ডারউইন তীর্থে

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ২৩/০৭/২০১২ - ৮:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

553716_10151945608740497_2127608238_n

অবশেষে সারা পৃথিবী ঘুরে ঘরে ফিরলেন তরুণ প্রকৃতিপ্রেমিক, বিয়ে থা করে থিতু হলেন আপন ভুবনে। লন্ডন শহরের কোলাহল ছেড়ে কেন্ট কাউন্টির পাখির কূজন ভরা গ্রামে চলে গেলেন পরিবার নিয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে, আসলে গবেষণা এবং নিবিড় চিন্তার জন্য।

কিসের এত চিন্তা তার? বিশ্ব ভ্রমণের সেই ৫ বছর আসলেই পাল্টে দিয়েছে মানুষটিকে ভিতর থেকে আপাদমস্তক, সেই সাথে এটিও বুঝতে পারছেন তিনি, ভেতরের চিন্তা প্রকাশিত হয়ে গেলে এর চেয়ে অনেক অনেক বেশী পরিবর্তিত হবে মানব সমাজ, কিন্তু পৃথিবী কি আদৌ প্রস্তুত এই জ্ঞানফলের জন্য! ভরসা পান না বিনয়ী মহাজ্ঞানী অশেষ ধৈর্যশালী দার্শনিকটি মানবসমাজের উপরে, কিন্তু ঠিকই গভীর নিষ্ঠার সাথে চালিয়ে যান প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ, মনের অতল থেকে তুলে নিয়ে আসেন বিশ্বভ্রমণকালীন সময়ের অদ্ভুত সব স্মৃতি যা তাকে দেয় বিশুদ্ধ আলোর সন্ধান। যে আলোকে বিশ্বকে অজ্ঞানতার নাগপাশ থেকে মুক্ত করার জন্য আস্তে আস্তে রচনা করেন এক বিশ্ব পাল্টে দেয়া পবিত্র গ্রন্থ, নাম তার- On the Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life.

যদিও তার ইচ্ছে ছিল জীবদ্দশায় এই গ্রন্থ প্রকাশ না করার, কিন্তু মালয় দ্বীপপুঞ্জ গবেষণারত আরেক দিকপাল জীববিদ আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেসের চিঠি এবং গবেষণাপত্র তার কাছে আসলে তিনি দেখেন বহু দশকের গবেষণার ফল অন্য বিজ্ঞানীর নামে চলে যাচ্ছে, মহানুভবতার পরিচয় দেখিয়ে একই সাথে রাসেল এবং নিজের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন ও অবশেষে ১৮৫৯ সালে ২৪ নভেম্বর প্রকাশিত হয় মানব সভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ, প্রথমবারে ছাপা ১২৫০ কপি নিমেষে উধাও হয়ে যায় তপ্তভূমিতে বৃষ্টির প্রথম পতনের মত, আসতে থাকে একের পর এক সংস্করণ, এবং এক পর্যায়ে প্রকাশকের চাপে নতুন সংক্ষিপ্ত নামে ছাপা হয় তুমুল আলোচিত এবং ভালোবাসার বিশুদ্ধ জ্ঞানের বইটি- অরিজিন অফ স্পেসিস।

কোথায় লিখেছিলেন তিনি এই সত্যদর্শনের গ্রন্থ? কেন্টের সেই বাড়ীতেই, যেখানে ১৮৪২ সালে স্ত্রী এমা এবং দুই সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেছিলেন, যেখানে ছিলেন আমৃত্যু, দীর্ঘ ৪০টি বছর সেখানে পরম মমতায় গড়ে তুলেছিলেন গবেষণাগার, ডুবে ছিলেন কত চিত্র-বিচিত্র রহস্যের সমাধানে। আমাদের আজকের যাত্রা সেই মহাতীর্থেই, সঙ্গী বন্ধু সামিরা, হিমু, এবং সচলের জনপ্রিয় মুখ কৌস্তভদা।

গত মঙ্গলবারে লন্ডন মহানগরীর বিকট ট্র্যাফিক জ্যামকে পিছনে ফেলে বিখ্যাত ইংলিশ কান্ট্রি সাইডে ( দিয়েগো ম্যারাডোনার মতে ইংল্যান্ডের একমাত্র ভাল জিনিস!) চক্ষু সার্থক করতে করতে সরু পথ ধরে একাধিক বার সবুজ বেষ্টনীতে গোত্তা খেয়ে অবশেষে ডারউইনের সেই বিখ্যাত বাড়ী পাওয়া গেল, যার ফটকে এক ধাতব ফলকে লেখা মহান বিজ্ঞানীটি জীবনের চার চারটি দশক এইখানেই অতিবাহিত করেছিলেন। মুগ্ধ বিস্ময়ে বাড়ীর দেয়ালে বেড়ে ওঠা সবুজ লতানো গাছগুলো দেখার আগেই বোঝা হয়ে গেল ভুল জায়গায় গাড়ী থামানো হয়েছে, রাস্তায় নেমে ছবি তোলার উপায় নেই। ঘুরিয়ে পার্কিংএ নিজে যেয়ে তবেই শান্তি, কৌস্তভদা এর মাঝে ছবি তুলে নেটে দেওয়া পর্যন্ত শুরু করে দিয়েছেন, জনৈক বন্ধুরা যারা স্বপ্নেও ফেসবুকে বিচরণ করে, তাদেরই একজন সাথে সাথেই জানতে চাইল- ডারউইনের বাড়ী কি পার্কিং এলাকাতে? কত বড় ফাজিল! যাক, কেবল সকালেই পরিচয় হয়েছে কৌ-দার সাথে, আসলে সামনাসামনি দেখা প্রথম সচল তিনি, তার খাতিরেই এযাত্রা জগতের সকল পাপী প্রাণীদের শুধরে যাবার সুযোগ দিয়ে ঢুঁকে পড়লাম আজীবন যেতে যাওয়া অসাধারণ জাদুঘরটিতে।

প্রথমেই টিকেট কাটার কক্ষ, সেখানে ডারউইনের লেখা বই যেমন থরে থরে সাজানো, তেমন শোভা পাচ্ছে তাকে নিয়ে লেখা বইও, এমনকি তার স্ত্রী এমাকে নিয়ে লেখা বইও আছে সেলফের এক প্রান্তে।

IMG_1392

IMG_1393

সেই সাথে আছে নানা স্যুভেনির, নকল জীবাশ্ম, বিগল জাহাজের ক্ষুদে মডেল, বিবর্তন এবং জীবজগত সম্পর্কিত নানা বই। তাদের আবেদন উপেক্ষা করে ১০ পাউন্ডের টিকেট কেটে ঢুঁকে পড়া হল জাদুঘর অংশটিতে, যদিও মেজাজ শুরুতেই খিচড়ে গেল বাড়ীটির ভিতরে ছবি তোলা যাবে না শুনে! কি এক কপিরাইট আইনে জানি এমন স্মরণীয় মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দী নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কি ফালতু অজুহাত! আসলে নিজেরাই ছবি তুলে ভিউকার্ড হিসেবে বিক্রি করে, এই ব্যবস্থা মনোপলি করবার ফন্দি ছাড়া আর কিছুই না , যা হোক ছবি তো তোলা হবেই সুযোগ পেলে, কিন্তু আরাম মত আর হল না এই আর কি।

IMG_1613

প্রথমেই সেই বিখ্যাত স্টাডিরুম, যেখানে বিজ্ঞানীপ্রবরের বিখ্যাত সোফা, দীর্ঘ জীবনের গবেষণার নানা নিদর্শন, তার কাজের টেবিলের কাছের চেয়ারটিতেই রাখা সেই বিখ্যাত কালো গোলাকৃতি টুপি, যা অমর হয়ে আছে মহান বিজ্ঞানীর স্মৃতির অংশ হিসেবে। তার সংগ্রহের বইগুলোতে চোখ বুলাতেই শরীর কাঁটা দিয়ে উঠল, তাকের মাঝের বইটা যে ডাস ক্যাপিটাল, যা ডারউইনকে উপহার দিয়েছিলেন স্বয়ং কার্ল মার্কস!

IMG_1396

কি অসাধারণ ইতিহাসের সাক্ষর বাড়ীটির কোণে কোণে! আর তাদের মাঝে সবার বিশেষ ভাবে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল এই ঘরটি, এইখানেই যে নিত্য বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠতেন তিনি , এটি যেন ছিল এথেন্সের সেই প্রাচীন বিদ্যালয়ের নতুন সংস্করণ যেখানে শুদ্ধ জ্ঞান চর্চায় মেতে থাকতেন ডারউইন- হ্যাক্সলিরা।

বেশ বড় বাড়ীটি, দোতলা- একতালা মিলিয়ে অনেকগুলো কক্ষ, প্রায় সবগুলোতেই সেই সময়ের আবহ ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে আসল আসবাবপত্র, জানালার পর্দা রেখে। কিছু বিশেষ কক্ষে কাঁচের দেয়ালের ভিতরে সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয়েছে মহা মূল্যবান রোজনামচার খাতা- ডারউইনের একাধিক নোটবুক! যা তিনি বিগল যাত্রার সময়ে উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনায় ব্যবহার করেছিলেন। সেই মহামতির সত্যিকারের হস্তাক্ষর পর্যন্ত স্পষ্ট পড়া গেল কাঁচের দেয়াল ভেদ করে, আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!

IMG_1403

এমনই আরেক ঘরের শুরুতেই চোখে পড়ল তার বিখ্যাত কলম,

IMG_1404

এর পরপরই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রাখা অরিজিন অফ স্পেসিসের অতি দুর্লভ এবং দুর্মূল্য প্রথম সংস্করণের একটি কপি! আহা, যে বইটি নিজের একটি ইতিহাসে, চলমান বহমান ইতিহাস, যাকে বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা শতবর্ষ পরেও। মনে পড়ে গেল এক তথ্যচিত্রে প্রিয় মুখ ডেভিড অ্যাটেনবোরো নিজের সংগ্রহ থেকে অরিজিন অফ স্পেসিসের ষষ্ঠ ( পঞ্চমও হতে পারে! ) সংস্করণটি দেখিয়ে বলেছিলেন ১ম সংস্করণ সংগ্রহের অক্ষমতার কথা। এও মনে পড়ল এই তীর্থটি কিন্তু প্রথম দেখেছিলাম আরেক প্রিয় মুখ রিচার্ড ডকিন্সের বিখ্যাত তথ্যচিত্র দ্য জিনিয়াস অফ চার্লস ডারউইন-এ।

দুইতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠলে একপাশের মাঝারি আকৃতির কাঠের শোকেসে তরুণ জীববিজ্ঞানীর সংগৃহীত নানা পাখির চমৎকার সব নমুনা চোখে পড়ে, অধিকাংশই ক্রান্তীয় অঞ্চলের বৈশিষ্টমণ্ডিত, রং ঝলমলে পালকাবৃত। যদিও বিগল যাত্রার সময়ে তার সংগৃহীত অসাধারণ সব নমুনা, যা কিনা ইউরোপে আলোড়ন সৃষ্টি করে ছিল সেই সময়ে, প্যাতাগোনিয়ার বিলুপ্ত বিশালদেহী স্লথের জীবাশ্মসহ প্রায় সবগুলোই স্থান পেয়েছে অন্যসব জাদুঘরে। তারপরও নজর ভরে দেখে গেলাম প্রায় দুইশ বছর আগে সংগ্রহ করা রত্নগুলো, যেগুলো সেই তরুণ জীববিদ সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত হন নি, জীবনের শেষ বছরগুলো এর গ্রহণযোগ্য বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা দেবার সফল চেষ্টা করেছেন।

এক জায়গায় সেই বিচিত্র বইগুলোর সমাহার যেখানে না বুঝে, না বোঝবার চেষ্টা করে, সম্পূর্ণ অন্যায়, অন্যায্য, ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে জীববিজ্ঞানের শ্বাসত রহস্য বিবর্তনকে এবং সেই আক্রমণের স্বীকার হয়েছেন স্বয়ং চার্লস ডারউইন। অরিজিন অফ স্পেসিস প্রকাশের পর থেকেই এমন মূর্খদের বিশেষ করে প্রচলিত ধর্মের ধ্বজাধারীদের তোপের মুখে পড়ে তার তত্ত্ব, এবং এখনো নিরন্তর চেষ্টা চলে বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করার! কিন্তু সেটি তো আর সম্ভব নয়, তাই গায়ের জোরে একজন হারুন ইয়াহিয়া ঘোষণা করে বিবর্তন সঠিক এটি প্রমাণ করতে পারলেই সে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেবে! একজন জাকের নায়েক বিবর্তন সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র ধারণা না নিয়ে কথার ফুলঝুরি দিয়ে তা মিথ্যে প্রমাণ করতে গিয়ে উল্টো করে যায় মিথ্যের বেসাতি। আর মানুষ–বানরের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা, যা ডারউইন তত্ত্বের সাথে কোনমতেই খাপ খায় না, সেগুলোর কার্টুন আর এমন কিছু বস্তাপচা বই দেখে মনে হল এগুলোতো ইতিহাসের অংশ নয়, এগুলো হচ্ছে আস্তাকুড়ের আবর্জনা, কিন্তু এগুলো রাখা হয়েছে মানুষকে এটা শিক্ষা দেবার জন্য- তোমার যা ইচ্ছা বিশ্বাস কর, সত্য সত্যই। একদিন তা প্রকাশ পাবেই, তোমরা মানো বা না মানো।

করিডোরে ডারউইনের বেশ প্রমাণ আকারের ধাতব ভাস্কর্য, ঘরের দেয়ালে চমৎকার পোট্রের্ট। একাধিক কক্ষে মাথা খাটানোর মজার খেলা, সবই জীবজগত সম্পর্কিত। কিন্তু আরও বিশাল আকর্ষণ তখন রয়ে গেছে আমাদের জন্য, বাড়ীর বাহিরে! বাগান, ডারউইনের বাগান!

IMG_1377

বেশ ছড়ানো বাগানটিতেই তিনি প্রতিদিন অতিবাহিত করতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, গ্রিনহাউজ গড়ে তুলে মেতেছিলেন উদ্ভিদজগতের নানা রহস্যের দিকে আলোকপাত করতে। তিনি বিশেষ উৎসাহী ছিলেন অর্কিড এবং পতঙ্গভুক উদ্ভিদের ব্যাপারে, গ্রিন হাউসটিতে বর্তমানেও এই দুই জাতের গাছের সংখ্যা অনেক বেশী। অনেক ভিতরের অনেক ঘরে আবার ছিল মৌমাছির কৃত্রিম মৌচাক! সেটির বাহিরেও খোলা আকাশের নিচে নানা বাহারি বর্ণের ফুলের সমাহার, যদিও বাগানে এখন আলু, ধনে গাছও লাগানো হয়েছে।

IMG_1574

শুনেছিলাম ডারউইনে কেঁচোদের উপরে সঙ্গীতের প্রতিক্রিয়া নিয়েও গবেষণা করেছিলেন, যদিও এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে কোন সদুত্তর পেলাম না, তাই চললাম বাগানের শেষ প্রান্তে সীমানা প্রাচীর পেরিয়ে সেই বিখ্যাত মেঠো পথটির দিকে যার নাম স্যান্ড পাথ, বালির পথ- এইখানেই প্রত্যহ পায়চারী করতে করতে বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো চিন্তা করতেন আমাদের বিজ্ঞানী, বলা হয়ে থেকে এই পায়চারী তার শরীর চর্চার অংশ হিসেবেও কাজ করত, কিন্তু প্রতিদিন ঠিক কতখানি হাঁটলেন এই চিন্তা যেন তাকে বিব্রত না করে তাই পথের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কিছু খণ্ড খণ্ড পাথর রেখেছিলেন তিনি, প্রতিবার পাশ দিয়ে যাবার সময় একটি পাথর লাথি দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতেন, ফলে পরের বার কাছে আসলে খুব সহজেই বুঝতে পারতেন কতখানি দূরত্ব অতিক্রম করেছেন পদব্রজে! ১৮৮২ সালের ১৯ এপ্রিল ৭৩ বছর বয়সে মহাপ্রয়াণের আগ পর্যন্ত তিনি এই বাড়ীতেই ছিলেন, এবং তার স্ত্রী এমাও ১৮৯৬ সালে জীবনপ্রদীপ নেভার আগ পর্যন্ত এইখানেই থাকতেন।

আমরাও হাঁটলাম ডারউইনের পথে, চোখে-মুখে রোমাঞ্চ নিয়ে, ভালোলাগার বিহ্বলতায়, ভালোবাসার আবেগে, সত্যিকারের জ্ঞানতীর্থে।।

551062_10151959001080497_1437297843_n

( লেখাটি আমাদের সবার প্রিয় রায়হান আবীরের জন্য)


মন্তব্য

রিয়েল ডেমোন এর ছবি

ইংল্যান্ডের কান্ট্রি সাইড আসলেই অসাম অনুদা। ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ডে যখন থাকতাম, তখন প্রকৃতির অন্যরকম মায়ায় সারাদিন পাহাড়ের উপরে আপেল আর চেরি বনে হাঁটতাম। মনে হত ছবির মধ্যে বসবাস করছি। চমৎকার লেখা বরাবরের মত।

তারেক অণু এর ছবি

শুধু গ্রাম দেখার জন্যই একবার হেঁটে হবে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হিংসা হিংসা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

কবিদের এত হিংসা!

বন্দনা এর ছবি

ঘুরেন ঘুরেন, কৌস্তভকে সাথে নিয়ে বেশ ঘুরান্তি দিলেন।লেখা যথারীতি চমৎকার।

তারেক অণু এর ছবি

অল্প ঘোরা, সময় কম ছিল যে!

রায়হান রশিদ এর ছবি

লেখককে অনেক ধন্যবাদ। এক নিঃশ্বাসে শেষ করলাম। ইংল্যান্ডে এত দিন থাকি, কেন্টেও থাকতাম একসময়, অথচ কখনো এই জায়গাগুলোতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এবার যেতেই হবে মনে হচ্ছে।

ইমতিয়ার শামীমের দু'পর্বের এই লেখাটাও হয়তো অনেকের ভাল লাগবে:

ডারউইন-জার্নাল : কালান্তরের ঋণবিবরণ ১

ডারউইন-জার্নাল : কালান্তরের ঋণবিবরণ ২

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ।

রায়হান আবীর এর ছবি

নেটে টুকটাক ছবি দেখলেও ক্রিয়েশন নামক একটা মোটামুটি ফালতু মুভিতে ডারউইনের এই 'গবেষণাগার' ভালোভাবে দেখার সুযোগ হয়েছিলো। আপনার লেখাটা পেয়ে তো আনন্দে চেয়ার থেকে লাফ দিয়েছি। লেখা, ছবি অনেক ভালো লেগেছে।

তারেক অণু এর ছবি

লাফ দিয়ে কোথায় গ্যালেন খাইছে

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

এই ব্যাপার গুলো নিয়ে একদম কিচ্ছুই জানিনা।তবু আপনার লেখা পড়ে মনে হয় "ইশ!যদি একবার যেতে পারতাম!!"

তারেক অণু এর ছবি

হ, আমারও খুব যাইতে ইচ্ছে করে। নিকখানা কিন্তু দারুণ নিয়েছেন।

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

ইয়ে, মানে...

তারেক অণু এর ছবি

আমার দারুণ প্রিয় নামটা।

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

এইটার সাথে সাথে তারেক অনু নামটাও কিন্তু আমার ভীষণ প্রিয় হাসি
ভাই,আপনার মত হইতে মন চায় মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

খামোখা, ক্যান, অন্য কোন কাজ নাই ! খাইছে

আমাকে অণু বললেই হবে, তারেকরা সিস্টেমে নাই করে ফেলতে হবে।

অমি_বন্যা এর ছবি

অনু দা, বেশ কিছুদিন আপনি অনুপস্থিত । কারণ হিসেবে কি ঘোরাঘুরি ? লেখা ভালো হয়েছে বরাবরের মতই। অনেক কিছু জানিয়ে দিলেন। ভালো থাকবেন।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ, লন্ডনের বৃষ্টিতে সব লেখা আঁটকে গিয়েছিল!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হিংসা হিংসা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

ভাগেন--

ইমা এর ছবি

বেশ কিছুদিন পরে আপনার লেখা এল। বরাবরের মতই প্রানবন্ত লেখা। লন্ডন ভ্রমণের আরও লেখা পড়তে চাই চলুক

তারেক অণু এর ছবি

আসিতেছে---

ইমা এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারেক অণু এর ছবি

এত পপ্পন খেতে নেই!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি
কড়িকাঠুরে এর ছবি

তীর্থের সুন্দর বর্ণনা...
ইয়ে- আরেকটু লম্বা করা যেত না...

তারেক অণু এর ছবি

পরের বার! আসলে অনেক ছবি থাকলে বোঝা যায় না, এই অল্পতেও কিন্তু প্রায় দেড় হাজার শব্দ এটে গেছে!

কড়িকাঠুরে এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
আমার তো মনে হলে পড়তে না পড়তেই শেষ হয়ে গেল...

তারেক অণু এর ছবি

পড়তে বসলে আমারও তাই মনে হয়, কিন্তু লিখতে গেলেই শুরু হয় সমস্যা দেঁতো হাসি

জুন এর ছবি

শব্দ গোনার অভ্যেস এখনও আছে দেখা যায়। দেঁতো হাসি ৫ তারা আপনার জন্য নয়। ডারউইনের জন্য। খাইছে

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

তারেক অণু এর ছবি

সাবাস ভাই! আগে খবরের কাগজের জন্যই লিখলাম তো, অভ্যেস খারাপ হয়ে গেছে তখন থেকেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সৌরভ কবীর

তারেক অণু এর ছবি
শাব্দিক এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

লন্ডন থেকে কেন্ট কাউন্টি কত দূরে, কিভাবে গেলেন?! সময় পেলে দেখি এই মহাঋষির বাড়ি নিজের চোখে দেখা যায় কিনা! এই সময়টা ইংল্যান্ডে ঘুরাঘুরি করার জন্য বেশ, চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ! লন্ডন থেকে ম্যানচেস্টার যাবার পথে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম মাঠের পর মাঠ সবুজ ক্ষেত যেন লন মোয়ার দিয়ে মাড়িয়ে রাখা হয়েছে, ছিমছাম ছোট ছোট গ্রাম, আর উইন্ড মিলগুলো দেখে! আর কোথায় কোথায় যাবেন, ঠিক করেছেন?

তারেক অণু এর ছবি

ট্রেনে যেতে পারেন, হয়ত ঘণ্টা দুই লাগবে। আমরা গাড়ীতে গিয়েছিলাম, তারপরও জ্যাম এড়িয়ে যেতে যেতে দেড় ঘণ্টা লেগেছিল।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। দুসপ্তাহ আগেও লন্ডনে ছিলাম! এখন পরের বারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে! মন খারাপ

রংতুলি

তারেক অণু এর ছবি

পরের বার অবশ্যই!

ক্রেসিডা এর ছবি

ভালো লাগলো - লেখা ও ছবি - দুটোই হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ।

সাবেকা এর ছবি

লেখা পড়া শুরু করতে না করতেই মনে হল শেষ হয়ে গেল। তারপরও খুব খুবই ভাল লাগল ছবি এবং লেখা । এতদিন যাওয়া হয়নি এবার মনে হচ্ছে যেতেই হবে হাসি

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই যাবেন, ঘুরে এসে লেখা দিয়েন।

জালিস মাহমুদ এর ছবি

গুল্লি গুল্লি গুল্লি

তারেক অণু এর ছবি

আস্তে, আস্তে, এত্ত গুল্লি কিসের!

সুমাদ্রী এর ছবি

তীর্থস্থানের ডাইরিতে আরও একটি নাম টুকে রাখলাম। বেশ লাগল বর্ণনা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই এক তীর্থ, মহাতীর্থ।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

(গুড়)

---------------------
আমার ফ্লিকার

তারেক অণু এর ছবি
অরফিয়াস এর ছবি

কোলাকুলি

[সহযাত্রীদের ফটু কই? সব মূর্তিমান "বিবর্তনের" প্রমান !!]

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি
ব্লুবেরী-নাইট এর ছবি

ইংল্যান্ড থেকে চলে গেছেন? সাউথ কেনজিংটন (বাংলাদেশ হাই কমিশনের কোনায়) ন্যাচারাল হিস্ট্টি মিউজিয়ামে ডারউইন সেন্টার নামে একটা সাইড আছে। আগি কোনদিন ঐ দিকটায় যাই নাই। আপনে গেছিলেন?

তারেক অণু এর ছবি

এইবার হল না, যদিও লিস্টে ছিল, পরের বার মাস্ট।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক আপনার ভ্রমণসঙ্গীদের এতটা অবহেলা করা কি ঠিক হয়েছে/ কিছুতো লিখতেন, তাদের নিয়ে অথবা দু-একটা ফটো। তাঁরাও থেকে যেত ভবিষ্যৎ এর ফ্রেমে। 'ডারউইন তীর্থে'।
ধন্যবাদ, সুখপাঠ্য, সংক্ষিপ্ত লেখাটির জন্য।

তারেক অণু এর ছবি

তারা সেন্সর করেছে !

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"অবশেষে সারা পৃথিবী ঘুরে ঘরে ফিরলেন তরুণ প্রকৃতিপ্রেমিক, বিয়ে থা করে থিতু হলেন আপন ভুবনে।"
আমি তো পরথমে পিপিদা মনে করসিলাম! চোখ টিপি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তারেক অণু এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

হো হো হো

তারেক অণু এর ছবি

খাইছে পিপিদা চটল বলে!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দেঁতো হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তারেক অণু এর ছবি

সে কোথায়!

পথিক পরাণ এর ছবি

হো হো হো

তারেক অণু এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

এহ, ডাউনহাউস যাওয়ার গল্প হল, আর ওখানে যে আমরা প্রথম 'ব্রিটিশ ক্রিম টি' চাখালাম সেই গল্পটাই বাদ পড়ে গেল!

তারেক অণু এর ছবি

ঐটা আপনের জন্য চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।