্যানেল তার কর্মজীবনে ততটা সিও২ সেভ করে না। প্যানেলের উৎপাদন খরচ+ব্যাটারি খরচ ধরে পার ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশী। বায়ুকল কি ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা করার মতো দৃঢ় হয়?

আমাদের বিদ্যুতের ভীষণ দরকার, সেটা যে উপায়েই হোক।

গেলবছর এসময় জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে যন্ত্রটা বানাল, সেটা হলেই তো সব সমস্যা চুকে যায় দেঁতো হাসি

তানভীর এর ছবি

এ সরকারের কাছে আশা বেশী বলেই একটা কিছু হতে না দেখলে কষ্ট লাগে।

দুঃখের কথা শুধু আপনিই বুঝলেন! বিম্পিকে গালাগালি করতে রুচিতে বাধে, কোন প্রত্যাশাও নাই ওদের কাছে। এখানেই তো যা শেষ আশা-ভরসা, তাও দেখি সবসময় গুড়ে বালি।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

উত্তম জাঝা!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

হিমু এর ছবি

বায়ুকল কি ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা করার মতো দৃঢ় হয়?

না। কাট-অফ স্পিড রাখা হয় সাধারণত ২৫-৩০ মি/সে বেগের জন্যে (৮৪-১০৮ কিমি/ঘন্টা), এরপর মোটামুটি ৪০ মি/সে পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে (১৪৪ কিমি/ঘন্টা)। এর ওপরে গেলে টারবাইনের ব্লেড ফেইল করতে পারে, টারবাইনের টাওয়ারও ফেইল করতে পারে। সিডরের সময় বাতাসের বেগ ছিলো (একটি মাপনবিন্দুতে) ৬২ মি/সে।

কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করার মতো দৃঢ় করে কিছুই বানানো হয় না। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা কম, কিন্তু বাতাসের বেগ অনেক, এমন জায়গায় উইন্ডপার্ক বসাতে হবে। কক্সবাজার-টেকনাফ উপকূল এরকম একটি অঞ্চল। এ ব্যাপারে তানভীর ভাইয়ের পিএইচডি সন্দর্ভের উপর ভিত্তি করে কিছু কাজ করেছিলাম, পরে সুযোগ পেলে সচলে লিখবো এ নিয়ে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

জিজ্ঞাসু এর ছবি

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বায়োম্যাস প্রযুক্তি, অর্থাৎ গোবর, খড়কুটো, পচাগলা, আবর্জনা থেকে বায়োগ্যাস তৈরি এবং তা থেকে গ্যাস জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু বলুন। আমার জানামতে কিছু উন্নত দেশে এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

তানভীর এর ছবি

বায়োগ্যাস থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে বেসরকারী উদ্যোগে শুরু হয়েছে বা হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রামে যিনি একদিন মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছিলেন, 'গ্রামীণ ফোনে'র স্বপ্নদ্রষ্টা ইকবাল কাদির এবার আমেরিকান খ্যাতনামা আবিষ্কারক ডিন ক্যামেনের সহায়তায় প্রতিষ্ঠা করেছেন ইমার্জেন্স বায়োএনার্জি যারা গোবর থেকে বিদ্যুৎ বানিয়ে (1 KW plant) বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে পৌঁছে দেবে। বিস্তারিত এখান থেকে দেখতে পারেন। তবে বিশাল চাহিদার প্রেক্ষিতে এটা কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই দেখার বিষয়।

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে আমার তেমন কোন মাথাব্যাথা নেই। এটা একটা শ্লোগান যার সংজ্ঞা সরকার নিজেও ঠিকমতো বুঝে কিনা সন্দেহ আছে। আজকাল সবকিছুতে একটা শ্লোগান থাকে। শ্লোগান জোশ আনে। মাঝিমাল্লা যেমন হেইও হেইও করে বৈঠা চালায় তেমনি। তবে বাংলাদেশের মতো প্রযুক্তিবিমুখ সরকারের দেশে শ্লোগানটা বড় বেমানান।

বিদ্যুত নিয়ে আর কিছু বলতে ইচ্ছে হলো না। সামুতে একটু আগে একটা কমেন্ট করে এসেছি কষ্টে। এটা এই সরকারের সমস্যা না। বহু পুরনো সমস্যা। জোট সরকারের লজ্জাজনক ব্যর্থতার ফসল। খালেদা জিয়ার কুসন্তানের দুষ্কর্মের মূল্য দিচ্ছে দেশবাসী।

নজমুল আলবাব এর ছবি

এতো কিছু বুঝি না। খালি একটা কথাই জানি, এইভাবে বিদ্যুত সমস্যা চলতে থাকলে আগামী মাসে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

রণদীপম বসু এর ছবি

রাতে এসে নেট ওপেন করি। যেটুকু সময় পাই, তা থেকে ভাগযোগ করে মিনিমাম তিন ঘণ্টা অন্ধকার সময় বাদ দিলে আর বাকি থাকে কী !

প্রাক্তন উপদেষ্টা আকবর আলী খানের কথাটাই বেশি বাজছে- আগে বিদ্যুৎ, তারপর গণতন্ত্র !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দিগন্ত এর ছবি

আমার কাছে বাংলাদেশের বিদ্যুত সমস্যার সহজ সমাধান হল ভুটান আর উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে বিদ্যুত কেনা। এটা রাজনীতির চক্করে পড়ে কতদিন দেরী হবে তা জানা নেই। তবে এর বিকল্পে কোনো বহুজাতিক চট করে বিনিয়োগ করবে না। কারণ সস্তার জলবিদ্যুত একবার চলে এলে তাদের সেই বিনিয়োগ মাঠে মারা যাবে। অপ্রতুল বিদ্যুতের অঞ্চলে বসে বিদ্যুতের অভাবে ভোগা থেকে মনে হয় দেশের সীমানাগুলো বড় খাঁচার মত হয়ে গেছে।

এখন পশ্চিমবঙ্গেও বিদ্যুত সমস্যা চলছে, রোজই আনন্দবাজারে কিছু খবর আসে এ নিয়ে। ভুটানে পরের জলবিদ্যুত কেন্দ্র শেষ হলে হয়ত এই সমস্যার ইতি হবে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।